মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র রিটন ঢাকা থেকে গ্রেফতার

মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনকে ঢাকার দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তবে তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রিটনের পারিবারিক সূত্র গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাহফুজুর রহমানের রিচনের শ্যালক আরিফুর রহমান জানান, সাবেক মেয়রকে রাতে ঢাকার ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে কোন মামলায় গ্রেফতার করেছে আমরা জানিনা। আজ দুপুর পর্যন্ত তাঁকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে কিনাও পরিবার জানেনা।

এদিকে, মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো: জামিনুর রহমান খান বলেন, আমাদের কাছে সাবেক মেয়রের গ্রেফতার কোন কাগজপত্র আসেনি।




মাছ শুধু পাতে নয়, উঠে আসে সাহিত্যে, কবিতায়, উপকথায়

নদীর দেশ, জল-জঙ্গলের কোল ঘেঁষা এক সবুজ ভূখণ্ড তারই নাম বাংলা। আর এই বাংলার হৃদয়জুড়ে যে দুটি শব্দ যুগ যুগ ধরে স্পন্দিত হয়েছে, তা হলো মাছ ও ভাত। “মাছে ভাতে বাঙালি” শুধু একটি প্রবাদ নয়; এটি এক কালের স্বাদ, মাটির গন্ধ, মায়ের হাতের রান্না, আর চিরন্তন বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। বাংলা ভাষায় বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ- “মাছে ভাতে বাঙালি”। এই প্রবাদটি যেন বাঙালির দৈনন্দিন জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ের এক সহজ অথচ গভীর প্রতিচ্ছবি। বাঙালির কাছে মাছ ও ভাত শুধু খাদ্য নয়, বরং তা এক আবেগ, এক ঐতিহ্য, এক জীবনের দর্শন। একসময় ছিল নদী, খাল, বিল, পুকুরে পরিপূর্ণ।

সেখানে মাছের প্রাচুর্য ছিল স্বাভাবিক বিষয়। ফলে ঐতিহ্যগতভাবেই মাছ হয়ে উঠেছে বাংলার মানুষের প্রিয় খাদ্য। অন্যদিকে ধানচাষ প্রধান অর্থনীতি হওয়ায় ভাত বাঙালির প্রধান আহার। এই দুইয়ের সমন্বয়েই গড়ে উঠেছে এক অনন্য খাদ্যসংস্কৃতি, যা অন্য কোনো অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এতটা গভীরভাবে দেখা যায় না।

এই মাটি ভিজে থাকে শ্রাবণের জলে, আর নদীর বুকে খেলে বেড়ায় রূপালি ইলিশ। ঢেঁকিতে ভাঙা চালের গন্ধে মিশে যায় মেঘলা আকাশের আহ্বান। গৃহিণীর কড়াইতে যখন সরষে ফোঁড়ন পড়ে, তখন মনে হয় এ এক অলৌকিক সঙ্গীত। শিশুর প্রথম দুধভাত থেকে বৃদ্ধের শেষ আহার- সবকিছুতেই থাকে ভাত আর মাছের ছোঁয়া।

বাংলার পদ্মা, মেঘনা, যমুনা এই নদীগুলি শুধু জল নয়, প্রাণ। তারা বয়ে আনে মাছের ভাণ্ডার, বাঙালির জীবনের চিরন্তন উপহার। কখনও তা ইলিশের রাজারি, কখনও রুই-কাতলার রাজনীতি। কখনও ঝোলে ডোবা পুঁটি, কখনও ভাজা চিংড়ির সুবাস। ইলিশ, রুই, কাতলা, পুঁটি, শোল, পাবদা, ট্যাংরা, এমন কত রকমের মাছ যে বাঙালির রসনাকে মোহিত করেছে! ইলিশের সরষে বাটা, রুই মাছের কষা, ট্যাংরার ঝোল, পাবদা মাছের দই-পোস্ত বা চচ্চড়ি, এসব শুধু পদের নাম নয়, প্রতিটিই একটি করে আবেগ, একেকটি পরিবারের স্মৃতি, ভালোবাসার মুহূর্ত। প্রতিটি রন্ধনে মিশে থাকে ভালবাসা, স্মৃতি আর ইতিহাস।

মাছ শুধু পাতে নয়, উঠে আসে সাহিত্যে, কবিতায়, উপকথায়। রবীন্দ্রনাথের “মাছের ঝোল” আর বিভূতিভূষণের গ্রামীণ গল্পে ভাতের সঙ্গে টাটকা শোল মাছ যেন জীবনের প্রতিচ্ছবি। কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় মাছ ও ভাতের প্রসঙ্গ এসেছে বহুবার। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে আজকের লেখকরাও বাঙালির খাদ্যসংস্কৃতির কথা তুলে ধরেছেন।

গ্রামবাংলার সন্ধ্যায় পুকুরঘাটে জাল টেনে ওঠে শুধু মাছ নয়, ওঠে পারিবারিক গল্প, ভালবাসা আর গ্রামীণ জীবনের নিঃশব্দ ছন্দ। তবে “মাছে ভাতে বাঙালি” শুধু খাদ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির সংস্কৃতি, সামাজিকতা ও সাহিত্য। বাঙালির বিয়ে-শাদিতে, উৎসব-অনুষ্ঠানে মাছের উপস্থিতি যেন বাধ্যতামূলক। নববধূর বাড়িতে মাছ পাঠানো, অতিথি আপ্যায়নে মাছের কদর, এমনকি পূজার ভোগেও মাছের উল্লেখ, এসবই এই সংস্কৃতির অংশ।

উৎসব-অনুষ্ঠান মানেই বাঙালির রান্নাঘরে মাছের উল্লাস। বিয়ের পদে বড় রুই মাছ যেন নবদম্পতির সুসম্পর্কের প্রতীক। পয়লা বৈশাখে ইলিশ ভাত যেন নতুন বছরের প্রতিশ্রুতি। এমনকি “মাছে-ভাতে মেয়ে” বলেই প্রশংসা করা হয় সহজ সরল, গৃহস্থালি জীবন ভালোবাসা মেয়ের।

বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকা বাঙালিও স্বপ্ন দেখে- এক প্লেট গরম ভাত, তার পাশে ঝালঝোল মাছের গন্ধ। যেন বিদেশের ধোঁয়াটে ব্যস্ত জীবনে একটু ‘বাংলা’র স্পর্শ।

আজকের জগত বদলেছে। চিপস, পিজ্জা, বার্গার এসেছে বাজারে। কিন্তু বাঙালির আত্মা আজও খুঁজে ফেরে সেই কাঁশবনের পাশে মাটির বাড়ি, ধানখেতের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী, আর দুপুরবেলার সেই গরম ভাতের ধোঁয়া।

যদিও আধুনিক জীবনযাত্রা ও নগরায়ণের ফলে বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, তবুও মনের গভীরে মাছ-ভাতের প্রতি টান আজও অমলিন। প্রবাসে থাকা বাঙালিরাও মাছে ভাতে ফিরে যেতে চায়, খোঁজে একটুকরো ‘বাংলা’র স্বাদ।

সবশেষে বলা যায়, “মাছে ভাতে বাঙালি” শুধু একটি প্রবাদ নয়, এটি একটি জাতির আত্মপরিচয়, সংস্কৃতি, ও ভালোবাসার প্রতীক। যতই সময় এগিয়ে যাক, মাছ আর ভাত থাকবে চিরকাল বাঙালির হৃদয়ে, রসনায় ও ইতিহাসে। কারণ “মাছে ভাতে বাঙালি” এই একটি বাক্য যেন এক কবিতা, এক ছবি, এক জীবন। এতে আছে বাংলার আবহমান সংস্কৃতি, স্মৃতি, সুগন্ধ আর হৃদয়ছোঁয়া সহজতা। যতদিন বাংলা থাকবে, ততদিন বাঙালি তার ভাত-মাছকে ভালোবেসে যাবে- মা যেমন তার সন্তানের মুখে প্রথম গ্রাস তুলে দেন, তেমনি। এ এক প্রেম, যা কেবল পেটে নয়, প্রাণে বাজে।




মেহেরপুরের মুনজুর আলম ‘দ্য হান্টার’ এর বিজয়গাঁথা

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুরের গাড়াবাড়িয়া গ্রামের এক তরুণ আজ আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের পতাকা উঁচু করে ধরেছেন। জীবন শুরু করেছিলেন মাঠের ধুলো, নদীর জলের মধ্যে; আজ তার গায়ে বয়ে যায় চ্যাম্পিয়নের ঘাম। তিনি মুনজুর আলম, যিনি ‘দ্য হান্টার’ নামে পরিচিত একজন মার্শাল আর্ট যোদ্ধা।

মাত্র ২৪ বছর বয়সেই তিনি নিজেকে দক্ষিণ এশিয়ার মিক্সড মার্শাল আর্টস (এম এম এ) অঙ্গনের একজন উদীয়মান ফাইটার হিসেবে তুলে ধরেছেন। তার লড়াইয়ের দক্ষতা, মানসিক দৃঢ়তা ও দেশের প্রতি ভালোবাসা আজ অনেক তরুণের জন্য এক প্রেরণার নাম।

২০১৪ সালে ইউটিউবে কনর ম্যাকগ্রেগর, খাবিব নুরমাগোমেদভদের লড়াই দেখে মুগ্ধ হয়ে নিজেই শুরু করেন অনুশীলন। তখন কোনো প্রশিক্ষক ছিলেন না, বন্ধুরাই ছিল সঙ্গী। খেলার মাঠ, নদীর পাড়, বাড়ির উঠান, যেখানে সুযোগ পেতেন সেখানেই চলত ছায়া অনুশীলন।

স্কুল থেকে ফিরে বসে যেতেন ইউটিউবে প্রতিটি ঘুষি, প্রতিটি কৌশল তার ভেতরে আগুন জ্বালিয়ে দিত। বিকেলে বেরিয়ে পড়তেন বন্ধুদের নিয়ে প্র্যাকটিসে। তখনই বুঝেছিলেন এটাই তার ভবিষ্যৎ।

মুনজুরের পরিবার তখনও জানতো না, তাদের ছেলেটা আস্তে আস্তে হয়ে উঠছে একজন লড়াকু যোদ্ধা। বন্ধুদের পেলেই শুরু করতেন ছায়াযুদ্ধ। নদীতে গোসল, মাঠে খেলা, বাড়ির উঠানে অনুশীলন সবই ছিল তার রুটিনের অংশ।

পরবর্তীতে তার এই প্যাশনকে রূপ দিতে পাশে দাঁড়ান প্রশিক্ষক রাজন হালদার লিটন। এরপর শুরু হয় প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ। প্রথম ক্লাব ছিল ‘কেজ রিউ এম এম এ’, বর্তমানে তিনি যুক্ত আছেন ঢাকার ‘হাবিব’স এম এম এ একাডেমি’ তে।

মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই মুনজুর অংশ নিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতায়। আর জিতেছেন একের পর এক পদক ও স্বীকৃতি তার মধ্যে অন্যতম নকআউট নাইট আন্তর্জাতিক এম এম এ চ্যাম্পিয়নশিপ (২০১৮) স্বর্ণপদক, বুম আইপিএফএল ফাইট নাইট ১০ ও ১১ স্বর্ণপদক ,লাস্ট ম্যান স্ট্যান্ডিং ফাইট নাইট ২ স্বর্ণপদক, ওপেন এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপ রৌপ্যপদক, ডাবল হর্স নকআউট ০০১ ডব্লিউ এম সি টাইটেল ফাইট বিজয়ী।

সবচেয়ে সাম্প্রতিকভাবে, ‘ডাবল হর্স নকআউট ০০১’ এ ভারতের অভিজ্ঞ যোদ্ধা আজহারউদ্দীন সুধীরকে পরাজিত করে জাজদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে শিরোপা জিতেছেন তিনি।

মুনজুর বলেন, “আমার এই পথচলায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে আমার পরিবার। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাহস আর সমর্থন দিয়েছেন আমার ফুফু মোছাঃ নারগিস খাতুন। কেউ যখন বলতো ‘তুই কী করবি এসব দিয়ে’, তখন তিনি বলতেন তুই মন থেকে কর, আমরা আছি তোর পাশে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার বন্ধুদের কথাও না বললেই নয়। তারাই ছিল আমার প্রথম ফাইটিং পার্টনার। মাঠে, নদীতে, বাড়ির উঠানে, এমনকি স্কুল শেষে এক পাশে দাঁড়িয়ে আমরা প্র্যাকটিস করতাম। তারা যদি না থাকত, আমি হয়তো আজ এতদূর আসতে পারতাম না।”

মুনজুরের অনুপ্রেরণা এসেছিল কনর ম্যাকগ্রেগর, খাবিব নুরমাগোমেদভ এবং মোহাম্মদ আলীর মতো কিংবদন্তিদের কাছ থেকে। তবে এখন তার চোখ আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে।

“আমি চাই, একদিন বাংলাদেশের পতাকা আন্তর্জাতিক মঞ্চে উড়ুক। এটা সহজ নয়, কিন্তু অসম্ভবও নয়। একজন তরুণের ইচ্ছা যদি দৃঢ় হয়, সে পাহাড়ও সরাতে পারে।” বলেন মুনজুর।

মুনজুর আলমের স্বপ্ন একটাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া। শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য, মেহেরপুরের জন্য। তার চোখে ভাসে একটাই লক্ষ্য বাংলাদেশকে মার্শাল আর্ট দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত করা।

মেহেরপুরের একটি অজপাড়া গ্রাম গাড়াবাড়িয়া থেকে উঠে এসে আন্তর্জাতিক রিংয়ে লড়ছেন একজন তরুণ এটাই প্রমাণ করে, স্বপ্ন কখনও সীমাবদ্ধতার মধ্যে আটকে থাকে না।

মুনজুর আলম এখন শুধুই একজন ফাইটার নন তিনি একজন যুব অনুপ্রেরণা। তার লড়াই, তার সাহস, তার অদম্য মনোবল প্রতিটি তরুণকে শেখায় “তুমিও পারো!”

প্রথম কোচ রাজন হালদার লিটনের স্মৃতিতে এখনো ভাসে সেই শুরুর দিনগুলো। তিনি বলেন, “আমি যখন মুনজুরকে প্রথম দেখি, তখনই বুঝেছিলাম এই ছেলেটা একদিন কিছু করে দেখাবে। আমি শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত তার ওপর গর্ব করি।”

বর্তমান কোচ হাবিব পারভেজ বলেন, “কোনো সন্দেহ ছাড়াই মুনজুর আলম বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফাইটার। বাংলাদেশ এখন তাকে নিয়েই স্বপ্ন দেখতে পারে। আমরা আশা করি, তাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখতে পাব।”

মুনজুরের মা বলেন, “আমি অনেক খুশি আমার ছেলের এমন অর্জনের জন্য। তবে কখনো ভাবিনি, আমার ছেলেটা একদিন দেশের নাম উঁচু করবে। ছোটবেলায় পড়ালেখা না করে সারাদিন শুধু ঝাঁপাঝাঁপি করত। তখন বুঝিনি, ওর ভেতরে লুকিয়ে আছে এত বড় প্রতিভা। সকলে আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন, যেন আরও বড় হতে পারে।”

বন্ধু ও সহযোদ্ধা হুসাইন কবির বলেন, “সে এখন বাংলাদেশের সেরা ফাইটার, এবং আমি বিশ্বাস করি, সে-ই হবে প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আমাদের দেশ থেকে। সে শুধু আমার বন্ধু নয়, সে আমার অনুপ্রেরণা।”

ফুফু নারগিস আক্তার বলেন, “ছোটবেলা থেকেই মার্শাল আর্টে ভীষণ আগ্রহী ছিল মুনজুর। আমি বুঝেছিলাম, এই ছেলে একদিন অনেক দূর যাবে। আজ সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে এটা ভাবলেই চোখে পানি চলে আসে।”

দুই প্রজন্মের দুই কোচ, মা, ফুফু ও বন্ধুর মুখে উচ্চারিত একটিই নাম মুনজুর আলম। দেশের গর্ব হয়ে ওঠা এই তরুণের গল্প শুধু ক্রীড়ার নয়, এটা স্বপ্ন দেখা এবং তা অর্জনের এক অনন্য উদাহরণ।




হরিণাকুণ্ডুতে প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্ন হুবহু গাইড বই এর ফটোকপি

হরিণাকুণ্ডুর প্রিয়নাথ স্কুলের প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্রের সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনী প্রশ্ন হুবহু পাঞ্জেরী গাইডের মডেল টেস্ট থেকে ফটোকপি করে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

শুধুমাত্র প্রশ্নের উপরে স্কুলের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রশ্নেই গত ২৪ জুন মঙ্গলবার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা নেওয়া হয়। অথচ কথা ছিল শিক্ষক নিজেই প্রশ্ন করবেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট শিক্ষক করলেন হুবহু নকল।

এদিকে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ও যশোর শিক্ষা বোর্ডের নিদের্শনা মোতাবেক এ বৎসর প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা আগষ্ট মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলে জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তবে শিক্ষার্থীর উপকারের স্বার্থে বিশেষ নামে কেউ পরীক্ষা নিতে পারে তবে সেটা তারা নিজেরা প্রশ্ন প্রনয়ন করে নিবে কারও প্রশ্ন নকল কওে নয়।

কিন্তু প্রাক নির্বাচনীর নামে পরীক্ষা নেওয়া যাবেনা। যদি কোন স্কুল প্রাক নির্বাচনীর নামে পরীক্ষা নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হরিণাকুণ্ডুর প্রিয়নাথ স্কুলের প্রশ্ন প্রস্তুতকারী শিক্ষক সালাউদ্দীন বুলু জানান, প্রশ্ন করার জন্য একটি কম্পিউটারের দোকানে গিয়েছিলাম কিন্তু দোকানদার আমাকে বলে ছিলো আমার সময় নেই। তিন সেট প্রশ্ন করা আছে সেখান থেকে একটি সেট নেন। তখন আমি আমার পড়ানো অনুযায়ী একটি সেট পচ্ছন্দ করি। তারপর প্রশ্ন সেট করে স্কুলে জমা দিই। কিন্তু পরীক্ষার পর বিষয়টি জানতে পারি। পরবর্তীতে আর এমন হবে না বলে তিনি জানান। বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।

হরিণাকুণ্ডু প্রিয়নাথ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ হাসানুজ্জামান বাদল বলেন, আমি শিক্ষকদের সবসময় নিজে প্রশ্ন করার কথা বলি। তারপরও একজন শিক্ষক ভুল করে ফেলেছে। আমি কঠিন হস্তে দেখভাল করবো যাতে পরবর্তীতে আর এমন ঘটনা আর না ঘটে।

হরিণাকুন্ডু উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ডাকা হয়েছে। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি.এম তারিক-উজ-জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি খোজ খোবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।

ঝিনাইদহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো লুৎফর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীর উপকারের স্বার্থে বিশেষ নামে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। তবে কোন গাইড থেকে প্রশ্ন করা যাবেনা। এছাড়া সরকারী নিয়ম অনুযায়ী অথ্যাৎ যশোর বোর্ডের নিদের্শনা অনুযায়ী এ বৎসর প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা আগষ্ট মাসে হওয়ার কথা রয়েছে।

কিন্তু প্রাক নির্বাচনীর নামে পরীক্ষা নেওয়া যাবেনা। যদি কোন স্কুল প্রাক নির্বাচনীর নামে পরীক্ষা নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আরো জানান।




কোটচাঁদপুরে দুর্বৃত্তের বিষে পুড়ে গেল কৃষকের কচুর ক্ষেত

চাচা-ভাতিজির পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এক কৃষকের দেড় বিঘা জমির ইরি কচুর ফসল। ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর-সাবদারপুর সড়কের পাশের কুশকুড়ি মাঠে। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। এ বিষয়ে তিনি সোমবার কোটচাঁদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোটচাঁদপুর-সাবদারপুর সড়কের পাশে কুশকুড়ি মাঠে শাহজামাল খান নামের এক কৃষক বাবু খান ও তামিমা তৈয়বা খানের কাছ থেকে দুই বিঘা জমি কিনে কচুর চাষ করে আসছিলেন। ২৬-০৬-২৫ তারিখে তামিমা তৈয়বা খানের নির্দেশে জমিতে ঘাস পোড়ানো বিষ প্রয়োগ করা হয়, যার ফলে সব কচু গাছ পুড়ে যায়।

ভুক্তভোগী কৃষক শাহজামাল খান জানান, “আমি বাবু খান ও তার ভাতিজি তামিমা তৈয়বা খানের কাছ থেকে দুই বিঘা জমি কিনে দেড় বছর ধরে ভোগদখল করে আসছি। বর্তমানে সেখানে আমি ইরি কচুর চাষ করেছি। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে তামিমা তৈয়বা খান লেবার দিয়ে আমার জমিতে বিষ প্রয়োগ করান। এতে দেড় বিঘা জমির সব কচুর গাছ নষ্ট হয়ে গেছে।”

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “তাদের সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। তারা তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব আমার উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।”

প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুস সামাদ বলেন, “ঘটনার দিন আমি মাঠে কাজ করছিলাম। হঠাৎ দুপুরে ২/৩ জন পুরুষ ও একজন নারী স্প্রে মেশিন নিয়ে আসে এবং জমিতে স্প্রে করতে থাকে। তবে আমি তাদের নাম-পরিচয় জানি না।”

তামিমা তৈয়বা খান বলেন, “বাবু খান আমার চাচা। তিনি আমাদের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়েছিলেন। পরে জানতে পারি, তিনি তাঁর অংশের জমি মনিরুল ইসলাম খানের কাছে বিক্রি করে আমাদের অংশের জমিও দখলে দিয়েছেন। বিষয়টি আমি বর্তমান মালিকদের জানিয়ে জমি ছেড়ে দিতে বলেছি। কিন্তু তাঁরা জমি ছাড়েননি এবং চাষাবাদ অব্যাহত রেখেছেন। এ কারণে জমিতে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি শাহজামাল খানকে চিনি না, তার সঙ্গে আমার কোনো লেনদেন নেই। আমি কেবল মনিরুল ইসলাম খানকে চিনি।”

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, “ভুক্তভোগী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”




মেহেরপুরে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মেহেরপুরে স্ত্রীকে হত্যার মামলায় স্বামী সেন্টু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নাছিম রেজা এই দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডিত সেন্টু মিয়া মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার আকুবপুর বাজারপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৫ জুন তিনি তার স্ত্রী সাগরিকাকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালান। পরে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয় এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০২/২০১ ধারায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যে সেন্টু মিয়া দোষী সাব্যস্ত হলে, বিজ্ঞ বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন।

মামলায় সরকারি পক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাইদুর রাজ্জাক এবং আসামিপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রন্টু।




ঝিনাইদহে কিশোরী ধর্ষনের অভিযোগ, ধর্ষক গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহ সদরের উত্তর সমশপুর গ্রামে ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হলে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে ঘটনার পর প্রতিবেশী অভিযুক্ত ধর্ষক তানভীর হোসেন ওরফে সোহেল মন্ডল (৩১) কে ওই গ্রামের একটি দোকান থেকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রাত ১ টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় সোহেল মন্ডল কে আসামী করে ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন।

জানা যায়, রোববার দুপুরে ১২ বছর বয়সী ওই কিশোরী প্রতিবেশী সোহেল মন্ডলের বাড়িতে যায়। সেসময় সোহেল তার শিশু সন্তানকে কোলে নেওয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষন করে। এরপর বাড়ি ফিরে আসলে সন্ধ্যায় কিশোরীর শারীরিক যন্ত্রণা শুরু হয়। তখন সে তার মা’কে বিষয়টি জানায়। এরপরই বিষয় টি জানাজানি হয়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, থানায় মামলার পর অভিযুক্ত আসামী সোহেল মন্ডলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানায়, তার মেয়ে লেখাপড়া করেনা। বাড়িতেই বেশী সময় থাকে। মাঝে মধ্যে প্রতিবেশী সোহেল মন্ডল এর বাড়িতে যায়, তার ছোট শিশুকে কোলে নেয়। রবিবারও তাদের বাড়িতে যায়। তখন সোহেল বাচ্চা কে কোলে নেওয়ার কথা বলে ঘরে ডেকে নিয়ে এই পাশবিক নির্যাতন করে। প্রশাসন যেন সঠিক তদন্ত করে এর সঠিক বিচার করে।




ঝিনাইদহে ক্রিড়া প্রশিক্ষণের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী

ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৪-২৫ এর আওতায় জেলা ক্রীড়া অফিস ঝিনাইদহের আয়োজনে অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল, সাঁতার ও অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান ও সাঁতার প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল জেলা শহরের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে এ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ক্রীড়া অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায়। সেসময় অঙ্কুর নাট্য একাডেমির পরিচালক নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস, সাঁতার প্রশিক্ষণের কোচ তরিকুল ইসলামসহ অন্যান্য ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে দুর্নীতি বিরোধী বাইসাইকেল র‌্যালী

দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বাড়াতে ঝিনাইদহে সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের আজাদ রেস্ট হাউজের সামনে থেকে ইয়েস গ্রুপের আয়োজনে এক র‌্যালী বের করা হয়।

র‌্যালিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। র‌্যালীটি শহরের পায়রা চত্বর হয়ে, হামদহ ঘুরে, আরাপপুর হয়ে পোস্ট অফিসে মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সনাকের সভাপতি এম সাইফুল মাবুদ। সেসময় উপস্থিত ছিলেন সনাকের সদস্য এন এম শাহজালাল, নাসরিন ইসলামসহ অন্যান্যরা।

আয়োজকরা আশা করেন, এই সাইকেল র‌্যালির মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং সবাই মিলে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে একসঙ্গে কাজ করবে।




সংশোধণী

গত ২৭ জুন শুক্রবার ভোরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জাফর আলীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী। তার বাড়ির আঙ্গিনা সংলগ্ন পরিত্যক্ত ঘর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও ৩টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।

গাংনী সেনা ক্যাম্প সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এলাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা জাফর আলীর বাড়িতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বাড়ির ভিতরে ও বাইরে সম্পূর্ণ তল্লাশি করা হয়। এসময় বাড়ির আঙ্গিনা সংলগ্ন পরিত্যক্ত ঘর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৩টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে সন্দেহভাজন হিসেবে জাফর আলীকে আটক করে গাংনী সেনাক্যাম্পে নেয়া হয় এবং পিস্তলের প্রকৃত মালিকানা যাচাইয়ের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বিদেশী পিস্তল, ম্যাগজিন ও তিনটি ককটেলসহ গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পরে রাতে জাফর আলীর বড় ভাইয়ের মুচলেকায় পুলিশ তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়।

প্রসঙ্গত: গত ২৭ জুন মেহেরপুর প্রতিদিন অনলাইনে এবং ২৮ জুন ছাপা পত্রিকায় সেনাবাহিনীর নির্দেশে জাফর আলীকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে সংবাদ প্রকাশ হয়। অথচ তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে সেনাবাহিনীর কোন নির্দেশনা ছিলনা। যা ভুলবোঝাবুঝির একটা অংশ ছিলো।