হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডের চাঁদাবাজি মামলার চার্জ গঠন

মেহেরপুরের বহুল আলোচিত হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডের চাঁদাবাজি মামলায় চার্জ গঠন করেছেন আদালত।
সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিন অরণ্য, আবু আক্তার করণসহ পুলিশের দেওয়া চার্জশিটের ১৭ আসামির বিরুদ্ধেই আদালত চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

বুধবার মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মনজুরুল ইমাম এই আদেশ দেন। আলোচিত ও সমালোচিত হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্ণগ্রাফি ও চাঁদাবাজির দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। চাঁদাবাজি মামলা (মামলা নম্বর ৪০৪/২৩) এর চার্জ গঠন করল আদালত। একই সাথে আদালত আগামী ২৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে সাক্ষগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছেন।

এদিন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সাংবাদিক ও আইনজীবি তুহিন অরণ্য, সাংবাদিক আবু আক্তার করনসহ আরো কয়েকজন তাদের আইনজীবির মাধ্যমে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। তবে বিচারক আসামিদের আবেদন আমলে না নিয়ে চার্জশিটভুক্ত সকল আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দেন।
চার্জ গঠনের শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবি হিসেবে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলামসহ তাদের জুনিয়ররা।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য। ইতোপূর্বে নাজনিন খান প্রিয়া ও ছন্দা খাতুনের ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে মোট ৩৫ জন আসামি সনাক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে ১৮ জনের বিপক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় তাদেরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাকি ১৭ জন আসামীর নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত সেটা গ্রহণ করে।

চাঁদাবাজি ও পর্ণগ্রাফি মামলার আসামি হিসেবে যাদের পুলিশ চার্জভুক্ত করেছিল তারা হলেন মোছাঃ নাজনিন খান প্রিয়া, মোছাঃ ছন্দা খাতুন, মোঃ মামুন জোয়ার্দ্দার, মোঃ মতিয়ার রহমান, মোঃ আব্দুস সালাম, মোঃ হাসিবুল হক জয়, মোঃ মিজানুর রহমান জনি (মামলা চলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন), নেহাল আল মুকিত, মোঃ শাহাজাহান আলী, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন অরন্য, আবু আক্তার করন, মোছাঃ রেক্সোনা আরা, নিলুফার ইয়াসমিন রুপা, নুসরাত, বর্ষা, সুমন রহমান বিমান ও বিপাসা।




মেহেরপুরে পেকিং জাতের হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন গ্রামীণ নারীরা

মেহেরপুরে ব্রইলার টাইপের পেকিং জাতের হাঁস পালন করে সাবলম্বি হচ্ছেন গ্রামীণ নারীরা । সল্প বিনিয়োগ ও অল্প সময়ে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টির অন্যতম মাধ্যম ব্রইলার টাইপ পেকিং প্রজাতির হাঁস পালন। সহজ ব্যাবস্থাপনা ও ভালো বাজার দরের কারণে ব্রইলার টাইপ পেকিং জাতের হাঁস পালন জেলার বিভিন্ন গ্রামের নারীদের সৌখিন ও পছন্দের পেশায় পরিনত হয়েছে। এতে একদিকে যেমন পরিবারের মাংসের চাহিদা পুরণ হছে অন্যদিকে বাড়তি আয়ের উৎস বলেও মনে করছেন গৃহিনীরা।

খামারী পর্যায়ে পেকিং জাতের হাঁস পালনে গ্রামের অস্বচ্ছল নারীদের সাবলম্বি করতে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পল্লী কর্ম- সহায়ক ফাউন্ডেশন। অনেকেই বাণিজ্যিক ভাবে পালন করেও লাভবান হচ্ছে। কারিগরি সহযোগিতায় কাজ করছে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি নামের বেসরকারি সংস্থা। নারীদের পাশাপাশি বেকার যুবকেরাও এগিয়ে আসছে এ জাতের হাঁস পালনে। ।

গাংনী উপজেলার রাইপুর গ্রামের আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী রিনা খাতুন বলেন, আমার অভঅবের সংসার। স্বামীর রোজাগরের টাকায় সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হতো। ছেলে মেয়েদের হাতে দুএক টাকা দিতে পারতাম না। পরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির লোকজন আমার দুরবস্থা দেখে পেকিং জাতের হাঁসের বাচ্চা দেয় এবং তা পালনের জন্য বিভিন্ন উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা করেন। আমার বাড়িতে এখন ৩৫টি পেকিং জাতের হাঁস রয়েছে। এ হাঁস পালনে পানির প্রয়োজন হয়না। এই জাতের হাঁস পালনের বিশেষ বৈশিষ্ঠ হচ্ছে, এই জাতের হাঁস দ্রত বর্ধনশীল। দুই মাসে প্রায় ৩ কেজি ওজন হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী ও মৃত্যুর হার তুলনামূলক কম এবং মাংস সুস্বাদু। প্রাকৃতিক জলাশয়ের প্রয়োজন পড়েনা পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভ। এখন আমার সংসারের টুকিটাকি খরচ আমি নিজেই হাসের ডিম ও মাংস বিক্রি করে করতে পারি।

বেতবাড়িয়া গ্রামের মিনুয়ারা খাতুন বলেন, বাড়িতেই পেকিং হাঁস পালন করি। কোন সসম্যা হলে সংস্থার পাণি সম্পদ কর্মকর্তাকে জানায়। তিনি আমাদের সার্বিক সহায়তা দেন। সংস্থার কাছ থেকে বিনামূল্যে পেকিং জাতের হাঁসের বাচ্চা দিয়েছিল। হাঁস ও ডিম বিক্রি করে আমার সংসারের অনেক স্বচ্ছলতা এসেছে।

তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর জাকিরের স্ত্রী সাথিয়ারা জানায়, স্বামীর রোজগারে ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগানো খুবই কষ্ট হতো। এখন আমার বাড়িতে ৩৫টি পেকিং জাতের হাঁস পালন করি। প্রতিদিনই প্রায় সব হাঁসেই ডিম দিচ্ছে। ডিম বিক্রি করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া খরচ ও পোশাক কিনে দিতে সমস্যা হচ্ছেনা। আমার হাত খরচের টাকাও আর স্বামীর কাছ থেকে নিতে হয়না। আমার সংসারে অনেকটাই আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে। তবে বানিজ্যিক ভাবে খামার করার চেষ্টা করছেন উপকারভোগী নারীরা।

জানা গেছে, সারা দেশে সমন্বিত কৃষি ইউনিট ভুক্ত প্রাণিসম্পদ খাতের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে পিকেএসএফ ২০১৭-২০১৮ অর্থবছর থেকে পেকিং প্রজাতির হাঁস পালন প্রকল্পটি চালু করে। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)।

কর্মসূচির আওতায় গাংনী উপজেলাতে খামারীদের স্বল্প সময়ে মাংস ও ডিম উৎপাদনে ব্রইলার টাইপ পেকিং হাঁস পালন বিষয়ক ৬৩ টি প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করে। এছাড়াও খামারিদের মাঝে পেকিং হাঁস পালনের প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণের পাশাপাশি খামারিদের পেকিং হাঁস পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ, খামার দিবস, পরামর্শ কেন্দ্র এবং ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)। এ প্রকল্পের আওতায় শতাধিক অস্বচ্ছল পরিবার এখন আর্থিক স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী পলাশীপাড়া পিএসকেএস এর নির্বাহী পরিচালক মুহা: মোশাররফ হোসেন বলেন, পরিবারের সদস্যদের পুষ্টি চাহিদা পুরুনে পেকিং জাতের হাঁসপালন প্রকল্পটি আমরা বাস্তবায়ন করছি। এতে অনেকের সংসারে স্বচ্ছলতা আসছে। খামারী পর্যায়ে পেকিং জাতের হাঁস পালনে গ্রামের অস্বচ্ছল নারীদের সাবলম্বি করতে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পল্লী কর্ম- সহায়ক ফাউন্ডেশন। অনেকেই বাণিজ্যিক ভাবে পালন করেও লাভবান হচ্ছে। পিছিয়ে পড়া মানুষকে আর্থিক স্বচ্ছলতায় সক্ষম করতে আমাদের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা: নাসিমা খাতুন বলেন, আমাদের সমাজে অনেক পরিবার আছে যারা অনেক অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে সংসার চালায়। তাদের আমরা সরকারি ভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মমুখি করে সাবলম্বী করে তুলছি। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি অনেক বেসরকারি সংস্থাও নারীদের কর্মমুখী করতে নানা কর্মসুচি হাতে নিয়েছে। তেমনি একটি সংস্থা পিএসকেএস। পেকিং জাতের হাঁস পালন করে অনেক নারীরা তাদের সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছে। অনেকেই এখন সংসারে আত্ননির্ভরশীল হচ্ছে।




আলমডাঙ্গায় সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে এসে গ্রাহকের টাকা চুরি

আলমডাঙ্গার সোনালী ব্যাংকের ভেতরে আবারও এক গ্রাহকের টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার ওই গ্রাহক ব্যাংকে টাকা জমা দেবার জন্য কাউন্টারের সামনে রাখলে চোরেরা কৌশলে ৬১ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোর সনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগী পৌরশহরের নিত্যরঞ্জন সাহার ছেলে গোবিন্দপুর গ্রামের মলয়।

স্থানীয়রা জানান, আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মলয় ও অগ্রণী ব্যাংকের এক পিয়ন আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পে-অর্ডারের টাকা জমা দিতে সোনালি ব্যাংকে যান। এ সময় তিনি দুজনের পে-অর্ডারের মোট ৬১ হাজার টাকা ব্যাংকের ৪ নম্বর কাউন্টারের সামনে রেখে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যান।

এসময় চোরচক্রের এক সদস্য কৌশলে কাউন্টার থেকে ওই ৬১ হাজার টাকা চুরি করে নেয়। পরে ভুক্তভোগী মলয় ফিরে দেখেন কাউন্টারে তাঁর টাকা নাই। পরে সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করলে চুরির ঘটনাটি সামনে আসলেও চোরকে কেউই সনাক্ত করতে পারেনি।

এদিকে গত ৯ জুন সোনালী ব্যাংক থেকে এক মহিলার উত্তোলন করা টাকা চোর চক্র একই কায়দায় চুরি করে নিয়ে যায়।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক এইচ এম আব্দুল আওয়াল বলেন,ক্যাশে টাকা জমা না দিয়ে কাউন্টারে বাইরের রাখলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দায়ভার গ্রহণ করবে না।

এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, ব্যাংক থেকে টাকা চুরির ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




চুয়াডাঙ্গায় ৬ষ্ঠ সদর উপজেলা পরিষদের ১ম মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা ৬ষ্ঠ সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক ১ম সভা ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ১১ টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা।

এসময় সভাটি আয়োজন করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ।সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোওয়াত করেন চুয়াডাঙ্গা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এ এম আমিনুল ইসলাম। আর পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা বিকাশ কুমার সাহা। সদর উপজেলা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ও স্বাগত বক্তব্য দেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা। এরপর একে একে নবনির্বাচিত সকল পরিষদ সদস্যকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। এরপর শুরু হয় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা এলাকার উন্নয়ন নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা সভা।

এ সময় সভায় চুয়াডাঙ্গা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গার উন্নয়ন করতে চাই। আমাদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে চুয়াডাঙ্গা জেলার জন্য। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল রেখে জেলার উন্নয়ন করতে হবে। শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করতে হলে চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। জনগণের সেবা করার জন্য আমরা নির্বাচিত হয়েছি। জনগণের জন্য সব সময় প্রস্তত থাকতে হবে তাদের সেবা করার জন্য। আগামীদিনে আমাদের একটাই প্রত্যয় যে একসাথে পথ চলে কাজ করতে হবে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা রোল মডেলে নিয়ে যেতে হবে আর এটাই হবে আমাদের চ্যালেঞ্জ। সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা হবে রোল মডেল’।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা খাতুন, আলুকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান, শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউল আলম, বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদরে চেয়ারম্যান আলী হোসেন, তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুকুর আলী, পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলম, গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান, মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ^জীত কুমার, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য হালিমা খাতুন, প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার সরকারি দপ্তরের সকল কর্মকর্তাগণ।




দামুড়হুদা থানা ও তফসিল অফিস পরিদর্শনে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা মডেল থানা ও সদর ইউনিয়ন তফসিল (ভূমি) অফিস বাৎসরিক পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এসময় সাথে ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা। আজ বুধবার বিভিন্ন সময় তিনি সরজমিনে পরিদর্শন করেন।

দামুড়হুদা মডেল থানা পরিদর্শন কালে প্রথমেই জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা কে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করেন দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবীর। মডেল থানা পরিদর্শন কালে থানার সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন তিনি।

এ সময় জেলা প্রশাসককে দামুড়হুদা মডেল থানার পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। মডেল থানা পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, জেলার আইন শৃঙ্খলা সমুন্নতি রাখতে জেলা প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। দামুড়হুদা মডেল থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। থানায় এসে যেনো কোন সেবা গ্রহীতা বিড়ম্বনা ও প্রতারণার স্বীকার না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। পুলিশ ও জনগণের সম্পর্কের দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। জনগণ ও পুলিশের সম্পর্ক ভালো থাকলে এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি ভালো থাকে।

এসময় তিনি আরও বলেন ভূমি অফিসে এসে যেনো কোন সাধারণ সেবা গ্রাহকেরা যাতে সঠিক সময়ে ও সঠিক ভাবে কার্জ সম্পাদনা হয় সেদিকে লক্ষ রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

থানা পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক দামুড়হুদা সদর তফসিল (ভূমি) অফিসে সেবা গ্রহীতাদের জন্য নির্মিত অপেক্ষাগার ছায়াবিথী’র শুভ উদ্বোধন করেন।




হরিণাকুন্ডে হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান

ঝিনাইদহে হরিণাকুন্ডে “শিশুনিলয় ফাউন্ডেশন” এর আয়োজনে এক হাতদরীদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক। এসময় হরিণাকুন্ড সরকারী লালনশাহ্ কলেজের এইচএস,সি (মানবিক) শাখার দ্বিতিয় বর্ষের ছাত্রী সম্পা রাণীর হাতে ১২ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলান ইশা, শিশুনিলয় ফাউন্ডেশন হরিণাকুন্ডু শাখা’র ব্যবস্থাপক মোঃ আজীম উদ্দীন, ক্রেডিট অফিসার আব্দুল আওয়াল।
সুবিধাভোগী হাতদরীদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী সম্পা রাণী হরিনাকুণ্ডু সরকারী বালিকা বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাশ করেন।

সম্পা রাণী পৌরসভার চিথলীয়া পাড়ার সুকুমার বিশ্বাস ও সীমা বিশ্বাসের কন্যা। শিশু নিলয় ফাউন্ডেশনের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ আজীম উদ্দীন জানান প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানটি এরকম দরীদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করে থাকে।




বাংলাদেশ আফগানিস্তান সিরিজ স্থগিত!

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলতে জুলাইয়ের শেষ দিকে ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।

তবে কন্ডিশনের কথা বিবেচনা করে সিরিজটি স্থগিত করতে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (এসিবি) অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো। জুলাই-আগস্টে ভারতের গ্রেটার নয়ডায় সিরিজ খেলার জন্য বিসিবিকে সূচির প্রস্তাব করেছে আফগানিস্তান। অনানুষ্ঠানিক সূচি অনুযায়ী ২৫, ২৭ এবং ৩০শে জুলাই হওয়ার কথা রয়েছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের। এরপর ২, ৪ এবং ৬ই আগস্ট টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার সূচি জানানো হয়েছে বিসিবিকে। এমনটা জানানোর পরই বিসিবি সিরিজ স্থগিতের অনুরোধ জানিয়েছে। বিসিবি’র মতে, ভারতের সেই সময়ের আবহাওয়া আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলার জন্য উপযুক্ত নয়। জুন থেকে সেপ্টেম্বর বর্ষার মৌসুম হওয়ায় উপমহাদেশে এই সময়টাকে অফ সিজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এসময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকে।
কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজে আছে বাংলাদেশ টিম। সেখান থেকে দেশে ফেরার তিন সপ্তাহ পরই ভারতের বিমান ধরতে হবে সাকিব আল হাসান-নাজমুল হোসেন শান্তদের। সেখান থেকে ফিরে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। যেখানে দু’টি ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে তারা। পাকিস্তানের পর বাংলাদেশকে খেলতে হবে ভারতের বিপক্ষে। সেই সফরেও তিন টি-টোয়েন্টি পাশাপাশি দুটি টেস্ট খেলবেন সাকিবরা।

চলতি বছরে বাংলাদেশকে টেস্ট খেলতে হবে সাউথ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ডিসেম্বর পর্যন্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাতটি ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশকে। লাল বলের ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে চট্টগ্রাম ও সিলেটে তিনটি চারদিনের আন্তঃস্কোয়াড ম্যাচ খেলবেন মুমিনুল হকরা। যার ফলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেললে লাল বলের অনেক ক্রিকেটারকে ভারতে খেলতে যেতে হবে। এমনটা হলে ক্রিকেটারদের ওপর চাপ বেড়ে যাবে। একই কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দু’টি টেস্ট খেলতেও অনীহা দেখিয়েছে বিসিবি। সিরিজের মাসখানেক বাকি থাকলেও এখনো নিজেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি আফগানিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড।




ঝিনাইদহে গ্যাস বাবুর মোবাইল উদ্ধার কাজে ডিবি প্রধান

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার আসামি শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধারে ঝিনাইদহে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তদন্তকারী একটি টিম।

আজ বুধবার (২৬ জুন) সকাল থেকে শহরের পায়রা চত্ত্বরে গাঙ্গুলী মিষ্টান্ন ভান্ডারের পেছনের একটি পুকুর ঘিরে রাখে পুলিশ। সেখানে ক্রাইম সিন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। একজন ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। ঢাকা থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমানসহ ১০ ডিবি সদস্য এসেছেন।

এছাড়া ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ হেলিকপ্টার যোগে ঝিনাইদহে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। ইতিমধ্যে কয়েকজন জেলেকে পুকুরে নামিয়ে মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করা হলেও তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি জুয়েল ইসলাম।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন জানান, সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুকুরে মোবাইল উদ্ধারের জন্য ঝিনাইদহ কারাগার থেকে ঘটনাস্থলে আনা হয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঝিনাইদহ কারাগারে স্থানান্তর করা হয় তাকে।

এদিকে সকাল থেকে ঝিনাইদহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মোবাইল উদ্ধার না হলে অভিযান অব্যাহত থাকবে কি না বা পরবর্তীতে অন্য কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা মিডিয়ার সামনে তা জানান হয়নি। তবে মোবাইল উদ্ধারের কাজে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে ঢাকার মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ বলেছিলেন, এই মোবাইলগুলো দিয়েই আনার হত্যার মূল ঘাতক আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া গ্যাস বাবুর সঙ্গে অসংখ্যবার কথা বলেছেন। এছাড়া, অসংখ্য মেসেজ তারা আদান-প্রদান করেছেন। মোবাইলগুলোতে ডিজিটাল তথ্য-উপাত্ত আছে বলে মনে করছি। না হলে গ্যাস বাবু মোবাইলগুলো পানিতে ফেলে দেবেন কেন? মোবাইলগুলো পেলে মামলার তদন্তে অনেক সহায়তা হবে। সেজন্য মোবাইল উদ্ধার করা অনেক জরুরি।

প্রসঙ্গত গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরের দিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজীম। এর পাঁচ দিন পর গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। গত ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত তার মরদেহ সনাক্ত করা যায়নি




ফেসবুকে সাহায্য করবে মেটা এআই চ্যাটবট

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এরইমধ্যে দখল করে আছে সব জায়গা। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট হচ্ছে চ্যাটজিপিটি। মাইক্রোসফটের এই চ্যাটবটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অন্যরাও চ্যাটবট এনেছে। মেটা অনেকদিন আগেই তাদের নিজস্ব এআই চ্যাটবট এনেছে।

মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এরইমধ্যে যুক্ত হয়েছে এ এআই। এললামা ৩ লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল দিয়ে তৈরি এই চ্যাটবট। মেটার নতুন এআই রোবটের মাধ্যমে নানা টাস্ক করতে পারবেন ইউজাররা। চ্যাটজিপিটি, জেমিনি এবং কোপাইলটের মতোই জবাব দেবে মেটা এআই চ্যাটবট।

মেটার এআই দিয়ে কীভাবে এবং কী কী কাজ করতে পারবেন—নির্দিষ্ট কোনো রেস্তোরাঁ খুঁজে দেওয়া, ট্রিপ প্ল্যানিং, হোমওয়ার্ক করে দেওয়াসহ একাধিক কাজ করা যাবে এই চ্যাটবট দিয়ে। পাশাপাশি মেসেজ, ই-মেইল, রেজুমি, নিবন্ধ ইত্যাদি তৈরি করার ক্ষেত্রেও সাহায্য নিতে পারেন মেটা এআই চ্যাটবটের। এছাড়াও এআই ছবি তৈরি করা খবরের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা জানা এবং ব্যবসার জন্য নতুন আইডিয়া জেনারেট করার মতো টাস্ক করা যাবে।

অনেকেই ভাবছেন এসব কাজ তো অন্যান্য চ্যাটবটও করে। তাহলে এই চ্যাটবটের বিশেষত্ব কী? সংস্থার দাবি, মেটা এআই চ্যাটবট ইউজারের দৈনন্দিন জীবনে যোগ হতে চলেছে। কারণ সারাদিনে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে মোবাইল ব্যবহারকারীরা। আর সেখানেই যোগ হবে চ্যাটবট অর্থাত্ আপনাকে আলাদা করে কোথাও যেতে হবে না।

চ্যাটজিপিটির ক্ষেত্রে বিষয়টা কিছুটা আলাদা। এর জন্য আপনাকে ই-মেইল দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় এবং আলাদা অ্যাপ ও ওয়েব ভিজিট করতে হয়। ফেসবুকে এই এআই চ্যাটবট যেভাবে ব্যবহার করবেন—ফেসবুকে সার্চ অপশনে ভিজিট করতে হবে। সেখানেই থাকবে ‘আস্ক মেটা এআই এনিথিং’ অপশন। এতে ট্যাপ করলেই খুলে যাবে চ্যাটবট। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জারেও সার্চ অপশনে আসতে পারে এআই চ্যাটবট। ধরুন, মেসেঞ্জারে কাউকে অভিনব কিছু পাঠাতে চান অথবা ফেসবুকে এআই ছবি পোস্ট করতে চান, সেক্ষেত্রে সাহায্য নিতে পারেন মেটা এআই চ্যাটবটের।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে সোঁয়া ৭ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারী আটক

মাদক বিরোধী পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে সোঁয়া সাত কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

আটকরা হলেন, গাংনী উপজেলার রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের বাবর আলীর ছেলে সবুজ হোসেন (২৪) ও সাহেবনগর গ্রামের মৃত্যু ফকির আলীর ছেলে উজির আলীর।

আজ বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে গাংনী থানায় প্রেসব্রিফিং করে জানান ওসি মো: তাজুল ইসলাম।

তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ভারতীয় সীমান্তবর্তি ধলা গ্রাম থেকে মাদকের একটি চালান পার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ধলা ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) আশরাফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে সাড়ে ছয় কেজি গাঁজাসহ রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের সবুজকে আটক করেন। এসময় গাঁজা কারাবারের সাথে জড়িত অপর আসামি রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের মৃত্যু আবু তালেবের ছেলে সাফায়াত আলী পালিয়ে গেছে।

অপরদিকে ভবানীপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাহেবনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে সোয়া ৫ শ গ্রাম গাঁজাসহ উজির আলীকে আটক করা হয়। এসময় অপর আসামি একই গ্রামের মকসেদ আলীর ছেলে মন্টু ধলা পালিয়ে যায়।

পৃথক দুটি গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় গাংনী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক দুই মাদক কারবারীকে আজ বুধবার (২৬ জুন) দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।