অসমাধিত সংবিধান

কান পেতে শোন বাতারের হুংকার
দ্যাখ উত্তাল সমুদ্র আবার গর্জে উঠেছে
তবু তোমার কার্ণিশে দারস্থ আজও অন্য প্রভাত
আমার বুকের গলিতে একটি পরিত্যক্ত অন্ধকার ঘর।

আজ শুধু একটি কথা জেনে রেখো,
ভরা জলের কলসিতেও মিথ্যা ঘুমের ভনিতায়,
সময়কে বিচলিত করে দেহ-মন নিয়ে অভিনয়ে মেতে
সুখী হওয়া যায় না কোনদিন সংসারে,
একটিবার স্বপ্নীল ঘুম থেকে জেগে তাকিয়ে দ্যাখ
সাজানো স্বপ্ন টুকরো টুকরো হয়ে উড়ে যাচ্ছে,
নেত্র দুটো কি খুব গোপনে কষ্ট পাচ্ছে ভীষণ ?
নাকি সত্যের পর্দা সরে মিথ্যায় মিশে যেতে দেখেও
নির্বাক তোমার সংলাপহীন নাটকীয় মন।

সব কিছু জেনে বুঝেও নিয়তিকে হেঁকে
সময়কে ধীর পায়ে ধাবিত হতে দেখা মৃত্যুর দিকে
যেন ফটোফ্রেমে বাঁধানো জীবনে,ধুলোর আস্তরণ
হঠাৎ সব আবরণ মুছে নতুন পাথরে লেখাবো নাম
তবু ভালোবাসা বলে চিৎকার করে হৃদয় অলিন্দে
মৃত্যুর বুকে মাথা রাখি নির্দ্বিধায় সজ্ঞানে!

তুমি তো অসমাধিত সংবিধান সংশোধনহীন
এমন একটি সত্য যা ঢাকা গোপন ব্যথার পাথরে
কিঞ্চিৎ আলোর কুসুম দলিত ভাবনার করিডোরে
আমার মৃত্যু সিঁথানে তুমি যেন হ্যামলেট কিংবা
ম্যাগবেদের মতই কোন প্রেমিক পুরুষ।




হরিণাকুণ্ডুতে পানিতে ডুবে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে পুকুরের পানিতে ডুবে সিয়াম (১৩) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র মৃত্যু হয়েছে। মৃত সিয়াম উপজেলার শিতলী গ্রামের রোকেয়া খাতুন কোওমী মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র এবং কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকার পারখাদ্দি গ্রামের শামীম হোসেনের পুত্র। ইতিমধ্যে তার ১৭’পারা কোরআন শরীফ সমাপ্ত হয়েছে।

সহপাঠী এবং স্থানীয়রা জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুরে প্রতিদিনের ন্যায় মাদ্রাসার পিছনের পুকুরে সিয়ামসহ অনেক ছাত্র গোসল যায়। সবাই উঠে আসলেও সিয়ামের খোজ কেউ করেনি পরে রাতের বেলায় প্রতিষ্ঠানের হুজুর হাজিরা নিয়ে দেখে সিয়াম নাই। তখন অনেক খোজা খুজির পরেও তাকে ওই দিন পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে পুকুরে সিয়ামের লাশ ভেসে উঠেতে দেখে সবাই নিশ্চিত হয় যে, সে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গিয়েছে। পরে পুলিশ এবং তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে এবং দেখে তার গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন নাই, পানিতে ডুবেই শিশুটি মৃত্যু বরণ করেছে বলে ধারণা করছেন। পরিবারের আপত্তির কারণে তার লাশটি পোস্টমোর্টেম করা হচ্ছেনা বলে জানান পুলিশ।

হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জিয়াউর রহমান, শিতলী গ্রামের রোকেয়া খাতুন কোওমী মাদ্রাসার ছাত্র সিয়াম (১৩) পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণের খবরটি নিশ্চিত করেন।




দমকা হাওয়া

ওলট-পালোট সকল ছবি, যায় না ধরে রাখা,
দমকা হাওয়ায় উড়ছে সবই-তাই যে ঝুলি ফাঁকা।।

ঝড়ো হাওয়ায় পড়লো ঝরে, আমের মুকুল সব,
বাঁশ বাগানের পাখীগুলো-করছে কলরব।।

গোয়াল ঘরের গরু উড়ে-পুকুরে উড়ে মাছ,
বসত বাড়ীর চাল উড়ে, রাস্তায় উড়ে গাছ।।

গো খাদ্য উড়ে এখন-দোকান দারের ঘরে,
গোয়াল ঘরের চাড়ি উড়ে-মাছ ধরা পুকুরে।।

ফাঁকা বুলিতে নেতা উড়ে, নকলে উড়ে পড়া,
জ্ঞান পাপীরা অফিসে উড়ে-কাজের কর্ম সারা।

পাখীর পালক খসে পড়ে-তেলের গজায় পাখা,
ফটকা বাজ আকাশে উড়ে, যায় না ধরে রাখা।

বাজার উড়ে, শিক্ষা উড়ে, দেশ উড়ে লু-হাওয়ায়,
থামে না সব ভেঙে পড়ে, দুষ্ট দমকা হাওয়ায়।।




মেহেরপুরে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বে পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের কারণে একটি পুকুর থেকে দিনদুপুরে পুকুরের পাহাদারকে তারিয়ে দিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বত্তরা। গত বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিবরণ ও পুকুরের মালিকরা জানান, মেহেরপুর পৌর শহরের মাঠ পাড়ার মোঃ মসলেম আলীর ছেলে মোঃ রাকিবুল ইসলাম ও মোঃ হজরত আলীর ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন লিজ নিয়ে সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের একটি ১০ বিঘা পুকুররে মাছ চাষ করছিলেন।

সেই থেকেই মোঃ রাকিবুল ইসলাম মাছ চাষ করে আসছেন আর মোঃ দেলোয়ার হোসেন দেখাশোনার কাজ করতেন।

গত বুধবার (২৪ জুলাই) দিনেদুপুরে মোঃ দেলোয়ার হোসেন ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত নিয়ে সেই পুকুরে পাহাদারকে ভয় দেখিয়ে তারিয়ে দিয়ে জাল দিয়ে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার, পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন জাতের মাছ চুরি করে নিয়ে যায়।

চুরির পর অভিযুক্ত ভুক্তভোগীর সাথে দেখা করতে এসে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদাও দাবি করে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা দুজনে মিলে পুকুরটি লিজ গ্রহণ করছিলাম। দীর্ঘ ৬ বছর আমরা মাছ চাষ করে আসছি। হঠাৎ রাকিবুল ওই পুকুরের উপর হাঁস চাষ শুরু করে আমাকে বাদ দিয়ে। এইসময় রাকিবুল ইসলাম বলেন পুকুর আমি একা একা চাষ করবো। তখন আমি বলি তাহলে আমার পাওয়া টাকা দিয়ে দেন। রাকিবুল দিতে অস্বীকার করে যার জন্য আমি থানায় জিডি ও কোটে মালমা করেছি।

এই বিষয়ে সদর থানার ওসি সেখ কনি মিয়া বলেন, অভিযোগ এখনো পাওয়া যায় নি। অভিযোগ আসলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ দেওয়া হবে।




গাংনীর চাঞ্চল্যকর সুন্দরী বেগম হত্যা মামলার আসামি হাত পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

গাংনী উপজেলার বামন্দীতে চাঞ্চল্যকর সুন্দরী খাতুন হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি জামিরুল(৪৫)কে হাত পা ও মুখ বাঁধা অচেতন অবস্থায় একটি বাগান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জামিরুল ইসলাম বামন্দীর চাঞ্চল্যকর সুন্দরী বেগম হত্যা মামলার এজাহার নামীয় দুই নম্বর আসামি ও কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার শিতলাইপাড়া গ্রামের আবু আফনের ছেলে।
তবে, জামিরুল ইসলামের দাবি মামলার বাদি রেজাউল হক তার ছেলে সিরাজ ও সিরাজের ছেলে ইলিয়াস হোসেনের দাবিকৃত তিন লাখ টাকা দিতে না পারায় তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

জামিরুল ইসলাম বর্তমানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে সেখানেই কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তবে রাত হওয়ায় অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জামিরুল জানান, ২০২০ সালের ২৮ মে গাংনীর বামন্দীতে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে আমার চাচী সুন্দরী বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আমার চাচাকেও আহতাবস্থায় উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় আমার চাচীর মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড ধরে পরের দিন ২৮ মে আমাকে আটক করেন ডিবি পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় বাড়ির মালিক রেজাউল হক বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আমাকে ওই মামলায় দুই নম্বর আসামি করা হয়। এই মামলা থেকে বাঁচানোর জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করে আসছেন বাদি রেজাউল হক। গত বুধবার (২৪ জুলাই) আমি মেহেরপুর কোর্টে হাজিরা দিয়ে বামন্দীতে আসি। বামন্দীতে একটি স্থানে আমার সাথে বাদি রেজাউল হক তার ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইলিয়াস হোসেনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় আমাকে চা খেতে দেন তারা। চা পান করার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে আমি চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করি। আমার জ্ঞান থাকা অবস্থায় তারা কারেন্টের তার গলায় পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। আমি মারা গেছি ভেবে একটি বাগানের মধ্যে হাত পা ও মুখ বেঁধে ফেলে রেখে যায়। তারপর আর কিছু বলতে পারবো না।

ফ্লাশব্যাক ২০২০ সাল :
২৮ মে সকালের দিকে গাংনীর বামন্দীতে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে সুন্দরী বেগম নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই ঘরের চৌকির ওপর থেকে সুন্দরী বেগমের স্বামী রুস্তম আলীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের উদ্ধারের পর ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডটি নিয়ে মাঠে নামেন তৎকালীন জেলা পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে দৌলতপুর উপজেলার শিতলাইপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে আটক করে নিহত সুন্দরী বেগমের ভাসুর আবু আফ্ফানের ছেলে জামিরুল ইসলামকে।

পরে তৎকালীন মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী নিজ কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফ করেন এই হত্যাকান্ড নিয়ে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে তিনি বলেন, জমি বিক্রির টাকা লুট করতেই খুন করা হয় সুন্দরী বেগমকে। সুন্দরী বেগম একটি জমি বিক্রি করতে ক্রেতার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা বায়না নিয়েছিলেন। সেই টাকা ছিনতাই করতে একজন সহযোগীকে নিয়ে সুন্দরীকে হত্যা করেন ভাসুরের ছেলে জামিরুল ইসলাম। মামলাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা হিসেবে আমলে নিয়ে রহস্য উদঘাটন করার জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। জেলা গোয়েন্দা শাখার তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত ওসি জুলফিকার আলীর তদন্তে জামিরুল ইসলামকে আটক করেন। আটকের পর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের কথা শিকার করেন। পরে জামিরুলকে আদালতে নিলে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন। এসময় তিনি সুন্দরী বেগম হত্যা ও জমি বিক্রির টাকা হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেন। সুন্দরী বেগমকে গলায় শাড়ি জড়িয়ে হত্যা করা হয়। এসময় স্বামী রুস্তম আলী বাঁধা দিলে কুড়াল দিয়ে তার ওপরও হামলা চালায় আসামিরা। দুজনই মারা গেছে ভেবে আসামিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এঘটনায় মটমুড়া গ্রামের রেজাউল হক বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলার নং ১১০/২০ তাং ২৯/০৫/২০২০ ইং। এই মামলায় জামিরুল ইসলাম এজাহার নামীয় দুই নম্বর আসামি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম বলেন স্থানীয়দের দেওয়া খব পেয়ে বামন্দীর একটি আমবাগান থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সঠিকভাবে জ্ঞান ফিরলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুদুর রহমান জানান, চেতনানাশক ঔষধ দিয়ে তাকে অজ্ঞান করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।




গাংনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে দুর্ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার দিকে মেহেরপুর- কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব হঠাৎপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব মাঠপাড়া এলাকার মাহাবুবুল হকের ছেলে

রিমন (২৬), আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে রকি (২০), আনছার আলীর ছেলে শাকিবুল (২৫) ও মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে মাইক্রোবাস চালক পলাশ (৩০)।

এদের মধ্যে মাইক্রোবাস চালক পলাশ ও শাকিবুলের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদের কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শি উজ্জ্বল জানান, গাংনী থেকে মেহেরপুরগামী একটি ড্রাম ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী পলাশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনের দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি মোটরসাইকেল রাস্তার উপর পড়ে যায় পরে আরেকটি মোটরসাইকেল এসে দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলের উপর আঁচড়ে পড়লে তিনটি মোটরসাইকেলের চারজনই গুরতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক সিমা বিশ্বাস জানান, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর ইনজুরি হয়েছে। শাাকিবুল ও পলাশের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিদের ভর্তি রাখা হয়েছে।




গাংনীতে ফেনসিডিলসহ মাদক কারবারী আটক

৩০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ জনিরুল ইসলাম ওরফে জনি (৩৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় একটি রেজিষ্ট্রেশনবিহীন পালসার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

জনিরুল ইসলাম গাংনী উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে দেবিপুর-তেরাইল রাস্তার মাঝখানে অভিযান চালিয়ে তাকে ফেনসিডিল সহ আটক করা হয়।

বামন্দী পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই শরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ এই অভিযান চালান।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা দিয়ে আটক জনিকে গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




চাকরি দিবে ব্র্যাক ব্যাংক

সম্প্রতি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির রিটেল ডিপোজিট বিভাগ ‘অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি

পদ ও বিভাগের নাম : অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার, রিটেল ডিপোজিট

আবেদনের বয়সসীমা : নির্ধারিত নয়

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

কর্মস্থল : বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৫ বছর

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ১৮ জুলাই ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ তারিখ : ০৩ আগস্ট ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনো বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা : রিপোর্টিং ও উপস্থাপনা দক্ষতা ছাড়াও কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।

অন্যান্য সুবিধা : ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে  এখানে ক্লিক করুন।




দামুড়হুদায় জমাজমি সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা উপজেলার সুবলপুর গ্রামের জমাজমি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪ টার সময় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার সুবলপুর গ্রামের কলিম উদ্দিন এর ছেলে মোঃ হাফিজ উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা মোঃ হাফিজ উদ্দিন পিতাঃ কলিম উদ্দিন, জাইদুল পিতা: মৃত: আইনাল হক এবং মোঃ কামাল পিতা: মৃত: ইমান আলী সর্বসাং সুবলপুর, আমাদের বাবার নামে রেকর্ড ভুক্ত জমি যা বর্তমানে হালসন খাজনা পরিশোধ আছে। আমাদের জমির পরিমাণ ২০ শতক জমি যা উপজেলার সুবলপুর গ্রামের বিবাদী মোঃ ইব্রাহিম পিতাঃ মৃত: অনু আলী, মো: বক্কর পিতা: মৃত: রমজান আলী গংরা জোর পূর্বক জমি দখলকরে রাখে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতে মামলা করি। মামলা শেষে আদালত লিখত সিদ্ধান্ত আমাদের দিয়েছেন। বিবাদীগনরা আমাদের রেকর্ড এর জমি জোর পূর্বক দখল করে রেখেছেন। আমরা দখল নিতে গেলে তারা আমাদের খুন করার হুমকি দেয়। যার কারনে আমরা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে রায় পেয়েছি। তার পরও জমি নিজেদের দখলে নিতে পারিনাই। দখল নিতে গেলে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে জমি না ছাড়ার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। বিবাদী গনের পাকা বাড়ী এবং মাঠে ৫/৬ বিঘা জমি রহিয়াছে। অথচ দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় ভূমিহীন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছেন, যা মিথ্যা। জমির দাগ নং: ৯৬৫, খতিয়ান নং: ৮৬৫ মৌজা কুড়ালগাছি। জমির পরিমাণ ২০ শতক। প্রকাশ থাকে যে বিবাদীরা গ্রাম আদালতে জমির কোন কাগজপত্র উপস্থিত করতে পারেনি, যার কারনে আমাদের পক্ষে রায় হয়। তার পারেও জোর পূর্বক আমাদের জমি দখল করে আমাদের নামেই মিথ্যা ও বানোয়াট কেচ মামলা করে হয়রানি করছে এবং সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করছে। জমির কাগজপত্র দেখে বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত পূর্বক সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।




যে কারণে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি কম

টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয় ইন্টারনেট সংযোগ। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেট চালু হয়। তবে বিভিন্ন এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও সীমিত পরিসরে ব্যবহার করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। যদিও পরের দিন বুধবার রাত থেকে কিছু কিছু বাসা-বাড়িতেও মিলছে ইন্টারনেট সেবা। কিন্তু নেই ইন্টারনেটের স্পিড বা গতি। এতে সাধারণ গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।

ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)’র সভাপতি মো. এমদাদুল হক বলেন, মোবাইল ডেটা ও স্থানীয় ক্যাশ সার্ভার বন্ধ থাকার কারণে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের স্পিড স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ভাগের এক ভাগে রয়েছে।

তিনি বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট এবং সংযোগবিচ্ছিন্ন ক্যাশ সার্ভার চালু না করলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিও বাড়বে না। বর্তমানে দেশের সব সংযোগ চালু করার পরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের পুরো ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে।

এমদাদুল হক বলেন, বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা যে পরিমাণ ইন্টারনেট ট্রাফিক তৈরি করেন, তার ৮০ শতাংশের বেশি পূরণ করে স্থানীয় ক্যাশ সার্ভারগুলো।কিন্তু এখন ক্যাশ সার্ভার কাজ না করায় সম্পূর্ণ ইন্টারনেট ট্রাফিক আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ ৬,৩০০ জিবিপিএস এর বেশি। ক্যাবল বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাধ্যমে এর ৫৫ শতাংশ ব্যবহার হয়। বাকি ৩ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয় মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে। কিন্তু এখন কেউই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। তারাও ঝুঁকেছেন ব্রডব্যান্ডে। এতে ব্রডব্যান্ডের ব্যান্ডউইথে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। এরমধ্যে লোকাল ক্যাশ সার্ভার বন্ধ থাকার ফলে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বহুগুণ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ক্যাশ সার্ভার হলো তথ্য সংরক্ষণ বা ধারণ করার নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক সার্ভার বা সেবা। এতে স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত ওয়েবপেজ ও অন্যান্য ইন্টারনেট কনটেন্ট সেভ করা থাকে। অস্থায়ী স্টোরেজ বা ক্যাশ থেকে আগের ব্যবহৃত তথ্য প্রদানের নির্দেশ দিয়ে ক্যাশ সার্ভার ইন্টারনেট ডেটার গতি বাড়াতে এবং একইসঙ্গে ব্যান্ডউইথের চাহিদা কমাতে ভূমিকা রাখে।

সূত্র: ইত্তেফাক