গুপ্ত সংগঠনের অপচেষ্টার প্রতিবাদে মেহেরপুরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেহেরপুর জেলা ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। দীর্ঘদিন ধরে গোপন তৎপরতায় অভ্যস্ত একটি গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট এবং সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লবের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জুয়েল রানা, মেহেরপুর পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব জারজীস ইউসুফ রমিক, মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফাহিম আহনাফ লিংকন, গাংনী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রিপন হোসেন, গাংনী পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শিশির আহমেদ শাকিলসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

ছাত্রদলের নেতারা অভিযোগ করেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তারা এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।




পরিবার পরিকল্পনায় বিশেষ অবদানে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হলেন খায়রুল ইসলাম

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ মেহেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. খায়রুল ইসলামকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এর আগেও ২০২৫ সালের জুন মাসে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকার জন্য তাঁকে শ্রেষ্ঠ ইউএনও হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল। এবার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দ্বিতীয়বারের মতো তিনি এই গৌরব অর্জন করলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ। তিনি ইউএনও মো. খায়রুল ইসলামের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. একেএম আবু সাঈদ, জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক রাশেদুল বশির খানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।




মেহেরপুরে এরশাদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালন

হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুরে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৪টায় মেহেরপুর শহরের বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদীসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল হামিদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি কেতাব আলী, সদর উপজেলা সভাপতি কুতুব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা সভাপতি বাবলু হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জান মোহাম্মদ মিন্টু, পৌর সভাপতি আক্তার হোসেন, মটমুড়া ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুস সালাম, সার্বিক সহযোগিতা জাতীয় পার্টির নেতা সেলিম রেজাসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

অনুষ্ঠানে এরশাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।




গাংনীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে রাজমিস্ত্রি গোলাম কিবরিয়া (৫৫) ও তার স্ত্রী রিনা খাতুন।

সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিজ বাড়িতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। তারা রেখে গেছেন তিনটি ছোট মেয়ে সন্তান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাশের বাড়ি থেকে আসা একটি ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার অসাবধানতাবশত একটি বাইসাইকেলের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল। সেই বাইসাইকেলটি আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন রাজমিস্ত্রি গোলাম কিবরিয়া। চিৎকার শুনে স্ত্রী রিনা খাতুন ছুটে এসে তাকে বাঁচাতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

দুজনই অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তখনই তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

গোলাম কিবরিয়া পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। দিনমজুরির টাকায় চলত তাদের সংসার। তিন মেয়েকে নিয়ে তাদের ছোট্ট কিন্তু স্বপ্নভরা একটি জীবন ছিল। বাবা-মায়ের হঠাৎ এমন মৃত্যুর খবরে একরত্তি তিন শিশু মেয়ে বোবা কান্নায় ভেঙে পড়ে। আশপাশের মানুষ কেউ চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, “ওরা খুব গরিব পরিবার। লোকটা রাজমিস্ত্রির কাজ করত, কষ্ট করে মেয়েগুলারে বড় করত। এখন তিনটা ছোট মেয়ে এতিম হয়ে গেল। কী হবে ওদের?”

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।




মহেশপুর আদালত চত্বরে জাল কোর্ট ফি’র রমরমা বাণিজ্য

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত চত্বরে জাল কোর্ট ফি’র রমরমা বাণিজ্য চলছে দীর্ঘদিন ধরে। স্ট্যাম্প ভেন্ডার ও ফটোকপির দোকানগুলোর মাধ্যমে প্রতিনিয়তই ছড়িয়ে পড়ছে জাল কোর্ট ফি। এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব, আর লাভবান হচ্ছে একটি প্রভাবশালী অসাধু সিন্ডিকেট।

জানা গেছে, সম্প্রতি জমিজমা সংক্রান্ত একটি দেওয়ানি মামলার আবেদনপত্রে (আর্জিতে) লাগানো কোর্ট ফি নিয়ে সন্দেহ হলে আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ বিচারক মেশিনের মাধ্যমে কোর্ট ফি যাচাইয়ের নির্দেশ দেন। গত ৮ জুলাই পরীক্ষা করে দেখা যায়, আর্জিতে লাগানো বেশির ভাগ কোর্ট ফি জাল। এসব কোর্ট ফিতে কোনো সরকারি জলছাপ, সিরিয়াল নম্বর কিংবা বৈধতা নিশ্চিতকরণ চিহ্ন মেলেনি।

এই ঘটনায় আদালতের সেরেস্তাদার আবু সাঈদ বাদী হয়ে ১০ জুলাই মহেশপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালত প্রাঙ্গণের আশপাশে থাকা কিছু স্ট্যাম্প ভেন্ডার ও ফটোকপির দোকান থেকেই মূলত এই জাল কোর্ট ফি বাজারজাত হচ্ছে। এসব দোকানে পাঁচ, দশ ও বিশ টাকার কোর্ট ফি পাওয়া যায়। তবে বিশ টাকার কোর্ট ফিতেই বেশি পরিমাণে জাল কাগজ শনাক্ত হচ্ছে।

আইনজীবীদের সহকারীরা জানিয়েছেন, আমরা স্ট্যাম্প ভেন্ডারদের দোকান থেকেই কোর্ট ফি সংগ্রহ করি। তবে হাতে কোনো যাচাইকরণ মেশিন না থাকায় কাগজটি জাল কি না তা যাচাই সম্ভব হয় না।

এ বিষয়ে স্ট্যাম্প ভেন্ডার বাবর আলী বলেন, আমার দোকানের কোনো কোর্ট ফি এখনও পর্যন্ত জাল প্রমাণিত হয়নি। তবে এটা ঠিক, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভের আশায় নকল কোর্ট ফি বিক্রি করে থাকেন। অনেকেই জানে না যে তারা জাল কোর্ট ফি কিনছেন।
সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার আবু সাঈদ বলেন, জাল কোর্ট ফি শনাক্ত হওয়ার পরপরই আমরা বিচারকের নির্দেশে পরীক্ষা করেছি। বেশিরভাগই জাল প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে নিয়েছি এবং থানায় মামলা করেছি। তদন্তের জন্য পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। আদালতের দেওয়া নমুনা কোর্ট ফি ও দোকানগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়রা মনে করছেন, এই সিন্ডিকেট অনেকদিন ধরেই গোপনে এই জালিয়াতি করে আসছে। প্রশাসনের নজরদারি এবং কার্যকর অভিযানের অভাবেই তারা পার পেয়ে যাচ্ছে।

এদিকে আদালত সংশ্লিষ্টরা কোর্ট ফি বিক্রির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট লাইসেন্স, যাচাইযোগ্য উৎস এবং মেশিনে পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি তুলেছেন।

সরকারি রাজস্ব ফাঁকি এবং বিচার ব্যবস্থার মতো একটি সংবেদনশীল জায়গায় এমন জালিয়াতির ঘটনায় সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে।




ঝিনাইদহে জেন্ডার-ইকুয়ালিটি সাংগঠনিক কমিটি গঠন

ঝিনাইদহে সদর উপজেলা জেন্ডার-ইকুয়ালিটি সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার সকালে ঝিনাইদহের ওয়েলফেয়ার এফোর্টস-উই এর ট্রেনিং সেন্টারে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

উই এর নির্বাহী পরিচালক শরিফা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শহিদুল হক, সদর থানার ওসি তদন্ত জহিরুল ইসলাম, ক্রেডিট সুপার ভাইজার তাসলিমা খাতুন, জাতীয় মহিলা সংস্থার প্রতিনিধি মো: ফারুক হোসেন প্রমূখ। আলোচনা শেষে সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের সভাপতি ও পৌরসভার জেন্ডার -ইকুয়ালিটি ‘র সদস্যদের উপস্থিতিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জার্নালিস্ট ময়না খাতুন কে সভাপতি, নুরুল ইসলাম কে সহ-সভাপতি, কেবিএম ফওজিয়া হক জুই কে সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুমা খাতুন সহ ২৫ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা জেন্ডার-ইকুয়ালিটি সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়।




মুজিবনগরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১

মেহেরপুরের মুজিবনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১ জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন ভবেরপাড়ার মৃত নিয়ামত দফাদারের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম (৪০)।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।




মেহেরপুরে জুলাই শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

মেহেরপুর কলেজ মোড়ে “জুলাই শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ” নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণ কাজের সূচনা হয় সোমবার সকালে, জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে। উদ্বোধন শেষে সেখানে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নজরুল কবীর, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস. এম. রফিকুল হাসান, সিভিল সার্জন ডা. এস. এম. আবু সাঈদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর রহমান, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম, তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সমাজসেবা উপ-পরিচালক আসাদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ উপ-পরিচালক শামসুল আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালিউল্লাহসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার শেখ তৌহিদুল কবির, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি তামিম ইসলাম ও খন্দকার মুহিত, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন, সরকারি কলেজের শিক্ষক হেজমত আলী মালীথ্যা ও ফুয়াদ খান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা শামীম রেজা, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি কাজী রুহুল আমিন ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ।

স্মৃতি সংরক্ষণ ও প্রজন্মকে ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করতে নির্মাণ হচ্ছে এই স্মৃতিস্তম্ভ।




মেহেরপুরে দুটি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল

মেহেরপুরে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ ফেলের ঘটনা ঘটেছে। এর একটি গাংনী উপজেলার এসকেআরএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং অপরটি পীরতলা দাখিল মাদ্রাসা। দুটি প্রতিষ্ঠান ননএমপিও বলে জানা গেছে।

পীরতলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, এবছর ১৮ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো। এর মধ্যে সকলেই ফেল করেছে। কেন যে এমন হলো তা তিনি বলতে পারেননি। তবে গত বছর ১৮ জন পরীক্ষা দিয়ে ৭জন পাশ করেছিলো বলে তিনি জানান।

এদিকে, একই উপজেলা এসকেআরএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১ জন পরীক্ষা দিয়েছিলো। সেও ফেল করেছে। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মেহেরপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: হযরত আলী বলেন, শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা কথা বলবো। যাতে আগামীতে ভালো ফলাফল করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেব।

তিনি আরও জানান, জেলায় সব বিভাগ মিলে ৭৯৪৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৫০৬৩, পাশের হার ৬৩.৭৩ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৩১ জন।




উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে বদলে যাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য

মেহেরপুরের গাংনীতে কৃষি বিভাগের নানা উদ্যোগে কৃষির সোনালি সম্ভাবনা ঘিরে বদলে যাচ্ছে চাষীদের জীবনমান। জেলার কোথাও ধানের সবুজ মাঠ, কোথাও শাকসবজি, কোথাও সরিষা বা গম-এ যেনো প্রাণ ফিরে পাওয়া এক মাটির গল্প। এই পরিবর্তনের পেছনে আছে কৃষি বিভাগের নিবিড় তদারকি আর সরকারি প্রণোদনার কার্যকর বাস্তবায়ন।

কৃষি সমৃদ্ধ জেলা মেহেরপুর। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ৫৫ হাজার ৫০৭ হেক্টর কৃষি জমিতে হয় ধান পাট, তুলাসহ নানা ধরণের শাক সবজী। আবাদী জমির মধ্যে শীতকালিন সবজি উৎপাদন হয় ৪৯০০ হেক্টর এবং গ্রীস্মকালিন সব্জী উৎপাদন হয় ৬২০০ হেক্টর জমিতে। জেলায় বোরো ধানের আবাদ হয় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর এছাড়া আউশ হয় ২২ হাজার হেক্টর ও আমন ধানের চাষ হয়ে থাকে ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে।

জেলার উৎপাদিত সবজি এবং ধানসহ অন্যান্য ফসল জেলার খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। জেলার শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির সাথে জড়িত।

কৃষিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে মানুষের অর্থনীতির ভীত। কিন্তু কৃষকরা আগে অপরিকপ্তি এবং সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করাই ফসলের যেমন “আগে ফলন কম হতো, উৎপাদন খরচও বেশি পড়ত।  আবার তারা ফসল বাজারজাত করতে না পেরে ক্ষতির সম্মুখীন হতেন। কিন্তু বর্তমান সময় পাল্টানোর সাথে সাথে কৃষি ও কৃষকের ভাগ্যেরও পরিবর্তন হয়েছে।

কৃষি অফিসারদের সরাসরি মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের ভালবীজ সংগ্রহ, সহজ শর্তে সার, কীটনাশক, বিনামূল্যে কিংবা ভর্তুকিতে এসব প্রাপ্তি কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনেছে অনেকখানি। এতে ফসল ভালো হচ্ছে, লাভও বেশি হচ্ছে।” শুধু সহযোগিতাই নয়, কৃষকদের প্রযুক্তি সহায়তা। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপ, হটলাইন ও মাঠপর্যায়ের কর্মী ও কৃষক মিলেই তৈরি করছেন কৃষিবান্ধব পরিবেশ। এছাড়া কৃষিপণ্যেও বাজার ব্যবস্থাপনায় উন্নতি ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে এখন কৃষিপণ্য বিক্রি করতেও তেমন সমস্যা হচ্ছে না। ফলে ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন কৃষকেরা।

কৃষকরা জানান, সরকারি প্রণোদনার সঠিক বিতরণ, যান্ত্রিক প্রযুক্তি, কৃষি বিভাগের তদারকি ও পরামর্শে বর্তমান কৃষিতে খরচ কমেছে এবং উতপাদন বেড়েছে। সাহারবাটি বাটি গ্রামের কৃষক আইয়ু আলী বলেন,এক সময় আমাদেও জমিতে বছরে ধান আর পাটসহ মোট দুটি ফসল হতো। এখন কৃষি বিভাগের নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন হওয়ায় বিভিন্ন সবজি উৎপাদন হচ্ছে। বেশিরভাগ জমিতে এখন বছওে তিন থেকে চার বার ফসল হচ্ছে।

কৃষক আবদুল আলিম বলেন, আগে আমরা শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে অনেক বেশি টাকা খরচ হতো। এছাড়াও সময়মতো শ্রমিক না পাওয়ার কারনে ফসলের পরিচর্যা করা যেতনা। আবার সঠিক সময়ে ফসল ঘওে তুলতে পারতামনা। বর্তমানে সরকারি ভর্তুকিতে বিিিভন্ন যন্ত্রপাতি দেওয়ার কারনে আবাদে অনেক খরচ কমেছে,সেই সাথে সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তোলা যায়।

কাথুলি গ্রামের কৃষক খজিমুদ্দিন ও সাহারবাটি গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, আমি গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস থেকে
সার, বীজ বিনামুল্যে পেয়ে আমন ধানের আবাদ করেছি। কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন আমাদের গ্রামে এসে অনেক চাষিদেও ্কত্রিত করে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শ পেয়ে আমরা উপকৃত হচ্ছি। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের প্রণেঅদনা দেওয়ায এলাকায় আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তারা।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: ইমরান হোসেন বলেন, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপ, হটলাইন ও মাঠপর্যায়ের কর্মী ও কৃষক মিলেই তৈরি করছেন কৃষিবান্ধব পরিবেশ। এছাড়া কৃষিপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনায় উন্নতি ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে এখন কৃষিপণ্য বিক্রি করতেও তেমন সমস্যা হচ্ছে না। ফলে ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন কৃষকেরা। কৃষকদের নানামুখি ফসলের আবাদ করতে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

ফসলে কীটনাশকের প্রয়োগ কমানোর জন্য এবং উন্নত ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে বিভিন্ন মাঠে মাঠে মাঠ দিবস করে কৃষকদের হাতে কলমে শিক্ষাদান করা হচ্ছে। তবে বর্তমান কৃষিতে যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত সুবধা নিয়ে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।