ঝিনাইদহে সদর থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদককে পুড়িয়ে হত্যা 

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৯নং পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন ও তার গাড়ীচালক আক্তার হোসেনকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর হিরন চেয়ারম্যানের লাশ শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রা চত্বরে টাঙ্গিয়ে রাখা হয়। সেখানে দর্শকরা তার লাশে জুতা সেন্ডেল মারতে থাকে।

গতকাল সোমবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটায়। পরে তার লাশ মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১২ টার দিকে আন্দোলনকারীরা শহরের স্টেডিয়াম পাড়ায় অবস্থিত শহিদুল ইসলাম হিরনের বাড়িতে ভাংচুর করতে যায়। সেসময় হিরন আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে কয়েক রাউন্ডগুলি করে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়। পরে আন্দোলনকারীরা তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও তার ব্যক্তিগত গাড়ী চালক আক্তারকে কুপিয়ে যখম করে। আক্তারকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। বাড়ির ৩য় তলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হিরন। সন্ধ্যায় আগুনে পুড়ে মারা গেলে আন্দোলনকারীরা তার ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার লাশ বের করে শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রা চত্বরে এনে টাঙ্গিয়ে রাখে। এসময় তার লাশের উপর আন্দোলনকারীরা জুতা সেন্ডেল দিয়ে মারতে থাকে। পের সেখান থেকে গভীর রাতে লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

অপরদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের বাড়িতে আগুন দিতে গিয়ে পুড়ে মারা গেছে ২ আন্দোলনকারী। সোমবার বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার ঢাকালে পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, শেখ হাসিনা’র দেশ ত্যাগের ঘটনার পর কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা বিকালে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের ঢাকালে পাড়া এলাকার জুয়েল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দেয়। এর মধ্যে রাব্বি ও মুজাহিদ নামে দুই আন্দোলনকারী ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় আগুন ধরাতে গেলে তারা আর নিচে নামতে পারেনি। ফলে সেখানেই পুড়ে তাদের মৃত্যু হয়। মৃত রাব্বির বাড়ি ওই উপজেলার ফয়লা ও মুজাহিদের বাড়ি খয়েরতলা এলাকায় বলে জানা গেছে।




বিমানবন্দরে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আটক

বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার বিকালে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সোমবার শেখ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই লাপাত্তা ছিলেন এই সাবেক মন্ত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার খোঁজের বিষয়ে সরব দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে।

পুলিশের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জনসমাগম এড়িয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই নিজ বাসা বা সরকারি বাংলোতে না গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

এদিকে এর আগে সদ্য সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন পলক।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র আয়োজনে বিজয় মিছিল 

স্বাধীন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পদত্যাগে বাংলাদেশ আবার নতুন করে স্বাধীন হলো। মুখরিত মুহুর মুহুর স্লোগানে দামুড়হুদায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র আয়োজনে বিজয় মিছিল ও শুকরানা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে শুকরানা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে বিজয় মিছিল উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শুকরানা নামাজ ও বিজয় মিছিলে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা আমির মো: রুহুল আমিন। আরও বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক তনু, জেলা নায়েবে আমির মাওঃ মো: আজিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী এ্যাডঃ আসাদুজ্জামান দামুড়হুদা উপজেলা আমির মো: নায়েব আলী, উপজেলা নায়েবে আমির মো: নজরুল ইসলাম, উপজেলা সেক্রেটারী মাও মো: আব্দুল গফুর, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মো: রফিকুল ইসলাম জিয়া, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আমির মো: আবুল বাশার, হাউলী ইউনিয়ন আমির মো: ওবায়দুর রহমান, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আমির মো: আব্দুর রশিদ, নাটুদা ইউনিয়ন আমির, মাওঃ ফজলুল হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিবিরের সভাপতি মহশিন আলী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাওঃ আবু হানিফা, মো: মুহসিন আলী, এখতিয়ার রহমান শামসুজ্জুহা মাওঃ আব্দুল খালেক, মো: ইসমাঈল হোসেন, মো: আব্দুল গাফফার, মো: আবুস সাত্তার মো: হাবিবুর রহমান, মো: শামসুল ইসলাম, এ্যাড হাসিবুল ইসলাম সহ জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মো: আবেদ উদ্দোলা।




খালেদা জিয়া মুক্ত

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আরো বলা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং এরইমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।

দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারত যান। এরপর দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ বিষয়ে গতকাল বিকেলে বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় আটক সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।

সূত্র: ইত্তেফাক




সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনকে আটকের গুঞ্জন

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) হারুন অর রশীদকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমি এখন বাসায়ই আছি।’

সোমবার(৫ আগস্ট) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায় রাষ্ট্রীয় একটি সংস্থা।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কার নির্দেশে ডিবি প্রধান থাকা অবস্থায় হারুন অর রশীদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে আটকে রেখেছিলেন। তাদের কাছ থেকে জোর করে বিবৃতি আদায় করেছিলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে নির্বিচারে ঘরে ঘরে ডিবি পুলিশ পাঠিয়ে মানুষ তুলে আনার কাজটি করেছেন। রাজনীতিকসহ জনগণের সঙ্গে বেপরোয়া আচরণ করেছেন সেটি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজকে দেখা করতে দেননি অতিরিক্ত আইজিপি হারুন। তখন বলেছিলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া দেখা করা সম্ভব নয়। তাদের কবে ছাড়া হবে জানতে চাইলে বলেছিলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যখন নির্দেশ দেবে তখন ছাড়া হবে।

সেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে সেটিও হারুনের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

হারুন এডিশনাল এসপি থাকার সময় ২০১১ সালের ৬ জুলাই, সংসদ ভবনের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছিলেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও একই বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং ১ জুলাই ২০২৪ হতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটককৃতদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং এরইমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছে।

এদিকে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ সরকার কেমন হবে—সে বিষয়ে প্রস্তাবনা দেবেন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এরপরই চূড়ান্ত হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে মতামত নেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এরপর সন্ধ্যায় সেনাপ্রধান ও বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে ২৪ ঘণ্টা বা দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে সর্বসম্মতক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।




বিমানবন্দরে পলক আটক

সাবেক মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) দুপুরে তাকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, বিমানবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে আটক করেছে। পরে তাকে হেফাজতে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি পাড়ি দেওয়ার জন্য তিনি বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অপেক্ষায় ছিলেন পলক। এ সময় বিমানবন্দরের কর্মচারীরা তাকে ভিআইপি লাউঞ্জে আটকে রাখেন। পরে বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা এসে তাকে আটক করেন।

ছাত্রজনতার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন পলক। তিনি আছেন কিনা তা নিয়েও নানা গুঞ্জন ছিল। এমন অবস্থার মধ্যে বিমানবন্দরে আটক হলেন তিনি।

সূত্র: কালবেলা




২ টি হোয়াটসঅ্যাপ একসঙ্গে ব্যবহার

তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে হোয়াটসঅ্যাপ বহুল ব্যবহৃত একটি যোগাযোগমাধ্যম। তাৎক্ষণিক বার্তা, ছবি আদান-প্রদানের পাশাপাশি অডিও-ভিডিও কলের সুযোগ থাকায় অনেকেই নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। অনেককেই একটির পরিবর্তে দুটো হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে দেখা যায়। সেটি অনেক সময় ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কারণে হতে পারে। কারণ যেটাই হোক না কেন কখনো কখনো একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার কষ্টকর, তেমনি ব্যয়বহুল।

তবে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনে একই হোয়াটসঅ্যাপ থেকে একাধিক অ্যাকাউন্ট একসঙ্গে ব্যবহার করা যায়। একই অ্যাপে একসঙ্গে দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক। একই অ্যাপে একসঙ্গে দু’টি অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের জন্য প্রথমে স্মার্টফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রবেশ করে ওপরের ডানদিকে থাকা তিনটি ডট মেনুতে ট্যাপ করতে হবে। এরপর পপআপ বক্সে প্রদর্শিত অপশন থেকে ‘সেটিংস’ নির্বাচন করলেই পরের পৃষ্ঠায় প্রোফাইল নামের পাশে কিউআর কোড ও ড্রপডাউন মেনু দেখা যাবে।

এবার ড্রপডাউন মেনুতে ট্যাপ করে ‘অ্যাড অ্যাকাউন্ট’ অপশন নির্বাচন করে পরের পৃষ্ঠায় থাকা শর্তাবলির নিচে থাকা ‘অ্যাগ্রি অ্যান্ড কনটিনিউ’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ফোন নম্বর লিখে নিচে থাকা নেক্সট বাটনে ট্যাপ করলেই একটি ছয় সংখ্যার কোড পাঠাবে হোয়াটসঅ্যাপ। কোডটি লেখার পর সেকেন্ডারি অ্যাকাউন্টের প্রোফাইলের অন্যান্য তথ্য যুক্ত করলেই নতুন অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে যাবে। পরে যেকোনো সময় ড্রপডাউন মেনু থেকে কাঙ্ক্ষিত অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করে সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যাবে।
সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় টগর এমপির বাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও জনতার উল্লাস

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদায় বিজয়ের আনন্দ আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ এমপি সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বাড়ি ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।  গতকাল সোমবার দুপুর ৩ টার পর থেকে এই ঘটনা ঘটে।

দামুড়হুদা উপজেলায় সাধারণ শিক্ষার্থী জনসাধারণের রাস্তায় নেমে এসে বিজয়ের আনন্দ আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করেছে। আনন্দ মিছিল শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক আবিদ হাসান রিফাত, যুগ্ন আহবায়ক সাদ্দাম সাকিব নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা দর্শনা সরকারি কলেজ শহীদ মিনারে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। এই ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা ও শোক পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে বিক্ষুপ্ত জনতারা চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের বাস ভবন সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের এমপি আলী আজগার টগরের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে। ঘটনার বিবরনে জানাযায়, বৈষম্য বিরোধী সাধারণ ছাত্র/ছাত্রী সমাজের উদ্যোগে সরকার পদত্যাগের ১ দফা দাবি পৃরন হবার সাথে সাথে ঢাকা গনভবন দখল করে নেয় ছাত্র ছাত্রীরা এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সাথে সাথে সারা বাংলাদেশের ন্যায় বিক্ষুব্ধ জনতা চুয়াডাঙ্গা আসনের এমপি আলী আজগার টগরের দর্শনাস্থ আকাশ টাওয়ারের মার্কেট ও আলীসান বাড়িতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকলে দর্শনা বাসির মধ্যে আতকং ছড়িয়ে পড়ে।

সরজমিনে দেখা যায়, জনগনের যে একদফা দাবি পৃরন হবার সাথে ও প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালাবার পরপরই দর্শনাসহ আশপাশ এলকায় মিষ্টি বিতরন করতে দেখা যায়। অপরদিকে, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ সম্পাদক, আব্দুল মান্নানের সিঙ্গার শো রুম বিক্ষুব্ধ জনতা দোকান ভংচুর করে। পরে দর্শনা দক্ষিনচাদপুর ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাকিমের দোকান ভাংচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এরপর দর্শনা আকন্দবাড়িয়া শেখ পাড়ায় ওমর বাড়ি ভাংচুর করে। পরে প্রায় ৪ গ্রামবাসি মিলে সিংনগরের বিল দখল করে মাছ ধরা শুরু করেছে বলে জানা গেছে।




নড়াইলে মাশরাফির বাড়িতে আগুন

জাতীয় সংসদের হুইপ নড়াইল-২ সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নড়াইলের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসভবন ও জেলা আওয়ামী কার্যালয়েও আগুন দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বিক্ষুব্ধ জনতা নড়াইলে মাশরাফির বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এক পর্যায়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

মাশরাফি ছাড়াও নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলুর বাসভবন এবং জেলা আওয়ামী কার্যালয়ে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান অনেক ক্রিকেটার প্রতিক্রিয়া জানালেও নিশ্চুপ ছিলেন মাশরাফি। এ নিয়ে অনেক আগে থেকেই তাকে নিয়ে সমালোচনা চলছিল।

সূত্র: ইত্তেফাক