ঝিনাইদহে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ

গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ও রোপা আমন (উফশী) ধান এর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঝিনাইদহে ২৪’শ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে পেঁয়াজ ও ধান বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এ পেঁয়াজ ও ধান বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়।

কর্মসূচীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায়, উপজেলা কৃষি অফিসার নূর-এ-নবী, উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার জুনায়েদ হাবিব সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি খরিপ-১/২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সদর উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার ২ হাজার ৪’শ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ১ কেজি করে উন্নত জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ, ডিএপি সার ২০ কেজি, এমওপি ২০ কেজি।

এছাড়া উন্নত জাতের রোপা আমন (উফশী) ধান ৫ কেজি করে, ডিএপি সার ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি করে বিতরণ করা হয়।




শৈলকুপায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বন্ধ ও বাড়ি ফেরার দাবীতে মানববন্ধন

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বন্ধ ও বাড়ি ফেরার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার উপজেলার গাড়াগঞ্জ মিয়া জিন্নাহ আলম ডিগ্রি কলেজের সামনে এ কর্মসুচির আয়োজন করে নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী কয়েকশ পরিবারের সদস্যরা।

সেসময় উপজেলার লক্ষ্মণদিয়া, বেস্টপুর,গোবিন্দপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের হামলার শিকার পরিবারের সদস্যরা অংশ নেয়।
কর্মসূচীতে লক্ষণদিয়া গ্রামের ভুক্তভোগী মানিক হোসেন, সাবু মেম্বর, ব্রাহিমপুর গ্রামের আগা খাঁ, চাঁদ আলী ফকিরসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, গত ২১ মে শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল সাইকেল প্রতিকের প্রার্থী মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু বিজয়ী হওয়ার পর থেকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী দোয়াত কলম মার্কার শামীম হোসেন মোল্লার সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে হামলা করছে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা।

হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে। তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি থেকে। বাড়ি ফিরতে হলে চাঁদা দাবী করা হচ্ছে। তাই এ সহিংসতা বন্ধ ও বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।




ঝিনাইদহে ট্রাকের ধাক্কায় আলমসাধু চালকের মৃত্যু

ঝিনাইদহ সদরের গোপিনাথপুর এলাকায় ট্রাকের সাথে মাছ বোঝাই আলমসাধুর মুখোমুখি সংঘর্ষে আছাদুল (৩৫) নামের এক আলম সাধু চালকের মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল এ ঘটনা ঘটে। সে মেহেরপুর জেলার গাংনি থানার যুগীরগোফা গ্রামের তাইজুল মিস্ত্রির ছেলে।

ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক তানভীর হাসান জানান, সকালে আলমসাধু যোগে মেহেরপুরের গাংনি এলাকা থেকে ড্রামে মাছ নিয়ে ফরিদপুরের দিকে যাচ্ছিল আছাদুল। পথিমধ্যে ঝিনাইদহের গোপিনাথপুর এলাকায় ডিঙ্গেমারা ব্রীজের সামনে পৌছালে সামনের দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে আলমসাধুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মৃতদেহটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘাতক গাড়ীটিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।




তেলেগু সিনেমার অভিনেত্রী হেমা গ্রেফতার

তেলেগু সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হেমাকে বেঙ্গালুরুর রেভ পার্টির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৩ জুন) তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ (সিসিবি)।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেঙ্গালুরু রেভ পার্টি মামলার তদন্তকারী কেন্দ্রীয় অপরাধ শাখা সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের পরে তেলেগু অভিনেত্রী হেমাকে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রাথমিকভাবে হেমা বেঙ্গালুরুর রেভ পার্টিতে ছিলেন বা বলে দাবি করেছেন। কিন্তু, তার রক্ত পরীক্ষা করে মাদক পাওয়ার পর, হেমা-সহ আটজনকে শুনানির জন্য নোটিস পাঠিয়েছিল বেঙ্গালুরু পুলিশ।

সোমবার (৩ মে) শুনানিতে এই ঘটনার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেঙ্গালুরু পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পরিচয় ঢাকতে শুনানিতে বোরকা পরে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট হয়নি ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১৯ মে বেঙ্গালুরুর এক ফার্মহাউজে ওই রেভ পার্টির সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। সেসময় রেভ পার্টিতে অভিযান চালায় সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। যে পার্টিগুলিতে নিষিদ্ধ মাদক সেবন করা হয়, সেগুলিকেই রেভ পার্টি বলে।

পার্টিতে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। পরে, পার্টিতে অংশ নেওয়া সকলের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই পার্টিতে ৭৩ জন পুরুষ এবং ৩০ জন নারী ছিলেন। পার্টিতে উপস্থিত ১০৩ জনের মধ্যে ৮৬ জনই মাদক সেবন করেছিলেন বলে অভিযোগ পুলিশের। তাদেরই একজন ছিলেন তেলেগু অভিনেত্রী হেমা। হেমা ছাড়াও, তেলেগু অভিনেতা আশি রায়-ও ওই রেভ পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন।

 




জীবননগরে ঈদুল আযহা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

জীবননগর পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আগামী ঈদুল আযহা উদযাপন উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন ঈদগাহ কমিটির সভাপতি  আবু মোঃ আব্দুল লতিফ অমল।

ঈদগাহ কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে আগামী ঈদুল আজহার নামাজ সকাল ৮ টার সময় অনুষ্ঠিত হবে বলে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ইশা বাৎসরিক আয় ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করেন এবং ঈদগাহ কমিটির তিনজন সদস্য এবার হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাচ্ছেন, এই তিন জন সদস্যের জন্য কমিটির সকল সদস্যগণ দোয়া করেন দোয়া পরিচালনা করেন কমিটির সদস্য হাজির আব্দুল মজিদ।

সভায় আর কোন এজেন্ডা না থাকায় সভাপতি সভার কার্য সমাপ্ত ঘোষণা করেন।




রাজার বেশে বিদায় নিলেন আরুদুজ্জামান

টানা চতুর্থ বারের মতো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফাইনালে হিমালয়ের দেশ নেপালকে ৪৫-৩১ পয়েন্টের বড় ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে নিজের কাবাডি ক্যারিয়ারকে বিদায় জানিয়েছে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আরুদুজ্জামান মুন্সী।

মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে গতকাল ফাইনাল ম্যাচ দেখতে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১৫ হাজার দর্শক। এদিন টানা চতুর্থ বারের মতো এই টুর্নামেন্টে শিরোপাজয়ের পর যখন সব খেলোয়াড় উল্লাসে মাতোয়ারা, তখন ব্যতিক্রম ছিলেন অধিনায়ক আরুদুজ্জামান। তার চোখ তখন অশ্রুসিক্ত। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জীবনের সবচেয়ে কঠিনতম দিন এটিই। তখন তাকে দেখে মনে পড়ে যায় সেই বিখ্যাত লাইন, ‘চলে যেতে মন নাহি চায়, তবু চলে যেতে হয়।’

ম্যাচ শেষে সতীর্থদের কাঁধে চড়ে পুরো মাঠ প্রদক্ষিণ করেন আরুদুজ্জামান। তখন তার গলায় ছিল গাধা ফুলের মালা, হাতে ছিল ফুলের তোড়া। তখন তাকে দেখে মনে হচ্ছিল রাজ্য জয় করে সৈনিকের কাঁধে চড়ে ফিরছেন কোনো অপরাজিত রাজা। তবে এই একটি দিক দিয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতেই পারেন আরুদুজ্জামান। কেননা, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে মাঠ থেকে সতীর্থদের কাঁধে চড়ে এমন মধুর বিদায় নেওয়ার নজির খুবই কম।

ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ওঠে আরুদুজ্জামানের হাতে। তখনো তার চোখে দেখা যায় বিদায়ের অশ্রু। ম্যাচসেরার পুরস্কার নেওয়ার পর তিনি কান্নামিশ্রিত কণ্ঠে বলেন, ‘গতকাল সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। লাল-সবুজের জার্সি পরে আর খেলব না—এটা ভেবে খুব কষ্ট হচ্ছিল। আজ হোক কাল হোক, তার পরও তো বিদায় নিতে হবেই। শেষ পর্যন্ত সুন্দরভাবে বিদায় নিতে পেরেছি, এজন্য আমি খুশি।’

এর আগে ২০০৯ সালে কাবাডি জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় আরুদুজ্জামানের। ১৫ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ইন্দোর এশিয়ান গেমস, ২০১০ এসএ গেমস, এশিয়ান গেমস, ইন্দো-বাংলাদেশ গেমস, ২০১৪ বিচ গেমস, এশিয়ান গেমস, প্রো-কাবাডি, ২০১৬ এসএ গেমস, ২০১৬ বিশ্বকাপ, প্রো-কাবাডি, ২০১৮ এশিয়ান গেমস এবং ২০২১-২০২৪ পর্যন্ত চারটি বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডি টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন তিনি।

সূত্র: ইত্তেফাক




বড় হচ্ছে রিমোট জবের বাজার

গেল কয়েক বছর ধরেই ফ্রিল্যান্সিং ও ঘরে বসে দূরের কাজ বা চাকরি (রিমোট জব) করার ধারণা সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয়েছে। ফ্রিল্যান্স কাজ ও রিমোট জবের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কাজ দূরবর্তী কোনো জায়গা থেকে করাকে রিমোট জব বলে। এক কথায় রিমোট জবে আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মী হিসেবে কাজ করবেন, কিন্তু নিয়মিত অফিসে যেতে হবে না। করোনা মহামারির সময়ে রিমোট জবের বিকাশ বড় আকারে দেখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রে রিমোট জব ২০২০ সাল থেকে বর্তমানে প্রায় ২৮ শতাংশ বেড়েছে। এখন পশ্চিমা দুনিয়ায় হাইব্রিড মানে সরাসরি অফিস ও রিমোট জবের সমন্বয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজের মাত্রা বেড়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং ভারত, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বাংলাদেশের মতো দেশে আগামী পাঁচ বছরে রিমোট জবের সংখ্যা বাড়বে বলে বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা। ইনসাইডার মাঙ্কি এখন জনপ্রিয় এমন কয়েকটি ওয়েবসাইটের নাম প্রকাশ করেছে যেখান থেকে দক্ষতা অনুসারে কাজের খোঁজ পাওয়া যাবে।

ফ্রিল্যান্সারম্যাপ

ফ্রিল্যান্সারম্যাপে ১২ হাজারের বেশি রিমোট জবের সুযোগের খোঁজ পাওয়া যায়। এখন আলোচিত হলেও ওয়েবসাইটটি প্রায় ১৭ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত। ফ্রিল্যান্সার ও বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে সংযোগ তৈরির জন্য কাজ করছে ওয়েবসাইটটি। সাইটটির প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা মুক্ত পেশাজীবী বা ফ্রিল্যান্সারদের উপযুক্ত কাজ সম্পর্কে সরাসরি অবহিত করছে। প্রায় ২৭ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাজের জন্য কর্মী সংগ্রহ করেছে।

টপটাল

টপটাল আরেকটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়ার ওয়েবসাইট। বিশ্বব্যাপী রিমোট জবের জন্য অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। সফটওয়্যার প্রকৌশল, ডিজাইন, ফিন্যান্স, পণ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করেন এমন পেশাদারদের সঙ্গে কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে। ভারতে জনপ্রিয় রিমোট জব খোঁজার অন্যতম জনপ্রিয় সাইটের একটি টপটাল। টপটাল হলো ব্যবসা, ডিজাইন এবং প্রযুক্তি খাতে বিশ্বের শীর্ষ কর্মীদের নিয়ে একটি নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন কোম্পানিতে চাহিদা অনুযায়ী কর্মীদের সুযোগ করে দিচ্ছে টপটাল।

ল্যান্ডিং জবস

ল্যান্ডিং জবস ওয়েবসাইটে রিমোট জব প্রার্থীরা সহজেই সাইন-আপ করতে পারেন। কর্মীরা নিজের অভিজ্ঞতা অনুসারে সরাসরি দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পান। নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি দৈনিক পারিশ্রমিকে কাজের সুযোগ আছে। আইটি বিষয়ক কাজের হাব হিসেবে জনপ্রিয় ল্যান্ডিং জবস। বিভিন্ন কোম্পানির জন্য সরাসরি বিশ্বের নানা দেশে ৫০ লাখের বেশি প্রযুক্তি পেশাদারদের সঙ্গে সংযুক্ত করছে এই ওয়েবসাইট।

আউটসোর্সলি

আউটসোর্সলি আরেকটি আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই ওয়েবসাইটে কোনো ধরনের ফি জমা দিতে হয় না। নিয়োগকর্তাদের জন্য আউটসোর্সলি কর্মী সংগ্রহের বড় একটি মাধ্যম। বিশ্বের ১৮০টির বেশি দেশ থেকে কর্মীদের খুঁজে দিচ্ছে ওয়েবসাইটটি।

ওয়েলফাউন্ড

আরেকটি জনপ্রিয় সাইট ওয়েলফাউন্ড। প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রিমোট জবের সুযোগ আছে এখানে। এই ওয়েবসাইট আগে অ্যাঞ্জেললিস্ট ট্যালেন্ট নামে পরিচিত ছিল।

সূত্র: ইত্তেফাক




“বাংলাদেশের ষাট ভাগ সিমেন্টের চাহিদা মেটাবে বসুন্ধরা গ্রুপ”- এসকে জাহিদ

মেহেরপুর জেলা শহরে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা সিমেন্ট ও কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের শুভ হালখাতা ১৪৩১ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে বসুন্ধরা সিমেন্ট ও কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের পরিবেশক জি. এন এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্ত্বাধিকারী মো: গোলাম শহীদ (শাহেদ) ও মো: গোলাম মোর্শেদ (চন্দন) এর নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শুভ হালখাতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

শুভ হালখাতা আয়োজন উপলক্ষ আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেসার্স জিএন এন্টারপ্রাইজের স্বতাধিকারী মোঃ গোলাম শহিদ(শাহেদ)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বসুন্ধরা গ্রুপের সিমেন্ট সেক্টরের ডিএমডি এস কে জাহিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে, বসুন্ধরা গ্রুপের ডিএমডি এসকে জাহিদ বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের কোনো পণ্যের মানের দিক থেকে কখনো কম্প্রোমাইজ করেনা। এই গ্রুপের চেয়ারম্যান যেটা ধরেন সেটাতেই সোনা ফলে। তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের প্রোডাকশন প্লান আরো উন্নত করা হচ্ছে। আগামীতে বসুন্ধরা সিমেন্ট ও কিং ব্র্যান্ড সিমেন্ট বাংলাদেশের চাহিদার শতকরা ষাট ভাগ মেটাবে। দেশের সব সিমেন্ট কোম্পানী বন্ধ হলেও আগামী ১০০ বছরে বসুন্ধরার সিমেন্ট উৎপাদন বন্ধ হবেনা। ব্যবসায়ীদের বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে ব্যবসা আরও সস্প্রসারণ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে বসুন্ধরা গ্রুপ রড ফ্যাক্টরি স্থাপন করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিএসও শাহ জামাল সিকদার, সাউথ বেঙ্গলের ডিজিএম শাহাদাত হোসাইন, জোনাল হেড জাফরুল ইসলাম, ডিভিশনাল ম্যানেজার মুশফিকুর রহমান, এরিয়া ম্যানেজার মাসুদ সালাউদ্দিন।

হালখাতা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেসার্স জিএন এন্টারপ্রাইজের স্বতাধিকারী মোঃ গোলাম শহীদ(শাহেদ) ও মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজের পরিবেশক মোঃ গোলাম মোরশেদ (চন্দন) বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীর স্থানীয় রিটেইলার বৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বৃন্দ এবং স্থানীয় ঠিকাদার বৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা সিমেন্ট ও কিং ব্র্যান্ড সিমেন্ট এর গুণগত মান এবং ধারাবাহিক ঐতিহ্য সহ বাংলাদেশের উন্নয়নশীল প্রকল্পে বসুন্ধরা সিমেন্ট ও কিং ব্যান্ড সিমেন্ট এর অবদান তুলে ধরা হয় ।

উক্ত অনুষ্ঠানে রিটেইলার বৃন্দদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।




গাংনীতে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীকে যৌণ হয়রানির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

গাংনী উপজেলার বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌণ হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তবে, এ ধরনের গুরতর অভিযোগ ওঠার পরেও অভিযুক্ত শিক্ষক মিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেইনি বিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ।

ওই শিক্ষকের নাম মিরাজুল ইসলাম। তিনি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর নিয়োগকৃত শিক্ষক। তিনি ২০১৯ সালে ওই বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) বিষয়ক শিক্ষক।

জানা গেছে, গত বুধবার ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে শিক্ষক মিরাজুল ইসলাম একটি কক্ষে একা পেয়ে জোরপূর্বক তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাতে দেন। তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে ওই ছাত্রী ক্লাসে উপস্থিত না হয়ে ছাত্রী কমন রুমে অবস্থান নেই। বিষয়টি এক কান দোকান করতে করতে সবাই জানাজানি হয়।

বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার জানান, ভিকটিম ক্লাসে না এসে ছাত্রী কমনরুমে বসে ছিল। অন্যান্য ছাত্রীরা আমাকে জানানোর পর আমি তার সাথে কথা বলতে গেলে শিক্ষক মিরাজুল ইসলাম তাকে যৌণ হয়রানি চালিয়ে বলে আমাকে জানায়। তিনি বলেন, এঘটনার পর অভিযেুক্ত শিক্ষক মিরাজুল ইসলাম আর স্কুলে আসেনি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পরে আমি তাকে মৌখিকভাবে বহিস্কার করেছি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে জানানো হবে। ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা ছিল। এজন্যও একটু দেরি হয়েছে বলে জানান তিনি। ঘটনার পাঁচ দিনে পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেছেন, আমি ওপেন হার্ট করা মানুষ। কালকে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে জানাবো।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সভাপতি সাহাবুদ্দীন জানান, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চেয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন। এছাড়া ভিকটিমের বড় বোন আমাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়ে বিচার দাবি করেছেন। আমি সে বিষয়টিও প্রধান শিক্ষকের কাছে বলেছি।

এদিকে শিক্ষক মিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রীদের যৌণ হয়রানির চেষ্টার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তার এলাকাতেও এধরনের অনৈতিক কাজের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচার দাবী ও বিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের দাবী জানান অভিভাকরা।




দামুড়হুদায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে গরু ব্যবসায়ী: হাতেনাতে প্রতারক আটক

চুয়াডাঙ্গা জেলার বৃহৎত্তম ডুগডুগী পশুহাটে গরু কিনতে এসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে এক গরু ব্যবসায়ী। তৎক্ষণাৎ জনগণের হাতে আটক হয় অজ্ঞান পার্টির এক সদস্য। পরে অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়। অজ্ঞান পার্টির খপরে পড়া গরু ব্যবসায়ী নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার কেশার পাড় গ্রামের রেজু মিয়া ছেলে জসীম উদ্দীন(৩৮)।

আটকৃত প্রতারক ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার মোল্লাহাট গ্রামের মৃত কাসেম মিঞার ছেলে বাচ্চু মিয়া (৫৫)। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে বারোটার সময় এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, সামনে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে নোয়াখালী জেলার সেনাবাগ থানার কেশার পাড় গ্রামের রেজু মিয়া ছেলে গরু ব্যবসায়ী জসীম উদ্দীন গরু ক্রয় করার উদ্দেশ্যে ডুগডুগি পশুহাটে আসে। পশুহাটের পাশে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে বসে পরে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে। অল্পের জন্য টাকা খাওয়া যেতে রক্ষা পায়। এমন ঘটনা দেখতে পেয়ে অন্য গরু ব্যবসায়ীরা অজ্ঞান পার্টির সদস্য ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার মোল্লাহাট গ্রামের মৃত কাসেম মিঞার ছেলে বাচ্চু মিয়াকে আটক করে। পরে গণধোলাই দেয়।খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আসাদুজ্জামান আসাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে আটক।

পরে জিয়াউল হক ভুইয়া বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আজ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান অজ্ঞান পার্টির এক সদস্য কে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। বাকি সদস্যদের আটক করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।