ডিবি প্রধানের দায়িত্ব পেলেন মেহেরপুরের আশরাফুজ্জামান

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে মেহেরপুরের কৃতি সন্তান আশরাফুজ্জামানকে।

তিনি ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে লজিস্টিক, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রামের সন্তান

বুধবার (৩১ জুলাই) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ পদায়ন করা হয়। একই আদেশে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদকে বদলি করা হয়েছে।

তাকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মহা. আশরাফুজ্জামান বিসিএস ১৭ ব্যাচের কর্মকর্তা। ডিএমপির লজিস্টিকস, ফিন্যান্স বিভাগের আগে তিনি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার খুলনার কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) এবং ডিএমপির ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।




মুজিবনগরে নিখোঁজের দুই দিন পর যুবক উদ্ধার

মুজিবনগরে নিখোঁজের দুইদিন পর উদ্ধার করা হয়েছে নিখোঁজ হওয়া গৌরিনগর গ্রামের প্রবাসী রফিকুল ইসলামের ছেলে বকুল (২৫)কে।

উপজেলার দারিয়াপুর ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান (গুটলি) সাথে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার গৌরিনগর গ্রামের প্রবাসী রফিকুল ইসলামের ছেলে বকুল (২৫) বড়নাগার চৌলার মাঠে নিজ ধানক্ষেতে সেলোমেশিন দিয়ে সেচ দেওয়ার সময় নিখোঁজ হয়।জমির পাশে পাওয়া যায় তার ব্যবহিত গামছা এবং বাইসাইকেল।বন্ধ পাওয়া যায় তার মোবাইল ফোন সন্ধেয় হয় খারাপ কিছুর। গত সোমবার রাত্রী থেকে খোঁজাখুজি শুরু করে গ্রামবাসি ও আত্মীয় স্বজন সোববার রাত পেরিয়ে মঙ্গলবার সারা দিন চলে খোঁজাখুজি বিকেল মুজিবনগর থানায় নিখোজের জিডি করে বকুলে ছোট ভাই তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। পুলিশ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া ইকো পার্কের আবাসিক এলাকায় গৌরিনগর গ্রামের তবারকের ছেলে সাজুর মেয়ের বাড়িতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় মুজিবনগর থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি টিম তাকে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্য (ওসি)উজ্বল কুমার দত্ত জানান, গত মঙ্গলবার মুজিবনগর থানায় একটি নিখোঁজের জিডি করা হয়। জিডি পেয়ে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে তাকে উদ্ধার করে।তার স্বীকারক্তি থেকে জানা যায় সে বিভিন্ন জায়গায় থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করতে না পারায় তার বন্ধুর আত্মীয়র বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল।

মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি টিম তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।




দর্শনায় মৌচাক সমাজ উন্নয়ন সংস্থার উদ্দ্যগে সেমি-পাকা স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাটিন স্থাপন

দর্শনায় মৌচাক সমাজ উন্নয়ন সংস্থার উদ্দ্যগে কালিদাসপুর ১৬টি পরিবারের মাঝে সেমি-পাকা স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাটিন বিনামূল্য স্থাপন করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার, দর্শন্য পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কালিদাসপুর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী যাদের কোন স্যানিটেশন ব্যবস্থা নাই। এমন ১৬টি পরিবারের জন্য ১৬টি সেমি-পাকা স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাটিন স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে। তাদের পরিবারের ১ (এক) জনকে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবহার ও রক্ষনাবেক্ষনের উপর এক দিনের ওরিয়েন্টশন প্রদান করা হয়।

প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী,নির্বাহী পরিচালনক মনিরুজ্জামান, এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মৌচাক সমাজ উন্নয়ন সংস্থার ম্যানাজার মকবুল হোসেন, সুপারফাইজার জিল্লুর রহমান, আবদুল্লা আল মামুন, বিল্লাল হোসেন।

এ সময় উপকার ভোগীদের মধ্যে হরি বিশ্বাস, গয়েশ্বরী বাল্য, কনিকা নালা, সন্যাসী বিশ্বাস,শ্রী সুফল বিশ্বাস, শ্রীমতি বিসু বালা, অলোকা রানীর বাড়িতে বিনামূল্য একটি করে সেমি পাকা ল্যাটিন স্থাপন করেন। তারা সেমি পাকা ল্যাটিন পেয়ে মৌচাক সমাজ কল্যান সংস্থার সাধুবাদ জানিয়েছে




দামুড়হুদা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাসিক সভা

দামুড়হুদা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে সিনিয়র কনসাল্টেন্ট ডাঃ ফজলুল হকের (অ:দা:) সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হযরত আলী।

দামুড়হুদা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী কর্মকর্তা হোসনে মোবারক শিলনের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী আবু সায়েম, ইউনিয়ন পরিদর্শক মতিয়ার রহমান সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের পরিদর্শক, সহকারী পরিদর্শক সহ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সকল ইউনিটে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী বৃন্দ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোঃ জামশেদ আলী।

মাসিক সমন্বয় সভা শেষে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদ কে উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদের সম্মাননা দেয়া হয়। এসময় সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী। পরে পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত ৫জন কে ও হাউলী মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র কে শ্রেষ্ঠত্বের ক্যাটাগরিতে মনোনিত করা হয়।




দামুড়হুদায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালন

“ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দামুড়হুদায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

এ উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালী বের করা হয়। র‍্যালীটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে ব্রীজমোড়ে শেষ হয়। র‍্যালী শেষে মাথাভাঙ্গা নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
পরে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু।

বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেএস তাসফিকুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল কবীর ইউসুফ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া খাতুন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক মহলদার। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, দামুড়হুদা উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রশীদ, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ, ক্ষেত্র সহকারী হান্নান, অবসরপ্রাপ্ত ক্ষেত্র সহকারী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক লিভ সাইদ, মনজুর হাসান, ইউনুস আলী প্রমূখ।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দফতরের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মৎস্যজীবী ও মৎস্যচাষীদের সাথে মতবিনিময় করার পাশাপাশি উপজেলাব্যাপী মাইকিং করা হয়।




দর্শনায় ৪ টি স্বর্নের বারসহ ২ চাচাতো ভাই আটক

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা কাঁচাবাজার থেকে ৪টি অবৈধ স্বর্ণের বার ও তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ ২ জন চোরাকারবারীকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি পুলিশ)।

আজ বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে একদল ডিবি সদস্য অভিযান চালিয়ে চোরাকারবারীদের কোমরে নীল রঙের কাপড় দিয়ে পেঁচানো স্বর্ণের বার গুলো জনসমক্ষে উদ্ধার করে।

আটক চোরাকারবারীরা হলো দর্শনা পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামের ইউসুফ আলী ওরফে তেলা ইউসুফের ছেলে ইসরাফিল (৪০) ও একই গ্রামের রয়েল মন্ডলের ছেলে রেজাউল (৫০)। তারা পরস্পর আপন চাচাতো ভাই।

চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল-আজাদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের জানান, গোপনে খবর পেয়ে এসআই সোহেল রানার নের্তৃত্বে একদল ডিবি সদস্য লোকনাথপুর হতে সন্দেহভাজন দু’চোরাকারবারীকে ধাওয়া করে। তারা কালো রঙের হিরো হোন্ডা সিবিজেড (ঢাকা মেট্রো ল ১৩-৩৬৬৫) মোটরসাইকেল চালিয়ে দর্শনা কাঁচাবাজারে আসলে সেখান থেকে তাদের আটক করা হয়। এরপর তাদের কোমরে নীল রঙের কাপড় দিয়ে পেঁচানো স্বর্ণের বার গুলো জনসমক্ষে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা স্বর্ণের বারের ওজন ৪ কেজি ২৫ গ্রাম। যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এ ব্যাপারে দর্শনা থানায় আটক দু’চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে মামলা এবং উদ্ধারকরে জব্দ করা অবৈধ স্বর্ণের বারগুলো পরীক্ষা শেষে চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী কার্যালয়ে জমা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।




মুজিবনগরে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারির ফাঁদে হুমকিতে দেশীয় মাছ

মেহেরপুরে মুজিবনগর উপজেলায় ভৈরব নদীতে চায়না দুয়ারি’ জাল ব্যবহার করে নির্বিচারে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় জেলে সহ এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ। হুমকিতে পড়েছে দেশিয় প্রজাতির মাছ। পুরো ভৈরব নদী জুড়ে অসংখ্য চায়না দুয়াড়ী জাল। এসব দেখেও চোখ বন্ধ করে অন্ধ সেজে বসে আছে উপজেলা মৎস্য অফিস। এই জালের বিরুদ্ধে চোখে পড়ার মত নেই কোন কার্যক্রম।

খুব সহজে মাছ ধরার এই জাল ব্যবহারে বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে দেশীয় প্রজাতির মাছ অস্তিত্বের সংকটে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমান সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নিজস্ব উদ্যোগে মৃতপ্রায় ভৈরব নদী নতুন করে খননের ফলে হারিয়ে যাওয়া দেশিও প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
কিন্তু ভৈরব নদীতে ব্যাপক ভাবে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালের ব্যাবহারে এবং উপজেলা মৎস্য অফিসের নিংক্রিয়তার ফলে হারাতে বসেছে দেশিয় প্রজাতির মাছ সহ নদীর জীববৈচিত্র।

এই জালে গিটগুলোর যে দূরত্ব, তাতে এটি দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ জালের আওতায় পড়ে। তবে নিষিদ্ধ জালের তালিকায় থাকার পরের মৎস্য অফিসের নিংসক্রিয়তার সুযোগ নিয়েই অবাধে চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার করা হচ্ছে।
মাছের প্রজনন মৌসুমে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের পর এবার ভয়ংকর চায়না দুয়ারি নামক জালে দেশীয় প্রজাতির সব মাছ ধরা পড়ছে। শুরুর দিকে ভৈরব নদীতে এ জাল ব্যবহার হলেও এখন ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত গ্রামেও। বর্তমানে জেলে সহ স্থানীয় মানুষ অহরহ ব্যবহার করতে শুরু করেছেন এ জাল।

ভৈরব নদীর মিঠাপানির সব ধরনের দেশীয় প্রজাতির মাছ সূক্ষ এ জালের কানে ধরা পড়ছে। বিশেষ করে মাছের প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা চিংড়ি, পুটি, ট্যাংরা, কই, শিং, বেলে, বোয়াল, শোল, টাকিসহ দেশি প্রজাতির সব মাছ চায়না দুয়ারির ফাঁদে নিধন হচ্ছে। সেই মাছশূন্য হয়ে পড়ছে ভৈরব নদী।

আইন অনুযায়ী দেশে মাছ ধরার যেসব জালের অনুমোদন রয়েছে সেগুলোতে ‘মেস সাইজ’ তথা জালের ফাঁসের একটি গিট থেকে আরেক গিটের দূরত্ব হতে হয় ন্যূনতম পাড়ে ৪ সেন্টিমিটার। ‘মেস সাইজ তথ্য ফাঁসের আকার এর চেয়ে ছোট হলে সে ভাল আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ।

জেলেরা জানাচ্ছেন, চায়না দুয়ারি জালে এই ফাঁসের আকার সাড়ে ৪ সেন্টিমিটারের চেয়ে অনেক কম। ফলে এই জালে সব ধরনের মাছ ছেঁকে ওঠে। জেলেরা আরও বলেন, ‘পেশায় জেলে শুধু তাই নয়, মাছের ডিম পর্যন্ত আটকে যায় এই জালে। সহজেই মাছ ধরা যায় এবং দাম কম হওয়ায় বেশির ভাগ জেলে এখন এ জাল ব্যবহার করছেন। কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ জালের তালিকায় এর নাম না থাকাকে কারণ দেখিয়েও অনেকে এই জাল ব্যবহার করছেন।

জেলেরা আরও বলছেন, এখন অনেক শৌখিন মৌসুমি মৎস্য শিকারি মাছ ধরতে নেমেছেন। ফলে যারা পুরোনো কৌশলে মাছ ধরতেন, তাদের জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে চায়না দুয়ারি কিনছেন। নদীতে চায়না দুয়ারি জাল বন্ধে উপজেলা মৎস্য বিভাগেরর তেমন কোনো তৎপরতাও চোখে পড়ে না। প্রকাশ্যেই অনেকে চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার করেই মাছ ধরছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দা গোপালনগর গ্রামের এক জন জানান, দুপুর হলেই ছোট ছোট ডিঙিতে করে এই চানা দুয়ারি নদীতে ফেলা হয়। সারা রাত নদীতে রাখার পর সকালে তুলে আনা হয়। এ সময় জালে ধরা পড়ে দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় সব মাছ নদীতে থাকা জলজপ্রাণী, এমনকি ওঠে মাছের ডিমও। এ জাল দিয়ে মাছ ধরলে কিছু দিন পর হয়তো নদীতে আর কোনো মাছ পাওয়াই কঠিন হবে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক জেলে বলেন, ‘আগে কারেন্ট জাল ব্যবহার করলেও চায়না দুয়ারি আসার পর সেটি বাদ দিয়েছি। কারণ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরলে প্রশাসন উৎপাত করে। এ ছাড়া কারেন্ট জালের চেয়ে চায়না দুয়ারিতে মাছ বেশি পাওয়া যায়। ৫০ হাজার টাকা খরচ করে আটটি চায়না দুয়ারি কিনেছি।”

এমন মানুষও চায়না দুয়ারি নিয়ে মাছ ধরছেন। হাট-বাজারে গুণগতমান ও আকার অনুসারে তিন থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এ জাল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চায়না দুয়ারি দিয়ে মাছ শিকারি আরও কিছু মানুষ জানান, চায়না দুয়ারি দিয়ে মাছ ধরা ঠিক নয়, সেটি তারাও জানেন। তারপরও তারা মাছ ধরছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতি:) দায়িত্বে থাকা মেহেরপুর সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীন ইসলাম বলেন ‘এই জালে মাছসহ নানা ধরনের জলজ প্রাণীও আটকে যায়। যেসব মাছ বাজারে বিক্রি হয় না, সেগুলোও ধরা পড়ে। কিন্তু সেগুলো জালে আটকে গেলে আর নদীতে ফিরিয়ে দেয়া হয় না। ফলে দেশীয় মাছসহ নানা ধরনের জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
আমি কয়েক দিন আগে যোগদান করেছি বিষয়গুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আমার আলাপ হয়েছে চায়না না দুয়ারী জালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।




ঝিনাইদহে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের বাধা !

ঝিনাইদহে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের “মার্চ ফর জাস্টিস” কর্মসূচীতে পুলিশের বাধার শিকার হয়েছে।

আজ বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ভিআইপি রোড দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আদালতের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে এসময় এলজিইডি পিছনের দিকে পৌছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

পরে পুলিশের সাথে আধা ঘন্টা ব্যাপি আন্দোলনকারীদের তর্ক-বির্তক হয়। অবশেষে পুলিশের বাধায় তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে আন্দোলন কারীবা একটু পিছনে গিয়ে তাদের বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেণ এবং তাদের নয় দফা দাবি সম্বলিত বক্তব্য পেশ করেণ এছাড়া বৃহস্পতিবারের কর্মসূচী ঘোষণা করেণ।

এসময় সমন্বয়কারীদের মধ্যে তানভীর রহমান, হুসাইন. শারমিন সুলতান, রত্না উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনকারীরা জানান আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচীসহ তাদের বাদী আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।

এসময় পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান, সদর সার্কেলের এএসপি ইমরান জাকারিয়া, ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন উদ্দীন এবং ডিবি, ডিএসবিসহ পুলিশের সকল শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সকাল থেকে পুলিশ শহরে ছিল সতর্ক অবস্থায় ছিল রাস্তায় চেককপোষ্ট, কোর্টের সামনে একজন মেজিষ্ট্রেটের সমন্বয়ে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল।




ঝিনাইদহে সরকারি পুকুরে মাছ অবমুক্তকরণ!

সারাদেশে শুরু হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ। ‘ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানে ৩০ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে এ মৎস্য সপ্তাহ উৎযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী। তবে উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণের কথা থাকলেও সরকারি পুকুরে করা হয়েছে মাছের পোনা অবমুক্তকরন। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

জানা যায়, সপ্তাহ উপলক্ষে বুধবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালী শেষে সদর উপজেলা পরিষদের পুকুরে বিভিন্ন সাইজের ৬০ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করেন অতিথিরা।

সচেতন মহল বলছেন, পাছের পোনা অবমুক্ত করতে হবে উন্মুক্ত কোন জলাশয়ে। সেটা না করে সদর উপজেলার পুকুরে মাছ ছাড়া হলো। এর সুবিধা পাবে সরকারি কর্মকর্তারা। যা মোটেও কাম্য নয়।

ঝিনাইদহ কৃষি ও মৎস্য খামারের স্বত্তাধীকারী মিজানুর রহমান বলেন, অবমুক্তকরণ বলতে বোঝায় উন্মুক্ত জলাশয়ে। এর আগে আমরা দেখেছি নবগঙ্গা নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করতে। কিন্তু এবার করা হলে উপজেলা পুকুরে। এই মাছ উপজেলা প্রশাসন ছাড়া কেউ ধরতে পারবে না। মাছের পোনা নদীতে ছাড়লে নদী পাড়ের বাসিন্দা, জেলে পরিবার সেই মাছগুলো ধরতে পারত। কিন্তু উপজেলার পুকুরে ছাড়া মানে তা সরকারি কর্মকর্তাদের পেটে যাওয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মৎস্যজীবি বলেন, আমাদের জন্য মাছ না ছেড়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সরকারি পুকুরে মাছ ছেড়েছে। যা সম্পুর্ন অনিয়ম।

এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উদাপন কমিটির সদস্য সচিব ফরহাদুর রেজা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করার নিয়ম আছে। আগে নদীতে পোনা অবমুক্ত করা হতো এবার কেন হলো না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওটাও করা হবে। বরাদ্ধ পেলে নদীতেও অবমুক্ত করা হবে।




ঝিনাইদহে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালিত

“ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” এ শ্লোগানে ঝিনাইদহে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত কার্য্যক্রম বিষয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, পুকুরে পোনামাছ অবমুক্ত ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর প্রাঙ্গন থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সদর উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সেসময় উপজেলা পুকুরে ৬০ কেজি পোনামাছ অবমুক্তকরা হয়। পরে সদর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মাসুম, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, জেলা মৎস্য অফিসার ফরহাদুর রেজা, উপজেলা মৎস্য অফিসার গোলাম সরোয়ার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুল হাই, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বর্ষা হিজরা, প্রমূখ। উল্লেখ্য, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ৩০ জুলাই থেকে ০৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।