ঝিনাইদহে কোঠা বিরোধীদের পদযাত্রা ও সমাবেশ

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে সারাদেশর ন্যায় ঝিনাইদহেও কর্মসূচী পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রবিবার ১১ টায় শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে জড়ো হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে একটি পদযাত্রা শুরু হয়। এতে কোঠা বিরোধী নানা শ্লোগান দিতে থাকে তারা। পদযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। সমাবেশে শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা, রিহান হোসেন, নুসরাত জাহান সাথী, ইলমা রহমান, স্বাধীন হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কেসি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রদাণ করেন।

বক্তারা, কোটাবৈষম্য নিরসনে সংসদে আইন পাশের লক্ষ্যে জরুরি অধিবেশন আহ্বান এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।




বীজ সিন্ডিকেটের কবলে হারিয়ে যাচ্ছে ‘হরিধান’ চাষ

ঝিনাইদহ তথা সারা বাংলাদেশের মধ্যে আলোচিত ও চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী জাতের নাম “হরিধান” একটি ব্র্যান্ড ।

হরিধান নিঃসন্তান হরিপদ কাপালীর সন্তান। বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীর নামের পাশে জাত কৃষক হরিপদ কাপালীর নাম উঠেছে। পাঠ্যসুচিতে উঠে এসেছে হরিপদ কাপালীর “হরিধান” আবিস্কারের তথ্য। অথচ সেই হরি ধান আজ বীজ সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে। অধিক ফলনশীল ও খরা সহিষ্ণু এই ধান এখন আর কৃষকের উন্মাদনার কারণ হয় না। হরিধান নিয়ে তারা আর ভাবে না। তাদের মাথায় কেবলই বিদেশী বীজ কোম্পানীর উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষের ভাবনা। কৃষকের এই ভাবনা থেকে সময়ের ব্যবধানে হরি ধান মাঠ থেকে হারিয়ে গেছে। এখন আর মাঠে মাঠে দেখা মেলে না হরি ধানের সোনালী ক্ষোত।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, হরিধানের চাল মোটা হলেও ভাত সুস্বাদু। এই ধানের গাছ পুষ্ট ও লম্বা হওয়ায় বিচালির দাম অন্যান্য জাতের তুলনায় বেশি। এছাড়া কম সারে অধিক ফলন। এতো গুন বা বৈশিষ্ট্য থাকার পরও ঝিনাইদহ জেলাতে হরি ধান চাষ সম্প্রসারন করা যায়নি। হরি ধানের উদ্ভাবক প্রয়াত কৃষক হরিপদ কাপালি জেলা পর্যায়ের নানা পুরস্কার পেলেও এখনো জাত হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি পায়নি হরিধান। এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা রতনপুর, মধুহাটি, মামুনশিয়া ও ধোপাবিলা গ্রামে কিছু কৃষক হরি ধান চাষ করছেন। তবে এই ধানের আবাদ সম্প্রসারিত না হওয়ার কারণে হরি ধান ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে। কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, বিদেশী বীজ কোম্পানীর বাজার নিয়ন্ত্রনের কারনে সিন্ডিকেটের সাথে পাল্লা দিয়ে বাজারে টিকতে পারেনি হরি ধান। যার ফলে আমাদের এলাকার উদ্ভাবিত হরি ধানের বীজ হারানোর পথে।

হরিপদ কাপালীর পালিত পুত্র রূপকুমার জানান, হরি ধানের জাতটি বীজকেন্দ্রীক বাজারজাতের কৌশলের কাছে টিকতে পারেনি। উচ্চফলনশীল জাতটি সুকৌশলে একটি মহল বাজার থেকে উঠিয়ে দিয়েছে। প্রথম দিকে এ ধানে কোনো রোগবালাই ধরেনি। কিন্তু জমিতে একই ফসল বারবার চাষ করলে উৎপাদন কমে যায়। সে কারণেই হয়তো কৃষকরা হরি ধান তেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয়ে হরি হরিপদ কাপলীর উদ্ভাবনা নিয়ে প্রথম সংবাদ প্রচারকারী সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ কাজল জানান, যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকায় প্রথম এই খবরটি প্রকাশ হলে দেশে হৈচৈ পড়ে যায়। এরপর দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ^ মিডিয়া লুফে নেয় হরিপদ কাপালীর উদ্ভাবনার খবরটি। তিনি আরো জানান, কৃষকের মাঝে হরি ধান চাষ প্রায় হারিয়ে গেছে। তার কারন হলো বর্তমান কৃষকদের প্রলুব্ধ করা হচ্ছে বিদেশী হাইব্রিড জাতের ধান বীজের প্রতি। এ কারণে এখন আর কেউ হরি ধান চাষ করছেন না। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নূরে-নবী জানান, আমি এখানে এসে নিজে কখনো হরি ধান দেখি নাই। তবে পত্র-পত্রিকা মারফত জেনেছি। বর্তমানে যদি এই ধান চাষে কৃষক লাভবান হয় এবং সরকারী ভাবে এর সংরক্ষণ ও সম্প্রসারন করা হয় তাহলে অবশ্যই আমরা এগিয়ে নিবো। এ বিষয়ে কৃষকরা শতভাগ সহয়তা পাবেন।

উল্লেখ্য ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুধাহাটি ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের জাত কৃষক প্রয়াত হরিপদ কাপালি দুই দশক আগে উদ্ভাবন করেন হরি ধান। এই ধান উদ্ভাবনের পর দেশব্যাপী খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।




মেহেরপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন

মেহেরপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা জাতীয় পার্টির আয়োজন আজ রবিবার (১৪ জুলাই) বিকেল ৫ টার দিকে জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ আব্দুল হামিদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মোঃ কেতাব আলী, মোঃ আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোঃ কুতুব উদ্দিন, সদস্য সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, গাংনী জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ বাবলু হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জান মোহাম্মদ মিন্টু, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খিলাফত আলী, সদস্য মোঃ রাকেশ শেখ রাজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।




দামুড়হুদায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ

দামুড়হুদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিসি বলেন, যারা খেলাকে ভালোবাসে তারা অপরাধ থেকে দূরে থাকে, যারা খেলাকে ভালোবাসে তারা ফুলও ভালোবাসে। খেলায় জয় পরাজয় থাকবেই এটাই নিয়ম। ভালো খেলবো ভালো থাকবো, যারা ফুটবল কে ভালোবাসে তারা সবাইকে ভালোবাসে।

এখান থেকে আমরা ঘৃণা নিয়ে যাবো না, আমরা ভ্রাতৃত্ব মানষিকতা নিয়ে ফিরবো, আমরা সবাই সবার। খেলায় আমন্ত্রিত অতিথি সহ খেলার আয়োজক কমিটি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল কবির ইউসুফ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কে এইচ তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবীর, পরিদর্শক অপারেশন হিমেল, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক ফুটবলার শহীদ আজম সদু সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত আমন্ত্রিত দর্শক অতিথি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। খেলার মাঠে ছিলো দর্শকদের উপচে পরা ভীড়। ফুটবল প্রেমীরা সহ উপস্থিত সকল দর্শক টুর্নামেন্টের মনোমুগ্ধক সেমিফাইনাল খেলা উপভোগ করেন।

টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় যে দুটি দল অংশ গ্রহণ করে তারা হলো কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশ বনাম জুড়ানপুর ইউনিয়ন একাদশ। খেলার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুরানপুর একাদশ কোন গোল করতে না পারলেও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশ ১টি গোল করে চ্যাম্পিয়ন হয় ।

খেলায় রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন, সৈয়দ মাসুদুর রহমান, একরামুল হাসান নিপুন, সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, ইউসুফ আলী। টুর্নামেন্টের ম্যাচ কমিশনার সাবেক জেলা ফুটবলার জাকির হোসেন। খেলায় ধারাভাষ্য দেন মোস্তাফিজুর রহমান।টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি এম নুরুন্নবী’র সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।




মেহেরপুরে উজ্জ্বল সিঙ্গাপুর ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের উদ্বোধন

বিভিন্ন দেশের এয়ার টিকিট ম্যান পাওয়ার ও টুরিস্ট ভিসা করার জন্য মেহেরপুরে উজ্জ্বল সিঙ্গাপুর ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ রবিবার বিকেলে মেহেরপুর শহরের কোট মোড়ে ফিতা কেটে সিঙ্গাপুর ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। উজ্জ্বল সিঙ্গাপুর ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস এর স্বত্বাধিকারী মোঃ উজ্জ্বল হুসাইন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান।

এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোঃ রানা, আরিফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখানে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।




বৃষ্টির প্রেম

বর্ষা এসে গেছে –
তুমি আসোনি মণিরাজ
দু’চোখে বৃষ্টি নিয়ে কবিতায় তোমায় খুঁজি।
সম্মোহনে বুঁদ হয়ে থাকি সমস্ত সত্ত্বায়
জল রঙে এঁকেছি তোমায়,
মুদ্রন অক্ষরে সাজিয়েছি তোমায়,
নাহ্ মন ভরছেনা কিছুতেই
বারবার একঝাক মেঘ এসে ঢেকে দিচ্ছে
ওই মেঘ বৃষ্টি মণিরাজের প্রেমের খবর দিচ্ছে।




খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে

খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক রেবেকা খান।

তিনি বলেন, আমরা একসময় সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিতে পারতাম না। এখন ১৮ কোটি মানুষের এই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এই খাদ্য নিরাপদ করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থা এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

আজ রবিবার সকালে কুষ্টিয়া শহরের দিশা টাওয়ার মিলনায়তনে নিরাপদ খাদ্য নীতি সেনসিটাইজেশন কর্মশালায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোরগোঁড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ও ভোক্তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছে।

তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থা বিশেষত বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বাজারে খাবারের নিরাপদতা নিশ্চিত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি স্থানীয় শিশুখাদ্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ব্যতীত ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না বলে জানান। ষ্ট্রীট ফুডের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপদতা সম্পর্কে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক রেবেকা খান ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, বিএসটিআই’র উপপরিচালক আরাফাত হোসেন, ইউএসএআইডির সিনিয়র ম্যানেজার আশিক বিল্লাহ ও নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজীব পাল প্রমুখ।

কর্মশালায় ক্যাব সভাপতি, চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিরপরিচালক ও হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক ও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।




‘ট্রমা বন্ডিং’-এ আছেন কি

আঘাতমূলক সম্পর্ক বা ট্রমা বন্ডিং ধারণাটি সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। ধারণাটি আমাদের মধ্যে নতুন হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুর রহমান জানান, এটি এমন এক মানসিক বন্ধন যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ যাকে আপন মনে করছে তার কাছ থেকেই আঘাত পায়। ভালোবাসা, নির্ভরশীলতা, অসম সম্পর্ক, একপাক্ষিক সম্পর্কই এর কারণ।

ট্রমা বন্ডিং কী
এই ধরনের সম্পর্কে একজন সঙ্গী তার সঙ্গীর ওপর কর্তৃত্ববাদী আচরণ করেন, সঙ্গীকে অপমান করেন। তারপর আবার ভালো ব্যবহার, উপহার, অনুশোচনা প্রকাশের মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সম্পর্কে থাকা অপর ব্যক্তিও একসময় অনেককিছুই মেনে নেন। ভাবতে শুরু করেন এটি হয়তো বা সঙ্গীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। চাইলেও সে সম্পর্ক থেকে তিনি বের হয়ে আসতে পারেন না। তারা নিজেরাই নিজেদের বোঝান যে, তার সঙ্গী সংগত কারণে তার ওপর বিরক্ত ছিলেন। নিজের ওপরই তখন দোষ চাপান। আবার ফিরে আসেন সম্পর্কে। বুঝতেও পারেন না তিনি আবার টক্সিক সম্পর্কেই ফিরছেন।

এমনটা কোথায় দেখা যায়
ভালোবাসার সম্পর্কে, দাম্পত্যে ট্রমা বন্ডিং দেখা যায়। তাছাড়া শিশু, বন্ধু, অফিসের সহকর্মী, এমনকি পরিবারেও ট্রমা বন্ডিং দেখা যায়। মানুষ সহজাতভাবেই পারস্পরিক বন্ধন ভাঙতে চায় না। যারা খুব দ্রুত অন্যের ওপর মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন তাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ট্রমা বন্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। নারী-পুরুষ, এমনকি শিশুরাও এই ধরনের সম্পর্কের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। তবে নারীরাই এ ধরনের সম্পর্কের শিকার হন বেশি।

কেন এমন হয়
উত্তর হলো, নির্ভরশীলতা। সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানুষ একটা পর্যায়ে অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। সম্পর্কের শুরুতে সুন্দর একটি সময় কাটানো হয় বলে সঙ্গীর ছেড়ে যাওয়ার ভয় তার মধ্যে কাজ করতে শুরু করে। সঙ্গীকে হারিয়ে একাকী হয়ে পড়ার ভয় পান তিনি। তাই তিনি অবচেতন মনে নিজেকে বোঝান, দোষটি আসলে তারই। এ জন্যই তিনি ওই সম্পর্কের স্বার্থে থেকে যান। টিকে থাকতে চান। আর এভাবেই একটা চক্রে আটকে যান। এই চক্র থেকে আর বের হতে পারেন না।

বের হওয়া যায় কীভাবে
আত্নসম্মানবোধ ভেঙে গেলে এ ধরনের সম্পর্ক থেকে বের হওয়া কঠিন। নির্ভরশীলতাই এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা। নিজের মধ্যে আত্নসম্মানবোধ বাড়ানো এখানে জরুরি।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কোটা সংস্কারের দাবিতে ঝিনাইদহে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। আজ রবিবার (১৪ই জুলাই) সকাল ১১ টার সময় ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী স্কুল মাঠ থেকে ঝিনাইদহে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে অবশেষে পায়রার চত্বরে একটি সমাবেশ করে। উক্ত সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন শারমিন সুলতানা, সমষ্টি পরিচালনা করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নুসরাত জাহান সাথী, এলমা, রেহান, স্বাধীন, সাইদুর, এনামুল।

সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির নিকট স্মারকলিপি পাঠান।




মেহেরপুরে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (১৪ জুলাই ) সকাল ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন।

এসময় পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম ভূঁইয়া, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্দুল্লাহ আল আমীন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতীম কুমার সাহা, মুজিবনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত আহমেদ রত্ন, জেলা কমান্ড্যান্ট প্রদীপ চন্দ্র দত্ত, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী কাদের মোঃ ফজলে রাব্বি, ডা.অলোক কুমার দাস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও এসময় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নীলা হাফিয়া, ইফার উপ-পরিচালক সিরাজুম মুনির, মৎস্য কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল হাশেম, সরকারি কলেজের প্রভাষক মুন্সী রাশেদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।