মেহেরপুরে প্রচন্ড গরমে কদর বেড়েছে তাল শাঁসের

তীব্র গরমে কদর বেড়েছে তালের শাঁসের। জৈষ্ঠ্য মাসের খরতাপে প্রতিবারের মতো এবারও তাল শাঁস বিক্রি হচ্ছে মেহেরপুরের বিভিন্ন জায়গায়।

শহরের পৌর সভার পাশে, বয়েজ স্কুলের সামনে এবং হোটেল বাজারের ফুটপাতে বিক্রি হওয়া রসালো এ ফলের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকেই।

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এর বেশিরভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় এটা খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দূর হয়। কচি তালের শাঁস যেমন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর তেমনি পাঁকা তাল ও তালের পিঠা গ্রাম বাংলার সুস্বাদু ও জনপ্রিয় খাবার।

বাজারে নতুন ফল তাল শাঁস উঠতে শুরু করেছে। কাঁচা তালের কচি শাঁস খেতে কার না ভালো লাগে। মেহেরপুরের বিভিন্ন ছোট বড় বাজার ও সড়কের আশেপাশে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।

ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি ও সিসহ নানা ধরনের পুষ্টির চাহিদাও মিটছে তালের শাঁস। গ্রীষ্মের গরমে কঁচি তালের রসালো শাঁস সবাইকে তৃপ্তি দেয়। এছাড়া এটি পুষ্টিকর, প্রশান্তিদায়ক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

তাল শাঁসের ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, তালের শাঁস একটি সুস্বাদু ফল। গরম থেকে এসে তালের শাঁস খেতে ভালই লাগে। গরমের জন্য আমি নিয়মিত খাচ্ছি।

ফুটপাতে দাঁড়িয়ে পরিবারের সবার জন্য তালের শাঁস কিনেছিলেন মোঃ আকাশ। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে ফরমালিন বা কেমিক্যাল ছাড়া কোনও ফল পাওয়া মুশকিল। সেখানে তালের শাঁস সর্বোৎকৃষ্ট। ছোট শাঁস অনুযায়ী দাম কিছুটা বেশি হলেও এ নিয়ে কিছু বলার নেই।

তাল শাঁসের খুচরা বিক্রেতা মুজিবুর জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি তালের শাঁস বিক্রি করেন। আগে এক-দুই টাকায় তালের শাঁস বিক্রি করলেও এখন ৫-৬ টাকা প্রতি পিস বেচাকেনা হয়। প্রতিদিন সব খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক চার-পাঁচ শত টাকা লাভ থাকে। গরম যতো বাড়ে তালের শাঁসের চাহিদাও বাড়ে। গাছ থেকে তালের কাঁদি কেটে তা আবার নামানো, বাজারে বয়ে আনা, তারপর কাটাকুটি করে তবেই ক্রেতার হাতে দিতে হয়। কষ্ট হলেও লাভ হয়।

তাল বিক্রেতা কামরুল বলেন, প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ কাঁদি তাল শাঁস বিক্রি হয়। কেউ একটু তরল, আবার কেউ একটু শক্ত শাঁস পছন্দ করেন। অতিরিক্ত গরম পড়ার কারণে ক্রেতা ভালোই পাচ্ছি।




হুমায়ুন ফরীদির ৭২তম জন্মদিন আজ

বাংলাদেশের অভিনয়-জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির ৭২তম জন্মদিন আজ (২৯ মে)। মঞ্চ থেকে চলচ্চিত্র অভিনয়ের সবখানে তিনি রাজত্ব করেছেন দুর্দান্ত প্রতাপে। তার অসাধারণ সৃষ্টিকর্ম আজও দাগ কেটে আছে ভক্তদের মনে।

আশির দশকে নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেলের ‘হুলিয়া’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড়পর্দায় পা রাখেন হুমায়ুন ফরীদি। পরবর্তীতে বাংলা সিনেমার জগতে এক অধ্যায় হয়ে ওঠেন তিনি। একে একে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র।

‘মাতৃত্ব’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান হুমায়ুন ফরীদি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেন।

১৯৫২ সালের ২৯ মে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরীদি। তার বাবার নাম এ টি এম নূরুল ইসলাম ও মা বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

১৯৬৫ সালে পিতার চাকরির সুবাদে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু হুমায়ুন ফরীদির। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফরীদি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে জড়িয়ে পড়েন নাট্যাঙ্গনের সঙ্গে।

১৯৭৬ সালে নাট্যজন সেলিম আল দীনের উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় নাট্যোৎসব। আর হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন এর অন্যতম প্রধান সংগঠক। এই উৎসবে ফরীদির নিজের রচনায় এবং নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় ‘আত্মস্থ ও হিরন্ময়ীদের বৃত্তান্ত’ নামে একটি নাটক। ওই সময় নাটকটি সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।

হুমায়ুন ফরীদির অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘ভণ্ড’, ‘ঘাতক’, ‘ব্যাচেলর’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘টাকার অহংকার’, ‘অধিকার চাই’, ‘সন্ত্রাস’, ‘দহন’, ‘লড়াকু’, ‘দিনমজুর’, ‘বীর পুরুষ’, ‘বিশ্ব প্রেমিক’, ‘আজকের হিটলার’, ‘দুর্জয়’, ‘শাসন’সহ অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে।

এছাড়া অভিনেতার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নিখোঁজ সংবাদ’, ‘হঠাৎ একদিন’, ‘পাথর সময়’, ‘সংশপ্তক’, ‘সমূদ্রে গাংচিল’, ‘কাছের মানুষ’, ‘মোহনা’, ‘নীল নকশাল সন্ধানে’, ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’, ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’।

২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান হুমায়ুন ফরীদি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬০। হুমায়ুন ফরীদির প্রয়াণে যে শূণ্যতা তৈরি হয়েছে ঢালিউড চলচ্চিত্রাঙ্গনে, সেটা অপূরণীয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালতকে আরো সক্রিয় করতে পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটরদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সমন্বয় সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শামীম হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলার তিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান , মোঃ খায়রুল ইসলাম ও প্রীতম সাহা ।

এ সময় গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। বিভিন্ন সমস্যাগুলোর সমাধান ও গ্রাম আদালতকে আরে বেগবান করতে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেন উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়াও গ্রাম আদালতে ছোটখাট অভিযোগের সমাধান যেন সঠিকভাবে মানুষ পায় সেই বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।




চুল পাকলে খাদ্যাভ্যাসে বদল আনুন

চুল পাকার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এমনকি, স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও চুল পেকে যাওয়ার প্রবণতায় অবাক হতে হয়। অকালবার্ধক্য বা অকালপক্বতার কারণ হিসেবে উঠে আসে বহু পরিস্থিতি। বংশগতি, জিনগত সমস্যা, স্ট্রেস, ডায়েটসহ একাধিক পরিস্থিতি উঠে আসে।

অকালে অনেকেরই চুল পাকে। এমনটি অস্বাভাবিক তা বলা যাবে না। কারণ বিভিন্ন কারণে চুলে অকালপক্বতা দেখা দেয়। তবে এই অকালে চুল পাকা বন্ধ করা সম্ভব। সেজন্য খাদ্যাভ্যাসে কিছু বদল আনতে পারলে ভালো। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি ও বাহ্যিক পরিবর্তনেও প্রভাব রাখতে পারে। আসুন জেনে নেই খাদ্যাভ্যাসে কী কী বদল আনা জরুরি।

ফোলিক অ্যাসিড
ফোলিক অ্যাসিড থেকে ভিটামিন বি-৯ পাওয়া যায়। এটা ফোলেটের প্রাকৃতিক সম্ভার। ফোলিক অ্যাসিড ও ফোলেট ধরে রাখে মেলানিন। তাই বেশি করে খেতে হবে ঘন সবুজ শাকসবজি। পালংশাক, মেথিশাক, মটরশুটি খান। ডায়েটে রাখুন বিনস, ডাল, সূর্যমুখী ও কুমড়ো বীজ, কমলালেবু, আঙুর এবং লেবু।

ভিটামিন বি ১২
ভিটামিন বি-১২-র জন্য খেতে হবে ডিমের কুসুম, ডেয়ারি প্রডাক্ট এবং মাশরুম।

শস্য দানা
চুল কালো রাখার জন্য শরীরে মেলানিনের যোগান বজায় রাখা প্রযোজনীয়। মেলানিনের জন্য নিয়মিত খেতে হবে তিল, কাজুবাদাম, আমন্ড, গোটা দানাশস্য। কারণ এই খাবারে কপার বা তামা থাকে।

মাছ ও মাংস
কপারের জন্য খেতে হবে মাংস ও মিষ্টি পানির মাছ। মেলানিন ধরে রাখতে দরকার জিঙ্ক। চুলের ফলিকলে ক্ষতি রুখে দেয় এই উপাদান। নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে।

কুমড়ার বীজ
কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, তরমুজের বীজ, কালো তিল খেতে হবে জিঙ্কের জন্য। এছাড়াও পেস্তা, কালো চানাও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খান শরীরে জিঙ্কের যোগান বজায় রাখতে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরের গ্রামগঞ্জে বিদ্যুতের বেহাল অবস্থা

টানা দুই দিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন রয়েছিলো মেহেরপুর জেলার ৬ লক্ষাধিক মানুষ। পাওয়া যায়নি মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও।

গত রবিবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় শুরু হয় “রিমালের” প্রভাব। তখন থেকেই জেলার গ্রামগঞ্জের মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। গতরাতে মেহেরপুর জেলা শহর ও গাংনী পৌরবাসি সামান্য বিদ্যুৎ পেলেও এখন পর্যন্ত গ্রামগুলো রয়েছে বিদ্যুৎ যাওয়া আসার হিড়িক।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের এজিএম কম সবুজ মোল্ল্যাহ বলেন, রিমালের প্রভাবে এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের একটি খুটি ক্ষদিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া লাইনের উপর প্রচুর পরিমাণ গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়েছে। যে কারনে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। গাছের ডালপালা অপসারনের পর লাইন দিতে পারবো। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করঠি লাইন মেরামত করে সংযোগ ফিরিয়ে আনতে।

গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ বলেন, রিমালের প্রভাব পড়ার আগে থেকেই আমরা বিদ্যুৎবিহীন হয়েছি। সামান্য বৃষ্টিপাত শুরু হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। দিনের অধিকাংশ সময়ে বিদ্যুৎ থাকছেনা। মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ এলেও খুব অল্প সময়ের জন্য থাকছে।

নওপাড়া গ্রামের আসাদুজ্জামান ও রহমত আলী বলেন, দুই দিন যাবৎ বিদ্যুৎ নেই। চার্জের অভাবে মোবাইল ফোনগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের বাড়িতে পানি নেই। মটারে পানি তোলার কারনে বাড়ির টিউবওয়েলগুলো অকেজো। বিদ্যুৎচালিত মটারের উপর পানি নির্ভর করে। দুইদিন বিদ্যুৎ না থাকায় কার্যত অকেজো হয়ে গেছে জীবন। কিন্তু কালকে বিদ্যুৎ আসলেও যাওয়া আসাতে কোন উপকার হচ্ছে না।

মুজিবনগর উপজেলার খানপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও আহম্মেদ আলী বলেন, দুই দিন যাবৎ বিদ্যুৎ না থাকাই চরম অস্বস্থিতে ছিলাম আমরা। ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশোডিং যেনো নিয়মে পরিণত হয়েছে। দুইদিন বিদ্যুৎ না থাকার কারনে আমদের মোবাইল ফোনগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে।

সদর উপজেলার রাঁধাগোবিন্দপুর গ্রামের সাহার আলী বলেন, বিদ্যুৎ চলে গেছে। দুই দিন পর বিদ্যুৎ আসলেও। গ্রাম গঞ্জ এখন বিদ্যুৎ যাচ্ছে ও আসছে। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।

গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের পোল্টি খামারি মিজানুর রহমান জানান, রবিবার রাত থেকে দুই দিন বিদ্যুৎ নেই। খামারের মুরগির বাচ্চা নিয়ে বিপড়ে পড়ে গেলাম। তার ভিতরে কাল থেকে বিদ্যুৎ পেলেও বিদ্যুৎ যাওয়া আসাতে মুরগির বাচ্চা নিয়ে বিপকে পড়েতে হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ বিজয় কুমার হালদার জানান, রিমালের প্রভাবে সৃষ্ঠ ঝড়ে জেলায় ৪৫ হেক্টর জমির কলাক্ষেত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিরুপণ করা হয়েছে। তবে গত দুই দিনের বৃষ্টিপাত কৃষকদের জন্য আশির্বাদ হয়েছে। মাঠের অন্যান্য ফসল বিশেষ করে পাটের ব্যাপক উপকার হয়েছে।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার স্বদেশ কুমারের ০১৭৬৯-৪০০০৪৮ নং মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।




আইসিসির স্বীকৃতি পেল মেজর লিগ ক্রিকেট

দিন দিন বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগগুলোর মধ্যে ভারতের আইপিএল, বাংলাদেশের বিপিএল, শ্রীলঙ্কার এলপিএল, পাকিস্তানের পিএসএল এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিপিএল লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পেয়ে আসছে। এবার তাদের কাতারে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি)। আইসিসির স্বীকৃতি পেয়েছে এই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ। তাই এখন থেকে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা ভোগ করবে এমএলসি।

এর আগে, লিস্ট মর্যাদা পাওয়ার জন্য আইসিসির শর্ত ছিল আয়োজক দেশগুলোকে টেস্ট খেলুড়ে দেশ হতে হবে। তবে সম্প্রতি এই শর্ত শিথিল করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গত ডিসেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টি লিগকে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা দেওয়ার পর এবার এমএলসি পেয়েছে এই মর্যাদা।

আইসিসির স্বীকৃতি পেয়ে বেশ রোমাঞ্চিত মেজর লিগ ক্রিকেটের পরিচালক জাস্টিন গেয়ালে। তিনি ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘আমরা এ খবরটিতে সত্যি খুব রোমাঞ্চিত। এটা আসলে এই টুর্নামেন্টে খেলা খেলোয়াড়দের উচ্চ মানেরই স্বীকৃতি। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে খেলাধুলার গ্রহণযোগ্যতা অনেকখানি বাড়বে।’

লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার ফলে মেজর লিগ ক্রিকেট এখন থেকে অফিসিয়াল টি-টোয়েন্টি লিগ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর ফলে মেজর লিগ ক্রিকেটের সকল রেকর্ড ও পরিসংখ্যান এখন থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফরম্যাটের অধীনে গণ্য হবে।

এমএলসি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এখন প্রতিটি সেঞ্চুরি, হাফ-সেঞ্চুরি, ‘ফাইভ-ফর’, রান আউট, জয়, পরাজয় এবং চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফরম্যাটে অফিসিয়াল ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান হিসাবে নথিভুক্ত করা হবে।’ এছাড়াও লিস্ট-এ স্ট্যাটাসটি এমএলসি-এর সফল উদ্বোধনী মৌসুমের পরে আসে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রিমিয়ার ক্রিকেট প্রদানের জন্য তার অটুট উৎসর্গের ওপর জোর দেয়।’

এমএলসি এর দ্বিতীয় সিজনের ম্যাচগুলো আগামী ৫ জুলাই থেকে শুরু হবে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই। এই মৌসুমে এলএ নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলবেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।

সূত্র: ইত্তেফাক




নির্মাণাধীন রাস্তার ফাটল নিয়ে কথা বলতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন সওজের এসডিই

রাস্তা নির্মাণের এক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ফাটল এবং এইজিং এর ইট খসে দুর্ঘটনার কথা জিজ্ঞেস করতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারি প্রকৌশলী মিজানুর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের বললেন, আপনারা রাস্তার কোনো কিছুই দেখেননি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের চেংগাড়া থেকে চোখতোলা পর্যন্ত রাস্তায় নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে গোঁজাতালি দিয়ে কাজ করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। রাস্তাটি নির্মাণের এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তার পাশে বেশ কয়েক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। দেবে গেছে বেশ কয়েক স্থানে। খুব অল্প সময়ে তড়িঘড়ি করে রাস্তা নির্মাণ করার কারণে এমনটি হয়েছে বলে জানা গেছে। রাস্তা নির্মাণের সময় সড়ক বিভাগের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে দেখা যায়নি। যে কারনে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে গোঁজাতালি দিয়েই নির্মাণ করা হচ্ছে রাস্তাটির কাজ।

সম্প্রতি একটি চলন্ত ট্রাক রাস্তার ধার দিয়ে যাওয়ার সময় চোখতোলা নামক স্থানে ধসে ট্রাকটি রাস্তার পাশে খাদে উল্টে পড়ে। ধসে যাওয়া স্থানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে দ্রুত আবার মেরামত করেছেন। এই বিষয়ে মেহেরপুর সড়ক বিভাগের এসডিই মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আপনারা রাস্তার কিছুই দেখেননি। সড়কে কোনো ট্রাক উল্টে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেনি।

একটি সুত্র জানিয়েছে, গোঁজামিল দিয়ে তৈরী রাস্তা নির্মাণের সচিত্র রিপোর্ট করে নেওয়ার জন্য তিনি প্রতিদিনই তার অনুগত কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে ধর্ণা দিয়ে থাকেন। তাদের পেছনে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করে তার অপকর্মকে সফল করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।




মেহেরপুরে সওজের এক্সইএন, এসডিইসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা

অবৈধভাবে ব্যক্তি মালিকানা জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগে মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (এক্সইএন) খন্দকার গোলাম মোস্তফা, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) মিজানুর রহমান ও সার্ভেয়ার মিসকাতুল্লাহের বিরুদ্ধে সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) মামলাটি দায়ের করেন গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের কলেজ শিক্ষক কামরুল ইসলাম। মামলা নং দেওয়ানি ৭৮/২০২৪।

মামলার আইনজীবী নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরনে জানা গেছে, সরকারের কাছ থেকে ১৯৫৮ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পান তৎকালিন এমএনএ (এমপি) নুরুল হক। নুরুল হক বৃটিশ সরকারের সেনাবাহিনীতে চাকুরির সুবাদে পাকিস্থানে থাকার কারনে সিএস রেকর্ড জনৈক ব্যক্তির নামে হয়। পরে দেশে ফিরে এসে আরএস (খতিয়ান যার নং ১৪৫২, আরএস দাগ নং ৫৭৪২ সংশোধনীতে নুরুল হকের নাম নথিভূক্ত হয়। পরে নুরুল হক ৮৮ সালে ওই জমি ওলিনগর গ্রামের কয়েকজনের কাছে বিক্রি করেন। সেখান থেকে ২০১২ সালে কামরুল ইসলাম ওই জমি কিনে খারিজ, হোল্ডিং খুলে নিয়মিত সরকারকে খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। আরএস ম্যাপেও ৫৭৪২ নং দাগটি ব্যক্তি মালিকানাতেই আছে। মেহেরপুর কুষ্টিয়া সড়কের উন্নয়ন চলমান। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ও সার্ভেয়ার মিসকাতুল গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামে নির্মিত ব্রীজের কাছ বাদীর নিজস্ব জমিতে তৈরী দোকান ঘর ভাঙ্গার জন্য বিনা নোটিশে সীমানা নির্ধারণ করেছেন।

স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাস্তার পুরানো ব্রীজের পাশ দিয়ে সড়ক বিভাগের নিজস্ব যায়গা থাকলেও সেটি ফেলে রেখে ব্যক্তি মালিকানা জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। যেখানে ৫ বছর আগে বাদি ওই জমির উপর মাটি ভরাট করে ৫টি দোকান ঘর তৈরী করে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। তারা বলেন, একটি পক্ষের প্ররোচনায় সড়ক বিভাগের প্রকৌশলী এবং কর্মকর্তারা ওই যায়গা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

মামলার বাদি কামরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় একটি চক্রের সহায়তায় সড়ক বিভাগ তাদের নিজস্ব জমি ফেলে রেখে আমার নিজ নামিয় জমি দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। রাস্তা ও ব্রীজ নির্মাণ প্রায় এক বছর আগে শুরু হয়েছে। রাস্তা ও ব্রীজ নির্মাণের জন্য সীমানা নির্ধারণ করে কাজ শুরু হলেও কাজ শেষ পর্যায়ে এসে আমার জমি ভেঙ্গে তা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এব্যাপারে সুরাহা পেতে আমি মেহেরপুর সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। মামলার পরে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার সময় উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোবাইল ফোনে কল দিয়ে আমাকে নানা ধরনের হুমকী দেন। হুমকি দিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, আপনী নাগরিক হিসেবে আদালতের দারস্থ হতেই পারেন। তবে, আপনি চাইলেও আদালত আপনার পক্ষে ইনজানকশন দেবেনা। এটা আদালতের বিষয় এটি আপনি কিভাবে বললেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এটা আমরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও প্রশাসন দিয়ে দেখবো।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের তেরাইল বাজারের নিকট একটি ব্রীজ ছিল। পুরানো ব্রীজের বলবৎ থাকলেও পাশে আরেকটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিত ব্রীজ থেকে বাদি কামরুল ইসলামের মার্কেটটি প্রায় দেড় শ ফুট দুরে অবস্থিত। ব্রীজের পাশে প্যালাসাইড দিয়ে মাটি ধরে রাখা হয়েছে। রাস্তার দুপাশে জমি উদ্ধারের সময় সওজের নিজস্ব জমি যতটুকু ছিল সেটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। দীর্ঘ এক বছর পরে মামলার বাদি কামরুল ইসলামের ক্রয়কৃত জমির উপর নির্মিত দোকান ঘর ভাঙ্গার পাঁয়তারা করছে সওজ। তবে জমি দখল করার চেষ্টা করলেও কেবল তা মৌখিকভাবে। কোন অফিসিয়াল পত্র দেওয়া হয়নি এমনকি এলাকাতে মাইকিংও করা হয়নি সম্প্রতি।

এদিকে কয়েকদিন আগে বাদিকে এসডিই মিজানুর রহমান অফিসে ডেকে এক্সইএনকে দিয়ে নানারকম হুমকিও দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর সড়ক বিভাগের এসডিই মিজানুর রহমান বলেন, আমি সরকারের দায়িত্ব পালন করি। জমি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবো। রাস্তার দু পাশের জমি উদ্ধারের যে অভিযান চলছিল সেসময় ভাঙ্গা হয়নি কেনো এবং রাস্তা ও ব্রীজ নির্মাণকালে এতদিন পরে ওই মার্কেট ভাঙ্গার পেছনে অন্য কোনো উদ্যেশ্য আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যখন প্রয়োজন হচ্ছে তখন ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।




মুজিবনগরে মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস পালন

মুজিবনগরে গুডনেইবারস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিসের আয়োজনে,মাসিকের স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনা দিবস পালন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিকেলে গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর বল্লভপুর অফিস প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর সিডিপি এর ম্যানেজার সুব্রত টুডুরের সভাপতিত্বে ও গুডনেইবারর্স এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আহসানুল হকের সঞ্চালনায় মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মেহেদী হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর মেডিকেল অফিসার ডা: অগ্নিজ হালদার, ডিএইচভিএফ আয়েশা খাতুন।

মাসিক স্বাস্থ্যবিধি অনুষ্ঠানে মেহেরপুর কমিউনিটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মা ,শিশু, অফিস স্টাফ, স্বেচ্ছাসেবকরা অংশগ্রহণকরেন।




ঝিনাইদহের শৈলকুপায় লাঠির আঘাতে কিশোরের মৃত্যু

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে যুবকের বাশের লাঠির আঘাতে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার(২৮মে) দুপুরে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমার নদে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আসিফ (১১) ওই গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে ওই গ্রামের কিশোর আসিফ হোসেন কুমার নদে বরশি দিয়ে মাছ ধরছিল । সেসময় একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে সনি পানি ঘোলা করলে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে সনি বাশ দিয়ে আসিফকে আঘাত করে। বাশের মাথার সুচালো অংশ আসিফের ঘাড়ে ঢুকে গুরুতর আহত হয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে সনি।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।