ঝিনাইদহে ৬’শ পরিবারের মাঝে শিশুখাদ্য বিতরণ

ঝিনাইদহে অসহায় ৬০০ পরিবারের মাঝে শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ পৌরসভা চত্বরে এ শিশুখাদ্য বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদি হিজল।

সে সময় পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম মধু, সচিব মোস্তাক আহম্মেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। পরে দিনভর শহরের বিভিন্ন এলাকার ৬০০ শিশুর জন্য উন্নতমানের শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়। আয়োজকরা জানায়, ১ দিন থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের পুষ্টিহীনতা দূর ও শিশুদের খাবার হিসেবে প্যাকেটজাত দুধ বিতরণ করা হয়।

শিশুখাদ্য পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন হতদরিদ্র পরিবারগুলো।




প্রধানমন্ত্রীর সাথে চীন থেকে দেশে ফিরেছেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

সরকার প্রধানের সফরসঙ্গী হয়ে চীন সফরে গিয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৮ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত ১৯৬ সদস্যের দল নিয়ে অবস্থান করেন। সফরসঙ্গীর এই দলে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ ডায়মন্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)-এর সাধারণ সম্পাদক ও তারাদেবী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চুয়াডাঙ্গার সন্তান কৃতী ব্যবসায়ী সিআইপি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
তিন দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইট (বিজি-১৭০৪) বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একইসময়ে দেশে ফেরেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। এ সফরে থাকাকালে বিভিন্ন সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে নানা আলোচনা করেছেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। চুয়াডাঙ্গার রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সফরের অবসর সময়ে একান্তে আলোচনার সুযোগ পান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তার কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, এর আগেও ব্যবসায়ীক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে প্রায় ৬০ বারের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়ে বিভিন্ন দেশে গেছেন চুয়াডাঙ্গার এ কৃতী সন্তান।




দামুড়হুদায় মাদক বিরোধী অভিযানে একজন গ্রেফতার 

দামুড়হুদায় মাদক বিরোধী অভিযানে হেমায়েতপুর থেকে ৮০ পিচ অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা সহ একজনকে আটক করেছে দামুড়হুদা থানাধীন চারুলিয়া ক্যাম্প পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার সময় হেমায়েতপুর ব্রীজের উপর তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় এবং তার সহযোগী একজন কৌশলে পালিয়ে যাই।
গ্রেফতারকৃত হলো দামুড়হুদা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন এর ছেলে মোঃ মোফাজ্জেল হক (৪৫)।
পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম সেবা মহোদয় এর নির্দেশনায় দামুড়হুদা থানাধীন চারুলিয়া ক্যাম্পে কর্মরত এসআই লিটন কুমার মন্ডল ও এএসআই মোঃ আবেদুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদক বিরোধী অভিযান ডিউটি পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দামুড়হুদা থানাধীন হেমায়েতপুর গ্রামস্থ চারুলিয়া টু হেমায়েতপুর সংযোগ ব্রীজের উপর থেকে মোঃ মোফাজ্জেল হক (৪৫) কে ৮০ (আশি) পিচ অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট (যার মুল্য অনুমান-২৪,০০০/-টাকা) সহ হাতেনাতে আটক করে এবং অপর সহযোগী আসামী মোঃ ফকির (৫০), পিতা- আব্দুল মান্নান, সাং- চন্দ্রবাস, থানা- দামুড়হুদা, কৌশলে পালিয়ে যায়। বর্তমানে গ্রেফতার কৃত আসামী দামুড়হুদা মডেল থানা হেফাজতে আছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রজু করা হয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবীর বলেন, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।



কোটচাঁদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামতের কাজে অনিয়ম

কোটচাঁদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । কাজ শেষ না করেও প্রত্যয়ন নিয়ে টাকা তুলে নিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। প্রত্যয়ন দিয়ে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগও রয়েছে প্রকৌশলী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই কর্মকর্তা।
জানা যায়,২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে কোটচাঁদপুর উপজেলার ৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা করে বরাদ্ধ পান। যার মধ্যে রয়েছে,কোটচাঁদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, দক্ষিণ বলুহর প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহিরগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কাগমারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সলেমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুতিয়ার কুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইকড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়গুলো ভ্যাট আইটি কেটে ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। যা দিয়ে তারা কাজগুলো করেছেন। বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে  ৫ টি  বিদ্যালয় কাজ শেষ করে বিল তুলতে পেরেছেন।
তবে প্রত্যায়ন নিয়েও বিল তুলতে পারেননি ২ টি বিদ্যালয়। এরমধ্যে কোটচাঁদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও দক্ষিণ বলুহর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়াও কাজ শেষ না করেও প্রত্যায়ন নিয়ে বিল তুলেছেন বহিরগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অন্যদিকে আটকে গেছেন কোটচাঁদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে বহিরগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজিনা খাতুন বলেন,সামান্য একটু কাজ বাকি ছিল। এ কারনে প্রত্যয়ন নিয়ে বিল তুলেছি। অফিস ম্যানেজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তাদের তেমন কোন টাকা দেয়নি। বিদ্যালয়ে এসেছিল, তাই তেল খরচ দিয়ে ছিলাম।
কোটচাঁদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাধা রানী বলেন, আপনারা বোঝেন তো অফিসকে কিছু দিতেই হয়। তবে তিনি কত দিয়েছেন সেটা এ প্রতিবেদককে পরে বলবেন বলে জানান। সলেমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম খাতুন বলেন, আমি টাকা দিচ্ছিলাম না। সবার শেষে  ১ হাজার টাকা দিয়েছি। আর প্রক্কলন তৈরির জন্য অফিসকে ৫ শ টাকা দিয়েছি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধান্ত কুমার কুন্ডু বলেন, জুন মাস হওয়ায় আমার বিদ্যালয় গুলোয় যাওয়া সম্ভব হয়নি। আমার এসও ও সার্ভেয়ার বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করে, আমাকে এসে বলেছেন সব কিছু ওকে আছে। এরপর প্রত্যয়ন দেয়া হয়েছে।  তবে সবগুলো বিদ্যালয়ের দেয়া হয়েছে  কিনা সেটা আমাকে দেখে বলতে হবে।
প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে প্রত্যয়ন নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এতে আর ম্যানেজের কি আছে। তিনি  বলেন, আপনারা যে অভিযোগ তুলেছেন, সেটা আমি স্বরজমিনে গিয়ে দেখছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম বলেন,২০২৩/২৪ অর্থ বছরে এ উপজেলার ৮ টি বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা পেয়েছেন। এর মধ্যে ২ টি বিদ্যালয়ের আংশিক কাজ বাকি ছিল, যেটা আমি দেখে ছিলাম।
তবে আমার পরিদর্শনের আগেই তারা অফিস থেকে প্রত্যায়ন নিয়েছেন ওই কাজের। আর দক্ষিণ বলুহরের কাজ ভাল না করেও প্রত্যায়ন নিয়েছেন। তবে তাঁর বিল আটকে দেয়া হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছেন টাকার তুলনায় বেশি কাজ করেছেন। যা তিনি নিজের পকেট থেকে খরচ করেছে ন।  তবে কাজের মান ভাল না করা পর্যন্ত বিল ছাড় করা হবে না।
তিনি বলেন, আমি বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনের সময় জানতে পারলাম, শিক্ষকরা ইঞ্জিনিয়ার অফিসকে ম্যানেজ করে প্রত্যয়ন নিয়েছেন। আমি শিক্ষকদের বলেছিলাম তারা তো কোন কাজ করে নাই, কেন তাদেরকে ৪ হাজার, ২ হাজার করে টাকা দিবেন। তারা আসলে তেল খরচের জন্য ১ হাজার টাকা দিতে পারেন। ওনারা আমাকে না জানিয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে ৪ হাজার ও হিসাব রক্ষন অফিসকে ২ হাজার করে টাকা দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইলে বার বার যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।



দামুড়হুদায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেমিফাইনাল খেলায় কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশ বনাম নাটুদাহ ইউনিয়ন একাদশ অংশ গ্রহণ করে।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল কবির ইউসুফ, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি এম নুরুন্নবী, দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই রিয়াজুল ইসলাম, সাবেক ফুটবলার ও চুয়াডাঙ্গার সাবেক পৌর কমিশনার শহিদুল কাদের জোয়ার্দার, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক ফুটবলার শহীদ আজম সদু, দামুড়হুদা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওঃ মুফতি মামুনুর রশীদ সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত আমন্ত্রিত দর্শক অতিথি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। খেলার মাঠে ছিলো দর্শকদের উপচে পরা ভীড়। ফুটবল প্রেমীরা সহ উপস্থিত সকল দর্শক টুর্নামেন্টের মনোমুগ্ধক সেমিফাইনাল খেলা উপভোগ করেন।

টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলায় যে দুটি দল অংশ গ্রহণ করে তারা হলো কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশ বনাম নাটুদাহ ইউনিয়ন একাদশ। খেলার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নাটুদাহ ইউনিয়ন একাদশ একটি গোল করে ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশ দুইটি গোল করে এবং বিজয়ী হয়ে ফাইনালে তাদের খেলা নিশ্চিত করেন। আজ বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় টুর্নামেন্টের ২য় সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।




এই সময়ে কেমন এসি চাই

প্রায় সব অফিসেই সহকর্মীদের মাঝে এমন দুয়েক জনকে পাওয়া যায়, যারা এসি’র ‘অত্যাচারে’ অতীষ্ঠ হয়ে থাকেন। বাকিরা যখন গরমে কাবু, তখনও এই ‘কুল’ কলিগদের দেখা যায় এসি থেকে দূরে, রুমের এক কোণায় জ্যাকেট বা হুডি’র আশ্রয় নিচ্ছেন। বাড়িতে বা বন্ধুদের আড্ডাতেও তাদের হরহামেশাই খুঁজে পাওয়া যায়, এসি’র রিমোটের দখল নিয়ে একেকজন যেন রীতিমতো যুদ্ধ করে বেড়াচ্ছেন!

পুরোনো ধাঁচের এয়ার কন্ডিশনারে ঠান্ডা বাতাস সঞ্চালনের দিক নিয়ন্ত্রণের সুবিধা না থাকায় সরাসরি হিম শীতল বাতাস সংবেদনশীল ব্যবহারকারীদের গায়ে কাঁটার মত লাগতে পারে। মানুষ অনেক শখ করে বাড়িতে এসি লাগান বাইরের তীব্র গরম ভুলে একটু আরামদায়ক পরিবেশ পাওয়ার জন্য। সেই এসিই উল্টো অস্বস্তির কারণ হয়ে বসলে কারই বা ভালো লাগবে? এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হালের আধুনিক এসিতে ‘উইন্ডফ্রি’ ধাঁচের ফিচার যুক্ত করা হয়ে। কিন্তু ঠিক কীভাবে কাজ করে এই উইন্ডফ্রি সুবিধা?

স্বস্তিতে থাকুন, বিদ্যুৎ বিলের লাগামও টেনে ধরুন 

নতুন প্রযুক্তির এয়ার কন্ডিশনারগুলো কেনার ক্ষেত্রে বাজারে ক্রেতারা প্রথমেই খোঁজ করেন, এমন একটি অনন্য ফিচার হয়ে উঠেছে উইন্ডফ্রি। সাধারণ এসি’র সাথে এর পার্থক্য হল, সাধারণ এসি থেকে ঠান্ডা বাতাসের ধারা বা ওয়েভ একেবারে সরাসরি প্রবাহিত হয়। অন্যদিকে, উইন্ডফ্রি কুলিং অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র বা ‘এয়ার হোল’এর মাধ্যমে শীতল বাতাস চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। শীতল ও সতেজ বাতাস ধীরে ধীরে চারদিক থেকে পুরো রুমকে সমানভাবে ঠান্ডা করে তোলে। সরাসরি ঠান্ডা বাতাসে অস্বস্তি বোধ করেন এমন ব্যবহারকারীদের জন্য এটি বেশ স্বস্তিদায়ক একটি ফিচার।

আধুনিক এসি’র আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, এগুলো অনেকাংশে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। বর্তমানে ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লায়েন্স কেনার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এখন বেশিরভাগ এসিই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সাহায্য করে। এটি একটানা ঠান্ডা করা ছাড়াও তাপমাত্রাকে স্থির রাখতে পারে, ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎবিল সাশ্রয় করতে পারে এবং পরিবেশগত প্রভাব কমিয়ে আনতে পারে।

চাই ‘বুদ্ধিমান’ এসি

ভেবে দেখুন তো, কর্মব্যস্ত দীর্ঘ একটি দিনের ক্লান্তি শেষে আপনি বাসায় ফিরলেন, আর সাথে সাথেই আপনার ঘরের এসি’টি আপনার পছন্দসই তাপমাত্রা আর সুবিধা অনুসারে নিজ থেকেই চালু হয়ে গেল?

বর্তমানে এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)’এর ব্যবহার এমন অনেক স্বাচ্ছন্দ্য আর সুবিধার সুযোগ তৈরি করেছে, যা অতীতে কল্পনাও করা যেত না। নিজেদের নতুন ‘উইন্ডফ্রি’ ও ‘স্টেপ-আপ’ মডেলের এসিতে এআই, ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করছে স্যামসাং। ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভর করে অপারেশনের ধরণ পাল্টাতে পারে এই আধুনিক এসিগুলো, নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীর জন্য দিতে পারে বিশেষায়িত সমাধান। এমনকি ব্যবহারকারী বাসার বাইরে থাকলেও মোবাইল ফোনে স্মার্টথিংস অ্যাপের মাধ্যমে আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। অ্যাপের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ও সাশ্রয় সম্পর্কেও জানা যায়। নতুন মডেলের এসিগুলোতে ওয়েলকাম কুলিং, ভয়েস কন্ট্রোল, অটো ফিল্টার কুলিং অ্যালার্ট, মাল্টিপল প্রোগ্রাম স্কেজ্যুলের মতো স্মার্ট ফিচার যোগ করা হয়েছে। এর এধরণের এসি প্রি-সেট রেডিয়াস সুবিধার কারণে এসি’র কাছাকাছি আসা মাত্রই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালুর সুবিধাও দিয়ে থাকে।

এত দামে কিনলেন, টিকবে তো?

হিট এক্সচেঞ্জারের সেরা পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে স্যামসাংয়ের নতুন মডেলের এসিতে শতভাগ কপার কনডেন্সার ব্যবহার করা হয়। এতে আরো রয়েছে প্যাটেন্ট করা ডুরাফিন প্লাস, যা মরিচা প্রতিরোধী আবরণ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও গ্রাহকদের মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করতে এয়ার কন্ডিশনারের ডিজিটাল ইনভার্টার কম্প্রেসরে ১০ বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছে স্যামসাং।

ভাবছেন, এতো চমৎকার সব ফিচার সহ এসি কোথায় পাওয়া যাবে? ওপরের সবগুলো ফিচার সহ সর্বপ্রথম উইন্ডফ্রি এয়ার কন্ডিশনার বাজারে নিয়ে এসেছে শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড স্যামসাং। তাই ঘরে বসে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুভি দেখা, ছুটির দিনে বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডাবাজি কিংবা স্রেফ খানিকক্ষণ ঘুমিয়ে নেয়ার জন্য বাসার পরিবেশ আরামদায়ক করে তুলতে স্যামসাং এসি’র এই সর্বাধুনিক ফিচারগুলোর সুবিধা নিতে পারেন আপনিও।




কুষ্টিয়ায় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মহাসড়কে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে বিক্ষোভ করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। যেকোনো বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান তারা।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ মেইন গেট বন্ধ করে দিলেও বাধা উপেক্ষা করে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দু-দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে।

সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।




ঝিনাইদহে আবাসিক এলাকায় অপরিকল্পিত গরুর খামার 

ঝিনাইদহ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের উপশহর পাড়া এলাকায় এলাকায় যত্রতত্র নির্মাণ করা হয়েছে গরুর খামার। বাতাসের সাথে ছড়ানো গোবরের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। বায়ু দূষণসহ মানুষকে নানা রকম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, খামার প্রতিষ্ঠা হওয়ার ফলে দুর্গন্ধের কারণে ঐ এলাকায় কেউ বাসা ভাড়া নিতে চায় না। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ ভাড়াযোগ্য বাড়ি খালি থাকছে। অনেকে আবার নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে। এছাড়াও গোবর-চুনা ও খামারের কারণে আশেপাশের বাড়িতে অবস্থানরত মানুষেরা দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছে। গোবরের চুনার দূর্গন্ধে খাবার টেবিলে বসে খাওয়ার মতো পরিবেশ টুকু ও নেই। খামারের দুর্গন্ধে এলাকায় বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা পরিবেশ দূষণ ও জনদূর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পেতে বারবার অভিযোগ দেবার পর মালিকদের দারস্থ হয়েও কোনো ফল পাননি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মরহুম উজ্জ্বল বিশ্বাসের শ্বশুর জাহাঙ্গীর নিয়মনীতি না মেনে পরিবেশ দূষণ করে গরুর খামার স্থাপন করেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, জাহাঙ্গীর তার নিজ জমিতে নারায়ণ বিশ্বাসের বাড়ি সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে গরুর একটি খামার স্থাপন করেছে। খামারটির আশপাশে মলমূত্র ও গোবর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। ওই গোবর, ময়লা- আবর্জনা খামারের পাশেই কোন রকম গর্ত করে ফেলা হচ্ছে। এছাড়া আবাসিক এলাকায় অবস্থিত খামারের মলমূত্র, পানিনিষ্কাশন ও বর্জ্য অপসারণের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। খামারের চারপাশে রয়েছে বসতবাড়ি। এসব বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া সামান্য বৃষ্টিপাতে মলমূত্র ও গোবর পানির সাথে মিশে পচা দূর্গন্ধ ছড়ানো সহ মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে চলেছে।

পৌরসভার বিদ্যমান নীতি ও আইন এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫’র সুনির্দিষ্ট আইন থাকা সত্বেও এমন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গরুর খামার স্থাপনে বিদ্যমান আইনকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে, স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশেই গরুর খামার। গরুর গোবর ও মলমূত্র থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। বসবাস করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

খামারের পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, দুর্গন্ধে আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে বসবাস করতে পারছেনা। নোংরা পরিবেশের কারণে মশার উপদ্রপ বেড়েছে। যা ডেঙ্গু বিস্তারের অন্যতম কারণ। আমরা এর স্থায়ী প্রতিকার চাই।

ওই এলাকার বাসিন্দা উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আমাদের এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গরুর খামার ও গোবরের দুর্গন্ধে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছি। এ বিষয়ে পৌরসভায় একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি। গরুর খামার মালিক জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হবার পর তার এক নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করা হয়।

এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়রের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যক্তিগত সহকারী জানান, স্যার ঢাকায় আছে। ঢাকা থেকে আসার পর কথা বলতে পারবেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মুন্তাছির রহমান জানান, জনগণের ভোগান্তি ও দূর্ভোগ সৃষ্টি করে আবাসিক এলাকায় গবাদিপশু পালনের কোন সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে ফোন দিলে তিনি মুঠোফোনটি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মনোজিত কুমার মন্ডল বলেন, এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। এটা স্থানীয় সরকারের কাজ। যদিও আবাসিক এলাকায় গরু পালন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ তবুও কেউ যদি গরু পালন করতে চাই সেক্ষেত্রে জনগণের যেনো কোনো ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।

পৌরসভার আবাসিক এলাকায় বে-আইনীভাবে গড়ে ওঠা পরিবেশ বিধ্বংসী গরুর খামারের ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।




ঝিনাইদহে স্কুল মাঠ দখল করে সড়কের নির্মাণ সামগ্রী, স্বাস্থ্যঝুকিতে শিশু-শিক্ষার্থীরা

শিশু শিক্ষার্থীরা যে মাঠে দৌড়াদৌড়ি করে আনন্দের সাথে খেলবে, সেই মাঠ জুড়ে খেলার পরিবর্তে রাখা হয়েছে সড়কের নিমার্ণ সামগ্রী। খেলাধুলাতো বাদই দিলাম বালু, ইটের ধুলা আর বিটুমিনের দুর্গন্ধে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে শিশুরা পড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ময়লা-মাটি মেখে বাড়িতে ফিরছে আর ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে অভিভাবকদের মধ্যে। এই অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খড়াশুনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ওই স্কুলের মাঠ দখল করে চলছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ। স্কুল মাঠ ভাড়া দিয়ে সড়কের নির্মাণ সামগ্রী রাখার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের খেলার মাঠে সড়ক সংস্কারের নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে। মাঠের একটি বড় অংশজুড়ে ফেলে রাখা হয়েছে পাথর। মাঠজুড়ে ছড়িয়ে আছে পাথরের কুচি। মাঠের ভেতর রয়েছে ভারী-ভারী যন্ত্র। মাঠের মধ্যে ওঠা-নামা করছে পাথরবোঝাই ট্রাক ও ভারী যন্ত্র। মাঠটির পশ্চিম পাশে রাস্তার সাথে পাথর-বালু মিশ্রণের জন্য প্লান্ট মেশিন বসানো আছে। বিকট শব্দে চলছে সেটি। রাস্তার সাথে মাটি খুঁড়ে পিচ (বিটুমিন) গলানোর চুলা স্থাপন করা হয়েছে। নির্মাণ সামগ্রীর ধুলাবালি এবং বিটুমিন গলানোর কাজে ব্যবহৃত টায়ার পোড়ানোর তীব্র কালো ধোঁয়ায় যেন ওই এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে উঠছে। এতে করে মাঠের চরম ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি শিশু শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে অসুবিধাসহ শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যালয়ের শিশু কিশোর শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।

জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের তৈলকুপা স্কুল মাঠের সামনের রাস্তার কাজ চলছে। যা খড়াশুনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে ৪/৫ কিলোমিটার দুরের পথ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে জানতে চাইলে তারা বলছেন তাদেরকে না জানিয়ে এগুলো করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতের আধারে এটি ফেলা হয়েছে। তারা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।

মাঠ সংলগ্ন খড়াশুনী গ্রামের বাসিন্দা মেহেদী হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্কুলের খেলার মাঠে নির্মাণ সামগ্রী রাখাসহ পরিবেশ দূষণকারী টায়ার পুড়িয়ে বিটুমিন গরম করার সময় দুর্গন্ধে এলাকায় থাকা দায়। প্রতিবাদ করেও কোনো কাজ হয়নি। আশপাশের এলাকার ভেতরে ছেলে মেয়েদের একটি মাত্র খেলাধুলার মাঠ এটি। সেটাও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টাকার বিনিময়ে ভাড়া দিয়েছেন বলে শুনেছি। খেলার মাঠ বন্ধ থাকায়, শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। স্কুল মাঠ দখল করে সড়কের নির্মাণ সামগ্রী রাখার প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে। তারা প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নওশের আলী, ফরিদ হোসেন মানিক, স্থানীয় হযরত আলী বিশ্বাস ও ব্যবসায়ী রিপন বিশ্বাস এ ঘটনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদককে সংবাদ না ছাপানোর জন্য বলা হয়। এছাড়াও বলেন তারা দু’একদিনের মধ্যে সকল মালামাল সরিয়ে নিবে।

নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম রিপন জানান, বিষয়টি আমি অবগত আছি। তাদেরকে একাধিকবার বলার পরেও তারা কোন গুরুত্ব না দেওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খালেকুজ্জামান জানান, বিষয়টি প্রধান শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন। আমি ছুটিতে থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারছি না। অফিসে এসে বিষয়টি দেখব।




কোলেস্টেরল বশে রাখবে ৫ শরীরচর্চা

আজকাল অল্পবয়সীদের শরীরেও দেখা দিচ্ছে কোলেস্টেরলের সমস্যা। নানা অনিয়ম, ব্যস্ততা ভরা জীবনে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই সচেতনতা জরুরি। প্রতিদিনের রুটিনে কিছু শরীরচর্চা যোগ করে নিয়ন্ত্রণে রাখুন কোলেস্টেরল।

হাঁটুন
আপনি ভীষণ অলস? কোন শরীরচর্চায়ই মন বসাতে না পারলে হাঁটুন। অন্তত ২০ মিনিট রোজ হাঁটুন। বাইরে যেতে না পারলে বাড়িতেই হাঁটুন। বাড়ির ছাদ, বারান্দা কিংবা বাড়ির সামনের রাস্তাটাকে কাজে লাগান। রোজ নিয়ম করে হাঁটলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল।

দৌড়ান
যদি অলসতার মাত্রা আপনার কিছুটা কম হয় সেক্ষেত্রে দৌড়াতে পারেন। চিকিৎসকদের মতে, রোজ নিয়ম মেনে হাঁটার পাশাপাশি সময় বের করে মোটে দশ মিনিট দৌড়ালে সারা শরীরের শরীরচর্চা হয়। দৌড়ানোর সময় শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। পা ফেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন। শুরুতে রোজ ১০ মিনিট করে দৌড়ান। অভ্যাস হয়ে গেলে ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।

সাইকেল চালান
সাইকেল চালানো ভীষণ উপকারী শরীরচর্চা। চিকিৎসকদের মতে, সাইকেল চালালে শরীরের পাশাপাশি মনও ভালো থাকে। এতে সারা শরীরের ব্যায়াম হয়। নিয়মিত সাইকেল চালালে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভালো থাকে হার্ট, সঙ্গে পেশির গঠনও মজবুত হয়। মনের খেয়াল রাখতেও সাহায্য করে এই শরীরচর্চা।

সাঁতার কাটুন
সাঁতার একটি দারুণ শরীরচর্চা। এতে শরীরের একাধিক পেশি একসঙ্গে কাজ করে। যেকোনো ব্যথা, যন্ত্রণায় স্বস্তি দেয় সাঁতার। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। কমে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা।

যোগাসন করুন
নিয়মিত যোগাসন করলে কোলেস্টেরল সহ নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবেন। কোলেস্টেরল কমাতে সর্বাঙ্গাসন করতে পারেন। চিত হয়ে শুয়ে পা দু’টি জোড়া করে ওপরে তুলুন। এবার দু’হাতের তালুতে কোমরের ভার দিয়ে পিঠ এমন ভাবে ঠেলে তুলুন, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত এক সরল রেখায় থাকে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। চোখ রাখবেন পায়ের আঙুলের দিকে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। ৩০ সেকেন্ড এভাবে থেকে শবাসনে বিশ্রাম নিন। তিন বার অভ্যাস করুন এই আসন।

সূত্র: ইত্তেফাক