আলমডাঙ্গার অতিপরিচিত বডিবিল্ডার রাজা আহম্মেদ আর নেই

আলমডাঙ্গা শহরের এক সময়ের সুপরিচিত বডি বিল্ডার স্টেশনপাড়া নিবাসী খন্দকার রাজা আহামেদ (৫৭) আর নেই।

আলমডাঙ্গার অতিপরিচিত বডিবিল্ডার রাজা আহম্মেদ আর নেইজানা গেছে, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মরহুম খন্দকার আহমদ আলির ছেলে রাজা আহম্মেদ আজ শুক্রবার স্টেশনপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে হার্ট স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বিকেল ৫টার সময় আলমডাঙ্গা দারুস সালাম প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী রাসেল পারভেজ,বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান আনিস, সমাজসেবক লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, আলমডাঙ্গা জামে মসজিদের খতিব জুলফিকার আলি, সামসুল হক টুকু, আশরাফুল হক লুলু, আনোয়ার হোসেন মৃধা, আব্দুল হাই, তফসির আহম্মেদ লাল, শাহ আলম মন্টু, রুনু খন্দকার প্রমুখ। জানাযা পরিচালনা করেন, আলমডাঙ্গা ওয়াপদা জামে মসজিদের ইমাম আইয়ুব আলি। নামাজের জানাজা শেষে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়।




মেহেরপুরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট কামরুল হাসানের গণসংযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে বিএনপির ৩১ দফা দাবির প্রচারে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পরিচালিত হয়।

এ সময় তিনি শিবপুর ও হিতিমপাড়া গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের হাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

গণসংযোগ কর্মসূচিতে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তাদের মধ্যে ছিলেন— জেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর খান ছাতু, হাফিজুর রহমান হাফি, ওমর ফারুক লিটন, মীর ফারুক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি লতিব বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আনিসুর রহমান লাভলু, মোশারফ হোসেন তপু, সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স, কুতুবপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আরাফাত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল বিশ্বাস, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা রাজিব, রেমিম, নাহিদসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।




মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সম্মেলন ৩০ আগস্ট

আগামী ৩০ আগস্ট ২০২৫, শনিবার মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার সম্মেলন ও কাউন্সিল পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

ঘোষিত নির্বাচন কমিশন হলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, সহকারী নির্বাচন কমিশনার সহকারী অধ্যাপক জুলফিকার আলী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান

এ তথ্য গতকাল শুক্রবার প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।




দর্শনায় জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর কমিউনিটি কাম অডিটোরিয়ামে জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জেলা সহকারী সেক্রেটারী আব্দুল কাদেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা আমীর রুহুল আমিন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জামায়াত বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যহীন সমাজ উপহার দিতে চায়। দেশের মানুষ চাঁদাবাজ দেখতে চায় না। চাঁদার জন্য উলঙ্গ করে পাথর নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা, মানুষ দেখতে চায় না। ব্যবসাদারা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে চায়। বাংলাদেশের জনগণ মাদক মুক্ত সমাজ দেখতে চায়। ঘুষহীন চাকরি পেতে চায়। ক্ষুধার্তদের মুখে আহার তুলে দিতে চায়।

বেকারমুক্ত জীবনযাপন করতে চায়। রাতে আরামে ঘুমাতে চায়। দেশের জনগণ নিরাপদে জীবনযাপন করতে চায়। ডাকাতদের হাত থেকে তাদের কষ্টার্জিত সম্পদের নিরাপত্তা চায়। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকার এ দেশ থেকে ২৫ লক্ষ কোটি টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করে নিয়ে গেছে, সেগুলো ফেরত এনে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগতে চায়। বিচারের নামে প্রহসন দেখতে চায় না। ন্যায়বিচার সুরক্ষিত করতে চায়। জুলাই বিপ্লবের পর আর লাশ দেখতে চায় না। লেখাপড়ার পরিবেশ বজায় রাখতে সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে ছাত্রশিবির ভূমিকা পালন করুক দেশের মানুষের প্রত্যাশা।

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার,তাই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জামায়াত কঠোর পরিশ্রম করছে। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের নির্বাচনী পরিচালক ও জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আজিজুর রহমান, সেক্রেটারী এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, সহকারী সেক্রেটারী ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, দামুড়হুদা উপজেলা আমীর নায়েব আলী, দর্শনা সাংগঠনিক থানার আমীর মাওলানা রেজাউল করিম ও জীবননগর উপজেলা আমীর মাওলানা সাজেদুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি সাগর আহমেদ।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক জিয়াউল হক, জীবননগর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর হাফেজ বিল্লাল হুসাইন ও সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাহফুজুর রহমান, দর্শনা সাংগঠনিক থানার সেক্রেটারী মাহবুবুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা সেক্রেটারী আবেদ- উদ-দৌলা টিটন, দর্শনা পৌর আমীর সাহিকুল আলম অপু ও সেক্রেটারী দবির উদ্দিন।




মেহেরপুরে গলাই সাবু আটকে শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুরে সাবু খাওয়ানোর সময় গলায় আটকে তাওসিফ আহমেদ নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তাওসিফ আহমেদ হিজুলী গ্রামের মহিবুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, শিশুটির মা তাকে সাবু খাওয়াচ্ছিলেন। হঠাৎ অসাবধানতাবশত সাবুর দানা গলায় আটকে যায়। তাৎক্ষণিক মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাওসিফকে মৃত ঘোষণা করেন।




ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে ছুরিকাঘাতে আহত মঞ্জুরের মৃত্যু

ঝিনাইদহ পৌর এলাকায় মাত্র ২০ টাকা ধার পরিশোধ নিয়ে ঝগড়ার জেরে ছুরিকাঘাতে আহত মোঃ মঞ্জুর বিশ্বাস (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। মঞ্জুর বিশ্বাস ঝিনাইদহ পৌরসভার লক্ষ্মীকোল গ্রামের মৃত ইয়াকুব বিশ্বাসের ছেলে।

এদিকে এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মঞ্জুরের স্বজনেরা অভিযুক্ত ছুরিকাঘাতকারী শাহ আলমের বাড়িতে সামান্য ভাঙচুর, লুটপাট ও বিচালীর গাদায় অগ্নিসংযোগ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল দুপুর থেকে শাহ আলমের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শাহ আলম ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পাড়ার বাসিন্দা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শাহ আলমের ছোট ভাই আবিরের কাছ থেকে ২০ টাকা ধার নেন নিহত মঞ্জুরের ছেলে রিফাত। সেই টাকা পরিশোধ না করায় গত ১১ আগস্ট রিফাতের বাইসাইকেল কেড়ে নেন আবির। এ ঘটনা মীমাংসার জন্য গত ১৩ আগস্ট আদালত চত্বরে একটি চায়ের দোকানের সামনে শাহ আলমকে ডেকে আনেন মঞ্জুর ও তাঁর পক্ষের লোকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় কয়েকজন মিলে শাহ আলমকে মারধর করেন। তখন শাহ আলম তাদের হাত থেকে ছুটে গিয়ে ফিরে এসে পকেট থেকে গিয়ার (ছুরি) বের করে মঞ্জুরের পিঠে আঘাত করে পালিয়ে যান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই মামলায় গত ১৯ আগস্ট তিন আসামিই আত্মসমর্পণ করেন। বিজ্ঞ আদালত শাহ আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি আসামিদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।’

শাহ আলমের স্ত্রী রিপা খাতুন বলেন, ‘১৩ তারিখে কোর্টের মধ্যে মঞ্জুররা আমার স্বামীকে মারধর করে। এ সময় আমার স্বামী শাহ আলম ছুরিকাঘাত করে। এই বিষয়ে মামলা হলে আমরা পরিবারের লোকজন আমার স্বামীকে বুঝিয়ে কোর্টে সারেন্ডার করায়। আজ দুপুর বেলা মঞ্জুর হাসপাতালে মারা যাওয়ার পরে মঞ্জুরের পরিবারের লোকজন এসে আমাদের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে যে এই শাহ আলমের পরিবার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী প্রকৃতির। শহরের বিভিন্ন প্রকার চুরি ডাকাতি ছিনতাই কাজের সাথে তার পরিবার জড়িত। শাহ আলমের বাবা আলী কদর একজন ডাকাত ছিল জানা যায় এবং সে অনেক অপকর্ম এখনো করে বেড়ায়। শাহ আলম, আলী কদর এরা মিলে চোর ছিনতাই এবং ডাকাতির বড় সেন্টিগেট গড়ে তুলেছে। ঝিনাইদহ শহর ও আশেপাশের বিভিন্ন চূরি ছিনতাই কর্মের মালামাল এই শাহ আলমদের বাড়িতেই থাকে এবং এখানেই ভাগাভাগি হয় বলে অনেকেই জানিয়েছে। এর আগেও শাহ আলমের বাবা ব্যাপারীপাড়ার একজনের রাস্তার উপর ছুরি দিয়ে মেরেছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু চুরি করে সেই গরু হাটে উঠিয়ে নকল হাসিল তৈরি করে অন্যত্র গরু বিক্রয়ের ঘটনা শাহা আলমের রয়েছে। এই এলাকার লোক এদের ভয়ে সামনে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।

৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পরে প্রায় ৫০ জনের কাছ থেকে এই শাহ আলম জোর করে চাঁদা আদায় করেছে। এরকম অপকর্ম করার কারণে তার নামে পূর্বে যে মামলা হয়েছিল সেই মামলা কে রাজনৈতিক মামলা হিসেবে চালিয়েছে। এলাকাবাসী জানায় এদের পুরো পরিবারই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন প্রকার অপকর্মের সাথে জড়িত। ৫আগস্ট রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে থেকে একটি কম্পিউটারের দোকান লুটপাট করে এই শাহ আলমের নেতৃত্বে। বর্তমানে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই শাহ আলমের পরিবার। এর পিছনে রয়েছে ঝিনাইদহের বর্তমানের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা। যেটা অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে। কার ছত্রছোয়ায় শাহ আলমরা এই অপকর্ম দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে? শাহ আলমের ভাই ইমরান বিএনপির একজন নেতা বলে জানা গেছে। শাহ আলমের পরিবারের ভয়ে ঝিনাইদহ কোট পাড়ার অনেকে এখনো বাড়ি ছাড়া।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঞ্জুরের মত্যু হয়েছে। প্রধান আসামি শাহ আলম সারেন্ডার করে কারাগারে রয়েছে। দুপুরে মঞ্জুরের বিক্ষুব্ধ স্বজনেরা শাহ আলমের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তখন থেকেই সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’




ভারতে নারী বিশ্বকাপে বদলে গেল বাংলাদেশের দুই ম্যাচের ভেন্যু

এবার উইমেন’স বিশ্বকাপের সূচিতে এলো বড় পরিবর্তন। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে নিরাপত্তাজনিত ছাড়পত্র না মেলায় সেখানকার সব ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের দুটো ম্যাচসহ বেশ কয়েকটি খেলার ভেন্যু বদলে গেছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

নতুন ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে নাভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম। তবে ম্যাচের তারিখে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
প্রাথমিক পরিকল্পনায় ভারতের বেঙ্গালুরু, গুয়াহাটি, ইন্দোর ও ভিশাখাপত্তম এবং শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ম্যাচ আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু নতুন সূচি অনুযায়ী ২৬ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ হবে নাভি মুম্বাইয়ে।

একইভাবে ২০ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোয় খেলার কথা থাকলেও সেটিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে একই ভেন্যুতে।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ২ অক্টোবর কলম্বোয় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এরপর ৭ অক্টোবর গুয়াহাটিতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে নিগার সুলতানার দল। ভিশাখাপত্তমে বাংলাদেশ টানা তিন ম্যাচ (১০ অক্টোবর নিউজিল্যান্ড, ১৩ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ১৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) খেলবে।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচও হচ্ছে না বেঙ্গালুরুতে। ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত-শ্রীলঙ্কার লড়াই সরানো হয়েছে গুয়াহাটিতে। আবার ১১ অক্টোবরের শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড ম্যাচ চলে গেছে কলম্বোয়। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে নাভি মুম্বাইয়ে। ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে রাখা হয়েছে নাভি মুম্বাইয়ে।

তবে পাকিস্তান ফাইনালে উঠলেই ম্যাচটি কলম্বোয় হবে।
উল্লেখ্য, গত জুনে বেঙ্গালুরুতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আইপিএল শিরোপা উদযাপন ঘিরে পদদলিত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অগ্নি-নিরাপত্তা বিধিমালা না মানায় সম্প্রতি স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ।

সূত্র: কালের কন্ঠ




রাতের মধ্যে ৭ জেলায় ঝড়ের আভাস

দেশের সাত জেলায় শুক্রবার রাতের মধ্যে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় দেশের নদী বন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত সময়ের এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সূত্র: কালের কন্ঠ




বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকে ফেরত দেয়া হলো মেহেরপুরের এক যুবককে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর ইকবাল হোসেন (৩৮) নামে এক বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে বিএসএফ। পরবর্তীতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজিবি জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)-এর কাথুলী বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১৩২/১৫-আর নিকট কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন ভৈরব নদীর শূন্য লাইন সাঁতরে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। কিছু সময় পর তিনি ভারতের কুতুবপুর মাঠ এলাকায় ঘাস কাটছিলেন। এসময় ৫৬ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে।

ঘটনার পরপরই বিজিবি’র কাথুলী কোম্পানি কমান্ডার প্রতিপক্ষ রাউথবাড়ী কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাগরিকটির সুস্থতা নিশ্চিত করেন এবং ফেরতের বিষয়ে আলোচনা করেন।

পরবর্তীতে আজ শুক্রবার ভোরে সীমান্ত পিলার ১৩৩/৩-এস এলাকায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে আটক ইকবাল হোসেনকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় বিজিবি’র কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে বিএসএফ। বিজিবি আরও জানায়, ফেরতপ্রাপ্ত ইকবাল হোসেনকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) জানায়, সীমান্ত এলাকায় মাদক ও অবৈধ মালামাল চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।




মেহেরপুরে নির্বাচনী হাওয়া: বিএনপিতে চ্যালেঞ্জ, জামায়াত নির্ভার

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মেহেরপুরের দুটি আসনে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণা, মিছিল, সমাবেশসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

মেহেরপুরের দুটি আসনে বিএনপির দুই হালি প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করে ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন। দুটি আসনেই বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকায় দলটি মনোনয়ন কাকে দেয় এ নিয়ে রাজনৈতিক নেতাকমীর্ ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা হিসেবে নিকেষ।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামি দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষনা করেছে অনেক আগেই। ফলে নির্ভার হয়ে জামায়াতের প্রার্থীরা তাদের ভোট প্রচারণা ও গণসংযোগে ব্যস্ত রয়েছেন। মেহেরপুরের-১ আসনে এনসিপি কোন প্রার্থী ঘোষণা না দিলেও প্রাথমিকভাবে মেহেরপুর-২ আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করেছেন। তিনিও এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন। ইসলামী অন্যান্য দলগুলোর তেমন তৎপরতা এখনো লক্ষ করা যায়নি। তবে ইসলামি শাষনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে দুটি আসনেই। মেহেরপুরের দুটি আসনে মূলত বিএনপি ও আওয়ামী লীগ থেকেই এমপি নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। তবে জামায়াত চেষ্টা করছে বিজয়ী হতে।

মেহেরপুর-১: মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নিয়ে মেহেরপুর ১ আসন। জাতীয় সংসদের ৭৩ নম্বর আসন। এ আসনে হালনাগাদ ভোটার ৩ লাখ ১৩ হাজার ১৩৪ জন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল হাসান, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য জাকির হোসেন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর খান সাতু রয়েছেন মনোনয়ন চাওয়ার তালিকায়। প্রত্যেক প্রার্থী নিজেদের মত করে গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণা, তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থীতার বিষয়টি জানান দিচ্ছেন।

জামায়াতে ইসলামীর মেহেরপুর জেলা আমির তাজ উদ্দিন আহমেদকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে অনেক আগে। তিনিও নিয়মিতভাবে গণসংযোগ, দলীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, ভোটারদের মন জয় করতে বিভিন্ন উপহার সামগ্রীও প্রদান করে চলেছেন। ইসলামি শাষনতন্ত্র আন্দোলনের মেহেরপুর জেলা সভাপতি খাদেমুল ইসলামকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করেছে দলটি। তবে প্রকাশ্যে তাদের কোন কর্মকান্ড না দেখা গেলেও তারা দাবী করেছেন তারা তাদের দলীয় নিয়ম মোতাবেক ভোটের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) কোন কর্মকাণ্ড দেখা যাচ্ছে না।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন বলেন, জনমতের আকাঙ্খা বিবেচনা করে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আমার বিশ^াস। দীর্ঘদিনের লড়াই সংগ্রামে অনেক হামলা—মামলা মোকাবেলা করে রাজনীতি করে যাচ্ছি। তারপরও দলের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা তার হয়েই কাজ করবো।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল হাসান বলেন, বিএনপি বড় দল। এখানে মনোনয়ন প্রতিযোগীতা থাকবেই। দলের অনেকই মনোনয়ন চাইবে। দল যাকে মনোনয়ন দিবে সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে তার হয়েই নির্বাচনের মাঠে কাজ করবে।

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির তাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই নিবার্চনী প্রচার—প্রচারণা চালাচ্ছি। ভোটারদের সাথে কথা বলছি। তাদের সাথে কথা বলে মনে হচ্ছে তারাও পরিবর্তন চাচ্ছেন। এ কারণে এবারের নির্বাচন নিয়ে আমরাও আশাবাদি।