দুই মাস ধরে পানিবন্দী শতাধিক পরিবার

মেহেরপুরে চলতি বর্ষায় অতিবৃষ্টিতে পানির নিচে ডুবে গেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রাম। প্রায় দুই মাস ধরে জলাবদ্ধতায় বন্দী হয়ে পড়েছেন এই গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার। ভুক্তভোগীদের দাবী পানি নিস্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও কালভার্ট নির্মাণের। এতোদিন খোজ না নিলেও ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন আশ্বাস দিয়েছেন অল্পদিনের মধ্যে বিষয়টি সূরাহা করা হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির চুলা, টয়লেট এমনকি পানির একমাত্র উৎস টিউবওয়েল পর্যন্ত পানির নিচে। রান্না করতে না পেরে কেউ কেউ শুকনো খাবারেই কাটাচ্ছেন দিন। অনেকে আবার বাধ্য হয়ে চলে গেছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। এসব পরিবারের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে শিশুদের। রাস্তা পানির নিচে থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এখন আর বেরোতে পারে না। স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেমে এসেছে আশঙ্কাজনক হারে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সীমান্তবর্তী রাস্তায় কোনো কোনো কালভার্ট না থাকা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি বের হওয়ার পথ নেই।

দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকায় চর্মরোগসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশু। দ্রুত পানি নিস্কাশনের উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এদিকে পানির দুর্গন্ধে মশা মাছির উপদ্রব বেড়েছে কাজিপুর মিলেটারি পাড়ায়। পানিতে চলাচল করে অনেকের পায়ে দেখা দিয়েছে চর্মরোগ। তবে এখনও পানিবন্দী মানুষের পাশে দাড়াইনি সরকারি-বেসরকারি কেউ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কেউ তাদেও খোজখর না নেয়ায় হতাশ ভুক্তভোগীরা। তবে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের দাবী করেন পানিবন্দী পারিবারগুলি।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, ইউনিয়ন পরিস্থিতি সমন্ধে পর্যবেক্ষণ করেছি। ইউএনও’র সাথে পরামর্শ করে এই জনদূর্ভোগ লাঘবে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহা: আলম হুসাইন বলেন, বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করেছি। খুব দ্রুতই একটি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণের পরিকল্পনা আছে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, আমি মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রতিবেদকের কাছ থেকে পানিবন্দীর বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত কাজিপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখে এসেছি। অনেক পরিবারই এখনও পানিবন্দী। দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে।




দামুড়হুদায় পূর্ব শত্রুতার জেরে দেড় বিঘা জমির ফলন্ত পেঁপে গাছ কর্তন 

দামুড়হুদা উপজেলার কোষাঘাটা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাতের আধারে দেড় বিঘা জমির ফলন্ত পেঁপে গাছ কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় জাফর ইকবল মিল্টন বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

গত মঙ্গলবার রাতের আধারে কোষাঘাটা জিয়াখালির মাঠে দেড় বিঘা জমির পেঁপে গাছ কেটে দেয়। সরেজমিনে গিয়ে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার কোষাঘাটা গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে জাফর ইকবাল ওরফে মিলটনের জিয়াখালী নামক মাঠে দেড় বিঘা জমি রয়েছে। উক্ত জমিতে চাষকৃত ফলন্ত পেঁপে গাছ কেটে দেই শত্রুতামূলক। সকালে মিল্টন পেপের জমিতে গিয়ে দেখে সব পেঁপে গাছ কাটা। এমতাবস্থায় দিশে মিশে না পেয়ে জাফর ইকবল বাদি হয়ে কোষাঘাটা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন, ইয়াছনবি মন্ডল এর ছেলে আবুল কাসেম মন্ডল, আবুল কাশেমের ছেলে পারভেজ হোসেন ও নবীছদ্দীনের ছেলে দেলোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাত ১০ জনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

জাফর ইকবল মিল্টন বলেন, উল্লেখিত ব্যক্তিদের সাথে আমাদের বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। উক্ত বিরোধের কারণে কিছুদিন যাবৎ তারা আমার ও আমার পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিয়া আসিতেছিল। ইতিপূর্বে তারা আমাদের বলেছিল সময় মত তাহারা আমাদের জমির ও জমিতে থাকা ফসলের ব্যবস্থা করে দিবে। গত ৬০ বছর যাবৎ উক্ত জমিতে আমরা চাষাবাদ করে ভোগ দখল করে আসছি।

বর্তমানে ঐ জমিতে পেঁপে গাছ লাগানো আছে। আমরা অনেক কষ্ট করে আমাদের জমিতে পেঁপে চাষ করেছিলাম। আমাদের জমিতে বর্তমানে পেঁপে গাছে ফল ভরপুর অবস্থায় ছিল। উল্লেখীত ব্যক্তিরা বিরোধের জের ধরে তাহাদের পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া ও দা নিয়ে সজ্জিত হইয়া আমার পেঁপে গাছ কেটে দিয়েছে। ফলসহ পেঁপে গাছ আমার আনুমানিক সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমি এই ক্ষতির বিচার চাই।

দামুড়হুদা মডেল থানার এস আই রাসেদ বলেন, পেপে গাছ কাটা মর্মে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




আলমডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

আলমডাঙ্গায় ভোররাতে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক হেলপারের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক ডিগ্রী কলেজের সামনে গতকাল বুধবার ভোরে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের সহকারী চালক (হেলপার) সোহেল (২৬) ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন। গতকাল বুধবার ভোর রাত প্রায় ৪টার দিকে দ্রুতগতিতে ছুটে চলা একটি বালি বোঝাই ট্রাক গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গেলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোররাতে এলাকার মানুষ ঘুমে আচ্ছন্ন থাকাকালীন হঠাৎ প্রচণ্ড বিকট শব্দ শোনা যায়। শব্দ শুনে আশপাশের বাসিন্দারা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখতে পান, ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৪০০২ নম্বরের ট্রাকটি রাস্তার পাশে বড়সড় গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে পড়ে আছে। চালকের আসনে আটকে থাকা একজনকে অচেতন অবস্থায় দেখা যায়। প্রথমে ধারণা করা হয় তিনি চালক, কিন্তু পরে জানা যায় তিনি ট্রাকের হেলপার সোহেল। স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করেও তাকে ট্রাক থেকে বের করতে ব্যর্থ হন।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে গাড়ির ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করে। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা গিয়েছিলেন। পরে লাশ আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, নিহত সোহেল ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার তালশার গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দিয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কে দীর্ঘদিন ধরেই অতিরিক্ত গতিতে বালি ও পাথর বোঝাই ট্রাক চলাচল করছে। এসব গাড়ির বেশিরভাগই রাতে ও ভোরে বেপরোয়া গতিতে চলে, ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণ ও আইন প্রয়োগ কার্যকরভাবে না হওয়ায় প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। তারা অবিলম্বে এই সড়কে গতিসীমা নির্ধারণ, নিয়মিত ট্রাফিক টহল এবং ওভারলোড ও অতিরিক্ত গতি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত সোহেলের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তরুণ এই হেলপারের অকাল মৃত্যুতে তার গ্রামের মানুষও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।




মেহেরপুরে ব্র্যাকের কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন ইউএনও

মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম ব্র্যাকের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। গতকাল বুধবার সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা বাজার এলাকায় ব্র্যাকের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় প্রায় ৪০ জন অংশগ্রহণকারীর সাথে মতবিনিময় করে তিনি টিবি, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি বাল্যবিবাহ, মাদক, মোবাইল ফোনের অপব্যবহার ও সড়ক নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা করেন। বিশেষভাবে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে কফ পরীক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।

পরিদর্শন শেষে ইউএনও খায়রুল ইসলাম ব্র্যাকের রিডিং গ্লাস কর্মসূচি ও মেহেরপুর সদর এরিয়া অফিস ঘুরে দেখেন। তিনি ব্র্যাকের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি ও এর সাফল্য সম্পর্কে অবহিত হয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক শেখ মনিরুল হুদা, আরএম (দাবি) নাজমুল হুসাইন, এরিয়া ম্যানেজার (দাবি) নুরুন্নাহার পান্না, এরিয়া ম্যানেজার (প্রগতি) মোঃ আইয়ুব আলী, উপজেলা একাউন্টস ম্যানেজার সমীর কুমার বিশ্বাস, ডিএম (টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রাম) অচিন্ত কুমার বোসসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।




মুজিবনগরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তারুণ্যের উৎসব ফুটবল টুর্নামেন্টে বাগোয়ান চ্যাম্পিয়ন

মুজিবনগরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তারুণ্যের উৎসব ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে দারিয়াপুর ফুটবল খেলার মাঠে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইনাল খেলায় একদিকে অংশগ্রহণ করেন বাগোয়ান  ইউনিয়ন একাদশ এবং অন্য দিকে অংশগ্রহণ করে মহাজনপুর ইউনিয়ন একাদশ। প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ খেলায় বাগোয়ান ইউনিয়ন একাদশ ৩-১ গোলে মহাজনপুর ইউনিয়ন একাদশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বিজয় দলের জিহাদ, মিনারুল শেখ ও অমিত একটি করে গোল করেন অপরদিকে পরাজিত দলের রিফাত ১ টি গোল পরিশোধ করেন।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডলের সভাপতিত্বে, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তারুণ্যের উৎসব ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা উপভোগ করেন এবং পুরস্কার বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুস সাদাত রত্ন,  মুজিবনগর থানার তদন্ত অফিসার জাকির হোসেন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক রকিব উদ্দিন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার হাসনাইন জাহিদ, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য জহিরুল ইসলাম, হাসান মোস্তাফিজুর রহমান।

খেলাটি পরিচালনা করেন, গাংনী থেকে আগত রেফারি মাহবুব হোসেন। সহকারী হিসাবে ছিলেন, টুটুল এবং পারভেজ। খেলার ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছিলেন, শাহার আলী ও শামিম শিশির। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন মহাজনপুর ইউনিয়ন একাদশের খেলোয়াড় রিফাত, ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন বাগোয়ান ইউনিয়ন একাদশের খেলোয়াড় জিহাদ এবং সেরা গোলকিপারের পুরস্কার পেয়েছেন বাগোয়ান ইউনিয়ন একাদশের গোলকিপার প্রিতম।

উল্লেখ্য যে মাদক, নেশা ও জুয়া মুক্ত যুব সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে এবং যুবকদের খেলামুখী করতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই করার উদ্দেশ্যে প্রত্যেকটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ড পর্যায়ে থেকে বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রত্যেক ইউনিয়নে ২টি করে টিম গঠন করা হয়।

উপজেলা পর্যায়ের খেলায় নকআউট পর্যায়ে চারটি ইউনিয়নের আটটি দল অংশগ্রহণ করে। ইউনিয়ন পর্যায়ের আটটি দল থেকে খেলোয়াড় বাছাই করে পরবর্তীতে উপজেলা টিম গঠন করা হবে।




মেহেরপুরে জেলা বিএনপির ৩১ দফা দাবিতে গণসংযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বিএনপির ৩১ দফা দাবির প্রচারে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পরিচালিত হয়।

এ সময় তিনি বুড়িপোতা ইউনিয়নের হরিরামপুর, ইছাখালী ও ঝাঁঝা গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের হাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট তুলে দেন এবং মতবিনিময় করেন।

গণসংযোগকালে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, “নির্বাচন নিয়ে এনসিপির নেতা বলেছেন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না। বর্তমান সরকার নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করতে পারে। তাই আমাদের সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

গণসংযোগে জেলা বিএনপির সদস্য আনহারুল হক, হাফিজুর রহমান হাফী, মীর ফারুক, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিব, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন, আমদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সদর থানা যুবদল সভাপতি হাসিবুজ্জামান স্বপনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

বিএনপি নেতারা জানান, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে এভাবে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ চালিয়ে জনগণকে ৩১ দফা দাবির বিষয়ে অবহিত করা হবে।




চুয়াডাঙ্গায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাড়ে ১০ বছর পর আত্মসমর্পণ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনার সাইদুর রহমান সাবদার নামের এক ব্যক্তি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা থেকে বাঁচতে সাড়ে ১০ বছর পালাতক থাকার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। বিকালে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পালাতক সাইদুর রহমান সাবদার চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণচাঁদপুর পাড়ার আহসান আলী আসানের ছেলে।

জানা যায়, ২০০৮ সালের ১১ ডিসেম্বর দুপুরে দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণচাঁদপুর গ্রামের নাসিরকে একই এলাকার মনির ডেকে নিয়ে যায় কুড়িরমাঠের খেজুর বাগানে। বেশ কিছুদিন ধরে সাইদুর রহমান সাবদার গ্রুপের সাথে জোয়ার বোর্ডের টাকা তোলা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে সাইদুরসহ ৮-১০ জন মিলে নাসিরকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ বিপ্লব গোস্বামী ৪ জন আসামির মধ্যে ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অন্য দুইজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার পর থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাইদুর রহমান সাবদার পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে ১০ বছর পর সাইদুর চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ আল-আমিন মাতুব্বরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।




পাকিস্তানের ব্যর্থতায় বিশ্বকাপ নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ

গত মে মাসে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক জয়ে আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে নবম স্থানে উঠেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

কিন্তু গতকাল ১২ আগস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পাকিস্তানের সিরিজ হারে বিপদে পড়েছে টাইগাররা। গতকাল পাকিস্তানকে ৯২ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ২০২ রানের জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় উইন্ডিজ।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ বছর পর সিরিজ জয়ে ক্যারিবীয়দের র‌্যাংকিংয়ে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। ১০ নম্বরে নেমে গেছে বাংলাদেশ। যে কারণে ২০২৭ সালে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে টাইগাররা।

২০২৭ সালের বিশ্বকাপে ১৪টি দল অংশ নেবে। র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষ ৮ দল এবং আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে স্বাগতিক কোটায় সরাসরি সুযোগ পাবে। বর্তমানে প্রোটিয়ারা র‌্যাংকিংয়ে ছয়ে থাকায় বাংলাদেশ ৯ নম্বরে থাকলেও সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে পারত। কিন্তু এখন ১০ নম্বরে নেমে যাওয়ায় সেই সুযোগ হারিয়েছে।

সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার জন্য ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ র‌্যাংকিং বিবেচনা করা হবে। র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি করতে বাংলাদেশ পাচ্ছে ২৬টি ওয়ানডে ম্যাচ। এর মধ্যে ১১টি এমন দলের বিপক্ষে, যারা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে। এসব ম্যাচে জিতলে র‌্যাংকিং উন্নতি হবে সামান্য, কিন্তু হারলে ক্ষতি হবে অনেক।

গত কয়েক বছরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ধারাবাহিক নয়। তামিম ইকবালের অধীনে দুই বছর আগে ৩৫ ম্যাচে ২১ জয় পাওয়া দলটি শেষ দুই বছরে ৩৪ ম্যাচে জিতেছে মাত্র ৯টি।

নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ; দলকে আবার প্রতিযোগিতামূলক জায়গায় ফিরিয়ে আনতে না পারলে বিশ্বকাপে বাছাইপর্বে খেলতে হবে বাংলাদেশকে।

সূত্র: যুগান্তর ।




কোটচাঁদপুরে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উদ্বোধন

পরিকল্পিত বনায়ন করি,সবুজ বাংলাদেশ গড়ি এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝিনাদইদহের কোটচাঁদপুরে পাঁচ দিন ব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও সামাজিক বন বিভাগের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়। আগামী ১৭ আগস্ট মেলা শেষ হবে।

আজ বুধবার সকালে কোটচাঁদপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে এই মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলাম।

এই মেলায় উপজেলা প্রশাসন ও সামাজিক বন বিভাগের আয়োজনে সরকারি বেসরকারি ১৭টি নার্সারি স্টল প্রদর্শন করেছেন।এর আগে মেলা স্থল থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালী বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা সহকারী বন সংরক্ষক খোন্দঃ গিয়াস উদ্দিন , কোটচাঁদপুর সামাজিক বন কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদ ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম,একাডেমি সুপারভাইজার ফারুখ হোসেন,তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা।

মেলায় উপজেলার বিভিন্ন নার্সারি উদ্যোক্তারা বাহারি ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা প্রদর্শন করেন। এ ছাড়া ছাদবাগানে রোপণ উপযোগী গাছ-গাছালির পসরা সাজিয়েছেন নার্সারি উদ্যোক্তারা।

সুলভ মূল্যে বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিক্রয় করা হবে স্টলগুলোতে।




ট্রাইব্যুনালে কেঁদে হাসিনা কাদেরের বিচার চাইলেন ইয়াকুবের মা

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের মতো চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ।

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এদিন দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে সাক্ষীর ডায়াসে ওঠেন শহীদ মো. ইয়াকুবের মা রহিমা আক্তার। নিজের পরিচয় দিয়ে তিনি চানখারপুলের ঘটনা নিয়ে জবানবন্দি দেন। ছেলের মৃত্যুর বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই মা।

একপর্যায়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠেই ছেলে ইয়াকুব হত্যার জন্য দায়ী করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চপদস্থদের। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নাম উল্লেখ করে বিচার চান।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদসহ অন্যান্যরা।

এর আগে, ১২ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। ওই দিন দুই নম্বর সাক্ষী হিসেবে চানখারপুলের ঘটনা নিয়ে জবানবন্দি দেন আঞ্জুয়ারা ইয়াসমিন। তিনি একটি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। এছাড়া ছেলের হত্যার বিচার চেয়ে তৃতীয় সাক্ষীর জবানবন্দি দেন শেখ জামাল হাসান।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুজনকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এর মধ্যে আরশাদের পক্ষে জেরা করেন আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন অভি। সুজন ও নাসিরুলের পক্ষে জেরা করেন আইনজীবী আবুল হাসান ও ইমাজ হোসেন ইমনের পক্ষে আইনজীবী মো. জিয়াউর রশিদ জেরা করেন। সবশেষ পলাতক চার আসামির পক্ষে সাক্ষী পলাশকে জেরা করেনরাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী কুতুবউদ্দিন আহমেদ।

গত ১১ আগস্ট প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। এদিন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সূচনা বক্তব্য শেষে মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন শহিদ আনাসের বাবা সাহরিয়ার খান পলাশ। সাক্ষী হয়েই নিজের ছেলেসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অন্যান্য নিহত-আহতদের জন্য দায়ীদের ফাঁসি চেয়েছেন তিনি।

এদিকে, আজও কারাগার থেকে এ মামলার চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। তারা হলেন- শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশেদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।

এর আগে, ১৪ জুলাই চানখারপুলের মামলাটির পলাতক চার আসামিসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

গত ৩ জুলাই এ মামলার অভিযোগ গঠন নিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়। সেদিন আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিফাত মাহমুদ শুভ। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম।

এছাড়া পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজন। বাকিরা হলেন- ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।

গত ২৯ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়। তবে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন শুনানির জন্য সময় চান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

গত ৩ জুন পলাতক চার পুলিশ কর্মকর্তাকে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ২৫ মে এ মামলায় আট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই দিন পলাতক চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালায় পুলিশ। এতে বহু হতাহতের ঘটনার পাশাপাশি শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।

সূত্র: যগান্তর ।