মেহেরপুরে জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন

জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪ শুভ উদ্বোধন এক ডোজ এইচপিভি জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন আয়োজন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯ টার সময় মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪ শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাঃ মহী উদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তারিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক বজলুর রহমান, সহকারী কমিশনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবির হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দিন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইনজামুল হক, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জি এম সিরাজুম মূনীর, মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক প্রমুখ।




স্বামী নিগমানন্দ পরমহংসদেব আশ্রমের সেবায়েত মহারাজের পরলোকগমন

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুরের স্বামী নিগমানন্দ পরমহংসদেব আশ্রমের সেবায়েত মহারাজের পরলোকগমন করেছেন।

আজ বিকেল চারটার (৪টা) সময়, ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেহত্যাগ করেছেন, শ্রী শ্রী অখন্ডনন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ (৭৫)।

তিনি মেহেরপুর জেলার কুতুবপুর গ্রামের শ্রীমৎ স্বামী নিগমানন্দ পরমহংস দেবের পিতৃভূমি খ্যাত সারস্বত আশ্রমের সেবায়েত, দীক্ষাগুরু মহারাজ ছিলেন।

শ্রী শ্রী অখন্ডনন্দ ব্রহ্মচারী তাঁর বড় দাদা অচ্যুতানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজের নিকট দীক্ষা নিয়ে শ্রী শ্রী নিগমানন্দ, সদগুরু প্রবর্তিত “শংকের মত গৌরাঙ্গের পথ ” দর্শনের বিশ্বাসী হয়ে গৃহত্যাগী হয়ে সন্ন্যাসব্রর্তী হন। কালে কালে তাঁর ভক্তি, মেধা ও একনিষ্ঠতা দিয়ে হয়ে উঠেন আশ্রমের একজন প্রধান ভক্ত।

পরবর্তীতে তাঁর দাদা শ্রী শ্রী আখন্ডনন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ লোকায়িত হওয়ার পর গুরুধাম খ্যাত কুতুবপুর আশ্রম পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন। তাঁর সময় কালে কুতুবপুর আশ্রমের প্রায় ধ্বংস প্রাপ্ত ঘরগুলি অপসারিত করে অধুনিক ভবন নির্মান করে আশ্রমের আমূল পরিবর্তন সাধন করেন। সেই সাথে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে “শংকরের মত গৌরাঙ্গের পথ” দর্শন কে আরো জনপ্রিয় করে তোলেন। তাঁর আমলেই শ্রী শ্রী নিগমানন্দ দর্শন দেশীয় পাঠ্যপুস্তকে স্থান পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এই দর্শনের উপর গবেষণা চালু হয়।

শ্রী শ্রী অখন্ডনন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজের দেহত্যাগের খবরে মেহেরপুর সহ বাংলাদেশ ও ভারতের সহস্র ভক্তের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর মৃত্যুতে এই অস্থির বিশ্ব একজন সৎ, নির্লোভ অধ্যাত্মিক নমস্য ব্যাক্তিত্বকে হারাল, বলে মনে করেন স্থানীয় সুধীজনেরা।

তবে গুরুধামের ১৫০ জাল হয়ে যাওয়া জমি নিয়ে দীর্ঘ মামলা করেও নেয্য হিস্যা আশ্রমের কাছে ফিরিয়ে দিতে না পারার ব্যার্থতা ছিল তাঁর প্রাণ জুড়ে।




ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের কথা জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে। গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।

সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত আছে।

এই অবস্থায় সরকার ‌‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা কলেজের সভাপতি হলেন মনিরুজ্জামান মনির

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, সমাজ সেবক মো.মনিরুজ্জামান মনির। এ মনোনয়ন দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ব‌বিদ‌্যালয়ের ভাইস-চ‌্যান্সেলর।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কার্পাসডাঙ্গা কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমাকে যেহেতু কার্পাসডাঙ্গা কলেজের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করেছেন আমি এই কলেজের শিক্ষার মানউন্নতি করতে যা যা করণীয় আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব। সেই সাথে আমি যেন সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারি তার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।




দর্শনায় ৭ কেজি গাঁজাসহ একজন আটক

চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৭ কেজি গাঁজাসহ দর্শনা দক্ষিনচাদপুর গ্রামের রাসেলকে (৩০)আটক করেছে।

আটককৃত গাঁজা ব্যাবসায়ী দক্ষিনচাদপুর হল্ট ষ্টেশন পাড়ার রবিউলের ছেলে। জানাযায় আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বে অভিযান চালায় দর্শনা পৌরসভার দক্ষিনচাদপুর হল্ট ষ্টেশন পাড়ায়।

এ সময় ডিবি পুলিশের এসআই মুহিদ হাসান, এএসআই মামুনুর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালায় মেসার্স সামাদ ট্রেডার্স দোকানের সামনে। এ সময় ডিবি পুলিশ প্লষ্টিকে মোড়ানো বস্তায় বেধে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে। পরে বস্তা তল্লাশি করে ৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় এস আই মুহিত বাদি হয়ে দর্শনা থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছে। আটককৃতকে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




দামুড়হুদায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা, চোরা চালান ও নাশকতা, মানবপাচার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সভাকক্ষে এ মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা এলাকার চলমান পরিস্থিতিতে উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আগামীতে সার্বিক বিষয়ে আইন শৃঙ্খলার যেন কোন অবনতি না ঘটে সে জন্য করনীয় শীর্ষক আলোচনা করেন।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহলের সভাপতিত্বে এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, উপজেলা জামাতের আমির নায়েব আলী, দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শামছুজ্জোহা পলাশ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ হেলনা আক্তার নিপা, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর, দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নীরব, অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার বিশ্বাস, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজিদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম বজলুর রশীদ, শিক্ষা অফিসার আবু হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলী, উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মামুনুর রশিদ, কার্পাসডাঙ্গা মিশন ক্যাথলীক গির্জা প্রতিনিধি সোপান মন্ডলসহ, বিজিবি ক্যাম্পের বিভিন্ন কোম্পানি কমান্ডার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহল বলেন, উপজেলাবাসী খুবই শান্তিপ্রিয় এবং সহযোগিতা পূর্ণ মনোভাব নিয়ে বসবাস করে। আমরা সব সময় সমাজের পজিটিভ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করবো, নেগেটিভ দিকগুলো এড়িয়ে চলবো এবং যত সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করব। এখানে মাদকের কোন ঠাঁই নেই, মাদক সম্পর্কে জিরো টলারেন্স, আমি মাদক মুক্ত উপজেলা গড়তে চাই সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।




কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু

কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে হাউজিং কদমতলা এলাকায় নিজ বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং বি-ব্লক এলাকার শামসুল হকের ছেলে আব্দুস সালাম (৪৫), তার স্ত্রী রুপা খাতুন (৩৫) ও মেয়ে শোভা আক্তার শাবা খাতুন (১২)।

এ ঘটনায় সিয়াম (১৪) নামে তাদের আরেক সন্তান গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রতিবেশী ইমরোজ রীমা জানান, বিকেলের দিকে কুষ্টিয়ায় বৃষ্টি শুরু হয়। এতে ঘরের মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে যায়। এসময় রুমের ভেতর বিদ্যুতের মেইন সুইস বন্ধ করতে যান আব্দুস সালাম। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তাকে বাঁচাতে প্রথমে স্ত্রী রুপা এগিয়ে আসেন। তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তার মেয়ে শাবা ও ছেলে সিয়াম যায়। এতে সালাম, রুপা ও সিয়াম মারা যান। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।




আলমডাঙ্গার জামজামিতে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা নিতে গিয়ে দুই যুবক আটক

আলমডাঙ্গা জামজামি বাজারে উদয় কুমার সাহা (৪২) নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা নিতে গিয়ে দুই যুবককে আটক করেছে এলাকাবাসী।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার উপজেলার জামজামি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের দুজনকে স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এমন তথ্য জানান আলমডাঙ্গা থানার (ওসি) মাসুদুর রহমান।
আটকৃতরা হলেন- তালহা জুবায়ের (২১) ও বিপুল হোসেন মিঠু (২৬)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, গত দুই বছর আগে অভিযুক্ত চাঁদাবাজ তালহা জুবায়ের জামজামি বাজারের মুদি ব্যবসায়ী উদয় কুমার সাহার গাড়ির চালক হিসেবে চাকুরি করতেন। সে তার ছেলে দিব্য সাহাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা করতো। ইতোপূর্বে উদয় কুমার সাহার সাথে তার বড় ভাই বিজয় কুমার সাহার সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এনিয়ে দুই বছর আগে বিজয় কুমার সাহা তার ছোট ভাই উদয় কুমার সাহার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডাউরি (জিডি) করেন। ওই জিডির সাক্ষী ছিলো গাড়ি চালক তালহা জুবায়ের। এই সুযোগে টাকা তালহা জুবায়ের বিজয় কুমার সাহার নিকট থেকে গোপনে টাকা নিয়ে উদয় কুমার সাহার সকল তথ্য দিতো। এমন ঘটনা জানতে পেরে তালহাকে চাকুরি থেকে বাদ দেয়। সে বিজয়ের সাথে হাত মিলিয়ে উদয় সাহাকে হুমকি দেয়। ২ লাখ টাকা না দিলে তার জেল হয়ে যাবে।

এমন ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তালহা জুবায়ের ও তার সহযোগী বিপুল হোসেন মিঠুকে সঙ্গে নিয়ে জামজামি বাজারে উদয় কুমার সাহার ‘সাজা স্টোর’ নামের মুদি দোকানে মোটরসাইকেল যোগে এসে নগত ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। এসময় আরও ২ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান তালহা ও মিঠু। তারা টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাবার সময় উদয় কুমার সাহার চিৎকারে স্থানীয়রা তাদের আটক করে। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের (ওসি) মাসুদুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।

আজ বুধবার সকালে উদয় কুমার সাহা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি চাঁদা বাজি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় তালহা ও মিঠুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।




ঝিনাইদহের প্রবাসীকে বিয়ে করে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

কিশোর সন্তানের তথ্য গোপন করে ঝিনাইদহের এক প্রবাসীকে বিয়ে করে বিভিন্ন তাল-বাহানায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর নাছরীন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার মেহেরচন্ডী উত্তর পাড়ার মোঃ মুনছুর আলীর মেয়ে, মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক ধরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পুটিয় গ্রামের মোঃ আয়ুব আলীর ছেলে লিটনের বাড়িতে আসেন। লিটন মালয়েশিয়া প্রবাসী। দীর্ঘদিন মোবাইলে সম্পর্কের জের ধরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত হলে নাছরীন লিটনের বাড়িতে আসেন। লিটন মালয়েশিয়াতে থাকায় স্থানীয় কাজি ডেকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে হয় তাদের। এরপর থেকে বিভিন্ন বায়না ধরে লিটনের কাছ থেকে টাকা ও সোনার গয়না নিতে থাকে নাছরীন। এভাবে লিটনের কাছ থেকে সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করে নাছরীন।

প্রবাসী লিটন জানান, এই টাকা দিয়ে রাজশাহীতে একটি ফ্লাট বাড়িও করেছেন নাছরীন। এছাড়াও সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার দিয়েছি তাকে। মোবাইলে যখন সম্পর্ক হয় তখন নাছরীন নিজেকে এতিম ও অসহায় বলে পরিচয় দিয়েছিল আমাকে। যে কারণে নাছরীনের কোন কিছুতেই অপুরণ রাখিনি। যখন যা চেয়েছে তাই দিয়েছি আমি। কিন্তু আমি মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে আসার পর নাছরীনের কিছু কিছু কাজে আমার সন্দেহ হতে থাকে। রাজশাহী তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যেতে চাইলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে যেতে চাইতো না। এছাড়াও ভারতে চিকিৎসা করানোর কথাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার কথা বলে এপর্যন্ত প্রায় সাত থেকে আট বার টাকা নিয়েছে, কিন্তু পরে শুনতে পেলাম সে চিকিৎসা করাতে ভারতে যায়নি। কেন চিকিৎসা করাতে যায়নি শুনতে চাইলে জানায়, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এদিকে কয়েক দফা বলার পর রাজশাহী তার বাবার বাড়িতে যেতে রাজি হলে, লিটন রাজশাহীতে যেয়ে দেখে তার ১৮/১৯ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ছেলেটি কার শুনতে চাইলে, তার বোনের ছেলে বলে আমাকে বোঝাতে চেষ্টা করে। কিন্তু বিয়ের আগে নাছরীন আমাকে জানিয়েছিলো সে এতিম তার কেউ নেই। বিভিন্ন স্পর্শকাতর কথা বলাই, আমি নাছরীনের প্রতি দুর্বল হয়ে তাকে স্বচোক্ষে না দেখেই এই বিয়েতে মত দিয়েছিলাম। কিন্তু ঐ ১৮/১৯ বছরের ছেলেটি যে তার এবং এর আগে নাছরীনের বিয়ে হয়েছিল একথা জানতে পেরে আমার মনে ঘৃনার পাত্র হয়ে যায় নাছরীন। একদিকে অন্ধ এই ভালোবাসার সাথে নাছরীনের প্রতারণা, অন্যদিকে দিনের পর দিন বিভিন্ন অজুহাতে তার লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার ফন্দি লিটনের মগজে নাড়া দেয়।

লিটন সাংবাদিকদের জানায়, একদিকে আমার সরলতার সুযোগে, অন্যদিকে ১৭/১৮ বছর বিদেশ থাকায় আমার টাকা আছে এটা ভেবেই নাছরীন মনে হয় আমাকে টার্গেট করেছিল। একথা আমি বুঝতে পারিনি। আমার এতো কিছু থাকতেও আমি একজন এতিম মেয়েকে অন্ধ ভাবে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু এই প্রতারকের ফাঁদে আর নয়। সমস্ত নিয়ম মেনে কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স দিয়ে আমি মালয়েশিয়া চলে যায়। এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে ডিভোর্সের দুই মাসের মধ্যে আমার চাকরি খেতে নাছরীন মালয়েশিয়া চলে যায়।

লিটন বলেন, কতোটা দুর্ধর্ষ হলে একটি মেয়ে বিদেশে যাওয়ার মত রিস্ক নিতে পারে এটা আপনাদের মাধ্যমে আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে চায়। এঘটনার পর আমি থানাতে একটি জিডি করেছি। আমি বিদেশে যেয়েও নাছরীনের কাছে জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

লিটনের বাবা আয়ুব হোসেন জানান, আমরা নাছরীনের ছলনায় ভুলে গিয়েছিলাম। নাছরীনের এর আগে বিয়ে হয়েছে এবং ১৮/১৯ বছরের একটি ছেলে আছে এর কোন কিছুই আমাদের জানায়নি। পরে আমার ছেলে জানতে পেরে তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। তিনি বলেন, এই প্রতারণার কথা শুনেও আমরা তাকে মেনে নিয়েছিলাম। বিভিন্ন অজুহাতে আমার ছেলের কাছ থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিঃস্ব করেছে নাছরীন। পরে শুনতে পেলাম ডিভোর্সের পর ক্ষিপ্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় চলে গেছে নাছরীন। আমরা এই মেয়েটির হাত থেকে বাঁচতে চাই।




দর্শনা সরকারি কলেজে অভিভাবক সভা অনুষ্টিত

দর্শনা সরকারী কলেজে শিক্ষার সুস্থ্য পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এবং নিয়মিত সকল ক্লাস পরিচালনা করার লক্ষ্যে শিক্ষকদের সাথে অভিভাবক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় দর্শনা সরকারী কলেজের বিজ্ঞান ভবনের অডিটেরিয়াম হল রুমের ৬তলায় অভিভাবক সমাবেশে অনুষ্টিত হয়।

এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা সরকারী কলেজের নবাগত অধ্যক্ষ প্রফেসার মোঃ শফিকুল ইসলাম।  ১ম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে শিক্ষক ও কলেজ প্রসাশনের সুসম্পর্ক রাখতে এ অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

অভিভাবক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, দর্শনা সরকারী কলেজে শিক্ষার সুস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও নির্মল পরিবেশে এখন থেকে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এজন্য একদিকে যেমন শিক্ষকদের সহযোগিতা চাই, তেমনী অভিভাবকদের সহযোগিতা পাবো বলে আমি আশাকরি। সেই সাথে সকল ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সকলের প্রচেষ্টা থাকতে হবে। আমি আমার দিক থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করবো। কলেজ চলাকালিন সময় কোন ছাত্র/ছাত্রী ক্লাস না করে প্রাইভেট পড়তে পারবে না। কারণ আমার শিক্ষকরা নিয়োমিত ক্লাস নেবে। ফলে প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন হবে না বলে সকলের প্রতি আহবান জানান।

এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, বাংলা বিভাগের প্রভাষক আশরাফুল আলম, ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মোফিজুল ইসলাম, ইংরাজী বিভাগের প্রভাষক আনিছুর রহমান, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মাহমুদুল হোসেন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নজরুল ইসলাম।  এছাড়া সকল বিভাগের প্রভাষকরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন দর্শনা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিল সাবির হোসেন মিকা, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন, দর্শনা আজিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বরুপ কুমার দাস, রেহেনা পারভীন বিলকিস ও শফিকুল আলমসহ প্রায় ৫০/৫৫ জন অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।

এসময় অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব আসে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে প্রতি মাসে ক্লাস পরীক্ষা, ছাত্র/ছাত্রীদের নীতি নৈতিকতা সৃষ্টি করে একজন ভাল মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা, শুধু ভাল ফলাফল করা ছাত্র/ছাত্রী তোলার পাশাপাশি মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। কলেজে মোবাইল ফোন না নিয়ে আসা, বর্ষ পরির্বতন পরীক্ষা ৩ ঘন্টা নেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং কলেজ চলাকালিন সকল বর্ষের ছাত্রী/ ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়া বন্ধ করা বিষয় উভয় পক্ষ বেশ কিছু মাতামত প্রদান করেন।