আলমডাঙ্গায় ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী নাজমুল গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গার জুগিরহুদায় মাদক অভিযান চালিয়ে ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী নাজমুল আলী (৩৪)কে আটক করেছে পুলিশ।

আজ রবিবার দুপুরে বড়-গাংনী তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক বাবর আলীর নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মাদক ব্যবসায়ী নাজমুল আলী খাদেমপুর ইউনিয়নের জুগিরহুদায় গ্রামের শুকচানের ছেলে।

পুলিশ জানায়, উপজেলা খাদেমপুর ইউনিয়নের জুগিরহুদা গ্রামের মিলু ও তার স্ত্রী দীর্ঘদিন মাদকদ্রব্য গাঁজার ব্যবসা করে আসছে। তাদের খুচরা বিক্রেতা হিসেবে সহযোগীতা করছে একই এলাকার গাঁজা ব্যবসায়ী নাজমুল আলী।

আজ রবিবার দুপুরে নাজমুল তার ব্যবসায়ী মিলুর স্ত্রীর নিকট থেকে ২০০ গ্রাম গাঁজা বিক্রির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এসময় বড়-গাংনী তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক বাবর আলী সঙ্গীয় ফোর্স ওই এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায়।

জুগিরহুদা গ্রামের পাঁকা রাস্তার উপর থেকে নাজমুলকে কাপড়ের শপিং ব্যাগসহ আটক করে। পরে পুলিশ ওই ব্যাগ তল্লাশি করে ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে।

এদিকে জুগিরহুদা গ্রামবাসীরা জানান, মিলু ও তার স্ত্রী দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করলেও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এতে সমাজের উঠতি বয়সের যুবকেরা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবিষয়ে তাদের কোন ভুমিকা পাওয়া যায় না। এদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

এঘটনায় আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গণি মিয়া জানান, নাজমুল আলী সে গাঁজা সেবনের পাশাপাশি গোপনে ব্যবসা করেন। বড়-গাংনী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের নেতৃত্বে মাদক ব্যবসায়ী নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।




হরিণাকুণ্ডুতে শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক দিয়ে নিয়োগ বোর্ড বসালেন মাদ্রাসা কমিটি

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গাড়াবাড়িয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় বড় অংকের ঘুষের বিনিময়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পরিবর্তে অফিসের হিসাবরক্ষক কাম অফিস সহকারীকে দিয়ে বিধি বহির্র্ভূত ভাবে ইবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক এবং কম্পিউটর ল্যাব সহকারী নিয়োগের বোর্ড বসানোর অভিযোগ উঠেছে।

গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল নয়টায় অতি গোপনে নিজ মাদ্রাসায় এই নিয়োগ বোর্ড বসান প্রতিষ্ঠানের সুপার আব্দুল আলিম। এই নিয়োগ নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ এবং নিয়োগের বিপরিতে রয়েছে মামলাও তবে কোন বিষয় তোয়ক্কা না করে ২০লক্ষ টাকার বিনিময়ে দেশের এই কারফিউ পরিস্থিতির মধ্যেও নিয়োগ বোর্ড বসালেন মাদ্রাসা সুপার।

মাদ্রাসার নিয়োগ প্রত্যাশি দুজন ভুক্তভোগীর মধ্যে আফরিন জাহান নামে একজন এই পাতানো নিয়োগ বন্ধের দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছে। এই আবেদনে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠান একাধিকবার নিয়োগের সার্কাকুলার দিয়েছে, আমি ল্যাব সহকারী পদে চাকুরীর জন্য প্রথমবার আবেদন করেছি, কিন্তু আমাকে কিছু না জানিয়ে এবং পরীক্ষার প্রবেশপত্র ইস্যু না করে টাকার বিনিময়ে সম্পুর্ণ বিধি বহির্ভূত ভাবে এবং গোপনে নিয়োগ বোর্ড বসিয়েছেন, তদন্ত সাপেক্ষে আমি এই অবৈধ নিয়োগ বোর্ড বাতিল এবং এই ঘুষখোর নিয়োগ কমিটির বিচার দাবি করছি।

আরও জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য আসাদুল ইসলাম, ২০ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে গোপনে দেশের অপচলিত পত্রিকায় প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কারণে হরিণাকুণ্ডু নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন করেন । আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী অফিসার উভয় পক্ষকে ডেকে একটি সমঝতা করে দেন। এরপর আবার ষড়যন্ত্র করে গোপনে ১০অক্টেবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে দাতা সদস্য আদালতে মামলা করেণ, যার নং ১৫/২৩ , মামলাটি চলমান রয়েছে। এই অবস্থায় আবার তৃতীয়বার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটির কয়েকজনকে নিয়ে গোপনে মিটিং করে টাকা ভাগাভাগির মাধ্যমে গত ১৯ জুলাই সবত্র শাট ডাউনের মধ্যে নিযোগ বোর্ড বসানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তা আর সম্ভব হয়নি। পরে একই কায়দায় গত ২৬ জুলাই মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী রাজিয়া সুলতানার উপস্থিতিতে নিয়োগ বোর্ড বসান।

সেখানে বিধি মোতাবেক শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের উপস্থিত বাধ্যতামূলক থাকলেও তার পরিবর্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক মোঃ ফিরোজ আহমেদ প্রতিনিধিত্ব করেণ যা সম্পুর্ণ অবৈধ। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী বলেন, আমার প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ বোর্ডে হিসাবরক্ষকে পাঠিয়েছি, তবে রেজুলেশনে আমি স্বক্ষর করবো। তাকে প্রতিনিধি পাঠানোর নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন ডিসি সাহেব প্রতিনিধি পাঠালে হবে, আমি পাঠালে হবে না কেন? এবিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারই মন্ত্রনালয়ে প্রতিনিধি ওনাকে স্বশরীরে নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত থাকতে হবে ওনি কাউকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাতে পারেন না, পাঠালে নিয়োগ বোর্ড হবেনা। নিয়োগ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের সুপারেন্টটেন্ড মোঃ আব্দুল আলিম বলেন আমরা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারা নিয়োগ বোর্ডে আসছেন তাদের দিয়েই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সঠিক হয়েছে কিনা ওনারা ভাল জানেন। মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বলেন কোর্টের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। এছাড়াও সুপারের বিরুদ্ধে ক্যাশবুক লেখায় অনিয়ম, ছাত্রছাত্রীদের বেতন আদায়, শিক্ষকদের ভাতা প্রদান, কৃষি জমির আয়, অনুদান, সঠিক ভাবে ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে হাতে রেখে খরচ করার অভিযোগও রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের সভাপতি টুলু মন্সীকে বার বার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। এঅবস্থায় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বন্ধ করে স্বচ্ছতার সাথে বিধিমোতাবেক নিয়োগের আবেদন জানান এলাকাবাসী।




ডিবি কার্যালয়ে মারজুক রাসেল

গীতিকার ও অভিনেতা মারজুক রাসেল নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত কয়েকদিন থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে একের পর এক প্রচারণা চালিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। পেজটি থেকে সরকার নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা ও সরকার বিরোধী নানা পোস্টও দেওয়া হয়েছে এবং সেই পোস্টগুলো দ্রুত ভাইরালও হয়েছে।

সাধারণ মানুষের ধারণা মারজুক রাসেলই এমনটি করছেন। কিন্তু সোশ্যালে ভাইরাল হওয়া সেই পেজটি মারজুক রাসেলের নয়। কেউ তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে এমটা করছেন বলে জানিয়েছেন মারজুক রাসেল।

বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাতে রবিবার রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে আসেন মারজুক রাসেল।

এ সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেন, আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে বেশ কয়েকদিন ধরে উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। যেটার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততা নেই।

বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রত হচ্ছি। যারা আমাকে চেনেন, বিশেষ করে আমার লেখালেখি, আমার অভিনয়,আমার জীবন যাপনের ধরণ সম্পর্কে যারা ডিটেইলে জানেন তারা ছাড়া অধিকাংশ মানুষই কনফিউজড।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১২ নং দোগাছি ইউনিয়নের ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল (বিবিজি)’র ১ম কিস্তির উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

উপকরণের অংশ হিসাবে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে একটি করে কম্পিউটার প্রিন্টার, একটি স্টিলের আলমারি ও দুটি করে সিলিং ফ্যান বিতরণ করা হয়। আজ রোববার দুপুরে এ উপলক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিউটন বাইন, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রবীর কানজিলাল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লাটুসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।




ভিপিএন ব্যবহারে যেসব ক্ষতি হতে পারে

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশে ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটে। ধীরগতির পর বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল ইন্টারনেট এবং ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এমন পরিস্থিতিতে দেশে ভিপিএনের ব্যবহার বেড়েছে।

প্রাইভেট ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক সংক্ষেপে ভিপিএন বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। এটি ব্যবহারকারীর অনলাইন কার্যকলাপকে সুরক্ষিত করতে এবং গোপনীয়তা রক্ষা করতে সাহায্য করে।

ভিপিএন সেবায় সত্যিকারের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুবিধার কথা উল্লেখ থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে এগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

ভিপিএন ব্যবহারকারীর ডেটা যেহেতু ভিপিএন সেবাদাতার হাত দিয়ে যায়, তাই সেবাদাতার সততার ওপর নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা। ভিপিএন ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ভিপিএন ব্যবহারে খেয়াল রাখা দরকার এর অসুবিধা বা ঝুঁকি কতটুকু।

ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়া

ভিপিএন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সাধারণ অসুবিধা হলো ইন্টারনেট সংযোগের গতি কমে যাওয়া। যেহেতু ভিপিএন বিভিন্ন দুর্গম সার্ভারের মধ্য দিয়ে ডেটা পাঠায় ও ডেটা ট্রান্সমিশন এনক্রিপ্ট করে; সেহেতু ব্রাউজিংয়ের সময় কম গতি ও বিলম্বের মতো অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে পারেন ব্যবহারকারী।

সাইবার নিরাপত্তা

ভিপিএনের প্রাথমিক কথাই হচ্ছে ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন রাখা। ফলে কোনো কারণে ব্যবহারকারীর ক্রেডেনশিয়াল বা পরিচয় শনাক্তকরণ তথ্যাদি–ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড অন্য কেউ পেয়ে গেলে সেগুলোর অপব্যবহার করে তৃতীয় কেউ তার অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিতে পারে। সহজ ভাষায়, হ্যাকারের হাতে ভিপিএন ব্যবহারকারীর তথ্য চলে গেলে হ্যাকিং অনেক সহজ হয়ে যায়।

জটিলতা ও কারিগরি চ্যালেঞ্জ

একটি ভিপিএন সেটআপ বা কনফিগার করা অনভিজ্ঞ ব্যবহারকারীর কাছে ভীতিকর হতে পারে, বিশেষ করে এনক্রিপশন প্রোটোকল, সার্ভার বাছাই ও ‘টানেলিং’ আলাদা করার মতো বিভিন্ন উন্নত ফিচার ব্যবহারের ক্ষেত্রে।

এ ছাড়া, ইন্টারনেট সংযোগে ‘ট্রাবলসশুটিং’, ‘ডিএনএস’ বা ‘ডোমেইন নেইম সিস্টেম’ ফাঁস বা নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ্লিকেশন অথবা ডিভাইস সেটআপের বেলায় কারিগরি বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা, এমন বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে তুলনামূলক কম প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছে।

খরচের বিষয়

অনেক ভিপিএন গ্রাহক সেবা বিনা মূল্যে বা কম খরচে ব্যবহার করা গেলেও প্রিমিয়াম শ্রেণির ভিপিএন সেবাগুলোয় বিভিন্ন উন্নত ফিচার ও উচ্চগতির সার্ভার ব্যবহারের সুবিধা মেলে। তবে এ ক্ষেত্রে পয়সা গুনতে হয়।

সেবাদাতার ওপর নির্ভরতা

বিভিন্ন ভিপিএন সেবায় সত্যিকারের প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা সুবিধার কথা উল্লেখ থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে এগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বর্তমানে হাজার হাজার ভিপিএন সফটওয়্যার ও অ্যাপ পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীর ডেটা যেহেতু ভিপিএন সেবাদাতার হাত দিয়ে যায়, তাই সেবাদাতার সততার ওপর নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা।

সূত্র: ‌ইত্তেফাক




শুটিংয়ে বাছাইপর্বে বাদ বাংলাদেশের রবিউল

প্যারিস অলিম্পিকে ছেলেদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে অংশ নেন বাংলাদেশের রবিউল ইসলাম। তবে বাছাইপর্ব থেকেই বাদ পড়েছেন বাংলাদেশি এই শুটার। ৪৯ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৪৩তম হয়েছেন তিনি।

রোববার (২৮ জুলাই) শাতুহু শুটিং সেন্টারে বাছাইপর্বে ৬২৪.২ স্কোর করেন রবিউল। বাছাইপর্বে শীর্ষে থাকা চীনের লিহাও শেংয়ের স্কোর ৬৩১.৭। তার সমান স্কোর করে দ্বিতীয় হন আর্জেন্টিনার মার্সেলো হুলিয়ান গুতিরেজ।

বাছাইপর্বের সেরা আটজন শুটার লড়বেন পদক জয়ের লড়াইয়ে। ফাইনাল খেলার স্বপ্নে নিয়ে প্যারিসে পাড়ি জমিয়েছিলেন রবিউল। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে ব্যর্থ হলেন বাংলাদেশের এই শুটার।




গাংনীতে দু’বছরেও শেষ হয়নি প্রায় ৫ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ কাজ

নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার যুগিদা-কুচুইখালী ব্রিজের নির্মাণ কাজ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে অন্তত ২০ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাত্র ২০ ভাগ কাজ শেষ করে অর্ধেক বিল তুলে নিয়েছেন। মাঝে মধ্যে দু একজন শ্রমিক এসে কাজ করে চলে যান। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ সম্পন করার তাগিদ দেয়া ছাড়াও কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে দাবী করেছেন গাংনী উপজলা প্রকৌশল অফিস।

জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরর বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে অনূর্ধ ১০০ মিটার ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় ৬৩ মিটার ব্রিজ নির্মাণের কাজ পায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী। সে অনুযায়ি গাংনীর যুগিদা-কুচুইখালী রাস্তার ছেউটিয়া খালের উপর ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কামার জানি সুমন জেভি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২২ ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরু করেন। যার প্রাক্কলিত ব্যায় ধরা হয় চার কাটি ৭১ লাখ টাকা।

মাত্র কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে কাজ করায় অদ্যাবদি মাত্র ২০ শতাংশ কাজ করা হয়। পুরাতন ব্রিজটি অকেজো ও চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় ব্রিজ নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা ভেস্তে গেছে। ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে অন্তত: ২০ গ্রামের কয়েক লাখ লোক চলাচল করেন। এদের মধ্যে সিংহভাগই রয়েছেন শিক্ষক শিক্ষার্থী চাকরীজীবী ও ব্যবসায়ী। পুরাতন ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলা ও বাইপাশ না থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়ছেন এলাকাবাসী।

জুগিদা গ্রামের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম জানান, ব্রিজটি না হওয়ায় এলাকার মানুষের নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসা বাণিজ্য শিক্ষা ও কৃষি পণ্য পরিবহণে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করায় অনেক খরচ বেড়েছে। একই কথা জানালেন শিক্ষক সিয়াম ও শিক্ষার্থী আবু জাফর। তারা বলেন, ব্রিজটি নির্মিত হলে এলাকাবাসী সব ধরনের সুবিধা পেতো অথচ এটা এখন সবার গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন তিন থেকে চার দফায় কাজ করতে আসেন। দুয়েকদিন কাজ করে চল যায়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে শ্রমিকদের টাকা বকেয়া পড়ে যাওয়ায় কোন শ্রমিক আর কাজ করতে চাইছেন না।

কচুইখালি গ্রামের ইজিবাইক চালক রুপক বলেন, ভাঙ্গা ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করা যায় না। ব্রিজের এপার থেকে ওপারে যেতে ১০ গ্রাম ঘুরতে হয়। সাইকেল মোটরসাইকেল নিয়েও যাওয়া কষ্টকর। বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ট্রাক্টর চালক সালাম জানান, চিৎলা বাহাগুদা কচুইখালি এলাকার মাঠ চাষের জন্য যেতে হয়। শুধু ব্রিজটি শেষ না হওয়ায় ৮/১০ কিলোমিটার ঘুরতে হয়। এতে খরচ বেশি হয়।

ব্রিজ নির্মান ধীরগতি ও বন্ধের বিষয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সাথে একাধিকবার মুঠাফানে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত ফানটি বন্ধ পাওয়া যায়।

গাংনী উপজলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের লোকজন সঠিক সময় কাজ শুরু করলেও পরে তাদের অর্থনৈতিক জটিলতা দেখা দেয়। শ্রমিক অসন্তোষের কারনে কাজটি বন্ধ ছিল। বেশ কয়েকবার তাগিদ দেয়ার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করছে। কাজ শেষ করার জন্য কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।




কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা মামলায় পাশা চেয়ারম্যানের ছেলে গ্রেপ্তার

কোটা সংস্কার আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গাংনীর এক ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার কিশোরের নাম আশফাক উজ জামান সৌরভ (১৮)।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাড়ি থেকে সৌরভকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে কুষ্টিয়া মডেল থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ গতকাল শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মিনাপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন পাশার ছেলে। আনোয়ার হোসেন ওই ইউনিয়ন  যুবলীগ সভাপতি।

পুলিশ বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতার ঘটনায় জড়িত সৌরভ। ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্তের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শেখ সোহেল রানা জানান, চৌড়হাস ফুলতলা এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলার পর ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযান চালানো হয়। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা থেকে ওই ছেলেকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জুলাই বিকেলে শহরের চৌড়হাস ফুলতলা এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় ১৮ জুলাই রোহাজ আরেফিন ওরফে রাব্বি (২৪) নামের এক তরুণ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঘটনার দিন বিকেলে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তিন দফায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের ফেলে যাওয়া সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন কোটা আন্দোলনকারীরা। পরে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই মামলায় সিসি টিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের গ্রেপ্তার করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

স্থানীয়রা গ্রেপ্তার কিশোরের বাবার পদপদবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আনোয়ার হোসেন পাশা চেয়ারম্যানের চাচা মকবুল হোসেন ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তিনি মেহেরপুর-২(গাংনী) আসনে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত দুইবারের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ছিলেন। আরেক চাচা গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন।

মুঠোফোনে ছেলের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন পাশা বলেন, সৌরভ কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। শহরের পেয়ারাতলার একটি ম্যাসে থেকে পড়াশোনো করতো। বৃহস্পতিবার দিকবাগত রাত ১টার দিকে ডিবি পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। পুলিশের অভিযোগ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতার ঘটনায় নাকি আমার ছেলে জড়িত। ফুটেজ দেখে তারা সনাক্ত করেছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন,শুক্রবার দুপুরে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে সৌরভকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে




ঝিনাইদহে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ পৌরসভার আয়োজনে ৬ দিন ব্যপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝিনাইদহ পৌরসভার আয়োজনে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের সভাপতিত্বে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন শুভ্রা রানী দেবনাথ।

সেসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার সকল কাউন্সিলরবৃন্দ। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে রোগ নির্নয় করে রোগীদের বিনামুলে সকল প্রকার ঔষধ বিতরণ করা হয়। এই চিকিৎসা সেবা পেয়ে পৌরবাসী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।




অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা ফাউন্ডেশনে’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আঞ্চলিক ভাষা রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আজ শনিবার সকালে ঝিনাইদহের অনলাইন ভিত্তিক জনপ্রিয় সংগঠন “ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা ফাউন্ডেশন” এর এক  সভা ও গ্রুপ ক্রিয়েটর আমেরিকা প্রবাসি তরিকুল ইসলাম মিঠুর সংর্বধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঝিনাইদহ জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ ইকবাল কাজল।

দুই দিন ব্যাপী এই সংর্বধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ঝিনাইদহ চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা জোহান ড্রিম ভ্যালির মালিক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম মিঠু, সাইফুল ইসলাম লিকু, মাসুদ রানা, ফিরোজা জামান আলো, মোরশেদ আলম, নাজমুল হাসান সবুজ, সাইদুল ইসলাম টিটো, মহাব্বত আলী, নিপা জামান, সুরভি ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, জাম্মিম সবুজ, কবি ও সাহিত্যিক এমদাদ শুভ্র, মেহেদী হাসান সুমন, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মেন্দি ও আনিছুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পরিচালনা করেন আঞ্চলিক ভাষার গবেষক ও বিশিষ্ট ব্যাংকার এনামুল হক।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ঝিনাইদহ চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, জেলার আঞ্চলিক ভাষা আমাদের প্রাণ। শিশুকাল থেকে আমরা মায়ের ভাষা রপ্ত করে আঞ্চলিকতা প্রাধান্য দিয়ে আসছি। ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা চার্চার মাধ্যমে এই ভাষাকে সমুন্নত রাখতে সংগঠনটি প্রধান ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। তিনি নিজ নিজ সন্তানদেরকে আঞ্চলিক ভাষা শেখানোর পাশাপাশি তাদের আদার ও শাসন করার তাগিদ দেন।

সংর্বধনার জবাবে গ্রুপ ক্রিয়েটর ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমেরিকা প্রবাসি তরিকুল ইসলাম মিঠু বলেন, বিশ^ব্যাপী আঞ্চলিক ভাষা ছড়িয়ে দেওয়ার এক যুগ সন্ধিক্ষনে এই সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। “ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা ফাউন্ডেশন” এখন অনেক বড় একটি অনলাইন ভিক্তিক প্লাটফর্ম।

অনুষ্ঠানের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ ইকবাল কাজল বলেন, ঝিনাইদহের ভাষা মিষ্টি ও মধুর। এই ভাষায় রয়েছে মাটির টান। আমরা জেলার আঞ্চলিকা ভাষা হারিয়ে যেতে দেব না। নিয়মিত নিজের সন্তানকে এই ভাষা শিখিয়ে আঞ্চলিকতাকে পুর্নতা দিতে বদ্ধপরিকর। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের ক্রেষ্ট ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।