মুজিবনগরে ২০০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক ৪

মুজিবনগরে ২০০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আজ রবিবার সকাল ৮ টার দিকে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর উত্তরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলসহ এই চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার শালিকা গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে মো: সুষম আলী (৩৮). মো: ওজদুল হকের ছেলে চাঁদ আলী (৩৭), হামিদুল ইসলামের ছেলে মো: ফারুক (২৭) ও মৃত আরশাদ আলীর ছেলে মো: আল আমিন (৫০)।

মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল আলমের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক (এসআই) সাহেব আলী, এসআই আশরাফুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ এই অভিযানে অংশ নেন।

ডিবি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল আলম জানান, ফেনসিডিলের একটি চালান ভারতীয় সীমান্ত পার হয়ে পাচারের উদ্যেশ্যে দারিয়াপুর গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকায় জড়ো হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালনোর চেষ্টা কালে তাদের আটক করা হয়।

আটক মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মুজিবনগর ধানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে ফেনসিডিল আসামিদের হস্তান্তর করা হয়েছে।




চিনিকলটি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বেশি বেশি আখ লাগান–এমডি মোশারফ হোসেন

সেচ সার যত্ন তিনে মিলে রত্ন ও পোকা দমন হাতে- নাতে কম খরচে সুফল তাতে,এ স্লোগানকে সামনে রেখে একর প্রতি আখের ফলন বৃদ্ধি ও গুনগত মানসম্পর্ন আখ উৎপাদনের লক্ষে আধুনিক কলাকৌশল প্রয়োগ শীর্ষক কর্মশালা ও কেরুর খামার দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে।

আজ শনিবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর কৃষি বিভাগের আয়োজনে আকন্দবাড়িয়া পরিক্ষা মৃলক খামারে এ খামার দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

এ খামার দিবসে কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর মহাব্যাবস্থাপক জি এম কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়ার সভাপতিত্বে এ খামার দিবস অনুষ্ঠিত হয়। খামার দিবসে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন,এ সময় তিনি বলেন,আপনারা বেশি বেশি আখ লাগান আপনাদের আখের মৃল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামীতে আবার আখের মৃল্য বৃদ্ধি করা হবে। তাই এ বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান ঠিকিয়ে রাখতে হলে আখ চাষের কোন বিকল্প নেই।তাই ভালো জাতের বীজ রোপন করেন দেখবেন আপনারা লাভবান হচ্ছেন।তাই আখ চাষীদের কথা চিন্তা করে প্রতি টন ৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। আখ চাষীদের কথা চিন্তা করে আমরা আধুনিক পদ্ধতিগতভাবে আখ চাষ করা হচ্ছে,এ ভাবে আখ চাষ করা হলে আপনারা বেশি লাভবান হবেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,মহাব্যাবস্থাপক কারখানা সুমন কুমার শাহা, মহাব্যাবস্থাপক অর্থ আব্দুস সাত্তার,মহাব্যাবস্থাপক এ ডি এম ইউসুফ আলী, আকন্দবাড়িয়া পরিক্ষা মৃলক খামার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন, কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, আখচাষী কল্যান সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান, সাধারন সম্পাদক আঃ বারী, আখচাষীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেরুর শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রাহমান হাফিজ, আফজালুল হক ধীরু, আব্দুল আওয়াল,শামীম হোসেন, প্রমুখ।

এ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কৃষি সম্পাসারন অধিদপ্তরের ডি জি এম মাহবুবুর রহমান।




কুষ্টিয়ার মিরপুরে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে কোহাজ্জেল হোসেন (১৫)নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে মিরপুর উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোর কোহাজ্জেল হোসেন মিরপুর উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।

মালিহাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আজ শনিবার বিকেলের দিকে বাড়ির পাশের মাঠে ঘাস কাটতে যায় কোহাজ্জেল। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। কোহাজ্জেল গত বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর খবর তিনি শুনেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।




মেহেরপুরে ডিবেট ক্লাব গঠন ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন, মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত ও ঝরে পড়া রোধ এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের সাহেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ২১ সদস্য ভিত্তিক ডিবেট কমিটি্ ও ক্লাব গঠন করা হয়।

গণসাক্ষরতা অভিযান এর সহযোগিতায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক এ সভার আয়োজন করে । আজ শনিবার সকাল ১০ টার সময় অত্র বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক এর হলরুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া বুলুর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউকের নির্বাহী প্রধান আসাদুজ্জামান সেলিম।

এসময় বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মো: রেজাউল করিম, শিক্ষক মো: মিনারুল ইসলাম এবং ইয়ুথে ফোরামের সভাপতি মো: নাফিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে স্বগত বক্তব্য রাখেন মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক এর জেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাদ আহাম্মদ ।

সভায় ডিবেট ক্লাব কি, এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং ছাত্রছাত্রীদের দায়- দায়িত্ব ও করণীয়, বাল্যবিবাহ এবং ইভটিজিংপ্রতিরোধে আলোচনা রাখেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা।এছাড়া ইউপি সদস্য, শিক্ষক ও ইয়ুথ ফোরামের সদস্যবৃন্দ গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য রাখেন ।

অনুষ্ঠানে সঞ্চারনায় ছিলেন মানবাধীকার কর্মী মোছা: কাজল রেখা এবং পরিচালনার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন প্রকল্পের সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার মো: আশিক বিল্লাহ।




নিয়োগ দেবে কমিউনিটি ব্যাংক পিএলসি

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির আইসিটি ডিভিশন ‘সিবিএস বিজনেস অ্যানালিস্ট অ্যান্ড ডেভেলপার’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি.

পদ ও বিভাগের নাম : সিবিএস বিজনেস অ্যানালিস্ট অ্যান্ড ডেভেলপার, আইসিটি ডিভিশন

আবেদনের বয়সসীমা : নির্ধারিত নয়

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ২৭ জুন, ২০২৪

কর্মস্থল : ঢাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতকোত্তর/বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে।

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অভিজ্ঞতা : ২ থেকে ৫ বছর

কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ তারিখ : ১০ জুলাই, ২০২৪

অন্যান্য যোগ্যতা : স্মার্ট, টিম প্লেয়ার, চটপটে মানসিকতা ও মনোভাবের সঙ্গে যুক্ত এবং বাংলা ও ইংরেজিতে ভালো যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে  ক্লিক করুন।

ঠিকানা : কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি. পুলিশ প্লাজা কনকর্ড (লেভেল ১০, টাওয়ার-২) প্লট-২, রোড ১৪৪, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২




ডিটক্স ওয়াটারে স্বস্তির খবর

শরীরকে হাইড্রেটেড করার জন্য পানি আবশ্যক। তবে শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পানীয় পান করা হয়। এসব পানীয়র মধ্যে ডিটক্স ওয়াটার বেশ কদিন ধরেই আলোচনায়। অনেকেরই বেশ আগ্রহ রয়েছে জিনিসটা কি বোঝার জন্য। ভিটামিন বি আর সি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় বলে ডিটক্স ওয়াটারের এত প্রশংসা।

শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ায় এটি। ডিটক্স ওয়াটারে দুই ধরনের পানিতে দ্রবীভূত ভিটামিন থাকে। এই ভিটামিনগুলোর জন্যই তো মূলত এটি তৈরি সহজ। তবে অনেকে ভালোভাবে তৈরি করতে জানেন না। এ বিষয়ে পরামর্শ দিলেন ডেলটা মেডিক্যাল হাসপাতালের নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট ডা. ফাতেমা জহুরা। তিনিই জানাচ্ছেন কিভাবে তৈরি করবেন ডিটক্স ওয়াটার। পূর্ণ সুবিধাই বা পাবেন কিভাবে সেটিও জেনে নেওয়া যাবে।

বানাবেন যেভাবে
টক ফল দিয়েই ডিটক্স ওয়াটার বানান। সাইট্রাস জাতীয় ফল ব্যবহার করতে পারলে ভালো। আবার কাঁচা খাওয়া যায় যেমন গাঁজর, পেপেও দিতে পারেন। ধনেপাতা, পুদিনাপাতাও ব্যবহার করা যায়। উপকরণ যাই বাছাই করুন না কেন, সবসময় বড় টুকরো করুন। খোসা থাকলে অসুবিধা নেই। টুকরোগুলো বিশুদ্ধ পানিতে এক বা দুই ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। চাইলে ফ্রিজে রাখতে পারেন পুরোটা সময়। তবে একটা জারে রেখে মুখ এঁটে দেবেন। হয়ে যাবে ডিটক্স ওয়াটার।

সমন্বয় বা স্বাদ?
স্বাদ আর সমন্বয়ের কথা ভাবছেন? বিভিন্ন ধরনের ফল আর সবজির সমন্বয়েই করা যায়। আজকাল তো অনলাইনেই অনেক কিছু পাওয়া যায়। আপনি কিছু ভালো রেসিপি দেখে নিন। তরমুজের সঙ্গে মিন্ট বা ধনেপাতা মানায়। বাঙ্গিও মন্দ না। আনারস, সাইট্রাস ফলের আলাদা সমন্বয় হতে পারে। শসার সঙ্গে পুদিনা পাতাই ভালো। গাজরের ক্ষেত্রে কিছুটা কমলা দেয়া যায়। তবে ডিটক্স ওয়াটারে লবণ বা কোনো মশলা মেশাবেন না। চিনি তো না-ই।

সংরক্ষণ করবেন না
ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করে ফেলার দেড় কি দুই ঘণ্টার মধ্যেই খেয়ে ফেলুন। কারণ এটা তো সরাসরি শরবত না। পানি। এর পুষ্টিগুণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করবে। অফিসে যাওয়ার আগে একটা বোতলে ঝটপট সরঞ্জাম নিয়ে রওয়ানা দিন। অফিসে ঢুকেই পান করুন। ফ্রেশ লাগবে। আর ফাইবারও পাবেন। এটা একটা ভালো দিক। তলানিতে থাকা সবজি বা ফলও পরে খেলে বাড়তি পুষ্টি।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়ার মিরপুরে কেয়ারটেকারের মরদেহ উদ্ধার

কুষ্টিয়ার মিরপুরে মনির হোসেন মনি (৮০) নামে এক বৃদ্ধ কেয়ারটেকারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে উপজেলার বিজনগর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহের হাত এবং পা পোড়ানো ছিল এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

নিহত বৃদ্ধের নাম মনির হোসেন মনি ওই এলাকার মৃত আকুব্বরের ছেলে এবং স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক মিঠুর বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে এই বাড়ীর কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করেন তিনি। একাই থাকতেন ওই ঘরে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বিজনগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে কেয়ারটেকার হিসেবে দেখাশোনা করতেন বৃদ্ধ মনি। ওই বাড়ির বাইরের একটি ঘরে তিনি থাকতেন।

আজ শনিবার দুপুরে স্থানীয়রা মনিকে দেখতে না পেয়ে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে বিছানা মনিরের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নিহতের হাত ও পা পোড়ানো ছিল এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কারা এবং কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেসব বিষয় জানার জন্য কাজ করছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।




কটাক্ষের শিকার সায়নী ঘোষ

ভারতে লোকসভার নবনির্বচিত সংসদ সদস্য হিসেবে নিয়মিত পার্লামেন্টে যাচ্ছেন টালিউড অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সংসদ অধিবেশনের পঞ্চম দিনে যোগ দিতে সাংসদের পরিচিতি গলায় ঝুলিয়ে দিল্লি মেট্রোতে চড়ে সংসদে গেলেন সায়নী। আর এতেই রীতিমতো কটাক্ষের শিকার হলেন এই সাংসদ-অভিনেত্রী।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার দিল্লিতে সংসদ অধিবেশনের পঞ্চম দিনে মেট্রোতে দাঁড়িয়ে সংসদ ভবনে পৌঁছান যাদপপুরের তৃণমূল সাংসদ। এদিন দিল্লির শিবাজি পার্ক স্টেশন থেকে মেট্রোয় ওঠেন তারকা সাংসদ।

এসময় সাধারন মানুষের সঙ্গেই দিল্লি মেট্রোয় চেপে প্রায় ৪০ মিনিটের যাত্রা শেষ করে সংসদে যান সাংসদ সায়নী। মেট্রোতে চড়ে সায়নীর সংসদে যাওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এ সময় সায়নীর পরনে নীল রঙা হ্যান্ডলুম শাড়ি, চোখে সানগ্লাস। গরম থেকে বাঁচতে টেনে বাঁধা হাত খোঁপা ভরসা। আর এতেই নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েন সায়নী।

অবশ্য সায়নীর এই কটাক্ষের সামনে পড়ার পেছনে কারণও রয়েছে। এখন তো আর তিনি শুধু পরিচিতি শুধু নায়িকা নন, জনপ্রতিনিধিও। তৃণমূলের সাংগঠিনক দায়িত্বে আসার পর থেকে চালচলনে মমতার মতোই সাদামাটা হওয়ার রূপে সায়নী। এতে তৃণমূল বিরোধীরা অভিনেত্রীর সমালোচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

কটাক্ষের সুরে এক নেটিজেনের মন্তব্য, ‘সব ভণ্ডামি। এরা নিজেই ফটো তোলায় মিথ্যা পাবলিসিটির জন্য।’

আরেকজন লেখেন, ‘ভেবেছিল বাংলার মতো ওখানেও ওকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাই ভেবে মেট্রো তে চড়েছিল। কিন্তু ওখানে ওকে কেউ বসতেই দেয়নি।’ অপর একজন লেখেন, ‘ওকে তো কলকাতারই কেউ চেনে না। দিল্লির মানুষ চিনবে কী করে?’




অপরাজিত দুই দলের লড়াইয়ে কে হাসরে শেষ হাসি

বার্বাডোজের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত। উভয় দলই পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে এবং অপরাজিত থেকেই ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। তাই বলা যায়—শিরোপার লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। রোমাঞ্চকর এই ম্যাচ দেখতে তাই তো চাতক পাখির মতো ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখ এখন এই ম্যাচের ওপর। আজ রাত সাড়ে ৮টায় বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচটি।

নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন প্রোটিয়ারা। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে শিরোপা জয়ের পর পরবর্তী সাত আসরে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পারেননি ভারতীয়রা। যদিও এবারের আসরের শিরোপার অন্যতম দাবিদার হয়ে আয়োজক দেশে পা রাখেন রোহিত-কোহলিরা। এখন পর্যন্ত পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত ভারতীয়রা। সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর গত পরশু সেমিফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার পাশাপাশি জায়গা করে নেয় স্বপ্নের ফাইনালে। এর আগে সবশেষ ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ইংলিশদের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেন ২০০৭ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

অন্যদিকে ভারতের মতো অপরাজিত থেকে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে প্রথম পর্বের প্রতিটি ম্যাচেই শ্বাসরুদ্ধকর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন প্রোটিয়ারা। যদিও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে জায়গা করে নেন শেষ আটে। তবে আগের আসরগুলোর দিকে চোখ বুলালে দেখা যায়—পুরো টুর্নামেন্ট দাপট দেখালেও সেমিফাইনালে এলে যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজতে থাকেন প্রোটিয়ারা। যার কারণে উপহাস করে তাদের ক্রিকেটের ‘চোকার্স’ ও বলা হয়।

এর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাঁচ বার ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট দুই বার সেমিফাইনাল খেললে একবারও খেলতে পারেননি ফাইনালে। তবে সেই দক্ষিণ আফ্রিকাই এবারের আসরের উড়তে থাকা আফগানদের সেমিতে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম বারের মতো কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে দলটি। তাই তো ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে মরিয়া প্রোটিয়া।

এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পুরো আসর জুড়ে ছিল বৃষ্টির দাপট। সুপার এইট ও সেমিফাইনালের মতো ম্যাচেও ছিল এর চোখ রাঙানি। অনেক ম্যাচ তো শুরুও হয়েছে দেরিতে। তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রিজার্ভ ডে না রাখায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিকে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত-ইংল্যান্ডের ম্যাচও পড়েছিল বৃষ্টি বাধায়। সেসব কথা মাথায় রেখেই ফাইনালে রিজার্ভ ডে রেখেছে আইসিসি।

বেরসিক বৃষ্টির কারণে যদি আজ ম্যাচ মাঠে না গড়ায়, তাহলে আগামীকাল রবিবার রিজার্ভ ডেতে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। যদিও শনিবার দেড় ঘণ্টা সময় রাখা হচ্ছে। বৃষ্টিতে ম্যাচ শুরু করা না গেলে বা ম্যাচ শুরু পর বৃষ্টি হলে এরপর আরও ৯০ মিনিট সময় থাকছে। অন্যান্য ম্যাচে ফলের ক্ষেত্রে অন্তত ১০ ওভার মাঠে গড়াতে হবে। তা-ও সম্ভব না হলে ম্যাচ যাবে রিজার্ভ ডেতে। আর যদি আজ ম্যাচ মাঝপথে থামে, রিজার্ভ ডে-তে সেখান থেকেই খেলা শুরু হবে। তবে বৃষ্টির কারণে শনি ও রবিবার খেলা না গড়ায় তাহলে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে ট্রাইকো কম্পোষ্ট

কৃষি নির্ভশীল ও সবজিখ্যাত জেলা মেহেরপুরের কৃষি জমিতে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জৈব সার ট্রাইকো কম্প্ষ্টো। অতিমাত্রায় রাসায়নিক সারে নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমির উর্বর শক্তি, জনপ্রিয় হচ্ছে ট্রাইকো কম্পোষ্ট।

জেলার কৃষকরা রাসয়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ট্র্ইাকো কম্পোষ্ট ব্যবহারে একদিকে যেমন ফসল উৎপাদন খরচ কমছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে ফসলের উৎপাদন । মেহেরপুরের কৃষিকে আরও সমৃদ্ধি করতে কৃষকদের নানা প্রশিক্ষণ, বিনামূল্যে উপকরন বিতরণের মাধ্যমে ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদনে সহায়তা করছে বেসরকারি সংস্থা পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি পিএসকেএস। ট্রাইকো কম্পোষ্ট উৎপাদনে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন।

পিএসকেএস এর কৃষি অফিসার মো: জুয়েল বিশ্বাস জানান, মাটির জৈব অংশে বসবাসকারী কোটি কোটি অনুজীবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অনুজীব ট্রাইকোডার্মা। এটি মাটিবাহিত একটি উপকারী ছত্রাক যা মাটিতে বসবাসকারী উদ্ভিদেও ক্ষতিকর জীবানু যেমন অন্যান্য ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, নেমাটোড ইত্যাদিকে মেরে ফেলে। এইউপকারী পরজীবী প্রকৃতির সব পঁচনশীল বস্তুকে মাটির সাথে মিশিয়ে ফেলে। এই ট্রাইকোডার্মা ও তার সাথে গবর ও পঁচনশীল বস্তুুর সাথে মিশিয়ে তৈরী করা হচ্ছে ট্রাইকো কম্পোষ্ট জৈব্য সার।

ট্রাইকো কম্পোষ্ট উৎপাদনকারি গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান,জমিতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সারের ব্যবহারের ফলে জমিতে আর ভাল ফসল হচ্ছিলনা। বাড়িতে পরিত্যাক্ত জমি না থাকায় জৈব সারের বড়ই অভাব। আবাদে ভাল ফলন না পেয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে।পরে স্থানীয় এনজিও পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির কৃষি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী পচনশীল বস্তুু,খড়,ও গবরের সাথে ট্রাইকোডার্মা পাউডার দিয়ে ট্রাইকো কম্পোষ্ট জৈব সার প্রস্তত করি এবং জমিতে দিয়ে এখন ভাল ফসলের ভাল ফলন হচ্ছে। আমি মোট ১০টি চৌবাচ্চার মাধ্যমে ট্রাইকো কম্পোস্ট সার তৈরী করছি। আমার আবাদি জমিতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে এখন ট্রাইকো কম্পোষ্ট সার ব্যবহার করছি। আমার জমিতে দিয়েও উদ্বৃত্ত কম্পোষ্ট অন্য কৃষকদের কাছে বিক্রি করে প্রতি বছর অন্তত লক্ষাধিক টাকা লাভ করছি। আমি আরও বড় পরিসরে ট্রাইকো কম্পোষ্ট উৎপাদন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ট্রাইকো কম্পোষ্ট উৎপাদনে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি আমাকে নগদ অর্থ,ট্রাইকোডার্মা পাউডার বিনামুল্যে প্রদান করেছে এবং কারিগরি সহায়তা দিয়ে আমাকে সার্বক্ষণিক সহযোগীতা দিচ্ছে।

গাংনীর গাড়াডোব গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম,আব্দুল গণি ও ফজলুল হক বলেন, আমাদের আবাদি জমিতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ও অতিমাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগের ফলে জমির উর্বরশক্তি একেবারেই নষ্ট হয়ে পড়েছে। জমিকে যতই পরিচর্যা করি তাতে ভাল ফলন পাচ্ছিলাম না। পরে আমাদের ভুর বুঝতে পেরে গত বছর থেকে ট্রাইকো কম্পোষ্ট জৈব সার নিজে র্তৈরী করে তা জমিতে প্রয়োগ করে ভাল উপকার পাচ্ছি। আমাদের সব আবাদি জমিতে এক সময় বছরে দুটি ফসল ফলানো যেত। এখন ওই জমিতে বছরে তিন থেকে চারবার ফসল ফলায়। এতে রাসায়নিক সার অতিমাত্রায় ব্যবহার করে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে গিছে। ফলে ফসলে ফলন বিপর্সয় ঘটছে। আমরাও ট্রাইকো কম্পোষ্ট তৈরী করে এখন নিজের জমিতে জৈব্য সার হিসেবে ট্রাইকো কম্পোষ্ট সার ব্যবহার করে ভার ফলন পাচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের খাছ থেকে অন্য কৃষকরাও তা কিনে নিয়ে তাদের জমিতে প্রয়োগ কওে উপকৃত হচ্ছে। এক বস্তা ট্রাইকো কম্পোষ্ট সার বিক্রি করছি ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায়। প্রতি বছর লক্ষাধিক টাকার ট্রাইকো কেম্পাষ্ট বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।

পিএসকেএস এর নির্বাহী পরিচালক মুহা: মোশাররফ হোসেন বলেন, সমন্বিত কৃষি কর্মসুচীর আওতায় গাংনী উপজেলার বিভিন্ন কৃষকদের রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব ট্রাইকো কম্পোষ্ট জমিতে প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। অনেকেই ট্রাইকো কম্পোষ্ট উৎপাদনে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন। সেই সাথে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগীতায় কৃষকদের আর্থিক সহায়তা ও বিনামূল্যে ট্রাইকোডার্মা পাউডার দেয়া হয়েছে। উপজেলার শতশত চাষি এখন এই ট্রাইকো কম্পোষ্ট জৈব সার উৎপাদন করে জমিতে ব্যবহার করে ভাল ফসল ফলাচ্ছেন। এবং অন্যান্য কৃষকদের কাছে এ সার বিক্রি করে আর্থিক ভাবেও লাভবান হচ্ছেন।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিধ মো: ইমরান হোসেন বলেন, মেহেরপুর জেলার প্রতিটি জমিই সব ফসল চাষের উপযোগী। এখানকার জমিতে কৃষকরা সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করে থাকেন। দ্রত সময়ে ফলন পেতে চাষিরা জমিতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করে জমিকে অকেজো কওে তুলেছে। সেই চাষিরাই তাদের ভুল বুঝতে পেরে বিভিন্ন জৈব সার যেমন কেঁচো কম্পোষ্ট,গোবর কম্পোষ্ট ও ট্রাইকো কম্পোষ্ট সার ব্যবহার শুরু করেছেন। অনেকেই এ সার উৎপাদন কওে লাভবান হচ্ছেন। কৃষি বিভিাগের পক্ষ থেকে জমিতে জৈব সার ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।