আলমডাঙ্গায় ৬৭০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ৮ মামলার ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ মায়া আটক

মায়া খাতুন। আলমডাঙ্গা উপজেলায় ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে পরিচিত। জেল হাজতে যাওয়া যেন তার কাছে ডালভাত। এক যুগে মামলা হয়েছে ৮ বার। গ্রেপ্তারও হয়েছেন প্রায় ১৫ বার। বের হয়ে আবারও মাদক বেচাকেনায় জড়িয়ে পড়েন। সর্বশেষ গতকাল রবিবার বিকেল ৫ টার দিকে পৌর এলাকার এক্সচেঞ্জ পাড়া এলাকার তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এসময় তার বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ৬৭০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত মায়া খাতুন (৩৫) মৃত জাহাঙ্গীর আলম ওল্টুর স্ত্রী।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ী মায়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বাড়ি তল্লাশি করে ৬৭০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। মায়ার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গাসহ বিভিন্ন থানায় ৮ টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় একাধিকবার জেলে গেলেও জামিনে বেরিয়ে আবারও পুরনো পেশায় ফিরে যায় মায়া।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন বলেন, ‘অন্তত ১৫ বার গ্রেপ্তার হয়েছেন মায়া খাতুন। প্রতিবার জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক কেনা বেচায় জড়িয়ে পড়েন। তাকে গ্রেপ্তারের পর আলমডাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনি মামলা হয়েছে।




৮১ বছরের রানী হামিদ যাচ্ছেন দাবা অলিম্পিয়াডে

আগামী সেপ্টেম্বরে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে বসবে দাবা অলিম্পিয়াড। এখানে যাবেন মহিলা দাবার শীর্ষে থাকা পাঁচ দাবাড়ু। দুই বোন ওয়াদিফা ও ওয়ালিজা, নোশিম আঞ্জুম, নুশরাত জাহান আলো ও রানী হামিদ।

দেশের কিংবদন্তি রানী হামিদ শীর্ষ পাঁচ দাবাড়ুর তালিকায় ছিলেন না। পঞ্চম স্থানে ছিলেন শারমিন সুলতানা শিরিন। কিন্তু শিরিন পারিবারিক কারণে যেতে পারছেন না বলে দাবা ফেডারেশন জানিয়েছে। শিরিনের ঘরে এক বছরের শিশুসন্তান রয়েছে। এই অবস্থায় তার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে ষষ্ঠ স্থানে থাকা রানী হামিদ অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।

দাবার বোর্ডে রানী হামিদ
দাবা অলিম্পিয়াড খুব মর্যাদার একটি আসর। মহিলা দাবার দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন শারমিন সুলতানা শিরিন। তিনি যেতে না পারায় আক্ষেপ আছে। কিন্তু শিশুসন্তান রেখে যাওয়াটা সম্ভবও নয়। বাধ্য হয়ে এত বড় একটি সুযোগ হাতছাড়া করতে হয়েছে। দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিরিন নাম প্রত্যাহার করায় রানী আপার নামটি অন্তর্ভুক্ত করা গেছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ওয়ালিজা ও রানী হামিদ যুগ্মভাবে পঞ্চম স্থানে ছিলেন। প্লেঅফে রানী হামিদকে হারিয়ে ওয়ালিজা অলিম্পিয়াডে খেলা নিশ্চিত করেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে ৮০ পেরিয়ে ৮১ বছরে পা দিয়েছেন রানী হামিদ। এখনো তিনি দাবার বোর্ড নিয়ে আছেন। দাবা খেলার প্রতি এতটুকু অনীহা নেই। মহাখালী ডিওএইচএস থেকে চলে আসনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম-সংলগ্ন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন ভবনে, দাবা ফেডারেশনে। এখনো তিনি দাবার প্রতি অনেক বেশি উত্সাহী। খুব খুশি হয়েছেন অলিম্পিয়াডে যাবেন বলে। একসময় রানী হামিদের সঙ্গে খেলেছেন আন্তর্জাতিক অনেক দাবাড়ুর সঙ্গেও এবার দেখা হতে পারে। এটাই তার কাছে অনেক আনন্দের।

সূত্র: ইত্তেফাক




হ্যাকিংয়ের তথ্য গোপন করেছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ওপেনএআই

ইন্টারনেট দুনিয়াতে নানা ধরনের হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। বড় বড় হ্যাকিংয়ের ঘটনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। সাধারণত প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের আতঙ্কিত না করতে বা সরকারের চাপ মোকাবিলায় তারা এমনটি করে। এখনকার সবচেয়ে আলোচিত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ওপেনএআই। এই প্রতিষ্ঠানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তৈরি করে এআই নির্ভর প্রযুক্তির বিকাশে নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে।

মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন বলছে, চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালে হ্যাকিংয়ের মুখে পড়েছিল। অজ্ঞাত হ্যাকার প্রতিষ্ঠানটি অভ্যন্তরীণ এক বার্তা আদান-প্রদান ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করেছিল। ম্যাশেবলের তথ্যমতে, সেই হ্যাকার কর্মীদের আলাপ থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংক্রান্ত বেশকিছু প্রযুক্তির নকশা চুরি করেছে বলে জানা গেছে।

ওপেনএআইয়ের কর্মীরা সেই মেসেজ সিস্টেমে চ্যাটজিপিটির সর্বশেষ মডেলের কাজ ও নকশা নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। অবশ্য হ্যাকার শুধু ডিসকাশন ফোরামে প্রবেশ করেছিল। ওপেনএআইয়ের মূল সিস্টেম বা চ্যাটজিপিটির কোনো সার্ভারে প্রবেশ করতে পারেনি। সেই পরিস্থিতিতে ওপেনএআইয়ের নির্বাহীরা বেশ সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন।

হ্যাকিংয়ের ঘটনা যদি কোনো চীনা হ্যাকার ঘটায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তদন্তের মুখে পড়ার ভয় ছিল। এফবিআইসহ মার্কিন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কোনো সংস্থাকে তখন ওপেনএআই কোনো তথ্য জানায়নি। নিজেদের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও পরিচালনা পর্ষদকে হ্যাকিংয়ের ঘটনা জানানো হয়। তথ্য চুরি না হওয়ায় হ্যাকিংয়ের বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ওপেনএআইয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা অনেক বছর ধরেই প্রশ্ন তুলছেন। হ্যাকিং বা বিদেশি শক্তি চ্যাটজিপিটির মতো এআইকে হ্যাক করলে বিকল্প কী উপায় আছে তা নিয়ে ওপেনএআই কখনোই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। এ বছর ওপেনএআইয়ের জিপিটি স্টোরের কিছু প্লাগিনসের নিরাপত্তা ত্রুটি দেখা যায়। সব মিলিয়ে মাঝেমধ্যেই নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে পড়লেও ওপেনএআই থেকে কোনো উত্তর মিলছে না।




আগাছানাশক বিষ প্রয়োগে পুড়েছে দেড়শ বিঘা ধান

গাংনীর চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামারের যুগ্ম পরিচালকের অদক্ষতায় আগাছা নাশক বিষ প্রয়োগ করে পুড়িয়ে মারা হয়েছে প্রায় দেড় শ বিঘা জমির ধান। এতে সরকার হারাচ্ছে প্রায় কোটি টাকা।

এ ব্যাপারে ওই খামারের যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদুল ইসলাম এখন নিরবতা পালন করছেন।

গতকাল রবিবার সরেজমিনে চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামারে দেখা গেছে বিস্তির্ণ ধানের মাঠ এখন সবুজের পরিবর্তে হলুদ হয়ে গেছে। পঁচে গেছে ধানের গোড়া। পুড়ে গেছে ধানের সব পাতা ও কান্ড।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামারে ১২০ একর জমিতে ব্রী ২১ ও ব্রী ৭২ উচ্চ ফলনশীল আউস ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। ধান রোপনের পর ধানের জমিতে আগাছা বৃদ্ধি পেয়েছে। খামারের যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদুল ইসলামের একান্ত কাছের লোক নাজিম উদ্দিন ধানের জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করার জন্য কর্মরত শ্রমিকদের নির্দেশ দেন। নাজিম উদ্দিন নিজেই কীটনাশক বালতিতে ভরে শ্রমিকদের কাছে দেন। চলতি মাসের ২ তারিখে শ্রমিকরা ধানক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। কীটনাশক প্রয়োগের কয়েক দিনের মধ্যেই ধানের চারা গাছ গুলো মরতে শুরু করে।

তবে কি ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি কর্মরত শ্রমিকদের। জানা গেছে নিম্নমানের কীটনাশক ও সার, যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত শ্রমিক নাজিম উদ্দিনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার একটি দোকান থেকে নিয়ে আসেন। নিম্নমানের কোম্পানীর সার ও কীটনাশক ব্যবহার করায় এই খামারে দিন দিন কমেছে ফলন।

এই ব্যাপারে যুগ্ম পরিচালক মোরশেদুল ইসলামের সাথে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা নিষেধ আছে বলে জানান তিনি। তিনি একাধিকবার বলেন, মন্ত্রী এবং আমার ডিপার্টমেন্ট সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছেন।

খামারে কর্মরত শ্রমিক সর্দার আব্দুল মান্নান, বলছেন, ধানের জমিতে অনেক আগাছা জন্মেয়. তাই নাজিম উদ্দিন তাদেরকে কীটনাশক প্রয়োগ করতে বলেন। সেই কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে জমির ধান গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। জমিতে কতটুকু কীটনাশক দিতে হবে নাজিম উদ্দীন আমাদের বলে দিয়েছেন। সেমতে জমিতে কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে।

মাস্টার রোলের শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের যুগ্ম পরিচালক স্যারের লোক নাজিম উদ্দীন কীটনাশক পানির সাথে মিশিয়ে দেন। আমরা তার নির্দেশমত জমিতে স্প্রে করি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক জানান, জমির ধান মরে যাওয়া শুরু হলে ওই কীটনাশকের বোতলের আলামত নষ্ট করার জন্য তড়িঘড়ি করে নাজিম উদ্দিন বোতলগুলো পুড়িয়ে ফেলেন। তাদের মতে, যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদুল ইসলামের একান্ত কাছের লোক নাজিম উদ্দিনের দেওয়া নিম্নমানের কীটনাশকের থাবায় মাঠের পর মাঠের এই ধান পুড়ে গেছে।

শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, নাজিম উদ্দিনের অনুমতি ব্যতীত কোন কাজ করতে পারেন না শ্রমিক ও খামারের উপসহকারী কর্মকর্তারা (ডিএডি)।

নাজিমুদ্দিন এই খামারের যুগ্ম পরিচালকের ভাব নিয়ে কাজ করেন। এই ক্ষমতার উৎস যুগ্ম পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম বলে জানান শ্রমিকরা।

খামারের যুগ্ম পরিচালক বা সহকারি যুগ্ম পরিচালক নয়, এখন ফার্মের সকল কার্যক্রম চলছে যুগ্ম পরিচালকের একান্ত কাছের লোক শ্রমিক নাজিম উদ্দীনের নির্দেশে।

এঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক দেখে যুগ্ম পরিচালকের একান্ত কাছের লোক নাজিম উদ্দিন লুকিয়ে পড়েন।
অভিযোগ উঠেছে, যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদুল ইসলাম এই ফার্মে যোগদানের পর থেকেই তার অদক্ষতায় প্রতিবারই লোকসান গুনছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে কীটনাশকের বোতল সংগ্রহ করে গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেনের কাছে নিলে তিনি বলেন, এগুলো আগাছা নাশক কীটনাশক। এসব মানের কীটনাশক জমিতে বেশি ব্যবহার করলে ধান গাছের গোড়ায় ধীরে ধীরে পচন ধরবে। মরে যাবে ধানের ক্ষেত।

এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি চিৎলা ফার্মের যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদুল ইসলাম।




আলমডাঙ্গায় ইজিবাইক নিয়ে ছাগল চুরি: ৪ ছাগল চোরকে গণধোলাই

আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জে ইজিবাইকে ছাগল চুরি করতে এসে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। গত  শনিবার দুপুরে জেহালা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ৪ ছাগল চোরকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী।

চোরচক্রের সদস্যরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বুজরুগড়গড়ি গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে ফেরদৌস, হাটকালুগঞ্জের মৃত লতফর রহমানের ছেলে ফজলে, দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে আলমগীর, একই গ্রামের মৃত কুতুব উদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন। তারা চুরির ঘটনা অকপটে স্বীকার করে ও কোনদিন চুরি করবে না বলে অঙ্গিকার করে।

স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার দুপুরে জেহালা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ে ৪ চোর ছাগল চুরি করতে আসে। ইজিবাইকে থাকা ৩ চোর কৃষ্ণপুর ক্যানাল পাড়ার রাস্তায় ৩ টি ছাগল দেখে দাড়িয়ে যায়। সেখানে রাস্তার পাশে ভুট্টা ছিটিয়ে দিয়ে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। ছাগল গাড়ির কাছাকাছি আসলেই সুযোগ বুঝে ছাগল ধরে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে।

এই ঘটনা বাড়ির ছাদে বসে দেখছিল এক যুবক। যুবকটি দ্রুত তাদের তাড়িয়ে ধরে ফেলে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে ওই ৪ চোর পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। পরে তাদের আটক করে গণধোলাই শেষে ছেড়ে দেয় বলে গ্রাম সূত্রে জানাগেছে।




দামুড়হুদায় দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে অনুদানের চেক প্রদান

দামুড়হুদা উপজেলার দুঃস্থ ও অসহায় উপকারভোগীদের মাঝে চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর এমপি’র ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ঐচ্ছিক তহবিল হতে বরাদ্দকৃত অনুদানে চেক প্রদান করা হয়।

আজ রবিবার বিকাল ৪ টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়জনে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপজেলার ৪৪ জন উপকার ভোগীদের মাঝে চেক বিতরণ করেন এমপি টগর। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সাংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ঐচ্ছিক তহবিল হতে আজ দুস্থদের মাঝে বরাদ্দকৃত অর্থের চেক বিতরণ করা হচ্ছে। ইচ্ছে করলে এই অর্থ অন্য কাজেও ব্যাবহার করা যেত। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় চাই দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য কাজ করতে। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ৪৪ জন অসহায় পরিবারের মাঝে বরাদ্দকৃত ঐচ্ছিক তহবিলের চেক প্রদান করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল কবির ইউসুফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া খাতুন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, দামুড়হুদা মডেল মসজিদের পেশ ঈমান হাফেজ মাঃ মোঃ মামুনুর রশীদ সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন না হওয়ায় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ৬ লেনের কাজে ধীরগতি

জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের কাজে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। শুধুমাত্র কয়েকটি স্থানে, পাইলিং, লোডটেস্ট আর কালভার্ট তৈরী করা হলেও জমি বুঝে না পাওয়ায় পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারছে না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর (উইকেয়ার) ফেজ-১-এর আওতায় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ছয় লেন উন্নয়ন প্রকল্পটি (এন-৭) অনুমোদন দেওয়া হয়। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২০২৬ সালের জুন মাসে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সদর উপজেলার বিষয়খালী, চুটলিয়া মোড়, ধোপাঘাটা ব্রীজ এলাকায় ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে পাইলিংয়ের কাজ। এছাড়া তৈরী করা হচ্ছে ওভার ব্রীজের জন্য গার্ডার। চুটলিয়া মোড়ে এখন করা হচ্ছে লোড টেস্টের কাজ। কিন্তু সড়কের কোন অংশের জমি এখন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এতে যেমন বিপাকে রয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান একই সাথে সমস্যায় পড়েছেন জমির মালিকরা।

চুটলিয়া এলাকার কৃষক নাসির উদ্দিন বলেন, আজ কয়েকবছর ধরে শুনছি জমির টাকা দিয়ে দেবে। জমিও নিচ্ছে না আবার টাকা দিচ্ছে না। আমরা তো ঝামেলায় আছি।

একই এলাকার কৃষক নাদের মালিথা বলেন, আমাদের জমির জন্য ৭ ধারার নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু এরপর আর কোন নোটিশ পায়নি। এখন জমি তো ফেলেও রাখতে পারছি না আবার চাষ ও করতে পারছি না। ধান লাগালে তো আমাদের একটু হলেও উপকারে আসত। খুব দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি।

এ ব্যাপারে উইকেয়ার ফেজ-১’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ নিলন আলী বলেন, আমাদের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। মান বজায় রেখে আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে জমি বুঝে পায় তাহলে কাজও পুরোদমে শুরু হবে আর আমরাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ বুঝে দিতে পারব।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, অধিগ্রহণকৃত জমির জন্য সড়ক বিভাগ, বনবিভাগসহ কয়েকটি দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের তালিকা দ্রুত দিলে আমরা টাকার জন্য চিঠি পাঠাবো। তারপর অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।




মেহেরপুরে রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে সনাতন ধর্মবিশ্বাসীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (৭ জুলাই) বিকাল পাঁচটার দিকে সনাতনী রীতি অনুযায়ী এ রথযাত্রা শুরু হয়। মেহেরপুর শহরের হরিসভা মন্দিরের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রথযাত্রাটি একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা এ সময় শ্রী জগন্নাথ দেবের জয় গান করেন। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের ধর্মানুসারীরা রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। এর পূর্বে মন্দিরে পূজা-আর্চনা আয়োজন করা হয়।

রথযাত্রা শেষে অনুসারীদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়।




বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকাদের সন্তানেরা সিনেমা বিমুখ!

হলিউড-বলিউডসহ প্রায় সব ইন্ডাস্ট্রিতেই জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সন্তানদের সিনেমায় দেখা যায় হরহামেশাই। কিন্তু বাংলাদেশ তথা ঢালিউডের চিত্র একেবারেই ভিন্ন।

শাবানা, ববিতা, কবরী থেকে শুরু করে জসিম-ফারুক-আলমগীরদের মতো তারকাদের তুমুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও এ পথে পা মাড়াননি তাঁদের সন্তানেরা। যা নিয়ে আক্ষেপ ঝরে পড়েছে মৌসুমীর কণ্ঠে।

একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলাপ করেছেন নায়িকা। তিনি বলেন, ‘ছেলেসন্তানদের ক্ষেত্রে বাধা না থাকলেও কন্যাসন্তানদের নায়িকা হতে দিতে চাইছেন না শিল্পীরা। সব নায়ক-নায়িকাকে দেখি তাঁদের ছেলেরা যদি সিনেমা করতে চায়, তাদেরকে না করেন না। কিন্তু মেয়ে কখনো যদি নায়িকা হতে চায়, সেটা নিয়ে সবাই একটু অমত পোষণ করেন।’

‘ভাত দে’ সিনেমায় নজর কেড়েছিলেন নায়ক আলমগীরের মেয়ে শিল্পী আঁখি আলমগীর। যদিও পরে গানে নিয়মিত হলেও অভিনয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, ‘আঁখি আলমগীর খুব সম্ভাবনাময় ছিল। তাকে কিন্তু ভাইয়া (আলমগীর) কাজ করতে দেননি। ও খুবই সুন্দর মিষ্টি দেখতে ছিল। সে সময় একঝাঁক নতুন মুখ আসছিল। কিন্তু আঁখিকে দেওয়া হয়নি। তাকে পেলে আমরা খুব ভালো একজন নায়িকা পেতাম। চম্পা আপার মেয়েও কিন্তু অনেক কিউট। চম্পা আপা তাকে কখনো নায়িকা হতে উৎসাহ দেননি। দেখা যায় যে আমাদের অনেকেরই মেয়ে আছে, যাদের আগ্রহ থাকার পরও সিনেমায় আসতে দেওয়া হয়নি। অন্যভাবে বড় করা হয়েছে। কেন যেন আর্টিস্ট হওয়ার ব্যাপারে সবার বাধা।’

মৌসুমী আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলেন দোয়েল আপা, তিনি অনেক সময় দিতেন (প্রার্থনা ফারদিন দীঘি) দীঘিকে। আপা আমাকে বলেছিলেন, আমার খুব ইচ্ছা দীঘিকে নায়িকা হিসেবে তৈরি করার। আমি নিজে যা মেইনটেইন করতে পারিনি। আমি বড় জায়গায় যেতে পারতাম। এত সাপোর্ট পেয়েও আমি আমার জায়গাটা ধরে রাখতে পারিনি। এটা আমি দীঘির মধ্যে দেখতে চাই।

যাই হোক সর্বসাকুল্যে বড় তারকা খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা তাদের মেয়েদেরকে সিনেমায় আনতে বিমুখ।




দামুড়হুদায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

দামুড়হুদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) এর শুভ উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সাংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর।

গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এমপি টগর বলেন, অনূর্ধ্ব ১৭ বয়সের ছেলেদের ফুটবল টুর্নামেন্টের আজকে উদ্বোধনী খেলা, আর এই বয়সেই খেলাধুলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী। মাদক থেকে দূরে থাকতে হলে খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ততা থাকতে হবে। খেলাধূলায় মনোযোগী হলে মাদক থেকে দূরে থাকা সম্ভব। খেলায় হার জিত থাকবেই, এটা মেনে নিতে হবে। খেলার মাঠে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবানা। বক্তব্য শেষে এমপি টগর টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল কবির ইউসুফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া খাতুন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি এম নুরুন্নবী, উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজু আহাম্মেদ রিংকু, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও দামুড়হুদা ইউনিয়ন একাদশের কোচ ম্যানেজার শহীদ আজম সদু সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। খেলার মাঠে ছিলো দর্শকদের উপচে পরা ভীড়, ফুটবল প্রেমীরা সহ উপস্থিত সকলে মনোমুগ্ধকর খেলা উপভোগ করেন।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় যে দুটি দল অংশগ্রহণ করেন তারা হলো উপজেলার দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন একাদশ বনাম হাউলী ইউনিয়ন একাদশ। খেলার নির্ধারিত সময়ে উভয় দলই দুটি করে গোল করে খেলার সমতা বজায় রাখে। পরে ট্রাইবেকারে ৫টির মধ্যে দামুড়হুদা ইউনিয়ন একাদশ ৩টা গোল করে এবং হাউলী ইউনিয়ন একাদশ ৪টি গোল করে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় বিজয়ী হয়।

খেলায় রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন একরামুল হাসান নিপুন, সৈয়দ মাসুদুর রহমান, সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, ইউসুফ আলী। টুর্নামেন্টের ম্যাচ কমিশনার সাবেক জেলা ফুটবলার জাকির হোসেন। খেলায় ধারাভাষ্য দেন মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন দামুড়হুদা মডেল মসজিদের পেশ ঈমান হাফেজ মাও মোঃ মামুনুর রশীদ।