জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঝিনাইদহে বিএনপি’র বিজয় র‌্যালি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজয় র‌্যালি করেছে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার দুপুরে শহরের উজির আলী হাই স্কুল মাঠ থেকে বিজয় র‌্যালি শুরু হয়।

র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ড এলাকার স্বাধীন চত্বরে এসে শেষ হয়। র‌্যালির নেতৃত্ব দেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ। বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা বিজয় র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা উজির আলী হাইস্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকে। দুপুর নাগাদ মাঠটি লোকে লোকরণ্য হয়ে ওঠে। র‌্যালিতে নেতাকর্মীরা বাদ্যযন্ত্র, রং বেরঙ্গের প্লাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। তবে র‌্যালিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।

র‌্যালি শেষে স্বাধীন চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, জেলা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক এ্যাড. এস এম মশিয়ূর রহমান, মুন্সি কামাল আজাদ পাননু, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আলমগীর হোসেন আলম, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, কৃষকদল নেতা মীর ফজলে ইলাহী শিমুল, যুবদল নেতা আহসান হাবিব রণক, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, ছাত্রদল নেতা সোমেনুজ্জামান সোমেন ও মুশফিকুর রহমান মানিক বক্তব্য রাখেন।

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ তার সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে পৃথিবীর অন্যতম স্বৈরশাসক হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আকাশে উদিত হয় নতুন সুর্য্য। দুই হাজার মানুষের আত্মদানে রচিত হয় ইতিহাসের মহাসোপান।

তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে নানা মত ও পথ থাকবে। কিন্তু ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আমরা সবাই এক।




মুজিবনগরে পুলিশের অভিযানে গাঁজার গাছসহ আটক ১

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় গাঁজার গাছসহ বুলবুল আহমেদ (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ। তিনি মৃত মোনাজাত আলীর ছেলে।

বুধবার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে থানার তদন্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন, এসআই মেজবাউল হকসহ সঙ্গীয় ফোর্স বুলবুলের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে বাড়ির পেছনে টয়লেটের পাশ থেকে ৩টি গাঁজার গাছ উদ্ধার করা হয়।

প্রতিটি গাঁজার গাছের উচ্চতা ছিল প্রায় ১১ ফুট এবং মোট ওজন (কাঁচা) প্রায় ১৮ কেজি। উদ্ধারকৃত গাঁজার বাজারমূল্য আনুমানিক ১ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি এবং বুলবুলকে আটক করি। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গাঁজার গাছগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




গাংনী-ধানখোলা সড়কে ককটেল ফাটিয়ে আবারও গণডাকাতি

এক মাসের ব্যবধানে গাংনী থানা থেকে মাত্র তিনশ গজ দূরে তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আবারও গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন পথচারীর কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল লুট করেছে ডাকাতদল।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক পৌনে নয়টার দিকে গাংনী-ধানখোলা সড়কের বিল্লাল নার্সারির কাছে হারেজ মোড়ে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদের কাছে হাতবোমা ও দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র ছিল বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

প্রায় ২০ জন পথচারীর কাছ থেকে আনুমানিক ৮০ হাজার টাকা লুট করেছে ডাকাতদল।

ভুক্তভোগী ইয়াসির আরাফাত আলীর কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা, আব্দুল হালিমের কাছ থেকে ৬০০ টাকা, শাহজামাল আলীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা, রেজিয়া খাতুনের কাছ থেকে ৭০০ টাকা, মিন্টু হোসেনের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা, মহব্বত আলীর কাছ থেকে ২২শ টাকা, মিন্টু আলীর কাছ থেকে পৌনে ১০ হাজার টাকা, কুরসিয়া খাতুনের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়াও অন্যান্যদের কাছ থেকেও অর্থ ও সামগ্রী লুট করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের বাড়ি গাংনী উপজেলার ধানখোলা, মহিষাখোলা ও আড়পাড়া এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, ৭-৮ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হঠাৎ রাস্তা অবরোধ করে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা পথচলতি অন্তত ২০-২৫ জনের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতরা প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যে পুরো ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে।

ঘটনার খবর পেয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, “এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ডাকাতি। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।”

এদিকে, এমন ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাতের বেলা চলাচলকারী সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দ্রুত পুলিশি টহল জোরদার ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কয়েক মাস পূর্বেও একই স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরপর পুড়াপাড়া-জুগিন্দা রাস্তাতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে।

এভাবে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় জনমনে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গাংনী থানা পুলিশের ডিএসবি (বিশেষ শাখা) শাখার অধিকাংশ সহকারী উপপরিদর্শক ও কনস্টেবলরা তাদের মূল দায়িত্ব ফেলে পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে দেন-দরবার ও আওয়ামী লীগের দোসরদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করে সময় কাটান। দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন ডিএসবি শাখায় কর্মরত এই কর্মকর্তা ও কনস্টেবলরা।

বিষয়টি মেহেরপুরের পুলিশ সুপার ও জেলা বিশেষ শাখায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।




গাংনীতে মিষ্টির দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ

গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামে একটি মিষ্টির দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে নগদ টাকা ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাজীপুর গোলাম বাজারের সোহেল রানার মিষ্টির দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।

সোহেল রানা জানান, মিষ্টির দোকানে একটি গ্যাস সিলিন্ডার ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারটি পুরানো হয়ে যাওয়ায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের পর আগুনের লেলিহান শিখায় পুরো দোকানটি পুড়ে গেছে। দোকানে থাকা নগদ টাকা ও খাদ্যসামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এদিকে টাকা পয়সাসহ দোকানের অন্যান্য মালামাল পুড়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে দোকান মালিক সোহেল রানাা।




জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়াম মাঠে সামাজিক সংগঠন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক (এসডিডব্লিউ)-এর আয়োজনে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুণ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।

সংগঠনের সভাপতি এম এ বারী ফারুকের সভাপতিত্বে এবং আব্দুস সাত্তার মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এসডিডব্লিউ-এর সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সদস্য তুহিন, মীর আব্দুল আলিম বকুলসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শিশুদের জন্য ৫০ মিটার দৌড়, মোরগ লড়াই, বিস্কুট দৌড়ের মতো প্রতিযোগিতার পাশাপাশি রিকশা-ভ্যানচালক ও শ্রমিকদের ১০০ মিটার দৌড়, বয়স্কদের হাড়িভাঙ্গা খেলা, সবার জন্য উন্মুক্ত কলা গাছে ওঠা, যেমন খুশি তেমন সাজো এবং প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন ছিল।




দর্শনায় বিএনপি’র ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিজয় মিছিল

সারা দেশের ন্যায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশে বিজয় র‌্যালীর আয়োজন করেছে বিএনপি। ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটে। এই ঐতিহাসিক ঘটনার এক বছর পূর্তিতে দর্শনা থানা ও পৌর বিএনপি’র উদ্যোগে পৃথক পৃথক ভাবে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিজয় মিছিল ও গণ-জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে দর্শনা ডাকবাংলা চত্বর থেকে দর্শনা পৌর বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ২০২৪ -এর ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে গণ-জমায়েত ও বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ মিছিলটি দর্শনা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তার মোড়ে গণ-জামায়েত অনুষ্ঠিত হয়।

এ গণ-জমায়েতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দর্শনা পৌর বিএনপি’র প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট। এ সময় তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় ৫ই আগষ্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটে। এই ঐতিহাসিক ঘটনার ১ বছর পূর্তিতে দলটি এ দিবসটিকে বিজয়ের প্রতিক হিসেবে দেখছে। এ সময় আরও দর্শনা পৌর বিএনপি’র সমন্বয়ক শরিফ উদ্দীন, মমিনুল ইসলাম, শফিউল আজম তোতা, লুৎফর, আজিজুল হক, হারিজ উদ্দীন লাভলু, নাজিম আহমেদ, মোঃ ফেরদৌস আলম মন্টু, দর্শনা পৌর যুব দলের আহ্বায়ক মোঃ ফারুক হোসেন, দর্শনা থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (রিংকু), মিতুল, সুলতান, দর্শনা পৌর কৃষকদলের হাতেম আলী, রমিজ শাহরুল চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক, আলতাফ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি, জাকির হোসেন সামাউল, সোহেব আক্তার শাফায়েত জামান পাপ্পু, আসিফ হাসান।

অপর দিকে দর্শনা থানা বিএনপি’র উদ্যোগে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিজয় র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিজয় র‌্যালীটি দর্শনা বাস স্ট্যান্ড চৌরাস্তার মোড় থেকে দর্শনা রেল বাজার মুক্ত মঞ্চে এসে শেষ হয়। পরে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন দর্শনা থানা বিএনপি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত। এ সময় বক্তব্য রাখেন, দর্শনা থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মেদ আলী, বেগমপুর ইউনিয়ন এর সাবেক সভাপতি শেখ আসলাম আলী, মদনা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি আরও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অপর দিকে বিকেল সাড়ে ৫ টায় দর্শনা পৌর বিএনপি’র সমন্বয়ক আলহাজ্ব মশিউর রহমান এর নেতৃত্বে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে গণ-জমায়েত ও বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।




ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মেহেরপুরে বিএনপি’র বিজয় র‌্যালি

ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মেহেরপুরে জেলা বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাথুলী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালির নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।

এ সময় তিনি বলেন, আপনারা সবাই বিশ্বাস করেন, এই দেশের ১৮ কোটি মানুষ বিশ্বাস করে আমাদের প্রিয় নেতা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন, সেই প্রতীক্ষায় সারা বাংলাদেশ অপেক্ষা করছে। আমরা আজকের এই ঐতিহাসিক দিনকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ দিবস বলি। সেই কারণেই আজকের এই বিজয়ের উচ্ছ্বাস, এই আনন্দ। এই আনন্দে যাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, আগামী দিনে আরও দ্বিগুণ সংখ্যক মানুষ নিয়ে আপনারা উপস্থিত হবেন ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, যারা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ছিলেন, তাঁরাও যেন আগামীতে আরও উৎসাহ নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। যেভাবে, যতটা সম্ভব, সকলে অংশ নেবেন এই প্রত্যাশায় আজকের এই পথসভা ও বিজয় র‌্যালির সমাপ্তি ঘোষণা করছি।

র‌্যালিতে অংশ নেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ, সদস্য আলমগীর খান ছাতু, হাফিজুর রহমান হ্যাপি, ইলিয়াস হোসেন, আনছারুল হক, ওমর ফারুক লিটন, আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, মীর ফারুক হোসেনসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপস্থিতি র‌্যালিকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

বিজয় র‌্যালিকে ঘিরে পুরো শহরে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় চারপাশ। নেতাকর্মীদের হাতে ছিল ব্যানার-ফেস্টুন, আর ঢাক-ঢোলের তালে তালে এগিয়ে যায় বিজয়ের মিছিল।




মুজিবনগরে উপজেলা বিএনপি’র বিজয় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুথানের বর্ষপূর্তী উপলক্ষে মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে বিশাল বিজয় মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি।

৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুথানের বর্ষপূর্তী উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র কার্যলয় থেকে জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র নব-নির্বাচিত সভাপতি আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে বিশাল বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাদ্যযন্ত্রের তালে নেচে গেয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয় উদযাপন করে উপজেলা বিএনপি’র নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ। এ সময় আশে পাশের নারী পুরুষ সহ সাধারণ মানুষ রাস্তার পাশে ভিড় করে এই বিজয় মিছিল দেখতে। এ সময় তাদের চোখে মুখে ছিল আনন্দ ও তৃপ্তির হাঁসি ।

বিজয় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজী মশিউর রহমান। উপজেলা বিএনপি’র নব-নির্বাচিত সাংগঠনিক হারুন-অর-রশিদ, বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম, মোনাখালি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি রাইহান কবির, সাধারণ সম্পাদক আনিছুজ্জান টুটুল দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আশরাফুল হক কালু, সাধারণ সম্পাদক সোনা গাইন। উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন প্রিন্স, মেহেরপুর সরকারী কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফাইম আহনাফ লিংকন সহ মুজিবনগর উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।

বিজয় মিছিলে আগে উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয় প্রাঙ্গনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র নব-নির্বাচিত সভাপতি আমিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি আপনাদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। আপনাদের বলতে চাই আগামী দিনে আরো পরীক্ষা আছে, আরো ষড়যন্ত্র আছে, সব ষড়যন্ত্র পরীক্ষা মোকাবেলা করে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থাকবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা ইদানিং দেখছি যারা আমাদের কমিটিকে কোনদিন মানতে পারেনি যারা বলেছে আজ কমিটি ভাঙবো ঈদের পরে কমিটি ভাঙবো, কুরবানী ঈদের পরে কমিটি ভাঙবো। আমরা বলেছিলাম কেয়ামত পর্যন্ত এই কমিটি ভাঙার কোন সুযোগ নেই। আমরা বলছি এখনো সময় আছে আসেন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি করি, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি করি, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি করি। শহীদ জিয়ার আদর্শে আদর্শিত হয়ে সবাই একসাথে দল করি। সবার আগে বাংলাদেশ। আগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী না করা পর্যন্ত এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।




দামুড়হুদায় বিএনপি’র উদ্যোগে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিজয় র‌্যালি

দামুড়হুদায় উপজেলা বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিজয় র‌্যালি ও সংক্ষিপ্ত আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় দামুড়হুদা ব্রীজ মোড় থেকে জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে প্রথমে বিজয় র‌্যালি বের হয় র‌্যালিটি উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাসস্ট্যান্ড হয়ে দামুড়হুদা চৌরাস্তা মোড়ে এসে শেষ হয়। পরবর্তীতে চৌরাস্তার মোড়ের অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থেকে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।

উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়ার সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সালমা জাহান পারুল, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইকরামুল হক, সদস্য সচিব জাকির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আফজালুল হক সবুজ, সদস্য সচিব কে ডি সুলতানসহ দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গার মাদক সম্রাট ওল্টু এখন মাদকের গডফাদার

আলমডাঙ্গা বেলগাছি গ্রামের চিহ্নিত মাদক সম্রাট সন্ত্রাসী বোমা কালামের অবসান হলেও তার ছোট ভাই আবারও সক্রিয় হয়ে মাদক ব্যাবসায় জমিয়ে তুলেছে রাজ্য। এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী ইউনিয়নের বাগানপাড়ায় মৃত সাহেব আলির ছেলে ওল্টু আবারও মাদক ব্যাবসায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ওল্টুর বড় ভাই বোমা কালাম ছিল চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ডাকাত এবং মাদক ব্যাবসায়ী। তার অত্যাচারে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করতো। তার মৃত্যুর পর এই ওল্টু ভাইয়ের চলা পথে মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।

এক সময় ৫ই আগষ্টের পরে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়েছিল কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ওল্টু ও তার ব্যাবসায়ী পার্টনার তরিকুল ইসলাম কে। তার পরেও থামেনি তার মাদক ব্যাবসা। বরং প্রশাসনের চোখের সামনে মাদকের ভয়াল ছোবলে ক্ষতবিক্ষত এই এলাকায় ওল্টুর উপস্থিতি যেন এক আতঙ্কের নাম। সে শুধু একজন ব্যবসায়ী নয় এলাকাবাসীর চোখে সে মাদকের গডফাদার, যাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একটি বিস্তৃত মাদকচক্র।

উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গা বেলগাছী বাগানপাড়ার মৃত বোমা কালাম এর ছোট ভাই ওল্টুর বিরুদ্ধে আগে থেকেই একটি মাদক মামলা রয়েছে। ওই মামলায় একবার গ্রেফতার হলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জামিনে বেরিয় এসে যেন আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে আবারও শুরু করেছে গাজা ও টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ মাদকদ্রব্যের সরবরাহ ও বিক্রি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওল্টুর কারণে পুরো এলাকা আজ মাদকের করাল গ্রাসে জর্জরিত। স্কুলপড়ুয়া কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ সমাজ তার মূল টার্গেট। রাতের অন্ধকারে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে বিষের প্যাকেট। দিনের আলোতেও নির্লজ্জভাবে মাদকাসক্ত খরিদ্দাররা তার বাড়িতে মাদক কেনার জন্য লাইন দেয়।

অবিলম্বে ওল্টুকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন এলাকার সুধী সমাজ।