মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের পুষ্পস্তবক অর্পন

মুজিবনগরে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু এবং ভাইস চেয়ারম্যান বিএম জাহিদ হাসান রাজীব, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) তোকলিমা খাতুন মজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান গন এই পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে নবনির্বাচিত মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আল্লাহর রহমতে এবং মানুষের ভালোবাসায় আমি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি আর সেই সাথে আমি দুইজন সুযোগ্য ভাইস চেয়ারম্যান পেয়েছি। ভবিষ্যতে আমি দ্বিধা বিভক্ত মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সমস্ত ক্ষত সারিয়ে সবাইকে একসাথে নিয়ে একটি শক্তিশালী আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ,, যুবমহিলা লীগ, ছাত্রলীগ গড়ে তুলবো। গত নির্বাচনে আপনারা সেটি দেখতে পেয়েছেন আমি নির্বাচিত হয়ে আমাদের সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ত্যাগী নেতা জিয়াউদ্দিন বিশ্বাসের সাথে দেখা করেছি বর্তমান সভাপতি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তো তার সাথেও দেখা করেছি। আমি চাই মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে যে দ্বিধাবিভক্ত আছে সমস্ত বিভক্ত দূর করে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগকে একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করার মাধ্যমে আমাদের প্রাণপ্রিয় জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের হাতকে শক্তিশালী করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে গতিশীল করে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়া।

এ সময় মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী, উপজেলা যুবমহিলা লীগকৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




কুষ্টিয়ায় ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

সম্পত্তির লোভ এবং চাকরি শেষে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও পেনশনের টাকা আত্মসাৎ করতেই ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ উঠে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার তিন সন্তান ও জামাইয়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও জানা যায়।

নিহত রবিউল ইসলাম (৪৯) কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বানিয়াখড়ি গ্রামের মৃত: সদর উদ্দিনের ছেলে। সে একই উপজেলার বাঁশগ্রাম সাব পোষ্ট অফিসের পোষ্ট মাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এসব বিষয় নিয়ে শুক্রবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নিহত পোস্ট মাস্টার রবিউল ইসলামের পরিবার। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রবিউল ইসলামের মা মোছা: রোকেয়া খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে রোকেয়া খাতুন বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে কুমারখালী উপজেলার বানিয়াখড়ি গ্রামের মৃত আদিল উদ্দিন শেখের মেয়ে মোছা: মাহফুজা আক্তার রুলির সাথে বিয়ে দেন তার একমাত্র সন্তান মো: রবিউল ইসলামকে। বিয়ের পর থেকেই রুলি তার সন্তানকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করতো। দাম্পত্য জীবনে তিন সন্তান ও এক জামাই ছিল। সম্পত্তির লোভে প্রায়ই স্ত্রী, সন্তান ও জামাই রবিউলকে নির্যাতন করতো প্রতিনিয়ত।

নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গত ৪ মে রাত আটটার দিকে আমার ছেলে রবিউল ইসলামের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার রুলি (৪৫), তার বড় বোন মোছা. বেলী খাতুন ( ৫৫), ছেলে মো. বন্ধন হোসেন (২০), মেয়ে মোছা: সেতু খাতুন (২৫) ও ঋতু খাতুন (১৫) এবং জামাই মিলন হোসেন প্রথমে নিজবাড়ির ছাদে রবিউলকে ব্যাপক মারপিট করে এবং পরে ধানক্ষেতে দেওয়া কীটনাশক জোর করে রবিউলের মুখের মধ্যে দিয়ে দেয় তার স্ত্রী সন্তান ও জামাইরা মিলে। বিষপানের পর রবিউলের গোংড়ানি শুনে তিনি প্রতিবেশীদের সহায়তায় তার ছেলেকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করেন। সেখানে রবিউলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৫ মে সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ছেলের মৃত্যু হয়।

তিনি আরো বলেন, সম্পত্তির লোভে এবং পোস্ট অফিসে চাকরি শেষে সব টাকা নিজের করতেই নানান ফন্দি আঁটে এবং ষড়যন্ত্র করে স্ত্রী, সন্তান, জামাই। এভাবেই স্ত্রীর সহযোগীরা মিলে তার ছেলে রবিউলকে হত্যা করেছে। মৃত্যুর আগে রবিউল তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখে গেছে ‘ আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী রুলি, ঋতু, বন্ধন, সেতু, মিলন, বেলি। এরআগেও নিজ বাড়ীর দোতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন। ‘ তিনি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশায় থানায় মামলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনের সময় মাঝে মাঝে বিলাপ করে তিনি ব’লেন, আমার একটাই বেটা। তাও চলে গেলো। এভাবেই মাইরি ফেললি, কি নিয়ে বাঁচব সোনা? তোমরাই বলে দাও। হে আল্লাহ তুমিই এর বিচার কইরো।

এদিকে এ ঘটনায় রোকেয়া খাতুন ৫ মে রবিউলের স্ত্রী মোছা. মাহফুজা আক্তার রুলি (৪৫), স্ত্রীর বড় বোন মোছা. বেলী খাতুন ( ৫৫), ছেলে মো. বন্ধন হোসেন (২০), মেয়ে মোছা. সেতু খাতুন (২৫) ও ঋতু খাতুন (১৫) এবং জামাই মো. মিলন হোসেনের (৩৩) বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে মামলা করেন।

মামলায় ঘটনার দিন রাতেই স্ত্রী রুলিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্যান্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাঁদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানতে চাইলে রবিউলের চাচাতো বোন ফারজানা আক্তার জানান, রবিউল ও রুলি সম্পর্কে মামাতো – ফুফাতো ভাই – বোন ছিল। ৩০ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই রুলি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। একপর্যায়ে ২০০১ সালে রুলি আদালতে রবিউলের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নির্যাতনের মামলা করেছিল। কিন্তু রবিউল ও স্বজনরা চাকুরি হারানোর ভয়ে তা মিটমাট করে নিয়েছিল। তবুও নির্যাতন থামেনি কোনোদিন।

এঘটনায় রবিউলের স্ত্রী জেলহাজতে এবং জামাই ও সন্তানেরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানার উপ পরিদর্শক সুব্রত বিশ্বাস ফোনে জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত বলা যাবে পরে।




বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচে পাইলট আসিম জাওয়াদকে স্মরণ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। এবার হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য শান্তদের।

সেই লক্ষ্যে তিন পরিবর্তন নিয়ে আজ শুক্রবার (১০ মে) মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

এ ম্যাচের আগে স্মরণ করা হলো চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হয়ে মারা যাওয়া বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদকে। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে দুই দলের ক্রিকেটাররাই এক মিনিট নিরব থাকেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল বার্তায় বলা হয়েছে, গতকাল চট্টগ্রামে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হওয়া স্কোয়াড্রন লিডার অসিম জাওয়াদের সম্মানে মিরপুরে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করবে বিসিবি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজে আগুন লাগার পর দুজন বৈমানিক প্যারাস্যুট দিয়ে নেমে আসেন। এ সময় কর্ণফুলী নদী থেকে তাদের উদ্ধার করে বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন দুপুর ১২টার দিকে স্কোয়াড্রন লিডার অসিম জাওয়াদের মৃত্যু হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে গলায় রশি দিয়ে এক কিশোরের আত্মহনন

মুজিবনগরে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবা মার ওপর অভিমান করে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সোহান (১৬) নামের এক কিশোর।

সে উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের পুরন্দরপুর গ্রামের বাজার পাড়ার মফিজুর রহমানের ছেলে। আজ শুক্রবার সকালে নিজ বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে সে আত্মহত্যা করে।

দারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শাহজাহান জানান, সোহান এবার দারিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে সামনে ১২ তারিখ তার রেজাল্ট। সে মা-বাবার কাছে একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য দাবি করে মা বাবা মোটরসাইকেল দিতে প্রথমত রাজি হয়নি পরে তার জোরাজুরিতে তাকে মোটরসাইকেল কিনে দিতে রাজি হয়। ঘটনার সে দিন দাবি করে আজকে তাকে মোটরসাইকেল কিনে দিতে হবে। এই নিয়ে সকালে সোহানের বাবা-মা তাকে বকাঝকা করে এমনকি তার মা তাকে একটি থাপ্পড় দেয়। এই অভিমানে সোহান সবার অগোচরে ঘরের ফ্যানের সাথে রশি পেঁচিয়ে গলায় দিয়ে আত্মহত্যা করে পরিবারের লোকজন তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি উজ্জ্বল কুমার দত্ত ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে জানান, সোহান তার বাবা মার কাছে মোটরসাইকেল দাবি করলে বাবা-মা কিনে না দেওয়াই সে অভিমান করে ঘরের স্যারের সাথে রশি পেঁচিয়ে গলায় দিয়ে আত্মহত্যা করে এ বিষয়ে পুলিশে তদন্ত করছে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।




মেহেরপুরে হঠাৎপাড়া মসজিদে টাইলস উপহার দিলেন পৌর মেয়র 

মেহেরপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড হঠাৎপাড়া জামে মসজিদে টাইলস উপহার দিলেন মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন।

আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর হঠাৎপাড়া  জামে মসজিদে টাইলস উপহার দেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর  মোস্তাক আহমেদ, মেহেরপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আবু আব্দুল্লাহ, হঠাৎপাড়া জামে মসজিদের  সভাপতি মোঃ হাসমত আলী (তোতা), হঠাৎপাড়া জামে মসজিদের সহ-সভাপতি নাসির, হঠাৎপাড়া জামে মসজিদের সেক্রেটারি ইউনুস সহ হঠাৎপাড়া জামে মসজিদের বিভিন্ন মুসল্লী উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করলো স্বামী

মেহেরপুর সদরে সালেহা খাতুন নামের তিন সন্তানের জননীকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী এলাহি বক্স।

আজ শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার গোভীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এলাকাবাসী তার স্বামীকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে। এলাহি বক্স একই গোভিপুর ভিটাপাড়ার খোদা বাক্সের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালের দিকে সালেহা খাতুন ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে নামেন। এসময় তার স্বামী এলাহি বক্স ধারালো হাসুয়া দিয়ে তাকে উপুর্যপুরি কোপাতে শুরু করেন। সালেহা খাতুনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলেও তাকে শেষ রক্ষা করতে পারেননি। পরে ছালেহা খাতুনকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, এলাহি বক্স মানসিক রোগী। তবে কি কারনে তার স্ত্রীকে হত্যা করল সে ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকাবাসি খুনিএলাহী বক্সকে ধরিয়ে দিয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত শেষে হত্যার উদ্দেশ্যে জানা যাবে।




গাংনীতে ধান কাটতে বাঁধা দেওয়ায় জমির মালিকের উপর হামলা

মেহেরপুরের গাংনীতে জমিতে জোর করে ধান কাটতে বাঁধা দেওয়ায় জমির মালিক মুনতাজ আলীকে (৪৩) পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষ।
গাংনী উপজেলার জুগিরগোফা গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত মুনতাজ আলী জুগিরগোফা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে। এলাকার মতিউর রহমান ওরফে  উজ্জ্বল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
আহত মুনতাজ আলী বর্তমানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় ঠেকাতে গেলে প্রতিবেশী মাসুম আলী ও তার স্ত্রী আঙ্গুরা খাতুন ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে উজ্জ্বল ।
জানা গেছে, জুগিরগোফা গ্রামের  আব্দুল বারীর ছেলে উজ্জ্বল গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে মুনতাজ আলীর জমিতে জোর করে ধান কেটে গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে আসছিলেন। এসময় মুনতাজ আলী তাকে ধান কাটছেন কেনো জানতে চাইলে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পঅযায়ে জমির মালিক মুনতাজ আলীকে মারপিট শুরু করে। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি রাস্তার উপর আছাঁড় মারে।
এ সময় প্রতিবেশী  মাসুম আলী ও তার স্ত্রী আঙ্গুরা তাকে ঠেকাতে গেলে তাদেরও পিটিয়ে  রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এঘটনায় আহত মুনতাজ আলী মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
স্থানীয়রা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, মতিউর রহমান ওরফে উজ্জ্বল একজন মাদকাসক্ত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। গ্রামের অনেকেই তার নির্যাতনের স্বীকার।



আলমডাঙ্গায় প্রেমিক যুগলের গলায় জুতার মালা: ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিওরবিলা গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে প্রেমিক যুগলের গলায় জুতার মালা পরিয়ে মারধর ও চাঁদা দাবির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা-১ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। গত ৭ মে রাষ্ট্রপ্রতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই আদেশ জারি করা হয়।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা ১ এ সংক্রান্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে,”  খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসীর আহমেদ মল্লিক লালের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার  মামলা নং-১ (জি.আর ১৫৫/২০২৩), তারিখ: ১২/১০/২০২৩। মামলাটি চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলে নেওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯- এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন।
জেলা প্রশাসকের সুপারিশের কারণে আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব তাফসীর আহমেদ মল্লিক (লাল)-এর বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। যেকারণে খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসীর আহমেদ মল্লিকের (লাল)  সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তার পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।”
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন



আলমডাঙ্গা প্রার্থীতা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর নিন্দা ও প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীতা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আনারস প্রতিকের প্রার্থী আ: মমিন চৌধুরী ডাবু। আজ বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

লিখিত বক্তব্যে আ: মমিন চৌধুরী ডাবু উল্লেখ করেন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। নির্বাচনে তিনি ছিলেন এবং আছেন। তাঁর প্রতিক আনারস। এই নির্বাচনে তাঁকে নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, যা মোটেও সত্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন,আমি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই আমি জনগণের সেবায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। তাঁদের সেবার লক্ষেই আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ভোটের মাঠে আছি।

গতকাল ৮ মে আলমডাঙ্গায় একটি মত বিনিময় সভায় আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আমার মত সেখানে অন্য প্রার্থীও ছিল। সেখানে অন্য কোন বিষয় নিয়ে কোন কথা হয়নি। সেই মতবিনিময় সভা থেকে একটি ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে আমাকে হেয় করার জন্য বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। যা কোন মতেই সঠিক নয়। আমি আ: মমিন চৌধুরী ডাবু জনগণের প্রার্থী ছিলাম, আছি এবং ভোটের শেষ পর্যন্ত থাকবো।

আপনারারা কেউ কোন প্রকার বিভ্রান্তিতে কান না দিয়ে আসন্ন ২১ মের নির্বাচনে আমাকে আনারস প্রতিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আমি সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম, ভবিষতেও পাশে থাকবো ইনশাল্লাহ।




মেহেরপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা

মেহেরপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লতিফুন নেসা (লতা) কে ফুলের শুভেচ্ছা।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে নবনির্বাচিত মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লতিফুন নেসা (লতা) নিজস্ব কার্যালয়ে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রিয়াদ আজিম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন ইসলাম তানিম, মেহেরপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার জুলকার নাইম বাইজিদ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা রাসেল অন্তর, রিঙ্কু মাহমুদ, শাহিদুল ইসলাম মানিক, খালেদ হাসান মিন্টু, মাকসুদুল আলম মিথেন, নাহিদুজ্জামান নাহিদ, সোহানুজ্জামান জয় এবং জাব্বারুল ইসলাম সহ বিভিন্ন নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।