অন্তিম যাত্রার আয়োজন
আমাবস্যার ঘোর অমানিশায় বিনিদ্র নিম রজনীর নিঃসীম ঘণ,গাঢ় আঁধারে খুঁজেছি
হারিয়ে যাওয়া,দূ-স্নৃতির আড়ালে তলিয়ে যাওয়া তোমায় দৃষ্টির নিভূ নিভূ প্রদীপ জ্বেলে।
পাইনি কোথাও তোমায়,পাইনি তোমার ছায়াকে,
পাইনি আমার আলেয়ার আলোকেও।
নিঃসঙ্গ,অসহায়,একলা আমি হাঁতড়ে বেড়িয়েছি জীবনের ডায়েরী থেকে হারিয়ে যাওয়া ধূসর,
মুছে যাওয়া কত স্নৃতির!
পারিনি ব্যর্থ আমি! পারিনি,আমাতে জড়িয়ে থাকা তোমাকে আমা হতে ভিন্ন,আলাদা করতে!পারিনি,দু’হাতে সরিয়ে দিতে আমার চারপাশে অক্টোপাশের মত আষ্টে-পিষ্টে আঁকড়ে থাকা শত-সহস্র কষ্টের জাল ছিন্ন করতে!
নিরাশার ধূ ধূ বালুচরে ডুবে যেতে থাকা আশা-আকাঙ্খারাও ভয় পায় এখন আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে।
সারথিহীন স্বপ্নরা এখন আর ডানা ঝাপটে উড়ে বেড়ায় না ঐ অসীম গগণতলে।
এই নশ্বর ধরিত্রী এখন আর আমাকে চায় না ঠিক তোমার মত।
নিরবিচ্ছিন্ন একাকীত্ব এখন আমার অন্তিমশয্যার পুষ্পসজ্জা।
নিদারুণ মর্মভেদী অসহায়ত্ব ওপারে যাবার ভেলা।
অতএব, একাকীত্ব ও অসাহয়ত্বকে সঙ্গী করেই তবে আরম্ভ হোক আমার তিরোধানের,অন্তিম যাত্রার!!!