মেহেরপুরে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির আয়োজনে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) এ কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী।

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ শাজাহান আলী বলেন, মেহেরপুরের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে যেন সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়, সে জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে অধিকতর তদারকি করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি সার্বিক সহযোগিতা করবে।

তিনি আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, যাতে যুব সমাজ বিপথগামী না হয়ে আলোকিত ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এস. এম. নাসিম রেজা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মেহেরপুরে এটাই আমার প্রথম পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স। বিচারপ্রার্থী মানুষ যেন ন্যায় বিচার পায়, সে দিকে সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিচার ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে ন্যায়বিচারের স্বার্থে এগিয়ে আসতে হবে।

এছাড়াও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, পিবিআই কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, পাবলিক প্রসিকিউটর, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক, বিভিন্ন থানার ওসি, সিআইডি, ডিবি, ট্রাফিক ইন্সপেক্টরসহ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির বিচারকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




বেতন বাড়ানোর দাবিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মেহেরপুর পৌরসভা ঘেরাও

মেহেরপুরে পৌরসভা ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। বুধবার (২০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বেতন বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচির ফলে পৌরসভার স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

জানা গেছে, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিয়োজিত হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বুধবার তারা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে পৌরসভা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে স্লোগান দেন। এ সময় তারা ময়লা পরিষ্কার না করার হুমকি দিয়ে তাৎক্ষণিক বেতন বাড়ানোর দাবি জানান।

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি মাসিক সভায় আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং কিছু কর্মচারীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

পরে পৌর প্রশাসক তারিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের আশ্বস্থ করেন। তিনি বলেন, তাদের দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। প্রশাসকের আশ্বাসের পর দুপুর ১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেন।

এই ঘটনায় পৌরবাসীর মধ্যে সাময়িক ভোগান্তি তৈরি হলেও পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।




পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০৬

পাকিস্তানে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় ও দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০৬ জনে। সেনাবাহিনী সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করেছে।

বুধবার (২০ আগস্ট) দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পিটিআই।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ আপডেটে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে ২৬ জুন থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৭০৬ জনে এসে ঠেকেছে। এছাড়া বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৬৫ জন হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাইবার-পাখতুনখাওয়া (কেপি) প্রদেশ, যেখানে এখন পর্যন্ত ৪২৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

এরপরই রয়েছে পাঞ্জাব (১৬৪ জন), সিন্ধ (২৯ জন), বেলুচিস্তান (২২ জন), পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (৫৬ জন) এবং ইসলামাবাদ অঞ্চল (৮ জন)।

সাম্প্রতিক সময়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সোয়াবি, নওশেরা, মারদান ও পেশোয়ার জেলায়, যেখানে টানা ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হচ্ছে বুনের জেলা, যেখানে এখন পর্যন্ত ২২২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে বুনের জেলার বেসোনাই গ্রাম আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে যায় এবং উদ্ধারকর্মীরা এখনো জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্য যেসব জেলা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বাজউর, সোয়াত, বাত্তাগ্রাম, মানসেহরা, শাংলা, দির আপার, দির লোয়ার ও তোরঘর।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত টানা প্রবল বর্ষণের পর সৃষ্ট বন্যার সাথে যুক্ত হয় মেঘফাটল, যা ধ্বংসযজ্ঞ আরও তীব্র করে তোলে। সোমবার আবারও ওই অঞ্চলে নতুন করে ভারি বৃষ্টি হয়।

কেপি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ৭৮০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩৪৯টি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এক হাজারেরও বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা সতর্ক করে জানিয়েছেন, আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তাই স্থানীয়দের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।




ঝিনাইদহে এডাব’র ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন

ঝিনাইদহে এডাব’র ৩ দিনব্যাপী আইসিটি ও ডিজিটাল কমিউনিকেশনের উপর প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার (২০ আগস্ট) এইড ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ঝিনাইদহে এসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ-এডাব ঝিনাইদহ জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত “ আইসিটি ও ডিজিটাল কমিউনিকেশন এর উপর ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণে উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নুর নবী।

৩দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করবেন পলাশ সাহা, যোগাযোগ কর্মকতা, এডাব ও সদস্য, এডাব রির্সোস প্রল। প্রশিক্ষনের উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এডাব ঝিনাইদহ জেলা শাখার সদস্য সচিব ও প্রভা সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মোঃ এনামুল কবীর বাবুল।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি এনজিওদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দক্ষিণ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এনজিওসমূহের প্রচুর অবদান রয়েছে। বর্তমান সময়ে তথ্য হলো একটি শক্তি, আর একটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই তথ্যের আদান-প্রদান ঘটে। সুতরাং আইসিটি ও ডিজিটাল কমিউনিকেশন -এর মত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন খুবই সময় উপযোগী। এনজিওসমূহের মধ্যে সমন্বয়সাধন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সহায়তা করা এবং সংগঠনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এডাব-এর কর্মসূচিকে তিনি সাধুবাদ জানান। প্রশিক্ষন লব্দ এই জ্ঞান ঝিনাইদহের উন্নয়ন কাজে বিশেষ অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সময় উপযোগী এ ধরনের একটি প্রশিক্ষণ ঝিনাইদহে আয়োজন করার জন্য তিনি এডাব কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন এডাব ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সভাপতি ও এসডাব-এর নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান। এডাব খুলনা বিভাগের সমন্বয়কারী মো: রেজাউল করিম প্রশিক্ষণের সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন। খুলনা বিভাগের যশোর, মাগুরা, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলার এডাব এর সদস্য সংস্থা থেকে ২৬ টি এন.জি.ও’র প্রতিনিধিগণ এই প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহন করেন।




গাংনী সীমান্তে ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকার ভারতীয় ঔষুধ উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ও তেতুঁলবাড়িয়া সিমান্তে পৃথক অভিযানে প্রায় ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় নিষিদ্ধ ঔষুধ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি এ তথ্য নিশ্চিত করে।

এতে জানানো হয়, কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)-এর অধীনস্থ কাজিপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১৪৬/৬-এস এর নিকটবর্তী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাজিপুর বর্ডার পাড়া মাঠ নামক স্থানে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। নায়েক কুমারেশ চন্দ্রের নেতৃত্বে পরিচালিত ওই অভিযানে ভারতীয় ৪৬০ পিস ডেক্সামিথাসন ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্যে এক লাখ ৩৮ হাজার টাকা।

অপরদিকে একই ব্যাটালিয়নের তেতুলবাড়ী বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ১৪০/৫-এস এর কাছাকাছি হাটপাড়া মাঠ এলাকা থেকে আরেকটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেসিও-১০০৪৯ নায়েব সুবেদার মোঃ কামরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পরিচালিত ওই অভিযানে ভারতীয় ১১৭০ পিস ডেক্সামিথাসন ট্যাবলেট এবং ৩৩০ পিস সাইপ্রোহেপটাডিন ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উদ্ধারকৃত ওষুধগুলোও ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সিজার স্টোরে সংরক্ষণের কার্যক্রম চলছে।




মেহেরপুরে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন

এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড ধরে চারস্তরীয় একাডেমিক পদ সোপানের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি উত্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারি শিক্ষক তানিয়া মাসুদা, আবু হানিফ ও জাহাঙ্গীর আলমসহ শিক্ষকবৃন্দ। শিক্ষকরা বলেন, ১৯৭৩ সালের পর থেকেই এই আন্দোলন চলে আসছে। নানা জটিলতা রয়েছে তবে সরকারের সদ্দিচ্ছা থাকলে দাবি বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব।




‘সাধারণ ছুটি’ না হয়েও আজ যেসব প্রতিষ্ঠানে ছুটি

মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোতে পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা অত্যন্ত মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে রয়েছে। তবে সরকারিভাবে এই দিন ছুটি নয়।

আখেরি চাহার সোম্বা উপলক্ষে দেশে সরকারিভাবে ‘সাধারণ ছুটি’ নেই।

তবে এটি ঐচ্ছিক ছুটি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাৎসরিক ছুটির তালিকায় আখেরি চাহার সোম্বা উপলক্ষে এক দিন ছুটি রাখা হয়েছে। সে অনুযায়ী দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা উপলক্ষে আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধীন সব কলেজ বন্ধ থাকবে।

অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আখেরি চাহার সোম্বা উপলক্ষে আজ ছুটির ঘোষণা দিয়েছে।




৬ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টির আভাস

দেশের সব বিভাগে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর মধ্যে ছয় বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি ঝরবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে দেশজুড়ে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে বলেও সংস্থাটি আভাস দিয়েছে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, উড়িষ্যা উপকূল এবং তৎসংলগ এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়।

এটি আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় লঘুচাপ আকারে ছত্তিশগড় ও তৎসংলগ্ন পূর্বমধ্য প্রদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় ও অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৬০ মিলিমিটার। এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেডর্ক করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলি ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও একই এলাকায় রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।




সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে ৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪১

সুনামগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক। সড়কটি সিলেট ও রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম। এই সড়ক দিয়ে জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ৮টি উপজেলার মানুষ জেলা ও রাজধানীতে যাতায়াত করে। সড়কটি দিন দিন যেন এক মৃত্যুপুরিতে পরিণত হচ্ছে।

গত ৬ মাসে এই সড়কে দুর্ঘটনায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আঞ্চলিক এই মহাসড়কটি এক লেনের ও সরু হওয়ায় প্রতিনিয়তই বাস-সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। এ ছাড়াও দুর্ঘটনার জন্য ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালককে দায়ী করছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ সিলেট সড়কের বাহাদুরপুর নামকস্থানে গত ৬ আগস্ট বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা জাহান খুশি ও সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী স্নেহা চক্রবর্তী প্রাণ হারান। এ ছাড়াও অটোরিকশায় থাকা আরো এক যাত্রী নিহত হন। দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সুনামগঞ্জবাসী। বাসচালককে গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন।

শাকিব মাহমুদসহ জেলার সচেতন মহল জানায়, আঞ্চলিক মহাসড়কে বাসের চেয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশাই বেশি চলাচল করে। এসব দুর্ঘটনার বেশিরভাগই অটোরিকশার কারণে ঘটছে। সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে ফিটনেসবিহীন বাস ও অদক্ষ চালকের গাফিলতির কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, জেলায় প্রায় ১৩ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা রয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধন আছে সাড়ে ৪ হাজারের।

বাকিগুলো চলছে বিবন্ধনহীনভাবে। অপরদিকে প্রায় সুনামগঞ্জ জেলায় বাস চলাচল করছে প্রায় এক হাজার। তাদের অধিকাংশেরই নেই ফিটনেস। সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কটি চার লেন প্রকল্পটি আটকে আছে মন্ত্রণালয়ে। সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের অধিকাংশেরই নেই লাইসেন্স। একই দশা বাস চালকদের।

নাদিম আহমেদ, ফারুক মিয়াসহ শিক্ষার্থীরা জানান, বেশিরভাগ চালকই অদক্ষ ও লাইসেন্স নেই। অদক্ষ বাস চালকদের কারণে এই সড়কটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।

বাহাদুরপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা জহির মিয়া, শফিক মিয়াসহ কয়েকজন জানান, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কটিকে এক লেন থেকে দুই লেন করলে দুর্ঘটনা কিছুটা কমে আসবে।

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শেখ আব্দুল লতিফ-প্রক্টোর জানান, গাড়ির চালকরা মাদকাসক্ত কি না সেটাও দেখা দরকার। সড়ক নিরাপদ রাখার জন্য আইন আছে সেই আইন প্রয়োগ করলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।

সুনামগঞ্জ বিআরটিএ সহকারী পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন জানান, যেসব চালক হালকা যানের লাইসেন্স নিয়ে ভারী যান চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা ট্রাফিক অফিস পরিদর্শক মো. হানিফ মিয়া জানান, চালকের অদক্ষতার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে।

সূত্র: কালের কন্ঠ ।




২০০৮ থেকে প্রথম ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখল রিয়াল মাদ্রিদ

লা লিগার নতুন মৌসুমে শুভ সূচনা করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মৌসুমের প্রথম ম্যাচে ওসাসুনাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। একমাত্র গোলটি করেছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে।

প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও জালের দেখা পাচ্ছিল না রিয়াল।

তবে বিরতির ছয় মিনিট পর হুয়ান ক্রুজের ফাউলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপ্পে। বাকি সময়ে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা।
ওসাসুনা শেষ সময়ে ১০ জনে খেলতে বাধ্য হয়। যোগ করা সময়ে আবেল ব্রেটোনেস লাল কার্ড দেখেন বল ছাড়া ফাউলের জন্য।

যদিও বাকি সময়ে সমতায় ফেরার মতো সুযোগ এসেছিল তাদের কাছে, কিন্তু আন্তে বুদিমির ছয় গজ বক্স থেকে হেড করে লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন।
এ জয়ের ফলে ২০০৮ সালের পর থেকে লা লিগার উদ্বোধনী ম্যাচে অপরাজিত থাকার ধারাবাহিকতা বজায় রাখল রিয়াল মাদ্রিদ।

ম্যাচ শেষে এমবাপ্পে বলেন, ‘মৌসুমটা জয় দিয়ে শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওসাসুনা আমাদের জন্য কঠিন করে তুলেছিল।

তবে শেষ পর্যন্ত জয়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
রিয়াল কোচ জাবি আলোনসোর জন্যও এটি ছিল স্মরণীয় দিন। লা লিগার প্রথম ম্যাচেই জয় দিয়ে কোচিং অভিষেক করলেন তিনি। চোটের কারণে জুড বেলিংহাম, কামাভিঙ্গা, মেন্ডি ও এন্দ্রিককে ছাড়াই নামতে হয় তাকে। নিষেধাজ্ঞার কারণে ছিলেন না রুডিগারও।

তবু তিন নতুন সাইনিংকে নিয়ে সাজানো দলে জয় তুলে নিতে পেরেছেন আলোনসো।
আলোনসো ম্যাচশেষে বলেন, ‘কোচ হিসেবে এখানে ফিরে আসা বিশেষ কিছু। আশা করি, এটা হবে আরো অনেক সাফল্যের শুরু।’

বার্সেলোনা তাদের প্রথম ম্যাচে মায়োর্কাকে ৩-০ গোলে হারানোর পর রিয়ালের জন্যও জয় পাওয়া ছিল জরুরি। এমবাপ্পের একমাত্র গোলই এনে দিল কাঙ্ক্ষিত তিন পয়েন্ট।

সূত্র: কালের কন্ঠ।