খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে

খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক রেবেকা খান।

তিনি বলেন, আমরা একসময় সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিতে পারতাম না। এখন ১৮ কোটি মানুষের এই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এই খাদ্য নিরাপদ করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থা এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

আজ রবিবার সকালে কুষ্টিয়া শহরের দিশা টাওয়ার মিলনায়তনে নিরাপদ খাদ্য নীতি সেনসিটাইজেশন কর্মশালায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোরগোঁড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ও ভোক্তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছে।

তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থা বিশেষত বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বাজারে খাবারের নিরাপদতা নিশ্চিত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি স্থানীয় শিশুখাদ্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ব্যতীত ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না বলে জানান। ষ্ট্রীট ফুডের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপদতা সম্পর্কে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক রেবেকা খান ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, বিএসটিআই’র উপপরিচালক আরাফাত হোসেন, ইউএসএআইডির সিনিয়র ম্যানেজার আশিক বিল্লাহ ও নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজীব পাল প্রমুখ।

কর্মশালায় ক্যাব সভাপতি, চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিরপরিচালক ও হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক ও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।




‘ট্রমা বন্ডিং’-এ আছেন কি

আঘাতমূলক সম্পর্ক বা ট্রমা বন্ডিং ধারণাটি সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। ধারণাটি আমাদের মধ্যে নতুন হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুর রহমান জানান, এটি এমন এক মানসিক বন্ধন যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ যাকে আপন মনে করছে তার কাছ থেকেই আঘাত পায়। ভালোবাসা, নির্ভরশীলতা, অসম সম্পর্ক, একপাক্ষিক সম্পর্কই এর কারণ।

ট্রমা বন্ডিং কী
এই ধরনের সম্পর্কে একজন সঙ্গী তার সঙ্গীর ওপর কর্তৃত্ববাদী আচরণ করেন, সঙ্গীকে অপমান করেন। তারপর আবার ভালো ব্যবহার, উপহার, অনুশোচনা প্রকাশের মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সম্পর্কে থাকা অপর ব্যক্তিও একসময় অনেককিছুই মেনে নেন। ভাবতে শুরু করেন এটি হয়তো বা সঙ্গীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। চাইলেও সে সম্পর্ক থেকে তিনি বের হয়ে আসতে পারেন না। তারা নিজেরাই নিজেদের বোঝান যে, তার সঙ্গী সংগত কারণে তার ওপর বিরক্ত ছিলেন। নিজের ওপরই তখন দোষ চাপান। আবার ফিরে আসেন সম্পর্কে। বুঝতেও পারেন না তিনি আবার টক্সিক সম্পর্কেই ফিরছেন।

এমনটা কোথায় দেখা যায়
ভালোবাসার সম্পর্কে, দাম্পত্যে ট্রমা বন্ডিং দেখা যায়। তাছাড়া শিশু, বন্ধু, অফিসের সহকর্মী, এমনকি পরিবারেও ট্রমা বন্ডিং দেখা যায়। মানুষ সহজাতভাবেই পারস্পরিক বন্ধন ভাঙতে চায় না। যারা খুব দ্রুত অন্যের ওপর মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন তাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ট্রমা বন্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। নারী-পুরুষ, এমনকি শিশুরাও এই ধরনের সম্পর্কের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। তবে নারীরাই এ ধরনের সম্পর্কের শিকার হন বেশি।

কেন এমন হয়
উত্তর হলো, নির্ভরশীলতা। সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানুষ একটা পর্যায়ে অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। সম্পর্কের শুরুতে সুন্দর একটি সময় কাটানো হয় বলে সঙ্গীর ছেড়ে যাওয়ার ভয় তার মধ্যে কাজ করতে শুরু করে। সঙ্গীকে হারিয়ে একাকী হয়ে পড়ার ভয় পান তিনি। তাই তিনি অবচেতন মনে নিজেকে বোঝান, দোষটি আসলে তারই। এ জন্যই তিনি ওই সম্পর্কের স্বার্থে থেকে যান। টিকে থাকতে চান। আর এভাবেই একটা চক্রে আটকে যান। এই চক্র থেকে আর বের হতে পারেন না।

বের হওয়া যায় কীভাবে
আত্নসম্মানবোধ ভেঙে গেলে এ ধরনের সম্পর্ক থেকে বের হওয়া কঠিন। নির্ভরশীলতাই এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা। নিজের মধ্যে আত্নসম্মানবোধ বাড়ানো এখানে জরুরি।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কোটা সংস্কারের দাবিতে ঝিনাইদহে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। আজ রবিবার (১৪ই জুলাই) সকাল ১১ টার সময় ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী স্কুল মাঠ থেকে ঝিনাইদহে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে অবশেষে পায়রার চত্বরে একটি সমাবেশ করে। উক্ত সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন শারমিন সুলতানা, সমষ্টি পরিচালনা করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নুসরাত জাহান সাথী, এলমা, রেহান, স্বাধীন, সাইদুর, এনামুল।

সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির নিকট স্মারকলিপি পাঠান।




মেহেরপুরে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (১৪ জুলাই ) সকাল ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন।

এসময় পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম ভূঁইয়া, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্দুল্লাহ আল আমীন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতীম কুমার সাহা, মুজিবনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত আহমেদ রত্ন, জেলা কমান্ড্যান্ট প্রদীপ চন্দ্র দত্ত, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী কাদের মোঃ ফজলে রাব্বি, ডা.অলোক কুমার দাস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও এসময় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নীলা হাফিয়া, ইফার উপ-পরিচালক সিরাজুম মুনির, মৎস্য কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল হাশেম, সরকারি কলেজের প্রভাষক মুন্সী রাশেদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




নিয়োগ দিবে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড সম্প্রতি জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ১৮ শূন্য পদে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৩৩৪ জনকে নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড

পদ ও জনবল : ১৮টি ও ৩৩৪ জন

চাকরির ধরন : অস্থায়ী

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের মাধ্যম : অনলাইন

আবেদন শুরুর তারিখ : ১৫ জুলাই, ২০২৪

আবেদনের শেষ তারিখ : ১৪ আগস্ট, ২০২৪

১. পদের নাম : হিসাবরক্ষক

পদসংখ্যা : ১৭৭ টি

বেতন : ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (১১তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : দ্বিতীয় বিভাগসহ বিকম ডিগ্রি

২.পদের নাম : সহকারী আর্টিস্ট

পদসংখ্যা : ১টি

তন : ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (১১তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : শিল্পকলায় স্নাতক ডিগ্রি

৩. পদের নাম : স্টোনোগ্রাফার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা : ৫টি

বেতন : ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (১৩তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

৪. পদের নাম : অফিস সহকারী/উচ্চমান সহকারী

পদসংখ্যা : ৬টি

বেতন : ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (১৩তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক ডিগ্রি

৫. পদের নাম : গবেষণা অনুসন্ধানকারী

পদসংখ্যা : ৩টি

বেতন : ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (১৩তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : অর্থনীতি/পরিসংখ্যানসহ স্নাতক ডিগ্রি

৬. পদের নাম : পরিসংখ্যান সহকারী

পদসংখ্যা : ২টি

বেতন : ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (১৩তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : অর্থনীতি/পরিসংখ্যানসহ স্নাতক ডিগ্রি

৭. পদের নাম : নিরীক্ষা সহকারী

পদসংখ্যা : ৭টি

বেতন : ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (১৩তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : দ্বিতীয় বিভাগসহ বিকম ডিগ্রি

৮. পদের নাম : হিসাব সহকারী

পদসংখ্যা : ৩৬টি

বেতন : ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (১৩তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : দ্বিতীয় বিভাগসহ বিকম ডিগ্রি

৯. পদের নাম : ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা : ২টি

বেতন : ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (১৩তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : দ্বিতীয় বিভাগসহ বিকম ডিগ্রি

১০. পদের নাম : স্টেনোটাইপিস্ট কাম-কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা : ৭টি

বেতন : ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (১৪তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পাস

১১. পদের নাম : প্রশিক্ষক

পদসংখ্যা : ১টি

বেতন : ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (১৫তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পাসসহ ট্রেড কোর্সে দুই বছরের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

১২. পদের নাম : ড্রাফটসম্যান

পদসংখ্যা : ১টি

বেতন : ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (১৫তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : ড্রাফটসম্যানশিপে সার্টিফিকেটসহ এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

১৩. পদের নাম : অফসেট প্রিন্টিং অপারেটর

পদসংখ্যা : ১টি

বেতন : ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (১৫তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : অপসেট লিথো ইলেকট্রিক স্টেনসিল কাটা ও ডুপ্লিকেটিং মেশিন চালনায় দুই বছরের অভিজ্ঞতাসহ বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

১৪. পদের নাম : অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা : ৩০টি

বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (১৬তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

১৫. পদের নাম : ডাটা এন্ট্রি অপারেটর

পদসংখ্যা : ৩টি

বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (১৬তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

১৬. পদের নাম : প্রুফরিডার

পদসংখ্যা : ১টি

বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (১৬তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : প্রুফরিডিংয়ে দুই বছরের অভিজ্ঞতাসহ এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

১৭. পদের নাম : স্টোর কিপার

পদসংখ্যা : ১টি

বেতন স্কেল : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (১৬তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্টোর কিপিংয়ে দুই বছরের অভিজ্ঞতাসহ এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

১৮. পদের নাম : অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা : ৫০ টি

বেতন : ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (২০তম গ্রেড)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : অষ্টম শ্রেণি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

আবেদন ফি : ১ ও ২নং পদের জন্য টেলিটক সার্ভিস চার্জসহ ৩৩৫ টাকা, ৩ থেকে ১৭নং পদের জন্য ২২৩ টাকা এবং ১৮নং পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১১২ টাকা জমা দিতে হবে।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে  এখানে ক্লিক করুন।




রান্নাঘরের কান্না

পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাবান্না
তেলের বদল পানি,
আমায় ছাড়া রাঁধছো রান্না
কয় মরিচে জানি।

ইফতারে খাও বরই তোমরা
দেশীয় ফল ভালো,
বেগুনের দাম আকাশচুম্বী
কুমড়োয় বেশন ঢালো।

আদা রসুন বাদ দিয়ে দাও
শাকপাতা সব খাবে,
বাঁচবে টাকা ভাগ্যের চাকা
হায়াতটা ফাও পাবে।

বাঁচাও বনের পশুপাখি
গোস্ত নাহি খেও,
সখ্য গড়ে জলে ভাতে
দিন পার করে যেও।

মিতব্যয়ী হও রে মানুষ
বাজার এখন গরম,
জীবন বৈরী হালহকিকত
নয় দোকানী নরম।




মেহেরপুরে মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালিত

মেহেরপুরে মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে‌। দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসন ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে আজ রবিবার (১৪ জুলাই ) সকাল ১০ টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এর আগে “মাদকের আগ্রাসন দৃশ্যমান, প্রতিরোধেই সমাধান” এই প্রতিপাদ্যে একটি র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি বাদ্যের তালে তালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন।

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল ফেরদৌসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শামীম ভূঁইয়া, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক সিরাজুম মনির, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও এসময় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে পরিদর্শক আবুল হাশেম, জেলা কমান্ড আনসার ভিডিপি প্রদীপ চন্দ্র দত্তও উপস্থিত ছিলেন।

পরে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।




১৫ আগস্ট দুই বাংলায় মুক্তি পাবে ‘পদাতিক’

প্রখ্যাত নির্মাতা মৃণাল সেনের বায়োপিক নির্মাণ করেছেন সৃজিত মুখার্জি। ‘পদাতিক’ নামের এ সিনেমায় মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

আগামী ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে এটি পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। একই দিনে সিনেমাটি মুক্তি পাবে বাংলাদেশেও। গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রযোজক আব্দুল আজিজ।

বাংলাদেশে সিনেমাটি আমদানি করছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। শনিবার (১৩ জুলাই) প্রতিষ্ঠানটির তরফে তাদের ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দিয়েছে।

জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশেও মুক্তি পাবে পদাতিক। সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা চূড়ান্ত হয়েছে। পদাতিক আমদানির জন্য ইতিমধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি আমরা। আশা করছি, শিগগিরই প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়ে যাব।’

এর আগে মোশাররফ করিম অভিনীত ‘হুব্বা’ সিনেমাটিও বাংলাদেশে আমদানি করেছিল জাজ মাল্টিমিডিয়া। হুগলির ডনখ্যাত হুব্বা শ্যামলকে কেন্দ্র সিনেমাটি পরিচালনা করেন ব্রাত্য বসু।

পদাতিক প্রযোজনা করেছে ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন। এতে মৃণাল সেনের যুবক ও বয়স্ক-দুই চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে। নির্মাতার কিশোর বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কোরক সামন্ত। মৃণালের স্ত্রী গীতা সেনের চরিত্রে রয়েছেন মনামী ঘোষ। মৃণালপুত্র কুণাল সেনের চরিত্রে আছেন সম্রাট চক্রবর্তী।

সূত্র: ইত্তেফাক




পাখিভ্যান হারিয়ে প্রতিবন্ধী জিয়ারুল এখন দিশেহারা

কোনো কাজ করতে পারেননা প্রতিবন্ধী জিয়ারুল ইসলাম (৩২)। অন্যের কাছে ধারদেনা করে ইঞ্জিনচালিত একটি পাখিভ্যান কেনেন তিনি। এই ভ্যান চালিয়েই চার সদস্যের মুখে আহার জোগাতেন তিনি। ছিনতাইকারীর হাতে পাখিভ্যানটি হারিয়ে প্রতিবন্ধী জিয়ারুল ইসলাম এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

প্রতিবন্ধী জিয়ারুল জেলার গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের উত্তরপাড়ার নায়েব আলীর ছেলে। তিনি জানান, ‘গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে ভ্যানটি নিয়ে বাড়ি থেকে গাংনী উপজেলা শহরে যাচ্ছিলাম। হাড়িয়াদহ ও মালশাদহ মাঠে পৌছানো মাত্রই ৫/৭ জনের ছিনতাইকারী দল আমার পাখিভ্যানটি ছিনিয়ে নেয়। পরে চোখ বেঁধে সড়কের পাশেই মাঠের মধ্যে গাছের সাথে বেঁধে রাখে।’

একই সময়ে ওই সড়কে যাত্রী বোঝাই আলী হোসেন নামের অপর ভ্যান চালকের পাখিভ্যান ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায় ওই দলটি। আলী হোসেন ও তার ভ্যানের যাত্রীরা চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাতেই গাংনী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

রাইপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য রাজু আহমেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম পুলিশের একটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থল যাই।  ইতোমধ্যে ভ্যানটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে আজ রবিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর এ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলামসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তারা ঘটনাস্থলের পাশেই ইটভাটার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন।




গাংনীর জোড়পুকুরিয়াতে আগুনে পুড়লো দরিদ্র মাছ ব্যবসায়ীর স্বপ্ন

গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে এক দরিদ্র মাছ ব্যবসায়ী বসতবাড়িসহ গোয়াল ঘরে থাকা ২টি গরু পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে।

আজ রোববার সকাল ১১ সাহারবাটি ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সাইরপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী হারান আলীর বসতঘরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। হারান আলী ওই এলাকার চান আলী’র ছেলে। এঘটনায় ওই কৃষকের কমপক্ষে ৪ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী গৃহকর্তা।

অগ্নিকান্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহাবুদ্দীন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় হারান আলীর ছোট বোন রঙ্গিলা ও স্বামী পরিত্যক্ত বাছেনা খাতুনের ঘরবাড়িও পুড়ে গেছে। জানা গেছে, জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সাইরপাড়া বাসিন্দা হারান আলী পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। সময়ে সময়ে তিনি দিনমজুরী কাজও করেন। তাদের বসতঘর লাগোয়া ছিল গরুর গোয়াল ঘর। আজ সকাল ১১ টার দিকে তার বোন রঙ্গিলা খাতুনের বসতঘরে বৈদ্যুতিক সটসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। ওইসময় আগুন মুহূর্তে বসতঘর থেকে পাশের গোয়াল ঘর ও খড়ের গাদায় ছড়িয়ে পড়ে।

ইউপি মেম্বর শাহাবুদ্দীন বলেন, ওইসময় বসতঘরে পরিবার সদস্যরা ছিলোনা। আগুন ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পানি ছিটিয়ে নেভানোর পাশাপাশি বামন্দী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ততক্ষণে গোয়াল ঘরে থাকা ২টি গরু পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডে বসতঘরের সঙ্গে নগদ সাড়ে ৬ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ও বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

খবর পেয়ে বামন্দী ফায়ার স্টেশনের পানিবাহি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ততক্ষনে কৃষক দরিদ্র মাছ ব্যবসায়ী হারান আলী, রঙ্গিলা খাতুন ও বাছেনা খাতুনের সহায় সম্বল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে রয়েছে তিনটি পরিবারের সদস্যরা। গৃহকর্তা হারান আলী বলেন, আগুন লাগার সময় পরিবার সদস্যরা কেউ ছিলনা। আগুনে পুড়ে সবকিছু ভস্মিভূত হয়ে গেছে আমার।