গাংনীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে বন্দুকের সিসা কার্তুজ উদ্ধার

মেহেরপুরে পরিত্যক্ত অবস্থায় বন্দুকের ৪ রাউন্ড সিসা কার্তুজ উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব-১২) ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী (সিপিসি-৩) মেহেরপুর ক্যাম্প ও যৌথবাহিনী।

আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) ভোররাতের দিকে যৌথিাহিনীর উদ্যোগে এই অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাব-১২, সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্প, মেহেরপুর আর্মি ক্যাম্প ও গাংনী থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালান।

র‌্যাব-১২, মেহেরপুর সিপিসি-৩, কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফউল্লাহ পিপিএম আজ দুপুরে সাংবাদিকদের প্রেস রিলিজ দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাংনী উপজেলার চরগোয়ালগ্রামের মোঃ সোহাগ সর্দারের বাড়ির নির্মানাধীন বাথরুমের বালির নিচে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় এই সিসা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ওই বাড়িতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি যৌথ কমান্ডের আভিযানিক দল ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। সোহাগ সর্দারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর কোন সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় এবং তথ্য দাতার সংবাদ উদ্দেশ্য প্রনোদিত মনে হওয়ায় কার্তুজগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। উদ্ধারকৃত সিসা কার্তুজ জিডিমূলে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




যেসব উপকারিতা রয়েছে কান্নায়

কান্নার একচ্ছত্র অধিকার শুধু দুঃখেরই তা কিন্তু নয়। আনন্দে আবেগআপ্লুত হয়েও অনেকে কাঁদেন। দুঃখ বা আঘাতে ব্যথা পেলে কান্না করাটা স্বাভাবিক ভাবে নেয় সবাই। তবে বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের কান্নার প্রবণতা বেশি। তেমনি পুরুষের তুলনায় বেশি কাঁদেন নারীরা। প্রতিটি মানুষই জীবনে কখনো না কখনো কাঁদবে এটাই স্বাভাবিক।

তবে কান্নারও যে কিছু শারীরিক উপকারিতা রয়েছে তা নিশ্চই জানা ছিলনা? মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বীপেন চৌধুরী জানিয়েছেন কাঁদলে কী ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ব্যথা উপশম করে

কান্নাকাটি করার ফলে শরীরে এন্ডোরফিন উৎপন্ন হয়, যা কিছু কিছু ব্যথাও উপশম করে। কান্নাকা‌টি আপনার প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকেও সক্রিয় করে, যা শিথিলতা বাড়ায়, স্ট্রেস বা চাপ কমায় এবং ব্যথা উপশম করে।

চাপ প্রশমিত করে

কান্না কর্টিসলের মতো স্ট্রেস-সম্পর্কিত রাসায়নিকগুলো বের করে দেয়, যা আপনার শরীরকে ধু‌য়েমুছে ‌ডিট‌ক্সিফাই করে। ফলে মান‌সিক দু‌শ্চিন্তা দূর হয়ে যায়।

এনে দেয় প্রশান্তির ঘুম

অনেকক্ষণ ধ‌রে কান্নাকা‌টির ফ‌লে শরীরে বি‌ভিন্ন হরমোন নিঃসরণের পাশাপাশি প্রচুর শ‌ক্তি ক্ষয় হয়। মাঝেমধ্যে পা‌নির ঘাট‌তি দেখা দেয়। যার ফ‌লে ম‌াথা ঠান্ডা হয়ে একধর‌নের প্রশা‌ন্তি বোধ করবেন, এটা আপনাকে শান্তিপূর্ণ ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম দিতে পারে। তাই ঘুমানোর আগে মাঝেম‌ধ্যে একটু কান্নাকাটি করতেই পারেন!

ব্যাকটেরিয়ার বিরু‌দ্ধে লড়াই করে

চো‌খের পা‌নি‌তে লাইসোজাইম নামক একধর‌নের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এনজাইম রয়েছে। লাইসোজাইম ক্ষতিকারক জীবাণু ধ্বংস করে আপনার চোখকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা ক‌রে।

মুড ভা‌লো করে

মনো‌বিদেরা বলেন, কান্না আবেগ দমন করে আপনার মুড ভালো করে দিতে পারে। কান্নার মাধ্যমে আপনি প্রকারান্তরে ক্ষতিকর হরমোনগুলো শরীর থেকে বের করে দিয়ে ফুরফুরে হয়ে ওঠেন।

কান্নাকা‌টি করার সময় আমরা দ্রুত নিশ্বাস নিই, এতে মস্তিষ্ক ‘ঠান্ডা’ হয়ে অক্সিজেন নেওয়ার ক্ষমতা বেড়ে যায়।

চোখ‌ সুস্থ রাখে, উন্নত করে দৃষ্টিশক্তি

কান্নাকা‌টি চোখকে স্বাভাবিকভাবে পি‌চ্ছিল করে, শুষ্কতা প্রতিরোধ করে, কর্নিয়া থাকে আর্দ্র ও পরিষ্কার। ফলে সংক্রামক ব্যাধির ঝুঁকি কমে। চোখের জল ধুলাবালু ও অন্য বিরক্তিকর পদার্থগুলো ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করে। এ ছাড়া নেত্রনালি সতেজ করে চোখকে আরাম দেয় কান্না।

মানসিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে

অনেক সময় বন্ধু বিয়োগ হলে বা ব্রেকআপ হলে আমরা কান্নায় ভেঙে প‌ড়ি। এ ধর‌নের অপ্রতিরোধ্য অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে কান্না। তখন মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ও চাপ কাজ করে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে মানসিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে কান্না।

বাচ্চাদের শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে ও ঘুমাতে সাহায্য করে

শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে কি কা‌রো ভা‌লো লা‌গে? কিন্তু কান্নাকা‌টি শিশুদের জন্যও উপকারী। এটি শিশু‌দের শ্বাসনালি পরিষ্কার করে। বে‌শি বে‌শি অক্সিজেন নিতে সহায়তা করে। এতে তার কষ্ট লাঘব হয়।

‘ছন্দোবদ্ধ’ কান্না শিশুর শ্বাসপ্রশ্বাসকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ঠিক বড়দের মতোই কান্নাকা‌টির পর শিশু‌দের চাপ ও দুশ্চিন্তা কমে যায়, ফলে সে রিল্যাক্সড হয়। ঘুম ভালো হয়।

প্রশান্তি এনে দেয়

চিৎকার করে বা নীরবে-যেভাবেই কান্নাকা‌টি করুন না কেন, দেখবেন আপনার মন কিছুটা হালকা লাগছে। কারণ, কান্না আপনা‌কে প্রশান্তি দিতে পা‌রে। কান্না আমা‌দের প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করে।

যা স্নায়ু শিথিলীকরণের জন্য দায়ী বিভিন্ন হরমোনের নিঃসরণ, হজম ও সেরে ওঠার স‌ঙ্গে জ‌ড়িত। কান্নার ফলে এন্ডোরফিন বা ‘সুখী হরমোন’ নিঃসৃত হয়, যা প্রশান্তির অনুভূতি তৈরি ক‌রে।

সামাজিক বন্ধন

মুখে না বলেও কান্নার মাধ্যমে অন্যদের কাছে আমাদের সমর্থন, সহানুভূতি, সান্ত্বনা প্রকাশ করতে পা‌রি। এতে সামাজিক বন্ধন শক্তিশালী হয়।

তবে আপনি যদি প্রায়ই কান্নাকাটি করেন আর এটি যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করে বা উদ্বেগের কারণ হয়, তাহলে একজন মনো‌বি‌দের শরণাপন্ন হ‌তে পারেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




দোওয়া প্রতিযোগিতায় ২য় চ্যাম্পিয়ন তুবা

ঢাকার গাইডেন্স ইন্টার ন্যাশনাল স্কুল কেজি-২ শ্রেণির ছাত্রী তাবাসসুম তুবা এবার দোওয়া প্রতিযোগিতায় ২য় চাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জণ করেছে।

গতকাল শনিবার বনানী স্কুলে ফাইনাল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে স্কুলের অধ্যক্ষ আবদুল্লা জামান বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। তুবা এর আগে স্কুলের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ২য় এবং বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার দুটি ইভেন্টে চাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। তুবা মাছরাঙা টেলিভিশন ও কালের কন্ঠের সাবেক মেহেরপুর প্রতিনিধি তানিয়া লাবণ্যর মেয়ে ও মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি যুগান্তর প্রতিনিধি তোজাম্মেল আযমের নাতনি।




‘চক্র ২’ নিয়ে আসছেন ফারিণ

তাসনিয়া ফারিণ একাধারে মডেল, কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেত্রী। এই সময়ের আলোচিত গায়িকা এবং নায়িকা। ফারিণ চলচ্চিত্র, ওয়েব সিরিজ, নাটক, বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও গানে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে পেয়েছেন বেশ কিছু সম্মানজনক পুরস্কার এবং হয়েছেন দর্শক নন্দিত। তাকে নিয়ে লিখেছেন শিশির রোয়েদাদ।

গত মাসে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ফারিণ ও তৌসিফ মাহবুব অভিনীত নতুন ওয়েব সিরিজ ‘চক্র’। মুক্তির পর থেকেই আলোচনায় রয়েছে সিরিজটি। কারণ এটি নির্মিত হয়েছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। সিরিজের গল্পটি ছিল, ১৬ বছর আগে ময়মনসিংহের একটি পরিবারের ৯ জন সদস্য আত্মহত্যা করেছিল। দেশব্যাপী তোলপাড় করা সেই ঘটনার অনুপ্রেরণায় ‘চক্র’ নির্মিত হয়। এটি নির্মাণ করেছেন ভিকি জাহেদ।

সম্প্রতি পরিচালক ভিকি জাহেদ ‘চক্র ২’ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ২০২৫ সালের মার্চ- এপ্রিল মাসে দর্শকদের ‘চক্র ২’ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাত পর্বের সিরিজ হিসেবে আসবে এটি। সিজন ২ নিয়ে দর্শকের আগ্রহ রয়েছে এবং গল্পটা যেখানে রয়েছে সেখান থেকে নতুন সিজন আসবে। প্রথম সিজনে ২০ পর্ব হলেও সম্পূর্ণ গল্প দেখানো যায়নি। কারণ প্লট অনেক বিস্তৃত।

তাসনিয়া ফারিণ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সিরিজটি দেখে দর্শক এরপর কী হবে তা দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দর্শক চাহিদার জন্যই সিজন ২ আসছে। এটা একেবারে অন্য রকম ধাঁচের একটা কাজ, যা সচরাচর করার সুযোগ হয় না। এখানে কাজ করে আমার খুব ভালো লেগেছে। আশা করি ‘চক্র’র মতো ‘চক্র ২’ সবার ভালো লাগবে।’ তাসনিয়া ফারিণের উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে, লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলমেন, নেটওয়ার্কের বাইরে, তিথির অসুখ, কারাগার, সিন্ডিকেট, নিঃশ্বাস, এক্স বয়ফ্রেন্ড, ফার্স্ট ইয়ার ডেম কেয়ার- টু, আমরা ফিরবো কবে, লাভ অ্যান্ড লস্ট, চলোনা হারাই ইত্যাদি।

২০১৭ সালে ‘আমরা আবার ফিরবো কবে’ নাটকে অভিনয় দিয়ে ছোটপর্দায় অভিষেক হয় ফারিণের। এরপরে তিনি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। তারপর টিভি নাটক ও ওয়েব ফিল্ম ও সিরিজে কাজ করেন। ২০২২ সালে নির্মাতা অতনু ঘোষ পরিচালিত ‘আরো এক পৃথিবী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে টালিউডে যাত্রা শুর হয় এই অভিনেত্রীর।

সূত্র: ইত্তেফাক




জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান

জাতীয় যুব দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে মেহেরপুরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযানের উদ্বোধন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন ও জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং মেহেরপুর পৌরসভার আয়োজনে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগপ্রতিরোধে মশার উৎপত্তিস্থল বিনষ্টকরণ, পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রুইমারি খাল পরিষ্কারকরণ অভিযান চালানো হয়েছে।

আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুর রুইমারির খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

এসময় সেখানে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম,  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গাজী মূয়ীদুর রহমান, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




২৪ বছর পর ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ ভারত

তিন ম্যাচ টেস্টে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে ভারত। এতেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ হাতছাড়া করে রোহিত শর্মার দল। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না ভারতের সামনে। এমন সমীকরণ নিয়ে মুম্বাই টেস্টে মাঠে নামে স্বাগতিকরা। রোমাঞ্চে ভরা ম্যাচে কিউইদের কাছে ২৫ রানে হেরেছে ভারত।

এতেই ২৪ বছর পর ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত। সবশেষ ২০০০ সালে ঘরের মাঠে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল তারা। সেই সিরিজটি ২-০ তে হেরেছিল ভারত।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দরের ঘূর্ণিতে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ড্যারি মিচেল ও উইল ইয়োংয়ের ব্যাটে ভর করে ২৩৫ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। মিচেল ৮২ ও ইয়োং করেন ৭১ রান। জাদেজা ৫টি ও ওয়াশিংটন নেন ৪টি উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে আজাজ প্যাটেলের ঘূর্ণিতে ২৬৩ রানে অলআউট হয় ভারত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন শিবমন গিল। এছাড়া রিঝভ পন্থ করেন ৬০ রান। আজাজ প্যাটেল নেন ৫টি উইকেট। ২৮ রানের লিড পায় ভারত।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফের ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ফের ৫ উইকেটের দেখা পান জাদেজা। ইয়োংয়ের ফিফটিতে ভর করে ১৭৪ রানে অলআউট হয় কিউইরা। ৫১ রান করেন ইয়োং।

জয়ের জন্য ১৪৭ রানের টার্গেট দাঁড়ায় ভারতের সামনে। এই ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৯ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ভারত। রোহিত ১১, গিল ১, বিরাট কোহলি ১, জয়সাওয়াল ৫ ও সরফরাজ ১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।

এরপর আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন পন্থ। তার ব্যাটে ম্যাচে ফিরে ভারত। তবে তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন অন্য ব্যাটাররা। দলীয় ১০৬ রানে ৫৭ বলে ৬৪ রান আউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

পন্থের বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ভারত। এরপর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারিয়ে ২৯ ওভার ১ বলে ১২১ রানে অলআউট হয় ভারত। আজাজ প্যাটেল ৬টি ও গ্লেন ফিলিপস নেন ৩টি উইকেট।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পথসভা ও লিফলেট বিতরণ

দামুড়হুদায় বাসস্ট্যান্ড ও বাজারের মধ্যে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ।

আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা বাস স্ট্যান্ডে পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান।

বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২৩ সালে ১৩ জুলাই জাতির সামনে উত্থাপিত রাষ্ট্রের কাঠামো মেরামতের যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। তারই বাস্তবায়নের জন্য আজ চুয়াডাঙ্গা জেলায় আমরা এসেছি এবং পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা মানুষের মৌলিক অধিকারের জন্য ১৭ বছর থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করছি। এ আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে আমাদের প্রায় ১০০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার এবং ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ বছর বয়সে মিথ্যা মামলায় সাত বছর কারাবরণ করতে হয়েছে।

এই দাবি আদায় করতে গিয়ে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে দেশনায়ক তারেক রহমানকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে বিদেশের মাটিতে থাকতে বাধ্য করেছে শেখ হাসিনা। ১৭ টি বছর ধরে মানুষের উপর অন্যায় অত্যাচার নিপীড়ন করে আসছে। আমরা দেখেছি, শাপলা চত্ত্বরে কিভাবে হাজার হাজার মাদরাসার ছাত্রদের উপর গুলি করে হত্যা কারা হয়েছিল। তারপর আমরা দেখেছি কিভাবে বেগম খালেদা জিয়া তার ৪০ বছরের বসবাসরত বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিলো। এভাবে ১৭ বছর মানুষের উপর অন্যায় অত্যাচার করেছে, তারই বিস্ফোরণ ঘটেছে ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে।

পথসভা শেষে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরা দামুড়হুদা বাস স্ট্যান্ড ও বাজারের মধ্যে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সালাম এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা লিপিবদ্ধ লিফলেট বিতরণ করেন।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল সারেং,সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মামুন হোসেন দিপু। চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল জাহিদ।

চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির,সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল হাসান তনু, যুগ্ম সম্পাদক মন্টু মিয়া। দামুড়হুদা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ জাকির হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হাসান তোতা, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ মোল্লা। উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ মাহফুজুর রহমান মিল্টন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনছার আলী, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আফজালুল হক সবুজসহ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।




ইউটিউব দেখে চায়না কমলা চাষে বাজিমাত রাজা মিয়ার

ইউটিউব দেখে শখের বসে চায়না কমলার বাগান করে সফলতা পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা নাস্তিপুর গ্রামের উদ্যেক্তা রাজা মিয়া। থোকায় থোকায় চায়না কমলার ফলনে হাসি ফুটেছে রাজা মিয়ার মুখে।

উদ্যেক্তা রাজা মিয়া বলেন, আমার ১ বিঘা জমিতে ১০০ টি চায়না কমলার চারা রোপণ করেছিলাম । এখন বাগানের বয়স ৫ বছর। রোপণের প্রথম বছরে অল্প কিছু ফল আসে । দ্বিতীয় বছরে প্রথম বারের থেকে একটু ফলন বেশি হলেও তৃতীয় বছরে পরিপূর্ণ ভাবে চায়না কমলার গাছে ফল আসা শুরু হয়।

বিঘা প্রতি খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজা মিয়া বলেন, প্রথমে খরচ একটু বেশি হয়েছে কারন জমির চারিদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিতে হয়েছে, চারা কেনা , জমি চাষ ও অন্যন্য খরচ দিয়ে আমার প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা মতো খরচ হয়েছিল। চায়না কমলা চাষ করেছি কারণ চায়না কমলার রোগ বালাই কম, কয়েকটি রোগ দেখা গেলেও ঔষধ এর মাধ্যমে তা সমাধান করা যায়। আমাদের দেশের আবহাওয়ার সাথে এটি মানিয়ে নিয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে ।

পরিচর্যার বিষয়ে তিনি বলেন, চায়না কমলার একটু দেখাশোনা করলেই অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব। তবে খেয়াল রাখতে হবে জমিতে পানি না জমে। কারণ গাছের গোড়ায় পানি জমলে গাছ মারা যেতে পারে এবং গাছে ফল থাকলে ঝরে যেতে পারে। জমির আগাছা সবসময় পরিস্কার রাখতে হবে, সেই সাথে জৈব সার দিতে হবে। কথায় আছে”যত্ন নিলে রত্ন মিলে” সুতরাং একটু যত্ন নিলে চায়না কমলার ফলন বেশি পাওয়া যাবে।

উদ্যেক্তা রাজা মিয়া আরও বলেন চায়না কমলার বাগান নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি কারণ, শুরুতে ইউটিউব ও শখের বসে চয়না কমলার বাগান শুরু করে আল্লাহর রহমতে আজ এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি। নিজের বাগানের গাছে থোকায় থোকায় চায়না কমলা দেখে আনন্দে মন ভরে যায়।




কুষ্টিয়ায় ট্রেন থেকে ফেনসিডিলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী আটক

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ জংশন স্টেশনে নকশী কাঁথা কমিউটার ট্রেন থেকে ৩৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার (০২ নভেম্বর) ভোরে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ রেলওয়ে জংশনে খুলনা থেকে ঢাকা গামী নকশী কাঁথা কমিউটার ট্রেনে অভিযান চালিয়ে ৩৩০ বোতল ফেন্সিডিলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পোড়াদহ রেলওয়ে থানা পুলিশ।

আটককৃত আসামিরা হচ্ছেন- চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার আন্দলবাড়িয়া এলাকার আব্দুর রশিদ মন্ডলের ছেলে হাসান মিয়া (২১) একই এলাকার মইদুল মন্ডলের ছেলে শাকিল হোসেন (২৪) ও হামিদুল মন্ডলের স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৪৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নকশিকাঁথা কমিউনটার ট্রেন পোড়াদহ জংশন স্টেশনে পৌঁছালে অভিযান পরিচালনা করে পোড়াদহ রেলওয়ে থানা পুলিশ। অভিযান পরিচালনা কালে বস্তার মধ্যে রাখা ৩৩০ বোতল ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। উক্ত ফেনসিডিল বহনের দায়ে তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ওসি জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকসহ তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিদের পোড়াদহ রেলওয়ে থানায় মাদক মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।




ঝিনাইদহে ৪৩ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৪৩ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

আজ শনিবার ( ২ নভেম্বর) ভোর ৩টায় র‌্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সিনহা কনফেকশনারী দোকানের সামনে বটগাছের নিচে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী অবৈধ মাদকদ্রব্য ভাতীয় ফেন্সিডিল ক্রয়-বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে উক্ত আভিযানিক দলটি উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৪৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ এক জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার মানিকপুর গ্রামের আব্দুর গফুরের ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩৩)। এছাড়াও তার নিকট থেকে ১টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৯০০ টাকাসহ উদ্ধার করা হয়।

জব্দকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ সদর থানায় হস্তান্তর করে আসামীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।