আর কত বয়স হলে আব্দুর রব পাবে বয়স্ক ভাতা!

যাত্রাশিল্পী আব্দুর রব এখন বেকার, সম্পূর্ণ বেকার। বয়স্ক ভাতা পেতে সমাজ সেবায় আবেদন করেছিলেন বছর খানেক আগে। এখনও ভাতা পেতে তালিকায় নাম উঠেনি। ভাতা পাবার জন্য অনেকের দারস্থ হচ্ছেন।

আশির দশকের যাত্রামঞ্চের চূড়ামনি, মঞ্চমাতানো ডার্ক-হিরোর এখন আর কোনো কাজ নেই। পেশাদারি ও অ্যামেচার মঞ্চ যিনি এক সময় দাঁপিয়ে বেড়িয়েছেন, সেই তিনি-ই কোনো রঙ্গমঞ্চে পা দেবার শক্তি হারিয়েছেন। রোগশোকে হারিয়েছেন কর্মশক্তি। শহরের হোটেল বাজারের মৌসুমী টেইলার্সেও আর বসেন না। প্রয়াত স্ত্রী আর যাত্রার আলোকোজ্জ্বল রঙ্গমঞ্চ ও দর্শকদের ভালবাসার স্মৃতি তার বড় সম্বল। তার শরীরে বাসা বেঁধেছে বার্ধক্যজনিত রোগ। সেসব রোগের চিকিৎসার আর্থিক প্রয়োজনে তাকে স্বজনদের কাছে হাত পাততে হয়।

প্রতিদিন সকাল হলেই অসুস্থ শরীর নিয়ে লাঠিতে ভর করে শহরের পরিচিত স্বজনদের কাছে ছুটে যান। সেসব স্বজনদের দেয়া সহায়তায় ওষুধ কিনে থানা সড়কে মুখার্জি পাড়ার বাড়িতে ফেরেন। তিন সন্তানের পিতা রব। দুই ছেলে পৃথক। ছোট ছেলে তার সাথে। সেই ছেলে শহরের হোটেল বাজারে রাস্তার পাশে চা স্টলের উপর্জনে চলে চার সদস্যের সংসার চালাতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়।

আব্দুর রব শহরের হোটেল বাজারে একটি ফার্মেসীর পাশে বসেছিলেন ওষুধ কেনার সহায়তা পেতে। কেমন আছেন জানতে চাইলে এই অভিনেতার চোখ দিয়ে পানি ঝরতে শুরু করে। এক সময় যাত্রামঞ্চেও চোখে পানি ঝরেছে। সে পানি কৃত্রিম। তিনি বলেন- “অভিনয় জীবনে সংসার, সমাজ, দেশের দুঃসাশনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি। আজ নিজ জীবনের হিসাব মেলাবার চেষ্টা করছি হাত পেতে। জেলা সমাজসেবা অফিসে দুস্থ ভাতার জন্য এক বছর আগে আবেদন করেছিলাম। এখনও কোন সাড়া পা্ইনি।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন- দুস্থ যাত্রাশিল্পী হিসেবে বার্ষিক সহায়তা করা হয়।
মেহেরপুরের যাত্রাশিল্পের পরম্পরায় এক অনিবার্য নাম আব্দুর রব। যাত্রাশিল্পকে মেহেরপুরের সর্বস্তরের মানুষের কাছে জনপ্রিয় করতে কৈশোর থেকে কাজ করেছেন তিনি। বিরল এই অভিনেতা বহু পালায় নির্দেশক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। শারীরীক কারণে যাত্রার আসর ছেড়েছেন প্রায় দেড় দশক আগে, তারপরও যাত্রাশিল্পী হিসেবে তার নাম আজও এ জনপদের মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

বিশ শতকের আশির দশক পর্যন্ত আব্দুর রব নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন কখনও অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে, কখনও-বা যাত্রা সংগঠক হিসেবে। তিনি নিজগ্রাম ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার পাটিকাবাড়িতে একটি নাট্যসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। খ্যাতিমান অভিনেতারা সেই দলে অভিনয় করতেন।

আব্দুর রবের জন্ম ১৯৫২ সালে মুর্শিদাবাদ জেলার পাটিকাবাড়ি গ্রামে। তার বাবার নাম আহসান নবী, মাতা ছুরাতন বিবি। ১৯৬৯ সালে তার পরিবার মেহেরপুর শহরের মুখার্জি পাড়ায় স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে। জীবিকা হিসেবে বেছে নেন দর্জির কাজ। কৈশোর থেকেই তিনি সংস্কৃতিমনস্ক ও যাত্রামোদী। যাত্রাগানের আলোক-উজ্জ্বল রঙ্গমঞ্চ, সাজঘর, যাত্রাপালার অতিনাটকীয় সংলাপ আর অর্কেস্ট্রাদলের সুরমুর্ছনা তাকে মুগ্ধ, বিহবল ও আলোড়িত করত বেশি। যেখানেই যাত্রার আসর, সেখানেই তিনি বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে হাজির হতেন। একটি পয়সা দাও, কলংকিনি বধূ, এক মুঠো অন্ন চাই, ময়লা কাগজ, নাচমহল, কোহিনূর, অশ্রু দিয়ে লেখা, রক্তে রোয়া ধান, অচল পয়সা, অনুসন্ধান, দেবী সুলতানা প্রভৃতি যাত্রাপালায় অভিনয় করে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন।




মেহেরপুরে যুব মহিলা লীগের ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে মেহেরপুরে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা যুব মহিলা লীগ আয়োজনে শনিবার (৬ জুলাই ) দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাসভবনের সামনে এ আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি।

জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রুতশোভা মন্ডলের সভাপতিত্বে এসময় সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লতিফুননেসা লতা, মুজিবনগর উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তকলিমা খাতুন, পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা কামাল রুনুসহ জেলা যুব মহিলা লীগের অন্যান্য সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।




কোটচাঁদপুরে চুরির অভিযোগ এনে ছাত্রদের মারপিট

চুরির অভিযোগে এনে ছাত্রদের মারপিট করেছেন কোটচাঁদপুরের কাগমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই অভিযোগে তদন্তে যান সংশ্লিষ্টরা। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে শোকজের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম।

ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান বলেন, গত বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে যাবার পর স্যার আমাকে ডেকে ওনার রুমে নিয়ে যান। এরপর জিজ্ঞাসা করেন গ্রীল চুরির কথা। আমি স্যারকে বলি আমি চুরি করিনি। কে করেছেন তাও জানিনা। এরপর স্যার আমাকে ও ইয়ামিনকে হাতের স্কেল দিয়ে মারতে থাকে। এ সময় আমাদের মার দেখে পালিয়ে যান সোহাগ হোসেন।

এ ব্যাপারে সোহাগ হোসেন বলেন, ৫০ কেজি ওজনের গ্রীল কি আমরা তিন জন নিতে পারি। স্যার আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। ওই ছাত্র বলেন,স্যার যখন আমিনুর ও ইয়ামিনকে মারছিল, আমি তখন ভয়ে পালিয়ে যায়।

ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র আমিনুর রহমানের পিতা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ওই সময় বাড়িতে কাজ করছিলাম। বিদ্যালয় থেকে খবর পেলাম প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম আমার ছেলে মারধার করছেন। এ সময় আমি বিদ্যালয়ে ছুটে যায়। ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করি ছেলেকে মারার কারন। এতে করে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকেও গলা ধরে ধাক্কা দেন। গালি দেন খারাপ ভাষায়।

এরপর জানতে পারি ওই শিক্ষক আমার ছেলেকে চুরির অভিযোগে মারধর করেছেন। পরে বিষয়টি আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।

ওই অভিযোগের পেক্ষিতে ওনারা আজ বিদ্যালয়ে এসে অভিভাবকদের ডেকে সভা করেন। এরপর উভয় পক্ষের কাছে শুনে স্যারকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন।

কাগমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক( ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহিম বলেন,কারা চুরি করেছে, সেটা আমি দেখিনি। তবে শুনেছি তারাই ছাদে উঠেছিল।

তিনি বলেন, আমি তাদের মেরেছি, তবে ওভাবে মারিনি। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তবে তাদের মারাটা আমার ঠিক হয়নি। আমি ওই সমস্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের নিকট ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।

কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম বলেন, ওই শিক্ষক ছাত্রদের মারপিট করেছেন। তবে অভিভাবকরা যেমন ভাবে বলছেন, তেমন ভাবে মারেনি জানান ওই প্রধান শিক্ষক ।

তিনি বলেন, অভিভাবকদের অভিযোগের পেক্ষিতে তদন্তে গিয়েছিলাম কাগমারি স্কুলে। ওই ছাত্রকে মারার ঘটনায় শিক্ষকে শোকজ নোটিশ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।




নিয়োগ দিবে মিনিস্টার হাইটেক পার্ক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মিনিস্টার হাই টেক পার্ক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির সার্ভিস বিভাগ অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। ০৪ জুলাই থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও মোবাইল বিল, টি/এ, প্রভিডেন্ট ফান্ড, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে দুইটি উৎসব বোনাসসহ প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার

পদসংখ্যা

০১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য যোগ্যতা

ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি। ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি/গৃহস্থালী যন্ত্রপাতিতে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

অভিজ্ঞতা

কমপক্ষে ৩ বছর।

কর্মক্ষেত্র

অফিসে

বয়সসীমা

২৫ থেকে ৩৫ বছর।

কর্মস্থল

দেশের যেকোনো জায়গায়

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদনের শেষ সময়

২৩ জুলাই ২০২৪।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক




অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীতে মঞ্চ কাঁপালেন জাস্টিন বিবার

ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট সাত পাকে বাঁধা পড়বেন আগামী ১২ জুলাই। ইতোমধ্যেই মুম্বাইয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের শেষ পর্যায়ের অনুষ্ঠান। শুক্রবার অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীতের মঞ্চ কাঁপালেন জনপ্রিয় পপ তারকা জাস্টিন বিবার।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাদা স্যান্ডো গেঞ্জির উপরে জ্যাকেট, প্যান্ট, বুট এবং টুপি পরে জাস্টিন বিবারের পারফরম্যান্সে অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীত অনুষ্ঠান যেন আরও জমকালো হয়ে উঠেছিলো।

বিবার তার ‘লাভ ইওরসেল্ফ’, ‘পিচস’, ‘হোয়্যার আর ইউ নাউ’ এবং ‘নো ব্রেইনার’ সহ আরও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান গেয়েছেন। তার পারফরম্যান্স ঘিরে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

এছাড়া বিবারের মঞ্চে উঠেছিলেন ওরি, পপ তারকার সাথে যোগ দিয়ে তিনিও গাইতে শুরু করেন।

অনুষ্ঠান শেষ হতেই মুম্বাইয়ের কালিনা বিমানবন্দরে থেকে আমেরিকায় ফেরার জন্য রওনাও হয়ে গিয়েছেন জাস্টিন বিবার। বিমানবন্দরে ঢোকার সময় অনেকেই জাস্টিন বিবারকে দেখে তার সঙ্গে হাত মেলাতে ছুটে আসেন।

অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীতের জাস্টিন বিবার এই পারফরম্যান্সের জন্য নিয়েছেন ১০০ কোটি টাকারও বেশি। এর আগে ২০১৭ সালে ভারতে প্রথমবারের মতো কনসার্টে এসেছিলেন তিনি।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে মোহনা টিভি সাংবাদিকের বাবার ইন্তেকাল

মােহনা টিভির মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি ফারুক আহমেদের বাবা হাজী আব্দুল বারী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না—রাজিউন)।

আজ শুক্রবার (৬ জুলাই) রাত ৩টার দিকে স্ট্রোকজনিত কারণে নিজ বাসভবন গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামে মারা যান তিনি।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

আজ শনিবার সকাল ১০টার হাড়িয়াদহ ঈদগাহ ময়দানে তার নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় গােরস্থান ময়দানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে ফারুক আহমেদের বাবার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক, সাবেক এমপি ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক সিরাজুল ইসলাম, মেহেরপুরে কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিকবৃন্দ শোক জানিয়েছেন।




মেহেরপুরে র‌্যাবের অভিযানে ফেনসিডিলসহ নানী নাতনী আটক

মেহেরপুরে ১৩২ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্প।

আটককৃতরা হলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামের শামসুল হুদার স্ত্রী সুজান বেগম (৫৫) ও মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে মোঃ লিজন মিয়া(১৯)।
সম্পর্কে তারা নানী ও নাতনী।

র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি টিম আজ শুক্রবার  সকাল ৮ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৩২ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ তাদের আটক করেন। র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মনিরুজ্জামান জানান, পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়িতে মাদক মজুত করেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তাদের আটক করা হয়। ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩২ বোতল ফেনসিডিল। ফেনসিডিলের আনুমানিক মুল্য মূল্য ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




গাংনীতে স্ত্রীর টাকাসহ সহায়-সম্বল লুটে নিয়ে স্ত্রীকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

প্রথম স্বামীর সংসার ভেঙ্গে পরোকিয়া প্রেমিকের সাথে ঘর বেঁধেছিলেন কল্পনা খাতুন (৪০)। বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে বাবার বাড়ির জমি বিক্রি করে স্বামী মনিরুল ইসলামকে কিনে দিয়েছেন পালসার মোটরসাইকেল। তারপরেও সুখে আসেনি কল্পনা খাতুনের। আবারো জমি বিক্রি করে কিনেছেন ট্রাক্টর। সেই ট্রাক্টর কল্পনার নামে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতারণার মাধ্যমে নিয়েছেন নিজের নামে। সব হারিয়ে কল্পনা এখন ঘুরছেন পথে পথে। ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামে।

জানা গেছে, গাংনী উপজেলার রাম কৃষ্ণপুরধলা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৪০) একই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে ও আসাদুলের স্ত্রী কল্পনা খাতুন (৪০) কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দেড় বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর নানা প্রলোভন দেখিয়ে স্ত্রীর গচ্ছিত নগদ টাকা ও শ্বশুরের রেখে যাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করে প্রায় ১২ লাখ টাকা স্বামী মনিরুল ইসলাম হাতিয়ে নেয়। ঐ টাকা দিয়ে ২টি ট্রাক্টর কেনেন। ট্রাক্টর দুটি স্ত্রী কল্পনার নামে দেয়ার কথা থাকলেও অবশেষে নিজের নামে করে নিয়েছে। তারপরেও কল্পনার উপর নির্যাতন বন্ধ না হওয়ায় মনিরুলকে একটি পালসার মোটরসাইকেল কিনে দেয় কল্পনা খাতুন। মোটরসাইকেল কেনার রসিদ স্ত্রী কল্পনার নামে ইস্যু করার অপরাধে মনিরুল ইসলাম তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।

অসহায় কল্পনা খাতুন তার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে মনিরুলের সহযোগীরা কল্পনাকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। এঘটনায় কল্পনা খাতুন বাদি হয়ে মেহেরপুর শিশু ও নারী নির্যাতন আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরের দিকে মনিরুল ইসলাম গাংনী উপজেলা শহরে আসেন। খবর পেয়ে কল্পনা খাতুন তার দেওয়া মোটরসাইকেলটি ও ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করতে গাংনী উপজেলা শহরে আসেন।

এসময় মনিরুল ইসলাম ও তার লোকজন কল্পনা খাতুনকে ধরে টানা হেঁচড়ার পাশাপাশি কিল ঘুষি মেরে আহত করে গলার একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। কল্পনা খাতুন অভিযোগ করেন রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের সদ্য প্রয়াত মেম্বর আনারুল ইসলামের ছেলে লাল্টু তাকে কিল মেরে স্বর্ণের চেইনটি ছিনিয়ে নিয়ে নিয়েছে। এসময় অসংখ্য লোকজন জড়ো হয়। ধ্বস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মনিরুল ইসলাম মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।

কল্পনা খাতুন আরো জানায়, মনিরুল ইসলাম আমার সাথে প্রতারণা করে আমার সব লুটে নিয়েছে। আমার বাবার মাঠান জমি (দেড় বিঘা) বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা, বাড়ির ৪ শতাংশ জমি বিক্রির টাকা আমাকে ফুসলিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে। আমাকে এখন পথের ভিখেরি বানিয়েছে। সে এখন আমার কোন খোঁজ খবর নেয় না। আমি আমার ১২ লাখ টাকা ফেরত চাই। ন্যায্য টাকা ফেরত পেতে এবং প্রাণনাশের হুমকির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে ধলা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, কল্পনা যা বলছে তা সব সত্য। তারা বলেন, প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে তার সোনার সংসার নষ্ট করেছে মনিরুল ইসলাম। তার আগের পক্ষের একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে। সেই সন্তানকেও দেখে না।

এ ব্যপারে মনিরুল ইসলামকে ফোন দিলে তার চাচাতো ভাই শিমুল (একজন অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী) জানান, আপনারা মনিরুল কে দায়ী না করে কল্পনাকে নিয়ে লিখতে পারেন। মনিরুল নির্দোষ। মনিরুলের বিরুদ্ধে কিছু লিখবেন না। সে কল্পনার সাথে প্রতারণা করেনি। কল্পনা কোন টাকা পয়সা পাবে না। সোনার চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনা সম্পুর্ণ মিথ্যা। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কল্পনা আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।




দামুড়হুদা সদর ও কার্পাসডাঙ্গায় পৃথক দুটি বিট পুলিশিং অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিৎলা ও কার্পাসডাঙ্গায় বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার সময় দামুড়হুদা মডেল থানার আয়োজনে পৃথক পৃথক ভাবে দুইটি বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবীর এর সভাপতিত্বে এবং এস আই রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চলায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি অপারেশন হিমেল, মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আসাদুজ্জামান আসাদ, কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হারুনুর রশীদ, এএস আই আলমগীর হোসেন, এআসআই ওহিদুল, সদর ইউপি’র ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মতিয়ার রহমান, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য হাসান আলী, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান টোকন, উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ নেতা ইকরামুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহমেদ রিংকু।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগত আমন্ত্রীত অতিথি বৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় সর্বস্তরের জনগণ।

বিট পুলিশিং সভায় দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। আলোচনাকালে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন সহ থানা এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সব মহলের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া জঙ্গীবাদ, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, আত্মহত্যা, পারিবারিক সহিংসতা, নারী ও শিশু নির্যাতন, জুয়া ও গুজব প্রতিরোধ সহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন দামুড়হুদা মডেল মসজিদের পেশ ঈমান হাফেজ মা: মুফতী মো: মামুনুর রশীদ।




আলমডাঙ্গায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তা প্রদান 

আলমডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২০২৩- ২০২৪ অর্থবছরে খরিপ- ২/২৪-২৫ মৌসুমে রোপা আমন ধান বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজও সার সহায়তা প্রদান কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার কৃষি অফিস চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেহানা পারভীনের সভাপতিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুম বিল্লাহ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরা খাতুন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহিল কাফি, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ এম মাহমুদ শাহরিয়ার, ইউ আর সি ইন্সপেক্টর জামাল হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমর্কর্তা এনামুল হক, বিআরডিবি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন।

উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার আব্দুর রফিকের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাদিমুল বাশার, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মমিনুর রহমান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রজনী আফরোজ।

এবারে ১৬২০ জন কৃষকদের মাঝে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি এমওপি, ১৫ টি উপজেলায় ১৬২০ জন কৃষকের মাঝে পর্যায় ক্রমে সার বীজ বিতরণ করা হবে।