হরিণাকুণ্ডুতে নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর যোগদান

ঝিনাইদহ জেলা হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে ঈষিতা আক্তার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে যোগদান করলেন।

গত মঙ্গলবার হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন ফুলের তোড়া দিয়ে নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে বরণ করে নেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এসে হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে যোগদান করলেন। এর আাগে তিনি খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন।

নবাগত সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ঈষিতা আক্তার ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকুরীতে যোগদান করেন। তিনি ভূমি সেবা নিশ্চিতে ও আইনের শ্বাসন প্রতিষ্ঠায় উপজেলাবাসীর ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।




মুজিবনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা পুরস্কার বিতরণ

মুজিবনগরে উপজেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (৭ জুলাই) বিকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা পর্যায়ে ইউনিয়ন ভিত্তিক খেলায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে মহাজনপুর ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বাগোয়ান ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন আনন্দবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইনাল খেলায় আনন্দবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ শূন্য গোলে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কে পরাজিত করে উপজেলা চ্যাম্পিয়ন জেলা পর্যায়ে খেলার গৌরব অর্জন করে।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের খেলায় সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন আনন্দবাস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাফিউল ইসলাম এবং সর্বোচ্চ গোল দাতা নির্বাচিত হয়েছেন সাদিকুল ইসলাম।

অপরদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন গৌরি নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মোনাখালী ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১-০ গোলে গৌরিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে উপজেলা চ্যাম্পিয়ন জেলা পর্যায়ে খেলার গৌরব অর্জন করে । বঙ্গমাতা খেলায় সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর রিয়া খাতুন এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা নির্বাচিত হয়েছেন সুমাইয়া-তাসনিম মারিয়া।

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম সভাপতিত্বে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলাটি উপভোগ ও পুরস্কার বিতরণ করেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলাটি উপভোগ করেন, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ উজ্জল কুমার দত্ত, সহকারী কমিশনার ভুমি নাজমুস সাদাত রত্ন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান রাজিব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তকলিমা খাতুন।

এছাড়াও উপজেলা পরিষদের অফিসারবৃন্দ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ডাক্তার, সাংবাদিকসহ উৎসুক দর্শক উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা উপভোগ করেন।




কুষ্টিয়ার চারজন লেখকের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

কুষ্টিয়ার চারজন লেখকের ৫টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের আঞ্জুম কিচেনে এক অনুষ্ঠানে এই বইগুলোর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বইগুলো হলো নূরুন নাহার ইকবাল এর লেখা উপন্যাস ‘একগুচ্ছ নীলপদ্ম একজন জলপরী এবং গড়াই নদ’ হাসিনা রহমানের জৈবনিক উপন্যাস ‘ফিরে দেখা’ ও ভ্রমণ কাহিনী ‘কাবুলে কুড়ি দিন’, সাফিনা আঞ্জুম জনীর কাব্যগ্রন্থ ‘ধূপকাঠি’ এবং নাজমুন নাহারের কাব্যগ্রন্থ ‘মায়ার তির’।

প্রথিতযশা সাহিত্য চর্চাকেন্দ্র ‘কাব্যকথা পরিষদ’ এর তত্বাবধানে এই বইয়ের প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার ড. প্রফেসর সেলিম তোহা।

লেখক ও সংগঠক হাসান টুটুলের সঞ্চালনায় জমকালো এই অনুষ্ঠানে বই, সাহিত্য, ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে মূল্যবান ও বিস্তর আলোচনা করেন রাজশাহী সরকারী কলেজের প্রফেসর হেলালুন নাহার, খ্যাতিমান সাংবাদিক দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা পত্রিকার সম্পাদক আবদুর রশীদ চৌধুরী, কবি ও আবৃত্তি শিল্পী আলম আরা জুঁই, কুষ্টিয়া মহিলা কলেজের সহযোগি অধ্যাপক অজয় মৈত্র, সহযোগি অধ্যাপক কবি হাশিম কিয়াম, লেখক মুনশী সাঈদ, ছড়াকার আব্দুল্লাহ সাঈদ, কবি, লেখক ও উপস্থাপক কনক চৌধুরী, বিশিষ্ট আইনজীবি সেলিম খান, তরুণ আলোচক সিদ্দিক প্রামানিক।

বই মানুষকে জাগ্রত করে উল্লেখ করে বই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বই পড়ার নিয়মিত অভ্যাস থাকলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয় এবং মন প্রফুল্ল থাকে। এই অভ্যাস আমাদের মানসিক অবসাদ ও ক্লান্তি দূর করে এবং মন সংযোগ বাড়িয়ে তোলে। বই-ই ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজের সব অশান্তি, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা দূর করার চাবিকাঠি। কাজেই আমাদের বই পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতেই হবে।

বক্তারা আরও বলেন, সাহিত্য হচ্ছে একটি দেশের দর্পনস্বরুপ। সাহিত্য যারা চর্চা করে তারা দেশের জন্য কাজ করে। সাহিত্যকর্ম ব্যক্তিকে মার্জিত করে তোলে। সৃজনশীল সাহিত্য মননশীল মানুষ ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার হাতিয়ার। তাই সভ্যতার বিকাশ ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সৃষ্টিশীল মানুষকে সম্মান করতে হবে এবং তাদের সৃষ্ট সাহিত্যকর্ম মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।

অনুষ্ঠনকে প্রাণবন্ত করতে প্রফেসর হেলালুন নাহার, সাফিনা আঞ্জুম জনী, সাকিলা দোলা, আছমা আক্তার মিরু, তুলিকা বিশ্বাস, হোসনে আরা জামান, শাম্মী সুলতানা, মহুয়া সাদিয়া ফারজানা কন্ঠে কবিতা আবৃত্তি করা হয়।

মনোমুগ্ধকর সঙ্গীত পরিবেশন করেন সাব্বির কোরাইশি, অরণ্য ইকবাল এবং সিয়াম।




আলমডাঙ্গায় চিকিৎসক সংকটে ৩১ শয্যা হাসপাতালে দ্বিগুণ রোগী

এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা জ্বরে ভুগছিল দেড় বছর বয়সী আফিয়া সুমাইয়া তাবাচ্ছুম। বাড়িতেই টুকটাক চিকিৎসা চলছিল তার। হঠাৎ অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, নিউমোনিয়া হয়েছে। তবে শয্যা না থাকায় হাসপাতালে রাখেননি। বিকেলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।

একই দিন পার্শ্ববর্তী উপজেলার মিরপুর থানার বাসিন্দা আরজিনা বেগম নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত দুই মাসের ছেলেকে নিয়ে আসেন হাসপাতালে। শয্যা না থাকায় বেলা সাড়ে ১১টা পেরিয়ে গেলেও ভর্তি করাতে পারেননি। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে বাসায় ফিরবেন, নাকি জেলার হাসপাতালে যাবেন ভেবে পাচ্ছেন না।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় তীব্র গরমে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছে রোগী ও স্বজনরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন। বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগের সামনেও ভিড়। সব ওয়ার্ডই রোগীতে পূর্ণ। এরই মধ্যে ৩১ শয্যার হাসপাতালটিতে ভর্তি রয়েছে ৭০ জন রোগী। প্রতিদিনই হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ জন। এতে বেড়েই চলছে রোগীর চাপ। দ্বিগুণ রোগী হওয়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। মেঝে-বারান্দায় চাদর ও পাটি বিছিয়ে বসে ও শুয়ে আছে রোগী ও স্বজনরা। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা তাদের। বিছানার পাশ দিয়ে মানুষজন হেঁটে যাচ্ছে। পায়ের ধুলাবালু উড়ে বিছানায় ও নাকেমুখে যাচ্ছে। এ অবস্থায় রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

১৯৬২ সালে ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পর ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী জনবল বাড়ানো হয়নি। এতে এই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগসহ প্রতিদিন রোগী দেখা হয়েছে অন্তত ৮০০ জন। এর মধ্যে বহির্বিভাগে এসেছে ৬০০ এবং জরুরি বিভাগে ২০০ জন। গত জুন মাসের তুলনায় জুলাইয়ের শুরু থেকে হাসপাতালে দৈনিক গড়ে ৪০০ রোগী সেবা নিয়েছে। দৈনিক গড়ে ১৫-২০ জন ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে ৩১ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি আছে ৭৮ জন। তাদের মধ্যে শিশু-বৃদ্ধসহ ১৫ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ২৪ ঘণ্টায় বহির্বিভাগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ১০ জন ও ডায়রিয়ার ২৯ জন চিকিৎসা নিয়েছে। এ ছাড়া জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিতে আক্রান্ত রোগীও আছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা (আরএমও) নাজমিন সুলতানা কণা জানান, তাপদাহের পর বৃষ্টি হওয়ায় রোগীর চাপ বেড়েছে। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় অনেক রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক সংকট থাকায় প্রত্যেকে ডাবল শিফটে সেবা দিচ্ছেন।




মেকআপের সঠিক নিয়ম জানেন তো?

কমবেশি মেকআপ আজকাল সবাই করেন। তবে মেকআপ ত্বকের অপরিহার্য অংশ হয়ে যাওয়ায় তোলার দিকে অনেকেরই মনোযোগ থাকে না। বাসায় ফিরে ঘুমানোর আগে যদি ভালোভাবে মেকআপ না তোলা হয় তাহলে বাঁধে বিপত্তি। মুখ-ভর্তি ব্রণ, র্যাশ, নিষ্প্রাণ ত্বক, ত্বকের পোর বড় হওয়া নিয়ে নানা জটিল সমস্যা তখনই শুরু হয়ে যায়। তাই শুধু ত্বকে মেকআপ করলেই হবে না। মেকআপ তোলার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা জরুরি। সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি।

ফেসওয়াশের ব্যবহার
মেকআপ তুলতে যেকোনো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলেই মেকআপ ত্বক থেকে ভালোভাবে তোলা হয়ে যায় না। মেকআপ ভালোভাবে তোলার কিছু নিয়ম রয়েছে। সঠিকভাবে মেকআপ তোলার ফলে ত্বক অনেক বয়স পর্যন্ত সতেজ ও স্নিগ্ধ থাকে। ফেসওয়াশ ব্যবহার করাটা প্রথমেই প্রায়োরিটি পাওয়া উচিত নয়।

মেকআপ রিমুভার লোশন
সবার প্রথমে মেকআপ রিমুভার লোশন বা যেকোনো স্কিন ওয়েল মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এভাবে মেকআপ খুব সহজে উঠে আসে এবং একই সঙ্গে ত্বকে বেশি ঘষা লাগে না। ত্বকে মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রাবিং বা ঘষাঘষি ঠিক না। তা করলে ত্বক সহজেই ঝুলে যায়।

তোয়ালের ব্যবহার
ফেস টিস্যু নিয়ে আলতো করে ঘষে মেকআপ তুলতে হবে। ছোট ফেস তোয়ালেগুলো ব্যবহার করা ভালো যেহেতু এই তোয়ালেগুলো খুব নরম হয়ে থাকে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি মেকআপ রিমুভার নিয়ে আরেকবার পুরো ত্বকে ভালো করে অ্যাপ্লাই করে মেকআপ তুলে নিতে হবে।

মেকআপ রিমুভার
অ্যালার্জিপ্রবণ ত্বক বা সেনসিটিভ ত্বকের মেকআপ রিমুভার বাজারে খুব সহজেই কিনতে পাওয়া যাবে। নরমাল বা স্বাভাবিক ত্বক হলে যেকোনো ব্র্যান্ডের মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ভালো ব্র্যান্ডের রিমুভার ব্যবহার করাই ভালো। এরপরের ধাপে ত্বক অনুযায়ী একটি ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে পুরো মুখের ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে, যাতে করে মেকআপ ভালোভাবে ওঠে এবং রিমুভার লোশন, তেল কোনোকিছুই ত্বকে অবশিষ্ট না থাকে। ফোম ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো। এভাবে ত্বকের তেল, ধুলো, মেকআপ সবই ভালোভাবে রিমুভ হয়ে যাবে। মেকআপ এই পদ্ধতিতে রিমুভ করাকে বলা হয় ডাবল ক্লিনজিং পদ্ধতি। মেকআপ তুলে অবশ্যই ভালো একটা টোনার, ময়েশ্চারাইজার ও আই ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় ত্বক দিন দিন নিষ্প্রাণ হতে থাকবে বা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা শুরু হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




জিয়ার মৃত্যুতে শোক করেছে আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশন

দাবা খেলা অবস্থায় আকস্মিকভাবে মারা গেছেন বাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশন-ফিদে। তাদের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক শোক বার্তায় জিয়ার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে চলছিল জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ডের খেলা। এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে খেলছিলেন জিয়া। দুপুর ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে খেলাকালীন হঠাৎ করেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা দ্রুতই তার চিকিৎসা শুরু করেন। প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্তও জিয়ার পালস খুঁজে পাননি ডাক্তাররা। অবশেষে তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।

জিয়াকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল দাবাড়ু উল্লেখ করে ফিদে জানিয়েছে, ‘জিয়াউর রহমানের আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার পরিবার, বন্ধু ও ভালোবাসার মানুষদের প্রতি জানাচ্ছি সমবেদনা।’

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে গোসল করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্টে নিথর হলেন বালি ব্যবসায়ী

গাংনীতে গোসল করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন শাহিন আলম (৩৫) নামের এক বালি ব্যবসায়ী। বিদ্যুত চালিত মটরের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান তিনি।

নিহত শাহিন আলম বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের বাজারপাড়া এলাকার রেজাউল হকের ছেলে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎপৃষ্টের এই ঘটনা ঘটে।

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে গাংনী পৌর সভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন জানান, শাহিন সারাদিনের কাজ সেরে নিজ বাড়িতে গোসল করার জন্য বিদ্যুৎ চালিত মটরে পানি নিতে যান। তিনি মটরের সুইচ দিতে গেলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। পরে তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক আতিকুজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসক আতিকুজ্জামান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই শাহিন আলমের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পাম্পের তারের ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তিনি মারা গেছেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।




গাংনীতে প্রেমিকার ছেলে কাস্তে দিয়ে কুপিয়ে জখম করলো যুবলীগ নেতাকে

গাংনীতে মায়ের পরোকীয় প্রেমিক গ্রাম যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকে (৫২) ধারালো কাস্তে (ধান কাটা অস্ত্র) দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে ছেলে। মারাত্বক জখম নিয়ে যুবলীগ নেতা শফিকুল এখন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার গলায় ৬১ টি, হাতে ১২টি ও শরীরের অন্য অংশে ১৫ টির অধিক সেলাই হয়েছে বলে পারিবারিকভাবে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় গতকাল শুক্রবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত ২ টার দিকে।

আহত শফিকুল ইসলাম গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মোকাদ্দেস আলী মহুরার ছেলে। সে হিজলবাড়িয়া গ্রাম যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম একই পাড়ার মামা সম্পর্কের দিন মজুর কৃষক সাবাজুল ইসলামের বাড়িতে ওঠাবসা করেন। এই সুযোগে ওই কৃষকের স্ত্রীর সাথে পরোকীয়ায় লিপ্ত হন শফিকুল। পরোকীয়া প্রেমের জের ধরে গতরাত দেড় টার দিকে শফিকুল ইসলাম সাবজুলের বাড়িতে যান। চুপি চুপি মামী সম্পর্কের প্রেমিকার ঘরে ওঠেন তিনি। এসময় সাবজুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ দেখে ফেলেন। রাতে তার মায়ের ঘরে উঠতে দেখে ফিরোজ ধারালো দেশীয় অস্ত্র কাস্তে নিয়ে বাড়ির প্রধান দরজার সামনে এসে দাঁড়ায় থাকেন। কিছুক্ষণ পর তার মায়ের ঘর থেকে শফিকুল পালিয়ে যাওয়ার সময় ফিরোজ তাকে জাপটে ধরে। এসময় দুজনের মধ্যে ধস্তা ধস্তি হয়। এক পর্যায়ে ফিরোজকে জোর করে ফেলে পালানোর সময় ফিরোজের হাতে থাকা কাস্তে তার গলায়, হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। এতে শফিকুলের গলায়, হাতে ও বুকসহ বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক জখম হয়।

ফিরোজ জানান, মায়ের সাথে শফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন পরোকীয়া প্রেম করে আমি গ্রামের মানুষের মুখ থেকে শুনি। আমি বলেছিলাম আমি এসব বিশ্বাস করিনি। যেদিন আমার সামনে তারা পড়বে, সেদিন বিচার করবো। গতরাতে আমি আমার মায়ের পাশের রুমে সুয়ে আছি। ওই সময় জেগে ছিলাম। শফিকুলকে আমার মায়ের ঘরে উঠতে দেখে। বাড়ির প্রধান গেটে (বাঁশের র‌্যালিং দিয়ে তৈরী) কাস্তে হাতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে মায়ের ঘর থেকে নেমে আস্তে আস্তে পালিয়ে গেটের সামনে আসা মাত্রই আমি তাকে জাপটে ধরি। সে আমাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধস্তা ধস্তি হয়। এক পর্যায়ে হাতে থাকা কাস্তে দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করি।

তিনি আরও বলেন, মায়ের সাথে এই ঘটনাটি গ্রামের মানুষের মুখে মুখে। আমি তাদের পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি একাধিকবার জানিয়েছি। শফিকুলকে আমাদের বাড়িতে না আসতে বারবার নিষেধ করেছি। তারপরেও সে শোনেনি। গ্রামের লোকজনও তাকে বারবার নিষেধ করেছেন। তারপরও সে নিষেধ শোনেনি।

এদিকে ওই নারী দাবি করেন, আমার কাছে না আসার জন্য আমি প্রায় এক বছর যাবৎ তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তারপরেও সে আমাকে বিভিন্নভাবে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে। গতরাতে আমি আমার স্বামীকে পাশে নিয়ে ঘুমিয়ে আছি। এই সুযোগে সে জোরপূর্বক আমার কাছে এসেছে। আমি এখন তার বিচার চাই।

এদিকে শফিকুল ইসলামের পিতা মোকাদ্দেস আলী মহুরি ও বোন রহিদা খাতুন শফিকুল ইসলামের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, ওই নারী চরিত্রহীন। আমার ছেলেকে মোবাইল ফোনে ডেকেছে, আমার ছেলে তার কাছে গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক নারী ও গ্রামবাসি জানান, শফিকুলের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে। ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারেনা। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে, এলাকার মানুষ শফিকুল ইসলামের বিচার দাবি করেছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম বলেন, রাতে ঘটনাটি শোনার পর পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। শফিকুল ইসলাম বর্তমানে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দেইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




কালীগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রেল স্টেশন এলাকা থেকে ফেন্সিডিলসহ রনি আহমেদ (২২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাকে আটক করা হয়। আটক রনি চৌগাছা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের রিজাউল ইসলামের ছেলে।

ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেল স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চৌগাছা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের রনিকে আটক করা হয়। এসময় তার সাথে থাকা ট্রলি থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। ট্রেনে করে এই ফেন্সিডিল ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে আটক রনি। তাকে দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।




শৈলকুপায় সামাজিক দ্বন্দ্বের বলি ১০ হাজার কলাগাছ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রাতের আঁধারে যোগীপাড়া গ্রামের মাঠে ২৫ কৃষকের ৪০ বিঘা জমির কলাগাছ কেটে দিয়েছে দুর্বত্তরা।

স্থানীয়রা জানায়, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই গ্রামের আব্দুল হান্নানের সমর্থকদের সাথে রইচ উদ্দিন কমান্ডারের সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছিলো। গত উপজেলা নির্বাচনের পর থেকেই উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিলো। শুক্রবার রাতে আব্দুল হান্নানের সমর্থকদের ফসল কেটে দেয় প্রতিপক্ষ দুর্বৃত্তরা।

ওই গ্রামের কৃষক শাহীন আলম জানান, সকালে মাঠে এসে দেখি আমার দেড় বিঘা জমির কলাগাছ কে বা কারা কেটে দিয়েছে। দুই দিন আগেও আমি আমার জমিতে সার দিয়েছি। কিছুদিন পরেই কলা গাছে কাদি আসা শুরু হতো। কিন্তু আমার গাছগুলো কেটে দিয়েছে। আমি তো সর্বশান্ত হয়ে গেছি।

একই গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম বলেন, আমাদের মাঠে অন্তত ২৫ জন কৃষকের জমির ফসল নস্ট করে দিয়েছে। এই গ্রামে আমাদের সামাজিক দ্বন্দ আছে। সেই দ্বন্দে¦র কারণেই আমাদের ফসলের ক্ষতি করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এত বড় ক্ষতি করেছে যা পুরণ হবে না। রইচ কমান্ডার আর মতিয়ারের লোকজন আমাদের এই ফসল নস্ট করে দিয়েছে। আমাদের সাথে শত্রুতা থাকতে পারে। তাই বলে আমাদের ফসল নষ্ট করবে। আমরা এর উপযুক্ত শাস্তি দাবী করছি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ শৈলকুপা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার অমিত কুমার বর্মন বলেন, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর আমরা সেখানে অফিসার পাঠিয়েছিলাম। প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছে সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে এই ফসলহানি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।