বিষে ভরা বিশ্ব (আষাঢ়ে গল্প)

বিষে ভরা বিশ্ব আজ!! লকডাউন নামের ঢিলেঢালা কারফিউ কে উপেক্ষা করে সকাল-সকাল ভাবলাম যায় একটু ঘুরে আসি খোলা হাওয়ায়।। মনে-মনে ঘোরাঘুরি করাটা আমার স্বভাব। গড়াই নদীর তীর ধরে হেঁটে যেতেই দেখি সামনে একটি জায়গা থেকে কাদের জানি কণ্ঠস্বর ভেসে আসছে, সামনে এগিয়ে আমি তো অবাক!! বাহ এখানে তো তারার মেলা বসেছে।

রবিবাবু, শরৎ বাবু, জীবনানন্দ বাবু, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আলাউদ্দিন আল আজাদ, শওকত ওসমান, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, নীহাররঞ্জন গুপ্ত, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতি বাবু, লালন ফকির, এমন আরও অনেক কালজয়ী লেখক রা সব বসে আছেন। চাঁদের হাট যেন। তাদের আলাপচারিতার মাঝে হাসি আর আনন্দের কমতি নেই। কিন্তু আমি ভাবছি অন্য কথা! এই করোনার সময়ে, লেখকদের না আছে মাস্ক না আছে হ্যান্ড গ্লাভস, না আছে কোন সুরক্ষা সামগ্রী দূরত্বের কোনো বালাই নেই। আমি ওখানে দাঁড়িয়েই একজন সুফি ভদ্রলোককে দেখছিলাম অনেকক্ষণ থেকে, হ্যাঁ এই সেই বিষাদ সিন্ধুর লেখক মীর মশাররফ হোসেন। যার লেখা পড়ে বুঝেছিলাম বিধির বিধান অখন্ডিয়। কারবালা প্রান্তর এর যুদ্ধের কথা পড়েছিলাম।

কৌতূহলী মন আমার, আমি লেখককে ডেকে বললাম, এই মহামারীর সময় কেন আপনারা একত্রিত হয়েছেন?? এমন দিনে অন্তত একটি মাস্ক পরতে পারতেন সকলে। এমনসময় লেখকদের মাঝখান থেকে দীর্ঘশ্বাস ফেলে একজন বললেন, তোদের অসুস্থ পৃথিবীতে আমরা আর নেই রে!! হঠাৎ দূর থেকে আদম চাচার ডুগডুগির শব্দ ভেসে এলো আমি সম্বিত ফিরে পেলাম, চাচা বলছে এই যে খেলা, পরিবিবির মাজার দেখেন, হোসেনের তাবু দেখেন, এজিদের তাঁবু দেখেন, দেখেন দেখেন মক্কা-মদিনার খেলা দেখেন, বাইশকোপ দ্যাখেন।। যাকে আপনারা বলেন বায়স্কোপ।




মুজিবনগরে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সভা অনুষ্ঠিত

মুজিবনগররে উপজেলা পর্যায়ে চলতি জুলাই মাসের বিভিন্ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা সময় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সকল সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটি সভাসহ এ দিন ১৩ টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাদাত রত্ন এর সভাপতিত্বে সভাই উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মেহেদী হাসানসহ সহ অনুষ্ঠিত সভাসমূহের সদস্যবৃন্দ।

এই দিন উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটি, উপজেলা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির ,উপজেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি, উপজেলা ইনোভেশন কমিটি ,উপজেলা আইসিটি কমিটির , উপজেলা পণ্য বিপনণ কমিটির সভা, উপজেলা কর্ণধর কমিটি , উপজেলা যৌতুক, বাল্যবিবাহ নিরোধ এবং জন্মমৃত্যূনিবন্ধন কমিটি, উপজেলা Watch Dog কমিটি, উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, উপজেলা নারী ও শিশু পাচার রোধকল্পে গঠিত প্রচার কমিটি , উপজেলা মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটি ,কারাবন্ধী শিশু কিশোরদের মুক্তির বিষয় সংক্রান্ত এবং উপজেলা এসডিজি বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।




ভেটেরিনারি সার্জন ছাকিবুলের অনিয়মই যেন নিয়ম!

মেহেরপুর সদর উপজেলার প্রাণি সম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ সৈয়দ ছাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা ধরনের দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠেছে।

এক্সপোজার ভিজিটের টাকা আত্মসাৎ, সরকারি ডরমেটরি কর্মচারির নামে বরাদ্দ নিয়ে নিজে বসবাস, জরুরী সেবায় ব্যবহৃত এমভিসি গাড়িটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, চিকিৎসা সেবা প্রদান করে খামারীদের কাছ থেকে অর্থ নেয়া, নিজে চিকিৎসা না দিয়ে বহিরাগতদের দিয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানসহ সীমাহিন অনিয়ম ও দুর্ব্যবহারে ভুক্তভোগীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

ডা. সৈয়দ ছাকিবুল ইসলাম ২০২১ সালে ভেটেরিনারি সার্জন হিসেবে মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে যোগদান করেন । বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্বে আছেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এক্সপোজার ভিজিট বাবদ বরাদ্দ এসেছে ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা। এক্সপোজার ভিজিট বলতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য এক দল খামারিকে তাদের এলাকা থেকে অন্য এলাকার একটি খামার পরিদর্শনকে বোঝায়। অন্য এলাকার খামারিরা যেসব নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন বা উন্নয়ন সাধন করেছেন বা গবেষণা কেন্দ্রে বা খামারে যেসব প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে সেসব কার্যক্রম ভিজিটের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার খামারিদের প্রদর্শন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করানো হয়। এ বিষয়ে ব্যয় বাবদ অংশগ্রহণকারীদের ভাতা, এলএসপি ভাতা, ভিএস/ইউএলওদের সম্মানি, পরিবহন খরচ এবং খাবার বাবদ খরচ হয়ে থাকে। ৬৩০ জনের উপর এই ব্যয় হবার কথা এবং দায়িত্বরত অফিসার ১টি ভিজিটের জন্য সম্মানি হিসেবে ১ হাজার টাকা করে পাবেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই প্রকল্পে মোট ৫টি এক্সপোজার ভিজিট সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছর ৬ জুলাই ১ম ভিজিটে চুয়াডাঙ্গা জেলার কুলপালায় হাস খামারে ব্যয় হয়েছে ১০০ জনের বিপরীতে ১ লাখ ৬২ টাকা। ২ জুলাই ২য় ভিজিটে চুয়াডাঙ্গার কোষাঘাটা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ছাগল খামারে ব্যয় হয়েছে ১৪০ জনের বিপরীতে ১ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৫ টাকা। ৪ জুলাই ৩য় ভিজিটে দামুড়হুদা পোড়াপাড়ার রাজা এগ্রো ফার্মে ব্যয় হয়েছে ১১০ জনের বিপরীতে ১ লাখ ১২ হাজার ৩৮০ টাকা। ৮ জুলাই ৪র্থ ভিজিটে বারাদি, আলমডাঙ্গার বারাদিতে তাহাজুদ্দিন এগ্রোতে ব্যয় হয়েছে ১২০ জনের বিপরীতে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৩০ টাকা। ১০ জুলাই ৫ম ভিজিটে কুষ্টিয়ার মিরপুরে দিশা এগ্রো ফার্মে ব্যয় হয়েছে ১৬০ জনের বিপরীতে ১ লাখ ৬২হ হাজার ৯৬০ টাকা। ৫টি ভিজিটে ব্যয় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৭ টাকা। অবশিষ্ট ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫৩ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ ছাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, তিনি গত ১৩ জুন মেহেরপুর সোনালি ব্যাংক থেকে বরাদ্দের ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা একসাথে উত্তোলন করেন।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, পশু-পাখির জন্য ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ক্লিনিকের জন্য এমভিসি নামক একটি ডাবল কেবিন পিকআপ আছে। দ্রুততম সময়ে খামারিদের দোরগোড়ায় জরুরী চিকিৎসাসেবা পৌছানোর জন্য এই গাড়িটি ব্যবহার হয়ে থাকে। খামারিরা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার কথা। এর জন্য গাড়িটির একটি হটলাইন নাম্বার ১৬৩৫৮ রয়েছে। এখানে ফোন করে তাৎক্ষণিক সেবা পাওয়া সম্ভব। ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ ছাকিবুল ইসলাম এই গাড়ি ব্যবহার করে খামারিদের সেবা দিচ্ছেন, বিনিময়ে অর্থ নিচ্ছেন নিয়মিত।

মেহেরপুর সদর উপজেলার উত্তর শালিকা গ্রামের খামারি সাইফুল ইসলামের কাছে থেকে সেবা দিয়ে টাকা দাবি করেছেন ২২০০ টাকা। খামারি তাকে দিয়েছেন ২০০০ টাকা। একইভাবে শুভরাজপুরের সিরাজের ছেলে খামারি মনিরুল দিয়েছেন ৩৫০০ টাকা। একই গ্রামের ঝন্টু মিয়ার ছেলে খামারি তাহেরের কাছ থেকে ৪০০০ টাকা, একই গ্রামের সিরাজের ছেলে খামারি আমিরুলের কাছ থেকে ২ কিস্তিতে ৩০০০ টাকা, হরিরামপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে খামারি শুভ’র কাছ থেকে ২ মাস আগে ৫ হাজার টাকাসহ আরো অনেকের কাছ থেকে চিকিৎসা বাবদ টাকা নিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রাণি সম্পদ সদর অফিসের ২য় তলায় ডরমেটরি আছে। কর্মকর্তা-কর্মচারিরা বেতনের বাড়ি ভাড়া অংশের ২৫ শতাংশ টাকার বিনিময়ে রুম ভাড়া নিতে পারেন। ভেটেরিনারি সার্জনের মূল বেতন বেশি হওয়ায় নিজের নামে ডরমেটরি ভাড়া না নিয়ে কর্মচারি নাজমুল হক (ভিএফএ) এর নামে ১টি রুম বরাদ্দ দেখিয়ে ২টি রুম ফ্যামিলি নিয়ে ব্যবহার করছেন। অফিস সহকারি আজহারুল ইসলাম বলেন, প্রতি মাসে নাজমুল হক (ভিএফএ) ১২০৪ টাকা ডরমেটরির ১টি রুমের ভাড়া বাবদ সোনালি ব্যাংক প্রধান শাখায় চালানের মাধ্যমে জমা দেন। সেখানে ২টি রুম নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করছেন ডাঃ সার্জন ছাকিবুল ইসলাম।

সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো প্রকার চিকিৎসা সম্পর্কিত ডিগ্রী না থাকা সত্ত্বেও প্রাণি সম্পদ হাসপাতালের আউটডোরে প্রেসক্রিপশন লিখছেন, বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করছেন এবং রেজিস্টার খাতা লিখছেন। রোগীর মালিকের নাম, রোগের বিবরণ এবং চিকিৎসা রেজিস্টার খাতায় লিখতে হয়। সেই খাতাটিও বহিরাগতদের দিয়ে করানো হচ্ছে। যা ভেটেরনারি সার্জনের কাছে রেজিস্টার খাতা থাকার কথা। নাজমুল, জনি রাহা, মুফাক্ষেরসহ বহিরাগত আরো অনেকে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। সাংবাদিক দেখে অনেকেই দৌড়ে পালিয়ে যান। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও নেমপ্লেটে ভারপ্রাপ্ত শব্দটি না লিখে প্রতারণা করছেন ডাঃ ছাকিবুল ইসলাম। এছাড়াও তার চেম্বারের পুরো টেবিলটিতে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানী থেকে দেওয়া ওষুধের নাম সম্বলিত সিল রাখা হয়েছে।

অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ ছাকিবুল ইসলাম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সবকিছু নিয়মের মধ্যে করা হয়েছে। অন্যান্য প্রকল্পের তথ্য চাওয়া হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে বলেন তিনি।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ দেবেন্দ্র নাথ সরকার (অ.দা.) বলেন, সদর ভেটেরিনারি সার্জন ডা. ছাকিবুল ইসলামের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




কেউ কি আছো

কেউ কি আছো দেখা করবে আমার সাথে, হোক অন্ধকার, হোক ঝড়-ঝঞ্ঝা, হোক মেঘে ঢাকা কালো রাত।
প্রকাশ্যে, অপ্রকাশ্যে, গোপনে, সংগোপনে, বেলা, অবেলায়, অবহেলায়।
কেন হয় না ভোর, সূর্যের তাপ প্রখর।
কেন ঘাস ফড়িং দেরি করে বসে-সবুজ ঘাসেতে, ফুলের সুভাষ- ঘ্রাণ কেন মুগ্ধতা নাহি টানে?
আসে না সুঘ্রাণ নাশিকাতে।
ঝড়ের কালে, বটবৃক্ষের তলে আশ্রয় জমা হবে কি?
নাকি ভূতের হাউ মাউ খাওয়ের চিৎকার চেচামেচির আয়োজন।
কেউ কি আসবে, অমাবস্যার ঘুটঘুটে সেই ক্ষণে- জোনাকি পোকার মতো মিটিমিটি আলো জ্বেলে।
পিছলে পড়ে থেঁতলে গেছে কোমড়ের চারপাশ আসবে কি কেউ?
টেনে তুলবে-সেবার আশ্রমে।
আমার মমতায় পালিতরা আজ গগন-চুম্বী ইচ্ছায় লালন করে লোভ!
আমাকে দেখলে নাক ছিট কায়, যেন, জ্বালা-জ্বালা-জ্বালা। আমারও জ্বলে ওদের ঔদ্ধত্যে!
সে সব এখন থাক, আছো কি কেউ?
কেউ কি আছো-ঐ দেখো ধেয়ে আসছে আশঙ্কা, আমার ধ্যান, আমার জ্ঞান, তিল তিল করে গড়ে তোলা আমার জগৎ ওরা লুটপাট করে, আমার আব্রু ছিড়ে ফেলে, লোভ-লালসায়! থাক সে সব কথা।
মায়াময়ী কেউ কি আছো? আমায় জড়িয়ে ধরার? কেউ কি আছো? তাহলে এসো, এসো, হারিয়ে যাচ্ছি কালের বাঁকে।




ঝিনাইদহে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, আত্মহত্যা, ডেঙ্গু, জঙ্গিবাদ বিরোধী কার্যক্রম, মানসম্মত শিক্ষা, জনসেবা এবং দুর্নীতি বিরোধী কর্মসূচি নিশ্চিতকরণ বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার কালীচরণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সদর উপজেলা প্রশাসন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম।

সেসময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সজল কুমার দাস, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলেয়া খাতুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে সার্বজনীন পেনশন স্ক্রীম অবহিতকরণের লক্ষ্যে উঠান বৈঠক

সরকারের বিশেষ উদ্যোগ সার্বজনীন পেনশন স্কীম সম্পর্কে গ্রামের মানুষদের অবহিতকরনের লক্ষ্যে ঝিনাইদহের কালীচরণপুর ইউনিয়নে বিশেষ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার কালীচরণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা প্রশাসন ও তথ্যকেন্দ্র এ বৈঠকের আয়োজন করে । সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম।

সেসময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সজল কুমার দাস, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলেয়া খাতুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের সর্বস্তরের জনগণের কথা বিবেচনা করে সরকার এ পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক এই স্কিমে অংশ নিতে পারবে। সামাজিক নিরাপত্তা, পর্যাপ্ত ভবিষ্যৎ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতসহ আর্থিক সুবিধা নেওয়ার জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী পেনশন স্কীমের আওতায় আনার আহ্বান জানান।




ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিবে পলমল গ্রুপ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পলমল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘ম্যানেজার’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : পলমল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ

পদ ও বিভাগের নাম : ম্যানেজার- কিউএ (নিট গার্মেন্টস-নারায়ণগঞ্জ এইপিজেড)

আবেদনের বয়সসীমা : ৩৮ থেকে ৪৫ বছর

পদসংখ্যা : ০১টি

কর্মস্থল : নারায়ণগঞ্জ

বেতন : ৫০,০০০-৫৮,০০০ টাকা (মাসিক)

অভিজ্ঞতা : ১০ থেকে ১২ বছর

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ১৪ জুলাই, ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিস

প্রার্থীর ধরন : শুধু পুরুষ

আবেদনের শেষ তারিখ : ১৩ আগস্ট, ২০২৪

শিক্ষা : স্নাতক ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা : চাপের মধ্যে কাজ করার জন্য মানসিকতা থাকতে হবে। প্রয়োজনে কারখানায় দীর্ঘ সময় কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। নিট পণ্যের কাপড় কাটা ও ধোয়ার বিষয়ে ভালো জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ইংরেজি লেখা ও কথা বলতে পারদর্শী ছাড়াও এমএস অফিসে বিশেষভাবে এমএস এক্সেল এবং পাওয়ার পয়েন্টে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।

অন্যান্য সুবিধা : মোবাইল বিল, বিমা, বছরে দুটি উৎসব বোনাস ছাড়াও কোম্পানির নীতি অনুযায়ী বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হবে।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

ঠিকানা : করপোরেট হেড অফিস, কনফিডেন্স সেন্টার (৫ম তলা), ৯/খা, শাহাজাদপুর, গুলশান, ঢাকা-১২১২




মারা গেলেন হলিউড অভিনেত্রী শ্যানেন ডোহার্টি

হলিউড অভিনেত্রী শ্যানেন ডোহার্টি মারণব্যধি ক্যানসারের কাছে হার মানলেন। ৫৩ বছর বয়সে মারা গেলেন ‘বেভারলি হিলস’ খ্যাত জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার (১৩ জুলাই) শনিবার মারা গেছেন শ্যানেন ডোহার্টি।

তার মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রীর মুখপাত্র লেসলি স্লোন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বহু বছর ক্যানসারের সাথে লড়াইয়ের পর প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রী শ্যানেন ডোহার্টি।

ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি ২০১৫ সালে সামনে আনেন শ্যানেন। জানিয়েছিলেন স্তন ক্যানসারে ভুগছেন তিনি। এরপর ২০২৩ সালে জানিয়েছিলেন তার শরীরে এই রোগ আরও ছড়িয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত ক্যানসারের কাছে হেরে গেলেন।

নব্বইয়ের দশকে ছোটপর্দার জনপ্রিয় শো ‘বেভারলি হিলস ৯০২০১০’-এ হাই স্কুল ছাত্রী ‘ব্রেন্ডা ওয়ালস’ এর চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি।

তবে ১৯৯৪ সালে ‘বেভারলি হিলস’-এর চার নম্বর সিজনের শুটিং চলাকালীন ধারাবাহিকের সহ অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিরোধে জড়ান তিনি। পরে সেই ধারাবাহিক থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন শ্যানেন।

১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত চলা ‘চার্মড’ সিরিজেও কাজ করে নতুন করে দর্শকের মনে জায়গা করে নেন ডোহার্টি। নব্বই দশকে ‘অলমোস্ট ডে’ এবং ‘মালারটস’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।




কোটচাঁদপুরে মটর সাইকেল দূর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু

মটর সাইকেল দূর্ঘটনার ১২ ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা নিউরোসাইন্স হাসপাতালে মারা গেলেন ফারুক হোসেন (৬৫) নামের এক কাঠ সমিতি মিলের ম্যানেজার। তিনি কোটচাঁদপুর গাবতলা পাড়ার মৃত ডাক্তার ইউসুফ আলীর ছেলে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রাস্তা পার হওয়ার সময় এ ঘটনাটি ঘটে।

মৃতের ছেলে ফরিদ হোসেন বলেন, গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় আমার পিতা তাঁর কর্মস্থল সমিতির কাঠ মিলের অফিস থেকে বাড়ি আসছিলেন। এ সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে মটর সাইকেলের ধা্ক্কায় পড়ে যান। এতে করে গুরুতর আহত হন তিনি।স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এরপর যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অবস্থার কোন পরিবর্তন না দেখে রাতেই ঢাকা নিউরোসাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওখানে চিকিৎসা চলছিল। সোমবার সকাল ৭ টা দিকে ওনি মারা যান।
ফারুক হোসেন (৬৫) ছিলেন ৭ সন্তানের জনক। তিনি ছিলেন কোটচাঁদপুর কাঠ সমিতি মিলের ম্যানেজার। ওখানেই তিনি তাঁর জীবনের ২৬ বছর পার করেছেন।

এ দিকে ফারুক হোসেনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছেন পরিবারটিতে। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে তাঁর বাড়িতে অসংখ্য গুনাগ্রহীরা ভিত জমাতে থাকেন।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামুন বলেন,ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি থানায়। অভিযোগ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।




বৃষ্টি

বর্ষাকালে অঝোর ধারায়
বৃষ্টি যখন ঝরে,
টাপুরটুপুর বৃষ্টির ধ্বনি
হৃদয় হরণ করে।

বৃষ্টি দেহে আনে স্বস্তি
উষ্ণতা করে দূর,
মুষলধারার বৃষ্টির জলে
ভিজতে লাগে মধুর।

বৃষ্টির জলে ভরা নদী
ইশারায় যে ডাকে,
মাছের ঝাঁকের খেলা দেখতে
বসে তারই বাঁকে।

সাদা-হলদে কদম ফুলে
সদা ছড়ায় শোভা,
বৃষ্টির ফাঁকে দেয় যে উঁকি
দিবাকরের প্রভা।

জুঁই কামিনী কেয়া ফুলে
সুবাস ছড়ায় বনে,
রিমঝিম বৃষ্টি দেখতে মজা
বসে ঘরের কোণে।