এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বাড়িতে গভীর রাতে ইউএনও

এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে রাতের আঁধারে তাদের বাড়িতে ছুটে যাচ্ছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খায়রুল ইসলাম। শিক্ষার জন্য নিবেদিত এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে ও তাদের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে চলেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই খায়রুল ইসলাম শুধু প্রশাসনিক কাজেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং উপজেলায় শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তারই অংশ হিসেবে তিনি শুরু করেছেন ‘রাত্রিকালীন হোম ভিজিট’ কার্যক্রম।

চলতি বছরের মার্চ মাসের শুরু থেকেই প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের বাড়িতে যাচ্ছেন। উদ্দেশ্য একটাই পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী করা, তাদের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করা এবং অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করা।

হোম ভিজিটকালে ইউএনও খায়রুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির খোঁজ নেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। পাশাপাশি অভিভাবকদেরও পরামর্শ দেন কীভাবে সন্তানদের আরও ভালোভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী করা যায়। এ ছাড়া পরীক্ষার্থীদের মাঝে প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন, যা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করছে।

এই উদ্যোগে অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তি ও সন্তুষ্টি প্রকাশ পেয়েছে। তারা মনে করছেন, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

রাত্রিকালীন হোম ভিজিটের সময় ইউএনও খায়রুল ইসলামের সঙ্গে মেহেরপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, মোমিনপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাব্বারুল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।




হার দিয়ে বাবর-রিজওয়ান পরবর্তী যুগের শুরু পাকিস্তানের

স্কোয়াডে ব্যাপক পরিবর্তনই আনা হয়েছিল। বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো তারকার দল থেকে বাদ দিয়েছিল পিসিবি। তাদের ছাড়াও অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান।

নিউজিল্যান্ড তাদের শক্তিমত্তার প্রমাণ রেখে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নয় উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে। রোববার হ্যাগলি ওভালে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে কিউইরা সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।

অভিজ্ঞতা-সংকটে থাকা সালমান আগার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দল মাত্র ৯১ রানে অলআউট হয়ে যায়, যা নিউজিল্যান্ডের জন্য ছিল সহজ টার্গেট। ৯১ রানের এই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে টিম সাইফার্ট ও ফিন অ্যালেন শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন, পাওয়ারপ্লেতেই ৫৩ রানের জুটি গড়েন তারা।

সাইফার্ট ২৯ বলে ৪৪ রান করে আবরার আহমেদের বলে আউট হলেও, অ্যালেন ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। টিম রবিনসন ১৮ রান করেন এবং মাত্র ১১ ওভারেই কিউইদের জয় নিশ্চিত করেন।

পাকিস্তানের ব্যাটিং বিপর্যয়ের সঙ্গে বোলিংয়েও ছিল হতাশা। কেবল আবরার আহমেদ একটি উইকেট নিতে সক্ষম হন, বাকিরা কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের বোলাররা শুরু থেকেই বিধ্বংসী ছিল, কাইল জেমিসন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।

পাকিস্তানের ইনিংস শুরুতেই ধসে পড়ে। মাত্র ১ রানেই তারা হারায় তিনটি উইকেট। জেমিসন মোহাম্মদ হারিসকে শূন্য রানে ফেরান, ইরফান খান মাত্র ১ রান করে বিদায় নেন, আর অভিষিক্ত হাসান নওয়াজ দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে যান। ৫ ওভারের মধ্যে পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে।

কাপ্তান সালমান ও খুশদিল শাহ পঞ্চম উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়লেও, তা যথেষ্ট ছিল না। খুশদিল ৩২ রান করেন, যেখানে তিনটি ছক্কা ছিল, তবে জ্যাকব ডাফির শিকার হয়ে বিদায় নিলে পাকিস্তান ৬৪-৬ এ পরিণত হয়।

পরবর্তী উইকেটগুলো দ্রুতই পড়ে যায়, আর ৯১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। অভিষিক্ত আবদুল সামাদ, জাহানদাদ খান ও শাহীন আফ্রিদি কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।

নিউজিল্যান্ডের জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন জ্যাকব ডাফি, যিনি ৪টি উইকেট তুলে নেন। জেমিসন ৩টি ও ইশ সোধি ২টি উইকেট নেন, আর ফক্স একটি উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের দাপুটে জয়ের রাস্তা তৈরি করে দেন।

সূত্র: যুগান্তর




আদম (আঃ)- এম.এ.এস ইমন (পর্ব ২)

যখন আল্লাহর সরাসরি আদেশ অমান্য করেছিল সে আল্লাহকেই দোষারপ করেছিল (নাউযুবিল্লাহ) সে বলেছিল নিশ্চয়ই আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, অতএব আমি মানুষকে পথভ্রষ্ট করব। অন্যদিকে আদম আলাইহিস সালাম নিজের ভুলের দায়ভার পুরোপুরি নিজের কাঁধে নিয়ে আল্লাহর কাছে নিজেকে সঁপে দিয়ে বলেছেন, আল্লাহ যদি তাকে ক্ষমা না করেন তার আর কোন আশা থাকবে না তার আর কোন উপায় থাকবেনা এবং আল্লাহ আদম আলাইহিস সালাম ও মা হওয়ার দোয়া কবুল করলেন কিন্তু তাদেরকে এও আদেশ করলেন যেহেতু তারা সেই গাছের ফল খেয়ে ছিল তাই তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট সময়ে পৃথিবীতে কাটাতে হবে।

মুসলিম শরীফের হাদীসে এসেছে আল্লাহ তা’আলা আদম আলাইহিস সালামকে শুক্রবারে সৃষ্টি করেছেন, তাকে শুক্রবারে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন, আর শুক্রবারেই তাকে সেখান থেকে বের হয়ে যেতে হয়েছিল।

আদম আলাইহিস সালাম আর মা হাওয়া পৃথিবীর দুটি আলাদা স্থানে অবতীর্ণ হলেন, তাঁরা ঠিক কোথায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন সে বিষয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে, তবে সব বর্ণনাই যা আসে তা হলো তারা দুজন পৃথক পৃথক জায়গায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। জান্নাতের মতো জায়গায় একে অপরের মধুর সঙ্গ পাওয়ার পর দুনিয়ার মতো জায়গায় এসে নিঃসঙ্গ দিন কাটানো অনেক বড় একটা পরীক্ষা ছিল।

একবার ভেবে দেখুন আপনার জীবন সঙ্গী যাকে আপনি সবসময় কাছে পাচ্ছেন, ঘরে ফিরলেই যার দেখা হয় যাকে ঘিরে আপনার সব পরিকল্পনা। তাকে যদি হঠাৎ করে আপনি হারিয়ে ফেলেন এবং কতদিনের জন্য আপনি হারিয়ে ফেলেছেন আপনি জানেন না এবং আপনি যেই রবের কাছে দোয়া করছেন আপনার ভয় হচ্ছে, সেই রব আপনার উপর রেগে আছেন।

আপনি এমন একটি জায়গায় আছেন যা অন্ধকার যা ভয়ানক এবং আপনি জানেন না আপনার জীবনসঙ্গী কেমন জায়গায় আছেন। এমন অবস্থায় নিজেকে কতটা অসহায় মনে হবে তারা ব্যাকুল হয়ে একে অপরকে খুঁজতে লাগলেন, খুঁজতে খুঁজতে কতদিন হয়ে গেল তার কোনো নির্দিষ্ট হিসেব নেই। কিন্তু অবশেষে তারা একে অপরকে খুঁজে পেলেন এবং মা হওয়া এবং আদম আলাইহিস সালাম তাদের দুনিয়ার জীবনের সংসার শুরু করলেন।

বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে আদম আলাইহিস সালাম দুনিয়াতে প্রায় এক হাজার বছর বেঁচে ছিলেন এবং এই সময়ে মা হওয়া অনেকবার মা হয়েছিলেন এবং প্রতিবার তার কোলে আল্লাহর হুকুমে যমজ সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল এবং সেই সময়ের বিধান ছিল এক কোলের সন্তানকে আরেক কোলের সন্তানের সাথে বিয়ে করতে হবে।

অর্থাৎ যেহেতু তখন প্রতিটি মানুষই সরাসরি একে অপরের ভাইবোন ছিল তখন ভাইবোনের মধ্যে বিয়ে করার নিষেধাজ্ঞা জমজ ভাই বোনদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। আদম আলাইহিস সালামের প্রথম পুত্র সন্তানের নাম ছিল এবং এরপর এর পুত্র সন্তানের নাম ছিল হাবিল। কাবিল ছিল কৃষক আর হাবিল পশুপাখি পালত। কাবিল ছিল কিছুটা রাগী প্রকৃতির এবং সে হাবিলের বোনকে বিয়ে করার ব্যাপারে অসম্মতি জানাল। তার দৃষ্টিতে তার নিজের বোন ছিল আরো বেশি রূপবতী। এই অবস্থায় আদম আলাইহিস সালামের মাধ্যমে ওহী আসল তারা দুই ভাই যেন আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানী করে এবং কোরবানি কবুল হবে তার পছন্দই চূড়ান্ত হবে।

হাবিল তার খামার থেকে সবচেয়ে সুন্দর পশুটি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানী করল, অন্যদিকে কবিল তার সবচেয়ে খারাপ ফসলটি কোরবানির নিয়তে উঠিয়ে রাখল এবং হাবিলের কোরবানি কবুল করলেন এবং কবিলের কোরবানি কবুল হলো না। এবং হাবিলের আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী কবিলের বোনকে বিয়ে করার জন্য সম্মতি জানাল। কিন্তু এতে কবিলের অন্তর হিংসা-বিদ্বেষ ভরে গেল এবং সে একপর্যায়ে হাবিলকে বলল সে হাবিলকে হত্যা করে ফেলবে।

হাবিল তার ভাইকে বলল তুমি আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হাত বাড়ালেও আমি তোমাকে হত্যা করার জন্য হাত বাড়াবো না, কারণ আমি আল্লাহকে ভয় করি এবং তার কথা শুনে কাবিল আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলো এবং হাবিলকে হত্যা করার জন্য তার গলা চেপে ধরলো কিন্তু তাকে হত্যা করতে পারল না। তখন ইবলিশ তাদের কাছে আসলো এবং হাবিলকে হত্যা করার পদ্ধতি শেখানোর জন্য একটি পশুর মাথায় পাথর দিয়ে পশুটিকে হত্যা করল এবং কবিল একিভাবে একটি পাথর নিয়ে হাবিলের মাথায় আঘাত করলো এবং এভাবেই হাবিল হয়ে গেল মানব ইতিহাসের প্রথম শহীদ হয়ে গেল মানব ইতিহাসের প্রথম হত্যাকারী।

যতক্ষণ পর্যন্ত আদম আলাইহিস সালাম এর কাছে খবর এলো ততক্ষণে তার কর্মের পরিনাম এর কথা চিন্তা করে পালিয়ে গিয়েছে, সে ভাবল তার আর কোনো আশা নেই। আদম আলাইহিস সালাম ও মা হাওয়া তার দুই সন্তানকে এভাবে হারিয়ে বুকের গভীর শোক ধারণ করে তাদের বাকি সন্তানদের সদুপদেশ দিতে থাকলেন এবং আল্লাহর এবাদত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করতে থাকলেন। ধীরে ধীরে বহু বছর পার হয়ে গেল এবং তাদের অনেক সন্তান জন্ম হলেও কেউ কেউ বলেন মা হওয়ার ২০ জোড়া যমজ সন্তান হয়েছিল, আবার কেউ কেউ বলেন সে সংখ্যা একশোর বেশী এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার কোন উপায় নেই।

তবে তাদের সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে একজন সন্তান ছিলেন শীষ, যে তার বাবার মতো সমাজের মানুষকে ভাল কাজ করার উপদেশ দিতেন এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিতেন। আদম আলাইহিস সালাম যখন অনেক বৃদ্ধ তখন একদিন তিনি ফল খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, বাস্তবে তার জান্নাতের ফলের কথা খুব মনে পড়ছিল এবং তিনি সেই ফলই খেতে চাচ্ছিলেন।

কিন্তু তার সন্তানেরা যখন শুনলো তাদের বাবা ফল খেতে চাচ্ছেন তারা দ্রুত বেরিয়ে পড়ল সেই অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ ফল নিয়ে আসার জন্য। তারা যখন ফলের সন্ধানে জঙ্গলে গেল তখন সেখানে তাদের কিছু ফেরেশতাদের সাথে দেখা হয় সেই ফেরেশতারা বলল তোমাদের বাবা যে ফল চেয়েছেন তা এখানে নেই, তোমরা বরং তার কাছে ফিরে যাও এবং আমরাও তার সাথে সাক্ষাৎ করব।

আদম আলাইহিস সালামের সন্তানেরা যখন সেই ফেরেশতাদের নিয়ে বাড়ী ফিরল তখন সেই ফেরেশতাদের একজন কে চিনতে পারলো। কারণ সেই ফেরেশতা এর আগেও একবার দেখা দিয়েছিল যখন তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি বুঝতে পারলেন মালাকুল মাওত তার স্বামীর আত্মাকে নিতে এসেছে। জান্নাতে বহু বছর সুখে শান্তিতে কাটানোর পর যখন তাদেরকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছিল তখন যে
সময়টা মা হাওয়া আদম আলাইহিস সালামকে ছাড়া একাকী কাটিয়েছিলেন সেই কষ্টকর সময়ের কথা তার মনে পড়ে গেল, এবং তিনি মালাকুল মাওতকে বাধা দিলেন।

কিন্তু আদম আলাইহিস সালাম মা হাওয়াকে বুঝিয়ে বললেন তাকে তার রবের কাছে ফিরে যেতে হবে। অবশেষে মা হাওয়া সরে দাঁড়ালেন এবং মালাকুল মউত আদম আলাইহিস সালামের আত্মা নিয়ে নিলেন। তারা আদম আলাইহিস সালাম এর মরদেহকে গোসল করালেন দাফন করলেন এবং মাটিতে কবর দিলেন এবং সেই প্রথা আমরা আজ পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।

আদম আলাইহিস সালামের মৃত্যুর সময় মানব সমাজ অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছিল এবং সেখানে ভালো কাজের পাশাপাশি নানা ধরনের পাপ কাজ বাড়তে লাগল এবং এই অবস্থায় আল্লাহর বাণী প্রচার করার কাজে নামলেন আদম আলাইহিস সালামের সন্তান শীষ আলাইহিস সালাম।

সংকলনেঃ এম.এ.এস ইমন
প্রকাশক, দৈনিক ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’




মুজিবনগরে পুলিশের অভিযানে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার

মেহেরপুরের মুজিবনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানের ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ শনিবার অভিযান চালিয়ে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

মুজিবনগর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংগীয় ফোর্স নিয়ে উক্ত এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ফেলে রাখা অবস্থায় ফেনসিডিলের বোতলগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও জানান, মাদকবিরোধী এই ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে এবং মুজিবনগর থানা পুলিশ মাদক নির্মূলে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।




মুজিবনগরে বিএনপি’র উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে দারিয়াপুর বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে দারিয়াপুরে মুজিবনগর সরকারী ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গনে দারিয়াপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার বিএনপি’র নেতাকর্মীর উপস্হিতিতে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মাষ্টারের সভাপতিত্বে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র (সাবেক) সভাপতি ও সাবেক মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মেহেরপুর বার কাউন্সিলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রশিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ।

উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান, যুগ্ন আহবায়ক শাহিনুর রহমান, যুবদল নেতা আরিফ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাবেদ সেনজির, মেহেরপুর জেলা জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট সেলিম গাজী, ছাত্রনেতা মিঠুন সহ দারিয়াপুর বিএনপি’র নেতাকর্মীবৃন্দ।

ইফতারের আগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত ও বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায এবং ছোট্ট শিশু আছিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত।




যেসব অভ্যাসের কারণে নষ্ট হচ্ছে লিভার

নয়াদিল্লির ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সের পরিচালক এবং ভারতের অন্যতম বিশিষ্ট লিভার চিকিৎসক ডাক্তার. সারিন ‘ওন ইওর বডি’ নামে একটি বই লিখেছেন।

বইটিতে তিনি লিখেছেন যে, আজ মানুষের জীবনযাত্রা এতটাই খারাপ যে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে তিনজনের ফ্যাটি লিভার রোগ রয়েছে। এর সবচেয়ে বড় কারণ খাদ্যাভ্যাস এবং খারাপ জীবনধারা। ডা. সারিন লিভারকে সুস্থ রাখার জন্য লাইফলাইনের কথাও বলেছেন।

কোন অভ্যাসগুলি লিভারের ক্ষতি করছে?

ডা. শিব কুমার সারিন বলেন যে আপনার সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস যা আপনার লিভারের ক্ষতি করতে পারে তা হলো আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং বসে থাকা শরীর। যদি আপনার শরীর না নাড়াচাড়া করো, তাহলে আপনার লিভার এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করবে না। এজন্য প্রতিদিনের ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়াও যদি আপনি খুব বেশি তৈলাক্ত খাবার, ভাজা খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার খান, তাহলে এটি আপনার লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে। এতে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হবে। অতএব, এই জিনিসগুলি ছেড়ে দিন অথবা কমিয়ে দিন।

তৃতীয় অভ্যাস হলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ খাওয়া। ব্যথানাশক এবং অ্যান্টিবায়োটিক সরাসরি লিভারকে দুর্বল করে দেয়।

এতে লিভারের উপর অনেক চাপ পড়ে। এছাড়াও, টিবির ওষুধ লিভারেরও ক্ষতি করে। অতএব, শেষ বিকল্প হিসেবে এই ওষুধগুলি গ্রহণ করুন।

লিভারের ক্ষতির পঞ্চম বৃহত্তম কারণ হলো অ্যালকোহল সেবন। অ্যালকোহলের কারণে লিভার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে, অ্যালকোহল শরীরের প্রতিটি অংশের ক্ষতি করে।

এই জীবনরেখাগুলি লিভারের জন্য প্রয়োজনীয়

ড. এস. এর সারিন ব্যাখ্যা করেন যে লিভারকে সুস্থ রাখার জন্য চারটি প্রধান জীবনরেখা প্রয়োজন।

প্রথমত, স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা। প্রতিদিন তাজা সবুজ শাকসবজি খান। এরপর, তাজা ফল খান এবং বাড়িতে অন্যান্য জিনিস তৈরি করে খান। খুব বেশি তেল খাবেন না।

ব্যায়াম আপনার দ্বিতীয় জীবনরেখা। শরীরে যত বেশি নড়াচড়া থাকবে, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে তত বেশি আশীর্বাদ থাকবে। অতএব নিয়মিত ব্যায়াম করুন। প্রচুর ঘামযুক্ত ব্যায়াম লিভারকে শক্তিশালী করবে।

তৃতীয় জীবনরেখা হলো আপনার জীবনধারা। যদি আপনি মানসিক চাপে থাকেন এবং শান্তিপূর্ণ ঘুম না পান, তাহলে আপনার লিভার অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অতএব, একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করুন। রাতে শান্তিতে ঘুমান।

সকালে ঘুম থেকে উঠে যোগব্যায়াম এবং ব্যায়াম করুন। আনন্দের সঙ্গে কাজ করেন অথবা পড়াশোনা করেন। দুশ্চিন্তা বা বিষণ্ণতায় ভুগবেন না।

লিভারের চতুর্থ জীবনরেখা হল ওষুধ। যদি আপনি লিভারের রোগে ভুগছেন তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন এবং ওষুধ খান।

যদি আপনি প্রথম তিনটি জীবনরেখা সঠিকভাবে অনুসরণ করেন তাহলে আপনার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কিন্তু যদি লিভারে সমস্যা থাকে তাহলে তার চিকিৎসা করান।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহে মানবাধিকার রক্ষা বিষয়ক সংলাপ

ঝিনাইদহে নেটওয়ার্কিং শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষার লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ের এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ওয়েলফেয়ার এফোর্টস এর প্রশিক্ষণ হলে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ওয়েলফেয়ার এফোর্টস ও মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক সেলিনা রহমান, ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) জহুরুল ইসলাম, সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর টিপু সুলতান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার ডিফেন্ডার ফোরামের সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু ও পরিচালনা করেন উই এর পরিচালক শরিফা খাতুন।

এ্যাডভোকেসি সভায় মানবাধিকার কর্মী, সমাজসেবক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, প্রবীণ নাগরিক, নারী নেত্রী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা মানবাধিকার রক্ষায় নেটওয়ার্কিং ও পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নাগরিক অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।




মেহেরপুরে অতিরিক্ত লোড নেওয়ায় চালকের বিরুদ্ধে মামলা, ট্রাক জব্দ

মেহেরপুর পৌরসভার সামনে অতিরিক্ত লোড নিয়ে পার হওয়ার সময় বিদ্যুতের তারসহ কয়েকটি ইন্টারনেট তার ছিঁড়ে যাওয়ায় ট্রাক জব্দ করেছে ট্রাফিক পুলিশ।

এ ঘটনায় ট্রাকচালক সালু মিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ট্রাফিক পরিদর্শক ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

তিনি জানান, অতিরিক্ত লোড বহন করা ট্রাফিক আইন অনুযায়ী অপরাধ। তাই ট্রাকচালক সালু মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।

ট্রাকের মালিক সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামের ফিরোজ আহমেদকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ছিঁড়ে যাওয়া তারের ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।




শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসিতে অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি

বিভাগের নাম: সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এমআইএস

পদের নাম: অফিসার

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি/স্নাতক (সিএসই)

অভিজ্ঞতা: ২ বছর

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদনের ঠিকানা: হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশন, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, করপোরেট হেড অফিস, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক টাওয়ার, লেভেল-১১, প্লট# ৪, ব্লক# সিডব্লিউএন (সি), গুলশান এভিনিউ, ঢাকা-১২১২।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে ২০ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার

মেহেরপুরের গাংনীতে ২০ বয়সী বিবাহিত মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটক গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের আশারুল ইসলাম (৪৫)। আজ শনিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রয়ারি ভিকটিম বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওইদিন রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভিকটিম ঘুমিয়ে পড়ে। পরে আনুমানিক ২ টার দিকে ভিকটেমর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে কারো স্পর্শ অনুভব হওয়ায় তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভেঙে মোবাইলের আলোতে দেখে যে, তার বাবা আশারুল হক তার বিছানায় বসে আছে।

সে তাকে জিজ্ঞাসা করে ‘‘আব্বু তুমি এতো রাতে এখানে কি করো’’ এই কথা বলার সাথে সাথে আসামী কোন কথা না শুনে জানোয়ারের মত তার বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আসামীর তার নিজ কক্ষে চলে যায়। সে তার পিতার এ ধরণের কাজের ফলে জ্ঞান শুন্য হয়ে নিজেকে ছয় দিন র্পযন্ত ঘরে বন্দি করে রাখে।

ভিকটিমের মা ভিকটিমকে ঘর থেকে বের না হবার কারণ জিজ্ঞাসা করলে ভিকটিম তার মাকে বিস্তারিত কারণ খুলে বলে। ভিকটিম তার মাকে জানায় পূর্বেও আসামী আশারুল হক বিভিন্ন সময়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতো কিন্তু লজ্জায় এ কথা কাওকে বলতে পারেনি।

পরবর্তীতে গত ১৪ মার্চ গাংনী থানায় এসে ভিকটিম তার বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। যার মামলা নম্বর ১৭, তারিখ ১৪/০৩/২৫ ইং।

গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল বলেন, ভিকটিম মামলা সেই মামলায় ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ তার বাড়ি থেকে আশারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।