খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক রেবেকা খান।
তিনি বলেন, আমরা একসময় সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিতে পারতাম না। এখন ১৮ কোটি মানুষের এই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এই খাদ্য নিরাপদ করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থা এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
আজ রবিবার সকালে কুষ্টিয়া শহরের দিশা টাওয়ার মিলনায়তনে নিরাপদ খাদ্য নীতি সেনসিটাইজেশন কর্মশালায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোরগোঁড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ও ভোক্তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছে।
তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থা বিশেষত বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বাজারে খাবারের নিরাপদতা নিশ্চিত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি স্থানীয় শিশুখাদ্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ব্যতীত ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না বলে জানান। ষ্ট্রীট ফুডের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপদতা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক রেবেকা খান ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, বিএসটিআই’র উপপরিচালক আরাফাত হোসেন, ইউএসএআইডির সিনিয়র ম্যানেজার আশিক বিল্লাহ ও নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজীব পাল প্রমুখ।
কর্মশালায় ক্যাব সভাপতি, চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিরপরিচালক ও হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক ও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।