দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ২০২৪-২৫ মাড়াই মৌসুমের স্লো-ফায়ারিংয়ের শুভ উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ২০২৪-২৫ মৌসুমে আখ মাড়াই উপলক্ষে চিনিকলের বয়লিং হাউজে আগুন নিক্ষেপের মধ্যে দিয়ে স্লো-ফায়ারিং শুভ উদ্ধোধন অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুর ২ টায় কেরুজ বয়লিং হাউজের সামনে স্লো-ফাযারিং উপলক্ষে মিল হাউজের বয়লার বিভাগে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাব্বিক হাসান, এ সময় তিনি বলেন ১৯৩৮ সাল থেকে মিলটি একই ভাবে চলছে।তবে মিলটি ইতিমধ্যে বিএমআর আইয়ের কাজ চলছে। তাই বয়লিং হাউজ মিলের একটি গুরুত্বপুর্ন জায়গা। সেজন্য আমরা পরিক্ষা মৃলকভাবে ১৫/২০ দিন আগে দেখে নিই কোন সমস্যা আছে কিনা। যদি সমস্য থাকে তাহলে আমরা দ্রত সারিয়ে তুলতে পারবো। তিনি আরও বলেন গত বছর মিলটি আখের অভাবে ৫২কার্য দিবসে মিলটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। তাই এবার ২ মাসের অধিক মিলটি চলবে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ করে বলেন আপনারা সবাই মিলটি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সবাই আখ লাগাবেন।

তাই তিনি প্রত্যেক শ্রমিক কর্মচারীদের অনুরোধ করে বলেন আপনারা মিলটি টিকিয়ে রাখতে হলে সবাই আখ লাগান মিলটি প্রান ফিরে পাক। ২০২৪-২৫ মাড়াই মৌসুমে বড় ধরনের কোন যান্ত্রিক সমস্যার সম্মূখীন হতে না হয় সেজন্য সকল যন্ত্রাংশ ট্রাইল দেওয়া হচ্ছে পাশাপাশি কোন সমস্য আছে কিনা সেটিও দেখা হচ্ছে। তবে মিলটি মাড়াই মরসুম সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা রাখি সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে মাড়াই মৌসুম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। সেই সাথে সকলের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব হবে। তবে চিনি উৎপাদনের একমাত্র কাচামাল হচ্ছে আখ। তিনি এতদ্বা অঞ্চলের চাষিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরও বলেছেন, দেশের ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান, জেলার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান কেরুজ চিনিকলকে রক্ষা করতে বেশি বেশি করে আখ চাষের কোনো বিকল্প নেই ।এবার গতবারের ছাড়া ১০ দিন দেরিতে চালু হলেও মিলটি সুন্দর ভাবে চলবে বলে আশা করছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেরু চিনিকলের মহাব্যাবস্থাপক অর্থ আব্দুস সাত্তার,জি এম কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়া, চিনিকলের কারখানা মহাব্যাবস্থাপক সুমন কুমার সাহা, এডিএম গালিব হোসেন, ডিজিএম মাহাবুবুর রহমান, কেরু শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, সহ-সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী, সাবেক সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম পিন্স, মাসুদুর রহমান মাসুদ সংগঠনের কর্নধর সৌমিক হাসান রুপম, সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক খবির উদ্দিন, এ স্লো ফায়ারিংয়ের অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন কেরু জামে মসজিদের পেশ ইমাম সামসুজোহা, এ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মেকানিকাল ইঞ্জিয়ারিং নাজমুল হোসেন।

গত বছর ২০২৩-২৪ আখ মাড়াই হয়েছিল ৫৬ হাজার মেট্রিক টন এ বছর ২০২৪-২৫ মাড়াই মৌসুমে ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ২০২৪-২৫ মাড়াই মৌসুমে আখ রোপনের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে ৬ হাজার মেট্রিক টন। তার বীপরীতে দণ্ডায়মান আখ আছে কেরুর নিজস্ব জমিতে ২৭ হাজর মেট্রিক টন, পাবলিক আখচাষীদের জমিতে দণ্ডায়মান আখ আছে ৪৩ হাজার মেট্রিক টন। চিনি আহরনের গড় ধরছে ৫। গত বছর চিনি আহরনের গড় ছিল ৪.৯৪। এবার চিনিকলটি ৬০ কার্যদিবস চলবে বলে জানায় কেরুজ কতৃপক্ষ।




দর্শনায় দেশীয় অস্ত্রসহ যুবদল নেতা মিল্টন গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্রসহ যুবদল নেতা সেলিম মেহফুজ মিল্টনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।

আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতারকৃত সেলিম মাহফুজ মিল্টন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার মোবারকপাড়ার আব্দুস সালাম মাষ্টারের ছেলে। তিনি দর্শনা পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্পের একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ দর্শনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় নিজ বাড়ি থেকে আসামি সেলিম মেহফুজ মিল্টনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চাইনিজ কুড়াল, রামদা, চাপাতিসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত মিল্টনের বিরুদ্ধে স্বর্ণ, মাদক চোরাকারবারি, অবৈধ অস্ত্র, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে মিল্টন দর্শনায় ত্রাস হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। তাকে গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দর্শনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর জানান সকালেই সেলিম মেহফুজ মিল্টনকে দেশীয় অস্ত্র মামলায় তাকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে সোপর্দ করেছে।




দামুড়হুদায় ছাগলসহ চিহ্নিত ২জন চোর আটক

দামুড়হুদায় ছাগলসহ চিহ্নিত ২ জন চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর ইউনিয়নের চিৎলা নতুন পাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত চোররা হল, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের চিৎলা গ্রামের নতুন পাড়ার আমিরুল হোসেনের ছেলে সোহাগ আলী (২৯), মৃত মোমেন আলীর ছেলে মানিক (২৩)

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দামুড়হুদা থানাধীন সদর ইউনিয়নের চিৎলা নতুন পাড়ার জৈনক বাবলুর চায়ের দোকানের সামনে মেইন রাস্তার উপর থেকে ১টি খয়রী রং এর খাশি ছাগল, ১টি কালো রং এর ধাড়ি ছাগল এবং ১টি কালো রং এর খাশি ছাগলসহ সর্বমোট মূল্য ২৮,০০০/- (আঠাশ হাজার) টাকা স্থানীয় জনগণ তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে। পরবর্তীতে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবিরকে ঘটনাটি জানানো হলে তিনি এস আই সাইফুল ইসলাম হাওলাদারকে ফোর্সসহ ঘটনা স্থলে পাঠান এবং তিনটি ছাগলসহ চোরদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর বলেন, গ্রেফতারকৃত চোরদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে এবং আজ বিজ্ঞ আদালতের কাছে তাদেরকে সোপর্দ করা হয়েছে। চোরাইকৃত তিনটি ছাগল আপাতত থানা পুলিশের হেফাজতে আছে। আগামী রোববার বিজ্ঞ আদালতের আদেশ নিয়ে ছাগল তিনটির বিষয়ে নিষ্পত্তি করা হবে।




দর্শনায় শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

দর্শনা মেমনগরে শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের শেষ সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ম্যাচে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন একাদশকে হারিয়ে কেরুজ বয়েজ ক্লাব ফাইনালে উত্তির্ণ হলো।

আজ শুক্রবার বিকালে রামাযুসের আয়োজনে মেমনগর ফুটবল মাঠে সেমিফাইনাল ম্যাচে অংশ নেয় পারকৃষ্ণপুর-মদনা একাদশ বনাম দর্শনা কেরুজ বয়েজ ক্লাব। এ ম্যাচে পারকৃষ্ণপুর-মদনা একাদশকে ২-১ গোলে হারিয়ে বয়েজ ক্লাব জিতে ফাইনাল ম্যাচে উত্তির্ণ হয়েছে। খেলা পরিচালনা করেন ফৈরদৌস হাসান, মনজিত বিশ্বাস ও মোস্তাফিজুর রহমান। ধারাভাষ্যে ছিলেন, হাসান গাজি ও সবুজ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, কেরুজ চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুছ ছাত্তার, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন সাহা, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আল ফারুক ওমর শরীফ গালিব, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূইয়া, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারী) রাজিবুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিথা। খেলা উপভোগ করতে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারী) ফিদা হাসান বাদশা, শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, যুগ্নসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক ফুটবলার গিয়াস উদ্দিন পিনা, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আজিবর রহমান, দর্শনা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব পলাশ আহমেদ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন টুর্নামেন্ট কমিটির সভাপতি জহির রায়হান।

সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন, টুর্নামেন্ট কমিটির সাধারণ সম্পাদক লুতফর রহমান, রামাযুসের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, স¤পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুক্ত।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ, খায়রুল ইসলাম, জিয়াউর, হাসান, সাইদুর, মাসুদ, সাঈদ, আবু শামা, মাহবুল, সাইফুল, শফিকুল, জুয়েল, মঈনুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, আসান আলী, আশরাফুল আসান, অন্তর, ওয়াসিম, সোনা মিয়া, মাহবুব, সোহাগ ও মনিরুল। উপস্থাপনা করেন জাহান আলী ও লিংকন।




দামুড়হুদা মাদকবিরোধী র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

যে মুখে ডাকি মা সেই মুখে কখনোই মাদক না, এই স্লোগানকে সামনে রেখে দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামে যুব সমাজের উদ্যোগে মাদকবিরোধী র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে গ্রামের বিভিন্ন সড়কে র‌্যালি শেষ করে উজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে দামুড়হুদা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক একরামুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মেহেদী হাসান।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি জামাল মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক বদর মাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম যুগ্ন আহবায়ক জাহিদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয় যুগ্ন আহবায়ক ইনজামামুল হক,থানা যুবদলের সদস্য শরিফুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আব্দুল আলিম সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট অফিসার আমিনুল ইসলাম,যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন, মাওলানা বিল্লাল হোসেন মাওলানা আনোয়ারুল, অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার আবুল কাশেম, আমিনুল ইসলাম লিয়াকত মেম্বার, রবি ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মজিদ, আব্দুল আলিম, আব্দুল আজিজ, মুস্তাক আহমেদ, বাপ্পি সাদিক, অভি ,শান্ত ,আলিফ, তরুণ, রিয়াজ, ইমরুল, আশিকুর, ছাবিত, সাজিদ হোসাইন, রিমন, হাবিবুর ,সাগর।




মেহেরপুরে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেলেন ১৯ জন

মেহেরপুরে পুলিশের কনস্টেবল (টিআরসি) পদের নিয়োগ পরীক্ষায় শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছেন ১৮ জন পুরুষ এবং ১ জন নারীসহ মোট ১৯ জন।

নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিয়োগ বোর্ড।

মেহেরপুর পুলিশ লাইন্সে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে প্রার্থীরা শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে ১৯ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। ওয়েটিং লিস্টে আছেন নারীসহ ৩ জন।

আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৮ টায় মেহেরপুর পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম।

চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসান, জামিরুল ইসলাম, ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিদুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান।

নতুন চাকরি পাওয়া তরুণ-তরুণীরা তাদের মেধা ও যোগ্যতায় বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্য হতে পেরে উচ্ছ্বসিত এবং আনন্দিত।

পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম পিপিএম বলেন, তোমাদের অনেকের যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু আমাদের সীমাদ্ধতার কারণে বাছাই করে ১৯জনকে চুড়ান্ত করতে হয়েছে। তোমরা যারা এখানে সুযোগ পাওনি তারা আবারও চেষ্টা করো। পাশাপাশি অন্যান্য চাকরিতেও তোমার সুযোগ রয়েছে।




ঝিনাইদহে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখলমুক্ত করার দাবীতে মানববন্ধন

ঝিনাইদহের মহেশপুর অবৈধ দখল হওয়া খেলার মাঠ দখলমুক্ত করার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার এমকে এ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে স্থানীয় গ্রামবাসী। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। সেসময় বক্তৃতা করেন আব্দুর রশিদ, জাহাঙ্গীর প্রমূখ।

তাদের অভিযোগ, এমকেএ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী আজিজ ও তার ভাই হান্নান ঘর নির্মাণ করছে। এছাড়াও প্রাচীর তৈরীর পায়তারা করছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই তারা দ্রুত খেলার মাঠটি দখলমুক্ত করার দাবি জানান।




ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে ঝিনাইদহে হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল

ইসকনের নৃশংস হত্যাকেন্ডর প্রতিবাদ ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে ঝিনাইদহে প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ।

আজ শুক্রবার বাদ জুম্মা বিভিন্ন স্থান থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শহরের পায়রা চত্বরে জড়ো হতে থাকে। সেখান থেকে এক প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শেষে মিছিলকারীরা আবারো পায়রা চত্বরে ফিরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন, হেফাজত নেতা মুফতি আরিফ বিল্লাহ, মাও: আবুল বাশার, মুফতি নাজমুল ইসলাম, শায়েখ জুবায়ের আহমেদসহ অন্যান্যরা।

বক্তারা বলেন, ইসকন একটা উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন। ইসকনের হাতে নৃশস হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ। তারা এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ ও অবিলম্বে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানান।




ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে কুষ্টিয়ায় খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল

ইসকনকে উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে মসজিদে হামলা ও চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলার নেতৃবৃন্দ।

আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাদ আসর শহরের বড়বাজার মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কেন্দ্রীয় বড় মসজিদ, বড় বাজার জামে মসজিদসহ আশেপাশের মসজিদের মুসল্লীরা যোগ দেন।

মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

মিছিলে’, ‘নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার’, ‘ইসকনকে নিষিদ্ধ কর, করতে হবে করতে হবে’ এমন নানা স্লোগান দেন মুসল্লীরা।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল লতিফ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আরিফুজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হাকিম, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল খালেক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি মাওলানা শারাফাত হুসাইন, তরুণ গবেষক এবং বিশ্লেষক আবু মিরাজ রুদ্র (ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল অফ বিজনেস) প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত সরকার আলেমদের অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে। তবে তারা ইসকনকে লালন করেছে। ইসকন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত করে মসজিদে হামলা করছে, আইনজীবীকে হত্যা করেছে। তাদের অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তারা।

তারা বলেন, ইসকনকে নিষিদ্ধ না করলে তৌহিদী জনতার আন্দোলন আরও বেগবান হবে তখন সরকারকে বেকাদায় পড়তে হবে। সময় থাকতে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তারা।

বিক্ষোভ মিছিলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলার নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।




আলমডাঙ্গায় আওয়ামীলীগের ৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদেমপুর ইউনিয়ন বিএনপির পদযাত্রায় হামলার মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভোর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন-কুমারি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক (৫৫), জামজামি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রইচ উদ্দীন মোল্লা (৬০), বেলগাছি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক (৪০), বেলগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন (৪২), বাড়াদি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক (৪২) ও চিৎলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমঙ্গীর হোসেন (৪০)।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত ইউনিয়ন বিএনপির পদযাত্রার কর্মসুচি থাকায় মহাসিন আলীসহ ৩০/৪০ জন বিএনপি নেতাকর্মীদের পদযাত্রায় অংশ গ্রহণের জন্য যাচ্ছিলেন। ওই দিন তারা খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচকমলাপুর গ্রামের হায়দার মোড়ে পৌঁছালে আওয়ামীলীগের উশৃংখল নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মারপিট ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া ৫ টি মোটরসাইকেল কেড়ে নেওয়া হয়।

ওসি আরও জানান, ওই ঘটনায় উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মহাসীন আলী বাদী হয়ে ৯ নভেম্বর রাতে ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫০/৬০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।