মেহেরপুরে ২০ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার

মেহেরপুরের গাংনীতে ২০ বয়সী বিবাহিত মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটক গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের আশারুল ইসলাম (৪৫)। আজ শনিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রয়ারি ভিকটিম বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওইদিন রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভিকটিম ঘুমিয়ে পড়ে। পরে আনুমানিক ২ টার দিকে ভিকটেমর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে কারো স্পর্শ অনুভব হওয়ায় তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভেঙে মোবাইলের আলোতে দেখে যে, তার বাবা আশারুল হক তার বিছানায় বসে আছে।

সে তাকে জিজ্ঞাসা করে ‘‘আব্বু তুমি এতো রাতে এখানে কি করো’’ এই কথা বলার সাথে সাথে আসামী কোন কথা না শুনে জানোয়ারের মত তার বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আসামীর তার নিজ কক্ষে চলে যায়। সে তার পিতার এ ধরণের কাজের ফলে জ্ঞান শুন্য হয়ে নিজেকে ছয় দিন র্পযন্ত ঘরে বন্দি করে রাখে।

ভিকটিমের মা ভিকটিমকে ঘর থেকে বের না হবার কারণ জিজ্ঞাসা করলে ভিকটিম তার মাকে বিস্তারিত কারণ খুলে বলে। ভিকটিম তার মাকে জানায় পূর্বেও আসামী আশারুল হক বিভিন্ন সময়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতো কিন্তু লজ্জায় এ কথা কাওকে বলতে পারেনি।

পরবর্তীতে গত ১৪ মার্চ গাংনী থানায় এসে ভিকটিম তার বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। যার মামলা নম্বর ১৭, তারিখ ১৪/০৩/২৫ ইং।

গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল বলেন, ভিকটিম মামলা সেই মামলায় ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ তার বাড়ি থেকে আশারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।




আদম (আঃ)- এম.এ.এস ইমন (পর্ব ১)

প্রথমে আল্লাহ ছিলেন, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন কিছুর অস্তিত্ব ছিল না। এমন কোনো মুহূর্ত ছিল না যখন তিনি ছিলেন না। তিনি ব্যতীত কোন বাস্তবতা ছিলনা। কোন এক পর্যায়ে অসীম জ্ঞান এর মালিক সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি সৃষ্টি করবেন।

একে একে সম্ভাবনার জগত থেকে বাস্তবতার জগতে নিয়ে আসতে লাগলেন তাঁর প্রথম সৃষ্টিগুলোকে। যেহেতু অসীম জ্ঞানের মালিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সৃষ্টি বলে কিছু থাকবে, তার মানে সৃষ্টির অস্তিত্ব থাকাটাই শ্রেয়। সেই সৃষ্টি ভালো কিছুই করুক বা খারাপ কিছু।

আল্লাহ তার আরশ সৃষ্টি করলেন, পানি সৃষ্টি করলেন, কলম সৃষ্টি করলেন, এবং সেই কলমকে আদেশ করলেন লেখ। কলম বলে বসল, আমার রব আমি কি লিখবো? আল্লাহ বললেনঃ সময়ের শেষ পর্যন্ত, অর্থাৎ কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে সব কিছু লিখো। আরশ শব্দের অর্থ আসন। আসন, পানি, কলম এই শব্দগুলোর অর্থ আমরা জানি। কিন্তু আল্লাহর সেই আরশ, সময়ের শুরু সেই পানি এবং সবকিছুর নিয়তি লেখা সেই কলম কেমন তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়, এবং একমাত্র আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ জ্ঞান রয়েছে। মহাবিশ্ব তৈরির ৫০ হাজার বছর আগে আল্লাহর হুকুমে, সেই কলম সবকিছু নিয়তি লিখে রেখেছিল লাওহে মাহফুজে। ৫০ হাজার বছর পর আল্লাহ আসমান এবং যমীন সৃষ্টি করলেন।

অতঃপর কোন এক পর্যায়ে আল্লাহ সৃষ্টি করলেন ফেরেশতাদের, নূর থেকে তৈরি আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি প্রকৃতিগতভাবে আল্লাহর এবাদত নিমজ্জিত থাকে, এবং আল্লাহর হুকুম অমান্য করে না, এবং তাদের মধ্যে থেকে সর্বপ্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন জিবরাঈল আলাইহিস সালাম। আল্লাহ নূর থেকে ফেরেশতা তৈরি করার পর আরও কিছু সময় পার হলো এবং এরপর এক নতুন জাতি সৃষ্টি করলেন এবং তাদের সৃষ্টি করলেন এক ধরনের ধোয়াবিহীন আগুন থেকে। এই জাতির নাম হল জীন। ফেরেশতা আর জীনদের মধ্যে মূল পার্থক্য হল, জীন জাতি প্রকৃতিগতভাবেই আল্লাহর ইবাদত করে না বরং তারা চাইলে তার হুকুম অমান্য করতে পারে। আল্লাহ জীনদের দুনিয়াতে খালিফা হিসেবে পাঠালেন। আগুন থেকে তৈরি এই সৃষ্টি ছিল উত্তেজনা প্রবণ, তারা ঘনঘন যুদ্ধও খুনাখুনিতে লিপ্ত হতে লাগল এবং দুনিয়াতে অন্যায়-অনাচার ছড়িয়ে পড়লো। কিছু পুণ্যবান থাকা সত্বেও বেশিরভাগ আল্লাহকে অমান্য করতে লাগলো।

কিন্তু একজন ছিল যে বিশেষভাবে আল্লাহর এবাদত করত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার চেষ্টা করত। এক পর্যায়ে তার এবাদত এর পুরস্কার স্বরূপ আল্লাহ তাকে তার এতটা কাছে আসার অনুমতি দিলেন যে সে ফেরেশতাদের অবস্থানে গিয়ে আল্লাহর এবাদত করার সুযোগ পেলো। অন্যদিকে দুনিয়াতে জীন জাতির অপকর্ম চলতে থাকায় আল্লাহ তা’আলা ফেরেশতাদের হুকুম দিলেন দুনিয়াতে গিয়ে সেই জীনদের বিতাড়িত করার জন্য। এই দায়িত্ব পালন করার জন্য ফেরেশতাদের সাথে পাঠানো হল আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভ করা সেই জীনকেও।

দুনিয়ায় অন্যায় অনাচার সৃষ্টিকারীদের ফেরেশতারা ধ্বংস করল এবং খুব অল্পসংখ্যক জীন রেহাই পেল। আল্লাহর হুকুম পালন করে ফেরেশতারা আসমানে ফিরে আসলো এবং তাদের সাথে সেই পুণ্যবান জীন। এরপর কতটুকু সময় পার হল তা আমরা জানিনা। কিন্তু একপর্যায়ে রাব্বুল আলামীন ঘোষণা দিলেন তিনি এক নতুন জীব সৃষ্টি করবেন। যখন আল্লাহ ঘোষণা দিলেন তিনি মানুষ সৃষ্টি করবেন, ফেরেশেতারা অবাক হয়ে যায়। তারা দেখেছিল স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন জীন দুনিয়াতে কত অন্যায়-অনাচার করেছিল, তারা জানত মানুষকেও যদি স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দেওয়া হয় তাহলে তারাও পৃথিবীতে একিরকম অন্যায়-অনাচারে লিপ্ত হবে। তবু কেন আল্লাহ তাদের সৃষ্টি করবেন। তারা আল্লাহর সিদ্ধান্তের ওপরে প্রশ্ন তুলছিল না বরং তাদের বিস্ময় প্রকাশ করছিল।

আল্লাহ খুব সহজভাবেই বুঝালেন তাঁর কাছে এমন জ্ঞান রয়েছে যা ফেরেশতাদের কাছে নেই, অর্থাৎ মানুষকে সৃষ্টি করার পর তারা দুনিয়াতে নানা অপকর্মে লিপ্ত হলেও তাদের সৃষ্টি করার পিছনে কারণ রয়েছে, এবং শিঘ্রই সেই কারনগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। অতঃপর আল্লাহ নিজ হাতে আদম আলাইহিস সালাম কে সৃষ্টি করলেন, এবং তাকে সৃষ্টি করলেন মাটি থেকে এবং তার দৈহিক গঠন সম্পন্ন করার পর তাঁর ভেতর রূহ বা আত্মা ফুকে দিলেন। এবং তিনি (আল্লাহ) আদম আলাইহিস সালাম কে সবকিছুর নাম শিখালেন, এবং তিনি ফেরেশতাদের হুকুম দিলেন আদম আলাইহিস সালামকে সেজদা করার জন্য, ফেরেশতাদের আসনে তখন সেই পুণ্যবান জিনেরও জায়গা ছিল। সেই আদেশটি তার ওপরেও প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু প্রতিটি ফেরেশতা তাৎক্ষণিকভাবে আদম আলাইহিস সালামকে সম্মান স্বরূপ সেজদা করলেও, সেই জিন তাকে সেজদা করল না। প্রথমবারের মতো কেউ স্বয়ং আল্লাহর উপস্থিতিতে আল্লাহর হুকুম অমান্য করার ধৃষ্টতা দেখালো, এবং সাথে সাথে তারা এতো বছরের ইবাদতের উদ্দেশ্যে প্রকাশ পেল। সে আল্লাহকে বেশি বেশি ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহর ভালোবাসা কামনা করেনি, কামনা করেছিল মর্যাদা সম্মান।

আগুনের তৈরী হয়ে ইবাদতের মাধ্যমে নূরের তৈরী ফেরেশতাদের মধ্যে জায়গা করে সে এতটা অহংকারী হয়ে গিয়েছিল, যে সে মাটির তৈরি আদম আলাইহিস সালামকে তাকে ছোট করে দেখলো। সে যে গোটা মহাবিশ্বের স্রষ্টা মহান রব্বুল আলামীনের অমান্য করার মাধ্যমে সবচেয়ে অপদস্ত অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল তা বুঝতে পারল না, এবং হয়ত আল্লাহকে অমান্য করার চেয়েও বড় ভুলটা সে তার পরে করল। সে আল্লাহর রহমত এবং অনুগ্রহের ব্যাপারে হতাশ হয়ে গেল, সে ধরে নিল সে যে ভুল করেছে এর থেকে আল্লাহ তাকে আর কোনদিন ক্ষমা করবেন না। এই হতাশ হয়ে যাওয়াকে আরবিতে বলা হয় আবলাসা, এবং সেই থেকে তার নাম হয়ে গেল ইবলিশ। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা ইবলিসকে বিতাড়িত করলেন।

ইবলিসের মনে এত প্রবল হিংসা আর ক্রোধ জন্ম নিল, যে সেই অভিশাপের মুহূর্তেও আল্লাহর কাছে দোয়া করে ফেলল। কিন্তু সে মাগফেরাতের জন্য দোয়া করল না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে কিছু সময় রেহাই চাইলো, যেন সে আল্লাহর কাছে প্রমাণ করতে পারে মানব জাতি কতটা খারাপ। এবং মহান রব্বুল আলামীন এত বেশি দয়াশীল তাঁর সৃষ্টিকে তিনি এতটাই ভালোবাসেন যে, তার সরাসরি হুকুম অমান্য করার পর যখন তার কাছেই দোয়া করল, তিনি তার দোয়া কবুল করে নিলেন।

তাহলে আমরা যখন ভুল করে ফেলি বারবার একই গোনায় লিপ্ত হতে থাকি, এবং এরপর মনে করি আমরা অনেক বেশি খারাপ হয়ে গেছি আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করবেন না। আমাদেরকে এমন চিন্তা করার কোনো কারণ রয়েছে।

আল্লাহ আদম আলাইহিস সালামকে জান্নাতে প্রবেশ করালেন, এবং তিনি সেখানে তার রবের নেয়ামত উপভোগ করতে লাগলেন, এবং ইবলিশ গোপনে তাকে ধোঁকা দেয়ার পরিকল্পনা করতে লাগলো।

ইবলিশ যখন বছরের পর বছর আল্লাহর ইবাদত করার পর, এবাদত কারিদের মধ্যে অত্যন্ত সম্মানিত অবস্থানে পৌঁছে যায়। যখন সে আল্লাহর এমন নৈকট্য লাভ করার সুযোগ পায়, যা শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ফেরেশতারাই পেয়েছিল। তখন আল্লাহ তাকে আরও একটি বিশেষ ইবাদত করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তাকে বলেছিলেন আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা করতে। কিন্তু সে আল্লাহর আদেশ অমান্য করল, আল্লাহর আদেশ অমান্য করার মাধ্যমে তার এত বছরের এবাদত এর একটি দিক প্রকাশ পেল। তার এত বছরের ইবাদত জুড়েই ছিল আরও মর্যাদা পাওয়ার আকাঙ্খা, নিজের মাহাত্ম প্রমাণের আকাঙ্খা।

আল্লাহ যেহেতু লাতিফুল খবির, তিনি প্রতিটি অন্তরের সবচেয়ে গোপন বিষয়গুলো স¤পর্কে অবগত। তাই তিনি সবসময়ই জানতেন ইবলিসের ইবাদতের গভীরে কেমন উদ্দেশ্য লুকিয়ে রয়েছে। কিন্তু আরহামুর রাহিমীন তাই তিনি ইবলিসকে ধীরে ধীরে তার কাছে টেনে নিয়েছেন, তাকে শ্রেষ্ঠতর সঙ্গীদের সাথে তার রবের ইবাদত করার সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু তার অন্তরের অহংবোধ এত প্রবল ছিল সৃষ্টির সেরা ইবাদতকারীদের সঙ্গ পেয়েও তার মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি। অতঃপর আল্লাহ তার সামনে এমন এক পরীক্ষা দিলেন যা থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল তার অন্তরে আসলে কি ছিল।

যে সত্যিকার অর্থে আল্লাহকে ভালোবেসেছে, একনিষ্ঠভাবে তাঁরই নৈকট্য লাভ করার জন্য ইবাদত করেছে, সে আল্লাহর হুকুম মানার জন্য উৎসুক হয়ে থাকবে আল্লাহ তাকে যে হুকুমই দেন না কেন। ইবলিস যখন আল্লাহর আদেশ অমান্য করল তখন সবার কাছেই এ ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেল। তার অন্তরে আল্লাহর আনুগত্যের চেয়ে নিজের পদমর্যাদা প্রাধান্য পেয়েছে, এবং সে এতটাই হতভাগা যে সেই পদমর্যাদার কামনায় নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিলো। সেই পদমর্যাদা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর আনুগত্য করলে এমনি তার হয়ে যেত এবং হাজার হাজার বছর পর আজ কত মানুষ সেই একই ধোঁকার মধ্যে পড়ে রয়েছে।

দ্বিতীয়তঃ সামান্য মাটির তৈরি আদম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ নূরের তৈরী ফেরেশতা ও আগুনের তৈরী জীনদের সেজদা করতে বললেন কেন? এর বিভিন্ন কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে জ্ঞানের মর্যাদা। আল্লাহ আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করার সাথে সাথেই তাকে সিজদা করার হুকুম দেননি। বরং তিনি প্রথমে তাকে শিক্ষা দিয়েছেন, এবং আদম আলাইহিস সালাম সেই শিক্ষা গ্রহণ করার পরই বাকিদের কাছ থেকে সিজদা করার মতো অবস্থানে পৌঁছেছেন।

আল্লাহর রহমতে আদম আলাইহিস সালাম জান্নাতে বাস করতে লাগলেন এবং ইবলিস নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়ে ওত পেতে বসে থাকলো আদম আলাইহিস সালামকে ফেলার জন্য। অন্যদিকে আদম আলাইহিস সালাম জান্নাতের অগনিত নেয়ামত উপভোগ করতে লাগলেন। কিন্তু বছরের পর বছর পার হয়ে যাওয়ার পর তিনি তার অন্তরে এক নতুন ধরনের অনুভূতি আবিষ্কার করলেন। এই অনুভূতি ছিল একাকীত্ববোধ তিনি ধীরে ধীরে লক্ষ্য করলেন, আল্লাহর জগতে এত এত ফেরেশতা এত এত পশুপাখি কিন্তু তার মত আর কেউ নেই।

অতঃপর আল্লাহ তার জন্য একজন জীবনসঙ্গী সৃষ্টি করলেন, এবং আমাদের মা হাওয়া আলাইহিস সালামের জন্ম হলো এবং তাকে পাওয়ার সাথে সাথে আদম আলাইহিস সালামের নিঃসঙ্গতা দূর হয়ে গেল। এবং আল্লাহ বললেন আদম আলাইহিস সালাম এবং হাওয়া আলাইহিস সালাম এর জন্য আল্লাহ পুরো জান্নাত উন্মুক্ত করে দিলেন এবং শুধুমাত্র একটি গাছের ব্যাপারে তাদের সতর্ক করে দিলেন এবং বললেন এই গাছের কাছে এসো না। এই আদেশকে ঘিরেই ইবলিস তার ফাদ পাততে লাগলো ধাপে ধাপে আদম আলাইহিস সালামকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতে লাগল এবং অবশেষে সে আল্লাহর কসম খেয়ে বলল সে তাদের সদুপদেশ দিচ্ছে এবং তারা যদি সেই গাছের ফল খায় তারা অমর হয়ে যাবেন ফেরেশতা দের মত হয়ে যাবেন।

আদম আলাইহিস সালাম এবং মা হাওয়া এত পবিত্র পরিবেশে জীবন যাপন করেছিলেন যে, তারা কখনো মিথ্যা কথার সম্মূখীনই হননি আল্লাহর কসম খেয়ে মিথ্যা কথা বলা তো অনেক দূরের কথা।

তারা ইবলিশের ফাঁদে পা দিলেন, এবং সেই নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়ে ফেললেন এবং সাথে সাথেই তারা তাদের নগ্নতার উপলব্ধি করলেন এবং যে আলো দ্বারা তাদের নগ্নতার সুরক্ষিত ছিল সেই আলো নিভে গেল এবং তারা গাছপালা দিয়ে নিজেদের ঢেকে নিলেন এবং আদম আলাইহিস সালাম ও মা হাওয়া সাথে সাথে তাদের ভুল বুঝতে পারলেন এবং যদিও ইবলিস তাদেরকে ফাসিয়েছিল তারা বুঝতে পারলেন। যখন আল্লাহ পরিষ্কার আদেশ করেছিলেন তাদেরকে সেই গাছ থেকে ফল না খাওয়ার জন্য, তখন তাদের ইবলিসের কথায় কান দেয়া উচিত হয়নি এবং তাই এতে তাদেরও দোষ ছিল। এবং তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করে বললেন, ‘রাব্বানা জলামনা আনফুসানা অইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানা কূনান্না মিনাল খাসেরীন’ হে আমাদের রব আমরা আমাদের নাফসের উপর জুলুম করেছি এবং যদি আমাদেরকে আপনি ক্ষমা না করেন এবং আমাদের উপর রহম না করেন তবে নিশ্চয়ই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব এবং এখানে আদম আলাইহিস সালাম এর মধ্যে একটি স্পষ্ট পার্থক্য দেখা যায়।

সংকলনেঃ এম.এ.এস ইমন
প্রকাশক, দৈনিক ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’




যেভাবে কাটল টালি তারকাদের হোলি খেলা

বাংলা বিনোদন দুনিয়ার প্রায় সব খ্যাতনামা শুক্রবার শুটিংয়ের ব্যস্ততা ভুলে রঙের নেশায় মাতেন। দেব থেকে অঙ্কুশ হাজরা, যশ দাশগুপ্ত, নুসরত জাহান, মধুমিতা সরকার, ঊষসী চক্রবর্তী সবাই রঙিন আজকের দিন। কেউ গানের তালে মাথা ঢেকে উদ্দাম নেচেছেন, কেউ সঙ্গিনীকে সঙ্গে নিয়ে ফাগ আবিরে রাঙা! আবার কেউ তো সাজসজ্জায় ‘মৃচ্ছকটিক’ নাটকের ‘বসন্তসেনা’। বাড়তি আকর্ষণ– ডায়েট ভুলে দেদার খানাপিনার আয়োজন।

কেমন হলো বাংলা বিনোদন দুনিয়ার খ্যাতনামাদের দোল উদযাপন?এমন প্রশ্নে অঙ্কুশ কখনো উদযাপনের সুযোগ ছাড়েন না বলে জানান। নিজের বাড়িতে হোক কিংবা স্টুডিওতে অভিনেতা সব সময় রসেবশে। দোলে তিনি যে ঐন্দ্রিলা সেনকে নিয়ে মনের আনন্দে রঙ খেলায় মাতবেন, অনুরাগীরা জানতেন। সেসব মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন যুগল। পরনে সাদা টি-শার্ট আর শর্টস, মাথা ঢেকেছেন পরচুলায়। পোশাক, শরীর রঙে মাখামাখি। নেপথ্যে অমিতাভ বচ্চনের ‘সিলসিলা’ সিনেমার বিখ্যাত গান ‘রঙ বরষে’ বাজছে। তাল মিলিয়ে উদ্দাম নৃত্য অভিনেতার! নাচতে নাচতেই তিনি রঙ মাখিয়েছেন ঐন্দ্রিলাকে ও বন্ধুদের। প্রেমিকার সঙ্গে আদুরে ছবি তুলতেও ভোলেননি!

মিমি চক্রবর্তী আধ্যাত্মিক। সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এ নায়িকার বাড়িতে উৎসব মানে ঈশ্বরের আরাধনা। এদিনও সেই পর্ব বাদ যায়নি। মিমি নিজে হাতে গোপালের পূজা করেছেন। সঙ্গী দুই সারমেয় ‘সন্তান’, মা-বাবা। বড়দের পায়ে আবির আর দুই সন্তানের কপালে ছোট্ট করে ফাগের টিপ। নিজেও বেশ খানিকটা লাল রঙে রঙিন। মিমির দোল জমে গেছে এভাবেই।

প্রযোজক-অভিনেতা-সংসদ সদস্য দেব। এদিন তিনি আক্ষরিক অর্থেই ‘খোকাবাবু’। দিনটি শুরু করেছেন মায়ের হাতে আবির মেখে। ঝাঁকড়া চুল, দাড়ি-গোঁফে ঢাকা ‘রঘু ডাকাত’ মায়ের সামনে যেন শিশু! ব্যস্ত ছেলেকে হাতের কাছে পেয়ে মা-ও মনের সুখে তাকে আবির মাখিয়েছেন। দেবের বাবা গুরুপদ অধিকারীও ছিলেন সেই দলে। পরে দেবের রঙে রঙ মেশাল রুক্মিণী মৈত্রও।

দেব যখন মায়ের ‘খোকাবাবু’, তখন তার ‘কিশোরী’ ইধিকা পাল কী করছেন? তিনিও মাটির থালায় রকমারি রঙ সাজিয়ে হাজির। পরনের সাদা শাড়িতে ফুলেল নকশা। চুলে বাসন্তী গাদা ফুল। এদিন তিনি ‘কিশোরী’র মতোই প্রাণোচ্ছ্বল! কিন্তু তার গালে রঙ দিল কে? রহস্য সেটাই।

এদিকে যশ দাশগুপ্ত, নুসরাত জাহানকে দেখুন! জুটিতে সাদা পোশাকে রঙমিলন্তি। তার পরেই ডুব দিয়েছেন লাল, নীল, সবুজ রঙের আবির-ফাগে। দুই ছেলেই বেশ ছোট। দুজনে তাই দুজনের রঙ খেলার দোসর। বিধায়ক-অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী সব দর্শক-অনুরাগীকে দোলের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

মধুমিতা সরকার এমনিতেই রঙিন। সব রকম উৎসব নিজের মতো করে উদ্যাপন করেন। দোলে সাজপোশাকে, ভঙ্গিতে যেন রাই কিশোরী! সাদা শার্ট পেটের কাছে ‘নট’ করা। সঙ্গে ডেনিম শর্টস। খোলা চুল বসন্তের হাওয়ায় এলোমেলো। মুখে, পোশাকে, চুলে রঙবাঙার। ঋতুরাজ যেন নিজের হাতে যত্ন করে রঙিন করেছে তাকে! এমন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি না করে থাকা যায়! কিন্তু ছবিগুলো তুললেন কে? নায়িকার ছবি যে বারে বারে এই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।

এক মাত্র সন্তান ধীর আগের তুলনায় বড়। ছেলেকে নিয়েই তাই রঙের উৎসবে মাতোয়ারা চক্রবর্তী পরিবার। গৌরব চক্রবর্তী এবং ঋদ্ধিমা ঘোষের পোশাক এ দিন সাদা। থালায় সাজানো নানা রঙের ফাগ। তাতে ছোট্ট ছোট্ট আঙুল ডুবিয়ে ঠাম্মা মিঠু চক্রবর্তীর গাল রঙিন করেছে একরত্তি। নাতির দেওয়া রঙে রঙিন হতে হতে খুশির হাসি সব্যসাচী চক্রবর্তীর ঘরনির চোখেমুখে।

শ্রীলেখা মিত্র ব্যতিক্রমী। রঙ খেলতে তিনি ভালোবাসেন সে কথাও জানিয়েছেন। আবার রঙ খেলার দোসর নেই তার এ কথা জানাতেও ভোলেননি তিনি। তা হলে কি তিনি মনোকষ্টে ভুগছেন? না, তিনি বেশ ভালই আছেন পোষ্যদের নিয়ে। তারাও যাতে ভাল থাকে তার জন্য সাধারণকে সতর্ক করতেও ভোলেননি। মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘ওরা অবলা। ওরা তাই বলতে পারে না, রঙ ওদের জন্য ক্ষতিকারক। দোল ওদের জন্য নয়। আপনারাই বরং বিষয়টি মনে রেখে রঙ থেকে ওদের দূরে রাখুন। ওদের রঙ মাখিয়ে কষ্ট দিয়ে নিজে আনন্দ পাবেন না।

শেষ হইয়াও হইল না শেষ ঊষসী চক্রবর্তী। তিনি এ দিন সাজসজ্জায় যেন ‘মৃচ্ছকটিকম’ নাটকের ‘বসন্তসেনা’। এ দিন তিনি আপাদমস্তক সাদা পোশাকে সেজেছেন। কাঁচুলির মতো ব্লাউজ, শিফনের শাড়িতে তার বাঁধভাঙা সৌন্দর্য। কোমরে সাদা পাথরের সরু চেন। সঙ্গে হাজার ওয়াটের হাসি। অভিনেত্রীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ এক অনুরাগী মন্তব্য বিভাগে অভিনেত্রী লিখেছেন— এ যে কলকাতার মালাইকা! সে খবর আনন্দবাজার ডট কমকে জানিয়েছেন তিনিই।

যোগাযোগ করতেই ফোনের ওপার থেকে হাসি ছড়িয়ে দিলেন ঊষসী। বললেন, উদযাপনকে সামনে রেখে নিজেকে ভালোবাসার পাঠ পড়িয়েছি। দেখুন, নিজেকেই কীভাবে নানা রঙে রঙিন করেছি। তার মতে, নিখুঁত কেউ নন। কিন্তু খুঁতগুলো আঁকড়ে ধরে খুঁতখুঁতে না হয়ে নিজেকে খুঁতসহ ভালোবাসুন। তা হলেই আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে জেলা পরিবেশক সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল

মেহেরপুরে জেলা পরিবেশক সমিতির উদ্যোগে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের সেভেন সেন্স রেস্টুরেন্টে এই আয়োজন করা হয়।

জেলা পরিবেশক সমিতির সভাপতি মোঃ হাশেম আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সমিতির উপদেষ্টা আজিজুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সাদরুল ইসলাম নাহিদ, কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ সোহেল রানা, মেহেদী হাসান পলাশ, নুরুজ্জামান, ওমর ফারুক, আশরাফ হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।




ব্রাজিলের দুঃখ নেইমার, খেলা হচ্ছে না আর্জেন্টিনার বিপক্ষে

বর্তমান সময়ে ব্রাজিলের সবচেয়ে সেরা ফুটবলার নেইমার। সেই তিনিই এখন রীতিমতো ব্রাজিলের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। চোট যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না এই ফুটবলারের। ১৬ মাস পর ব্রাজিল দলে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত মাঠে নামা হচ্ছে না এই তারকার। তার আগেই ফের চোটে পড়েছেন তিনি।

ব্রাজিলের হয়ে আগামী সপ্তাতেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল নেইমারের। সেই লক্ষ্যে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন। সান্তোসে ফিরে সময়টাও ভালো কাটছিল তার। কিন্তু হঠাৎই ফের চোটে পড়েছেন এই ফরোয়ার্ড। যে কারণে এখন আসন্ন এই ম্যাচ দুটিতে খেলা হচ্ছে না তার।

নেইমারের জায়গায় দলে ডাকা হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড এনদ্রিককে। এই তরুণ কতটা মেলে ধরতে পারেন নিজেকে, নেইমারের অভাব পূরণ করতে পারেন কতটা; সেটাই এখন দেখার।

নেইমার ব্রাজিলের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পাওয়ার পর এক বছরের বেশি সময় তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন। যে কারণে তার সঙ্গে নতুন করে চুক্তিতে যেতে আগ্রহ দেখায়নি সৌদি আরবে তার ক্লাব আল হিলাল। অতিরিক্ত চোট প্রবণ হওয়ায় নেইমারকে নিয়ে আগ্রহ কমেছে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোরও। যে কারণে একরকম বাধ্য হয়েই শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরতে হয়েছে তাকে। তবে সেই যাত্রাটাও সুখকর হলো কই। ক্লাবটির হয়ে ৭ ম্যাচ খেলেই চোটে পড়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ১২ রাউন্ড শেষে পয়েন্ট তালিকায় ৫ নম্বরে আছে ব্রাজিল। বৃহস্পতিবার ব্রাসিলিয়ার গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে দলটি খেলবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। এরপর বুয়েনস এইরেসে গিয়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ ২৬ মার্চ।

সূত্র: যুগান্তর




গাংনীতে ‘সান্ধ্যকালীন হোম ভিজিট’ কার্যক্রমে ইউএনও

এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে লেখাপড়ার খোজ নিতে যাচ্ছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা।

শিক্ষার জন্য নিবেদিত এ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো জ্বালাতে নিজের দায়িত্ববোধ থেকে ছুটে চলেছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রীতম সাহা শুধু প্রশাসনিক কাজেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং উপজেলায় শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে গ্রহণ করেছেন একাধিক ব্যতিক্রমী কার্যক্রম। তারই অংশ হিসেবে তিনি শুরু করেছেন ‘সান্ধ্যকালীন হোম ভিজিট’ কার্যক্রম।

মার্চ মাসের শুরু থেকেই প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের বাড়িতে যাচ্ছেন। উদ্দেশ্য একটাই—পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী করে তোলা, সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ এবং অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করা।

হোম ভিজিটকালে ইউএনও প্রীতম সাহা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন, তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির খোঁজ নেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি অভিভাবকদেরও পরামর্শ দেন কীভাবে সন্তানদের আরও ভালোভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী করা যায়। এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করছেন প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ ও উপহার সামগ্রী, যা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে।

এমন একটি উদ্যোগে অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তি ও সন্তুষ্টি প্রকাশ পেয়েছে। তারা বলছেন, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার এমন সরাসরি সম্পৃক্ততা নিঃসন্দেহে শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

একজন অভিভাবক বলেন, “ইউএনও স্যার আমাদের বাসায় এসে সন্তানদের পড়ালেখার খোঁজ নিয়েছেন, এটা আমাদের জন্য খুব গর্বের ও আনন্দের। এতে আমরা যেমন উৎসাহিত হয়েছি, তেমনি সন্তানরাও আরও মনোযোগী হচ্ছে।

একজন শিক্ষার্থী জানায়, ইউএনও স্যারের উপহার এবং উৎসাহে আমরা অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি। এখন পড়াশোনায় আরও মনোযোগ দিচ্ছি। গাংনী উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক বলেন, দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ইউএনও মহোদয়ের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। তার সান্ধ্যকালীন হোম ভিজিট কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও গ্রহণযোগ্য।

ইউএনও প্রীতম সাহা বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধু প্রশাসনিক দিক নয়, শিক্ষাক্ষেত্রেও একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনিটরিং, উৎসাহ প্রদান এবং শিক্ষার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধিই আমাদের উদ্দেশ্য। আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি বইমুখী হয়, নিয়মিত পড়াশোনা করে, তাহলে তারা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হবে।”

গাংনী উপজেলার সচেতন মহল, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলছেন—এ রকম উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে গাংনী উপজেলায় শিক্ষার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।




মেহেরপুরে যুবদল নেতার উদ্যোগে পথচারীদের ইফতার বিতরণ

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে মেহেরপুরে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে শহরের কলেজ মোড়ে প্রায় ২০০ পথচারীর মাঝে এই ইফতার বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের নেতা মাহাফুজুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় এই ইফতার বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা মোঃ ফাহিম, মোঃ নাজমুল হোসেনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। রমজানের এই পবিত্র মাসে যুবদলের এই মানবিক উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে।




মুজিবনগরে বিএনপি’র উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে বাগোয়ান বিএনপি’র উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাগোয়ান আননূর টেকনিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গনে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র (সাবেক) সভাপতি ও সাবেক মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।

উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান, যুগ্ম আহবায়ক শাহিনুর রহমান, যুবদল নেতা আরিফ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাবেদ সেনজির, মেহেরপুর জেলা জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট সেলিম গাজী, ছাত্রনেতা মিঠুন সহ বাগোয়ান বিএনপি’র নেতাকর্মীবৃন্দ।

ইফতারের আগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত এবং বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।




দারিয়াপুরে ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন ও ইফতার মাহফিল

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টার সময় পুরন্দরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলন ও ইফতার মাহফিলে জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজী মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম।

এছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলমগীর খান ছাতু, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক লিটন, মোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রায়হান কবির, বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক কালু, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভিকু, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা জাসস এর সভাপতি জুলফিকার খান হেলাল,

দারিয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সালাউদ্দীন, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক লিংকন, বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম সাজু, বিপ্লব, নুরুদ্দীন সাদি, হাপিজুল ইসলাম, ওমর ফারুকসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দারিয়াপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি হিসাবে লাল্টু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইম এবং ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি হিসাবে আব্দুর রাজ্জাক সোনা, সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বশির উদ্দীন নির্বাচিত হন।




মেহেরপুরে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণ, তদন্ত কর্মকর্তার যোগসাজসে আসামিদের জামিন, থানা ঘেরাও

মেহেরপুরে ধর্ষণ মামলার তদন্ত অফিসারের সহযোগীতায় আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে বাদীকে হত্যার হুমকী দেওয়া ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রকে মারধর করার অপরাধে আসামিদের গ্রেফতার ও তদন্ত অফিসারের শাস্তির দাবীতে মেহেরপুর সদর থানা ঘেরাও করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি কয়েকশ ছাত্র ছাত্রী সদর থানা ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম তাকে এক ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

এছাড়া মেহেরপুর সেনাবাহিনীর মেজর ফারহানের নেতৃত্বে একটি টিম থানায় গিয়ে ছাত্র নেতাদের সাথে কথা বলে সুরাহার আশ্বাস দেন। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে চকলেট দেওয়ার নাম করে মেহেরপুরের নতুন মদনাডাঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পের ৯ বছরের এক শিশুকে ওই গ্রামের বরকত আলীর ছেলে বায়োজিদ (২০) তাদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় তার বন্ধু আল আমিন (২০) এই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে ভিডিও ফাঁস করার হুমকী দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী নেই। এরপর আবারও এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে আসামিরা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেই।

এই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে পর্ণোগ্রাফি আইনে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা করে। এই মামলায় তদন্ত অফিসার সুজেয় মল্লিকের সহযোগীতায় আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে বাদীকে হত্যার হুমকী দেই। বিষয়টি মেহেরপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা তদন্ত কর্মকর্তা সুজেয় মল্লিকের কাছে জানতে চাইলে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।

পরে রাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, সদস্য সচীব মোজিদুল ইসলাম, নাগরিক কমিটির নেতাকর্মী জড়ো হয়ে তাদের গ্রেফতারের দাবীতে সদর থানা ঘেরাও করে রাখে।