পাখিভ্যান হারিয়ে প্রতিবন্ধী জিয়ারুল এখন দিশেহারা

কোনো কাজ করতে পারেননা প্রতিবন্ধী জিয়ারুল ইসলাম (৩২)। অন্যের কাছে ধারদেনা করে ইঞ্জিনচালিত একটি পাখিভ্যান কেনেন তিনি। এই ভ্যান চালিয়েই চার সদস্যের মুখে আহার জোগাতেন তিনি। ছিনতাইকারীর হাতে পাখিভ্যানটি হারিয়ে প্রতিবন্ধী জিয়ারুল ইসলাম এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

প্রতিবন্ধী জিয়ারুল জেলার গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের উত্তরপাড়ার নায়েব আলীর ছেলে। তিনি জানান, ‘গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে ভ্যানটি নিয়ে বাড়ি থেকে গাংনী উপজেলা শহরে যাচ্ছিলাম। হাড়িয়াদহ ও মালশাদহ মাঠে পৌছানো মাত্রই ৫/৭ জনের ছিনতাইকারী দল আমার পাখিভ্যানটি ছিনিয়ে নেয়। পরে চোখ বেঁধে সড়কের পাশেই মাঠের মধ্যে গাছের সাথে বেঁধে রাখে।’

একই সময়ে ওই সড়কে যাত্রী বোঝাই আলী হোসেন নামের অপর ভ্যান চালকের পাখিভ্যান ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায় ওই দলটি। আলী হোসেন ও তার ভ্যানের যাত্রীরা চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাতেই গাংনী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

রাইপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য রাজু আহমেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম পুলিশের একটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থল যাই।  ইতোমধ্যে ভ্যানটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে আজ রবিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর এ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলামসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তারা ঘটনাস্থলের পাশেই ইটভাটার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন।




গাংনীর জোড়পুকুরিয়াতে আগুনে পুড়লো দরিদ্র মাছ ব্যবসায়ীর স্বপ্ন

গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে এক দরিদ্র মাছ ব্যবসায়ী বসতবাড়িসহ গোয়াল ঘরে থাকা ২টি গরু পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে।

আজ রোববার সকাল ১১ সাহারবাটি ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সাইরপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী হারান আলীর বসতঘরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। হারান আলী ওই এলাকার চান আলী’র ছেলে। এঘটনায় ওই কৃষকের কমপক্ষে ৪ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী গৃহকর্তা।

অগ্নিকান্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহাবুদ্দীন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় হারান আলীর ছোট বোন রঙ্গিলা ও স্বামী পরিত্যক্ত বাছেনা খাতুনের ঘরবাড়িও পুড়ে গেছে। জানা গেছে, জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সাইরপাড়া বাসিন্দা হারান আলী পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। সময়ে সময়ে তিনি দিনমজুরী কাজও করেন। তাদের বসতঘর লাগোয়া ছিল গরুর গোয়াল ঘর। আজ সকাল ১১ টার দিকে তার বোন রঙ্গিলা খাতুনের বসতঘরে বৈদ্যুতিক সটসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। ওইসময় আগুন মুহূর্তে বসতঘর থেকে পাশের গোয়াল ঘর ও খড়ের গাদায় ছড়িয়ে পড়ে।

ইউপি মেম্বর শাহাবুদ্দীন বলেন, ওইসময় বসতঘরে পরিবার সদস্যরা ছিলোনা। আগুন ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পানি ছিটিয়ে নেভানোর পাশাপাশি বামন্দী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ততক্ষণে গোয়াল ঘরে থাকা ২টি গরু পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডে বসতঘরের সঙ্গে নগদ সাড়ে ৬ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ও বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

খবর পেয়ে বামন্দী ফায়ার স্টেশনের পানিবাহি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ততক্ষনে কৃষক দরিদ্র মাছ ব্যবসায়ী হারান আলী, রঙ্গিলা খাতুন ও বাছেনা খাতুনের সহায় সম্বল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে রয়েছে তিনটি পরিবারের সদস্যরা। গৃহকর্তা হারান আলী বলেন, আগুন লাগার সময় পরিবার সদস্যরা কেউ ছিলনা। আগুনে পুড়ে সবকিছু ভস্মিভূত হয়ে গেছে আমার।




কুষ্টিয়ায় ইবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা, রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি

সকল প্রকার সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সকল প্রকার কোটা সংস্কারের দাবিতে এবার ক্যাম্পাস ছেড়ে ২৩ কি.মি. দূরে কুষ্টিয়া শহরে পদযাত্রা করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

পদযাত্রার একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

রোববার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টায় ক্যাম্পাসের বাসে করে কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড়ে একত্রিত হয় শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে চৌড়হাস থেকে মজমপুর পর্যন্ত গণ পদযাত্রা করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের প্রতিনিধিরা ডিসির অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি)র কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সংসদে অধিবেশন ডেকে আমাদের দাবিগুলো আমলে নিয়ে কমিটি গঠন করে বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার করবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দাবিদাওয়া মেনে নিয়ে আমাদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে দিক।




স্যামসাং কর্মীদের ধর্মঘটের ডাক

স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কর্মীরা ভালো বেতনের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে স্যামসাংয়ের নির্বাহী পরিষদের কাছে নিজেদের দাবি তুলতে ধর্মঘট শুরু করেছেন কর্মীরা। কর্মীদের ইউনিয়ন দাবি পূরণ করতে না পারলে আরও বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে। ন্যাশনাল স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স ইউনিয়নের মোট সদস্য প্রায় ৩০ হাজার। তাদের কিছু অংশ ধর্মঘটে সাড়া দিয়েছে।

রয়টাসের সূত্রে জানা যায়-স্যামসাংয়ের কর্মীরা বার্ষিক ছুটির সঙ্গে অতিরিক্ত একদিন ছুটি ও কর্মচারীদের বোনাস সিস্টেমে পরিবর্তনের জন্য ধর্মঘটের মাধ্যমে চাপ তৈরি করছে।

কর্মীদের তুলনায় কম অংশগ্রহণ ও স্বয়ংক্রিয় উৎপাদনের কারণে স্যামসাংয়ের কাজে তেমন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এমন ধর্মঘট চিপ শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। স্যামসাংয়ের মতো বড় প্রযুক্তি সংস্থা ধীরে ধীরে কাজ কর্মে বেশি বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার শুরু করছে বলে কর্মীদের সামনে নতুন সব চ্যালেঞ্জ হাজির হচ্ছে। গত মাসে স্যামসাংয়ের কর্মীদের ইউনিয়নের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গণ ওয়াকআউট বা কর্মস্থল ত্যাগ করে। বার্ষিক ছুটির সমন্বয়ের জন্য কাজ বন্ধ করে দেয়। কর্মীদের ওয়াকআউটের কারণে উত্পাদনে কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না বলে জানিয়েছে স্যামসাং।

এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক এই সপ্তাহে ধর্মঘট করেছে। বেশিরভাগ কর্মী উৎপাদন কারখানা ও পণ্য বিকাশে যুক্ত। স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন লাইনের কিছু কর্মী ধর্মঘটে যুক্ত হচ্ছেন বলে মূল কাজে প্রভাব তৈরি হতে পারে। ইউনিয়ন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিউলের দক্ষিণে স্যামসাংয়ের সদর দফতরের কাছে বৃষ্টির মধ্যে প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট লি হিউন-কুক বলেন, স্যামসাং কর্মীদের প্রস্তাব গ্রহণ না করলে আরও ধর্মঘট হতে পারে। স্যামসাংকে কর্মীরা বেতন ও বার্ষিক ছুটির শর্ত নমনীয় করতে চাপ দিচ্ছে। ইউনিয়ন কর্মকর্তারা বোনাস ব্যবস্থায় সমতা চান। অভিযোগ আছে নির্বাহী পর্যায়ের কর্মীদের বোনাস ব্যক্তিগত কর্মক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। কর্মীদের বোনাসে অন্যায্য আচরণ মানতে রাজি না ইউনিয়ন। তাই অনেক কর্মী অস্পষ্ট বোনাস স্কিম নিয়ে সন্তুষ্ট না।




আবেদ কাকা

লুটছে টাকা আবেদ কাকা
গড়ছে বাড়ি গাড়ি,
মাথায় টুপি ধরছে চুপি
কাউকে নাহি ছাড়ি।
আবেদ কাকা ঘুরায় চাকা
সাথে ছিলো কারা,
থাকে বেহুশ নিতে যে ঘুস
আবেদ এর স্যার যারা।
মিথ্যে দিয়ে ভেঙে হিয়ে
কী লাভ হলো তবে,
সব বলে যায় করে হায় হায়
ক্যামনে এমন হবে?
জানতো কাকা হবে বাঁকা
পড়বে একদিন ধরা,
সবাই ব্যস্ত করতে ন্যস্ত
আবেদ জিন্দা মরা।
আহারে দেশ করছে সব শেষ
আবেদের স্যার গুলো,
আবেদ জেলে সব কিছু ফেলে
বসে খাবে মুলো।



মাদ্রিদ না লন্ডন, শিরোপার গন্তব্য কোথায়?

শেষ হচ্ছে ২৪ দল নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে চলতে থাকা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মহারণ। পুরো আসরেই ছিল টানটান উত্তেজনা, মিশে ছিল নানান তর্কবিতর্ক। আজ রাতে স্পেন-ইংল্যান্ডের ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে টুর্নামেন্টের ১৭তম আসরের। এই ম্যাচ শুধু দুটি দেশের শিরোপালড়াই নয়, এই ম্যাচে একাধিক খেলোয়াড়ের মধ্যেও দেখা যাবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

যুদ্ধ হবে হ্যারি কেইন বনাম রদ্রির, জুড বিলিংহ্যাম বনাম লামিন ইয়ামালের। পাশাপাশি লড়াই সাউথগেটের মস্তিকের সঙ্গে লুইস দে লা ফন্তের অভিজ্ঞতার। আজ রাত ১টায় অলিম্পিয়াস্টাডিয়ন বার্লিন স্টেডিয়ামে হবে এমন রোমাঞ্চকর লড়াই।

এই প্রথম বিদেশের মাটিতে ফাইনাল খেলবে ইংল্যান্ড। এছাড়া গেল আসরে প্রথম বারের মতো ইউরোর ফাইনাল খেললেও শিরোপা ছুতে পারেনি তারা। এসব নজিরের সামনে দাঁড়িয়ে এক অবাক বিস্ময় ব্রিটিশদের মধ্যে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০-এর হতাশা ভুলিয়ে বার্লিন থেকে কাপ নিয়ে ফিরবেন বিলিংহাম, সাকা ও ওয়াকাররা। এছাড়া ১৯৬৬ সালে ফিফা বিশ্বকাপ জয়ের পর এখন পর্যন্ত কোনো শিরোপার স্বাদ পায়নি ইংল্যান্ড। তাই বলা যায়, ইংলিশরা এই ম্যাচে নিজেদের সামর্থের সবটুকু দিয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের দিকেই ছুটবেন। তবে কাজটা মোটেও সহজ হবে না।

কেননা, স্পেনও এই শিরোপার জন্য মরিয়া। প্রায় এক যুগ ধরে শিরোপার দেখা পায়নি স্প্যানিশরা। সবশেষ ২০১২ সালে ইউরো শিরোপা জিতেছিল তারা। এরপর আর সুবিধা করতে পারেনি দলটি। তবে এবার যেন অন্য আত্মবিশ্বাসেই ছুটছে লা রোজারা। সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে, যেমন তাদের শিবিরে রয়েছে তরুণদের জাদু, তেমনি রয়েছে অভিজ্ঞদের সহায়তা। সব মিলিয়ে যেন এবারের শিরোপা নিজেদের ঘরে তোলার পণ করেই জার্মানে পা রেখেছেন লামিন-মোরাতারা। এতে বলাই যায়, ফাইনাল বিশ্ব ফুটবলে ছড়াবে অন্যরকম রোমাঞ্চ। মাঠে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না।

একনজরে স্পেনের এবারের ইউরো

এবারের আসরে এখনো পর্যন্ত অপরাজিত লা রোজারা। আর এতে ১২ বছর পর ফের ইউরো কাপের ফাইনালে উঠেছে স্পেন। গ্রুপ পর্যায়ে এবার স্পেন শুরু করেছিল লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। ৩-০ গোলে জিতে এবার ইউরো শুরু করেছিলেন লা ফন্তের শিষ্যরা। এছাড়া গতবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির বিরুদ্ধেও স্পেনের জয় ১-০ গোলে। একই ব্যবধানে হারিয়েছে ২০১৬ সালের পর এবারে ইউরো খেলতে আসা আলবেনিয়াকেও।

এই ইউরোতে স্পেন একমাত্র দল, যারা গ্রুপের ম্যাচে দল নিয়ে নানা পরীক্ষা করেছে। বিশ্বকে উপহার দিয়েছে তাদের নতুন তিকিতাকা, যার উদাহরণ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জর্জিয়া ম্যাচ। জর্জিয়া এবারের আসরের সবচেয়ে দ্রুত ফুটবল খেললেও স্পেনের কাছে এসে করেছে আত্মসমর্পণ। হেরেছে ৪-১ গোলের ব্যবধানে। পরে এবারের আসরের দুই শিরোপার দাবিদারদেরও উড়িয়েছে তুমুল লড়াই করেই। কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানি ও সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়েছে ২-১ গোলের ব্যবধানে। তাতে দুই আসর পর ফের ফাইনালে উঠেছে স্পেন।

একনজরে ইংল্যান্ডে এবারের ইউরো

শিরোপার নেশায় বুঁদ এখন লন্ডন। তবে আসরের শুরু থেকেই তাদের পারফরম্যান্স ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সার্ভিয়ার বিপক্ষে জয় তুলে নেওয়ার পর থেকেই তারা একের পর এক ধাক্কার মুখোমুখি হচ্ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে হারা ম্যাচ বাঁচিয়ে ড্র। আর স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে আরো লজ্জা নিয়ে মাঠছাড়া। এর নকআউটের দৌড়েও প্রথম ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধেও কোনো রকমে হার বাঁচিয়েছে ইংরেজরা, জিতেছিল ২-১ গোলে।

১ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় দেশকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন হ্যারি কেন এবং সেই জুড। কোয়ার্টার ফাইনালে আরো কঠিন লড়াই। প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। ১২০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচের ফল ১-১। এরপর ইংলিশ গোলকিপার জর্ডন পিকফোর্ডের হাতে স্বস্তি। সেমিফাইনালে ডাচদের বিপক্ষেও হামাগুড়ি দিয়েছিলেন গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। ম্যাচের শুরুতেই গোল হজমের পর সমতায় ফেরে হ্যারি কেনের পেনালটি থেকে। তারপর একবারে শেষ মুহূর্তে সুপার সাব ওলে ওয়াটকিন্সের গোলে টানা দ্বিতীয় বারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করে ইংলিশরা।

ফাইনালে আলাদা নজর থাকবে যাদের ওপর

ইংল্যান্ড-স্পেন দুই দলেই তারকায় ঠাসা। তবে তাদের মধ্য থেকেও সমর্থকদের আলাদা প্রত্যাশা থাকবে তরুণ বেশ কিছু ফুটবলারের ওপর, যাদের মধ্যে রয়েছে স্পেনের লামিন ইয়ামাল, দানি ওলমো। এছাড়া ইংল্যান্ডে রয়েছে জুড বেলিংহাম ও ফিল ফোডেন। এতে করে ফাইনালে এই তরুণ ফুটবলারদের মধ্যেও হবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। জুড ও ওলমো দুই জনেই দুই দলের মাঝমাঠের প্রাণ। ফুটবল ম্যাচ জেতার জন্য মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ আক্রমণ তৈরি হয় মাঝমাঠ থেকে। আবার প্রতিপক্ষের আক্রমণ সেখানেই নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার চেষ্টা করে যে কোনো দল।

তাই বলাই যায়, ফাইনালে বার্লিনে বাড়তি দায়িত্ব থাকবে এই দুই জনের ওপরই। এছাড়া আক্রমণভাগে দুই দলের হয়ে ত্রাস সৃষ্টি করবে লামিন ও ফোডেন। এ দুই তরুণেরই দক্ষতা রয়েছে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার। এবারের আসরে এ দুই ফুটবলার রয়েছেন দারুণ ছন্দেও। তাই বলা যায়, এ দুই উঙ্গার পরীক্ষা নিতে পারে দুই দলের গোলরক্ষকদের।

সূত্র: ইত্তেফাক




বর্ষায় ফুলের মেলা

কদম ফুলের মেলা বসেছে
প্রকৃতির মাঝে,
ধরণীর বুকে রঙিন ফুল
নানা রঙে সাজে।

কদম ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণে
মাতোয়ারা মন,
বৃষ্টিস্নাত কেয়া ফুলের
সুবাসিত ক্ষণ।

ভীড় জমায় কদমতলায়
প্রজাপতি দল,
শাপলায় ভরা বিলের জল
করে টলমল।

বেগুনী রঙের কচুরিফুলে
সাজে জলাশয়,
কলমিলতার রঙিন ফুল
মন করে জয়।




মেহেরপুরে বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় ৫ শ্রমিক গুরুতর আহত

মেহেরপুর—চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের চাঁদপুর নামক স্থানে বেপরোয়া গতির বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় ৫ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, শ্রমিক বহনকারী ট্রলির চালক তথা গাংনী উপজেলার কসবা গ্রামের হারেজ উদ্দীনের ছেলে মজনুর রহমান (৪০), মৃত মুনসাদ আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ (৬৫), গেদা আলীর মেয়ে আদুরী খাতুন (৬০), আব্দুল হামিদের ছেলে মারুফ হোসেন (৪০) ও মেহেরপুর সদর উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের ওফাজ উদ্দীনের মেয়ে সামেনা খাতুন (৫৫)।

আহতদের মধ্যে ট্রলির চালক মজনুর রহমান ও শ্রমিক সামেনা খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহতরা সবাই কৃষি ক্ষেতের শ্রমিক। সকালের দিকে তারা ট্রলিযোগে চাঁদপুর থেকে চুয়াডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা গ্রামে কচু তোলার কাজ করতে যাচ্ছিলেন।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, শ্রমিক বোঝায় ট্রলিটি মেহেরপুর—চুয়াডাঙ্গা সড়ক ধরে যাচ্ছিলো। এসময় মেহেরপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া রাজশাহীগামী বেপরোয়া গতির বিআরটিসির একটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। বাসের ধাক্কায় শ্রমিক বোঝায় ট্রলিটি পার্শ্ববর্তি খাদে উল্টে পড়ে শ্রমিকরা আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধারের পাশাপাশি মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

এদিকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, আহতদের মধ্যে ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য একজনকে রেফার্ড করা হয়েছে।




দামুড়হুদায় এক রাতে দুইটা গরু চুরি: থানায় মামলা, গ্রেফতার ৫

দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়া গ্রাম থেকে একই রাতে দুই কৃষকের গোয়াল ঘর থেকে দুইটা গরু চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল। এতে কৃষকদের আর্তনাদে এলাকার আকাশ বাতাস ভাড়ি হয়ে উঠেছে।

গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামুন থানায় এজাহার দায়ের করে। চুরির ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ।

এজাহার সুত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা মডেল থানার অন্তর্গত চারুলিয়া পুলিশ ক্যাম্প এলাকার চারুলিয়া মাদ্রাসা পাড়ার মোঃ রওশন আলী’র ছেলে কৃষক মোঃ মামুন (৪০) এর গোয়াল ঘর থেকে ১টি লাল রঙের বকনা গরু (যার আনুমানিক বাজার মূল্য একলক্ষ টাকা) ও একই গ্রামের মৃত বাবু হোসেন এর ছেলে মোঃ লাল চাঁদ (৩০) এর গোয়ালঘর হতে ১টি কালো রঙের ষাঁড় গরু (যার আনুমানিক বাজার মূল্য নব্বই হাজার টাকা) চোরেরদল দিবাগত শুক্রবার গভীর রাতে চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামুন দামুড়হুদা মডেল থানায় হাজির হয়ে মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থানার মহাজনপুর (খাপাড়া) গ্রামের মৃত সুন্নত আলী শেখ এর ছেলে মোঃ সেন্টু (৪৫), এবং দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়া গ্রামের মোঃ কিনু খাঁ এর ছেলে মোঃ মেহের আলী (৩৫), মৃত: হায়াত আলী এর ছেলে মোঃ কছিম উদ্দিন (৩৭), মৃত বাবুল আক্তার এর ছেলে মোঃ মানিক (৪৫) এবং আব্দুর রশিদ এর ছেলে মোঃ শাহিন (৪০) এর বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় আসামী গন সকালে চুরির বিষয় স্বীকার করে এবং ৭০ হাজার টাকায় মীমাংসার চেষ্টা করে। ভুক্তভোগী মামুন ও লালচাঁদ তাদের সহিত কোন আপোষ করেনা এবং গরু চোরদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। গ্রেফতার কৃত আসামীগন বর্তমানে দামুড়হুদা মডেল থানা হেফাজতে আছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির বলেন, গরু চুরির ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।




মেহেরপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে আটক ১

মেহেরপুরে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৭ পিচ হেরোইনসহ একজনকে আটক করা হয়।

আজ শনিবার (১৩ জুলাই) রাত ৯ টার দিকে এক মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর রাজধানীপাড়াস্থ মো: আকাশ স্টোরের সামনে থেকে এস এম আব্দুল ওয়াহাব রিপন (৩৩) কে আটক করা হয়েছে।

আটককৃত এস এম আব্দুল ওয়াহাব রিপন মেহেরপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড পাড়ার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, মেহেরপুরের হরিরামপুরে মাদক পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে এস এম আব্দুল ওয়াহাব রিপরে দেহ তল্লাশী করে তার পরিহিত টাউজারের ডান পাশের পকেটে একটি ডারবি সিগারেটের প্যাকেটের ভিতর পলিথিন প্যাকেটের মধ্যে মোড়ানো ছোট বড় পুরিয়াসহ ২৭ (সাতাশ) টি হেরোইন পাওয়া যায়। যার ওজন-০৩ (তিন) গ্রাম ও উদ্ধারকৃত হেরোইনের আনুমানিক বাজার মূল্য-৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা।

পরে মেহেরপুর সদর থানায় আটককৃতর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজুর করা হয়েছে।