অ্যাড. সাকিল আহমাদের সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ লাভ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কৃতিসন্তান অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।

সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ, সলিসিটর অনুবিভাগের জিপি ও পিপি শাখা থেকে গত ৭ জুলাই সোমবার সানা মো. মাহরুফ হুসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

সাকিল আহমাদ গাংনী উপজেলার বড়বামন্দী গ্রামের রুহুল আমীনের একমাত্র ছেলে।

তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সাকিল আহমাদ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত।

সম্প্রতি তিনি গাংনী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে, অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় গাংনীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।




অভিমান আর ভাঙা স্বপ্ন তাড়িত করছে আত্মহত্যাচেষ্টাকারীদের

‘মনে হতো, আমি না থাকলেই সবাই শান্তিতে থাকবে’ কিছুটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে কথাটা বললেন মুজিবনগরের গৃহিণী রুমানা আক্তার (ছদ্মনাম)। বয়স পঞ্চাশ, দুই সন্তানের মা। এক সময়ের প্রাণবন্ত, হাসিখুশি মানুষটা আজও ভয়ে কাঁপেন সেই দিনের স্মৃতিতে, যেদিন তিনি ছাদ থেকে লাফ দিতে চেয়েছিলেন।

রুমানার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে প্রায় এক যুগ আগে। শরীরে ক্লান্তি, মন বিষণ্ন, বিছানা ছেড়ে উঠতে পারতেন না। চোখের সামনে ঝাপসা হয়ে যেত সবকিছু। শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রথমে ভেবেছিলেন, সন্তানদের সামলানো ও কাজের অতিরিক্ত চাপের কারণে এমন হচ্ছে। একদিন হঠাৎ আবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। তখনই ঢাকায় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে, তিনি হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত। শরীরের থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি এমনভাবে মন-মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে যে মানুষ ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়ে।

এরপর শুরু হয় চিকিৎসা, থেরাপি আর কাউন্সেলিং। তবুও রুমানা আরও তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন-কখনো ঘুমের ওষুধ খেয়ে, কখনো কীটনাশক পান করে। তবে ভাগ্যক্রমে, প্রতিবারই বেঁচে গেছেন তিনি।

রুমানা যোগ করেন, ‘মাঝেমধ্যে মনে হতো, আমি এই সংসারে একটা বোঝা। কেউ বুঝে না আমি ভিতরে কতটা কষ্ট পাই।’

অন্যদিকে, ১৮ বছরের এক তরুণ মিল্টনের জীবনেও ঘটেছিল একইরকম কিছু। প্রায় এক যুগ আগে মেহেরপুর সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি। বন্ধুদের সবার ছিল মোটরসাইকেল। কিন্তু কৃষক বাবার পক্ষে তা কেনা সম্ভব ছিল না। অভিমানে একদিন কীটনাশক খেয়ে ফেললেন। তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে ফিরে আসেন সুস্থ জীবনে। এরপর তার বাবা জমি বন্ধক রেখে কিনে দেন ছেলের স্বপ্নের বাইক।

মিল্টন বলেন, ‘সেদিন বেঁচে গিয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু একটা অপরাধবোধ আমাকে ভেতরে খেয়ে ফেলত। এখন আমার ছেলে যখন মোবাইলের জন্য জেদ করে, আমি ভয় পাই। মনে পড়ে, আমি একদিন বাইকের জন্য মরতে চেয়েছিলাম।’

মেহেরপুরে এমন গল্প এক-দুইটা নয়। কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে কালবেলার সাথে কথা বলেন, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘শিক্ষা ক্ষেত্রের পরিবেশ আনন্দময় করতে হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম জীবনের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলছে। চাকরির অনিশ্চয়তা, পরিবারের চাহিদা, সমাজের চাপ সব কিছু একসাথে ভর করছে ওদের কাঁধে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আজাদ খান কালবেলাকে বলেন, ‘আত্মহত্যা একক কোনো সমস্যার ফল নয়। এটা মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানা সংকটের মিশ্রণ। কেউ মরতে চায় না। মানুষ বাঁচতে চায়, কিন্তু হয়তো আর পারে না। আত্মহত্যার আগে মানুষ অনেক সময় সংকেত দেয়। আচরণ বদলায়, চুপ হয়ে যায়, প্রিয় জিনিস কাউকে দিয়ে দেয়। আমরা যদি সময়মতো সংকেতগুলো বুঝতে পারি, তবে হয়তো অনেক মৃত্যু হয়তো ঠেকানো সম্ভব হবে।’

মেহেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা কিছু স্কুলে কাউন্সেলিং চালু করেছি। কিন্তু শুধু প্রশাসন দিয়ে এটা ঠেকানো সম্ভব নয়। পরিবার, মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

এই জেলায় প্রতিটি আত্মহত্যা যেন একেকটি নীরব আর্তনাদ। যে আর্তনাদ আমরা অনেকেই শুনি না, বুঝি না বা বুঝতে চাই না। অথচ একটু সাহচর‌্য, একটু বোঝাপড়া, একটা ভালোবাসার স্পর্শ হয়তো কাউকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। প্রয়োজন সহানুভূতি, সচেতনতা আর সাহস নিয়ে পাশে দাঁড়ানো।




মেহেরপুরে একটি বাঁশের ঠেকায় শতাব্দী প্রাচীন খগেন বাবুর দোকান

মেহেরপুর জেলা শহরের বড় বাজারের চাঁদনি মার্কেটে দাঁড়িয়ে আছে এক শতাব্দী প্রাচীন একটি দোকান। নামের চেয়ে তার পরিচয় যেন আরও বড়- কারণ এই দোকান শুধু কেনা-বেচার স্থান নয়, বরং এটি সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা এক টুকরো ইতিহাস। ১৯১১ সালে শুরু, এখনো বহাল তবিয়তে বংশ পরম্পরা দোকানটি টিকে আছে সুনামের সাথে।

এই দোকানের সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো একটি বাঁশ, যা প্রতিষ্ঠার সময় দোকানের মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত ঠেকা দিয়ে বসানো হয়েছিল কিছু সামগ্রি দৃশ্যমান করতে। এই বাঁশে ঝুলিয়ে রাখা হতো নানা রকম পণ্য ঝুড়ি, প্যাকেট, ওষুধ, থলে ইত্যাদি। শত বছর পার হয়ে গেলেও বাঁশটি আজও মজবুত, অক্ষত এবং ব্যবহৃত।

এই বাঁশটি এখন কেবল একটি কাঠামো নয়, বরং পরিবারের ঐতিহ্যের প্রতীক। স্থানীয় অনেকেই বলেন, “দোকানটা দেখে বোঝা যায় সময় কত বদলেছে, কিন্তু এই বাঁশ যেন আজও ১৯১১ তেই আছে!”

এই একটি বাঁশ মনে করিয়ে দেয়, ইতিহাস কেবল পাথরে লেখা থাকে না, কখনও কখনও তা ঠাঁই নেই কাঠ, বাঁশ কিম্বা মানুষের হাতে গড়া কোন জায়গায়। মেহেরপুরের এই দোকান ঠিক তেমনই যেখানে বাঁশের ভিতর গাঁথা আছে শত বছরের গর্ব, শ্রম, আর উত্তরাধিকারের গল্প। জেলার কবিরাজির সাথে জড়িতদের এই প্রতিষ্ঠানই একমাত্র ভরসা। এখানেই পাওয়া যায় ভেষজ সামগ্রি।

এই দোকানটির শুরু হয়েছিল ১৯১১ সালে, নিবারণ চন্দ্র চন্দ্র নামের এক ব্যবসায়ীর হাতে। ভেষজ (বানিয়াতি) ওষুধ, দশকর্মা আর মুদি মালামাল বিক্রির মাধ্যমে। তিনি এলাকাবাসীর আস্থা অর্জন করেন অল্প সময়েই। তাঁর মৃত্যুর পর দুই পুত্র খগেন্দ্র নাথ চন্দ্র ও কমল চন্দ্র চন্দ্র ব্যবসা পরিচালনা শুরু করেন।

ওই দুই ভাইয়ের মৃত্যুর পর খগেন চন্দ্রর ছেলে প্রদীপ চন্দ্র ও কমল চন্দ্রর ছেলে সাধন চন্দ্র‘র মধ্যে দোকান ভাগ হয় শুধু কাঠামো, ঐতিহ্য নয়। দুইটি দোকানই আজও সমান সম্মানে টিকে আছে। বাঁশটি প্রসঙ্গে প্রদীপ চন্দ্র বলেন- এই বাঁশ ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের খুঁজে পায়।




রেস্ট হাউসে ধরাপড়া মহেশপুর থানার সেই ওসি প্রত্যাহার

স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীকে নিয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) রেস্ট হাউসে অবস্থান, পরে ছাত্রদল নেতাদের হাতে ধরা পড়ার ঘটনায় ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ।

প্রত্যক্ষ দর্শীদের নিকট থেকে জানা যায়, গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় যশোর পাউবোর পুরাতন রেস্ট হাউসের ‘কপোতাক্ষ’ কক্ষে ওঠেন ওসি সাইফুল ইসলাম। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করেন তিনি। খবর পেয়ে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসান সনি দলবল নিয়ে সেখানে যান। রেস্ট হাউসের দরজায় ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে ওসি সাইফুল বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদল নেতারা তাকে টেনেহিঁচড়ে আবার কক্ষে নিয়ে যান। এ সময় সেখানে বাকবিতন্ডা, ধস্তাধস্তি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এর পরপরই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ওসি সাইফুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়।

রেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার মিজানুর রহমান জানান, ‘ওসি সাইফুল নিজেই এসে স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীকে নিয়ে কক্ষ নেন। পরে কিছু লোক এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেন এবং ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।

তবে ওসি সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, কোনো অনৈতিক কিছু ঘটেনি। তিনি ব্যক্তিগত কাজে যশোরে এসেছিলেন এবং নারী বন্ধুটিকে সঙ্গে নিয়ে রেস্ট হাউসে অবস্থান করছিলেন। তার ভাষায়, ‘কিছু ছাত্রনেতা এসে স্বাভাবিক কথাবার্তা বলে চলে যান।’ ঘটনাটি ‘অপপ্রচার’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনায় মহেশপুরসহ পুরো জেলাজুড়ে চলছে নানা গুঞ্জন। পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইমরান জাকারিয়া বলেন, ‘ঘটনার পরপরই গত রোববার রাতে ওসি সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




দর্শনায় পৌর বিএনপি’র ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ

দর্শনায় পৌর বিএনপি’র সমন্বয়ক কমিটির সদস্য মশিউর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় দর্শনা পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী সাবেক পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম খোকনের দোকানের সামনে থেকে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি এ লিফলেট বিতরণ শুরু করেন। দর্শনা পুরাতন বাজার এলাকা থেকে রামনগর পর্যন্ত দর্শনা মুজিব নগর সড়কের পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পথচারীদের মধ্যে ৩১ দফা সম্বলিত বিতরণ করেন।

এ লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাবেক পৌর মেয়র মহিদুল ইসলাম। লিফলেট বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সমন্বয়ক কমিটির সদস্য প্রভাষক মশিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রধান তারেক জিয়ার নেত্রীত্বে আগামীতে ৩১ দফা বাস্তবায়নসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুণঃপ্রতিষ্ঠা ও অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে একটি দেশের মানুষের জন্য কৃষি উন্নয়ন, তথ্য ও প্রযুক্তি, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দেশের শাসন ব্যবস্থার উন্নয়নসহ নানা মুখী কার্যক্রমসহ ৩১ দফা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আগামীতে কাজ করবেন বলে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।

এজন্য ধানের শীষ প্রতিকে ভোট দিয়ে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম খোকন ও হাজী খন্দকার শওকত আলীসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।




দর্শনায় পবিত্র আশুরা উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

দর্শনার বিভিন্ন স্থানে পবিত্র আশুরা পালিত হয়েছে। গত রবিবার দর্শনা পৌর এলাকায় পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ছিন্নি বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে প্রতিবছর দর্শনা চটকাতলা ছিয়া মুসলিমরা তাজিয়া উত্তোলন করলেও এবারের আশুরায় তাজিয়া উত্তোলন করেননী।

এ বিয়ষ জানতে চাইলে মিষ্টার ও মনজুর জানান, এ বছর প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বৃষ্টির করণে এবার তাজিয়া উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। তবে আমার প্রতি বছরের ন্যায় এলাকার ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মধ্যে ছিন্নি বিতরণ ও দোয়া মাহফিল করা হয়েছে। এছাড়া দর্শনা পৌর এলাকায় সুন্নি মুসলিমরা ছিন্নি বিতরণ করেছে।

এদের মধ্যে রামনগর বটতলা ক্লাব, দর্শনা চটকাতলা বিহারী পট্টি, ঈশরচন্দ্র পুর ইট ভাটা পাড়া যুব সমাজ, পরানপুর বেকার মোড়ের পাপ্পু, আলো, মামুন, হামিদুল, শিমুলসহ বেশ কিছু যুবদের উদ্যোগে ২ দফায় ছিন্নি বিতরণ ও দোয়া মাহফিল করা হয়।

এছাড়া দর্শনা পৌর এলাকার বেশ কিছু স্থানে ছিন্নি বিতরণ ও দোয়া মাহফিল করা হয় বলে জানা গেছে।




মেহেরপুরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৭ নেতা কারাগারে

মেহেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আওয়ামী লীগ ও জেলা ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম নাসিম রেজা তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিরা আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে সোমবার তারা পুনরায় মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো অভিযুক্তরা হলেন: মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাধাকান্তপুর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে জুয়েল রানা, আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও বামনপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে দরুদ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আসলাম খান পিন্টু, তহবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ও আব্দুল মাবুদের ছেলে রবিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও পোস্ট অফিস পাড়ার আব্দুল বারির ছেলে রাশেদুল ইসলাম আনন্দ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বড়বাজার এলাকার পঞ্চাননের ছেলে কাজল দত্ত, গোলাম হোসেনের ছেলে সামিরুল।




ঝিনাইদহে সুদীপ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার দাবীতে মানববন্ধন

ঝিনাইদহে সুদীপ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে তার বন্ধুরা। সোমবার সকাল ১১ টায় ঝিনাইদহ শহরের প্রাণকেন্ড পায়রা চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, সুদীপ আত্মহত্যা করেনি তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ছোট বেলায় সুদীপের মা মারা যান। পরে তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎ মায়ের সঙ্গে বেড়ে উঠলেও পরিবারে রয়েছে তার পালিত ভাই শিলন। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও সদালাপী সুদীপ এমনভাবে আত্মহত্যা করবে আমরা সেটি মানতে পারছি না।সুদীপ যদি আত্মহত্যা করবে তাহলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা না। তার পরিবারের সদস্যরা শুরু থেকেই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলো। মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে সকল প্রকার চেষ্টা ও তদবির চালিয়েছে তারা। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের সময় শ্মশান ঘাটে পরিবারের কাউকেই পাওয়া যায়নি।

সুদীপের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়ার পর থেকেই পলাতক রয়েছে সৎ ভাই শিলন। হত্যা না হলে শিলন পালাবে কেন। আমরা সুদীপ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুদীপ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জন অফিসে স্বারকলিপি প্রদান করবেন তারা।




ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনকে যাবজ্জীবন

ঝিনাইদহের ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপপরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যু দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে ৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় দেন।

মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন রাজবাড়ী জেলার নিমতলার আমজাদ হোসেন, লিয়াকত হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়া গ্রামের আক্কাস আলী ও ফরিদপুরের ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলম শেখ।

যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন- ফরিদপুরের শোভারামপুর গ্রামের শাহীন, গোয়ালচামট গ্রামের মোহাম্মদ সাগর, টাপাখোলা গ্রামের নুর খা ও যশোরের শেখহাটি খা পাড়ার মনির হোসেন। তাদের মধ্যে আমজাদ হোসেন ছাড়া বাকিরা পলাতক।

উল্লেখ যে, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে জেলা শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে আরোহীরা পালিয়ে যায়। সেসময় দেখা যায় মোটরসাইকেলটি উপ-পরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পাশের ডোবায় মিরাজুলের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই পুলিশ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

এজাহারে বলা হয়, মিরাজুলের কাছে থাকা পিস্তল, গুলি, মোটরসাইকেলসহ ছিনতাইয়ের জন্য সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে পুলিশ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

ঝিনাইদহ কোর্ট ইন্সপেক্টর মোক্তার হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার থাকা আসামি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।




গাংনীতে জুলাই যােদ্ধাদের স্বরণে মোমবাতি প্রজ্বলন ও আলোকচিত্রী প্রদর্শন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শাহাদৎ বরণকারী সকল দেশ প্রেমিকদের আত্মার মাগফেরাত কামনা, পঙ্গু ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়ার মাহফিল ও মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি’র গাংনী উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

কাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু।

প্রধান বক্তা ছিলেন, মেহেরপুর জেলা কৃষক দলের আহ্বায়কয়ক মাহাবুবুর রহমান মাহবুব। জাতীয়তাবাদি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের গাংনী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভীর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুসাইন।

এসময় জুলাই আগষ্টের নিহতদের স্বরণে আলোকচিত্রী উপস্থাপন করা হয়।