মেহেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর সদর উপজেলা বুড়িপোতা ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে কর্মী সমাবেশ ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত পরিবেশন করা হয়।

মোঃ হামিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা আমীর মাওঃ তাজউদ্দিন খান।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বুড়িপোতা ইউনিয়নের আমীর ডা. জামাল উদ্দিন।

জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের অর্থ সম্পাদক আবু জাফর সোহেলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সূরা ও কর্ম পরিষদের সদস্য ও জেলা নায়েবে আমীর মাওঃ মাহবুব-উল আলম, মেহেরপুর সদর উপজেলা আমীর মাওঃ সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাব্বারুল ইসলাম মাস্টার, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওঃ কাজী রুহুল আমিন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মোঃ আব্দুর রউফ (মুকুল) প্রমুখ।
এছাড়াও এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে কমেছে সবজি দাম, পেঁয়াজ-আলুর বাজারে অস্বস্তি

কার্তিক মাসের শেষে এসে মেহেরপুরের বাজারে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। এর ফলে আলু ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। পুরোনো আলুর দাম কেজি প্রতি ৫-৭ টাকা বেড়েছে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) মেহেরপুরের হোটেল বাজার এবং বড়বাজারে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে শীতের সবজি সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। শাকের দাম নাগালের মধ্যে। বেশিরভাগ সবজিই ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহন্তে কমেছে মরিচ, রসুন ও আদার দাম। কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী আলু ও পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মেহেরপুরের বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ৬ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আসতে শুরু করেছে। এর ফলে বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে। তবে নতুন আলু না আসা পর্যন্ত পুরোনো আলুর দাম বাড়তি থাকবে।

জানা গেছে ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে শাকসবজি বিক্রি করছেন ।
বাজারে আলুর কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি বেগুন এখন ৫০ টাকা কেজি, লাউ কেজিতে ৪০ টাকা, কলা ৭০ টাকা, শসা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া পটল কেজিতে ৫০ টাকা, পালং শাক ৪০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, লাল শাক ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, টমেটো এক শত টাকা এবং লেবু হালিতে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে নতুন করে পেঁয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২ শত টাকায়। সোনালি মুরগির দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ২ শত ৫০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫ শত টাকা কেজি দরে। সপ্তাহন্তে মুরগির দাম কমেছে ২০-৩০ টাকা।

বাজারভেদে গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৬ শত থেকে ৭ শত টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯ শত থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে।

কাঁচা বাজারের বাজার করতে আসা হালিম নামের এক ক্রেতা বলেন, হালকা হালকা শীত পড়াই বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। সরবরাহ বেশি থাকায় দাম গত সপ্তাহের থেকে কম তাই বাজার করতে এসে আজকে কিছুটা স্বস্তি পেলাম। সকল পন্যের দাম অনেকটা সহনীয়।

হোটেল বাজারে আসা রোকন নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে সবজির দাম কমেছে কিছুটা। কিন্তু আলুর দাম বেড়েই চলেছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান। আশা করি, শিগগিরই দাম নাগালের মধ্যে আসবে।




আলমডাঙ্গায় যুবক সবুজ হত্যার ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মোটরসাইকেলসহ যুবক সবুজকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার মাস্টারমাইন্ডসহ দু আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে গ্রেফতারকৃত আসামী সাগর। গতকাল দুপুরে আদালতে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

এদিকে, নৃশংস এ হত্যাকান্ডের মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে জঘন্য এ হত্যাকান্ডে জড়িত মাস্টারমাইন্ডসহ দুজনকে গ্রেফতার করে হত্যা রহস্য উন্মোচনের সাফল্য অর্জন করায় প্রশংসায় ভাসছেন আলমডাঙ্গা -চুয়াডাঙ্গা পুলিশ প্রশাসন। তবে, আসামীরা কী ধরণের স্বীকারুক্তি দিয়েছেন সে ব্যাপারে তথ্য,দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে পুলিশ। আজ ১৫ নভেম্বর পুলিশের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিং দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

জানা যায়, বাদেমাজুর যুবক সবুজ হত্যাকান্ডের কয়েক ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ৪ সন্দেহভাজনকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রাখে। এদের মধ্যে নিহত সবুজের সাবেক ব্যবসায়ী পার্টনার একই গ্রামের সৈকত, বর্তমান পার্টনার বন্ডবিল গ্রামের জিহাদ ও গোবিন্দপুর গ্রামের রঙমিস্ত্রি রাহাতের ছেলে মোটরসাইকেল মেকানিক সাগরকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আলমডাঙ্গা ফুড গোডাউনের নৈশপ্রহরী জহুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। জহুরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।

ওয়াকিবহালসূত্র জানিয়েছে — দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের নিকট মুখ খোলেন দুজন সাগর ও জহুরুল। তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। অন্য দুজনের এ হত্যাকান্ডে পুলিশ সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়নি। তবে এখনই এ দুজন সন্দেহমুক্ত নন।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুজনের মধ্যে সাগর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। নিজেকে ওই হত্যাকান্ডে জড়িত করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন বলে জানা যায়।

আদালতে প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, চাঁদাবাজি করতে গিয়েই এ নৃশংস হত্যাকান্ডের সূত্রপাত। সবুজ ইতালি চলে যাবেন। মোটরসাইকেল কেনাবেচার ব্যবসা করেন। তাছাড়া, টিভিএস ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল বিক্রির কথা চলছিল। তার নিকট থেকে সব টাকা হাতিয়ে নিতেই ঘাতকরা অপারেশন চালান।

আলমডাঙ্গার একাধিকসূত্রে জানা যায় – খাদ্যগুদামের নৈশপ্রহরী হওয়ার সুবাদে জহুরুল ইসলাম উপজেলা গেটের সামনের সরকারি গোডাউনের কোয়ার্টারে সপরিবারে বসবাস করতেন। হত্যাকান্ডের দুদিন আগে রাতে এ ফুড গোডাউনের ভেতরে জহুরুল সাগরসহ বেশ কয়েকজন যুবককে নিয়ে মিটিং করেন। সেই মিটিং-এ সবুজসহ বেশ কয়েক জনের নিকট চাঁদাবাজির সিদ্ধান্ত নেন। এ কাজে প্রয়োজনে খুন করতেও পিছুপা না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা।

হত্যার পূর্বে তারা সবুজের সাথে অন্তরঙ্গ আচরণ শুরু করেন। এভাবেই বন্ধুত্বের ফাঁদ পাতেন। তাদেরকে আলমডাঙ্গার অনেকেই একসাথে পুরি ও ফুচকা খেতে দেখেছেন। অনেকে দাবি করেছেন যে ঘটনার রাতে পোয়ামারী গ্রামে গিয়ে তারা এক সাথে বাউল গান শুনেছেন।

এক পর্যায়ে ঘটনার স্থলে নির্জন বাগানে নিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনার এক পর্যায়ে ঘাতকচক্র নিরীহ যুবক সবুজকে পিটিয়ে হত্যা করে।

পরে, এ হত্যাকান্ডের আলামত বিনষ্ট করতে তারা সবুজের লাশের উপর তার নিজের মোটরসাইকেল রেখে আগুন জ্বেলে দেওয়া হয়। আগুনের লেলিহান শিখায় মেহগনি বাগান উজ্জ্বল হয়ে উঠে। ভয় পেয়ে ঘাতকচক্ত দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে পারেন। প্রসঙ্গত, আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়চাপড়া-কাশিপুর সড়কের গজারিয়া মাঠের বিজন মেহগনি বাগান থেকে পুলিশ ১৩ নভেম্বর সকালে মোটরসাইকেল চাপা দেওয়া অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তিন যুবককে থানায় নিয়ে গেছেন।

নিহত যুবকের নাম সবুজ আলী (২১)। তিনি উপজেলার বাদেমাজু গ্রামের গরু ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি পুরাতন মোটরসাইকেল ক্রয়বিক্রয় ব্যবসা করতেন। ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় সবুজ বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন জনৈক অনিকের ফোন পেয়ে। পরে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। নিহত সবুজের বোন জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে সবুজের মোবাইলফোনে রিং হচ্ছিল। সে সময় সবুজের মা রিং রিসিভ করতে যেতে চাইলে সবুজ নিজেই গিয়ে ফোন রিসিভ করে কথা বলতে বলতে বাড়ি থেকে বের হন। ১২ নভেম্বর বিকেলে এক ব্যক্তি নিজেকে অনিক নামে পরিচয় দিয়ে সবুজকে ফোন করে মোটরসাইকেল কেনার জন্য দেখা করতে বলে। সবুজ তখন তার সাথে কথা বলতে বলতে বের হয়ে যান। পরে আর বাড়ি ফেরেন নি।

এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে গতকাল ১৪ নভেম্বর এজাহার দায়ের করেছেন নিহত সবুজের পিতা জয়নাল আবেদীন।

নৃশংস এ হত্যাকান্ডের মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে জঘন্য এ হত্যাকান্ডে জড়িত মাস্টারমাইন্ডসহ দুজনকে গ্রেফতার করে হত্যা রহস্য উন্মোচনের সাফল্য অর্জন করায়, ঘাতকের আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন আলমডাঙ্গা -চুয়াডাঙ্গা পুলিশ প্রশাসন। ঘটনার পর থেকে পুলিশ সুপারের বলিষ্ঠ তত্বাবধান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে থানা পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন এজেন্সির তৎপরতা, এক সাথে অসাধারণ টিমওয়ার্ক ছিল চোখে পড়ার মত। সব মিলিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ প্রশাসন।




গাংনীতে পেশাজীবী সচেতনতা ও প্রকাশ্য বিনিয়োগ বিতরণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৭৫০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় হিসাবধারী প্রান্তিক, ভূমিহীন কৃষক, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী” এর মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রকাশ্যে বিনিয়োগ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে গাংনী উপজেলার সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের নির্দেশনায় লিড ব্যাংক আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির আয়োজনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের বামুন্দী শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ হাসান ওয়ায়েজ আল সাগরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি উইং একে এম আমজাদ হোসেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট এর যুগ্ম-পরিচালক ঝুমা রানী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক তানিয়া ভূঁইয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খুলনা জোনাল অফিস সৈয়দ মনিরুল আলম, সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান।

বিশেষ অতিথি তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, এই লোনটা সবাই পাক। সবার কাছে যাক এতে করে সবাই আর্থিক ভাবে ভালো থাকবেন। সকলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা চিন্তা করে এই লোনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।

সভাপতি একেএম আমজাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এই পুনর্বাসন স্কিম টাকে ৫০০ কোটি টাকা থেকে ৭৫০ কোটি টাকা করেছে।

অনেকে ব্যবসায় লস খেয়ে পুজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। তাদেরকে ধরে রাখতেই এই পুনর্বাসন স্কিম করা। আমরা যে সকল ব্যাংক এর সাথে যুক্ত আছি তারা যদি এই ৭৫০ কোটি টাকার সঠিক ভাবে বিতরণ করতে পারি তাহলে আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ হবে।

এই স্কিমটা একটি আবর্তনশীল স্কিম। আমরা সক্ষম হলে পরবর্তীতে এই স্কিম ১০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

প্রধান অতিথি ঝুমা রানী বলেন, ২০১৪ সালে ২০০ কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে এই স্কিম প্রথম শুরু হয়।

পরবর্তীতে এর চাহিদা বাড়ায় বর্তমানে এর ফান্ড ৭৫০ কোটি টাকায় উন্নিত হয়। আমাদের প্রায় ৫০ ক্যাটাগরির পেশাজীবি আছে। তারা এই সুবিধা নিতে পারবে।

এর বাইরেও স্টুডেন্ট রা ১০০ টাকার একটা একাউন্ট খুলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতে পারবে। বই কেনা, উপবৃত্তি সহ অন্যান্য সুবিধা নিতে পারবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, এই স্কিমটাবিশষ করে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের জন্য করা। তারা যেন তাদের কৃষিকাজ সঠিকভাবে করতে পারে। অর্থের অভাবে যেন উৎপাদন বন্ধ হয়ে না যায়।

এজন্যই এই পুনর্বাসন স্কিম করা হয়েছে। বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় বিভিন্ন ধরনের ফসল, সবজি এবং ফলের চাষ হয়। এই সকল চাষীরা এখান থেকে লোন নিয়ে তাদের কাজ করতে পারবে।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ও তাদের বিনিয়োগ গ্রহীতারা।




মুজিবনগরে ডা: জামাল উদ্দিন মডেল একাডেমির অভিভাবক সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরের দারিয়াপুরে ডাক্তার জামাল উদ্দিন মডেল একাডেমির আয়োজনে, অভিভাবক সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ (১০ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলার দারিয়াপুর শালিকা রোডে অবস্হিত ডাক্তার জামাল উদ্দিন মডেল একাডেমি প্রাঙ্গনে অভিভাবক সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।

একাডেমির প্রধান শিক্ষক শিক্তা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন,ডাক্তার জামাল উদ্দিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডঃ মোস্তফা মোঃ গোলাম মোর্তজা।ডিজেইউএফ শ ম রেজাউল হক রাজু এর সঞ্চালনায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফিরাতুল ইসলাম মাস্টার, আনারুল ইসলাম, শামীম রেজা, ডাক্তার জামাল উদ্দিন মডেল একাডেমীর পর্যবেক্ষণ আব্দুল আলিম চপল,ডা:সাদেক আলী।

অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভালো ফলাফল করা শিক্ষার্থীদের সম্মান সূচক পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অভিভাবক সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সুধিবৃন্দ, অভিভাবক, শিক্ষকবৃন্দ ও ডিজেইউএমএ এর কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহন করে।




সবাইকে ছাড়িয়ে আল্লু অর্জুন

দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতা আল্লু অর্জুন নতুন ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে। পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে তিনি পিছনে ফেলেছেন সালমান খান, শাহরুখ খান ও প্রভাসের মতো তারকাদের। বর্তমানে তিনি একজন সিনেমার জন্য সর্বাধিক পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের শীর্ষে অবস্থান করছেন।

 

*বলিউড লাইফ*-এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, আল্লু অর্জুন তার আসন্ন সিনেমা *পুষ্পা: দ্য রুল* এর জন্য ৩০০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন, যা তাকে ভারতের সর্বাধিক পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সুকুমার।

 

*পুষ্পা: দ্য রুল* সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ৫ ডিসেম্বর। এতে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে আল্লু অর্জুন, রাশমিকা মান্দানা ও ফাহাদ ফাসিলকে।

 

এর আগে *পুষ্পা: দ্য রাইস* ২০২১ সালে মুক্তি পায় এবং বিশ্বব্যাপী ৩৫০ কোটি রুপির বেশি আয় করে। এই সিক্যুয়েলটি প্রযোজনা করেছে মিথ্রি মুভি মেকার্স।




ঝিনাইদহে আন্তঃস্কুল বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত

“স্কুল হোক বিজ্ঞান শিক্ষার আনান্দময় কর্মকান্ডের কেন্দ্র বিন্দু” এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে ঝিনাইদহে ৪র্থ আন্তঃস্কুল বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়েলফেয়ার এফোর্টসের (উই) ঝিনাইদহ শাখার আয়োজনে ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আজ (১৪ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার দিনব্যাপি ঝিনাইদহ নিউএকাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

আরো  পড়ুনঃ মেহেরপুর জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ কমিটির অনুমোদন

সরকারী নুরুনন্নাহার মহিলা কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ এন,এম শাহাজালালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ কেশব চন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুল মতিন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারিকেল বাড়িয়া আমেনা খাতুন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুর রহামান টুকু, ওয়েলফেয়ার এফোর্টসের (উই) এর পরিচালক শরিফা খাতুন ও ঝিনাইদহ নিউ একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান।

আরো  পড়ুনঃ আলমডাঙ্গায় যুবকের পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার, দুই যুবক আটক

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এম কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহি উদ্দীন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নির্বাচিত ২০টি ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।




মুজিবনগরে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে প্রচারণা

“সবাই মিলে প্লাস্টিক দূষণ রোধ করি
বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য টেকসই পরিবেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যে মুজিবনগরে নিষিদ্ধ পলিথিন/পলিপ্রপাইলিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সারা দেশব্যাপী গত ১লা নভেম্বর থেকে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এই অভিযানের অংশ হিসাবে প্রাথমিক পর্যায়ে জনসাধারণকে সতর্ক এবং নীরুৎসাহিত করতে প্রচারণা চালিয়েছে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলাম এবং জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোজাফ্ফর খান, উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে এই প্রচারণা চালান। এ সময় নিষিদ্ধ পলিথিন /পলিপ্রপাইলিন বাজারজাতকরণ ও ব্যবহারের জনসাধারণকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করেন।

এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন পহেলা নভেম্বর থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন এর বিরুদ্ধে সারাদেশে অভিযান শুরু হয়েছে তবে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে আপনাদেরকে সতর্ক করছি যাতে নিষিদ্ধ পলিথিন / পলিপ্রপাইলিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার থেকে আপনারা বিরত থাকেন কারণ পলিথিন পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মকে একটি সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে চাই তাই আসুন আমরা নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করি এবং এর বিকল্প ব্যবহার করি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আব্দুর রাজ্জাক মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী ও ওমর ফারুক প্রিন্স সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান। নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে জনসাধারণকে মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে সেটি তুলে ধরা হলো। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পর্কিত নির্দেশনা দেওয়া হয়।

প্লাস্টিকের ব্যাপক ব্যবহারজনিত সৃষ্ট দূষণ বিশেষতঃ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রী হতে সৃষ্ট দূষণ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে বিরাজ করছে। এ প্রেক্ষাপটে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অধস্তন দপ্তর/সংস্থা সমূহকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক (SUP) এর ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা। এ ধারাবাহিকতায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ক্রমান্বয়ে বন্ধ করার (Phase out) লক্ষ্যে কঠিন বর্জ্য বিধিমালা ২০২১’ এর বিধি-৯ এর আলোকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক এর তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে ২৮/০৮/২০২৪ খিঃ তারিখ সরকার কর্তৃক জারি করা হয়েছে।

বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে সকল দপ্তর/সংস্থায় তালিকাভূক্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার লক্ষ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রীর পরিবর্তে নিম্ন-লিখিত বিকল্পের প্রস্তাবনা করেছে যা আপনার মাধ্যমে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অধস্তন দপ্তর/সংস্থা সমূহকে অবহিত করা আবশ্যক:
প্লাস্টিকের ফাইল বা ফোল্ডারের পরিবর্তে কাগজ বা পরিবেশ বান্ধব অন্যান্য সামগ্রীর ফাইল ও ফোল্ডার ব্যবহার করা।

প্লাস্টিকের ব্যাগের পরিবর্তে কটন/জুট ফেব্রিক্সের ব্যাগ ব্যবহার করা। প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে কাঁচের বোতল বা কাঁচের গ্লাস ব্যবহার করা। প্লাস্টিকের ব্যানারের পরিবর্তে কটন ফেব্রিক্স, জুট ফেব্রিক্স বা বায়োডিগ্রেডেবল উপাদানে তৈরী ব্যানার ব্যবহার করা।দাওয়াতপত্র, ভিজিটিং কার্ড ও বিভিন্ন ধরনের প্রচার পত্রে প্লাস্টিকের লেমিনেটেড পরিহার করা। বিভিন্ন সভা/সেমিনারে সরবরাহকৃত খাবারের প্যাকেট যেন কাগজের হয়/পরিবেশ বান্ধব হয় সেটি নিশ্চিত করা। একবার ব্যবহার্য্য প্লাস্টিকের প্লেট, গ্লাস, কাপ, স্ট্র, কাটলারিসহ সকল ধরনের পণ্য পরিহার করা।প্লাস্টিকের কলমের পরিবর্তে পেন্সিল/কাগজের কলম ব্যবহার করা।

বার্ষিক প্রতিবেদন সহ সকল ধরনের প্রকাশনায় লেমিনেটেড মোড়ক ও প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহার করা। ফুলের তোড়া (Flower Bouquet) -তে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা।




মেহেরপুরের গড় পুকুরে সৌন্দর্য বর্ধনে বৃক্ষরোপণ

মেহেরপুর পৌরসভা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে মেহেরপুরের ঐতিহ্যবাহী গড় পুকুরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নানা প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে।

আজ (১৪ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের গড় পুকুরের চারপাশে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পৌর সভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মোঃ শামীম হোসেন।

এসময় তিনি বলেন, পুকুরের চারপাশে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও মনোরম পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এছাড়াও এসময় পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম ওবায়দুল্লাহ, সহকারী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা খন্দকার জাহিদুল হক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মেহেরপুর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্ববায়ক তামিম ইসলাম, আশিকুর রহমান শিশিরসহ শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।

বৃক্ষরোপণের ফলে পুকুরের পরিবেশ আরও সবুজ ও মনোরম হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।




জীবননগরে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

জীবননগরে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় জীবননগর বাসস্ট্যান্ডের মুক্ত মঞ্চে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভায় লিখিত বক্তব্য মোঃহিজবুল্লাহ বলেন, ইকতা এবং আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, শাকিল, মুঞ্জিল, জাহিদ ও সজলের বিরুদ্ধে আজ বুধবার দৈনিক মাথাভাঙায় আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মাস্তানি বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় যা আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে আমরা বলতে চাই গত ১১-১১-২০২৪ রোজ সোমবার রাত ১০টার দিকে জীবননগর পৌর শহরের হাসপাতাল পাড়ার মোশারফ হোসেনের ছেলে লেলিনের কাছে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং মার মুখে আচরণ করে। পরবর্তীতে সেখানে জীবননগর পৌর শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের পুটু হোসেনের ছেলে বিদ্যুৎ চলে আসে এবং পুনরায় আমাদের ওপর মার মুখি আচরণ করে। পরবর্তীতে আমরা সেখান থেকে চলে আসি এছাড়াও প্রকাশিত সংবাদে সম্রাট অটোর সামনে টাকা ছিনতাই এবং ভ্যান থেকে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা কেড়ে নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। এছাড়াও প্রকাশিত সংবাদে আমার রাজনৈতিক সহযোগিতা মুঞ্জিলের বিরুদ্ধে আনতো জেলা ঢাকাত দলের সদস্য হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয় সেই সাথে মাগুরায় সে অস্ত্রসহ ধরা পড়েছে এমন বিষয় উল্লেখ করা হয় যা সত্যিকার অর্থে কাল্পনিক ঘটনা। মঙঞ্জিলের বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশে কোন ডাকাতি বা অস্ত্রের সাথে সম্পর্কিত এরূপ কোন মামলা নাই। প্রকাশিত সংবাদ যেটি হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।

বিশেষ করে জীবননগর উপজেলা বিএনপি’র সুনাম ক্ষুন্ন সহ জাতীয়তাবাদী বিএনপি’র সুনাম নষ্ট করার জন্য কিছু ব্যাক্তি এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর এবং হতাশাজনক।

চুয়াডাঙ্গা জেলার সম্মানিত আহবায়ক ও চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের জাতীয়তাবাদী বিএনপি’র কান্ডারী মাহমুদ হাসান খান বাবুর নির্দেশে আমরা জীবননগর উপজেলায় বিএনপিকে সুসংঘটিত সহ দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের এই সুনামকে নষ্ট করার জন্য একদল কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে। আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ইকতা, হিজবুল্লাহ, শাকিল, মুঞ্জিল প্রমুখ।