নিয়োগ দিবে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ট্রেইনি ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

গতকাল বুধবার (০৬ নভেম্বর) থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ০৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড পদের নাম : ট্রেইনি ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার লোকবল নিয়োগ : ৩০ জন

শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অন্যান্য যোগ্যতা : প্রতিদিনের সমস্ত ডকুমেন্টেশন এবং রেকর্ড সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ, পণ্য প্রদর্শনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড মার্চেন্ডাইজিং পদ্ধতির ভালো জ্ঞান। অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ০২ বছর

চাকরির ধরন : ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র : অফিসে প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়সসীমা : ২৪ থেকে ৪০ বছর

কর্মস্থল : দেশের যেকোনো স্থানে বেতন : প্রতিযোগিতামূলক বেতন প্যাকেজ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা : প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদন করবেন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে  ক্লিক করুন

সূত্র: কালবেলা




গাংনীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গাংনীতে বিরাট গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে গাংনী বাসস্ট্যান্ড শহীদ আবু সাঈদ চত্ত্বরে বেলুন ফেস্টুন ও কবুতর উড়িয়ে দলের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শিল্পপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

পরে আয়োজিত গণ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক।

গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

গাংনী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও গাংনী পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ইনসারুল হক ইন্সুর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম নাসির, জেলা বিএনপির ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলফাজ উদ্দিন কালু, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান গাড্ডু, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক ও ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান লাইলা আরজুমান বানু, গাংনী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক ছাত্র নেতা আব্দুল হক, গাংনী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মালেক হোসেন চপল বিশ্বাস, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ২০২৪ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।




১৪ নভেম্বরের মধ্যে অভিযোগ দেওয়ার নির্দেশনা ই-কমার্স গ্রাহকদের

ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান, গ্রাহক ও বিক্রেতাদের আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে পাওনা অর্থসংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান, গ্রাহক ও বিক্রেতাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, যে সব ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহক ও বিক্রেতাদের অর্থ পাওনা রয়েছে, তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা আগামী ১৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করা হলো। তা ছাড়া যেসব গ্রাহক অর্থ পরিশোধ করে ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য পাননি এবং বিক্রেতারা ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানকে পণ্য সরবরাহ করে বিক্রয়মূল্য বুঝে পাননি, তাদের আগামী ১৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে শুধু অনলাইন পোর্টালে (https://dncrp.portal.gov.bd/) অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেওয়া হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী ১৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো পাওনাদার গ্রাহক ও বিক্রেতার তালিকা দাখিল না করলে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের সার্কুলার নং ০৮ /২০২১, তারিখ: ৩০ জুন ২০২১ অনুসারে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ও বিক্রেতাদের অনুকূলে পর্যায়ক্রমে ছাড়করণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া যে সব গ্রাহক ও বিক্রেতা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করবেন, তাদের অভিযোগ পর্যায়ক্রমে নিষ্পত্তির মাধ্যমে পেমেন্ট গেটওয়ে অথবা ব্যাংক হিসাবে জব্দকৃত টাকা ছাড়করণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুরে জাতীয় শিশু কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ 

মেহেরপুরে জাতীয় শিশু কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১২ সময় জেলা মডেল মসজিদে মেহেরপুর ইসলামী ফাউন্ডেশন ও ইসলামিক সাংস্কৃতি কেন্দ্রে জাতীয় শিশু কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জে এম সিরাজুম মূনীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবির হোসেন, ইসলামী ফাউন্ডেশনের মেহেরপুর ফিল্ড অফিসার ওবাইদুর রহমান, ফিল্ড সুপারভাইজার (মুজিবনগর) তাওহিদুল, ফিল্ড সুপারভাইজার (মেহেরপুর সদর) আমানুল্লাহ, শিবপুর হাই স্কুলের শিক্ষক তৌহিদুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাস্টার ট্রেইনার আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

পরে ১৭ বিভাগে ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারী মোট ৫১ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।




অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা

ঢালিউড নায়িকা অপু বিশ্বাস ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছেন প্রযোজক সিমি ইসলাম।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গত ২৪ অক্টোবর এ মামলা করেন তিনি। হিরো আলমের সঙ্গে এই মামলায় ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে জাহিদুল ইসলামকে।

প্রযোজক সিমি ইসলামের দাবি, তার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে তিনি ইতোমধ্যেই সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত পুরো ঘটনাটির তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন তেজগাঁও থানা কর্তৃপক্ষকে। আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

সিমি ইসলাম জানান, অপু বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন আপন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছর আগস্টে বিবাদী অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন মিলে সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন।

এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও ফিরিয়ে দেননি অপু বিশ্বাস। তাই বাধ্য হয়ে চলতি বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখ লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি, যেখানে অভিযুক্ত করা হয় অপু ও আপনকে।

বিষয়টি জানতে পেরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন হিরো আলম। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এর সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি।

এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় বাদীর কাছে। জানানো হয়, অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এটি চাওয়া হয়েছে। দর-কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় বিবাদী হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন বাদী সিমি ইসলাম। টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তারা।

কিন্তু বাদী দেখতে পান, তার ইউটিউব চ্যানেলে থাকা ভিডিওগুলো নেই। বিষয়টি অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমকে জানান সিমি। কিন্তু তারা ভিডিওগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে কালক্ষেপণ করেন।

বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতেও কথা বলা হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়ায় বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিমি।

মামলা প্রসঙ্গে সিমি ইসলাম বলেন, ‘এই চ্যানেলটি নিয়ে বহুদিন ধরেই আমি অপুর কাছে গিয়েছি। চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে বহুবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমি খসরু (প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু) ভাইকেও বলেছি। তিনিও আমার হয়ে অপুর সঙ্গে কথা বলেছেন। তার কথাও তিনি রাখেননি।

এর মধ্যে একদিন হিরো আলম আমাকে ফোন করে বলেন, তিনি বিষয়টি সমাধান করে দেবেন। তার কথায় আমি রাজি হলে তিনি অপুর সঙ্গে কথা বলবেন। আমার মনে হয়, অপুই তাকে ফোন দিতে বলেছেন আমাকে।

এরপর টাকার বিনিময়ে চ্যানেলটি ফিরে পেলেও ভিডিওগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি হিরো আলমকে জানালে তিনি বলেন, দেখছি কী করা যায়। এরপর আর তার কোনো খবর নেই।’

সিমি ইসলাম জানান দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত আছেন। তার প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অপরাধী বাদশা’। এরপর তিনি একে একে প্রযোজনা করেন ‘মাই নেম ইজ সিমি’, ‘তুমি আছো তুমি নেই’ এবং ‘নারী শক্তি’ ছবিগুলো।

বর্তমানে তার প্রযোজিত আরও দুটি ছবির কাজ চলছে। এসব ছবি হচ্ছে ‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’ এবং ‘ভুল মানুষ’।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে কলেজ ছাত্রী অপহরণ মামলার আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুরে কলেজ ছাত্র অপহরণ মামলার আসামী শিমুল হোসেন (২২) কে গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। শিমুল গাংনী উপজেলার ধানখোলা মাঠপাড়া এলাকার রাইতাল হোসেনের ছেলে।

গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে গাংনী উপজেলা শহর থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন। পরে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন।

মামলার তদন্তকারী অফিসার মেহেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক বিকাশ মজুমদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মেহেরপুর সদর থানার কালিগাংনী গ্রামের ছহিরুল ইসলামের মেয়ে কলেজ ছাত্রী সাদিয়া আক্তারকে অপহরণের অভিযোগ এনে তাঁর পিতা ছহিরুল ইসলাম একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমণ আইনের ৭/৩০ ও সড়ক পরিবহণ আইনের ৯৮/১০৫ ধারায় দায়ের করা সদর থানার মামলা নং ১, তারিখ ০১/১১/২৪ ইং।

তবে, মামলার আসামি শিমুল হোসেন জানান, সাদিয়ার সাথে আমার দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্ক থাকায় তাঁকে নিয়ে গত ঈদের দিনে মোটরসাইকেল যোগে ঘুরতে যাচ্ছিলাম। কাথুলি-গাংনী সড়ক দিয়ে ভাটপাড়া ইকোপার্কে আসার সময় রাস্তার কালভার্টের সাথে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হই। এসময় সাদিয়া গুরুতর আহত হন। আহতাবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী, কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও পরে ঢাকা মেডিকেলে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিল। সেখানে আমরা টাকা পয়সা দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। বর্তমানে সে জ্ঞানহীন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে আমার নামে অপহরণ মামলা করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত শিমুলকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান উপপরিদর্শক বিকাশ মজুমদার।




আফগানিস্তান সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় মুশফিক

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় হার দিয়ে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ৯২ রানে হেরেছে টাইগাররা। ম্যাচে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। সন্দেহটা তখনই শুরু হয়। এরপর জানা গেছে উইকেটকিপিং করার সময় আঙুলে চোট পেয়েছেন তিনি।

এই চোটের কারণে সিরিজের পরের দুই ম্যাচ থেকে তিনি ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় মুশফিক। তার দ্বিতীয় ম্যাচে না খেলা অনেকটা নিশ্চিত। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের চোট প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আঙুলে চিড় হয়েছে বলে এখনো সাসপেক্ট করা হচ্ছে। পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। বিস্তারিত এখনো আমাদের কাছে আসেনি।’

এছাড়া বিসিবির প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘হ্যাঁ একটা চোট পেয়েছে। যেটা মনে হচ্ছে একটু সিরিয়াস। কতদিনের জন্য বাইরে থাকবে সেটা পরীক্ষার পর বোঝা যাবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে এই সিরিজে আর খেলতে পারবে না।’

আফগানিস্তান সিরিজের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুশফিক দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও আছে। চিড় ধরা পড়লে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলা নিয়েও শঙ্কায় পড়বেন তিনি।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে যৌথবাহিনী অভিযানে গাঁজাসহ আটক ৪

মেহেরপুরে সেনাবাহিনী, বিজিব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতরের পৃথক দুটি যৌথ অভিযানে ২২ কেজি গাঁজাসহ ৪ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছেন অভিযানিক দল।

এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে মাদক কেনাববেচার ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে তাদের পৃথক স্থান থেকে আটক করে। আটককৃত হলো- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ভাগজাতপুর গ্রামের ইসমাইল মন্ডলের স্ত্রী তিলোক জান (৪৫), একই উপজেলার মুন্সিগঞ্জ অক্টোর নগর গ্রামের আসমত ব্যাপারীর স্ত্রী কোহিনুর খাতুন(৫০), মেহেরপুরে গাংনী উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের নবীনপুরের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে ইন্তাজুল হোসেন ওরফে ইন্তা(৪৮) ও একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন(৪৬)।

মেহেরপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল হাসেম জানান, মাদক পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৭ আর্টিলারি রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন রওশনের নেতৃত্বে মেহেরপুর কুষ্টিয়া সড়কের জোড়পুকুরিয়া নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮ কেজি গাঁজা, তিনটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৭ হাজার টাকা, মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ব্যাটারী চালিত পাখি ভ্যানসহ তিলোক জান, কোহিনূর খাতুন ও ইন্তাজুল কে আটক করে। পরে সাহারবাটি ডিসি ইকো পার্কের গুচ্ছগ্রামের জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৪ কেজি গাঁজা, ১৭ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক বিক্রয়ের নগদ ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা পূর্বক গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অংশগ্রহণ করেন।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বানী ইসরাইল বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযানে আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করেছেন। আইনি প্রক্রিয়ায় মাদকচক্রদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।




মেহেরপুরে বিজ্ঞান শিক্ষা ও দুর্ভাবনা

মার্টিন কুপার সাহেব কী কাজটিই না করে গেছেন। আমাদের কালে তিনজন একসংগে থাকলেই হৈচৈ হতো আজ সেখানে তিরিশ জনের ঘরেও পিনপতন নীরবতা। হাতে মোবাইল, স্ক্রীনে চোখ, মনটা বিচরণ করছে ওয়েব দুনিয়ায়। এ দুনিয়া ভার্চুয়াল, বাস্তব থেকে অনেক দূরে। ঘোরলাগা জগতের মানুষ আজকাল ঘোরের মধ্যেই থাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই আজ ব্যবহার করছে স্মার্ট ফোন। একে প্রযুক্তিপ্রেমি বলা গেলেও বিজ্ঞান মনস্ক বলা যায় না। প্রযুক্তি ব্যবহার করলেই মানুষ বিজ্ঞানমনষ্ক বা বিজ্ঞান সচেতন হয় না, তাকে সুশিক্ষিত হিসেবেও গন্য করা যায় না। একুশ শতকের অসম্ভবের সম্ভাবনার এই যুগে আমি এমন শিক্ষিত মানুষও দেখেছি যিনি চাঁদে মানুষ গেছে একথাটি বিশ্বাস করেন না। যে সমাজে শিক্ষার হার কম সে সমাজের কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের মেহেরপুর এখনও কৃষিনির্ভর। প্রায় আট লক্ষ জনসংখা অধ্যুষিত মেহেরপুরে শিক্ষার হার ৬৭%। প্রকৃতপক্ষে এই হার আরও কম হবে। অর্থনৈতিক দিক থেকে অগ্রগতি হলেও শিক্ষায় বরাবরই পিছিয়ে আছি। তার মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষায় আরও পিছিয়ে। বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইজ) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে মাধ্যমিকে মোট এসএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী ছিল ৪২.৮১ শতাংশ। এই হার কমতে কমতে ২০১৬ সালে ২৯.০৩ শতাংশে নেমে আসে। দু’বছর আগে দেখা গেছে, মাধ্যমিকে প্রায় ২২ শতাংশ ও উচ্চ-মাধ্যমিকে ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান পড়ছে। ২০২৪ সালে দেখা যাচ্ছে এসএসসিতে ২১.৮ শতাংশ এবং এইচএসসিতে ১৬.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান শাখায় পড়ছে। কারিগরী/বিএম শাখায় পড়ছে ১৮.৫ শতাংশ। স্পষ্টতই মেহেরপুরে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী দ্রুত কমছে। বিজ্ঞানের প্রতি এই অনাগ্রহ গ্রামাঞ্চলের স্কুল-কলেজগুলোতে আরও বেশি প্রকট।

২০২৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মেহেরপুর জেলায় বিজ্ঞান শাখায় পরীক্ষার্থী ছিল মাত্র ৬৮৯ জন। এদের মধ্যে পাস করেছে ৪৬৩ জন। অর্থ্যৎ পাসের হার ৬৭%। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৪৯জন। এইচএসসি এর সমমান কারিগরী/বিএম শাখায় পাসের হার ৭১.৯% এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন। তাহলে দেখা যাচ্ছে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ বা গবেষক হওয়ার নিমিত্ত ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে এইচএসসি বিজ্ঞান ও কারিগরী শাখা থেকে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত মোট ৬১ জন এবং জিপিএ ৪ এর উপরে মুষ্টিমেয় আরও কয়েকজন। প্রচন্ড প্রতিযোগিতায় খুব অল্পসংখ্যকই যে টিকবে তা বলাই বাহুল্য। এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা।

মেহেরপুর জেলায় বিজ্ঞান শিক্ষার হার নিয়ে আমি চিন্তিত। একসময় ১৪ বছর জেলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিটির আমি সেক্রেটারি ছিলাম। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে যা দেখেছি তা হচ্ছে-এক. শিক্ষার্থীদের অনীহা বা ভীতি; দুই. শিক্ষাদান প্রক্রিয়া; তিন. বিজ্ঞান শিক্ষার উপকরণ ও উপযোগী অবকাঠামোর অভাব; চার. উপযুক্ত যোগ্য শিক্ষকের অভাব; পাঁচ. সামাজিক সচেতনতার অভাব, ছয়. বিজ্ঞান শিক্ষাকে ব্যয়বহুল মনে করা, ইত্যাদি কারণে বিজ্ঞান শিক্ষার হার কমছে।

বিজ্ঞান মেলা আগে স্কুল-কলেজগুলোতে যেভাবে সাড়া ফেলতো এখন কিন্তু সেভাবে দেশের সর্বত্র হচ্ছে না। বছরে একবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন করা হয় বটে তবে তা পুরোটাই আমলানির্ভর-অনুষ্ঠানসর্বস্ব। সে আয়োজনে অব্যবস্থাপনা, সৃষ্টিশীলতার অভাব এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। ব্যক্তি পর্যায়ে বা ছোট ছোট প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিচ্ছিন্নভাবে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড বা অন্যান্য কাজ হচ্ছে কিন্তু দেশব্যাপী সরকারি পর্যায়ে বিজ্ঞান বিষয়কে সহজ, আনন্দময়, ব্যবহারিক চর্চা ও আকর্ষণীয় করার কোনো কর্মসূচি নেই । ফলে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে তরুণ প্রজন্ম।

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য থেকে জানা যায় যে, দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ২৯ শতাংশে বিজ্ঞানাগার স্থাপন করা হয়নি। অর্থাৎ প্রায় এক তৃতীয়াংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানাগার নেই। যেগুলোতে বিজ্ঞানাগার আছে, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিও আছে কিন্তু কেউ ব্যবহার করছে না। অনেক প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করতে করতে একেবারে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। প্র্যকটিক্যাল ক্লাস ছাড়াই যদি জিপিএ-৫ হয়ে যায় তাহলে শিক্ষার্থীরা ল্যাবরেটরিতে যাবে কেন?

একটি অঞ্চলে মেধার বিকাশ না হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হয়। আমরা সেদিকেই ধাবিত হচ্ছি। একসময় হয়ত আমাদের ডাক্তার, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা সৃষ্টি হবে না। অন্য জেলা বা অঞ্চলের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হবে। তার ফল ভাল হবে না। সরকারি স্কুল-কলেজগুলোতে আমি দেখেছি বহিরাগত শিক্ষকেরা শুধুই চাকরী করেন, স্থানীয়রা চাকুরীর পাশাপাশি কিছুটা হলেও শিক্ষকতা করেন। স্কুল-কলেজে স্থানীয় শিক্ষকের সংখ্যা দিন দিন কমছে। স্বাস্থ্য বিভাগের বহিরাগত ডাক্তাররা চাকুরী করেন-পকেট স্ফীত করেন। কিন্তু আমাদের ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকুরীর পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা দিয়ে মানুষকে সহায়তাও করেন। স্থানীয় হওয়ার কারণে তাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিত মানুষ থাকায় মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে মানুষকে নানাভাবে সেবা, সাহায্য ও সহযোগিতা করে থাকেন। তবে তাদের সংখ্যাও দিনে দিনে কমে আসছে। এমনটি সিভিল সার্ভিসের অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

১০/১৫ বছর আগেও দেখেছি প্রতি বছরই ২০/২৫ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা, প্রকৌশল বা বিজ্ঞান গবেষণা বা উচ্চ শিক্ষার কোন বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পেতে। কিন্তু এখন যা অবস্থা তাতে শংকিত না হয়ে পারছি না।

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিষয়ে অতি সামান্য ধারণা লাভ করে। তাদের মধ্যে বিজ্ঞানমনষ্কতা তৈরি হয় মূলত মাধ্যমিক স্তরে গিয়ে। কিন্তু এ স্তরে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের প্রতি অনাগ্রহ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বিজ্ঞান শিক্ষায় দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব ও পর্যাপ্ত ভৌতকাঠামো না থাকা একটি বড় কারণ। এশিয়া মহাদেশে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও চীনে বিজ্ঞানকে গুরুত্বসহকারে শেখানো হয়।

পৃথিবীর অনেক দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে পাঠিয়ে আনন্দের সাথে বিজ্ঞান পড়ানোর কৌশল অবলম্বন করা হয় যা আমাদের দেশে বেশি বেশি প্রয়োজন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একদিকে দেশপ্রেমের চর্চা হবে, অন্যদিকে অর্থ উপার্জন এবং সর্বোপরী শিক্ষা জীবনেই দেশের সমস্যা দূর করা ও দেশগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করার সুযোগ পাবে। অবহেলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠবে।

বিশ্বে চাকরির বাজার আগের চেয়ে অনেক দ্রুত বদলে যাচ্ছে এবং এখনকার অনেক চাকরির অস্তিত্ত্ব শিগগিরই অদৃশ্য হয়ে যাবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গবেষকরা বলছেন, আগামী পাঁচ বছরে বর্তমান চাকরির বাজার প্রায় এক-চতুর্থাংশ বদলে যাবে। এই পরিবর্তনের পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হল নতুন প্রযুক্তির উত্থান বা অটোমেশন ।

বর্তমানে প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নয়ন ও দ্রুত পরিবর্তনের সক্ষমতা বোঝাতে গিয়ে নিম্নোক্ত কথাটি স্মরণ করা যেতে পারে। “পাঁচ কোটি লোকের কাছে রেডিওর পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৩৮ বছর, টেলিভিশনের ১৩ বছর। অথচ ইন্টারনেটের লেগেছে ৪ বছর। আইপডের জন্য সময়টা মাত্র ৩ বছর আর ফেসবুকের? মাত্র ২৪ মাস”। এরপর ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউটিউব ভিডিও প্ল্যাটফরম (YouTube) এর সময় লেগেছে ১৮ মাস এবং ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এসেছে এ আই চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) , যার ৫ কোটি লোকের কাছে পৌঁছাতে সময় লেগেছে মাত্র ১২ মাস। ‘কোডাক’ ক্যামেরা, মার্ফি রেডিও, এইচ এম টি ঘড়ি, এ্যাম্বাসেডর গাড়ি, প্রভৃতির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। একসময় দাপটের সাথেই এরা রাজত্ব করেছে। গুনে-মানে ভাল হলেও বছর বিশেকের মধ্যে দেউলিয়া হয়ে গেছে। কারণ প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ এখন এক স্মার্ট ফোন দিয়েই দশ ডিভাইসের কাজ সারছে।

কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞান হল এমন এক প্রধান দক্ষতা যা নতুন চাকরির প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিঁকে থাকার জন্য অবশ্যই অর্জন করতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে প্রত্যেকেরই প্রোগ্রামিং ভাষা জানতে হবে বা মেশিন লার্নিং এর আদ্যোপান্ত সব বুঝতে হবে। বিবিসি বলছে- ভবিষ্যতে ‘স্টেম’ হবে চাকরির বাজারে প্রধান চাহিদা । ইংরেজি বর্ণমালার চারটি অক্ষর এস, টি, ই, এম – অর্থাৎ ‘স্টেম’ (STEM) এর পূর্ণ অর্থ হল সায়েন্স বা বিজ্ঞান, টেকনোলজি বা প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রকৌশল এবং ম্যাথম্যাটিকস বা গণিত। সুতরাং আপনি যদি ভাবেন আপনার সন্তানের স্কুলে কোন বিষয়গুলোয় ফোকাস করা উচিত, তাহলে এর উত্তর হবে: গণিত, কম্পিউটার সায়েন্স, এবং ন্যাচারাল সায়েন্সেস।

আমার মনে হয় আমাদের চলমান শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা এমন সব গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছি, ২০৩০ সালে সমাজে যাদের কোনো চাহিদাই থাকবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে মোকাবিলা করতে হলে আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার খোলনলচে পাল্টে ফেলতে হবে; সৃজনশীলতা এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতার বিকাশ ঘটাতে হবে; শিক্ষাকে করতে হবে অ্যাকটিভিটিনির্ভর এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে।

বিগ ডেটা, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো নতুন নতুন প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি শ্রমবাজারে আমূল পরিবর্তন আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাল খবর হল, নতুন প্রযুক্তি সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করবে। এতে একদিকে যেমন অনেক কর্মসংস্থানের খাত তৈরি হবে তেমন অনেক কর্মসংস্থান ধ্বংসও হয়ে যাবে। সুতরাং একটি ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে সফল হতে প্রতিনিয়ত নতুন দক্ষতা শিখে সক্ষমতা বাড়ানোর কোনও বিকল্প নেই।

বিজ্ঞান শিক্ষাকে আকর্ষনীয়, সহজবোধ্য ও জনপ্রিয় করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। কারণ বিশ্বায়ন ও বিজ্ঞানের এই যুগে বিজ্ঞান শিক্ষাকে আমরা কোনভাবেই অবহেলা করতে পারি না। বিজ্ঞান শিক্ষাকে অবহেলা করা মানে বিশ্বায়নের গতি থেকে ছিটকে পড়া। কাজেই ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট এবং এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃত্ব-সকলের বিষয়টি গুরত্বসহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ।




৫২ টি মোটরসাইকেল চালককে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা

মেহেরপুরে সেনাবাহিনী ও ট্রাফিক পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে দিকে মহিলা কলেজ মোড় সড়কে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে অর্ধশতাধিক মামলার মধ্যে ২ টি লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে এবং ১২টি মোটরসাইকেলের চালককে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এসময় মেহেরপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন যানবাহনে কাগজপত্র তল্লাশি করে। অভিযানে প্রায় ১২টি গাড়ির মালিককে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে মেহেরপুরে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ট্রাফিক অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৭ আর্টিলারি রেজিমেন্টের ওয়ারেন্ট অফিসার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে একটি সেনাবাহিনীর টিম ও ট্রাফিক পুলিশের টিম উপস্থিত ছিলেন। পরে মেহেরপুর সদর থানার ওসি আমানুল্লাহ আল বারীর নেতৃতে পুলিশের একটি টিম হেলমেট বিহীন যারা রাস্তায় মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছিল তাদেরকে সতর্ক করেন এবং সড়ক দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে হেলমেট পরিধান করে ও বৈধ কাগজপত্র সাথে রেখে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য আহ্বান জানান।

এছাড়াও বিকেল ৫টার সময় কলেজ মোড়ে ৪০ টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স হেলমেট ও রেজিস্ট্রেশন বিহীন চালকদের ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সর্বমোট এক লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।