প্রকৌশলী লিওনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক মাহাবুব চান্দুর ক্ষতিপূরণ মামলা

মিথ্যা মামলা করে আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি ও সাংবাদিকতায় বাঁধাগ্রস্থ করার কারণে মামলা থেকে অব্যহতি পেয়ে প্রকৌশলী তোহিদুল ইসলামের লিওনের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করলেন সাংবাদিক মাহাবুব চান্দু।

গত ২৭ নভেম্বর মেহেরপুরের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৭ জানুয়ারি আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করেছেন।

মাহাবুব চান্দু আইনজীবী নজরুল ইসলাম এসকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, মেহেরপুর প্রতিদির পত্রিকার অনুসন্ধানী সংবাদের খোজে ২০২৩ সালের ২৪ জুলায় দুপুর ১১টা ৫৩ মিনিট থেকে ১টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত মেহেরপুর সরকারী মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অনুসন্ধান মূলক সাংবাদিকতার কাজে নিয়োজিত থাকেন। বাদী তথ্যাদি সংগ্রহ করে তার অফিসে ফিরে আসেন এবং মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের মেডিকেল আফিসার ডাঃ রুমানা হেলালী এর বিরুদ্ধে গ্রহনকৃত সংবাদ ও তথ্যাদি মেহেরপুর প্রতিদিন সংবাদপত্রের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন কে অবহিত করেন। দুপুর অনুমান আড়াইটার দিকে ডাঃ রুমানা হেলালীর পিতা সাবেক মেয়র মুতাছিম বিল্লাহ মতু মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদককে মোবাইল ফোনে বাদী ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ভয়ভীতি ও মামলা করার হুমকি দেন।

তারপর ২৬ জুলা মোতিাছিম বিল্লাহ মতুর ছেলে মুত্তাকি বিল্লাহ শাফিন তাহার ফেসবুক আইডি আইডি দিয়ে মেহেরপুর সদর থানা বরাবর বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা চাদাবাজীর লিখিত অভিযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করেন এবং কমেন্ট করেন যে “তুই যে ক্লিনিকে চাঁদা চাইতে এসে গনধোলাই এর ভয়ে তাড়া খেয়ে পালায় গেছিস সেটা বল, আসল সত্যতা মানুষ জানুক ” । সহ বিভিন্ন মান হানিকর মন্তব্য ও কমেন্ট করে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে ভাইরাল করে।

মোতাছিম বিল্লাহ মতু তার ফেসবুক আইডি দিয়ে অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিককা মেহেরপুর নিউজ.কম এর ফেসবুক পেজের মাধমে মাধ্যমে গত ইং ৩১/০৭/২০২৩ তারিখে লাইভে এসে বাদীকে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি লাইভ প্রোগ্রাম করে। মায়ের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার সাইফুল বাহার স্বাধীন তার মায়ের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার হিসাবে উক্ত ক্লিনিকের ফেসবুক আইডি দিয়ে মোত্তাকি বিল্লাহ শাফিন এর পোষ্টকৃত বাদীর মিথ্যা চাঁদা দাবির লিখিত অভিযোগ গত ইং ২৬/০৭/২০২৩ তারিখে প্রচার করে ভাইরাল করে। বিবাদী তৌহিদুল ইসলাম লিওন তাহার ফেসবুক আইডি থেকে মোত্তাকি বিল্লাহ শাফিন এর ফেসবুক পেজে কমেন্ট কওে বিবাদীর সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেন।

বিবাদী বাদীর বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য অপপ্রচার কওে থেমে না থেকে সাংবাদিকতার পেশাকে কলুষিত ও মানহানি করিবার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাদী ও বিবাদীর বাড়ী মেহেরপুরে হওয়া সত্বেও শুধুমাত্র হয়রানী করার উদ্দেশ্যে বাদীর বিরুদ্ধে ঢাকাতে মামলা দায়ের করেন। যাতে প্রায় এক বৎসরেরও অধীক সময় বাদী ঢাকাতে যাতায়াত ও মামলা পরিচালনায় আর্থিক, মানষিক ও শারিরীক ক্ষতির সম্মুখিন হন। বাদি আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সুসাংবাদিকতা যাতে কেউ আঘাত করতে না পারে সে কারণে আদালতের শরনাপন্ন হয়ে আসামি বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করেন।




অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু, বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত মরদেহ

ভারতের বিনোদন জগতে ফের শোকের ছায়া। হায়দরাবাদে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কন্নড় সিনেমা ও টেলিভিশন অভিনেত্রী শোভিতা শিবন্নার মরদেহ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩০ বছর।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার ( ১ ডিসেম্বর) এ ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ জানায়, শোবিতা শিবন্না মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে এই মৃত্যুর ঘটনা আত্মহত্যা বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

তবে কী কারণে এমন পথ বেছে নিলেন অভিনেত্রী তা এখনও জানা যায়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খরব অনুযায়ী, শোভিতার মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য গান্ধী হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গাছিবাউলি থানার পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে অভিনেত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য গান্ধী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই অভিনেত্রীর আকস্মিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করা বয়েছে।

শোভিতাকে ‘ইরাডোন্ডলা মুরু’, ‘ওন্ধ কাথে হেলা’র মতো ছবিতে দেখা গেছে। এছাড়াও তিনি ‘গালিপাতা’, ‘মঙ্গলা গৌরী’, ‘কৃষ্ণা রুক্মিণী’র মতো ধারাবাহিকেও নিয়মিত অভিনয় করছিলেন। তার মৃত্যুর পিছনে অবসাদ না প্রেম ঘটিত কারণ? এখন এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে অভিনেত্রীর ভক্তদের।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে ফসল ও গাছ কেটে জমি দখলের অভিযোগ

জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের পর খাল-বিল জমিসহ নানধরনের দখলদারিত্বের কবলে সাধারণ মানুষ। তারই ধারাবাহিকতায় মেহেরপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ খসরু ইসলামকে হুমকি প্রদান, তার নিজ জমির গাছ-খড় ও ফসল কেটে জমি দখল করেছে কিছু দূর্বৃত্ত ভূমিদস্যু। এ বিষয়ে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সেনা কমান্ডার যৌথ বাহিনী মেহেরপুর ব্যাটেলিয়নে।

অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে ২৬ নম্বর মৌজায় ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত আমার ছয় ভাই বোনসহ অপর আরো কয়েকজনের তপশীলভুক্ত জমিতে প্রায় এক লক্ষ টাকার খড় এবং এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বনজ গাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এখন তারা আমাদের উক্ত জমিতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার শারীরিক হুমকিও দিচ্ছে। গত ১৪-১১-২০২৪ তারিখে তারা নালিশী জমিতে জোর করে লাঙ্গল দিয়েছে। ইতিপূর্বে থানা পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অঙ্গীকার দিয়েছিল তারা আমাদের জমিতে কখনো যাবে না। আমাদের বাড়ি থেকে জমির দুরত্ব প্রায় বিশ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় আমাদেরকে অসহায় ও দুর্বল ভেবে জমিটা গ্রাস করার জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছে। জমির সাথে এই সমস্ত দখলদার দুর্বৃত্তদের কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই বা পূর্বেও ছিল না। তাদের সাথে কোন প্রকার মামলাও নেই। অথচ তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জোর পূর্বক জমি দখল করতে চাই। জমির তপশীল ও পরিমাণ উল্লেখ করেন – মৌজা ২৬ নং রামনগর, খতিয়ান নম্বর আরএস ১৭২,১৭৩,৩৫২,১২৮৩, দাগ নম্বর ২৯৫৬,৩২৭১,২৯৫৮,২৯৫৬,৩১৫৮ এবং জমির পরিমাণ যথাক্রমে ৪.৫৯ একর, ০.০৮ একর, ০.৩৬ একর, ০. ১৮ একর।

জমিগুলো আসামিদের কবল থেকে মুক্ত করে দিতে সেনা কমান্ডার বরাবর আবেদন করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. খসরু ইসলাম।

জমির মালিক মো. হারেজ উদ্দিন পিতা মৃত হুজুর আলী সাং গাড়াডোব, থানা গাংনী, জেলা মেহেরপুর। জমির পরিমাণ ০৯.১৪ একর। হারেজ উদ্দিন ২০১৮ সলে মৃত্যুবরণ করলে ছেলে খসরু ইসলামসহ হারেজ উদ্দিনের ছয় সন্তান জমির উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক হন।

জমির কাগজপত্র ও দলিলাদি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় – এটি ছিল মূলত বিনিময় সম্পত্তি। গাংনী থানার বামুন্দী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে মৃত আব্দুর রহমান এবং ওনার প্রতিপক্ষ মৃত আবু বকর কারিকর নিজেদের স্বত্ব দাবী করে আলাদা আলাদাভাবে তৎকালীন কুষ্টিয়ার ডিসি’র কাছে বিনিময় দলিল পেশ করেন। দুটি দলিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডিসি সরজমিনে তদন্ত করে আবু বকর কারিকরের দলিল বাতিল করে দেন এবং আব্দুর রহমানের দলিল গ্রহণ করেন ও এর সত্যতার সার্টিফিকেট প্রদান করেন। ১৮,০৩,১৯৭৭ তারিখে জেলা প্রশাসক কর্তৃক বিনিময় নিশ্চিতকরণ ও সত্যতার সার্টিফিকেট প্রদান করেন। ০৮,০৪ ১৯৭৭ তারিখে কুষ্টিয়া ডিসি আব্দুর রহমানের অনুকুলে রেজিস্ট্রি দলিল করে দেন। দলিল নম্বর ৩৯১১। তৎকালীন কুষ্টিয়া ডিসি কর্তৃক দলিল রেজিস্ট্রি দেন যার বিনিময় মিস কেস নম্বও ১০৫(সিএল)৬৬-৬৭।

আবু বকর কারিকর এই দলিলকে চ্যালেঞ্জ করে মেহেরপুর সাব- জজ কোর্টে মামলা করেন ১৯৯৪ সালে। এ মামলায় পরাজিত হয়ে ৯৬ সালে মেহেরপুর জজকোর্টে আপীল করেন। আপীল নম্বর ১৯/১৯৯৬। ২৬/১/২০০৬ তারিখে জেলা জজ, মেহেরপুর কর্তৃক আপীলের চুড়ান্ত রায়ে আবু বকর কারিকর পরাজিত হন। পরবর্তিতে এই জমি নিয়ে আর কোন মামলা মোকদ্দমা হয়নি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মেহেরপুরের অফিসে জমির কাগজপত্র সাবমিট করলে তিনি ২৬/৭/২০১১ তারিখে খাজনা প্রদানের আদেশ দেন। এরপর ১৯৬২ সাল থেকে খাজনা আপ-টু-ডেট করা হয়। বর্তমানে ওয়ারিশগণ খারিজের জন্য অনলাইনে আবেদন খরেছেন এবং তা প্রক্রিয়াধীন আছে।

জমির মালিকের বসবাসের বাড়ি থেকে জমিটি বিশ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় বারবার দখলকারীদের রোষানলে পড়তে হয় মালিকদের। দখলকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট গাংনী থানায় নালিশ করলে ওসি বিষয়টি আমলে নিয়ে তাদের থানাতে হাজির হতে বলে। গত ১০/১০/২০১৮ তারিখে দখলকারী ১৭ জন থানায় হাজির হয়। উভয়ের উপস্থিতিতে আলোচনা শেষে ১৭ জন দখলকারী এই মর্মে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে যে, ভবিষ্যতে আর কখনো জমির উপর যাবে না। তিন’শ টাকার স্ট্যাম্পে এই সমঝোতা স্বাক্ষর হয়। এছাড়াও কোন এক সময় এই দখলকারীরা ইউএনও গাংনী বরাবর একটি আবেদন করেছিল এই জমিটি সরকারি খাসজমি তাই আমরা লিজ নিতে চাই বোলে। কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ইউএনও গাংনী জমির মালিকানা নিশ্চিত করে এবং তাদের দাবী অগ্রাহ্য করে পত্র প্রেরণ করেন। যার স্মারক নং- ০৫.৪৪.৫৭৪৭.০০০.০৪.০১৭.১৯-৮৮৫, তারিখ- ১১/০৭/২০১৯।

কাগজ-পত্র পর্যালোচনায় আরো দেখা যায় দখলদারদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারায় মামলা করেন জমির মালিক হারেজ উদ্দিন। সেই মামলাতেও ০৬/০৪/২০১৬ তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরপুর হারেজ উদ্দিনের পক্ষে রায় ঘোষণা করে। যার মামলা নম্বর- ১৯৬/১৫ (৫২/১২)। উল্লেখ্য রামনগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে এই জমি থেকে হারেজ উদ্দিন ০৭ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, যাদের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ আনা হচ্ছে, মামলা করা হচ্ছে তাদের সাথে এই জমির কোনোই সংশ্লিষ্টতা নেই। এদের সাথে জমি নিয়ে কোনোদিন মামলা ছিল না। এরা সম্পুর্নভাবে তৃতীয় পক্ষ যারা রাজনৈতিক শক্তি দিয়ে জমিগুলো জোর দখল করতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে জোর করে এই জমির উপরে একটি মসজিদও নির্মাণ করে তারা।

হারেজ উদ্দিনের ০৯.১৪ একর জমির মধ্যে থেকে কিছু জমি ক্রয় করে রামনগর গ্রামের ছবদুলের ছেলে ছাদিমান, আনোয়ার, আলতাব এবং ছহিরুদ্দিনের ছেলে শওকত। এরাও কেউ তাদের ক্রয়কৃত জমি ভোগদখল করতে পারে না।
সম্পুর্ন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দুর্বৃত্তরা হারেজ উদ্দিন ও তার উত্তরাধিকারদের নিজ নামিও জমি থেকে ফসল কাটে নেয়া গাছ কেটে নেয়া খড় কেটে নেয়া এবং অবৈধ ভাবে মসজিদ নির্মাণ করে দখলের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে।
৫ আগস্টের পূর্বে দুর্বৃত্তদের নেতৃত্বে ছিলো আওয়ামী লীগের নেতারা। পালাবদলের সাথে সাথে নেতৃত্বে এসেছে বিএনপির নেতারা। কাগজ যার জমি তার আইনে থাকলেও বার-বার সেই জমি থেকে উৎখাত করা হচ্ছে জমির মালিকদের।
রামনগর গ্রামের রহমান আলির ছেলে খলিল জমি দখলকারীদের একজন। তাকে জমি দখলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তার কাছে জমির বৈধ কোনো কাগজপত্র নাই বলেও জানান।

রামনগর গ্রামের সাধারণ মানুষ স্বীকার করেন জমির বৈধ মালিক হারেজ উদ্দিন। গ্রামের কিছু লোক অবৈধভাবে দখল করেছে। হারেজ উদ্দিনের সন্তানরা অত্যন্ত ভদ্র মানুষ। তাদের বারবার এই জমি নিয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তারা তাদের জমি ফেরত পাক এটাই গ্রামবাসীর চাওয়া।

শুরু থেকেই চিহ্নিত ২১ জন দুর্বৃত্ত এই দখলের সাথে জড়িত।

তারা হলেন – রামনগর গ্রামের মরজেত কামারের ছেলে মান্নান, আব্দুল কাদেরের ছেলে স্বপন, আব্দুর রহমানের ছেলে খলিল, গোলাম রসুলের ছেলে আলছাব, মকলেছ আলির ছেলে আশাফুল, মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ছালাম, আফফানের ছেলে ইন্তাজ, আফফানের ছেলে শরিফুল, মৃত আফেল কামারের ছেলে রমজান আলী, আনসার আলী আরোর ছেলে সাজেদুল ইসলাম, নাদের কামারের ছেলে সবকুল, শামছুল হকের ছেলে শিপন আলি, বক্কর আলির ছেলে সুজন আলি, মৃত মরজেত আলীর ছেলে ময়নাল, ময়নাল আলীর ছেলে ইজুল, ছব্দুল শাহর ছেলে কুরবান শাহ, মৃত চমৎকারের ছেলে মহিবুল, মৃত মল্লিক এর ছেলে আফফান, আফফানের ছেলে কুদরত আলী, আফফানের ছেলে সাইদ আলী, আফছারের ছেলে নজিমসহ আরো অনেকে।

এরা সকলেই হারেজ উদ্দিনের জমিতে আর কখনো যাবেনা বলে গাংনী থানায় মুচলেকা দেয়। হারেজ উদ্দিনকে তার জমির দখল থেকে কোনোরূপ উচ্ছেদের চেষ্টা, জুলুম, খবরদারী না করার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে। সূত্র : ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৫ ধারার নোটিশ নম্বর ১৮০/১৬।




গাংনীতে জাভেম মাসুদ মিল্টনের পক্ষে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেয়ায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শিল্পপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের নির্দেশনায় গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির একাংশের উদ্যোগে রবিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশাল আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতশত নেতাকর্মী অংশ নেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান গাড্ডু, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দাল হক, গাংনী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, গাংনী উপজেলা জাসাসের সভাপতি সেলিম রেজা, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব, গাংনী উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, গাংনী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইনামুল হক, গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আলীম মাস্টার, পৌর যুবদলের নেতা আব্দুল গাফ্ফার, ইমন আহম্মেদ, সজিব আহম্মেদ জনি, গাংনী উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রিপন হোসেন, ছাত্রনেতা নাসিম আহমেদসহ বিভিন্ন অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।




গাংনীতে বিএনপির আনন্দ মিছিল ও সমাবেশে সাবেক এমপি আমজাদ

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় আনন্দ মিছিল করেছেন গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি গাংনী উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক বেয়ে হাসপাতাল মোড় ঘুরে আবার একই স্থানে এসে শেষ হয়।

পরে গাংনী বাসস্ট্যান্ড চত্ত্বরে শহীদ আবু সাঈদ চত্তরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, গ্রেনেড হামলাসহ একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতকে ব্যবহার করে জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা। বর্তমানে আদালত ন্যায় বিচার করার ফলে ফ্যাসিস্টদের দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো থেকে খালাস পাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আগামী ৭ দিনের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।

এসময় গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, সাবেক পৌর কমিশনার ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সভাপতি আব্দুল্লাহিল মারুফ পলাশ, গাংনী পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক ইয়ামিন আহমেদ বাবলু, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম কালাম, বিএনপি নেতা আব্দুল গাফফার, সাইফুল ইসলাম, কাজলসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় ট্রেন থামনো ও ষ্টেশনের অবকাঠামো নিমার্নের দাবীতে মানববন্ধন

দর্শনায় ট্রেন থামনো ও দর্শনা রেলওয়ে ষ্টেশনের অবকাঠামো নিমার্নের দাবীতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। আজ রবিবার সকাল ১০টায় দর্শনা প্রেসক্লাবে মানব বন্ধনের প্রস্তুতি বিষয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দর্শনা প্রেসক্লাবের ও দর্শনার জন্য আমরা সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম বাবু।

এসব দাবীর মধ্যে রয়েছে, দর্শনা হল্ট ষ্টেশনে ঢাকাগামী দুইটি ট্রেন আপ ও ডাউনে থামাতে হবে। দর্শনা আর্ন্তজাতিক রেল ষ্টেশন থেকে একটি লোকাল ট্রেন ও একটি ইন্টার সিটি ট্রেন চালু করতে হবে।

এছাড়া দর্শনা আর্ন্তজাতিক রেল ষ্টেশনে একটি কন্টিনিয়ার পোর্ট নিমার্ন করাসহ বেশ কিছু দাবী তুলে ধরা হবে মানব বন্ধনে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দাবী নিয়ে আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল উদ্দীন, আব্দুল হানান, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক নাহারুল ইসলাম, দর্শনা পৌর আমির সাইকুল আলম অপু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সমন্বয়ক সোহানুর রহমান, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম,দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব মামুন ও দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক জাহান আলী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল।




আলমডাঙ্গায় দুই শিক্ষক বহিষ্কার

আলমডাঙ্গা উপজেলায় অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে দুই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। গতকাল শনিবার দুপুরে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ জরুরী বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেন।

বহিষ্কৃত শিক্ষকরা হলেন-উপজেলার শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোলাইমান হক ও পৌর এলাকার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাফিউন নেছা।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, দুই শিক্ষক কিছুদিন ধরে সম্পর্কের জেরে পরিবারকে ফাঁকি দিয়ে গোপনে মাঝেমধ্যেই দেখা সাক্ষাৎ করে আসছিলেন। শিক্ষক নাফিউন নেছার স্বামী হাটবোয়ালিয়া স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মনিরুজ্জামান বিষয়টি জেনে গেলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিপত্তি বাঁধে। এই ঘটনার জের তিন শিক্ষকের পরিবারের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে স্বামী মনিরুজ্জামানের পক্ষের লোকজন সোলাইমান হকের শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও চড়াও হন। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসানউদ্দৌলা মিলন বলেন, স্কুল চলাকালীন চার মোটরসাইকেলে আটজন যুবক স্কুলে এসে সোলাইমানকে খুঁজতে থাকে। তারা স্ত্রী সন্তান থাকা সোলাইমানের বিরুদ্ধে অন্যের স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে তুলে হট্টগোলের চেষ্টা করেন। এসময় তিনি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারকে উদ্ভুত ঘটনা অবহিত করেন। পুলিশকেও জানান।

পরে শিক্ষা কর্মকর্তা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

ঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। সহকারী শিক্ষক নাফিউন নেছার স্বামী মনিরুজ্জামান উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কাছেও পারিবারিক অশান্তির অভিযোগ দেন। শেষ পর্যন্ত শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ সহকারী শিক্ষক নাজিউন নেছা ও সোলাইমান হকের সমিতির সদস্য পদ সাময়িক স্থগিত করেন।




মেহেরপুরে ইয়ারুল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

মেহেরপুরে ইয়ারুল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে দ্বিতীয় তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (১ডিসেম্বর) রাত দশটার সময় মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থিত কাজী মার্কেটে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়।

ইয়ারুল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক ইয়ারুল ইসলামের উপস্থাপনায় এই সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌর বিএনপি সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, পৌর বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান রিটন, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু, ম্যানেজার লিমন, উজ্জল জিন্না, খুবির, বাবুল, বাদল মামুন, হাফেজ, মাইনুল, হুজাইফা, নাসির, তুহিন, সালাম, মোজাম, জাকির, কদম, প্রমুখ।




মেহেরপুরে জেলা বিএনপি’র একাংশের আনন্দ মিছিল

মেহেরপুরে জেলা বিএনপি’র একাংশের আয়োজনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খালাস পাওয়ার আনন্দে মিছিলের আয়োজন করে।

আজ রবিবার (০১ ডিসেম্বর ) রাতে মেহেরপুর বড় বাজার বিএনপি’র কার্যালয় থেকে আনন্দ র‍্যালি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলমগীর খাঁন ছাতুর নেতৃত্বে এই আনন্দ মিছিলে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওমর ফারুক লিটন, যুগ্ন সম্পাদক ফয়েজ মোহাম্মদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান মেনন, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আনিসুল হক লাভলু, জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক নজরুল ইসলাম, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি সহ বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে সড়ক দূর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রের প্রাণহানি

মেহেরপুরের গাংনীতে দ্রুত গতিতে মটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণ হারালো সজিব হোসেন (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্র।

সজিব হোসেন গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের বর্ডারপাড়া এলাকার ফুলবাস হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র।

আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে ধলা-তেঁতুলবাড়িয়া সংযোগ সড়কের মাঠের মাঝখানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বানী ইসরাইল বলেন, নিহত সজিব হোসেন ধলা গ্রাম থেকে মেসিনের খুচরা যন্ত্রাংশ কিনে মোটরসাইকেল যোগে নিজ গ্রাম তেঁতুলবাড়িয়াতে ফিরছিলেন। গতি বেশী থাকায় দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় গিয়ে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃতু ঘোষণা করেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার চিকিৎসক সীমা বিশ্বাস জানান, নিহতকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিহতের মরদেহ থানায় নেওয়া হয়েছে।