চুয়াডাঙ্গায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা আটক

চুয়াডাঙ্গায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক লিমন হোসেনকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। শনিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা থেকে তাকে অস্ত্র সহ আটক করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদূর রহমান

আটক লিমন হোসেন (৪০) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক।

চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্প থেকে পাওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন সৌমিক আহমেদ অয়ন (৩৬ এডি) নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে লিমনকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাবাদের এক পর্যায়ে লিমনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি নাইম এমএম পিস্তল, এক রাউন্ড এ্যামুনিশন, দেশী অস্ত্র (চাপাতি-চাইনিজ ছুরি-রামদা) সহ মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ লিমনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং মামলার পর বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।




ঝিনাইদহে মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’র আত্মপ্রকাশ

একঝাঁক উদ্যোমী ও কর্মঠ তরুণ সংবাদকর্মীদের সমন্বয়ে ঝিনাইদহ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’র আত্মপ্রকাশ হয়েছে।

শহরের এইচ এস এস সড়কের মডার্ন মোড়ের মোল্লাবাড়ি ভবনের ২য় তলায় অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে আহবায়ক হিসেবে বাংলা ভিশন টেলিভিশনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার এম আর রাসেল ও দৈনিক বাংলা ৭১’র রিপোর্টার শেখ ইমনকে সদস্য সচিব নির্বাচিত করা হয়।

কমিটিতে যুগ্ম-আহবায়ক হিসেবে সময়ের আলোর রিপোর্টার সম্রাট হোসেন এবং সদস্য হিসেবে খোলা কাগজের রাজীব মাহমুদ টিপু, আজকের প্রত্যাশা প্রতিনিধি সুলতান আল এনাম, কালের কণ্ঠের আব্দুর রাজ্জাক রাজন, জনবাণীর সাইফুল ইসলাম, বাংলা এডিশনের আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশের খবরের এম বুরহান উদ্দীন, আমার বার্তার মিশুক হোসেন ও ভোরের আকাশ প্রতিনিধি সুজন বিপ্লব বিশ্বাসকে নির্বাচিত করা হয়।

ঘোষিত আহবায়ক কমিটিকে রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ জেলা-উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।




ঝিনাইদহে কৃষকের মাঝে বিনামুল্যে সার ও বীজ বিতরণ

ঝিনাইদহে রোপা আমনের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাড়ে ৪ হাজার কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (২১জুন) সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি অফিসের আয়োজনে এ উপকরণ বিতরণ করা হয়।

সেসময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীয় আক্তার চৌধুরী, কৃষি কর্মকর্তা নূর-এ নবী, অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জুনাঈদ হাবীবসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি অফিস জানায়, সরকারের খরিপ-১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় রোপা আমনের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৪ হাজার ৫’শ ৫০ জন কৃষকের প্রত্যেককে ৫ কেজি উন্নত জাতের বীজ ও ২০ কেজি রাসায়নিক সার দেওয়া হয়।




গাংনীতে প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট বাধাগ্রস্ত শিশু বিদ্যালয়ের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (২১ জুন) দুপুরে বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন, গাংনী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আরশাদ আলী এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক অফিসার তুলসী কুমার পাল। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইনামুল হক।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা আক্তার।

অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে ১৩টি হুইলচেয়ার ও একটি ওয়াকার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।
পরে প্রতিবন্ধী শিশুদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।




৩২ মাসের নাটকীয়তার অবসান, ফিরলো হৃদয়ের মরদেহ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বহুল আলোচিত ‘আশা অফিস হৃদয় নিখোঁজ’ নাটকের শেষ দৃশ্য হাজির হয়েছে ৩২ মাস পর। অবশেষে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছে হৃদয় হোসেনের মরদেহ।

২০২২ সালের ২ অক্টোবর সকালে গাংনীর বাওট এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি এনজিও “আশা”র অফিসে সিঁড়ি ও কক্ষে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখা গেলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সেইসঙ্গে নিখোঁজ হন ওই অফিসের পিওন ও বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত ১৮ বছর বয়সী হৃদয় হোসেন।

ঘটনার পরপরই উত্তেজিত জনতা অফিসের শাখা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামকে আটক করে বেদম মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

পরিবারের অভিযোগ ছিল- ১ অক্টোবর রাতে হৃদয়কে ম্যানেজার আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন লোক বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারা হৃদয়ের পরিবারের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেও হৃদয়কে আর ফেরত না পাঠিয়ে পরদিন সকালে ‘রক্তমাখা অফিস’ রেখে উধাও হয়ে যায়।

হৃদয়ের পরিবার দাবি করে, অফিসের মাঠকর্মী ও শাখা ব্যবস্থাপকের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও হৃদয় ধারণ করে ফেলেছিলো। সে ভিডিও নিয়ে হৃদয়কে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মনে হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করা হয়েছে। ঘটনার সময় এই অভিযোগে উত্তপ্ত হয় পুরো বাওট এলাকা। এনজিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরিবারও দাবি করে আসছিল হৃদয়কে হত্যার পর তার লাশ গুম করা হয়েছে।

তবে সেই নাটকের মোড় ঘুরল ৩২ মাস পর। হঠাৎ করেই হৃদয়ের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া যায় মালয়েশিয়া থেকে। জানা যায়, দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত হৃদয় সেখানে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দেশে আনা হয়।

স্থানীয়দের মধ্যে চলছে ভিন্নমত, বাওট এলাকায় এই ঘটনা ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন, এতো বছর ধরে পরিবারের দাবি ছিল ছেলে গুম বা হত্যা হয়েছে। কিন্তু সে যে বিদেশে ছিল, এটা গোপন ছিল কীভাবে? তাহলে কি পুরো ঘটনাটাই সাজানো ছিল?

আরও অনেকে বলছেন, হৃদয় হয়তো আশার অফিসে কোনো আর্থিক অনিয়ম বা অবৈধ কর্মকাণ্ড জেনে ফেলেছিল। পরে সেগুলো থেকে বাঁচতেই এই নাটক সাজানো হয়েছিল। কিংবা উল্টো হৃদয়ই কোনও অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে আত্মগোপনে মালয়েশিয়া চলে যায়।




ঝিনাইদহে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আইনজীবীকে প্রাণনাশের হুমকি!

ঝিনাইদহে জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ঝিনাইদহ জজ আদালতের আইনজীবী আহমেদ ওয়াসিফ কামালকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ভাই আহমেদ সাদাত কামাল। এঘটনায় অ্যাড.আহমেদ ওয়াসিফ কামাল হুমকী দাতা ভায়ের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার কুমিড়াদহ গ্রামের এবং ঝিনাইদহ আদর্শপাড়া বকুলতলার বাসিন্দা আহমেদ মাসুদ কামালের দুই ছেলে, এককন্যা ও স্ত্রী রেখে তিনি ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর আহমেদ মাসুদ কামালের বড় ছেলে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আহমেদ সাদাত কামাল এবং ছোট্র ছেলে আইনজীবী আহমেদ ওয়াসিফ কামালের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয় তাঁদের গ্রামের বাড়ির হাটফাজিলপুর বাজারের জমির দলিলের মালিকানা নিয়ে। আইনজীবী বাবা আহমেদ মাসুদ কামাল মৃত্যুর আগে ছোট ছেলে ওয়াসিফ কামাল ও কন্যা দিশা কামাল এই দুই ভাই-বোনের নামে বিপণি বিতানসহ ৮৫ শতক জমি লিখে দিয়ে যান । কিন্তু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডিআর অফিসের মহাফেজখানায় রাখা দলিলের একটি নাম ঘষামাজা দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ভাই ও আইনজীবি ভাই মহাফেজখানায় রাখা দলিল ঘষামাজা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। আইনজীবী হিসেবে পিতা-পুত্রের যথেষ্ট সুনামও রয়েছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহাফেজখানার রাখা দলিলে ঘষামাজা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোজ নিয়ে যানা গেছে উক্ত ঘটনার বিষয়ে “তদন্তাধীন” আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজ্ঞ আইনজীবী আহমেদ ওয়াসিফ কামাল বলেন, “আমাদের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ঢুকে গেছে তৃতীয় পক্ষ। এই তৃতীয় পক্ষই হলেন মামাতো ভাই তুষারদের পরিবার। আমার বিরুদ্ধে, মামাতো ভাইদের ছত্রছায়ায় সমাজে নানা অপবাদ, অপকর্ম, নানা ধরনের সামাজিক হেনস্থ, হুমকিসহ বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেকারনেই আমি ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।

আহমেদ ওয়াসিফ কামাল আরো বলেন, “আমাদের পিতা আমার ও আমার বোন এর নামে ২০১৫ সালে একটি দান দলিল করিয়া রাখিয়াছেন। পিতার মৃত্যুর পর বড় ভাই ঐ দান দলিল অস্বীকার করেন। বড় ভাই আহমেদ সাদাত কামাল অর্থ দিয়ে ঐ দান দলিল কে প্রশ্নবিদ্ধ করিবার কুমতলবে তুষার এর সাথে যোগসাজস করিয়া রেজস্ট্রি অফিস এর কর্মচারীদের হাত করিয়া বালাম বই নষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে ঘষামাজা করিতে পারেন। যাহাতে ঐ দলিল টি ভবিষ্যতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বর্তমানে রেজিষ্ট্রি অফিস তাহা তদন্ত করিতেছে। উক্ত ঘটনার তদন্ত কে ভিন্ন রাস্তায় প্রবাহিত করিবার জন্য এবং তাহার প্রকৃত উদ্দেশ্য এড়ানোর জন্য সংবাদ পত্রে মহাফেজখানায় দলিল ঘষামাজার বিষয়ে সাংবাদিক কে মিথ্যা তথ্যদিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করান তারা। যা প্রকৃত ঘটনা ও বাস্তবতার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ন ও বিভ্রান্তিকর।

ইতোমধ্যে আমি ঝিনাইদহ সদর থানায় উক্ত বিষয় উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করিয়াছি। আমার উপর এই হুমকি শুধু একজন আইনজীবীকে নয় পুরা সমাজ ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে চুপ থাকা অন্যায়ের সাথে আপোষ।”হুমকির কাছে মাথা নত নয়, আমরা চাই আইনের শাসন এবং ন্যায় বিচার।” মহাফেজখানায় দলিল ঘষামাজার বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। যে কারণে এ বিষয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে চাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে আহমেদ সাদাত কামালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনেটি বন্ধ পাওয়া যায়।




গাংনীতে স্বেচ্ছাশ্রমে মসজিদের ওযুখানার রাস্তা মেরামত জামায়াতের

মেহেরপুরের গাংনীতে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে দীর্ঘদিন অবহেলিত পড়ে থাকা একটি রাস্তা অবশেষে স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ওজুখানার যাতায়াতের এই রাস্তাটি দুই বছর ধরে সংস্কারবিহীন থাকায় মুসল্লিরা চরম দুর্ভোগে ছিলেন।

শুক্রবার (২০ জুন) সকাল ৯টার দিকে জামায়াত নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগে রাবিশ ও মাটি দিয়ে রাস্তার মেরামতের কাজ শুরু করেন। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা জামায়াতের সূরা সদস্য ও মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী নাজমুল হুদা। এসময় গাংনী পৌর জামায়াতের আমীর আহসানুল হক, পৌর জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক জিল্লুর রহমানসহ জামায়াতের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিতি উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই বছর আগে গাংনী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ওজুখানাটি ভেঙে ফেলা হয়। একই সময়ে পৌরসভার পক্ষ থেকে শুরু হয় ড্রেন নির্মাণ কাজ। কিন্তু উভয় প্রকল্পই দীর্ঘ সময় ধরে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় মসজিদের মুসল্লিদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বর্ষা মৌসুমে কাদায় পথ অচল হয়ে পড়ে, এমনকি ওজু করতেও সমস্যায় পড়েন মুসল্লিরা। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার সমাধানে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

নিজ উদ্যোগে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করার বিষয়ে জেলা জামায়াতের সূরা সদস্য ও এমপি প্রার্থী নাজমুল হুদা বলেন:“রাস্তা না থাকায় মসজিদের ওজুখানায় যাওয়া দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। বৃষ্টি হলে পা রাখা যেত না। সরকারি কোনো সাহায্য না পেয়ে আমরা নিজেরাই মাটি ও রাবিশ নিয়ে নেমে পড়েছি। আল্লাহর ঘরের জন্য আমরা নিজেরা এগিয়ে এসেছি।”

তিনি আরও বলেন,“শুধু অভিযোগ করে বসে থাকলে হবে না। জনগণের জন্য, ইসলামের জন্য কাজ করতেই আমরা রাজনীতি করি।”




মেহেরপুরকে মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি -মনির হায়দার

মেহেরপুর জেলা যেন বাংলাদেশে একটি মডেল হিসেবে গড়ে উঠতে পারে আমরা সকলের সহযোগিতা নিয়ে সে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

শুক্রবার সকাল ১১টায় মেহেরপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচন ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু সংক্রান্ত একটি মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “চলতি সেশনেই মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। ” তিনি দ্রুত স্থান নির্ধারণ ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. বখতিয়ার উদ্দিন, জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিল খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মেজবাহ উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।




সাংবাদিক মাহাবুব চান্দুর মামলা খারিজ , উচ্চ আদালতে করবেন আপিল

মেহেরপুর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দুর দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাইবুনাল আদালত।

বর্তমান সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কয়েকটি ধারা রেখে আইনটি বাতিল করায় আদালত মামলাটি খারিজ করেন। তবে মামলার বাদী উচ্চ আদালতে খারিজের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মমিনুন নেসা শুনানি শেষে মামলাটি খারিজ করে দেওয়ার আদেশ দেন।

২০২৩ সালে মাহবুব চান্দু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮—এর ২৪/২৫(১)(ক)/২৫(১)(খ)/২৫(২)/২৯/৩১/৩৫ ধারায় মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোতাসিম বিল্লা মতু, সাইফুল বাহার স্বাধীন, মুত্তাকী বিল্লাহ শাফিন, শামীম হাসান সোহাগ, তৌহিদুল ইসলাম লিওন, সৌমিক এবং এস. এম. মেহরাব হোসেনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

কিছুদিন আগে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা ব্যতিত আইনটি বাতিল করলে আদালত শুনানির পর মামলাটি খারিজ করে দেন।

মামলার বাদী মাহাবুব চান্দু বলেন, কোনো আইন বাতিল বা স্থগিত করা হলে পূর্বের মামলাগুলো চলমান থাকার কথা। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একটা অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা বাতিল করেছে। আমার মামলার অভিযোগ ইতোমধ্যে পিবিআই কুষ্টিয়া তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তা স্বত্বেও মামলাটি কি কারণে বাতিল হলো সেটি জানতেই উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবো।




গাংনীর তেরাইল জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজে বিদায় অনুষ্ঠান

গাংনীর তেরাইল জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বিতরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কলেজ হলরুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিনারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সহকারী অধ্যাপক জাবলুন্নবীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিকুল আলম বকুল, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক নুরুল ইসলাম, জেটিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোনা, কলেজের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল হক, রেজাউল ইসলাম, মাহবুবুল ইসলাম তুহিন, মিরপুর নিমতলা কলেজের প্রভাষক কামরুল ইসলাম, বামুন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নওশাদ আলী এবং বিএনপি নেতা ইয়াছিন আলী।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকেও তাদের অনুভূতি প্রকাশ করা হয়। অত্যন্ত চমৎকার পরিবেশে বিদায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুলফিকার আলী ভুট্টো শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলো এবং দেশের কল্যাণে কাজ করো। শুধু সনদনির্ভর শিক্ষা নয়, সত্যিকারের জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এটি কোনো বিদায় নয়, বরং উচ্চশিক্ষার পথচলার একটি নতুন সূচনা। আগামী ২৬ তারিখ অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষায় তোমাদের সকলের জন্য রইল শুভকামনা।”