বাবা হলেন হাবু ভাই

বাবা হলেন ব্যাচেলর পয়েন্ট ধারাবাহিকের জনপ্রিয় অভিনেতা হাবু ভাই। তার আসল নাম চাষী আলম। বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই ভোর রাত ৩টার দিকে একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তার স্ত্রী তুলতুল ইসলাম। বিষয়টি অভিনেতা নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, সুসংবাদ জানিয়ে চাষী আলম সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছি আমি। মা এবং ছেলে দুইজনে খুব ভালো আছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

এছাড়া সকালে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন চাষী। তার পোস্টের কমেন্টবক্স ভরে উঠেছে বন্ধু ও ভক্তদের শুভেচ্ছায়।

চাষী আলম গত বছরের ২৫ আগস্ট তুলতুল ইসলামকে বিয়ে করেন।

ছোটপর্দায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এ অভিনেতা। কোরবানি ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত একাধিক নাটক ও ওয়েবফিল্ম।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ১০ জন পুশ ইন

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ১০ জন পুশ ইন হয়েছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ তাদেরকে আজ বৃস্পতিবার ভোরের দিকে পা‌ঠিয়ে দেয়। পুশ ইন হয়ে আসা লোকজন তাদের নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরে গেছে। তাদের বা‌ড়ি যশোর, সাতক্ষীরাসহ বি‌ভিন্ন জেলায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ভোর চারটার দিকে নাজিরাকোনা সীমান্তের কাটাতারের গেট খুলে দেয় বিএসএফ। এসময় ১০ জন ভারত থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে। পায়ে হেঁটে তারা নাজিরাকোনা গ্রামের ভেতরে গিয়ে ভ্যানযোগে মুজিবনগর উপজেলা শহর কেদারগঞ্জে পৌঁছায় ভোরের দিকে। সেখানে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাদের গন্তব্যে ফেরার ভিডিও ধারণ করেন।

পুশ ইন হয়ে আসা কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা সকলেই দরিদ্র। কাজের খোঁজে অনেক আগে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে শ্রমিকের কাজ করার এক পর্যায়ে তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। বেশ কিছুদিন হাজতবাসের পর গেল রাতে তাদেরকে আনা হয় নাজিরাকোনা সীমান্তে। সেখানে তাদের আঙ্গুলের ছাপ নেয় বিএসএফ সদস্যরা। এক পর্যায়ে কাটাতারের গেট খুলে তাদেরকে বাংলাদেশের ভেতরে পাঠিয়ে দেয়।

মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল দত্ত জানান, পুশব্যাকের বিষয়টি পুলিশের কাছে কোন তথ্য নেই। বিজিবির কাছে কোন তথ্য আছে কি না তাও জানা নেই।

তবে পুশব্যাকের বিষয়ে জানতে চেয়ে বিজিবি মুজিবনগর নাজিরাকোনা বিও‌পি কমান্ডার বলেন, পুশব্যাকের কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।




অস্ট্রেলিয়া যাবে তিন ফরম্যাটে ম্যাচ খেলতে এইচপির ক্রিকেটাররা

জাতীয় দলের পাইপলাইন মজবুত করতে বেশ মনোযোগী বিসিবি। কাজ করছে লম্বা সময় ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় দলের বাইরে থাকা ও বয়সভিত্তিক খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে হাই পারফরম্যান্স দল। আগামী শনিবার এই দলটি অস্ট্রেলিয়া যাবে তিন ফরম্যাটের একটি লম্বা সফরে। এই সফরে দুইটি চার দিনের ম্যাচ, তিনটি এক দিনের ম্যাচ ও ছয়টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে এইচপি দল।

চার দিনের ম্যাচে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান শাহীনস (এ দল), ওয়ানডে খেলবে নর্দার্ন টেরিটরির বিপক্ষে এবং টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান শাহীনস ও বিগ ব্যাশের একাধিক দল। যেখানে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল বাদেই ছয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেললে ম্যাচ আরও দুইটি বাড়বে। আর দেশ ছাড়ার আগে গতকাল এ সফর নিয়ে মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিল হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের প্রধান নাঈমুর রহমান দুর্জয়।

নিজেদের আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় ক্রিকেট বোর্ড থেকে জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ তৈরি করতে চাই প্রত্যেকটা লেভেল থেকে। তারই একটা ধারাবাহিকতায় অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে এই সফরটি ঠিক করেছি। যেখানে নর্দান টেরিটোরি আমাদের হোস্ট করছে। সেখানে আমরা দুইটি চার দিনের ম্যাচ, তিনটা ওয়ানডে ম্যাচ এবং পরবর্তীকালে বিগ ব্যাশের পাঁচটি দলসহ আয়োজিত একটি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করব। সঙ্গে পাকিস্তানের ‘এ’ দলও থাকবে।’

এ সময় উদীয়মান ও ছন্দ হারানো খেলোয়াড়দের জন্য এ সফরটা বেশ বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন এইচপি প্রধান। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য একটা বড় সুযোগ। এখানে কিছু জাতীয় দলের যারা খেলছে, সেখানকার খেলোয়াড় নেওয়া হয়েছে। কারণ, ২০২৭ এ আমাদের যে অস্ট্রেলিয়া সফর আছে, ঐ খেলাটাও কিন্তু ডারউইনে হবে। তাদেরও একটা প্রস্তুতি। কারণ, অনেক সময় আমরা দেখি আমাদের নতুন খেলোয়াড় বা একেবারে প্রথমবার খেলতে গিয়ে একটা অচেনা পরিবেশে অভিষেক হচ্ছে। তো সে জিনিসগুলো যেন না হয়, তার কারণে কিন্তু আমরা এইচপির প্রোগ্রামে প্রত্যেক বছরই একটা সফর থাকে, কিন্তু এটা নতুন একটা ইনক্লুশন এবং আমরা তাদের জানিয়েছি যে, আমরা ভবিষ্যতেও এটা চালিয়ে যেতে চাই, এ সিরিজটা। আসলে আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা। সেটাকে কাজে লাগিয়ে খেলোয়াড়রা তাদের ভবিষ্যতের জন্য দেশকে সার্ভিস দেওয়ার জন্য তৈরি করবে, সেটাই আমরা আশা করি।’

এদিকে বয়সভিত্তিক দলে অনেক দিন ধরেই দেশের ক্রিকেটে ভালো হচ্ছে, তাদের হাত ধরে ২০২০-এ বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি গেল বছর এশিয়া কাপও এসেছে দেশে শুধু তা-ই নয়, প্রতিটি টুর্নামেন্টেই বয়সভিত্তিক দল শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিয়ে আসছে। তবে তা ধরে রাখতে পারে না আর জাতীয় দলে আসার পরই হারিয়ে যায়। অনেক সময় এ জন্য দায়ী করা হয় বিসিবিকে। তবে জাতীয় দলে প্রবেশের আগে এমন সফর থাকলে খেলোয়াড়দের ঝরে পড়ার হার কমবে বলে মনে করেন দুর্জয়।

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে দুইটা দিকই আছে। আমাদের যেমন, বোর্ডের পক্ষ থেকে আমাদের বয়সভিত্তিক পর্যায় পার হয়ে আসার পর কিন্তু এখন আরও দুইটা-তিনটা প্রোগ্রাম আমরা যুক্ত করেনি যে, তারা যেন নিয়মিত এই প্রক্রিয়ার ভেতর থাকে। খেলোয়াড়দের ঝরে পড়া বা ওপরের লেভেলে কন্টিনিউ করতে না পারা। এটা কিন্তু আসলে দুই পক্ষের ব্যাপার। খেলোয়াড়দের যেরকম সামর্থ্য বা ইনজুরি সমস্যা হয়ে যায়, সেটা কিন্তু ভিন্ন ইস্যু। কিন্তু আমরা চাচ্ছি যে, আমাদের প্রক্রিয়াটা ঠিকঠাক হোক, আমাদের সুযোগ-সুবিধা বোর্ডের তরফ থেকে বৃদ্ধি করা এবং খেলার ভেতর থাকার যে সুযোগ সেটা আমরা ধরে রাখতে চাই। এজন্যই বললাম, এ সুযোগগুলো কাজে লাগানোর দায়িত্ব খেলোয়াড়দের, আমরা শুধু তৈরি করে দিতে পারব। কিন্তু সেটা কাজে লাগিয়ে নিজেকে পরের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া বা পরের ধাপে নেওয়া এই ফোকাস ধরে রাখা তাদের দায়িত্ব।’




ভারতে পাচার হওয়ার পথে মুজিবনগরে শিশুকে উদ্ধার, অপহরণকারী আটক

ভারতে পাচারের সময় তানজিল হোসেন (১২) নামের এক শিশুকে উদ্ধার ও অপহরণকারী রনিকে আটক করে গণধোলাই শেষে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে জনতা।

উদ্ধারকৃত শিশু মোঃ তানজিল হোসেন পার্শ্ববর্তি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সাতগাড়ি এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। শিশুটি পেশায় ইঞ্জিনচালিত পাখিভ্যান চালক।

আটক অপহরণকারী রনি হোসেন মেহেরপুর শহরের ক্যাশবপাড়া এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে। গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) বিকালে শিশু তানজিল হোসেনকে অপহরণ করে ভারতে পাচার করার সময় মুজিবনগর উপজেলার সীমান্তবর্তি বিদ্যাধরপুর ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

শিশুটির বরাত দিয়ে মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল দত্ত জানান, তানজিল তার নিজ এলাকায় ইঞ্জিনচালিত পাখিভ্যান চালিয়ে তাদের সংসার চালায়। গত তিনদিন পূর্বে রনি হোসেন চুয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে শিশুটির ভ্যান ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গত তিনদিন যাবৎ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ান। গতকাল বুধবার বিকালের দিকে তাকে ভারতে পাচারের উদ্যোশ্যে মেহেরপুর হয়ে মুজিবনগর সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। শিশুটি মোনাখালী ব্রিজ পার হওয়ার সময় লোকজন দেখে হঠাৎ কান্নাকাটি শুরু করে। এসময় স্থানীয় লোকজন তানজিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে।পরে অপহরণকারী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় জনতা রনিকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে মূমূর্ষ অবস্থায় মুজিবনগর থানা পুলিশে সোপর্দ করে।

মুজিবনগর থানা পুলিশ তানজিলকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী রনিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

মুজিবনগর থানার ওসি উজ্জল দত্ত জানান, তানজিল নিখোঁজ যাওয়ার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি জিডি করেন। যার নং ১৬৯।

মুজিবনগর থানার ওসি উজ্জ্বল কুমার দত্ত জানান, শিশুটিকে উদ্ধার এবং অপহরন কারীকে আটকের পর চুয়াডাঙ্গা থানায় খবর দেয়া হয়েছে। ভিকটিম এবং আসামিকে চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশর হাতে তুলে দেওয়া হবে।




মুজিবনগরে ২৯২ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক কারবারী আটক

মুজিবনগরে ২৯২ বোতল ভারতীয় নেশা জাতীয় দ্রব্য ফেনসিডিল সহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে ঝিনাইদহ র‍্যাব -৬ উপজেলার তারানগর গ্রামে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী অবৈধ মাদক বিক্রির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ র‍্যাব-৬ এর এস আই আবুল হোসাইন এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মুজিবনগর উপজেলার তারানগর ক্লাবের সামনে থেকে আনন্দবাস গ্রামের জহির খাঁ এর ছেলে মানিক (২২)কে কাধেঁ বহন কৃত একটি চটের বস্তার ভিতরে রক্ষিত অবস্থায় ২৯২ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করে।

আজ বুধবার বিকেলে আটকৃত মাদক ব্যবসায়ী নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮এর ৩৬(১) স্মরণের ১৪ এর গ ধারায় মামলাদিয়ে মুজিবনগর থানায় সোপর্দ করে।

মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ উজ্জল কুমার দত্ত জানান বুধবার বিকেলে ২৯২ বোতল ফেনসিডিল সহ মানিক নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ঝিনাইদহ র‍্যাব ৬ মাদক মামলা দিয়ে মুজিবনগর থানায় সোপর্দ করেছে  আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।




মাদকবিরোধী বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন অরূপরতন চৌধুরী

মাদক বিরোধী আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য Athena লিমিটেড কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী।

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ১০ জুলাই, বুধবার সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মাদকবিরোধী একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, এমপি এর হাত থেকে উক্ত সম্মাননা গ্রহণ করেন অরূপরতন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য জারা জাবিন মাহাবুব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, এনডিসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আজিজুল ইসলাম।

উল্লেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী  প্রায় ৪০ বছর যাবৎ বাংলাদেশে মাদক ও তামাক বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। মাদক বিরোধী বিভিন্ন গ্রন্থ লেখাসহ, পত্রিকায় সম্পাদকীয় বিভাগে নিয়মিত লেখেন। বাংলাদেশে টেলিভিশনে ‘মাদক কে না বলুন’ শিরোনামে মাদক বিরোধী সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন শর্টফিল্ম তৈরি করেছেন এবং দেশে প্রথম মাদকবিরোধী পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা সিনেমা ‘স্বর্গ থেকে নরক’ পরিচালনা করেছেন। মাদকের আগ্রাসন থেকে তরুণদের সুরক্ষায় ১৯৮৯ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)।’ সামাজিক কর্মকান্ডে অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ ২০২৫ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরুস্কার ‘একুশে পদক’ লাভ করেন তিনি। এছাড়া বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার ‘টোব্যাকো অর হেলথ মেডেল’সহ দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অসংখ্য স্বীকৃতি লাভ করেছেন ড. অরূপরতন চৌধুরী।




ঝিনাইদহে শ্রমিক ইউনিয়নের মৃত সদস্যের পরিবারে এককালিন আর্থিক অনুদান প্রদান

ঝিনাইদহ জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের মৃত সদস্যের পরিবারকে এককালিন ২ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১০জুলাই) সকাল ১১টার শ্রমিক ইউনিয়নের নিজস্ব কার্যালয়ে আলোচনা সভার মাধ্যমে এই ৬টি পরিবারের মাঝে এই অনুদান প্রদান করা হয়।

জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওয়ালিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহেদী ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়কারী তবিবুর রহমান লাবু।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি এস.এম.আবু সাইদ, সহ-সভাপতি অলিয়ার রহমান, আমির ফয়সাল মহব্বত, মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, আত্তাপ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, দপ্তর সম্পাদক টুলু বিশ্বাস চুন্নু, প্রচার সম্পাদক ফিরোজ আলী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন, শ্রম কল্যাণ সম্পাদক আনিচুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, সড়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মশিয়ার রহমান, মফিজুর রহমান সুমন, বিল্লাল হোসেন, দিলীপ কুমার হোড়, আঃ বারিক, কামরুজ্জামান।

আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের মৃত সদস্যের ৪টি পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার করে ও ২টি পরিবারকে ৫০ হাজার করে মোট ২ লক্ষ টাকা প্রদান করেছেন।




ঝিনাইদহে অস্ত্র মামলায় এক ব্যক্তিকে ১৭ বছরের কারাদন্ড

ঝিনাইদহে অস্ত্র মামলায় আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে দুটি ধারায় ১৭ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোঃ আব্দুল মতিন এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আলমগীর সদর উপজেলার বড় মান্দার বাড়িয়া গ্রামের আজিবর বিশ্বাসের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার আসামী আলমগীরকে পুলিশ রিমান্ডে এনে মামলার মুল ঘটনা ও রহস্য নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে পূর্বের তথ্য অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামীর নিকট অবৈধ অস্ত্র আছে বলে স্বীকার করে। পরে আসামীর গ্রামের বাড়ি মান্দার বাড়িয়া গ্রামে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের ১২ তারিখ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে আসামীর বাড়ির পেছনের খড়ের পালার মধ্য থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই ব্রজবল্লভ সাধু পরদিন ১৩ নভেম্বর সদর থানায় অস্ত্র আইনে আলমগীরের নামে মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করে।

দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আসামীকে অস্ত্র আইনের একটি ধারায় ৭ বছর সশ্রম ও অপর ধারায় ১০ বছরের কারাদন্ড প্রদান করে। আসামীকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গাতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা নিহত ১, আহত ১

চুয়াডাঙ্গার বড়শলুয়া গ্রামে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় চালক হাদিউর রহমান হৃত্তিক (৩২) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী মারাত্মকভাবে জনি (৩০)।

এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দিনগত রাত ৩টার দিকে বড়শলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজের কাছে।

নিহত হাদিউর রহমান তিতুদহ ইউনিয়নের বলদিয়া গ্রামের বিশ্বাস পাড়ার মোহাফিজুর রহমান শান্তির ছেলে এবং আহত জনি একই ইউনিয়নের একই গ্রামের দাসপাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে। নিহত হাদিউর রহমান হৃত্তিক বড়শলুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী পদে কর্মরত ছিলেন।

গ্রামবাসীদের বরাত দিয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা জানান, হাদিউর রহমান হৃত্তিক ও জনি দুই বন্ধু গভীর রাতে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ী ফিরছিলেন। এ সময় বড়শলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজের কাছে পৌঁছুলে দ্রতগতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে দু’জনেই মারাত্মকভাবে আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাদিউর রহমান হৃত্তিককে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত জনি আহমেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।




এবার যোগ হলো এআই শিক্ষক!

প্রায় সব বিষয়েই পুরোদস্তুর শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারে এআই। আর এমন শিক্ষকের শরণাপন্ন হচ্ছেন বিশ্বের অনেক দেশের শিক্ষার্থীরা।

কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, এআই আর রোবট মিলে করে দেবে আমাদের সব কাজকর্ম। এমন পরিস্থিতিতে স্বভাবতই প্রশ্ন চলে আসে, এআই যদি আমাদের সব কাজই করে দেয় তাহলে কষ্ট করে আর পড়াশোনা করার কি দরকার?

এআই সঠিক কমান্ড দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার মতো দক্ষ মানুষের চাহিদাও বাড়বে ওই সময়ে। এ কারণে যুক্তরাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবহার করছে, যার দরুন সেখানকার শিক্ষাব্যবস্থা ক্রমেই হয়ে উঠছে এআইনির্ভর। কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের অ্যাসাইনমেন্ট করিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন চ্যাটজিপিটি, তবে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের বেশ কিছু বিদ্যালয় ওয়ার্কশিট ফরম্যাটিংয়ের কাজে সাহায্য করার জন্য এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহায়তার ক্ষেত্রে কাজ করছে এআই।

কটেসমোর স্কুলে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পছন্দমতো শিক্ষক নির্বাচনের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রজারসন বলেন, ‘সবার মতামত নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হচ্ছে।’

বেশ কিছু স্কুল সূত্রে জানা গেছে, পাঠ্যক্রমের বাইরে কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসার জন্য এআই শিক্ষকের ব্যবহার করা হচ্ছে।
অবশ্য শিক্ষাক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে এগিয়ে আছে খান একাডেমির সালমান খানের ‘খানমিগো’। শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ের পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করে দিতে সিদ্ধহস্ত এটি। সিঙ্গাপুরের সেন্টার ফর এডুকেশনাল টেকনোলজিসের ‘কোডভেরি’ শিক্ষার্থীদের কোডিং অ্যাসাইনমেন্টের ভুল শনাক্ত করা হয় এআই দিয়ে।

দক্ষিণ কোরিয়া ২০২৫ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে কাস্টমাইজড ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তক তৈরির পরিকল্পনা করছে। এখন দেখার বিষয় ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শিক্ষাদান ব্যবস্থা এআইকে কাজে লাগিয়ে কতটা এগিয়ে যেতে পারে!