দামুড়হুদায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা, চোরা চালান ও নাশকতা, মানবপাচার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সভাকক্ষে এ মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা এলাকার চলমান পরিস্থিতিতে উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আগামীতে সার্বিক বিষয়ে আইন শৃঙ্খলার যেন কোন অবনতি না ঘটে সে জন্য করনীয় শীর্ষক আলোচনা করেন।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহলের সভাপতিত্বে এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, উপজেলা জামাতের আমির নায়েব আলী, দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শামছুজ্জোহা পলাশ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ হেলনা আক্তার নিপা, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর, দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নীরব, অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার বিশ্বাস, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজিদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম বজলুর রশীদ, শিক্ষা অফিসার আবু হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলী, উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মামুনুর রশিদ, কার্পাসডাঙ্গা মিশন ক্যাথলীক গির্জা প্রতিনিধি সোপান মন্ডলসহ, বিজিবি ক্যাম্পের বিভিন্ন কোম্পানি কমান্ডার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহল বলেন, উপজেলাবাসী খুবই শান্তিপ্রিয় এবং সহযোগিতা পূর্ণ মনোভাব নিয়ে বসবাস করে। আমরা সব সময় সমাজের পজিটিভ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করবো, নেগেটিভ দিকগুলো এড়িয়ে চলবো এবং যত সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করব। এখানে মাদকের কোন ঠাঁই নেই, মাদক সম্পর্কে জিরো টলারেন্স, আমি মাদক মুক্ত উপজেলা গড়তে চাই সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।




কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু

কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে হাউজিং কদমতলা এলাকায় নিজ বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং বি-ব্লক এলাকার শামসুল হকের ছেলে আব্দুস সালাম (৪৫), তার স্ত্রী রুপা খাতুন (৩৫) ও মেয়ে শোভা আক্তার শাবা খাতুন (১২)।

এ ঘটনায় সিয়াম (১৪) নামে তাদের আরেক সন্তান গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রতিবেশী ইমরোজ রীমা জানান, বিকেলের দিকে কুষ্টিয়ায় বৃষ্টি শুরু হয়। এতে ঘরের মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে যায়। এসময় রুমের ভেতর বিদ্যুতের মেইন সুইস বন্ধ করতে যান আব্দুস সালাম। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তাকে বাঁচাতে প্রথমে স্ত্রী রুপা এগিয়ে আসেন। তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তার মেয়ে শাবা ও ছেলে সিয়াম যায়। এতে সালাম, রুপা ও সিয়াম মারা যান। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।




আলমডাঙ্গার জামজামিতে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা নিতে গিয়ে দুই যুবক আটক

আলমডাঙ্গা জামজামি বাজারে উদয় কুমার সাহা (৪২) নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা নিতে গিয়ে দুই যুবককে আটক করেছে এলাকাবাসী।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার উপজেলার জামজামি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের দুজনকে স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এমন তথ্য জানান আলমডাঙ্গা থানার (ওসি) মাসুদুর রহমান।
আটকৃতরা হলেন- তালহা জুবায়ের (২১) ও বিপুল হোসেন মিঠু (২৬)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, গত দুই বছর আগে অভিযুক্ত চাঁদাবাজ তালহা জুবায়ের জামজামি বাজারের মুদি ব্যবসায়ী উদয় কুমার সাহার গাড়ির চালক হিসেবে চাকুরি করতেন। সে তার ছেলে দিব্য সাহাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা করতো। ইতোপূর্বে উদয় কুমার সাহার সাথে তার বড় ভাই বিজয় কুমার সাহার সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এনিয়ে দুই বছর আগে বিজয় কুমার সাহা তার ছোট ভাই উদয় কুমার সাহার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডাউরি (জিডি) করেন। ওই জিডির সাক্ষী ছিলো গাড়ি চালক তালহা জুবায়ের। এই সুযোগে টাকা তালহা জুবায়ের বিজয় কুমার সাহার নিকট থেকে গোপনে টাকা নিয়ে উদয় কুমার সাহার সকল তথ্য দিতো। এমন ঘটনা জানতে পেরে তালহাকে চাকুরি থেকে বাদ দেয়। সে বিজয়ের সাথে হাত মিলিয়ে উদয় সাহাকে হুমকি দেয়। ২ লাখ টাকা না দিলে তার জেল হয়ে যাবে।

এমন ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তালহা জুবায়ের ও তার সহযোগী বিপুল হোসেন মিঠুকে সঙ্গে নিয়ে জামজামি বাজারে উদয় কুমার সাহার ‘সাজা স্টোর’ নামের মুদি দোকানে মোটরসাইকেল যোগে এসে নগত ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। এসময় আরও ২ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান তালহা ও মিঠু। তারা টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাবার সময় উদয় কুমার সাহার চিৎকারে স্থানীয়রা তাদের আটক করে। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের (ওসি) মাসুদুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।

আজ বুধবার সকালে উদয় কুমার সাহা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি চাঁদা বাজি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় তালহা ও মিঠুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।




ঝিনাইদহের প্রবাসীকে বিয়ে করে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

কিশোর সন্তানের তথ্য গোপন করে ঝিনাইদহের এক প্রবাসীকে বিয়ে করে বিভিন্ন তাল-বাহানায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর নাছরীন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার মেহেরচন্ডী উত্তর পাড়ার মোঃ মুনছুর আলীর মেয়ে, মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক ধরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পুটিয় গ্রামের মোঃ আয়ুব আলীর ছেলে লিটনের বাড়িতে আসেন। লিটন মালয়েশিয়া প্রবাসী। দীর্ঘদিন মোবাইলে সম্পর্কের জের ধরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত হলে নাছরীন লিটনের বাড়িতে আসেন। লিটন মালয়েশিয়াতে থাকায় স্থানীয় কাজি ডেকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে হয় তাদের। এরপর থেকে বিভিন্ন বায়না ধরে লিটনের কাছ থেকে টাকা ও সোনার গয়না নিতে থাকে নাছরীন। এভাবে লিটনের কাছ থেকে সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করে নাছরীন।

প্রবাসী লিটন জানান, এই টাকা দিয়ে রাজশাহীতে একটি ফ্লাট বাড়িও করেছেন নাছরীন। এছাড়াও সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার দিয়েছি তাকে। মোবাইলে যখন সম্পর্ক হয় তখন নাছরীন নিজেকে এতিম ও অসহায় বলে পরিচয় দিয়েছিল আমাকে। যে কারণে নাছরীনের কোন কিছুতেই অপুরণ রাখিনি। যখন যা চেয়েছে তাই দিয়েছি আমি। কিন্তু আমি মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে আসার পর নাছরীনের কিছু কিছু কাজে আমার সন্দেহ হতে থাকে। রাজশাহী তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যেতে চাইলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে যেতে চাইতো না। এছাড়াও ভারতে চিকিৎসা করানোর কথাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার কথা বলে এপর্যন্ত প্রায় সাত থেকে আট বার টাকা নিয়েছে, কিন্তু পরে শুনতে পেলাম সে চিকিৎসা করাতে ভারতে যায়নি। কেন চিকিৎসা করাতে যায়নি শুনতে চাইলে জানায়, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এদিকে কয়েক দফা বলার পর রাজশাহী তার বাবার বাড়িতে যেতে রাজি হলে, লিটন রাজশাহীতে যেয়ে দেখে তার ১৮/১৯ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ছেলেটি কার শুনতে চাইলে, তার বোনের ছেলে বলে আমাকে বোঝাতে চেষ্টা করে। কিন্তু বিয়ের আগে নাছরীন আমাকে জানিয়েছিলো সে এতিম তার কেউ নেই। বিভিন্ন স্পর্শকাতর কথা বলাই, আমি নাছরীনের প্রতি দুর্বল হয়ে তাকে স্বচোক্ষে না দেখেই এই বিয়েতে মত দিয়েছিলাম। কিন্তু ঐ ১৮/১৯ বছরের ছেলেটি যে তার এবং এর আগে নাছরীনের বিয়ে হয়েছিল একথা জানতে পেরে আমার মনে ঘৃনার পাত্র হয়ে যায় নাছরীন। একদিকে অন্ধ এই ভালোবাসার সাথে নাছরীনের প্রতারণা, অন্যদিকে দিনের পর দিন বিভিন্ন অজুহাতে তার লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার ফন্দি লিটনের মগজে নাড়া দেয়।

লিটন সাংবাদিকদের জানায়, একদিকে আমার সরলতার সুযোগে, অন্যদিকে ১৭/১৮ বছর বিদেশ থাকায় আমার টাকা আছে এটা ভেবেই নাছরীন মনে হয় আমাকে টার্গেট করেছিল। একথা আমি বুঝতে পারিনি। আমার এতো কিছু থাকতেও আমি একজন এতিম মেয়েকে অন্ধ ভাবে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু এই প্রতারকের ফাঁদে আর নয়। সমস্ত নিয়ম মেনে কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স দিয়ে আমি মালয়েশিয়া চলে যায়। এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে ডিভোর্সের দুই মাসের মধ্যে আমার চাকরি খেতে নাছরীন মালয়েশিয়া চলে যায়।

লিটন বলেন, কতোটা দুর্ধর্ষ হলে একটি মেয়ে বিদেশে যাওয়ার মত রিস্ক নিতে পারে এটা আপনাদের মাধ্যমে আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে চায়। এঘটনার পর আমি থানাতে একটি জিডি করেছি। আমি বিদেশে যেয়েও নাছরীনের কাছে জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

লিটনের বাবা আয়ুব হোসেন জানান, আমরা নাছরীনের ছলনায় ভুলে গিয়েছিলাম। নাছরীনের এর আগে বিয়ে হয়েছে এবং ১৮/১৯ বছরের একটি ছেলে আছে এর কোন কিছুই আমাদের জানায়নি। পরে আমার ছেলে জানতে পেরে তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। তিনি বলেন, এই প্রতারণার কথা শুনেও আমরা তাকে মেনে নিয়েছিলাম। বিভিন্ন অজুহাতে আমার ছেলের কাছ থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিঃস্ব করেছে নাছরীন। পরে শুনতে পেলাম ডিভোর্সের পর ক্ষিপ্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় চলে গেছে নাছরীন। আমরা এই মেয়েটির হাত থেকে বাঁচতে চাই।




দর্শনা সরকারি কলেজে অভিভাবক সভা অনুষ্টিত

দর্শনা সরকারী কলেজে শিক্ষার সুস্থ্য পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এবং নিয়মিত সকল ক্লাস পরিচালনা করার লক্ষ্যে শিক্ষকদের সাথে অভিভাবক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় দর্শনা সরকারী কলেজের বিজ্ঞান ভবনের অডিটেরিয়াম হল রুমের ৬তলায় অভিভাবক সমাবেশে অনুষ্টিত হয়।

এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা সরকারী কলেজের নবাগত অধ্যক্ষ প্রফেসার মোঃ শফিকুল ইসলাম।  ১ম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে শিক্ষক ও কলেজ প্রসাশনের সুসম্পর্ক রাখতে এ অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

অভিভাবক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, দর্শনা সরকারী কলেজে শিক্ষার সুস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও নির্মল পরিবেশে এখন থেকে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এজন্য একদিকে যেমন শিক্ষকদের সহযোগিতা চাই, তেমনী অভিভাবকদের সহযোগিতা পাবো বলে আমি আশাকরি। সেই সাথে সকল ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সকলের প্রচেষ্টা থাকতে হবে। আমি আমার দিক থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করবো। কলেজ চলাকালিন সময় কোন ছাত্র/ছাত্রী ক্লাস না করে প্রাইভেট পড়তে পারবে না। কারণ আমার শিক্ষকরা নিয়োমিত ক্লাস নেবে। ফলে প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন হবে না বলে সকলের প্রতি আহবান জানান।

এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, বাংলা বিভাগের প্রভাষক আশরাফুল আলম, ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মোফিজুল ইসলাম, ইংরাজী বিভাগের প্রভাষক আনিছুর রহমান, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মাহমুদুল হোসেন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নজরুল ইসলাম।  এছাড়া সকল বিভাগের প্রভাষকরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন দর্শনা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিল সাবির হোসেন মিকা, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন, দর্শনা আজিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বরুপ কুমার দাস, রেহেনা পারভীন বিলকিস ও শফিকুল আলমসহ প্রায় ৫০/৫৫ জন অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।

এসময় অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব আসে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে প্রতি মাসে ক্লাস পরীক্ষা, ছাত্র/ছাত্রীদের নীতি নৈতিকতা সৃষ্টি করে একজন ভাল মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা, শুধু ভাল ফলাফল করা ছাত্র/ছাত্রী তোলার পাশাপাশি মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। কলেজে মোবাইল ফোন না নিয়ে আসা, বর্ষ পরির্বতন পরীক্ষা ৩ ঘন্টা নেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং কলেজ চলাকালিন সকল বর্ষের ছাত্রী/ ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়া বন্ধ করা বিষয় উভয় পক্ষ বেশ কিছু মাতামত প্রদান করেন।




দামুড়হুদায় ঘাসমারা বিষ দিয়ে ৫ বিঘা ধান পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে ফলন্ত ৫ বিঘা জমির ধানে ঘাস মারা বিষ দিয়ে পুড়িয়ে দেবার ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, কানাই ডাঙ্গা গ্রামের বাহার আলীর ছেলে রজব আলীর সাথে একই গ্রামের কলিম উদ্দীন মাস্টারের ছেলে কামরুল গংয়ের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। জমির মালিক রজব আলী জানান কামরুলদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে মামলা মোকর্দ্দমা বিজ্ঞ আদালতে চলমান। আমাদের জমি। সকল বৈধ কাগজপত্র সব আমাদের। আমরা আমাদের জমি ভোগদখল করে চাষাবাদ করে আসছি। তারা জাল কাগজ করে নিজেদের দাবী করে আসছে আমরা বলেছি তোমরা আদালয়ের রায় পেলে আমরা জমি তোমাদের হলে ছেড়ে দেবো। কিন্তু তারা জানে জমি তারা কখনো পাবেনা। তাই তারা বারবার আমাদের ফসল পুড়িয়ে দিচ্ছে। বিজ্ঞ আদালতের রায় পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করতে পারছেনা।গত সোমবার রাতে কলিম মাস্টারের ছেলে কামরুল, জান মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে সিদ্দিক, আয়ুব পালের ছেলে আহসান, আব্দুল হামিদ পালের ছেলে আজিজুল পাল সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে রাতের আঁধারে বারাকপুর মাঠে ২ বিঘা জমির লালস্বর্ন ধান ঘাসমারা বিষ দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।

আমরা এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় গতকাল মঙ্গলবার একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আজ বুধবার সকালে আবারো আতাতলার মাঠ ও খালের ধারে মাঠে এসে দেখছি আরো তিন বিঘা জমির পুরো ধান তারা রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে তারা ৫ বার আমাদের ফসল পুড়িয়ে দিলো। আমরা কৃষক মানুষ। কি করে খাবো। ন্যায় বিচারের আশায় আজ দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তাদের কি বিচার হবেনা। তারা কি টাকার জোরে পার পেয়ে যাবে। তারা পারলে ফসল পাকার পর কেটে নিয়ে গেলে তাও তো মনকে বুঝ দিতে পারতাম যে তারা ধান খেয়ে তাদের সংসার চালাবে। এরকম ফলন্ত ফসল পুড়িয়ে দিলে মনকে কি বলে সান্তনা দেবো।

এ বিষয়ে জানতে কামরুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)হুমায়ন কবিরের সাথে কথা বললে তিনি জানান বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে যথাযথ আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।




ঝিনাইদহে এইচপিভি টিকা ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহমান, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার সাথী সাহাসহ ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ।

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ জানান, ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় ৮৩ হাজার ৫৬৭ জন কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। স্কুলে পড়ুয়া ৫ম থেকে ৯ম শ্রেনী সমমানে অধ্যায়নরত ও ১০-১৪ বৎসর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত নয় কিশোরীদের এই টিকা দেওয়া হবে। আগামীকাল ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে পর্যায় ক্রমে সমস্ত কিশোরীদের টিকা দেওয়া হবে।




ঝিনাইদহে ওয়েব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

কেন পরিষ্কার হাত এখনো গুরুত্বপূর্ণ (why are clean hands Steel important)এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে আজ  বুধবার (২৩ অক্টোবর) ওয়েব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঝিনাইদহ পৌরসভার অন্তর্গত ভুটিয়ারগাতী গ্রামের মালা-১ মহিলা সমিতিতে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০২৪ পালন করে।

সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সরকারি প্রকৌশলী মীর আল আমিনের উপস্থিতিতে হাত ধোয়া দিবস ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ওয়েব ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী শাহেদ জামাল। হাত ধোয়া দিবসের মূল আলোচনা পত্র উপস্থাপন করেন ওয়েব ফাউন্ডেশনের প্রকৌশলী মোঃ খালিদ হাসান।

এসময় প্রধান অতিথি প্রকৌশলী মীর আল আমিন তার আলোচনায় বলেন,স্বাস্থ্যসম্মত ও টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের পূর্বশর্ত। ডায়রিয়া ও পানিবাহিত নানা রোগ থেকে রক্ষা পেতে স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। খাওয়ার আগে ও পরে, টয়লেট ব্যবহারের পর এবং অন্যান্য সময়ে সকলের হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়তে পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্ব অত্যধিক। কিভাবে হাতের মাধ্যমে জীবাণু মানব শরীরে প্রবেশ করে এবং সুস্থ থাকার জন্য হাত দেওয়ার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি আরো বলেন, সামাজিক এ আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও গণমাধ্যমসহ দেশের প্রতিটি নাগরিককে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান । আলোচনা শেষে দুই হাত ধোয়ার কৌশল হাতে কলমে প্রদর্শন করেন। সেসময় উপস্থিত সকলে প্রাত্যহিক জীবন নিয়ম অনুযায়ী হাত ধোয়ার নিয়ম মেনে চলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে সার্বিক পরিচালনায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ঝিনাইদহ ইউনিট ম্যানেজার মোঃ ইব্রাহিম ইসলাম,সাংবাদিক,সমাজ উন্নয়ন কর্মী, শিক্ষার্থীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।




জনবল নেবে সেভ দ্য চিলড্রেন

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। প্রতিষ্ঠানটিতে অফিসার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: সেভ দ্য চিলড্রেন

পদের নাম: অফিসার বিভাগ: সোশ্যাল ওয়ার্ক

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সামাজ কর্ম/সমাজবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, উন্নয়ন অধ্যয়ন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি।

অন্যান্য যোগ্যতা: এনজিও বা আইএনজিওতে শিশু সুরক্ষা, ডাটা ব্যবস্থাপনা এবং ডাটা সুরক্ষা বিষয়ে দক্ষতা।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ২ বছর

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: উল্লেখ নেই

কর্মস্থল: কক্সবাজার

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা: সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা  ক্লিক এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের সময়সীমা: আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

সূত্র: কালবেলা




দর্শনায় ছাত্রলীগ কর্মীর হামলায় সাবেক কাউন্সিলর আশু জখম

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের (৯ নম্বর ওয়ার্ডের) সাবেক কাউন্সিলর আশুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তার কাছে থাক মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মী রাশেদ (২৩) এর বিরুদ্ধে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর মসজিদ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আহত আশুরদ্দীন আশু (৪৫) পৌরসভার (৯ নং ওয়র্ডের) ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের সাবেক কাউন্সিলর ও রবজেল মন্ডলের ছেলে।

জানাগেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে ঈশ্বরচন্দ্রপুর বড় মসজিদ মোড়ে আশুকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ডাকে একই গ্রামের মসজিদ পাড়ার সানিরুলের ছেলে রাশেদ। এরপর আশু তার নিজ মোটরসাইকেল রেখে রাশেদের ডাকে একটু সামনের দিকে এগিয়ে গেলে দুজনের মধ্যে কথোপকথন হয়। পরে সে পিছনের দিকে ফিরে মোটরসাইকেলের দিকে গেলে হঠাৎই আচমকা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর আশুর কাছে থাকা পালসার মোটরসাইকেলে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাৎক্ষণিক আশপাশের লোকজন ছুঁটে এসে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় আশুকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং মোটরসাইকেলের আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। পরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তার শরীরের মাথায়, পিঠে, হাতে ও পায়ে ১৫টি সেলাই করা হয়েছে বলেও জানাগেছে।

আহতর পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন, এটা রাশেদের পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা। তবে কেন কুপিয়েছে তা সঠিক জানা নাই। কিন্তু রাশেদ ছাত্রলীগের একজন কর্মী এবং এলাকার নামকরা মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে মাদক ও মারামারি সহ একাধিক মামলা রয়েছে। এমন দুর্ধর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এলাকার জন্য চরম হুমকি। তাই এরকম দুর্ধর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় নিয়ে সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। আর এই কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা জানতে পেরেছি ঈশ্বরচন্দ্রপুরে সাবেক কাউন্সিলর আশুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তবে আমরা এখনো পর্যন্ত কোন লিখত অভিযোগ পাইনি। কিন্তু কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তা খতিয়ে দেখে আসামি আটকের চেষ্টা চলছে।