মেহেরপুরে ঠিকাদারদের নিয়ে এলজিইডি’র কর্মশালা

মেহেরপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র ঠিকাদারদের নিয়ে জাতীয় দরদাতাদের ডাটাবেসের উপর দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আাজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) পৌর কমিউনিটি সেন্টারে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা দুই জেলার দরদাতাদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র আয়োজনে ও ডেভলপমেন্ট ডিজাইন এন্ড কনস্ট্রাকশন (ডিডিসি)’র সহযোগিতায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন প্রকিউভমেন্ট ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী সোনিয়া নওরীন।

এসময় তিনি বলেন, সরকারী ক্রয় ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি ইজিপি সিস্টেমে ন্যাশনাল টেন্ডারার্স ডেটাবেস (এনটিডিবি) মডিউল অন্তর্ভুক্ত করেছে। যা দরপত্রে অংশগ্রহণকারী দরদাতাদের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা এবং চুক্তি বাস্তবায়নের সাথে সম্পর্কিত সনদপত্রের পুনরাবৃত্তিমূলক যাচাই এড়ানো সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দরদাতাগণের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার সনদসমূহ ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা এবং যাচাই করা হলে, সেগুলি ই-জিপি সিস্টেমে অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে যাতে ঠিকাদারদের সারা দেশে বিভিন্ন সংস্থার কাছে বারবার অভিজ্ঞতার রেকর্ড জমা দিতে না হয়।

ডিডিসি সদস্য মাহাথির মহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় এ সময় মেহেরপুর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ডিডিসি এর আই সিটি ডিভিশনের প্রধান মোঃ জিয়াউর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমাম হোসেন মিলুসহ এলজিইডির দুই জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে ভৈরব নদীতে অবৈধ চায়না দুয়াড়ি জাল আটক ও বিনষ্ট

বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে জাটকা বিরোধী/চিংড়ি পুশ/অবৈধ জাল/অবৈধ বাঁধ অপসারণ বিষয়ক মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে মুজিবনগর উপজেলার ভৈরব নদীতে পেতে রাখা অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়াড়ি জালের অপসারণে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালত।

জেলা মৎস্য অফিসার (ভারপ্রাপ্ত মৎস্য অফিসার মুজিবনগর) মীর মোহাম্মদ জাকির হোসেন এর নেতৃত্বে অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, মুজিবনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুস সাদাত রত্ন।

এসময় নদীতে পেতে রাখা অবৈধ চায়না দুয়াড়ি জালগুলো অপসারণ করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।এ সময় অবৈধ জাল পাতার অপরাধে একজনকে আটক করে ২০০ টাকার জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

জেলা মৎস্য অফিসার (ভারপ্রাপ্ত মৎস্য অফিসার মুজিবনগর) মীর মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, অবৈধ চায়না দুয়ারী এবং কারেন্ট জলের কারণে ভৈরব নদীতে মাছের প্রজনন ও বংশবিস্তারে বিরূপ প্রভাব পড়ছে ওই জালে মাছ বা অন্য কোন প্রাণী প্রবেশ করলেই সে মারা যায় এভাবেই ভৈরব নদীর তে মাছের যে জীববৈচৈত্র বা দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার ব্যাপক হারে কমে আসছে। তাই মৎস্য অফিস এইসব অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়াড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে। সেই সাথে মাছের জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে জনগণকেও সচেতন করা হচ্ছে। এই অবৈধ জালের বিরুদ্ধে মৎস্য অফিসের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভৈরব নদীতে জেলা মৎস্য অফিসের অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন, মুজিবনগর থানার এসআই সজীব এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম। উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী আহসান হাবিব। অফিস সহকারী খালিদ হাসান পলাশ।




গাংনী উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্স, কাংখিত চিকিৎসা পাচ্ছেনা উপজেলাবাসী

জনবল ও চিকিৎসক সংকটে জোড়াতালি দিয়ে চলছে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা। প্রায় চার লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট থাকায় কাঙ্খিত চিকিৎসা পাচ্ছেননা এমন অভিযোগ উপজেলাবাসীর। জনবল সংকটের কারনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলছে জোড়াতালি দিয়ে। চিকিৎসা দিতে গিয়েও হাপিয়ে উঠছেন চিকিৎসকরা। অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার থাকলেও ডাক্তারের অভাবে তা বন্ধ। ফলে কোন কাজে আসছেনা প্রায় কোটি টাকা মুল্যেও অপারেশন থিয়েটার। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন এ সমস্যার সমাধান খুঁজে পাচ্ছিনা। অনেক কষ্ট করেই চালাতে হচ্ছে চিকিৎসা কার্যক্রম।

জানা গেছে, মেহেরপুরের তিনটি উপজেলার সবচেয়ে জনবহুল উপজেলা গাংনীবাসীকে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু সে মোতাবেক জনবল ও চিকিৎসক দেয়া হয়নি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১০ জন জুনিয়র কনসালটেন্ট সহ মোট ২১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও এ হাসপাতালে রয়েছেন মাত্র ১১ জন। যদিও খাতা-কলমে দায়িত্ব পালন করছেন ১২ জন। জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জিক্যাল) একজন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ডেপুটিশনে রয়েছেন।

এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দু’টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর থাকলেও তা বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। বিদ্যুৎ চলে গেলেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে ওঠে অন্ধকারচ্ছন্ন। মোবাইলের লাইট জ্বলিয়ে দিতে হয় চিকিৎসা সেবা।

অপরিচ্ছন্নতা, ওয়ার্ডে পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা, ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত বাথরুমসহ নানা সমস্যা রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো: মনিরুল ইসলাম জানান, ১৯৬৮ সালে নির্মিত হয় গাংনী উপজেলা ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভাসহ অন্তত সাড়ে চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল এটি। ২০০৮ সালে ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও সেবার মান আজও বাড়েনি। দেয়া হয়নি চাহিদা মতো জনবল ও চিকিৎসক।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালে মোট ১০টি জুনিয়র কনসালটেন্ট চিকিৎসকের পদ থাকলেও খাতা-কলমে রয়েছেন ৪ জন। আর হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন ৩ জন। বাকি ১ জন অন্যত্র ডিউটিতে থাকেন। একজন এনস্থেসিয়া থাকলেও হাসপাতালে তার দেখা পাওয়া ভার। সার্জিক্যাল কনসালটেন্ট না থাকায় বন্ধ অপারেশন।

গাইনী, চক্ষু, অর্থপেডিক্স, কার্ডিওলজি, ইএনটি (নাক কান গলা) এবং চর্ম যৌন রোগের জন্য অতিব গুরুত্বপূর্ণ কনসালটেন্ট চিকিৎসকের পদ থাকলেও পদগুলি দীর্ঘদিন শুন্য থাকায় গাংনীবাসী কাঙখিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

২০২৩ সালের জানুয়ারীতে ইলেক্টি্রশয়ানের(জুনয়র মেকানিক) পদটি মৃত্যু জনিত কারনে শূন্য হলেও আজও ইলেক্ট্রিশিয়ান দেয়া হয়নি ফলে হাসপাতালে বৈদ্যতিক ত্রুটি হলেই ফ্যান লাইটসহ সব যন্ত্রপাতি বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতাল হয়ে পড়ে ভুতুড়ে অবস্থা। ৩টি অফিস সহকারির পদ থাকলেও সবই শুন্য। ওয়ার্ড বয় পদ ৩টি এ পদই ২০২২ সাল থেকে রয়েছে শুন্য। ২০২১ সাল থেকে ২জন নৈশ্য প্রহরীর পদ থাকলেও দুটি পদই শুন্য। ৫জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ থাকলেও মাত্র ১জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। তিনিও ঠিকমতো হাসপাতালটিতে আসেননা বলে অভিযোগ রোগী সাধারনের। মশালচি(কুক) পদে দুটি পদ থাকলেও আছে ১জন। ফলে ভর্তি রোগীদের খাবার সরবরাহ একার জন্য খুবই মুশকিল হয়ে পড়ে। রোগীদের সময়মত খাবার সরবরাহ করতে পারেনা।

হাসপাতালে প্রতিদিন তিন থেকে চার শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। ভর্তি হন ৩৫-৪০ জন। চিকিৎসা দিতে না পারায় বেশিরভাগ রোগীকে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে জেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

গত বছর ২০২৩ সালের জানুয়ারী থেকে ৩০ ডিসেম্বও প্রর্যন্ত এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লক্ষ ৭ হাজার ২৪৩জন। চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫০ হাজার ২৯৪ জন রোগী।

হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি মাঝে মধ্যে ঠিক হলেও ফিল্ম থাকে না। দুটি অপারেশন থিয়েটার থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে অব্যবহৃত পড়ে থাকে বছরের পর বছর। প্যাথলজি বিভাগ থাকার পরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীদের বাইরের ক্লিনিকে পাঠানো হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার লক্ষী নারায়নপুর ধলা গ্রামের বিলকিস খাতুন জানান, জরুরী বিভাগ থেকে ডাক্তার রোগের কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাইরে থেকে করিয়ে আনতে বলেন। আমরা গরীব মানুষ। টাকা দিয়ে বাইরে থেকে টেস্ট করানোর অবস্থা নেই। হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ডাক্তার থাকলে আমাদের খুবই উপকার হতো। তিনি আরও জানান,১২টা বাজলে আর কোন পরিক্ষা করানো হয়না হাসপাতালে। তখন রোগীরা নিরুপাই হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরিক্ষা করাতে হচ্ছে।

অসুস্থ মাকে নিয়ে হাসপাতালে আসা কাথুলী গ্রামের আরজিয়া খাতুন বলেন, সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালে এসেছি। সাড়ে ১১টা বাজলো। রোগীদেও অনেক ভীড়, এখনও আমার রোগী দেখলো না। সেবা নিতে এসে আমরা সেবা পাচ্ছি না।

উপজেলার আমতৈল গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, পেটের সমস্যা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় মেডিকেল অফিসার ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। কিন্তু ওষুধ খেয়ে অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।

বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম জানান, তিনি পায়ের ক্ষত নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যান। সার্জারি বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তাকে ১২ কিলোমিটার দুরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে যেতে হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুপ্রভা রানী বলেন, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল বাড়ানো হয়নি। ১১জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোগীদের ভীড় থাকে। এসকল রোগীদেও চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসকরা হিমশিম খেয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসক, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে শূন্য পদে জনবল ও চিকিৎসক পূরণ হলে চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব।




গাংনীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিখোঁজ, থানায় জিডি

বাড়ি থেকে বই কেনার জন্য বের হয়ে আর ফিরে আসেনি এইচএসসি পরীক্ষার্থী আকাইদ ইসলাম আকাশ (১৮)।

আকাইদ ইসলাম (আকাশ) গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের পীরতলা গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। সে গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) তার আইসিটি পরীক্ষা।

আকাশের পিতা আমিনুল ইসলাম জানান, গতকাল সোমবার বিকেলে বই কেনার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বামন্দীর উদ্দেশ্যে বের হয়ে আসেন। তারপর থেকে সে বাড়ি ফিরে আসেনি। বতর্মানে সে নিখোঁজ। আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজা খুজির পরেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খোঁজ খবর নেয়ার জন্য গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম নিখোঁজ আকাশের গ্রামের বাড়িতে যান। তিনি বলেন, আজকে তার আইসিটি পরীক্ষা। আমার ধারণা, ছেলে আর ভালো অবস্থায় নেই। তাকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা।

এব্যাপারে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম বলেন, খবরটি শোনার পর ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজের পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডাইরি (জিডি) করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় পরকীয়া প্রেমিক গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গায় প্রবাসীর স্ত্রী রেশমা খাতুন (৩২) আত্মহত্যার ঘটনায় করা প্ররোচনার মামলায় সবুর হোসেন (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার তেতুলবাড়িয়া নামক এলাকায় অভিযান চালিয়ে সবুরকে গ্রেপ্তার করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।

সবুর হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদি ইউনিয়নের বামানগর গ্রামের আজিবার রহমানের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত (২৮মে) মঙ্গলবার দুপুরে পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তালাবন্ধ ঘর থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর গলায় ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। তার স্বামী শিমুল সর্দার গত তিন বছর সৌদিতে রয়েছেন। ঘটনার ওই দিন আত্মহত্যার আধাঘণ্টা আগে অভিযুক্ত সবুর হোসেনকে তাঁর ঘর থেকে বের হতে দেখেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

এ ঘটনায় গত (১জুলাই) সোমবার গৃহবধূর পিতা সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে সবুর হোসেনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় আত্নহত্যা প্ররোচনা আইনের ৩০৬ ধারায় একটি মামলা করেন।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই গৃহবধূর সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে সবুর। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে। আজ দুপুরে সংশ্লিষ্ট মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় ঋণের কিস্তির চাপে নারীর আত্মহনন

আলমডাঙ্গায় তাসলিমা খাতুন (৫৫) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে ঘরের আড়ার সঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে ওই নারী আত্মহত্যা করেন বলে জানা যায়। তাসলিমা খাতুন পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মতিয়ার রহমানের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানায়, তাসলিমা তার সেজো ছেলেকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর জন্য উপজেলার কয়েকটি বেসরকারি (এনজিও) থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা ঋণ নেন। প্রতি সপ্তাহে তাকে ৪০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হতো। তার ছেলে বিদেশ থেকে টাকা না দেওয়ায় কিস্তি পরিশোধ করতে পারেননি। এতে শাখা ব্যবস্থাপকসহ কয়েকজন মাঠকর্মী বাড়িতে এসে তাকে গালিগালাজ করেন। তারা পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নেওয়ারও হুমকি দেন।

পুলিশের ভয়ে ও মনের দুঃখে সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে ঘরের আড়ার সঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করে। বিকেলে স্বজনরা গলায় দড়ি পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখে আলমডাঙ্গা থানায় সংবাদ দেন।
তাসলিমার ছোট ছেলে বিপ্লব জানায়, কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তার মা। এর কিস্তির জন্য গত এক সপ্তাহ ধরে চাপ দিয়েছিলেন এনজিওর কর্মকর্তারা। তারা গালিগালাজ করে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নেওয়ার হুমকি দেন। লোকসমাজ ও পুলিশের ভয়ে তাঁর মা আত্মহত্যা করেছেন।

আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, তাসলিমা কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছে বলে তথ্য পেয়েছি। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে।




বর্ষায় পানিবাহিত রোগ এড়াতে যা করণীয়

বর্ষা এলেই পেটের সংক্রমণ নিয়ে ভাবনা থাকে সবার। বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় জলবাহিত অসুখের প্রকোপ অনেক বেড়ে যায়। বৃষ্টির পানি অনেক সময় আন্ত্রিক অর্থাৎ ডায়রিয়ার মতো রোগ ছড়ায়। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে এই সমস্যা প্রকট। পেট খারাপ, বমি, ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যায় ভুগছেন অনেকে। পানি ঠিকঠাক ফিল্টার করতে না পারাও একটি বড় সমস্যা। এছাড়া আরও কিছু জটিল বিষয়ে একটু মনোযোগ দেওয়া দরকার। পর্যবেক্ষণ ও তদারকিই এখানে আসল।

ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ প্রথম ভাবনায়
পেটের রোগ এই সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা। কারণ হলো ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ। ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া সচরাচর মলে থাকে। তাই মলের বা বাথরুমের পানি কোনো কারণে যদি সুপেয় পানির সংস্পর্শে আসে তখন বিপত্তি বাঁধে। টাইফয়েড, ক্লসটিডিয়াম, সিরেলা, সালমোনেলা থেকেও সংক্রমণ হয়। খাবার পানি থেকেই আপনার পানিবাহিত রোগ হবে এমন ধারণা ভুল। দূষিত পানিতে গোসল করলে, মুখ-হাত ধুলে হতে পারে। বিশেষত অনেকে বর্ষায় কোথাও ঘুরতে গেলে পুকুরে নামেন। বৃষ্টিতে ভেজেন। আবার সড়কে পানি জমলে তার ওপর দিয়ে হেঁটে আসার পর পরিচ্ছন্ন হন না। সুইমিং পুলের অপরিষ্কার পানিতে সাঁতার কাটার সময়েও কয়েক ফোঁটা মুখে ঢুকে গেলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।

সাবধান থাকা জরুরি
আপনার প্রস্রাব ঠিকমতো হচ্ছে কি-না দেখতে হবে। যদি না হয় তাহলে ওআরএস দিতে হবে। ওআরএস দেওয়ার পরে বমি হতে পারে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মুখ ধুয়ে আবার ওআরএস দিতে হবে। শরীরে সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম বাইকার্বোনেট, পটাশিয়াম ক্লোরাইড ঢুকলে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকবে।

স্যালাইন কখন দেবেন
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পাঁচ বারের বেশি পাতলা মল হলে তখন স্যালাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। পায়খানার সঙ্গে রক্ত বেরুলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ‘স্টুল কালচার’ করাতে হবে।

খাবারে নজর দিন
খাওয়াদাওয়ায় বেশি নজর দিতে হবে এই সময়ে। রাস্তার স্ট্রিট ফুড এমনকি ভ্যাপসা গরমের রেহাই দেওয়া লস্যি খাওয়া যাবে না। কাঁচা শাকসবজি খাবেন না, কারণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে। এই সময়ে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে গেলে সালাদ এড়িয়ে চলাই ভালো। বরং, বাড়িতে বানিয়ে খান। বাইরে থেকে ফল কিনে এনে খেলে, তা ভালো করে ধুয়ে নিন। শাকসবজি ভালো করে সেদ্ধ করে রান্না করুন। শিশুদের শরীরে পটাশিয়াম দ্রুত কমে যায়। তাই লেবুর রস, কলা, স্যুপ জাতীয় খাবার, পেঁপে দিতে হবে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। এতে শরীরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ঢুকবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। লেবু জাতীয় ফল, পেয়ারা বেশি করে খান। খাবারে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকলে ভালো। রেড মিটের বদলে মাছ, ডিম, মুরগির মাংস খেতে পারেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় ফেনসিডিলসহ ১জন আটক

চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা দিকনির্দেশনায় জেলা পুলিশের সকল ইউনিটে একযোগে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই (নিঃ)মোঃ মেফাউল হাসান, এসআই (নি:) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, এএসআই (নিঃ)মোঃ মামুনুর রহমান, এএসআই (নি:) মোঃ রেয়াজুল ইসলাম ও এএসআই (নি:) মোঃ রাসেল তালুকদার সহ মাদকবিরোধী অভিযানে সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় জীবননগর থানাধীন সেনেরহুদা গ্রামস্থ জনৈক মোঃ নাগর হোসেন ওরফে রিপন এর বসত বাড়ি হতে আসামি ১। মোঃ নাগর হোসেন ওরফে রিপন (৩৪), পিতা- মৃত মাহাতাব, সাং-সেনেরহুদা (পশ্চিম পাড়া), থানা-জীবননগর, জেলা-চুয়াডাঙ্গা’কে ৩৬ (ছত্রিশ ) বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে।

ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।




চুয়াডাঙ্গার দোস্ত বাজারে দুঃসাহসিক চুরি

চুয়াডাঙ্গার সদরের দোস্ত বাজারে মেসার্স শেখ ট্রেডার্সে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনাসূত্রে জানাগেছে, দোস্ত বাজারের বিশিষ্ট হার্ডওয়ার ব্যাবসায়ী সাহেব আলী প্রতিদিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে চলে যায়। রাতের আধারে দুই চোর সিড়ি ঘর দিয়ে দোতলার ছাদে উঠে এ সব মালামাল চুরি করে। পরে চোরেরা এসব মালামাল অন্য জায়গায় বিক্রি করতে গেলে তারা দুজন ধরা খায়। ঘটনাটি ঘটছে দোস্ত বাজারের শেখ টেডার্সে।

এ দুই চোরের বাড়ি নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মল্লিকপাড়ার রুবেল হোসেনের ছেলে হুছাইন (১৭) একই ইউনিয়নের বোয়ালমারী পাড়ার ও উম্মাত আলীর ছেলে লিখন (১৫) চুরি করে। পরে চোরের সন্ধানে নামে সাহেব আলী। চোর শনাক্ত করে বিচার দেয় দোস্ত বাজার কমিটির কাছে। বিচার সালিশে হুছাইন উপস্থিত হলেও লিখন উপস্থিত না হওয়ায় আগামীকাল বুধবার আবার সালিশ বৈঠক বসবে বলে জানিয়েছে দোকান মালিক সাহেব আলী। এ সালিস বৈঠকে কিছু মালামাল উদ্ধার করে বাজার কমিটি।

বাকি মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি বলে একটি সুত্র জানিয়েছে। উক্ত দোকান থেকে কলের চাপা ৪ পিচ কলের রড ৮ পিচ কলের ঝাকা ১১ টা, কলের জি আই পাইপ ২৫ টা, গ্যাস সিলিন্ডার ২ টা, হাফ মটর ১টা, বড় মোটর ৩ টা, কোমট ১ টা জি আই ফিটিংস মাল ১ বস্তা, ব্যাসিন ১টা চুরি করে। এতে করে চোরেরা প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে। পরে বাজার কমিটির সালিস বৈঠকে চোরের দাদা ও একজনের বাবা উপস্থিত হয়ে এ সব মালামাল ফেরত দেওয়ার কথা বলে।

অভিভাবকের প্রশ্ন এ বয়সে যদি চুরি করে বেড়ায় ভবিষ্যতে এরা বড় ধরনের ঘটনা ঘটাবে বলে ধারনা করছে সাধারন মানুষ।




চাকরি দেবে ওরিয়েন্টাল গ্রুপ

জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ওরিয়েন্টাল গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন ডিভিশন ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ওরিয়েন্টাল গ্রুপ

পদ ও বিভাগের নাম : এক্সিকিউটিভ, এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন

আবেদনের বয়সসীমা : কমপক্ষে ২০ বছর

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

কর্মস্থল : ঢাকা (ধানমন্ডি)

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ১ বছর, তবে ফ্রেশাররাও আবেদন করতে পারবেন

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ০৭ জুলাই, ২০২৪

কর্মক্ষেত্র : অফিস

কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম

প্রার্থীর ধরন : শুধু পুরুষ

আবেদনের শেষ তারিখ : ০৬ আগস্ট, ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচআরএম/ম্যানেজমেন্টে ন্যূনতম বিবিএ/এমবিএ ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা : বাংলা (বিজয়) লেখার দক্ষতা বাধ্যতামূলক।এমএস অফিস এবং ইংরেজিতে যোগাযোগ দক্ষতা। চাপের মধ্যে কাজ করার ক্ষমতা। তত্ত্বাবধায়কের নির্দেশ অনুযায়ী ভূমিকা পালন ও সম্পাদন করার ক্ষমতা।

অন্যান্য সুবিধা : টি/এ, মোবাইল বিল, আংশিক ভর্তুকিযুক্ত দুপুরের খাবার, বার্ষিক বেতন পর্যালোচনা, বছরে দুটি উৎসব বোনাস ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুযায়ী বিভিন্ন সুবিধা পাবেন।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে  এখানে ক্লিক করুন।

ঠিকানা : বাড়ি # ১৫, রোড # ৪, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫