কলড্রপ ইস্যুতে গ্রামীণফোনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

কলড্রপ ইস্যুতে গ্রামীণফোনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান।

এর আগে, বিটিআরসি আয়োজিত মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান সংক্রান্ত বৈঠকে পলক বলেন, মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় কলড্রপের জন্য টেলিকম অপারেটরদের গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করা হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক সেদিন জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে গ্রাহকসেবা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানের হুঁশিয়ারিও দেন।

পলক বলেন, কলড্রপ এখন নিয়মিত বিষয়। অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে গ্রাহকেরা যেমন অসন্তুষ্ট, বিটিআরসির জরিপেও অপারেটরদের কোয়ালিটি নিয়ে অসন্তোষ উঠে এসেছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে ওষধ ভেবে বৃদ্ধা রহিমার বিষপান

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জালশুকা গ্রামে ওষধ ভেবে বিষপান করে রহিমা খাতুন(৮০) নামের নারী এখন মৃতু শয্যায়।

রহিমা খাতুন গাংনী উপজেলার জালশুকা গ্রামের মাঝপাড়া এলাকার সলেমান মন্ডলের স্ত্রী। আজ বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরের দিকে নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

রহিমা খাতুনের ছেলে আব্দুর রহসান জানান, প্রায় ৭/৮ মাস পূর্বে আমার মা চোখের সমস্যা নিয়ে ওষধ খাচ্ছেন। সে ইদানীং
চোখে দেখতে পাইনা। আজকে পরিবারের লোকজন অন্যকাজে ব্যাস্ত ছিলেন। এসময় সে ওষধ ভেবে ঘরে থাকা বিষপান খেয়ে ফেলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।




চুয়াডাঙ্গায় ইটভাটা শ্রমিকের মরদেহ নিয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

চুয়াডাঙ্গায় ইটভাটার শ্রমিক শান্তর (১৮) মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে তার আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীরা। আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে শহরের শহীদ হাসান চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ করেছে তারা। বিক্ষোভকারীরা শান্তর অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে।

এদিন দুপুর ২টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে শান্তর মরদেহ নিয়ে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে তার আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা। এসময় স্বজনরা বলেন, সোমবার (১ জুলাই) ফজর নামাজ শেষে সকালে শান্ত জালশুকা গ্রামে হিমালয় ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি।

খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ওই ইটভাটার পেছনের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা দাবী করে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায় তারা। পরে সেখানে মানববন্ধন করেন আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীরা। এসময় পুলিশের আশ্বাসে গ্রামে ফিরে যান আন্দোলনকারীরা।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকেন্দার আলী জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এটি হত্যাকাণ্ড কিনা এখনই নিশ্চিত নয়। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।

উল্লেখ্য, সোমবার (১ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের হিমালয় ইটভাটার পুকুর থেকে শ্রমিক শান্তর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে পার্শ্ববর্তী ডিঙ্গেদহ পাওয়ারহাউজ পাড়ার আজিজুল হকের ছেলে। পরিবারের দাবী, তাকে হত্যার পর পুকুরের পানিতে ফেলে রাখা হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।




দামুড়হুদায় হেরোইনসহ দুজন মাদক কারবারি গ্রেফতার

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত দু’জন মাদক কারবারি কে হেরোইন সহ গ্রেফতার করেছে। ওই সময় গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ১০ (দশ) গ্রাম হেরোইন জব্দ করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে তাদেরকে থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের (এসপি) পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানের দিক-নির্দেশনায় জেলা পুলিশের সকল ইউনিটে একযোগে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর কবীরের নেতৃত্বে এসআই, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, এএসআই বিপ্লব কুমার দাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে থানার হাউলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। এসময় হাউলী গ্রামের তিন রাস্তার মোড় থেকে মাদক কারবারি দশমী গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে মোঃ শরিফুল আলম (৪১) ও মৃত আবুল কালামের ছেলে মোঃ জহুরুল ইসলাম (৩৫) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই সময় তাদের হেফাজতে থাকা ১০গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার (ওসি) মোঃ আলমগীর কবির বলেন, গ্রেফতারকৃত দুজনেই চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাদের নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। হিরোইন সহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।




জীবননগরে কিশোরীদের মাঝে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ

দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লী কমসংস্থান সহায়তা প্রকল্প ( ইরেসপো) ২য় পযায়ে পল্লী উন্নয়ন কিশোরী সংঘের কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এ উপকরণ বিতরণ করা হয়।

বিআর ডিবির উপপরিচালক মোঃ আব্দুল আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জেলা প্রশাসক ড.কিসিনজার চাকমা।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান,উপজেলা নিবাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন কাজল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,বতমান সমাজে মেয়েদের সজাগ হতে হবে।তাদের প্রতিবাদী হতে হবে বাল্য বিবাহ যেখানে হবে সেখানে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে সেটা বন্ধ করতে হবে। সমাজে সবাই যদি একটু সচেতন হওয়া যায় তা হলে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা সম্ভব ।আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি শিক্ষাথীদের হাতে একটি করে গাছের চারা উপহার দেন ।

উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জীবননগর উপজেলা বিআরডিবির কমকতা মোঃ জামিল আখতার।




মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রদর্শক শিক্ষক নিহত

মেহেরপুর শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মুজিবনগর সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রদর্শক শিক্ষক ওহিদুল ইসলাম নিহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে রাত ৮টার দিকে বড়বাজার-হাসপাতাল সড়কের টিএণ্ডটি অফিসের সামনে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরতর আহত হন।
নিহত ওহিদুল ২ পুত্র সন্তানের জনক এবং গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের নিমস্বরণ পাড়ার মৃত জহুর আলীর ছেলে। তিনি মেহেরপুর জেলা শহরের পৌর ঈদগাহপাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, ওহিদুল মেহেরপুর শহরের টিএণ্ডটির সামনে দিয়ে হেঁটে শহরের পৌর ঈদগাহ পাড়ার নিজ বাসায় ফিরছিলেন। এসময় একটি দ্রুতবাহি যানবাহন তাকে ধাক্কা দেয়। ওই ধাক্কায় তিনি সড়কের পাশে লুটিয়ে পড়ে মারাত্বক ভাবে আহত হন। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃতবরণ করেন।

ওহিদুল ইসলামের অকাল মৃত্যূতে শোক জানিয়েছেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন, মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিনসহ তার সহকর্মীরা।




দর্শনায় ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার ১

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৮ বোতল ফেনসিডিলসহ আল আমিনকে (২৪) গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃত আল আমিন দর্শনা পৌরসভার আজমপুর গোরস্থান পাড়ার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে। জানাযায়  আজ মঙ্গলবার ২ জুলাই ভোর পৌনে ৫ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে অভিযান চালায় দর্শনা আজমপুর গোরস্থান পাকা রাস্তার উপর। এ সময় দর্শনা থানার এসআই সেকেন্দার আবু জাফর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে আল আমিনকে গ্রেফতার করে।পরে তার কাছে থাকা ১৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আল আমিনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।




দর্শনায় বিট পুলিশিং ও উঠান বৈঠক সভা অনুষ্টিত

“বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি” এ স্লোগানকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকাল ৫ টার দিকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তার মোড়ে এ সভা অনুষ্টিত হয়।

বিট পুলিশিং ও পথসভায় মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং ও আত্মহত্যা প্রবনতা প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষে জনসচেতনতা মূলক উঠান বৈঠক করে দর্শনা থানা পুলিশ।

এ সময় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার শাহা কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে বলেন অন্যায়কারী যে কেউ হোক কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না এবং কোন প্রকার সুপারিশ চলবে না । আপনারা তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করুন এবং নিরাপদ থাকুন ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই টিপু সুলতান, এস আই সেকেন্দার আবু জাফর, এস আই ফাহিম হোসেন, এস আই সোহেল রানা, এস আই শামীম হোসেন, এ এস আই আবু বক্কর সিদ্দিক, এ এস আই মারুফুল ইসলাম, এ এস আই শেখ আবু হানিফ, এ এস আই ইব্রাহীম হোসেন,এ এস আই শাহিন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা রিক্সা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হবা জোয়াদ্দার, সাধারন সম্পাদক এনামৃল হক,সহ সভাপতি তনু মন্ডল জয়েন্ট সেক্রেটারি বিল্লাল হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক,জাফর হোসেন,কোষাধ্যক্ষ আবুল হোসেন,মেম্বার শুকুর আলী গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকবৃন্দ।




মেহেরপুরে ড্রেন ও রাস্তা কাজের উদ্বোধন

মেহেরপুরের ৩ নাম্বার ওয়ার্ড বেড় পাড়ায় ২৭ লক্ষ টাকার রাস্তা ও ড্রেনের কাজের উদ্বোধন করেছেন পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন।

সোমবার (১ জুলাই ) বিকেলে পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে এই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র (২) মোঃ বাপ্পী,১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীর জাহাঙ্গীর,১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর মোছাঃ জোছনা খাতুন,সদর থানা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক সাজেদুর রহমান সাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান জানায়, মেহেরপুরের পৌর এলাকার ৩ নাম্বার ওয়ার্ড গোরস্থান পাড়ায় ২৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হবে।




এবার নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বাড়াবে এআই

মুঠোফোনের নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বাড়াতে এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস সল্যুশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ মার্কেটিং অফিসার এরিক ঝাও। সদ্য সমাপ্য মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সাংহাই আসরে এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

এ খাতের পেশাজীবী ও নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গত ২৬ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত চীনের সাংহাইতে এমডব্লিউসি সাংহাই ২০২৪-এর আয়োজন করেছিল হুয়াওয়ে। সেখানে এরিক ঝাও বলেন, ‘এআই প্রযুক্তিকে নেটওয়ার্কে নিয়ে আসাই প্রধান লক্ষ্য। যা অর্জনে উদ্যোক্তা হয়ে সল্যুশন প্রোভাইডার থেকে ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্কের সহনির্মাতাতে (কো-বিল্ডার) পরিণত হব। বিশ্বাস করি, আরএএন ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট ও নেটওয়ার্কের যৌথ প্রবৃদ্ধি বিস্তৃত পরিসরে ব্যবসায়িক মূল্য তৈরি করবে, যা দ্রুত নেটওয়ার্কে রূপান্তর করবে এবং শিল্পকে বুদ্ধিমত্তার নতুন যুগে নিয়ে যাবে।

তিনি জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে হাংঝো, গুয়াংঝো, ব্যাংকক, জিনান ও শেনজেনে হাজারের বেশি সাইট ইঞ্জিনিয়ার ও ১০ হাজার সাইটকে প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিন বছরের প্রচেষ্টার পর টেলিকম খাতে ফাইভজি (অ্যাডভান্স) পরিকল্পনার পর্যায় থেকে বাস্তবে রূপ পেয়েছে। ২০২৪ সালকে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজির প্রথম বছর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ব্যবসা, নেটওয়ার্ক ও ডিভাইস ডেভেলপমেন্টে এখন পর্যন্ত ফাইভজি উল্লেখযোগ্য সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।

বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কের জটিল কার্যক্রম ও রক্ষণাবেক্ষণ, নেটওয়ার্কের নানা বৈশিষ্ট্য ও অভিজ্ঞতা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বিষয়গুলো বিবেচনা করে হুয়াওয়ে নেটওয়ার্কে এআই ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। অর্থাত্ রেডিও অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক (আরএএন) ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট তৈরি করে নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবায় নতুন মাত্রা যোগ করা হবে।

মূলত আরএএন ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট জটিল প্রক্রিয়াকে সহজ করে দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। যার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো হুয়াওয়ের চালু করা ফিল্ড মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার কোপাইলট। প্রথম প্রযুক্তি হিসেবে চালু হওয়া কোপাইলটে আছে এআই প্রযুক্তির অ্যাসিস্ট্যান্ট, যা বিশেষায়িত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে স্বাধীনভাবে সল্যুশন পলিসি তৈরির মাধ্যমে দক্ষতা বাড়াতে পারে। বিশেষ করে ফিল্ড কেসে ১০ গুণ বেশি দক্ষতার সঙ্গে অপটিক্যাল পাথ ফল্ট পরিচালনায় সাহায্য করছে।

সূত্র: ইত্তেফাক