আইফোনে আসছে নতুন প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি

নিজেদের ফ্ল্যাগশিপ সিরিজ আইফোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান টেক জায়ান্ট কোম্পানি অ্যাপল এবার ওপেন এআইয়ের প্রযুক্তি চ্যাট-জিপিটি সংযোজনের ঘোষণা দিয়েছে। গত সোমবার অ্যাপল তাদের বার্ষিক ডেভেলপার শোতে এ ঘোষণা দেয়।

এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, ভয়েস কমান্ড সিস্টেম সিরির সঙ্গে অন্য অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে ওপেনএআই-এর চ্যাট জিপিটির সাহায্যে আরো শক্তিশালী করে তুুলতে এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন ফিচারগুলো আইফোন ও ম্যাকবুক ল্যাপটপ ও ডেক্সটপেও পাওয়া যাবে। টেক্সট ও কনটেন্ট জেনারেশনসহ অন্যান্য টুল বুস্ট করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে চ্যাট জিপিটি।

আসুন জেনে নেওয়া যাক সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া উল্লেখযোগ্য সেবাগুলো নিয়ে—

আইওএস ১৮: অ্যাপল জানিয়েছে, অপারেটিং সিস্টেমটিতে আইফোনের হোমস্ক্রিন নিজের মতো করে সাজানোর সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারী। সহজে কন্ট্রোল সেন্টার ব্যবহারের পাশাপাশি অ্যাপ লক করে রাখার সুযোগও পাওয়া যাবে। ফলে অন্য কেউ পরিচয় যাচাই না করে আইফোনের কোনো অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না। ই-মেইল অ্যাপে ফিল্টার-সুবিধাসহ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আইমেসেজ ও এসএমএস পাঠানো যাবে অপারেটিং সিস্টেমটিতে।

আইপ্যাড ওএস ১৮: ‘আইপ্যাড ওএস ১৮’ নামের অপারেটিং সিস্টেমটিতে আইপ্যাডের পর্দায় একটি ফ্লোটিং ট্যাববার ও অটোমেটিক সাইডবার দেখা যাবে। শেয়ার প্লে সেশন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইপ্যাডে ক্যালকুলেটর অ্যাপ, ইউনিট কনভারশন ও অ্যাপল পেনসিলের মাধ্যমে ম্যাথ নোট-সুবিধা ব্যবহার করা যাবে অপারেটিং সিস্টেমটিতে।

এয়ারপডস হালনাগাদ: এয়ারপডসের হালনাগাদ সংস্করণ ‘এয়ারপডস প্রো’ আনার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। ব্যবহারকারীদের নড়াচড়া শনাক্ত করতে সক্ষম এয়ারপডসটি ব্যবহারের সময় মাথা নাড়িয়েই ফোনকল গ্রহণ বা কেটে দেওয়া যাবে। ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বর ও পটভূমির শব্দ আলাদা করতে সক্ষম এয়ারপডসটি ব্যবহার করে ভিড়ের মধ্যেও স্বচ্ছন্দে কথা বলা যাবে।

নতুন টিভিওএস: অ্যাপল টিভি সেট টপ বক্সের জন্য ‘টিভিওএস ১৮’ আনার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। নতুন অপারেটিং সিস্টেমটির মাধ্যমে ২১ বাই ৯ আলট্রাওয়াইড প্রজেক্টরের পর্দায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখা যাবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাবটাইটেল প্রদর্শনের পাশাপাশি শব্দের মান আগের তুলনায় ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণের সুযোগও মিলবে অপারেটিং সিস্টেমটিতে।

ওয়াচ ওএস ১১: অ্যাপল ওয়াচের জন্য ‘ওয়াচ ওএস’ ১১-এর ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। স্মার্ট ঘড়ির জন্য তৈরি অপারেটিং সিস্টেমটিতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ট্রেনিং মোড। মোডটি দৈনন্দিন ব্যায়াম বা বিভিন্ন শারীরিক পরিশ্রমের ফলে ব্যবহারকারীদের শরীরে কী কী প্রভাব ফেলছে তা জানাতে পারে।

ম্যাকওএস সেকোইয়া: সম্মেলনে ম্যাকওএস সেকোইয়ার ডেভেলপার বেটা সংস্করণ উন্মুক্ত করে অ্যাপল জানিয়েছে, আগামী মাসে ম্যাকওএস সেকোইয়ার পাবলিক বেটা সংস্করণ উন্মোচন করা হবে। আর এ বছরের মধ্যেই অপারেটিং সিস্টেমটি উন্মুক্ত করা হবে।

পাসওয়ার্ডস অ্যাপ: পাসওয়ার্ড তৈরি, ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের জন্য পাসওয়ার্ডস অ্যাপের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। আইফোন, আইপ্যাড, ভিশন প্রো, ম্যাক ও উইন্ডোজে এই অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। এতে ভেরিফিকেশন কোড, অ্যাপ পাসওয়ার্ড,

ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড, শেয়ারস পাসওয়ার্ড, পাসকি প্রভৃতি সংরক্ষণ করা যাবে।

অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স: অবশেষে অ্যাপলে মিলল বহুল প্রতীক্ষিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি। এআই-ভিত্তিক অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-সুবিধা আইওএস, আইপ্যাডওএস, ম্যাকওএসে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা যাবে।

সিরিতে এআই: অ্যাপলের ভার্চুয়াল সহকারী ‘সিরি’তে চ্যাটজিপিটিসহ অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-সুবিধা ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে টেক্সটের মাধ্যমে সিরি ব্যবহার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। তাত্ক্ষণিক বিবৃতিও পরিবর্তন করা যাবে। বিভিন্ন অ্যাপেও সিরি ব্যবহার করা যাবে, যেমন অ্যাপল নিউজ থেকে কোনো নিবন্ধ কপি করে কোনো গ্রুপ মেসেজে সেটি সিরির মাধ্যমে পাঠানো যাবে।

এআই জেনইমোজি: জেনইমোজি নামে নতুন একধরনের ইমোজি তৈরির সুবিধা চালুর ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। অ্যাপলের এআই ব্যবহার করে সহজে নিজের ইমোজি তৈরি করা যাবে। এমনকি কি-বোর্ডে বর্ণনা লিখেও জেনইমোজি তৈরি করা যাবে।




মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনের উদ্যোগে খাদ্যশস্যের স্লিপ বিতরণ

মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনের উদ্যোগে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচি আওতায়  খাদ্যশস্যের স্লিপ বিতরণের আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে এই খাদ্যশস্যের স্লিপ বিতরণ করা হয়।

এ সময় মেহেরপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শহিদুজ্জামান সুইটের মাধ্যমে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচি আওতায় খাদ্যশস্যের স্লিপ বিতরণের করা হয়।




দর্শনা প্রেসক্লাবে যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকি পালিত

দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ১৯ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে দামুড়হুদার দর্শনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে যায়যায়দিন পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি হাসমত আলীর আয়োজনে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের সভাপতি দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে দামুড়হুদা উপজেলা প্রতিনিধি হাসমত আলীর সঞ্চলনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এর প্রতিনিধি সাব ইন্সপেক্টর শামিম আহমেদ, দর্শনা গণউন্নয়ন গ্রন্থগারের পরিচালক সাহিত্যিক আবু সুফিয়ান, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হানিফ মন্ডল, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ ওসমান, সাংবাদিক আওয়াল হোসেন, আলমগীর কবির, মনিরুজ্জামান সুমন, আহসান হাবিব মামুন, নজরুল ইসলাম, নুরুল আলম বাকু, মাহমুদ হাসান রনি, ইমতিয়াজ রয়েল, ইমতিয়াজ আহমেদ, আব্দুল হান্নান, সুকুমার বাঁধন, রিফাত হোসেন, ফরহাদ হোসেন, আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ ও সাংবাদিকরা কেক কাটেন। সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।




আলমডাঙ্গার দুই মহিলার জমি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ, ভুক্তভোগীদের মারপিট

আলমডাঙ্গা বেলগাছি পুরাতন মসজিদ পাড়ার শেফালি খাতুন ও তার বোনের জমির উপর রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়া ওই পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করেছে মঞ্জুর গংয়। মারধরের পরদিন তাদের কিছু না জানিয়ে ৮ শতক জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে ওই গংয়ের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনার পর ওই পরিবারকে অব্যাহত ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন তারা। প্রাণের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।

আলমডাঙ্গার বেলগাছি পুরাতন মসজিদ পাড়ার ইউসুফ আলী লিখিত অভিযোগে জানান, তার স্ত্রী শেফালি খাতুন ও তার জেশসেস রেক্সোনা খাতুনকে তার শ্বশুর মৃত হারুন অর রশিদ ৬ বছর আগে দুই মেয়েকে ৫১ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। দুই শতক জমি রাস্তার জন্য রাখেন। ওই জমির পাশে ইউসুফ আলীর পৈত্রিক ৫১ শতক জমি আছে।

তিনি জানান, ওই জমির সাথে আমার চাচাতো ভাই ৮ শতক জমি রয়েছে। আনেক আগে ওই ৮ শতক জমি তাকে এওয়াজ করে মাঠে দিয়ে দিই। এতদিন পর ওই জমির পার্শ্ববর্তী আমার স্ত্রী শেফালি খাতুন ও জেশসেস রেক্সোনার জমির উপর দিয়ে মঞ্জুর গং রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে আমি নিষেধ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মজ্জেম আলীর নেতৃত্বে মঞ্জুর, হাবিবুর রহমান,বরকত আলীসহ ১০/১২ জন আমার উপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার উপর চড়াও হয়। আমি দৌড়ে পালিয়ে গেলে আমার স্ত্রী শেফালি, জেসশেস রেকসোনা, কন্যা জিন্নাত আরা, নয়ন তারাকে বেধড়ক মারপিট করে। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হারদি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা আমাদের অবরুদ্ধ করে ফেলে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। এর একদিন পর ৯ জুন আমাদের অনুপস্থিতিতে মঞ্জুর আলী গং আমার স্ত্রীর জমির মধ্যে থেকে ৮ শতক জমি জোর পূর্বক দখল করে নেয়। এবং ৪০টি বাঁশ কেটে নেয়। বাঁশ কেটে নেওয়ার পর এখন মঞ্জুর গং আমাদের উপর অব্যাহত ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা বাড়ি যেতে পারছি না।

এই অবস্থায় ইউসুফ আলী ও তার স্বজনরা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।




আলমডাঙ্গায় বিল বকেয়া থাকায় মৎস্য অধিদপ্তর অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

আলমডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য অঅধিদপ্তরের ১৪ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

আজ বুধবার সকাল ১১ টার দিকে বিদ্যুৎ কর্মীরা এসে মৎস্য অধিদপ্তরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় ভাপসা গরমে চরম দুর্ভোগে পড়েন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দাপ্তরিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে। মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চলতি জুনে বকেয়া বিল পরিশোধের শর্তে ২ ঘন্টাপর আবারো পুনঃসংযোগ দেন বিদ্যুৎ বিভাগ।

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) আওতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। দপ্তরের অর্থ সংকটের কারণে ১২ মাসে প্রায় ১৪ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে। বিদ্যুৎ বিভাগ দফায় দফায় বকেয়া বিল পরিশোধ করতে নোটিশ দিলেও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধে ব্যর্থ হন। ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ ওজোপাডিকোর আবাসিক প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় বকেয়া বিল প্রদানের নোটিশ দেয়া হলেও তারা বিল পরিশোধ করছে না। তাঁরা আমাদের নোটিশের কোন উত্তর দেননি। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরও মৎস্য কর্তৃপক্ষ চলতি জুনে বকেয়া বিল পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁরই পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে পুনঃসংযোগ দেয়া হয়েছে।’

এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কামরুন্নাহার আঁখি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দপ্তরে বরাদ্দ আসে প্রতি জুন মাসে। গত ১২ মাসে প্রায় ১৪ হাজার টাকা বিল বকেয়া হয়েছে। গোপনে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। পরে বিদ্যুৎ বিভাগকে বকেয়া বিল পরিশোধের চাহিদাপত্র পাঠানো হলে আবারো তাঁরা পূনঃসংযোগ দেন। এতে তীব্র ভাপসা গরম ও অন্ধকারে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।




আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ফল মেলার উদ্বোধন

আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী উপজেলা ফল মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস।

অনুষ্ঠানে আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্নিগ্ধা দাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্নিগ্ধা দাস বলেন, ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ক্রমবর্ধমান মানুষের খাদ্যের যোগান দেয় কৃষি। তাই মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটানোর লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সময় উপযোগী ফলদ বৃক্ষসহ অন্যান্য বৃক্ষ রোপণ অপরিহার্য।

তিনি ফলজ, বনজ ও ঔষুধী বৃক্ষের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ফল একটি স্বাস্থ্য রক্ষাকারি খাদ্য, কাজেই মানুষের দেহে শক্তি ও দৈহিক গঠনে বলিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন কিছু না কিছু যে কোন ধরনের ফল খেতে হবে আর এজন্য বাড়িতে যে কোন ফলের গাছ থাকা প্রয়োজন।

তিনি ফল উৎসবে উপস্থিত সকল স্তরের মানুষকে মেলা পরিদর্শণ ও মেলা থেকে কৃষি প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও নতুন নতুন ধ্যান ধারনা গ্রহনের পাশাপাশি ৩টি করে ফলজ, বনজ ও ঔষুধি বৃক্ষের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করার জন্য আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেহানা পারভীন তার বক্তব্যে বলেন, বৃক্ষ জীবন রক্ষাকারি অক্সিজেন, জ্বালানী কাঠ, কাগজ তৈরীর কাঁচামাল, মাটি ক্ষয়রোধ, রাস্তার সৌন্দর্য বর্দ্ধনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করে পরিবেশ রক্ষা করে। কাজেই সবাইকে ফলদ, বনজ ও ঔষুধি বৃক্ষ রোপনে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। তিনি উপস্থিত সকল স্তরের মানুষকে মেলা থেকে কৃষি প্রযুক্তিগত জ্ঞান গ্রহনের পাশাপাশি ২টি করে ফলদ বৃক্ষের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করার জন্য আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহিল কাফি, উপজেলা প. প. কর্মকর্তা এ এম মাহমুদ শাহরিয়ার, উপজেলা প্রকৌশলী তাওহীদ আহমেদ, নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান, ইন্সটেক্টর জামাল হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, বিআরডিবি কর্মকর্তা শাইলা শারমিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম আউয়াল, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগা দাস। এ ছাড়াও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রফিকের পরিচালনায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পাপিয়া খাতুন, মোছাম্মদ তাবাসসুম, নাহিদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলামসহ পল্লী উন্নয়ন ব্যাংকের শেফালী বেগম উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় ভুয়া চিকিৎসক ও ফার্মেসী মালিককে জরিমানা

আলমডাঙ্গা উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ভুয়া ডিগ্রিধারী ডাক্তার। এসব হাতুড়ে ডাক্তারের ভূতুড়ে চিকিৎসায় বিপাকে পড়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, এই অপচিকিৎসার বিষয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হলেও রহস্যজনক কারণে ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানায়, কমপক্ষে এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি প্রাপ্তরা ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার পদবি লিখতে পারবেন না। অথচ অনেকেই তাদের প্রেসক্রিপশন প্যাডে নামের আগে ‘ডাক্তার” ডিগ্রী লাগিয়ে রোগীদের জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের বটিয়াপাড়া-শিয়ালমারী গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস এ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় রীম্পা ফার্মেসীর নাম ব্যবহার করে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প করার নামে ডাক্তার না হয়েও তার নামের আগে ডা: ব্যবহার করে রোগী দেখছিল নাসির উদ্দীন নামের এক ভুয়া চিকিৎসক। এমন অভিযোগে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপজেলা প্রশাসন। ভুয়া চিকিৎসক সেজে চিকিৎসা দেবার কারণে ভুয়া চিকিৎসক নাসির উদ্দীনকে (৪০) কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভুয়া চিকিৎসক নাসির উদ্দীন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পলাশ পাড়ার সালেহ আহম্মেদের ছেলে।

এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত রীম্পা ফার্মেসিতে ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে প্রেসক্রিপশন করে ঔষধ বিক্রি করার অপরাধে সাগর হোসেন (৩১) নামের এক ফার্মেসী ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ফার্মেসী ব্যবসায়ী সাগর হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাদ্রাসা পাড়ার শুকুর আলীর ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাস ও স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশের একটি দল।




মেহেরপুর সীমান্তে বিএসএফ কতৃর্ক কৃষক নির্যাতন, পতাকা বৈঠকে দু:খ প্রকাশ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভারতীয় সীমান্তরক্ষি (বিএসএফ) কতৃর্ক বাংলাদেশী কৃষক নির্যাতনের ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষি বাহিনী (বিএসএফ) এর দু:খ প্রকাশ। আগামীতে এ ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘঠবেনা বলেও বিএসএফ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

৪৭ বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কুষ্টিয়া সেক্টরের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোর্শেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। লে, কর্ণেল মোর্শেদ জানান, গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্তবর্তি মাঠে নিজ জমির মরিচ ক্ষেতে ঘাস কাটার পর বাংলাদেশী কৃষক আলমগীর হোসেন জমির আইলে বসেছিলেন। এসময় ভারতীয় বিএসএফ সদস্য তাকে লাঠি পেটা করে নির্যাতন করে। এঘটনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষি বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।

আজ বুধবার (১২জুন) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে আন্তজর্াাতিক সীমান্ত পিলার ১৪৬ ও ১৪৭ এর মাঝে নোম্যান্স ল্যান্ডে ভারতের ফুলবাড়িয়া বিএসএফ ক্যাম্প ও বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কোম্পানী পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে কৃষক নির্যাতনের কড়া প্রতিবাদ জানালে বিএসএফের পক্ষ থেকে স্বীকার করে দু:খ প্রকাশ করেন। আগামীতে এ ধরণের ঘটনার পূনার্বৃতি হবেনা বলেও বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কাজিপুর গ্রামের ভারতীয় সীমান্তবর্তি মাঠে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১৪৬ ও ১৪৭ এর মাঝে নিজ জমির মরিচ ক্ষেতে ঘাস কাটার পর জমির আইলে বসে রেস্ট নিচ্ছিলেন বাংলাদেশী কৃষক আলমগীর হোসেন (৩৬)। আলমগীর হোসেনের পাশেই রয়েছে ভারতের মুরুটিয়া থানার গান্ধিনাপুর গ্রামের আবুল শাহ’র কলা বাগান। হঠাৎ কলা বাগানের ভিতর থেকে ভারতের ফুলবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পের দুই সদস্য এসে আলমগীর হোসেনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নির্যাতন করে। কৃষক আলমগীর হোসেন মারা গেছে ভেবে বিজিবি সদস্যরা পালিয়ে যায়। একই মাঠে কাজ করছিলেন কাজিপুর গ্রামের আরেক কৃষক আফাজুল ইসলাম। পরে আফাজুল ইসলাম অন্যান্য কৃষকদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সীমান্তবর্তি ওই ওয়ার্ডের মেম্বর আজগর আলী বলেন, সৌদি প্রবাস ফেরত আলমগীর হোসেন বিএসএফের নির্যাতনে মারাত্বক আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্বক ক্ষত হয়েছে।

এদিকে বিএসএফ কর্তৃক কৃষককে নির্যাতনের পর ওই মাঠে বাংলাদেশী কৃষকরা কাজ করতে যেতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।




গাংনীতে ফেনসিডিল ফেলে পালিয়েও পার পেলেন না নারী মাদক কারবারী

ফেনসিডিলের চালান নিয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন নারী মাদক কারবারী তানিয়া আক্তার (৩০)। খবর পেয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) সিপিসি মেহেরপুর ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন।

আটক তানিয়া আক্তার গাংনী উপজেলার হিন্দা গ্রামের বিপ্লব হোসেনের স্ত্রী।

আজ বুধবার (১২ জুন) দিবাগত রাত আনুমানিক ৮টার দিকে গাংনী-কাথুলী সড়কের নওয়াপাড়া বাজারের অদূর থেকে তাকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-১২ এর সিপিসি মেহেরপুর ক্যাম্প কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

সিনিয়র এএসপি মনিরুজ্জামান জানান, সীমান্তবর্তি ধলা গ্রাম থেকে ফেনসিডিলের চালান নিয়ে পাচারের উদ্যোশে নওপাড়া বাজার নামক স্থানে অপেক্ষা করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে থাকা তানিয়া আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে ফেনসিডিল ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় তাকে ধরে ফেলা হয়। তার কাছে থাকা ব্যাগের মধ্যে বিশেষভাবে মোড়ানো অবস্থায় ৪০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা দিয়ে গাংনী থানায় ফেনসিডিলসহ তানিয়া আক্তারকে হস্তান্ত করা হয়েছে।




গাংনীতে ব্র্যাক পরিচালিত কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন ইউএনও

মেহেরপুরের গাংনীতে ব্র্যাক পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।

আজ বুধবার (১২ জুন) দুপুরে গাংনীর ধানখোলা ইউনিয়নের কসবা এলাকায় ব্র্যাক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচীর কমিউনিটি পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক পরিদর্শন করেন তিনি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা ব্র্যাকের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে অবগত হন।

এ সময় তিনি উঠান বৈঠক উপস্থিত সকলকে যক্ষা রোগ নির্নয়, স্বাস্থ্য-পুষ্টি সহ অন্যান্য বিষয়ে সচেতনতামূলক বার্তা দেন। এ ক্ষেত্রে তিনি সরাসরি বা ব্র্যাকের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সকলকে বলেন।

এরপরে তিনি ব্র্যাকের কৃত্তিম প্রজনন কর্মসূচীর আওতায় প্রজননকৃত একটি বাছুর পরিদর্শন করেন ও খামারীর সাথে কথা বলেন।

পরিদর্শনকালে ব্র্যাক রেগুলেটরি এফেয়ার্স ইউনিটের ডিভিশনাল ম্যানেজার আবু সাঈদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সুপ্রভা রানী, ব্রাক জেলা সমন্বয়ক (বিডিসি) শেখ মনিরুল হুদা, টিবি কনট্রোল প্রোগ্রামের পিও মো: আক্তার হোসেন, ব্র্যাক মাইক্রোফাইনান্স এরিয়া ম্যানেজার (দাবি) মোঃ আবিদ হোসেন, টিবি কনট্রোল প্রোগ্রামের মাঠকর্মী তুহিন শেখ, ব্যবস্থাপক (মাইক্রোফাইনান্স-বিসিইউপি) প্রকাশ কুমার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।