কোটচাঁদপুরে চুরির অভিযোগ এনে ছাত্রদের মারপিট

চুরির অভিযোগে এনে ছাত্রদের মারপিট করেছেন কোটচাঁদপুরের কাগমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই অভিযোগে তদন্তে যান সংশ্লিষ্টরা। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে শোকজের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম।

ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান বলেন, গত বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে যাবার পর স্যার আমাকে ডেকে ওনার রুমে নিয়ে যান। এরপর জিজ্ঞাসা করেন গ্রীল চুরির কথা। আমি স্যারকে বলি আমি চুরি করিনি। কে করেছেন তাও জানিনা। এরপর স্যার আমাকে ও ইয়ামিনকে হাতের স্কেল দিয়ে মারতে থাকে। এ সময় আমাদের মার দেখে পালিয়ে যান সোহাগ হোসেন।

এ ব্যাপারে সোহাগ হোসেন বলেন, ৫০ কেজি ওজনের গ্রীল কি আমরা তিন জন নিতে পারি। স্যার আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। ওই ছাত্র বলেন,স্যার যখন আমিনুর ও ইয়ামিনকে মারছিল, আমি তখন ভয়ে পালিয়ে যায়।

ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র আমিনুর রহমানের পিতা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ওই সময় বাড়িতে কাজ করছিলাম। বিদ্যালয় থেকে খবর পেলাম প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম আমার ছেলে মারধার করছেন। এ সময় আমি বিদ্যালয়ে ছুটে যায়। ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করি ছেলেকে মারার কারন। এতে করে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকেও গলা ধরে ধাক্কা দেন। গালি দেন খারাপ ভাষায়।

এরপর জানতে পারি ওই শিক্ষক আমার ছেলেকে চুরির অভিযোগে মারধর করেছেন। পরে বিষয়টি আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।

ওই অভিযোগের পেক্ষিতে ওনারা আজ বিদ্যালয়ে এসে অভিভাবকদের ডেকে সভা করেন। এরপর উভয় পক্ষের কাছে শুনে স্যারকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন।

কাগমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক( ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহিম বলেন,কারা চুরি করেছে, সেটা আমি দেখিনি। তবে শুনেছি তারাই ছাদে উঠেছিল।

তিনি বলেন, আমি তাদের মেরেছি, তবে ওভাবে মারিনি। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তবে তাদের মারাটা আমার ঠিক হয়নি। আমি ওই সমস্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের নিকট ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।

কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম বলেন, ওই শিক্ষক ছাত্রদের মারপিট করেছেন। তবে অভিভাবকরা যেমন ভাবে বলছেন, তেমন ভাবে মারেনি জানান ওই প্রধান শিক্ষক ।

তিনি বলেন, অভিভাবকদের অভিযোগের পেক্ষিতে তদন্তে গিয়েছিলাম কাগমারি স্কুলে। ওই ছাত্রকে মারার ঘটনায় শিক্ষকে শোকজ নোটিশ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।




নিয়োগ দিবে মিনিস্টার হাইটেক পার্ক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মিনিস্টার হাই টেক পার্ক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির সার্ভিস বিভাগ অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। ০৪ জুলাই থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও মোবাইল বিল, টি/এ, প্রভিডেন্ট ফান্ড, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে দুইটি উৎসব বোনাসসহ প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার

পদসংখ্যা

০১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য যোগ্যতা

ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি। ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি/গৃহস্থালী যন্ত্রপাতিতে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

অভিজ্ঞতা

কমপক্ষে ৩ বছর।

কর্মক্ষেত্র

অফিসে

বয়সসীমা

২৫ থেকে ৩৫ বছর।

কর্মস্থল

দেশের যেকোনো জায়গায়

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদনের শেষ সময়

২৩ জুলাই ২০২৪।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক




অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীতে মঞ্চ কাঁপালেন জাস্টিন বিবার

ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট সাত পাকে বাঁধা পড়বেন আগামী ১২ জুলাই। ইতোমধ্যেই মুম্বাইয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের শেষ পর্যায়ের অনুষ্ঠান। শুক্রবার অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীতের মঞ্চ কাঁপালেন জনপ্রিয় পপ তারকা জাস্টিন বিবার।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাদা স্যান্ডো গেঞ্জির উপরে জ্যাকেট, প্যান্ট, বুট এবং টুপি পরে জাস্টিন বিবারের পারফরম্যান্সে অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীত অনুষ্ঠান যেন আরও জমকালো হয়ে উঠেছিলো।

বিবার তার ‘লাভ ইওরসেল্ফ’, ‘পিচস’, ‘হোয়্যার আর ইউ নাউ’ এবং ‘নো ব্রেইনার’ সহ আরও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান গেয়েছেন। তার পারফরম্যান্স ঘিরে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

এছাড়া বিবারের মঞ্চে উঠেছিলেন ওরি, পপ তারকার সাথে যোগ দিয়ে তিনিও গাইতে শুরু করেন।

অনুষ্ঠান শেষ হতেই মুম্বাইয়ের কালিনা বিমানবন্দরে থেকে আমেরিকায় ফেরার জন্য রওনাও হয়ে গিয়েছেন জাস্টিন বিবার। বিমানবন্দরে ঢোকার সময় অনেকেই জাস্টিন বিবারকে দেখে তার সঙ্গে হাত মেলাতে ছুটে আসেন।

অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীতের জাস্টিন বিবার এই পারফরম্যান্সের জন্য নিয়েছেন ১০০ কোটি টাকারও বেশি। এর আগে ২০১৭ সালে ভারতে প্রথমবারের মতো কনসার্টে এসেছিলেন তিনি।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে মোহনা টিভি সাংবাদিকের বাবার ইন্তেকাল

মােহনা টিভির মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি ফারুক আহমেদের বাবা হাজী আব্দুল বারী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না—রাজিউন)।

আজ শুক্রবার (৬ জুলাই) রাত ৩টার দিকে স্ট্রোকজনিত কারণে নিজ বাসভবন গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামে মারা যান তিনি।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

আজ শনিবার সকাল ১০টার হাড়িয়াদহ ঈদগাহ ময়দানে তার নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় গােরস্থান ময়দানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে ফারুক আহমেদের বাবার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক, সাবেক এমপি ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক সিরাজুল ইসলাম, মেহেরপুরে কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিকবৃন্দ শোক জানিয়েছেন।




মেহেরপুরে র‌্যাবের অভিযানে ফেনসিডিলসহ নানী নাতনী আটক

মেহেরপুরে ১৩২ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্প।

আটককৃতরা হলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামের শামসুল হুদার স্ত্রী সুজান বেগম (৫৫) ও মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে মোঃ লিজন মিয়া(১৯)।
সম্পর্কে তারা নানী ও নাতনী।

র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি টিম আজ শুক্রবার  সকাল ৮ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৩২ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ তাদের আটক করেন। র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মনিরুজ্জামান জানান, পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়িতে মাদক মজুত করেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তাদের আটক করা হয়। ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩২ বোতল ফেনসিডিল। ফেনসিডিলের আনুমানিক মুল্য মূল্য ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




গাংনীতে স্ত্রীর টাকাসহ সহায়-সম্বল লুটে নিয়ে স্ত্রীকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

প্রথম স্বামীর সংসার ভেঙ্গে পরোকিয়া প্রেমিকের সাথে ঘর বেঁধেছিলেন কল্পনা খাতুন (৪০)। বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে বাবার বাড়ির জমি বিক্রি করে স্বামী মনিরুল ইসলামকে কিনে দিয়েছেন পালসার মোটরসাইকেল। তারপরেও সুখে আসেনি কল্পনা খাতুনের। আবারো জমি বিক্রি করে কিনেছেন ট্রাক্টর। সেই ট্রাক্টর কল্পনার নামে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতারণার মাধ্যমে নিয়েছেন নিজের নামে। সব হারিয়ে কল্পনা এখন ঘুরছেন পথে পথে। ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামে।

জানা গেছে, গাংনী উপজেলার রাম কৃষ্ণপুরধলা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৪০) একই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে ও আসাদুলের স্ত্রী কল্পনা খাতুন (৪০) কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দেড় বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর নানা প্রলোভন দেখিয়ে স্ত্রীর গচ্ছিত নগদ টাকা ও শ্বশুরের রেখে যাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করে প্রায় ১২ লাখ টাকা স্বামী মনিরুল ইসলাম হাতিয়ে নেয়। ঐ টাকা দিয়ে ২টি ট্রাক্টর কেনেন। ট্রাক্টর দুটি স্ত্রী কল্পনার নামে দেয়ার কথা থাকলেও অবশেষে নিজের নামে করে নিয়েছে। তারপরেও কল্পনার উপর নির্যাতন বন্ধ না হওয়ায় মনিরুলকে একটি পালসার মোটরসাইকেল কিনে দেয় কল্পনা খাতুন। মোটরসাইকেল কেনার রসিদ স্ত্রী কল্পনার নামে ইস্যু করার অপরাধে মনিরুল ইসলাম তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।

অসহায় কল্পনা খাতুন তার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে মনিরুলের সহযোগীরা কল্পনাকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। এঘটনায় কল্পনা খাতুন বাদি হয়ে মেহেরপুর শিশু ও নারী নির্যাতন আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরের দিকে মনিরুল ইসলাম গাংনী উপজেলা শহরে আসেন। খবর পেয়ে কল্পনা খাতুন তার দেওয়া মোটরসাইকেলটি ও ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করতে গাংনী উপজেলা শহরে আসেন।

এসময় মনিরুল ইসলাম ও তার লোকজন কল্পনা খাতুনকে ধরে টানা হেঁচড়ার পাশাপাশি কিল ঘুষি মেরে আহত করে গলার একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। কল্পনা খাতুন অভিযোগ করেন রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের সদ্য প্রয়াত মেম্বর আনারুল ইসলামের ছেলে লাল্টু তাকে কিল মেরে স্বর্ণের চেইনটি ছিনিয়ে নিয়ে নিয়েছে। এসময় অসংখ্য লোকজন জড়ো হয়। ধ্বস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মনিরুল ইসলাম মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।

কল্পনা খাতুন আরো জানায়, মনিরুল ইসলাম আমার সাথে প্রতারণা করে আমার সব লুটে নিয়েছে। আমার বাবার মাঠান জমি (দেড় বিঘা) বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা, বাড়ির ৪ শতাংশ জমি বিক্রির টাকা আমাকে ফুসলিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে। আমাকে এখন পথের ভিখেরি বানিয়েছে। সে এখন আমার কোন খোঁজ খবর নেয় না। আমি আমার ১২ লাখ টাকা ফেরত চাই। ন্যায্য টাকা ফেরত পেতে এবং প্রাণনাশের হুমকির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে ধলা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, কল্পনা যা বলছে তা সব সত্য। তারা বলেন, প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে তার সোনার সংসার নষ্ট করেছে মনিরুল ইসলাম। তার আগের পক্ষের একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে। সেই সন্তানকেও দেখে না।

এ ব্যপারে মনিরুল ইসলামকে ফোন দিলে তার চাচাতো ভাই শিমুল (একজন অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী) জানান, আপনারা মনিরুল কে দায়ী না করে কল্পনাকে নিয়ে লিখতে পারেন। মনিরুল নির্দোষ। মনিরুলের বিরুদ্ধে কিছু লিখবেন না। সে কল্পনার সাথে প্রতারণা করেনি। কল্পনা কোন টাকা পয়সা পাবে না। সোনার চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনা সম্পুর্ণ মিথ্যা। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কল্পনা আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।




দামুড়হুদা সদর ও কার্পাসডাঙ্গায় পৃথক দুটি বিট পুলিশিং অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিৎলা ও কার্পাসডাঙ্গায় বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার সময় দামুড়হুদা মডেল থানার আয়োজনে পৃথক পৃথক ভাবে দুইটি বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবীর এর সভাপতিত্বে এবং এস আই রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চলায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি অপারেশন হিমেল, মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আসাদুজ্জামান আসাদ, কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হারুনুর রশীদ, এএস আই আলমগীর হোসেন, এআসআই ওহিদুল, সদর ইউপি’র ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মতিয়ার রহমান, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য হাসান আলী, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান টোকন, উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ নেতা ইকরামুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহমেদ রিংকু।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগত আমন্ত্রীত অতিথি বৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় সর্বস্তরের জনগণ।

বিট পুলিশিং সভায় দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। আলোচনাকালে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন সহ থানা এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সব মহলের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া জঙ্গীবাদ, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, আত্মহত্যা, পারিবারিক সহিংসতা, নারী ও শিশু নির্যাতন, জুয়া ও গুজব প্রতিরোধ সহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন দামুড়হুদা মডেল মসজিদের পেশ ঈমান হাফেজ মা: মুফতী মো: মামুনুর রশীদ।




আলমডাঙ্গায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তা প্রদান 

আলমডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২০২৩- ২০২৪ অর্থবছরে খরিপ- ২/২৪-২৫ মৌসুমে রোপা আমন ধান বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজও সার সহায়তা প্রদান কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার কৃষি অফিস চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেহানা পারভীনের সভাপতিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুম বিল্লাহ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরা খাতুন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহিল কাফি, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ এম মাহমুদ শাহরিয়ার, ইউ আর সি ইন্সপেক্টর জামাল হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমর্কর্তা এনামুল হক, বিআরডিবি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন।

উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার আব্দুর রফিকের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাদিমুল বাশার, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মমিনুর রহমান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রজনী আফরোজ।

এবারে ১৬২০ জন কৃষকদের মাঝে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি এমওপি, ১৫ টি উপজেলায় ১৬২০ জন কৃষকের মাঝে পর্যায় ক্রমে সার বীজ বিতরণ করা হবে।




দামুড়হুদায় জনসচেতনতা মূলক বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

‘বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি’ তথ্য দিন, সেবা নিন স্লোগানকে সামনে রেখে সাইবার বুলিং, কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধের লক্ষ্যে  দামুড়হুদা মডেল থানার আয়োজনে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার সময় উপজেলার চিৎলা মোড়ে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির এর সভাপতিত্বে এবং এস আই রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চলায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আসাদুজ্জামান আসাদ, ওসি অপারেশন হিমেল, এএস আই আলমগীর হোসেন, এআসআই ওহিদুল, সদর ইউপি’র ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মতিয়ার রহমান, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য হাসান আলী, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান টোকন, উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ নেতা ইকরামুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহমেদ রিংকু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগত আমন্ত্রীত অতিথি বৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় সর্বস্তরের জনগণ।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির সর্বসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দামুড়হুদা মডেল থানা বদ্ধপরিকর।

দামুড়হুদা উপজেলা সীমান্তবর্তী হওয়ায় এটি একটি স্পর্শকাতর থানা। আমরা সর্বাত্তক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে। পুলিশ সারাদেশে বিট পুলিশিং সেবা চালু করেছে। দামুড়হুদা যেমন একটি মডেল থানা, তেমনি এই দামুড়হুদা ইউনিয়ন বিট পুলিশও আপনাদের সবার জন্য একটি থানা মনে করবেন।

আর এই বিটে এসআই রিয়াজুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাতে করে জনগণ আরো দ্রুত সময়ে যেকোন ধরনের নাগরিক সেবা পেতে সক্ষম হয়। বিট পুলিশিং হলো অনলাইন কেনাকাটার মত। আপনি ঘরে বসেই বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে যেকোন পুলিশিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। দামুড়হুদা থানা এলাকায় আপনাদের যেকোন সমস্যায় দামুড়হুদা মডেল থানার দরজা আপনাদের জন্য সব সময় উন্মুক্ত থাকে। কোন দালাল ধরার দরকার নেই সরাসরি আপনারা আমার কাছে চলে আসবেন, আমার ফোন নাম্বার রাখেন যে কোন বিষয়ে আমাকে ফোন দেবেন আমি সর্ব্বোচ চেষ্টা করব।

এখন শুধু প্রয়োজন আপনাদের সচেতনতা এবং স্বতফূর্ত অংশগ্রহণ। পুলিশ এবং আপনারা হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলে একটি স্মার্ট দামুড়হুদা গড়ে তোলা সম্ভব।

তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, মাদক ব্যবসায়ী সহ সকল অপকর্মের হোতাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। তথ্যদাতাদের নাম গোপন রেখে অন্যায়কারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন দামুড়হুদা মডেল মসজিদের পেশ ঈমান হাফেজ মুফতী মাঃ মোঃ মামুনুর রশীদ।




কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল

ঝিনাইদহে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু’র নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মিছিল করেছে জেলা ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতিমূলক সভায় যোগদানের সময় তারা এই বিক্ষোভ মিছিল করে।

আগামী ১৩ জুলাই সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম আব্দুল মান্নানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধরাণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর মুক্তির দাবীতে প্রস্তুতিমূলক সভা কালীগঞ্জের কোটচাঁদপুর রোডস্থ আওয়ামী লীগের (একাংশের) দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামিম আরা মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমু্িক্তযোদ্ধা ইসরাইল হোসেন।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়ুব হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, আমিনুর রহমান তপু, আশরাফুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আব্দুর রশিদ খোকন, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি সাহেদ কবির লিমন, সাধারণ সম্পাদক কাজী রিপন, শ্রমিক লীগ নেতা মুসফিকুর রহমান ডাবলু, আব্দুর রাজ্জাক, ১নং সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান, ৪ নং নিয়ামতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, ৫নং শিমলা-রোকনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজির হোসেন, ৬নং ত্রিলোচনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আত্তাপ উদ্দিন, ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জহরুল ইসলাম, ১১ নং রাখালগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমু্িক্তযোদ্ধা আলতাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেস। সভায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা সাইদুল করিম মিন্টুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেণ।

উল্লেখ্য, গত ১৩মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকান্ডের পর কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আনারের হত্যাকারীদের সুষ্ঠু বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে আসছে। তবে এই হত্যাকান্ডের ইস্যুতে গ্রেফতারকৃত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু নিঃশর্ত মক্তির দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবারই প্রথম প্রকাশ্যে ব্যানার নিয়ে রাজপথে নামলেন কালীগঞ্জের উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।