কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চলছে মিরপুর টেস্ট

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই সিরিজকে ঘিরে আগে থেকেই ছিল বাড়তি নিরাপত্তা। এর মাঝে রোববার (২১ অক্টোবর) সাকিব আল হাসানের ভক্ত ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। যা নিরাপত্তা শঙ্কা আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই চলছে মিরপুর টেস্ট।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থান নেয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পুরো রাস্তায় যান চলাচলের পাশাপাশি মানুষের যাতায়াতও সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যারিকেড দেওয়ার পাশাপাশি হেঁটে যাওয়া মানুষকেও জিজ্ঞেসাবাদ করে।

গতকাল সাকিবকে দেশে ফিরিয়ে এনে সম্মানের সঙ্গে অবসর গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে লং মার্চ নিয়ে মিরপুরে আসেন সাকিবভক্তরা। এ সময় হঠাৎ তাদের ধাওয়া দেয় সাকিব বিরোধীরা। এরপর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে দুই পক্ষের মাঝে।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদার গোবিন্দপুর মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

দামুড়হুদা গোবিন্দপুর মাঠ থেকে মান্নান নামের একজন যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১২ টার দিকে এ লাশ উদ্ধার করে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ। নিহত আব্দুল মান্নান (৪০) গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত হিরাজ মন্ডলের ছেলে।

জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত হিরাজ মন্ডলের ছেলে আব্দুল মান্নান পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষপান করে গোবিন্দপুর মাঠে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। সকালে মাঠে কৃষি কাজ করতে গিয়ে একজন কৃষক মৃতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে দামুড়হুদা মডেল থানায় সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা সার্কেল জাকিয়া সুলতানা ও দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ূন কবির, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায় গতকাল রবিবার সকাল ৭টার সময় বাসা থেকে বের হয়। নিহত আব্দুল মান্নান দর্শনা ভাই ভাই গার্মেন্টসের কর্মচারী ছিলেন তিনি। রাতে আর বাসায় ফিরে আসেনি অনেক খোঁজা খুঁজি করেও তাকে পাওয়া যাইনি। আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে লোক মারফত সংবাদ পাই সে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হুমায়ূন কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের কারো কোন অভিযোগ নেই। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এবিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রজু করা হয়েছে।




আমরা একটি সাম্যের বাংলাদেশ চাই–কুষ্টিয়ায় ফয়জুল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, আমরা একটি সাম্যের বাংলাদেশ চাই। যেখানে সব ধর্ম মত ও পথের মানুষ নিজেদের অধিকার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে। আমরা চাই না নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক। এদেশে দখলবাজিদের স্থান হবে না। দখলবাজি চলতে দেওয়া হবে না। ইসলামি সমাজ ব্যবস্থায় কোনো বৈষম্য থাকে না। এর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখা অয়োজিত বিশাল গণসমাবেশে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ব্যক্তিকে ভোট দিবে না -মানুষ মার্কায় ভোট দেবে। তবেই হবে পিয়ার সিস্টেম নির্বাচন। মানুষ শাস্তি পাবে। কেও বৈষম্যর শিকার হবে না, শান্তিতে থাকবে। শুধু নেতা নয় নীতির পরিবর্তন হতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন হলো পিয়ার সিস্টেমে নির্বাচন। প্রাপ্ত ভোট অনুপাতে আসন নির্ধারণ হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটি সাম্যের বাংলাদেশ চাই। যেখানে সব ধর্ম মত ও পথের মানুষ নিজেদের অধিকার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে। আমরা চাই না নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক। এদেশে দখলবাজিদের স্থান হবে না। দখলবাজি চলতে দেওয়া হবে না। ইসলামি সমাজ ব্যবস্থায় কোনো বৈষম্য থাকে না। এর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, ভেবেছিলাম স্বাধীন দেশে এবার মানুষ শান্তি পাবে-মুক্তি পাবে। কিন্তু কি পেলাম! ৫৩ বছরে দেখালাম সামাজিক ন্যায়বিচার নেই, সাম্যতা নেই। এ অবস্থা চললে গরিবরা আরও গরিব হবে, ধনীরা আরও ধনী হবে।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বক্তব্যে আরও বলেন, দেশের অর্থ পাচারকারীদের বিচার করে বিদেশে পাঠানো তাদের সমুদয় অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে আনা ও সংখানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু করাতেই হবে, তাছাড়া কোনোভাবেই রাষ্ট্র মেরামত সম্ভব না। ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধান শেখ হাসিনার পিয়ন ৪শ কোটি টাকা পাচার করে। মাত্র ২৫ পরিবারের কাছে এতো পরিমাণ টাকা যে সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছেও সেই পরিমাণ টাকা নেই। জাল-জালিয়াতি ও দুর্নীতি করে এতো টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে ও বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সব মানুষের মাথার উপর এখন দেড় লাখ টাকার ঋণ চেপে বসেছে। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই। ভালো মানুষ সংসদে গেলে দেশের মানুষের উপকার ছাড়া ক্ষতি নেই। সংসদকে অকার্যকর করে ফেলেছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার।

সংগঠনের জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমাদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জিএম তাওহীদ আনোয়ারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নেছার উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমির, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী সমন্বয়ক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন রাহাত, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, কুষ্টিয়া জেলা শাখার সংগ্রামী সভাপতি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামসহ অনেকে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমর্থক যোগ দেন এ সমাবেশে। ব্যানার ফেস্টুনসহ দলে দলে সমাবেশ স্থলে হাজির হলেও ছিল না কোনো বিশৃঙ্খলা। অনেকেই দলীয় মার্কা হাত পাখা নিয়ে এসেছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যর সময় উপস্থিত হাজার হাজার নেতাকর্মী মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েন। টুঁ শব্দ করেননি তারা। বক্তব্য শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।




দামুড়হুদায় অবৈধ বাঁধ ম্যাজিক জাল অপসারণ ও পুড়িয়ে বিনষ্ট

দামুড়হুদা উপজেলায় মোবাইল কোটের মাধ্যমে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে অবৈধ বাঁধ ও ম্যজিক জাল অপসারণ করা হয়েছে। দামুড়হুদা সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ১০ টি বাঁধ ও ৭২ টি ম্যাজিক জাল উদ্ধার করে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

আজ রবিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর রঘুনাথপুর সুবুলপুর গোবিন্দপুর গলায়দড়ি, জিরাটসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ বাঁধ অপসারণ করে মাছ ধরার জাল জব্দ করা হয়েছে।

অভিযান পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি কে এইচ তাসফিকুর রহমান। মোবাইল কোর্ট অভিযানে সহযোগিতা করেন দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক মহলদার, উপজেলা ভুমি অফিসের সহকারি আরিফ উদ্দীন,দামুড়হুদা মডেল থানার এস আই অপরুপ,কনস্টেবল আসাদ।

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি কে এইচ তাসফিকুর রহমান অভিযান শেষে সাংবাদিকদের জানান,আপনারা জানেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী যার নাম মাথাভাঙ্গা। এই মাথাভাঙ্গা নদীতে কিছু অসাধু ব্যক্তি বাঁশের আড়াআড়িভাবে বাঁধ দিয়ে রাখছিল এর পরিপ্রেক্ষিতে দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয় সেখানে চায়না ম্যাজিক জাল ও বাঁধ অপসারণ করা হয়। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরবর্তীতে এই কর্মকান্ডের সাথে কেউ জড়িত থাকলে কঠোরভাবে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।




মেহেরপুরে ছাত্রদের ‘বিনা লাভের দোকান’ পরিচালনা কর্মসূচির উদ্বোধন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিনা লাভে দোকান পরিচালনা কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে মেহেরপুর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা।

আজ রবিবার ( ২০ অক্টোবর ) সকাল ৯ টার সময় শহরের পৌরসভার গেট সংলগ্ন চত্বরে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

এ সময়ে উপস্থিত ছিল শিক্ষক সাব্বির আহমেদ সহ ছাত্র প্রতিনিধি ইমতিয়াজ হোসেন, আশিক রাব্বি,  তামিম আহমেদ।

দোকানে ডিম, আলু, পেয়াজ, মরিচ, শাক, কাচকলা সহ বিভিন্ন সবজি বিক্রয় করা হয়। কেজি প্রতি কাঁচা মরিচ ২৬০ টাকা, পুঁইশাক ১০, কলা ১০, কলমি শাক ১০, পেঁয়াজ ৯০, আলু ৫২, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজিতে এবং প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।

দোকানে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি কিনে কোন লাভ ছাড়াই এ সকল পণ্য বিক্রি করছে ছাত্ররা  ন্যায্য মূল্যে সবজি সহ অন্যান্য পণ্য পেয়ে খুশি ক্রেতারা।

আর ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলছে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন তারা। একই স্থানে প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত বিনা লাভের দোকানটি খোলা থাকবে।




বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামীলীগের সকল অপকর্মের বিচার করা হবে- আমিরুল ইসলাম

আওয়ামীফ্যাসীবাদী সরকারের দীর্ঘদিনের জুলুম নির্যাতন, হামলা মামলা সহ্য করে জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে ধীরে ধীরে লৌহ ইস্পাত কঠিন হয়েছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। আমরা দেখেছি বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্ব থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশের মানুষের কোন স্বাধীনতা ছিল না। বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতির কথা বলতে পারতো না। বিগত ১০ বছর আগেও আমরা দেখেছি যে সকল আওয়ামী লীগের নেতারা ভাঙ্গা মোটরসাইকেল করে ঘুরে বেড়াতো তারা আজ হাজার কোটি টাকার মালিক। আমি সেই সকল আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বলতে চাই আপনারা বিগত ১৬টি বছরে যে সকল অপকর্ম , দুর্নীতি করে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, সেই সকল অপকর্ম, দুর্নীতির জন্য আপনাদের সকলকে শাস্তি পেতে হবে।বিগত বছরে আপনারা আমাদের যেভাবে অপমান করেছেন, অত্যাচার করেছেন, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন, স্বাধীনভাবে রাস্তায় চলাফেরা করতে দেননি, রাতে বাড়িতে শান্তি ভাবে ঘুমাতে দেননি। আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসে তাহলে আপনাদের সকল অপকর্মের বিচার করা হবে।

আজ রবিবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের আনন্দবাস দক্ষিন পাড়ায় ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সকল কথা বলেন মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম।

তিনি আরো বলেন, সকল বিএনপি নেতা কর্মীদের একত্রিত হয়ে আগামীতে বিএনপির হাতকে শক্তিশালী করে বিএনপিকে ক্ষমতায় এনে সারা বাংলাদেশের মানুষকে একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে হবে। এজন্য সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে সকল বিএনপির নেতা কর্মীরা এক হয়ে কাজ করে যেতে হবে।

উক্ত দোয়া ও আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা শরিফ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক ইসলাম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।

যুবনেতা আব্দুল হালিমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির অন্যতম নেতা শেখ সাদী, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক হারুন, দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দীন, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবুল হাসান, সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, জেলা তাতীদলের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল আলম মন্টু, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজীর প্রমুখ।

এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এবং জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত সকল ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।




কালীগঞ্জের ঔষধ ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ হত্যা; ৮ বছর পর আদালতে মামলা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পতিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন ও খুন-গুমের শিকার হওয়া মানুষের আর্তনাদ এখনও শোনা যায়। ন্যায় বিচারের আশায় অনেকেই এখনও বুক বেধে আছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের পাশাপাশি ব্যক্তিগত দ্বন্ধেও অনেকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। এমনই একটি হত্যা কান্ডের জন্য গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ আদালতে ভুক্তভোগীর পিতা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে ৫ মার্চ একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ ৮ বছর পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন নিহত আব্দুল মজিদের ভাই আব্দুল আলিম। মামলায় উল্লেখ করা হয় আব্দুল মাজিদের হত্যার আসামীরা স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর হওয়ায় ঘটানার পর মামলা দায়ের সম্ভব হয়নি। এমনকি হত্যার শিকার আব্দুল মজিদের লাশের ময়নাতদন্ত না করেই দ্রুত দাফন করা হয় বলে আদালতে অভিযোগ করেন মামলার বাদী আব্দুল আলীম।

দেরিতে মামলা করার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল আলিম বলেন, ‘মামলা করার জন্য একটি আবেদনপত্র নিয়ে সে সময়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট গেলে তারা মামালা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। আসামীরা তৎকালীন ঝিনাইদহ ৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের নির্দেশে থানা পুলিশকে মামলা নিতে বাধা দেয়। মামলা করতে থানার ভিতরে থাকা অবস্থায় সাদা পোশাকের পুলিশ পরিচয়ে তাদেরকে বের করে দেয় এবং জামার কলার ধরে গুলি করে মাথার খুলি উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। তৎকালীন এমপি আনার বাদীকে বলেন ‘কালীগঞ্জে থাকতে হলে এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে চুপ থাকতে হবে, কোনো মামালা করা যাবে না’।

হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ৮ বছর পর নিহতের ছোট ভাই আব্দুল আলীম গত ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে রাড়ীপাড়া বর্তমান বলিদাপাড়া গ্রামের সাজ্জাদ আলী, তার ছেলে সুমন এবং গুটিয়ানী গ্রামের আনোয়ার লস্কারের ছেলে মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণে আরো উল্লেখ করা হয়, আসামীদের সাথে জমি সংক্রান্ত দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলে আসছিল। ঔষধ ব্যবসায়ী নিহত আব্দুল মাজিদ আসামী সাজ্জাদ আলীর কাছে পাওনা সম্পত্তি দাবি করলে নানা রকম ভয় ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।

এ বিষয়ে আব্দুল আলিম জানান সে সময়ে কালিগঞ্জের এমপি আনারের নির্দেশে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। তার ভয়ে আমরা এতদিন মামলা পর্যন্ত করতে পারিনি। তিনি ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়ে বলেন, আমার ভাইকে কালিগঞ্জ শহরের তার নিজ বাসায় পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়।




ইবনে সিনায় চাকরির সুযোগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটি মাইক্রোবায়োলজি (ন্যাচারাল মেডিসিন) বিভাগ এক্সিকিউটিভ পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

রোববার (২০ অক্টোবর) থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি পদের নাম : এক্সিকিউটিভ বিভাগ : মাইক্রোবায়োলজি (ন্যাচারাল মেডিসিন) পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা : মাইক্রোবায়োলজিতে এমএসসি অন্যান্য যোগ্যতা : সংশ্লিষ্ট কাজের দক্ষতা অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ বছর, তবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।

চাকরির ধরন : ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র : অফিসে প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়সসীমা : ২৫ থেকে ৩০ বছর

কর্মস্থল : গাজীপুর বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা : চিকিৎসা ভাতা, লাভের ভাগ, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, মোবাইল বিল, দুপুরের খাবারের সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী।

আবেদন করবেন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

সূত্র: কালবেলা




দামুড়হুদায় খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছীরা

পারদর্শী গাছিদের নিপুণ হাতের ছোঁয়াতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে খেজুর গাছের পরিচর্যা। দামুড়হুদায় বিভিন্ন গ্রামের গাছীরা খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বৈচিত্র্যময় ছয় ঋতুর দেশ আামদের বাংলাদেশ।দেশের ঋতু গুলোর রয়েছে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য। আর এ ঋতু বৈচিত্র্যের পরিবর্তনের জন্য রাতের শেষে জানান দিচ্ছে শীত। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রকৃতিতে বইতে শুরু হয়েছে শীতের আগমনী বার্তা।শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রস্তুত হচ্ছেন শীত। প্রকৃতি সেজেছে অনিন্দ্য সুন্দর রূপে। প্রাম- বাংলার ঐতিহ্যবাহী অবহেলিত এ খেজুর গাছগুলোকে নতুনরূপে সাজিয়ে তোলার প্রস্তুতি শেরে গাছ থেকে খেজুরের সুমিষ্ট স্বাদের রস আহরণের প্রস্তুতিতে দামুড়হুদায় গাছীরা।

ইতিমধ্যেই উপজেলার সকল গ্রামের গাছিরা হাতে দা কোমরে দড়ি ও হাতের নিপুণ ছোয়াতে গাছ চাঁচাছোলার কাজ শুরু করেছেন।শীতের দিন মানেই গ্রামীণ জনপদের মানুষের মাঝে খেজুর রস আর রস থেকে তার গুড়ের মৌ মৌ গন্ধ। শীতের সকালে খেজুরের তাজা রস যে কতটুকু তৃপ্তির তা বলে বোঝানো যাবে না। পাড়ায় পাড়ায় খেজুর রসের পিঠা এবং পায়েসতো খুবই মজাদার। আর ক’একদিন পরই সংগ্রহ করা হবে রস, রস থেকে শুরু হবে পাটালি ও গুড় তৈরির পর্ব। চুয়াডাঙ্গা জেলার রস ও গুড়ের সুনাম অর্জন রয়েছেন দেশব্যাপী।

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের তারিনী পুর গ্রামের গাছী জসিম উদ্দীন গ্রামের রাস্তার পাশে মাজায় মোটা দড়ি,হাতে কাচি নিয়ে খেজুরের গাছ ঝুড়ার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এসময় তার কাছে গিয়ে এ বছরের কয়টি খেজুর গাছ রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,নিজের গাছ রয়েছেন ৫০ টি অন্যের কাছে থেকে নিয়েছি ৭০ টি। এবছর মোট ১২০ টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ কারা হবে।

ইতিমধ্যেই গাছের পরিচর্যা শেষের পথে।অন্যের কাছ থেকে ৭০টি গাছ নেওয়ার জন্য প্রতিটি গাছের জন্য ১ কেজি করে মোট ৭০ কেজি গুড় দেওয়া লাগবে।রস সংগ্রহের জন্য গাছের সকল পরিচর্যা শেষের পথে। শীতের এ মৌসুমিতে পুরোদমে চলবে রস সংগ্রহ শেষে গুড় তৈরির প্রস্তুতি। গুড় থেকে তৈরি করা হবে পাটালি। রস থেকে গুড় তৈরির এ পর্ব চলবে ফ্লাল্গুন মাস অবধি। একই গ্রামের গাছী জিয়ারুল হক বলেন আমার ৯০টি খেজুর গাছ রয়েছে, গাছীরা এবার মজুরী নিচ্ছে ১০০০টাকা মজুরীর দাম বেশি হওয়ায় আমি নিজের গাছ নিজেই চাঁচাছোলা করছি। হেমন্তের প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গুড়ের হাট জয়রামপুর ষ্টেশন বাজার ও সরোজগঞ্জ বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে গাছিরা তাদের গুড় নিয়ে আসবেন বাজারে বিক্রি করতে।এসকল গুড়ের হাট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের গুড় ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে গুড় কিনে ট্রাক,আলামসাধুর মাধ্যমে চলে যাবেন তাদের গন্তব্য স্থলে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলার চারটি উপজেলার মোট ২ লাখ ৪৮ হজার ৯৬০ টি খেজুর গাছ রয়েছে।এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৯৩ হাজর ৪৫০, আলমডাঙ্গায় ৩৫ হাজার ৩১০ টি, দামুড়হুদা উপজেলার ৮৩ হাজার ও জীবননগর উপজেলার ৩৬ হাজার ৫০০ টি খেজুর গাছ রয়েছে। জেলা থেকে এ বছরে ২ হাজর ৫০০ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যা অর্জনে আশাবাদী। এ জেলার গুড় সুস্বাদু হওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেয়ে থাকেন।

যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের “মনিটরিং ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাসুম আব্দুল্লাহ’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গাছিদের গাছ কাটার কাজটি একটি শিল্প। এ জন্য শীত মৌসুমে আসার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ গাছিদের কদর বেড়ে যায় । গাছের রস গুড়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে খেজুর গাছ রক্ষাসহ নতুনভাবে রোপণের উদ্যোগ নেয়া জরুরি। তিনি আরো বলেন, আমাদের বাংলাদেশে পরিকল্পিত ভাবে খেজুর গাছ রোপন ও সংরক্ষণের দরকার। কারণ এ গাছটি অন্যান্য গাছের তুলনায় অধিক গুরুত্ব বহন করেন, অর্থনৈতিক ভাবে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেন।তাছাড়া খেজুরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে দেশি চারার পাশাপাশি বিদেশি চারাও রোপন করা প্রয়োজন। তবে বর্তমান দেশের বিভিন্ন স্থানে খেজুরের জন্য বিদেশি গাছ লাগানো হচ্ছে।




ক্লাচ ছাড়াই বদলে যাবে মোটরসাইকেলের গিয়ার

এই প্রথম মোটরসাইকেলে সংযুক্ত হলো গাড়ির গিয়ার। নতুন প্রযুক্তির এ বাইক তৈরি করছে অস্ট্রিয়ার কোম্পানি কেটিএম। এতে যুক্ত করা হচ্ছে অটোমেটেড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স (এএমটি)।

সম্প্রতি অস্ট্রিয়ার অটোমোবাইল কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, কিছুদিন পরেই ইতালির মিলানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইআইসিএমএ বাইক প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনীতে পাঁচটি বাইক নিয়ে হাজির হতে চলেছে কেটিএম। বর্তমানে কয়েকটি বাইকের টেস্টিং চালাচ্ছে কোম্পানিটি। এগুলোর মধ্যে একটি প্রোটোটাইপ মডেলে ক্লাচ লিভারের দেখা পাওয়া যায়নি। এরপর থেকেই জল্পনা দানা বেঁধেছে। এদিকে কেটিএম-এর টিজারেও তাদের ফ্ল্যাগশিপ মডেলে ক্লাচ লিভার দেখানো হয়নি। ফলে এটি এএমটি গিয়ারবক্সের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বেশ কিছু দিন ধরেই বাইকে ডিসিটি গিয়ারবক্স ব্যবহার করছে হোন্ডা। আবার ইয়ামাহা অটো গিয়ারবক্সসহ এমটি ০৯ বাজারে এনেছে।

আর বিএমডব্লিউও তাদের ফ্ল্যাগশিপ অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল আর ১৩০০ জিএস অ্যাডভেঞ্চার মডেলে এমটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে। ফলে কেটিএমের আসন্ন প্রযুক্তি বাজারে সাড়া ফেলবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: কালবেলা