যুক্তরাজ্যে মন্ত্রী হলেন টিউলিপ!

যুক্তরাজ্যের ‘সিটি মিনিস্টার’ হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। এই মন্ত্রণালয় দেশটির আর্থিক পরিষেবা খাত তত্ত্বাবধানের কাজ করে।

নির্বাচনে টিউলিপ সিদ্দিক পান ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিন পার্টির লরনা জেন রাসেল পান ৬ হাজার ৬৩০ ভোট।

এর আগে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যে ছায়া অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও লেবার ছায়া মন্ত্রিসভার সংস্কৃতি, মিডিয়া ও ক্রীড়া উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

ব্রিটেনের রয়েল সোসাইটি অব আটর্সের ফেলো টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৫ সালে প্রথমবার ব্রিটিশ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। লন্ডনে জন্ম নেওয়া টিউলিপ ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হয়ে যুক্ত হন ব্রিটিশ রাজনীতিতে।




দর্শনায় শিশু ধর্ষন মামলার আসামী গ্রেফতার

দর্শনায় শিশু ধর্ষন মামলার আসামী জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পচা (৪৫) নামের এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার ৮ জুলাই দিবাগত রাত সোয়া ৩ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে থানার এসআই সুজন আলী সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ স্থানীয় সোর্সর মাধ্যমে সংবাদ প্রাপ্তি হয়ে অভিযান পরিচালনা করেন দর্শনা পৌরসভাধীন ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে। এ অভিযানে শিশু ধর্ষন মামলার আসামী জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পচা (৪৫) নামের এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক দর্শনা পৌরসভাধীন ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত খেদের আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ৩০ জুন রোববার দর্শনা পৌরসভাধীন ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের শফিকুল্লাহর স্ত্রী বিউটি পারিবারিক প্রয়োজনে ঢাকায় যান। এসময় তার ছেলে সাজিদ শাহারিয়ারকে মৃত খেদের আলীর ছেলে তার চাচাতো ভাই আলমের (৪০) বাড়ীতে রেখে যান। কিন্তু তার বাড়ীর রুমের সল্পতা থাকার কারণে বাদীর ছেলে পাশে থাকা জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পচার বসত ঘরে ঘুমায়। গত ৭ জুলাই রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পচা বসত বাড়ীর শয়ন কক্ষের ভিতরে সাজিদ শাহারিয়ার পরিহিত প্যান্ট খুলে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে দর্শনা থানায় শিশু সাজিদ শাহারিয়ার মা বিউটি বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দর্শনা থানায় একটি এজাহার করেন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পচার বিরুদ্ধে।

এ অভিযোগের ভিত্তিতে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে থানার এসআই সুজন আলী সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ স্থানীয় সোর্সর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ৩ টার দিকে অভিযান পরিচালনা করেন দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আসামীর বসত বাড়ী। এ অভিযান পরিচালনা করে আসামী জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পচাকে তার বসতঘর হতে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে আজ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা কোট পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।




পদ্মা নদীর ভাঙন পরিদর্শনে এমপি কামারুল আরেফিন

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দিনদিন পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। আকস্মিকভাবে পদ্মা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভেঙে পড়ছে নদীর তীরবর্তী এলাকা। হুমকিতে নদী সংলগ্ন বসতভিটা ও ফসলি জমি। পদ্মার তীব্র স্রোতে দিনদিন নতুন নতুন এলাকা ভাঙছে।

ফলে ভেড়ামারা উপজেলার রায়টা বেড়িবাঁধ এখন হুমকির মুখে। ভাঙন থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার পরিবারের বাড়িঘর। অপরদিকে, বার মাইল টিকটিকি পাড়ার সামনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কয়েকশ’ একর ফসলি জমি।

মঙ্গলবার কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ড, পশ্চিমাঞ্চল, ফরিদপুর জোনে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ, কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান, উপসহকারী প্রকেীশলী শ্রী অসীম কুমার ও মসফিকুর রহমান, ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমুল ইসলাম ছানাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কামারুল আরেফিন বলেন, দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাও ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা বেড়িবাঁধের পাশেই রাইটা পাথর ঘাট। ভেড়ামারা থানার একটি অন্যতম সুন্দর্যময় দর্শনীয় স্থান এটি। এখানে রয়েছে পিকনিক স্পট। প্রতিদিন পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বাঁধের কাছে এসে পানির ধাক্কা লাগছে। পানির স্রোতে ঘুরপাক ও পানির তীব্রতায় রায়টা বেড়িবাঁধ ভাঙতে শুরু করেছ। এই বাঁধ ভেঙে গেলে রায়টা নতুন পাড়া, ফয়জুল্লাপুর এই দুইটি গ্রাম আগে পানিতে ডুবে যাবে। পানিবন্দি হয়ে পড়বে প্রায় ৩ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি।

আষাঢ় মাসে পদ্মায় পানি তুলনামূলক কম হলে ও বন্যার পানি আসা শুরু করেছে। পদ্মায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণেই পদ্মায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। যা দেখে স্থানীয় মানুষ হতভম্ব হয়ে পড়েছেন।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার বার মাইল এলাকায় আবার গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) থেকে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক ফসলি জমি।

এলাকাবাসীর বলছেন, ভেড়ামারা বার মাইল এলাকায় পদ্মায় বৈধ বালুমহাল না থাকলেও প্রভাবশালীরা অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করেছেন। এর ফলে পানির গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে এসব এলাকার একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাট।

বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন জানান, প্রতি বছর পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রায়টা বেড়িবাঁধে পানির আঘাত হানে। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকার মানুষ। এবারও তাই হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেক গ্রাম ডুবে যাবে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ভাঙনরোধে জরুরিভাবে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ভাঙন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দ্রুতই কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু জানান, এখন যে ভাঙন দেখা দিয়েছে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের উদ্যোগ রয়েছে দু-একদিনের মধ্যেই ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হবে




দামুড়হুদার নতিপোতায় বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

বিট পুলিশং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি’, স্লোগানকে সামনে রেখে দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নে বিট পুলিশং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৫টার সময় দামুড়হুদা মডেল থানার আয়োজনে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে নতিপোতা বাজারে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিট পুলিশং সভায় উপস্থিত ছিলেন নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আসাদুর রহমান আসাদ, আরটিভি’র চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত বিট পুলিশিং সভায় স্থানীয় জনসাধারণ তাদের নিজ নিজ বক্তব্যের মাধ্যমে এলাকার আইন শৃঙ্খলা সম্পর্কিত সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান তাহার মুল্যবান বক্তব্যের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ, মাদক, সন্ত্রাস, জুয়া, জঙ্গিবাদ উগ্রবাদিতা ও গুজব প্রতিরোধে জনসাধারণকে সচেতন করেন। জনসাধারণ তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে পুলিশকে সহায়তা ও নিজেরা সচেতন হবে বলে আস্বস্ত করেন।




গাংনীতে নিখোঁজ এইচ.এসসি পরীক্ষার্থী উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পিরতলা গ্রামের নিখোঁজ এইসএসসি পরীক্ষার্থী আকাইদ ইসলাম আকাশকে (১৮) ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকালে ফরিদপুরের একটি স্থান থেকে  সে নিজেই তার পরিবারের লোকজনের কাছে ফোন দিয়ে তার লোকেশন জানান। পরে আকাইদ ইসলামের পিতা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে নেওয়ার জন্য রওনা দিয়েছেন।

আকাইদ ইসলামের পিতা আমিনুল ইসলাম মোবাইল ফোনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে আকাইদ ইসলামের পিতা আমিনুল ইসলামের কথাবার্তা অসংলগ্ন বলে মনে হয়েছে। তিনি জানান, ছেলেকে অজ্ঞান অবস্থায় রেল লাইনের ধারে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তার জ্ঞান ফিরে এলে সে নিজেই আমাদের কল দিয়ে জানান। আমরা তাকে নিয়ে আসার জন্য পথেই আছি। তবে এখন হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে ছেলের কাছে যাবো।

উল্লেখ্য, গত সোমবার  বিকেলে বই কেনার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বামন্দীর উদ্দেশ্যে বের হয়ে আসেন। তারপর থেকে সে বাড়ি ফিরে আসেনি। আকাইদ ইসলাম (আকাশ) গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে চলতি বছরে এইসএসসি পরীক্ষার্থী আকাইদ ইসলাম আকাশ(১৮)। এর আগে চারটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আজকে তার আইসিটি পরীক্ষা ছিল।

আকাইদ ইসলাম (আকাশ) গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের পীরতলা গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। সে গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

এব্যাপারে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম বলেন, খবরটি শোনার পর ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া নিখোঁজের পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছে।  তাকে ফরিদপুরে পাওয়া গেছে বলে পারিবারিকভাবে জানানো হয়েছে। তাকে নিয়ে এসে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।




মেহেরপুরে শ্মশান ঘাটে ঠাই হওয়া দম্পতি পেলেন নতুন পাকা ঘর

ঘর ভাড়া দিতে না পারায় সিরাজুল ও নার্গিস খাতুন নামের এক দম্পতিকে ঘর থেকে বের করে দেন বাড়ি মালিক। পরে উপায় না পেয়ে কাজলা নদির ধারে শ্মশান ঘাটে সরকারি জমিতে পাট খড়ি দিয়ে খুবড়ি ঘর বানিয়ে থাকতে শুরু করেন এই দম্পতি। সেখানেই এক চোখ নষ্ট অসহায় সিরাজুল ইসলাম চা বিক্রি করে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছিল। ঘটনাটি মেহেরপুর সদর উপজেলার যুগিন্দা গ্রামের। অসহায় ওই দম্পতি একটি ঘর পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন।

আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেই শ্মশান ঘাটে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। এবং তাৎক্ষনিক শ্মশান ঘাট থেকে নিজ পকেট থেকে গাড়ি ভাড়া দিয়ে তাদের নিয়ে এসে রঘুনাথপুর আশ্রয়নের ১৪৬ নম্বর একটি সেমি পাকা ঘর প্রদান করেন তাদের।

জানা গেছে, সিরাজুল ও নার্গিস দম্পতি মেহেরপুর সদর উপজেলার যুগিন্দা গ্রামের বাসিন্দা। বারাবরই তাদের কোন জমিজায়গা নেই। গাংনী উপজেলার একটি ঘরে মাসিক ২ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে তারা বসবাস করতেন। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তারা দুজনেই বিয়ে করে শশুর বাড়িতে বসবাস করেন। অসহায় দম্পতি রাস্তার ধারে ভ্রাম্যমান চা বিক্রিতা হিসেবে কাজ করে সামান্য কিছু টাকা আয় করেন। যা দিয়ে তাদের সংসার চালানোই দায়। এমতাবস্তায় ঘর ভাড়ার টাকা দিতে না পারায় ঘর মালিক তাদের বের করে দেন।

এ বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার এক চোখ নষ্ট। আরেক চোখে হালকা দেখতে পাই। টুকটাক চা বেচে কোন রকম সংসার চলে। ঘর ভাড়া দেবো কোথায় থেকে। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুক্রিয়া ইউএনও স্যার আমাকে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এখন আর রোদ বৃষ্টি আমাদের গায়ে পড়েব না। আমরা পাকা ঘরে থাকবো। সিরাজুলের স্ত্রী নার্গিস খাতুন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সরকারি ঘরটা না পেলে হয়তো আমরা পৃথিবীতে আর বেচে থাকতাম না। কারন এভাবে মাঠে মাঠে রাত কাটিয়ে জীবন চলতে পারে না।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান বলেন, অসহায় ওই দম্পতির বিষয়টি আমাদের নজরে এলে, আমরা ঘটনাস্থলে যায় এবং সেখানে গিয়ে তাদের সাথে সাথে নিয়ে এসে রঘুনাথপুর আশ্রয়নের একটি ঘর তাদের উপহার দেয়া হয়। ইউএনও আরও বলেন, বর্তমান সরকার ভূমিহীনদের বিনামূল্যে জমিসহ ঘর দিচ্ছে। ইতিমধ্যে মেহেরপুরে অনেক অসহায় পরিবার ঘর পেয়েছে। তবে জেলার সব তথ্য হয়তো আমাদের কাছে আসে না। কোন না কোন মাধ্যমে এ ধরনের তথ্য আমাদের কাছে আসলে আমরা অবশ্যই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখি।




কোটচাঁদপুরের রমজান আলী শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত

শিক্ষককের রোষানলে পড়ে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, রমজান আলী (১৩)।

এমন অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পিতা আলী হোসেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের কাগমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। জানা যায়, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর কাগমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৯ সালে। বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি আলী হোসেনের।

ওনার দুই ছেলে। নুরনবী ও রমজান আলী। রমজান আলীর বয়স এখন ১৩ বছর। এ সময় তাঁর ৬ ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার কথা থাকলেও গন্ডি পেরুতে পারেনি প্রাইমারীর। এখন সে ভবঘুরের মত করে ঘুরে বেড়ান। আর পিতার কাজের সহায়তা করে সময় পার করেন। এ ব্যাপারে রমজান আলীর পিতা আলী হোসেন বলেন, আমার বাড়ি বিদ্যালয়ের সামনেই। বিদ্যালয়টি যে সময় প্রতিষ্ঠিত সে সময় আমরা অনেক সহায়তা করেছি। সেই বিদ্যালয়ে এখন আমার ছেলে পড়াতে পারছিনা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহিমের রোষানলে পড়ে আমার ছেলের জীবন আজ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমার ছেলে একদিন বিদ্যালয়ে একটু দুষ্টুমি করেছিল। এরপর ওই শিক্ষক বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। সে থেকে বিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ আমার ছেলে রমজানের। এরপরও ২/৩ বার আমার স্ত্রী ও আমি ছেলেকে বিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়ার কথা বলেছি। তারপরও তিনি ভর্তি নেননি।

তিনি আরো বলেন, যে সময় তাঁর বিদ্যালয়ে পড়ার কথা। এখন সে বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে সারাদিন ভব ঘুরের মত করে ঘুরে বেড়ান আর কোন সময় আমার কাছের সহায়তা করেন। ওই শিক্ষকের রোষানলে পড়ে আজ আমার ছেলে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমি শিক্ষকের অপসারণ দাবী করছি। একই অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের পাশের আরেক অভিভাবক ওয়াজ উদ্দিন। সে রিয়াজ হোসেনের পিতা। তিনি বলেন,আমার ছেলেকেও ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে ভর্তি নেননি। আমি অনেকবার চেষ্টা করেও পারেনি ভর্তি করাতে। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন গণমাধ্যম কর্মীদের উপর।বলেন,আপনারাই বলেন বাড়ির সামনে বিদ্যালয় থাকতে কেউ ছেলে মাদ্রাসায় ছেলে মেয়ে কে ভর্তি করান। আমাকে সেটাই করতে হয়েছে। আর তা করতে হয়েছে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমের কারনে।

তিনি আরো বলেন, তিনি স্থানীয় শিক্ষক হওয়ায় বিদ্যালয়ে দাপট দেখান। ওনার খেয়াল খুশি মত করে বিদ্যালয় চালান। তিনি ওই শিক্ষকের অপসারণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, এ সব মিথ্যা কথা। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করছেন বলেও দাবি করেছেন ওই শিক্ষক। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম বলেন,অনেকেই বিদ্যালয় ছেড়ে মাদ্রায় চলে যাচ্ছেন। আবার অনেকে ফিরে আসছেন। এর জন্য কাকে দোষারোপ করবো। এরপরও বিষয়টি নিয়ে




কোটচাঁদপুরে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

কোটচাঁপুরে সাপের কামড়ে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামের এক কৃষের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ১২ টার সময় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শুরুর আগেই মারা যান তিনি। সে তালিনা গ্রামের  মৃত আব্দুস সামাদ বিশ্বাসের ছেলে।
এলাঙ্গী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন বলেন,তখন বেলা ১১ টা বাজে। আব্দুর রাজ্জাক তালিনা গ্রামের মাঠে পেয়ারা গাছে ঔষধ স্প্রে করছিলেন। এ সময় সে সাপের কামড়ের শিকার হন। খবর পেয়ে তাঁর স্বজনরা আব্দুর রাজ্জাক উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক রাফসান রহমান প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করান।
এরপর স্বজনরা তাকে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপরের ওয়াডে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষনের মধ্যে সে মারা যান। আব্দুর রাজ্জাক কে জাত সাপে কামড় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই ইউপি সদস্য।  আব্দুর রাজ্জাক কোটচাঁদপুরের তালনা গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।
এ ব্যাপারে চিকিৎসক রাফসান রহমান বলেন,সাপে কাটা রোগীটির অবস্থা ভাল ছিল না। তাকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপরে ওয়াডে পাঠানো হয়।এর কিছুক্ষন পরই তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ বলেন,ওনার স্বজনা জানিয়েছেন সাপে কামড় দিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক কে। সে মোতাবেক দেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে ঔষধ প্রয়োগের আগেই তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, সাপের কামড়ে কোন রোগী এতটা খারাপ হয় না। তিনি সাপের কামড়ানোর পর ভয়ে স্ট্রোক করেছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।



মেহেরপুরে ২ দোকানে ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

মেয়াদ উত্তীর্ণ মালামাল বিক্রি ও সংরক্ষণ করার অপরাধে ২ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিকের নিকট থেকে ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা শাখা যৌথভাবে মেহেরপুর শহরে বড়বাজার এবং হোটেল বাজারে এই ভ্রাম্যমান অভিযান চালান।

মেহেরপুর জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সজল আহমেদের নেতৃত্বে শহরের বড় বাজার এলাকার সন্তোষ বীজ ও খাদ্য ভান্ডারে অভিযান চালান। মেয়াদ উত্তীর্ণ মালামাল বিক্রিও সংরক্ষণ করার অপরাধে সন্তোষ বীজ ও খাদ্য ভান্ডারের মালিক রিপন কুমার সাহার নিকট থেকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৫১ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এর আগে শহরের হোটেল বাজারের রিতা স্টোরের মালিক শাহিনের নিকট থেকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ও ৪৫ ধারায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবির হোসেন ও মোঃ সাজেদুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম ও পুলিশের একটি টিম।




ঝিনাইদহে মিন্টু’র মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে জেলার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, স্বাধীনতা সাংস্কৃতিক পরিষদ, ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরাম, কেসি কলেজ থিয়েটার, সচেতন নারী সমাজ, ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠী, নবগঙ্গা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, জাগরণ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সদস্যসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।

ঘন্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচীতে স্বাধীনতা সাংস্কৃতিক পরিষদের আহ্বায়ক দীপ্তি রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শান্ত জোয়ার্দ্দার, হাসিবুর রহমান শিপন, পৌর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহানাজ পারভীন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক অমিয় মজুমদার অপু, জাতীয় মহিলা সংস্থার সমস্য নাজমা সাজেদসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
সেসময় বক্তারা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে দাবী করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবী জানান।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা ঘটনার দায়েরকৃত অপহরণ মামলায় গত ১১ জুন সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।