বিতর্কিত গোলে হারলো ভারত

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে রাউন্ড-২ এর ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে মাঠে নামে ভারত। পরের রাউন্ডে যেতে এই ম্যাচ জয় প্রয়োজন ছিল ভারতের। তবে বিতর্কিত এক গোলে ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত। সেইসঙ্গে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ ইগর স্টিমাচের শিষ্যদের।

ম্যাচের শুরু থেকে ভারতের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে কাতার। তবে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নেয় ভারত। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে গোলের দেখা পায় ভারত। লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের করা গোলে লিড নেয় ভারত। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ভারত।

বিরতি থেকে ফিরে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে কাতার। তবে আক্রমণে আটকে যায় ভারতীয় ডিফেন্সে। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে গোল শোধ করে কাতার। এই গোল নিয়েই দেখা দেয় বিতর্ক।

বল গোল পোস্টের পাশ দিয়ে বাইরে চলে যায়। তবে কাতারের আল হাসান সেই বল মাঠে ঢুকিয়ে দিলে সেখান থেকে গোল করেন ইউসুফ আয়মান। এরপর ভারতের ফুটবলাররা রেফারির কাছে অভিযোগ করেন। তবে তা নাকচ করে দেন রেফারি।

এরপর ম্যাচের ৮৬ মিনিটে আহমেদ আল রাউইয়ি গোল করে লিড এনে দেন কাতারকে। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইগোর স্টিমাচের শিষ্যরা।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়নে দুঃস্থদের মাঝে চাউল বিতরণ

দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরিব, দুঃস্থ, অসহায় মানুষের মাঝে ১০ কেজি করে বিনামূল্যে চাউল বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকাল ৯ টার সময় দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে, পরিষদ চত্বরে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে চাউল বিতরণ করা হয়।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রতিটি গরিব অসহায় দুঃস্থ মানুষ যেন ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য সারা দেশের ন্যায় দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি বিনামূল্যে ২৬শ ১৬ জন অসহায় দুঃস্থদের মাঝে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খোকন ও হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নাঈম উদ্দিন , ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম, আ: হান্নান পটু, শাহজামাল, রিকাত আলী, জাহাঙ্গীর আলম টিক্কা, আব্দুল হান্নান , আব্দুল্লাহ সেলিম, সাবিনা ইয়াসমিন, রওশনারা খাতুন, রহিমা খাতুনসহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




বামন্দীতে ক্লিনিক মালিককে এক বছর কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

ক্লিনিকের নানা অনিয়ম ও জণগনের ক্ষতি হবে জেনেও সেটি করার অপরাধে মেহেরপুরে এক ক্লিনিক মালিককে জেল ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

দন্ডিত ওই ক্লিনিক মালিকের নাম সাইদুল ইসলাম ওরফে বিদ্যুৎ। তিনি গাংনী উপজেলার বামন্দী করবি এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও আওয়ামীলীগ নেতা হাজী ইছার উদ্দীনের ছেলে।

ক্লিনিক মালিক সাইদুল ইসলাম বিদ্যুৎ এর আগেও ভূঁয়া প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণা মামলায় দীর্ঘদিন স্বস্ত্রীক জেল খেটেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে জেল ও জরিমানা আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম এই দণ্ডাদেশ দেন।

এসময় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডাক্তার সুপ্রভা রানী উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামীম জানান, জণগনের ক্ষতি হবে জেনেও সেটি করার অপরাধে “ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় করবি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক জাহিদুল ইসলাম ওরফে বিদ্যুৎকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে তাকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে দুপুরের দিকে এ উপজেলার কল্যাপুর গ্রামের কালিতলা পাড়া এলাকার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী পিংকু হোসেনের স্ত্রী রিভা খাতুনকে সিজারিয়ান অপারেশন করার সময় নবজাতকটি ওটি কক্ষেই মারা যায়। রিভা খাতুন প্রসব বেদনা নিয়ে সকালের দিকে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানান করবি ক্লিনিকের স্যাকমো মিলন আলী।

স্যাকমো মিলন বলেন, সকালে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হলেও দুপুর পর্যন্ত ডাক্তার পাওয়া যায়নি। এই ৬ ঘন্টা তাকে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা চালানো হয়েছিল। দুপর দেড়টার দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বোধা দীপ্ত দাস পিকলু (বিডি দাশ) সিজার করেন। এসময় কোনো এনসথেসিয়া ছিলেন না। বিডি দাশ একাই সিজার করেন বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাচ্চা অ্যাবসট্রাক্টেড লেবার (বাচ্চা আটকে যাওয়া) গিয়ে মারা গেছে নবজাতকটি।

এদিকে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন সিজারিয়ান অপারেশন করার পরপরই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। নবজাতকের মৃত্যুর পরপরই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ তড়িঘড়ি করে রোগী ও মৃতু নবজাতককে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় রোগীর স্বজনরা ওই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অবস্থান নেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান গাংনী উপজেলা সরকারি কমিশনার ভূমি নাদির হোসেন শামীম ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুপ্রভা রানী। ক্লিনিকে গিয়ে নানা অনিয়ম ও ক্লিনিকটির কোনো কাগজপত্র সঠিক না পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বোধা দীপ্ত দাসের (বিডি দাস) মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তার ফোনটি খোলা পাওয়া যায়নি।

তবে, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রানী জানান, চিকিৎসক আসার অজুহাতে ওই সিজারিয়ান রোগীকে প্রায় ছয় ঘণ্টা ক্লিনিকে আটকে রাখার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি।

এছাড়া ক্লিনিকটির বৈধ কোনো কাগজপত্রও পাওয়া যায়নি। মান্ধাতা আমলের পুরানো লক্কর ঝক্কর যন্ত্রপাতি ও নিম্নমানের সার্জারি ইকুপ্টমেন্ট দিয়ে রোগী সিজার করা হয়েছে। যে কারণে একটি ফুটফুটে সুন্দর শিশু প্রাণ হারিয়েছে।

সরেজমিনে ক্লিনিকটিতে দেখা গেছে, এখানে একজন মেডিকেল অফিসার দিয়ে সার্বক্ষনিক সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে কোনো মেডিকেল অফিসার নেই। এখানে নেই কোনো ডিপ্লোমা করা সিস্টার। ওটি রুমে দেখা গেছে মান্ধাতা আমলের লক্কর ঝক্কর মার্কা পুরানো যন্ত্রপাতি। ছোট ছোট রুমেই গাঁদাগাদি ঠাঁসা ঠাসি করে দেওয়া হয়েছে দুইটি আবার তিনটি করে বেড। পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়া বা অন্যান্য জনবল নেই ক্লিনিটিতে।

এদিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর মেডিকেল অফিসার বোধা দীপ্ত দাস পিকলু (বিডি দাস) বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালের ১২ জুলাই রাতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আবুরী এলাকা থেকে ডাঃ বোধা দীপ্ত দাস পিকলু (বিডি দাস) সহ ৪ জনকে আটক করার খবর প্রকাশ হয়েছিল পত্রিকায়। একটি স্থানীয় পত্রিকায় চিকিৎসক বিডি দাসের বিরুদ্ধে মাদককান্ড নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছি। তবে পুলিশ তাঁকে অজ্ঞাত কারনে ছেড়েও দিয়েছিল বলে ওই পত্রিকাটি খবর দিয়েছিল।

এদিকে ওই নবজাতকের মৃত্যু ও ক্লিনিকটিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পরপরই ডাক্তার বোধা দীপ্ত দাস পিকলু (বিডি দাস) গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।




টাইলস মিস্ত্রি আলমগীরের বাড়িতে শোকের মাতম

স্ত্রী শর্মিলা খাতুনের এখন আর নতুন কাপড়ের আশায় নয়, প্রতীক্ষা করছেন স্বামীর লাশের। ঈদের নতুন জামা কাপড়ের জন্য আর অপেক্ষায় থাকবেনা আরাফাত আলী ও সাব্বির হোসেন। এখন শুধু পরিবার জুড়েই শোকে মাতম।

আর মাত্র কয়েকদিন কাজ করেই একবারে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার কথা টাইলস মিস্ত্রি আলমগীর হোসেনের (৩৮)। তার আগেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে চিরতরের জন্য ছুটি নিলেন তিনি।

ঢাকার আগারগাঁও এলাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতাল বহুতল ভবনের লিফটের নবম তলার সিলিং এর কাজ করার সময় অসাবধানতা বসত বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান তিনি।

আলমগীরের চাচা রবিউল ইসলাম রবি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, করিম গ্রুপের কাছ থেকে কাজটি সাব কন্ট্রাক্ট নেন আমার বড় ভাই শফিকুল ইসলাম। আমার আরেক ভাই মাহাতব উদ্দীনের ছেলে আলমগীর হোসেনসহ বেশ কয়েকজন গতকাল সোমবার বিকালে ওই ভবনের টাইলসের কাজ করছিলেন। হঠাৎ অসাবধানতা বসত বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যায় সে। স্থানীয় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। এছাড়া তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে আজ মঙ্গলবার বিকালে বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে রওনা হয়েছে।

এদিকে আলমগীর হোসেনের বাড়ি গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে পরিবারের সকলেই শোকার্ত। স্ত্রী শর্মিলা খাতুন তার বড় ছেলে আরাফাত আলী (১৪) সাব্বির হোসেন(৪) নিয়ে স্বামীর লাশের জন্য অপেক্ষা করছেন। শর্মিলা খাতুন বলেন, মরার কিছুক্ষণ আগে তার সাথে আমার মোবাইল ফোনে কথা হয়। আমাকে বলেছিলো একবারে ঈদের ছুটি নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরবো। তোমার জন্য শাড়ি ও ছেলে মেয়েদের জন্য ঈদের সব পোশাক কিনে আনবো। আমি এখন আর শাড়ি চাইনা। বড় ছেলে আরাফাত হোসেন বলে, আগের দিন আব্বুর সাথে কথা হয়েছে। আমার কি কি লাগবে জানতে চেয়েছিল। আমার কিছু জামা কাপড় আনার কথা বলেছিলাম আব্বুকে। শুধু তার পরিবারই নয় তার পাড়ার সকলেই শোকার্ত আলমগীর হোসেনের মৃত্যুর সংবাদে।

উল্লেখ্য, গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মাহাতাব উদ্দীনের ছেলে আলমগীর হোসেন ঢাকার নিউরোসাইন্স হাসপাতালের নির্মাণাধীণ বহুতল ভবনের টাইলস মিস্ত্রির কাজ করছিলেন। অসাবধানতাবসত বিদ্যুৎপৃস্ট হয়ে মারা যান তিনি।

পারিবারিকভাবে নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিকভাবে জানা গেছে।




মুজিবনগরে কৃষি মেলার উদ্বোধন ও র‍্যালি

কৃষিই সমৃদ্ধি এ এই প্রতিপাদ্যে মুজিবনগরে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩ দিন ব্যাপি কৃষি মেলা ২০২৪ এর উদ্বোধন ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত কৃষি মেলা মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন, উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধন ও র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান রাজিব মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তকলিমা খাতুন, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা তহমিনা খাতুন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমাম হোসেন ইমন সহ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও সাধারণ কৃষকবৃন্দ।

উদ্বোধন ও রেলি শেষে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ মেলা অবস্থিত দশটি স্টল ঘুরে দেখেন।

কৃষি মেলা ২০২৪ এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অফিসার আব্দুল মোমিন।




 অতিরিক্ত লবণ ক্ষতির কারণ

পরিমাণমত লবণ খাবারের স্বাদকে বাড়িয়ে তোলে। খাবারে লবণ কম বা বেশি হলে স্বাদ নষ্ট হয়। তবে অনেকেই ভাতের সঙ্গে কাঁচা লবণ খেতে পছন্দ করেন, অনেকে আবার তরকারি রান্নার সময়ও প্রয়োজনের থেকে একটু বেশি লবণ ব্যবহার করেন। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

পুষ্টিবিদদের মতে, অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কিছু খারাপ দিক রয়েছে। কারণ লবণের একটি উপাদান হচ্ছে সোডিয়াম। যেটি অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করলে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

খাবার লবণ হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড। প্রতিদিন সোডিয়াম ক্লোরাইড গ্রহণের মাত্রা ২ হাজার ৪০০ মিলিগ্রামের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে, লবণের হিসেবে ৬ গ্রাম বা ১ চা চামচের সমান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় সব মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ করে থাকে। পূর্ণ বয়স্ক একজন মানুষ দিনে প্রায় ৪৩১০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম গ্রহণ করে। যা ডাব্লিউএইচও নির্ধারিত মাত্রার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

১১ বছর ও এর বেশি- ৬ গ্ৰাম, ৭-১০ বছর- ৫ গ্ৰাম, ৪-৬ বছর – ‌৩ গ্ৰাম, ১-৩ বছর -২ গ্ৰাম এর বেশি খাওয়া লবণ খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া যাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ আছে তাদের খাবারে লবণের পরিমাণ কমবেশি হলে অবস্থার অবনতি হতে পারে। চলুন জেনে নিই অতিরিক্ত লবণ যেসব ক্ষতি করে:

রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে
যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা লবণ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে দেখা দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপ। এর কারণ হল, সোডিয়াম-জাতীয় খাবার রক্তের চাপ বাড়ায়। ফলে ধনীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রক্ত প্রবাহিত হয়। সেইসঙ্গে এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনির সমস্যার ঝুঁকি। যাদের উচ্চ রক্তচাপ নেই তারাও অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করে
বেশি লবণ খেলে কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। কিডনি ভালো না থাকলে তার প্রভাব পড়বে পুরো শরীরেই। তাই সময় থাকতে সতর্ক হোন।

পানির পিপাসা
অতিরিক্ত লবণ-জাতীয় খাবার খাওয়া মুখ শুষ্ক করে ফেলে। তাই তেষ্টা বৃদ্ধি পায়। এর কারণ হল, দেহ সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে পানির ঘাটতি অনুভব করে। শুধু নোনতা খাবার খাওয়াই না বরং লবণ ও গরম পানি দিয়ে ‘গারগল’ করা হলেও কয়েক মিনিট পরে মুখে শুষ্ক অনুভব হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরের আমঝুপি ইউনিয়নে অভিভাবক ও মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন, মান সম্মত শিক্ষা ও ঝরে পড়া রোধকল্পে শিশুদের বিদ্যালয়ে আনন্দ মুখর ও অনিয়মিত দুর করতে এবং বাল্যবিবাহ এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের ময়ামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক ও মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের মায়েদের নিয়ে অভিভাবক ও মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উক্ত বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোকলেচুর রহমান (লাল্টু)।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, জন প্রতিনিধি, এস এম সি ও ওয়াচ গ্রুপ, যুব ফোরাম সহ অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অভিভাবকদের দায়-দায়িত্ব ও করণীয়, বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং প্রতিরোধে আলোচনা রাখেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা। এছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহা: ওয়াহেদুল ইসলাম, এস.এম.সি সভাপতি মো: মকলেচুর রহমান ও যুব ফোরামের সদস্যগণ গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য রাখেন।

গণসাক্ষরতা অভিযান এর সহযোগীতায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) ও কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অভিভাবক সহ ৬০ জন উপস্থিত ছিলেন সঞ্চারনায় ছিলেন মানবাধীকার কর্মী মোছা: কাজল রেখা।




হোয়াটসঅ্যাপে এআই দিয়ে বানানো যাবে ছবি

ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরো ভালো করতে একের পর এক ফিচার নিয়ে আসছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। এই প্ল্যাটফর্মে প্রযুক্তির অন্যতম সেরা আবিষ্কার এআই বহুদিন আগেই যুক্ত হয়েছে। তবে এবার এর সক্ষমতা আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মটি। শিগগির নতুন এআই ফিচার যুক্ত হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে। এটি হলো এআই দিয়ে ছবি তৈরি করার ক্ষমতা। এখন এই মেসেজিং অ্যাপটি আমাদের এই এআই-জেনারেট করা ছবি তৈরি করার একটি সহজ উপায় আনতে চলেছে।

এআই-চালিত ছবিগুলো হোয়াটসঅ্যাপে শর্টকাটেই করা যাবে। আসন্ন ফিচারের বিশদ বিবরণ ওয়েবিটাইনফো তার সর্বশেষ পোস্টে হাইলাইট করেছে। টিপস্টার নিশ্চিত করেছে যে, এই অপশনটি শুধু নির্বাচিত পরীক্ষকদের জন্য উপলব্ধ যারা এরইমধ্যে মেটা এআই চ্যাটবটে অ্যাক্সেস পেয়েছেন। এপ্রিল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহারকারীদের জন্য লামা-চালিত এআই চ্যাটবট কি অফার করেছে।

একাধিক ব্যবহারকারী তাদের হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট ফিডে প্রদর্শিত মেটা এআই চ্যাটবট সম্পর্কে আপডেট শেয়ার করেছেন, এআই-চালিত ছবি তৈরির জন্য নতুন শর্টকাট হিসেবে, হোয়াটসঅ্যাপ ইমাজিন নামক চ্যাট অ্যাটাচমেন্ট বক্সের মধ্যে মেটা এআই আইকন যুক্ত করছে। এটিতে প্রেস করলে মেটা এআই চ্যাট বক্সটি উপস্থিত হবে এবং ব্যবহারকারীকে প্রম্পট লিখতে বলবে যার ভিত্তিতে ব্যবহারকারী এআই ইমেজ তৈরি করতে চান।

বর্তমানে এই ফিচার নিয়ে কাজ করছে মেটা এআই। তবে অ্যান্ড্রয়েডের নির্বাচিত বিটা টেস্টাররা এরই মধ্যে এআই জেনারেটেড প্রোফাইল ফটো ফিচার ব্যবহার করছেন। খুব শিগগির সব ব্যবহারকারীরা এই ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন।

মূলত বিটা ভার্সনের হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে এআই এনেবল ফিচার নামে একটি নতুন বিভাগ রয়েছে। সেখানেই এআই প্রোফাইল পিকচার তৈরি করা যায়। ব্যবহারকারীর বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে যে কোনো ধরনের ছবি তৈরি করে এআই টুল।

এআই জেনারেটেড প্রোফাইল ফটো ফিচার ব্যবহারকারীর সামনে অসংখ্য বিকল্প নিয়ে আসছে। যে রকম খুশি প্রোফাইল ফটো তৈরি করা যাবে। আবার যেসব ব্যবহারকারী প্রোফাইলে আসল ছবি দিতে চান না তাদের জন্য এটি একেবারে সেরা। এআই জেনারেটেড বা কৃত্রিমভাবে তৈরি ছবিগুলোকে প্রোফাইল ফটো হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন তারা।

হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএবেটা ইনফো জানিয়েছে, বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের বেটা সংস্করণ ব্যবহারকারীরা পরীক্ষামূলকভাবে এ সুবিধা পরখ করার সুযোগ পাচ্ছেন। নতুন এ সুবিধার একটি স্ক্রিনশটও প্রকাশ করেছে ডব্লিউএবেটা ইনফো। ছবিতে দেখা গেছে, হোয়াটসঅ্যাপের নির্দিষ্ট ‘টেক্সটবক্স’-এ নিজেদের পছন্দমতো ছবির বর্ণনা লিখলেই সে অনুযায়ী ছবি তৈরি করে দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ফলে নিজের ছবি প্রকাশ না করেই চেহারার আদলে তৈরি ছবি হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলে ব্যবহার করা যাচ্ছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ২২৯ ঘরের উদ্বোধন 

আশ্রয়ন প্রকল্পে উপহারস্বরুপ ঘরের শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সারা বাংলাদেশে ১৮৫৬৬ টি ভূমিহীন পরিবারের এর মাঝে পাকা ঘর ও জমি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেহেরপুর জেলার ২২৯ টি ঘরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর অডিটোরিয়ামে।

আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান, পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ভুইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সময় জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

গণভবনে আয়োজিত দেশব্যাপী হস্তান্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন ঘোষণা শেষে একযোগে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের মাঝে দলিল, ঘরের চাবি ও অন্যান্য কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য মেহেরপুর জেলায় ২২৯টি ঘরের মধ্যে ৭৫ টি ভূমিহীন পরিবার পেয়েছে উপহারের নতুন ঘর। বাকিরা ইতিপূর্বে নির্মিত ঘরগুলো ভেঙে নতুন ঘরের পুনরনির্মাণ করা হয়েছে।




কোকের বিজ্ঞাপন করে ক্ষমা চাইলেন শিমুল

কোমল পানীয় কোকাকোলার বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সমালোচিত হচ্ছেন অভিনেতা শিমুল শর্মা। এই সমালোচনা ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লাগায় ক্ষমা চেয়েছেন ব্যাচেলর পয়েন্ট অভিনেতা।

সোমবার সকাল থেকেই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে তুমুল আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বিজ্ঞাপনের শেষ সংলাপটি হলো একটা চুমুক দেন- তারপর সার্চ দেন। অর্থাৎ গুজবে কান না দিয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখুন-এমনই বক্তব্য।

এরপরই নেটিজেনদের সমালোচনার কবলে পড়ে বিজ্ঞাপনটি। ফলে বিজ্ঞাপনের মডেল শিমুল শর্মা নেটিজেনদের অনুভূতিকে গুরুত্ব দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।

পোস্টে শিমুল বলেন, আমি শিমুল শর্মা। যদি ও পরিচয় দেবার মতো একজন অভিনেতা এখনো হয়ে উঠতে পারিনি কারণ একজন অভিনেতা হবার জন্য যে অধ্যাবসায় এবং দূরদর্শিতা দরকার সেটা এখনো আমার হয়ে উঠেনি, আমি চেষ্টা করছি মাত্র। তাই হয়তো না বুঝে করা আমার কাজ আজ আমার দর্শক, তথা আমার পরিবার ও দেশের মানুষকে কষ্ট দিয়েছে।

তিনি বলেন, আর আমি ভবিষ্যতে কোনও কাজে অভিনয় করতে গেলে অবশ্যই আমাদের দেশের মূল্যবোধ, মানবাধিকার, মানুষের মনোভাবকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে বিবেচনা করে তারপর কাজ করবো।

আমি মাত্র আমার জীবনের পথচলা শুরু করেছি, আমার এই পথচলায় ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমাকে ভবিষ্যতে একজন বিবেকবান শিল্পী হয়ে ওঠার জন্য শুভ কামনায় রাখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

কোকাকোলা ইসরায়েলের একটি কোম্পানি-এমন একটি প্রচলিত কথা দেশের সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে কোকাকোলা বাংলাদেশ নানাভাবেই বোঝাতে চেয়েছে এটা ইসরায়েলি কোম্পানি নয়। বাংলাদেশের কোকাকোলা বাংলাদেশেই তৈরি হয়।

তবে এতে কোকাকোলা উল্লেখযোগ্যভাবে সফল হয়নি, হতে পারেনি। এবার সরাসরি কোকাকোলা কোম্পানি বিজ্ঞাপন বানাল, যেখানে স্পষ্ট করে বলে দিলো কোকাকোলা ১৯৩ টি দেশে তৈরি হয় এবং ফিলিস্তিনেও কোকের ফ্যাক্টরি রয়েছে। ইসরায়েলি কোম্পানি নামে যে কথা প্রচলিত রয়েছে তা একেবারে গুজব।

সূত্র: ইত্তেফাক