জিম্বাবুয়ে সিরিজ সহজ হবে না: শান্ত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে বিশ্বকাপের উদ্দেশে যাত্রা করবে টাইগাররা। শুক্রবার (৩ মে) সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ম্যাচের আগের দিন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অধিনায়ক শান্ত। জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। শান্ত বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে বড় দল, ছোট দল নেই। আপনি যেটা বললেন, উগান্ডার কাছে জিম্বাবুয়ে হেরে গেছে। আবার জিম্বাবুয়ে শ্রীলঙ্কাকে কিছু দিন আগে হারিয়েছে। সেভাবে চিন্তা করলে খুব বেশি পার্থক্য আমার কাছে লাগে না।’

শক্তির বিচারে বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে থাকলেও সিরিজটা সহজ হবে না বলে মনে করেন টাইগার অধিনায়ক। শান্ত আরও বলেন, ‘ম্যাচটা কীভাবে খেলছি, নিজেদের কীভাবে প্রস্তুত করছি, আত্মবিশ্বাস তৈরি করছি এটা গুরুত্বপূর্ণ। এতটুকু বলতে পারি, সিরিজটা সহজ হবে না, অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কারণ তারাও ভালো দল।’

সূত্র: ইত্তেফাক




আমার প্রথম সমুদ্র যাত্রা

বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্টগ্রাম থেকে পাসিং আউটের পর আমি ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের একটি জাহাজ বাংলার কাকলিতে ডেক ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করি। এটি ছিল জেনারেল কার্গো জাহাজ। প্রায় সব ধরনের ড্রাই কারগো বা মালামাল এটিতে পরিবহন করা হতো।

জাহাজটির দৈর্ঘ্য ছিল ১৫৫ মিটার প্রস্থ ২২ মিটার, সামার ডেড ওয়েট ১৭২৩৪ টন এবং পোর্ট অফ রেজিস্ট্রি ছিল চট্টগ্রাম। জাহাজটি তৈরি জাপানে এবং সবদিক দিয়েই এটি একটি ভালো জাহাজ ছিল। জাহাজটিতে কার্গো গেয়ার ছিল ক্রেন,ডেরিক এবং জাম্বো ডেরিক কারগো অপারেশন এর জন্য।

জাহাজে আমার প্রথম ভয়েজ ছিল মোংলা থেকে করাচি বন্দর। আমরা মোংলা বন্দর থেকে জুট বা পাট বেল আকারে লোড করি। কারগো লোড করতে প্রায় ১৫ দিনের মতো সময় লেগেছিল। বৃষ্টি হলে কারগো বন্ধ থাকতো এ কারণেই লোডিং এ একটু বেশি সময় লেগেছিল। এছাড়া কারগো জাহাজের ক্রেন দিয়ে দিয়ে লোড করা হতো। আমরা সে সময় রিভার মোরিং এ কারগো লোড করেছিলাম পাকিস্তানের করাচি বন্দরের জন্য।

মোংলা থেকে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর হয়ে আমরা করাচি বন্দরে পৌঁছাই। আমাদের করাচি যেতে প্রায় ১২ দিনের মতো সময় লেগেছিল।

আমরা মে মাসে মংলা থেকে করাচির উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। মুনসনের প্রভাবে এই সময়ে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর দুটোই উত্তাল থাকে। বঙ্গোপসাগরে পড়তেই জাহাজে রোলিং পিচিং শুরু হয়ে গেল। আমার জন্য এটি ছিল নতুন এক অভিজ্ঞতা। কখনো কখনো আস্তে জাহাজটি দোলে আবার কখনো কখনো বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেশি দুলতে থাকে। এভাবে আমাদের যাত্রা শুরু হল।

জাহাজে আমরা তিনজন ব্যাচমেট ছিলাম, দুইজন ডেক ক্যাডেট এবং একজন ইঞ্জিন ক্যাডেট। তিনজনই আমরা সবেমাত্র জাহাজে যোগদান করেছি। ক্যাডেটদের রুমে ছিল ডাবল বাঙ্ক বেড বা দোতলা খাট। ডেক ক্যাডেট কেবিনে আমি এবং আমার একজন ব্যাচমেট থাকতাম আর ইঞ্জিন ক্যাডেট রুমে আমার আরেকজন ব্যাচমেট একাই থাকতো।

ক্যাডেট হিসেবে জাহাজে যোগদানের পর থেকেই শুরু হয়ে যায় ট্রেনিং। সব ধরনের কাজেই অংশগ্রহণ করতে হতো। কখনো অফিসারদের সাথে কখনো ক্রুদের সাথে আবার কখনো ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কাজ করতে হতো। জয়েনিং এর পরে প্রথম ৬ মাস আমাদের প্রতিদিন ১২ ঘন্টার বেশি কাজ করতে হতো। তারপর আস্তে আস্তে কাজ শিখে গেলে কাজের সময় কিছুটা কমে আসে। ক্যাডেটদের প্রধান কাজ হল সবার সাথে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করা। এভাবেই জাহাজের ক্যাডেটরা ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকে যা পরবর্তীতে প্রতিটি পদেই কাজে আসে।

এভাবে আমরা রোলিং পিচিং নিয়ে চলতে থাকি এবং আমাদের ক্যাডেটদের সকলেরই কিছুটা সী সিকনেস দেখা দেয়। মাথা ঘুরতে থাকে এবং বমি বমি ভাব হয়,কখনো কখনো আবার বমিও হয়েছে। যদিও এসব কিছুর মাঝেই আমাদের কাজ করতে হয়েছে। যখন আমরা আরব সাগরে পড়ি তখন সমুদ্র আরো বেশি উত্তাল হয়ে যায়। সামুদ্রিক নিম্ন চাপের কারণে জাহাজটি আরো বেশি দুলতে থাকে। কখনো কখনো ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রির মত রোলিং হয়। আমরা যারা নতুন জাহাজে জয়েন করেছি তাদের জন্য দিনগুলো খুব কষ্টের ছিল। এভাবে কয়েকদিন চলার পর সমুদ্র কিছুটা ভালো হয়ে যায়। তখন আমরা কিছুটা স্বস্তি বোধ করি। এভাবে আস্তে আস্তে আমাদের সী সিকনেস কেটে যায়। সকল নাবিকদেরই প্রথমদিকে এরকম সী সিকনেস হয়।
১২ দিন পর যখন করাচি বন্দরে পৌঁছাই তখন খুব শান্তি লেগেছিল। এটিই আমার প্রথম ফরেন পোর্ট। আমাদের জুট বা পাট ডিসচার্জ করতে ৭ দিনের ও বেশি সময় লেগেছিল।

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজ হওয়াতে জাহাজটিতে ফ্যামিলি নিয়ে সেইল করা যেত। আমাদের জাহাজে চিফ অফিসার এবং সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার স্যারের ফ্যামিলি ছিল। জাহাজের পরিবেশটাও ছিল চমৎকার। সবাই বাংলাদেশী হওয়াতে খাওয়া-দাওয়াতে কোন কষ্ট হয়নি। মাঝে মাঝে ভাবিরাও রান্না করে আমাদের খাবার খাইয়েছে। সমুদ্রের অবস্থা ভালো থাকলে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর টেবিল টেনিস খেলা হত মাঝে মাঝে টুর্নামেন্টও হত। এভাবে কাজের মধ্যেও বেশ আনন্দে কেটেছে আমাদের দিনগুলো। জাহাজে সিনিয়রদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। শাসন করলেও তারা আমাদের অনেক কিছুই শিখিয়েছেন।

বন্দরে আমাদের জাহাজটি বেশ কিছুদিন অবস্থান করায় করাচি শহরটি ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছিল। করাচি পাকিস্তানের প্রধান সমুদ্র বন্দর। এটি আরব সাগরের উপকূলে অবস্থিত। রাস্তায় আলোর কারণে এটিকে আলোর শহরও বলা হয়। করাচি পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসাবেও পরিচিত। এটি ক্রীড়া জগতের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। করাচির সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময় কারণ এখানে মহাজির,সিনজি, পাঞ্জাবি সহ বিভিন্ন সম্প্রদায় একত্রে বসবাস করে। এছাড়াও এখানে প্রায় দুই মিলিয়নের মতো বাঙালি বসবাস করে। দুঃখের বিষয় হল সেখানকার বসবাসরত বাঙালিরা ভোটাধিকার এবং দেশের অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। জানা যায় তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকায় তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না এবং সরকারি চাকরি পায় না। তাই বাঙালি পরিবারগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মানবেতর জীবনযাপন করছে। বাঙালিরা এখনো সেদেশের নাগরিকত্ব পায়নি।

সমুদ্রের কাছাকাছি থাকায় করাচি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। বিন কাশিম বন্দর এবং জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখানেই অবস্থিত। এখানকার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কায়েদে আজম মাজার,মহাত্মা প্যালেস, ফ্রিরিহল,ডলমেন শপিং মল, আলাদিন পার্ক, পিএএফ মিউজিয়াম,সীভিউ বিচ ইত্যাদ।

আমার সে সময় কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এর মাজার,কয়েকটি শপিং মল এবং সীবিচে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছিল। সেই সাথে বেশ কয়েকটা রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছি। এখানকার খাবারের মধ্যে লাহরি বিরিয়ানি,আফগান রুটি, কাবাব, তন্দুরি রুটি অন্যতম। এছাড়াও কাটোয়া গোশত,সিরি পায়া, কাবুলি পোলাও, চারসি টিক্কা,দুম্বা কারাহি কয়েকটি জনপ্রিয় খাবার। এর মধ্যে কয়েকটি খাবার খেয়েছিলাম সে সময়। খাবারগুলো খুব টেস্টি বলে মনে হয়েছে। টুকটাক শপিংও করেছিলাম। করাচি থেকে কেনা একটি পাঞ্জাবী আজও আমার কাছে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।

এভাবেই আমি আমার প্রথম ভয়েজে সুন্দর কিছু সময় পার করেছিলাম। এখনো মনের মধ্যে প্রথম সমুদ্রযাত্রার স্মৃতিগুলো গাঁথা রয়েছে।

লেখক: মাস্টার মেরিনার, (এ এফ এন আই), এক্স ক্যাডেট, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্টগ্রাম।




দামুড়হুদায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এস.এ.এম জাকারিয়া আলমের গণসংযোগ ও পথসভা

আসন্ন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী পারকৃষ্ণপুর- মদনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস.এ.এম জাকারিয়া আলম আওয়ামী লীগের দলীয় সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে পথসভা,লিফলেট বিতরণ ও ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন।

তিনি আজ বুধবার (১ মে) বিকেলে উপজেলার বিকেলে নাটদহ ইউনিয়নের হেমায়েতপুর চারুলিয়া সদরপুকুর জগন্নাথপুর আটখবর বিভিন্ন বাজারে যেয়ে সর্বস্তরের মানুষের নিকট দোয়া আশীর্বাদ ও সমর্থন চেয়ে পথসভা,লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন।

পথসভা,লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এস.এ.এম জাকারিয়া আলম বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘদিন পারকৃষ্ণপুর – মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। এবার দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছেনা। এ কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আগামীতে মানুষের সেবা করার সুযোগ চেয়ে প্রার্থী হয়েছি। আমি আপনাদের দোয়া ও অকুণ্ঠ সমর্থন প্রত্যাশা করছি। জীবনের শেষ সময়েও যেন আপনাদের সাথে পাশে থাকতে পারি। আশাকরি আপনারা আমাকে নিরাশ করবেন না।

আগামী ০৮মে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনে উপজেলার সকল ভোটারদের কাছে মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। দামুড়হুদা উপজেলা কে স্মার্ট উপজেলা বিনির্মানে জনগণের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী এস. এ. এম জাকারিয়া আলম । পথসভায় উপজেলা ও ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা উপস্থিত ছিলেন।




‘বাহুবলী’র নতুন রূপ নিয়ে ফিরছেন রাজামৌলি

ভারতের দক্ষিণী পরিচালক রাজামৌলির ‘বাহুবলী’ সিনেমাটি ২০১৫ সালে মুক্তির পর বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সুপারস্টার প্রভাস অভিনীত ‘বাহুবলী’কে এবার নতুন রূপে নিয়ে আসছেন রাজামৌলি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি রাজামৌলি তার এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছোট্ট ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, জনগণ যখন মাহেশমতি বলে চিৎকার শুরু করে, তখন মহাবিশ্বও আটকাতে পারবে না বাহুবলীর প্রত্যাবর্তন। আসছে বাহুবলী, ক্রাউন অফ ব্লাড।

পোস্টে পরিচালক জানিয়েছেন, নতুন ‘বাহুবলী’ আ্যনিমেশন সিনেমা। যা কিনা ওটিটিতে সিরিজ হিসেবে দেখানো হবে। খুব শীঘ্রই সিনেমার ট্রেলার সামনে আসবে বলেও জানিয়েছেন রাজামৌলি।

প্রথম পর্বে ‘বাহুবলী’-কে কাটাপ্পা কেন মারল, সেই নিয়েই দু’বছর ধরে গোটা বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলেছিল। শেষমেশ, এই ছবির দ্বিতীয় পর্বে দর্শকদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন রাজামৌলি।
সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালন

“শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালীর আয়োজন করা হয়‌।

আজ বুধবার (১ মে) সকাল ৯ টার দিকে সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের নিজস্ব কার্যালয় থেকে র‍্যালী বের করা হয়। র‍্যালীটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এসে শেষ হয়।

র‍্যালীর নেতৃত্ব দেন সদর জেলা ইমারত নির্মাণকারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আব্দুল করিম এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ সাইদুল আলম শাহীন।

এসময় সদর জেলা ইমারত নির্মাণকারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল, কোষাধাক্ষ খন্দকার নাফিজুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দুল মোতালেব, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ ইসরাফিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আঃ রাজ্জাক, প্রচার সম্পাদক মোঃ মিলন, শ্রম কল্যাণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুব আলম লিটন, কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ ফিরোজ আলী, মোঃ আঃ মোমিন, মোঃ জিন্নাতুল, মোঃ সাবদার আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




ইউনাইটেড গ্রুপে চাকরির সুযোগ

সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইউনাইটেড গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগ ‘সিনিয়র ম্যানেজার’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ইউনাইটেড ডোরস

পদ ও বিভাগের নাম : সিনিয়র ম্যানেজার (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং)

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

বয়স : সর্বোচ্চ ৪০ বছর

কর্মস্থল : ঢাকা

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অভিজ্ঞতা : ৮ থেকে ১০ বছর

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম

আবেদনের শেষ তারিখ : ২৯ মে, ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : বেসরকারি/পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে কোনো বিষয়ে মাস্টার্স/এমবিএ ডিগ্রি।

অন্যান্য সুবিধা : টি/এ, মোবাইল বিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বছরে ২ বোনাসসহ প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

ঠিকানা : ইউনাইটেড টাওয়ার, ২৬২-২৬৩, বংশাল রোড, ঢাকা-১১০০




মেহেরপুরে টাইল,পাইপ এন্ড সেনেটারী শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিক দিবস পালন

১ লা মে মহান শ্রমিক দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে মেহেরপুর সদর উপজেলার টাইল, পাইপ এন্ড সেনেটারীসহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‍্যালীর আয়োজন করা হয়।

আজ বুধবার (১ মে) দিবসটি উপলক্ষে শহরের কোট রোড,বকুলতলা থেকে কমিউনিটি সেন্টার পর্যন্ত একটি র‍্যালী বের করা হয়।

র‍্যালীটির নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলার টাইল, পাইপ এন্ড সেনেটারীসহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল সালাম।

এসময় সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন (মুন্না), সহ-সভাপতি মহর আলী খান (তুষার), সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল করিম মুক্তা, কোষাধক্ষ্য মোমিন খান, প্রচার সম্পাদক মামুন শিকদার, সদস্য উজ্জল মিয়াসহ অন্যান্য নেতাকর্মীগণ অন্যান্য নেতাকর্মীগণ অন্যান্য শ্রমিক সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।




ইনস্টাগ্রামের রিলস ভিডিও নামাবেন যেভাবে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিলস বেশ জনপ্রিয় একটি ফিচার। ছোট আকারের এই ভিডিও দেখতে দেখতে কখন যে সময় পেরিয়ে যায় বলা দায়। তবে কিছু কিছু ভিডিও অনেক সময় ভীষণ ভালো লেগে যায় বা প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে। পছন্দের রিলস ভিডিওগুলো নামিয়ে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয় তখন।

রিলস ভিডিও নামাতে অনেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ ব্যবহার করেন। এতে সাইবার হামলাসহ ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তবে আপনি চাইলেই ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ থেকে সরাসরি রিলস ভিডিও নামাতে পারেন। ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ থেকে রিলস ভিডিও নামানোর পদ্ধতি:

রিলস ভিডিও নামানোর জন্য শুরুতেই স্মার্টফোন থেকে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপে ঢুকুন। এরপর যে রিলস ভিডিও নামাতে হবে, সেটি চালু করুন। ভিডিও চালু থাকা অবস্থায় শেয়ার আইকনে ট্যাপ করে অ্যাড টু স্টোরি বাটনে ক্লিক করুন। পরের পৃষ্ঠায় রিলস ভিডিওর ওপরে থাকা তিনটি ডট মেনুতে ট্যাপ করে সেভ বাটনে ট্যাপ করলেই ভিডিওটি ফোনে সংরক্ষণ হয়ে যাবে। এরপর স্টোরি আপলোড না করে ডিসকার্ড অপশনে ক্লিক করলেই ভিডিওটি ক্যামেরা রোল অপশনে পাওয়া যাবে।

রিলস ভিডিও নামানো গেলেও ভিডিওতে নির্মাতার অ্যাকাউন্টের নাম দেখিয়ে থাকে ইনস্টাগ্রাম। তাই ভিডিওগুলো অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। ইনস্টাগ্রামে শুধু পাবলিক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা রিলস ভিডিও নামানো যায়। তবে পাবলিক অ্যাকাউন্টের সেটিংসে রিলস ভিডিও নামানোর সুযোগ বন্ধ রাখলেও কোনো ভিডিও নামানো যাবে না।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালন

মহান মে দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বুধবার (১ মে) সকালে এ বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালীটি মেহেরপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আহসান হাবিব সোনা। র‌্যালীশেষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সবুজ প্রমূখ।

র‌্যালী ও আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি
মোঃ নজরুল ইসলাম (নজু), সহ-সভাপতি মোঃ মাহাবুব হোসেন,মোঃ এরশাদ আলী,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রমেজ উদ্দীন,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বকুল হোসেন,শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল হক,কোষাধ্যক্ষ মোঃ মিন্টু,প্রচার সম্পাদক মোঃ সেন্টু শেখ,লাইন সম্পাদক মোঃ মুন্না,কার্যকরী সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম,মোঃ বাচ্চু মিয়া,মোঃ আনারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




ডিপিএলে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

আবাহনীর সামনে সমীকরণটা ছিল সহজ। জয় পেলেই ডিপিএলের ২৩তম আর লিস্ট ‘এ’ স্বীকৃতির পরে পঞ্চম শিরোপা উঠবে হাতে, প্রতিপক্ষ শেখ জামাল। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য আবাহনী হারায় সেরা ১০ ক্রিকেটারকে। আর শেখ জামাল দলকে শক্তিশালী করতে বিদেশের মাটি থেকে উড়িয়ে আনে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে।

গতকাল সাভারের বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে একাদশ সাজাতেই যেন যুদ্ধ করতে হয় খালেদ মাহমুদ সুজনের আবাহনীকে। শেষ মুহূর্তে জাতীয় দল থেকে ফেরত পাওয়া তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম ও আফিফ হোসেন ধ্রুবকে পেয়ে যেন কিছুটা স্বস্তিই পান কোচ সুজন। আর তাতেই করেন বাজিমাত। বলা চলে আবাহনীর ‘দ্বিতীয় দল’ মাঠে নামিয়েও সফল হলেন তিনি। সাকিবদের শেখ জামালকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ২ ম্যাচ হাতে রেখেই এবারের ডিপিএল শিরোপা নিশ্চিত করেছে আবাহনী।

এই জয়ের পরে অনেকে বলছেন, আবাহনীর জার্সিতে যদি কোনো নতুন খেলোয়াড়কেও মাঠে নামানো হয়, তাহলে তারাও জয় তুলে নিতে পারবে। ক্লাবটির জার্সির ক্ষমতাই নাকি এমন! তবে সেটি যাই হোক, গতকাল দলটি যেভাবে জয় তুলে নিয়েছে সেটি কেবল জার্সির ক্ষমতায় নয়, শক্তি দেখিয়ে নিজেদের প্রমাণ করেই আদায় করতে হয়েছে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নেতৃত্বে তীব্র গরম ভেদ করে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিতে আবাহনী শেষ ওভারের শেষ বলে যে জয় তুলে নিল, সেটি যেন ফাইনাল ম্যাচেরই রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে।

সকাল ৯টায় প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। এই ম্যাচে এত রান তোলার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন সাকিব-জিয়াউর রহমানরা। ১৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোর পরে শেখ জামালের হাল ধরেছিলেন সৈকত আলি ও সাকিব। দুজনের ৭২ রানের জুটিটে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে দলটি। ৪৪ রান করে সৈকত ও ৪৯ করে সাকিব ফিরলে আবারও থমকে যায় শেখ জামাল।

সে সময়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নেন নুরুল হাসান সোহান। দলীয় অধিনায়ক সোহান ৪১ রান করে আউট হলে শেষদিকে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন জিয়াউর। ৫৮ বলে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৩৭ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার করেন ৮৫ রান। তাতে রান গিয়ে দাঁড়ায় ২৬৭-তে। অথচ জিয়াউর ঝড়ের আগে মনে হয়েছিল, এই রান ২০০ পার করবে না।

২৬৮ রানের জবাবে আবাহনীর দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সাব্বির হোসেন ফেরেন ৬০ রানের মধ্যে। যেখানে সাব্বির মাত্র ৬ রান করেই বিদায় নেন। তবে এরপরে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বিজয় ও আফিফ। তাদের ১০৩ রানের জুটিটে আবাহনী হেঁটে চলে জয়ের দিকে। তবে বলে বলে রান দরকার পড়ায় কিছুটা চাপেও থাকে দলটি। চাপ থাকলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে রেখে এগিয়ে চলেন সুজনের শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক সৈকত। এই জয়ের পেছনে বিজয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৭ রান, আফিফের ৮৩, নাহিদুল ইসলামের ২৪। শেষ দিকে তানজিম সাকিব ও রাকিবুল হাসান দুটি বাউন্ডারি মেরে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান। বাকি কাজটুকু সারেন অধিনায়ক সৈকত।

ম্যাচশেষে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেছেন, ‘দারুণ, আসলে গর্বের মতো একটা বিষয়। আমি জানতাম ২৬০-২৭০ রান মোকাবিলা করা সহজ হবে। কিন্তু শেষের দিকে বল ঠিকমতো ব্যাটে আসছিল না, তাতে রান তোলা একটু কঠিন হয়ে যায়। তবে ব্যাটারদের যেভাবে ব্যাট করা দরকার ছিল, তারা সেভাবে এগিয়ে গেছে একদম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। শেষে রাকিবুল ও সাকিবের একটি করে বাউন্ডারি আমাদের দলের জন্য খুবই জরুরি ছিল। এগুলোর জন্যই আমরা ম্যাচ জিতি। আমরা মাত্র পাঁচ জন ব্যাটার নিয়ে খেলছিলাম। সুতরাং সকলেই জানতেন আমাদের দায়িত্ব কতটুকু। আমি এই জয়ের কৃতিত্ব তাদেরকে দিব। বিজয় ও আফিফকে ধন্যবাদ দেই। আমরা শেষ দুই ম্যাচ জয় দিয়েই শেষ করতে চাই।’ এ দিকে গাজী গ্রুপকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমদের প্রাইম ব্যাংক ও অপর ম্যাচে শাইনপুকুরের বিপক্ষে ৮ রানের জয় পেয়েছে মোহামেডান। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আবাহনীর ম্যাচই ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রে।

সূত্র: ইত্তেফাক