কুমারখালি থেকে লুট হওয়া তিনটি গরু কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার

কুমারখালি উপজেলা চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের বাড়ী থেকে লুট হওয়া তিনটি গরু সদর উপজেলার আলামপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গরু তিনটির দাম প্রায় আট লাখ টাকা।

আজ শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর দহকোলা গ্রামের মৃত আবের আলী মালিথার বাড়ীর গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু উদ্ধার করা হয়।

ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন জানান, পাহাড়পুর এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দিনের বেলায় লাল্টু বাহিনীর সদস্যরা মৃত চাঁদ আলী শেখের ছেলে মোঃ মতিয়ার রহমান, তার ছেলে হাবিবুর রহমান সজিব সহ আরও কয়েকজন মিলে আমার বাড়ীর দুইটা ফ্রিজিয়ান ও একটি ষাঁড় গরু লুট করে নিয়ে যায়। পরে কুমারখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি ওসি নজরুল ইসলাম। বিষয়টি নথিভুক্ত না করে মৌখিকভাবে দেখবেন বলে জানান তিনি। পরে বিষয়টি কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এরইমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় সন্ধান নিতে থাকে। এক পর্যায় তিনি জানতে পারেন লুটকৃত গরু তিনটি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকোলা গ্রামের মৃত আবের আলী মালিথার ছেলে মাওলানা ফারুক আজম জিহাদীর বাড়ীতে রয়েছে। পরে বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশের মধ্যস্ততায় গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, কুমারখালি উপজেলা চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের বিল্লালের বাড়ী থেকে তিনটি গরু লুট করে নিয়ে যায় লাল্টু বাহিনীর সদস্যরা।
দহকোলা গ্রামের মাওলানা ফারুক আজম জিহাদীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাড়ির গোয়ালঘর থেকে ৩ টি গরু উদ্ধার করে। গরু উদ্ধার করতে পারলেও কাউকে আটক করতে পারে নি।

আলামপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ফিরোজ জানান, কুমারখালি উপজেলার পাহাড়পুর এলাকা থেকে লুট হওয়া তিনটা গরু মোঃ মতিয়ার রহমান তার শশুর বাড়ী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর দহকোলা গ্রামের মৃত আবের আলী মালিথার বাড়ীর গোয়ালঘরে রেখে আসে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে গরু তিনটি উদ্ধার করে গরুর মালিক বিল্লাল হোসেন ও কুমারখালি থানার বাঁধবাজার পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এমদাদুল এর কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।




দামুড়হুদার জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির ১১ নেতাকে স্বতর্কীকরণ পত্র প্রেরণ

দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ করায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির ১১ নেতাকে স্বতর্কীকরণ পত্র দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষে দপ্তর সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন এ পত্র প্রেরণ করেন।

স্বতর্কীকরণ পত্রে জানানো হয়, জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদককে অবগত না করে গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভা করা হয়। উক্ত কর্মী সভায় অত্র ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডের সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়ন কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়।

দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি ওই কর্মী সভায় উপস্থিত হওয়ার কারণ দিয়ে যে ১১ নেতাকে পত্র দেওয়া হয়েছে তারা হলেন (১) মোঃ শীতল আলী, সভাপতি ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি, (২) মোঃ ছানোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি, (৩) মোঃ মজিবুল হক, সভাপতি ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি, (৪) এ.জেড আমিনুল হাবিব সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি, (৫) মোঃ জুলমত হোসেন, সভাপতি ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি, (৬) মোঃ গোলাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি, (৭) মোঃ আবুল বাশার, সহ-সভাপতি ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি, (৮) মোঃ কামাল উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি, (৯) মোঃ সাইদুর রহমান লিপু, ১ নং নির্বাহী সদস্য জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপি, (১০) মোঃ আবুল কালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও (১১) মোঃ নাসির উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপি।

পত্রে সতর্ক করে আরো বলা হয়, আগামীতে দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি দলীয় কোন কর্মকান্ড করলে আপনার বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে। এ বিষয়ে আপনাকে সতর্ক থাকিবার জন্য অনুরোধ করা হইল।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল হাসান তনু, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ইদ্রিস আলী ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন এর নির্দেশনানুযায়ী এই সতর্কীকরণ পত্র প্রেরণ করা হয়।




চুয়াডাঙ্গায় প্রমিলা ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত: চুয়াডাঙ্গা দলের জয়লাভ

চুয়াডাঙ্গায় প্রমিলা ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর)  বিকেল চারটায় শহরের পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে এই ফুটবল খেলায় অংশ গ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গার মহাতাব বিশ্বাস প্রমিলা ফুটবল একাডেমি ও খুলনার এজাজ প্রমিলা ফুটবল একাডেমির এক দল মেয়েরা।

প্রীতি এই ফুটবল খেলায় ২-০ গোলে চুয়াডাঙ্গা দল মহাতাব বিশ্বাস প্রমিলা ফুটবল একাডেমি জয়লাভ করে চ্যাম্পিয়ন হয়। রানার আপ হয় খুলনা থেকে আসা এজাজ প্রমিলা ফুটবল একাডেমি।

এ খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন মহাতাব ফুটবল একাডেমি দলের খেলোয়ার বিদিশা । চুয়াডাঙ্গার মহাতাব বিশ্বাস ফুটবল একাডেমি এ প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।

খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন। মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি খেলা উদ্বোধন করেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুন্সি আবু সাইফ, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাড. মানিক আকবর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সেলিম, রাখি ইলেকট্রনিকস এর মালিক মাসুদ রানা, চুয়াডাঙ্গা মহাতাব বিশ্বাস ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সালাউদ্দিন বিশ্বাস প্রমুখ।

খেলার নির্ধারিত সময়ে চুয়াডাঙ্গা দল খুলনা দলকে ২-০ গোলে পরাজিত করে। এরপর চ্যাম্পিয়ন দল চুয়াডাঙ্গা মহাতাব বিশ্বাস প্রমিলা ফুটবল একাডেমির হাতে বিজয়ী পুরস্কার ট্রফি তুলে দেয়া হয়।




দামুড়হুদায় যুবদলের আয়োজনে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা মাদ্রাসা ও বেগো পাড়ার যুবদলের আয়োজনে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মাদ্রাসা পড়ার ৪ নং ওয়ার্ডের অস্থায়ী বিএনপি কার্যালয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

৪ নং ওয়ার্ড বিএন পির সভাপতি আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা থানা বি এনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।

এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের যারা গা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছেন আপনারা মনে রাখবেন আপনাদের অপরাধের সাজা নিতে হবে।আইনী ভাবে আপনাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাসেম, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনসার আলি, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক আফজালুর রহমান সবুজ, যুবদল নেতা তারিকুল ইসলাম লিটন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা মাদ্রাসা ও বেগো পাড়ার যুবদলের নেতা বাকী বিল্লাহ, সাইদুর রহমান, মিন্টু, বাসার, নয়ন, সাদেক শাহ, জামাল, আবু বক্কর, শাহ আলম, ডাবলু। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের নেতা ওমর ফারুক।




মুজিবনগরে ভারতীয় ১১ কেজি গাঁজাসহ আটক-১

মেহেরপুরের মুজিবনগরে ১১ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ দীপক (২৬) নামের এক গাঁজা ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আজ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মুজিবনর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামে গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তাকে গাঁজাসহ আটক করেন।

চুয়াডাঙ্গা ৬ বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মুজিবনগরের আনন্দবাস বিওপি কমান্ডার হাবিলদার রফিকের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ এই অভিযান পরিচালনা করেন।

মাদক ব্যবসায়ী দীপক মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের উজ্জল হোসেনের ছেলে।

আনন্দবাস বিওপি কমান্ডার হাবিলদার রফিক জানান, গাঁজার একটি চালান পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বল্লভপুর গ্রামে অভিযান চালানো হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে একজন পালিয়ে গেলেও ১১ কেজি গাঁজাসহ দীপক আটক হন। এঘটনায় পলাতক রয়েছেন একই গ্রামের পিন্টু হোসেনের ছেলে রাজু আহমেদ (৩২)। তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আটক দীপককে মুজিবনগর থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।




মেহেরপুর বড়বাজার জামে মসজিদের নতুন কমিটি গঠন

অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজনকে সভাপতি ও ওষুধ ব্যবসায়ী সোহেল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট প্রস্তাবিত পরিচালনা কমিটি গঠণ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার জুম্মার নামায শেষে এক সভায় অন্তবর্তীকালীন কমিটি ও সাধারণ মুসল্লীদের সিদ্ধান্তে নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি গঠন সভায় সভাপতিত্ব করেন আহবায়ক আব্দুল মালেক বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কালু, হাজি মনিরুল ইসলাম, মো: মুস্তাফিজ, মুনির আহমেদ নাহিদ।

২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ্ব আমিরুল ইসলাম হাসা, সহসভাপতি আলহাজ্ব হসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ আব্দুর রকিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২ আহসান হাবিব, কোষাধ্যক্ষ নাজমুর সাদাদ বুড়ো, প্রচার সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুরুল হাসান টুটুল, মসজিদের পেশ ইমাম, আলহাজ্ব গোলাম মোর্শেদ চন্দন, রাজিউল হুদা সজল, আলজাজ্ব মো: আব্দুল গনি, জিয়ারুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মজিবুর রহমান, তাওফিকুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান, আনছারুল হক, গোলাম মোস্তফা, ওয়াহেদুজ্জামান বাবু, মনিরুল ইসলাম।




মেহেরপুরের বন্দর মোড়ে বিএনপির পথসভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের বন্দর মোড়ে জুলাই আগস্ট গণহত্যার বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার বিকেলে পথসভা করেছে আমদহ ইউপির ৩ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা।

পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ।

এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্রজনতার স্বপ্নের মধ্যদিয়ে গড়ে উঠেছে। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ঐক্য রাখতে হবে। প্রশাসনের মধ্যে এখনো ঘাপটি মেরে হাসিনা সরকারের প্রেতাত্মা লুকিয়ে আছে। তারা সুযোগ পেলে এ সরকারকে অস্থিতিশীল করতে চায়।

আমদহ ইউপি’র ৩ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রোমানা আহমেদ, আমদহ ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মজনু মেম্বার, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক বাকা বিল্লাহ, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শান্ত, যুবদল নেতা খোরশেদ আলম দুখু, জাহাঙ্গীর, সাইদুর, লিমন প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা তামিম হুসাইন।




ঝিনাইদহ র‌্যাবের হাতে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

বিশেষ অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এক পলাতক আসামীতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬। আজ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, র‌্যাব-৬ (ঝিনাইদহ ক্যাম্প) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১ জন পলাতক আসামী উপজেলার খালিশপুর এলাকায় অবস্থান করছে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি ঘটনার সত্যতা যাচাই করে খালিশপুর বাজার এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নজরুল ইসলাম নজু (৩৯) নামে এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী কে গ্রেফতার করে। নজরুল ইসলাম একই উপজেলার ভালাইপুর খা পাড়া গ্রামের অমিদুল মন্ডল ছেলে।

উল্লেখ, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে মহেশপুর থানাধীন ১নং এসবিকে ইউনিয়নের ভালাইপুর গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম এর বাড়িতে অজ্ঞাতনামা চোরেরা গরু চুরির উদ্দেশ্যে গিয়ে তৌহিদুল ইসলামকে আহত করে পালিয়ে যায়। এছাড়া একই রাতে তার প্রতিবেশী সুমন খান এর বাড়ি হতে দুইটি গরু চুরি হয়। উক্ত চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামীরা বাদীর স্বামী, ভিকটিম রাশেদ শেখ (৩৮), পিতা-মিঠু শেখ ও ভিকটিমের চাচা মোঃ বজলুর রহমান এবং ভিকটিমের ছোট ভাই মোঃ রাজদুল ইসলাম শেখ দেরকে চোর সাব্যস্ত করে খুজতে থাকে।

উক্ত তারিখ সকালে ভিকটিম বাড়ি হতে মটর সাইকেল যোগে খালিশপুর বাজারে যাওয়ার সময় মহেশপুর থানাধীন এসবিকে ইউনিয়নে ভালাইপুর গ্রামের রাহাতুল্লাহ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ইটের সলিং রাস্তার উপর পৌঁছা মাত্রই আসামীগন একত্রিত হয়ে ভিকটিমের গাড়ি থামিয়ে মারার চেষ্টা করলে ভিকটিম ভয়ে দৌড়ে ভালাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গেলে আসামীরা সেখানে গিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। ভিকটিমের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে এবং বাড়ি থেকে ভিকটিমের চাচা ও ছোট ভাইকে মারতে মারতে ভালাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। আসামিগন ভিকটিম ও ভিকটিমের চাচা এবং ছোট ভাইকে কাঠের বাটাম দিয়ে গুরুতর জখম করে।

পরবর্তীতে রাশেদ শেখ ও তার চাচা এবং ছোট ভাইকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদ শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় মোছাঃ চুমকি বেগম বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় ২১ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫জন আসামীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর ঘটনার বিষয়ে র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সাবেক এমপি টগরের নামে করা হত্যা মামলার তদন্ত শুরু

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক এমপি আলী আজগার টগর, দামুড়হুদা মডেল থানার সাবেক ওসি সুকুমারসহ ১৫ জনের নামে দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে ঝিনাইদহ (পিবিআই) পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝিনাইদহের (পিবিআই) এসআই ইসমাইল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এএসআই মতিয়ার রহমানকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল (দামুড়হুদার জয়রামপুর কাঁঠালতলার অদুরে আনার মিয়ার বাঁশবাগান) পরিদর্শন করেন।

মামলার বাদী রোকনের পিতা আবু বকর সিদ্দিকসহ স্থানীয় লোকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইসমাইল হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে সত্য উম্মোচন করার লক্ষে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হলো। চুল-চেরা বিশ্লেষনসহ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হবে বলেও বাদীকে আশ্বাস করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে একটি মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক এমপি আলী আজগার টগরের ক্যাডার বাহিনীর রোষানলে পড়েন দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী আবু বকর সিদ্দিকের ছোট ছেলে চুয়াডাঙ্গা ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র রোকনুজ্জামান রোকন। এ ছাড়া রোকনের পিতা-মাতা ভিন্ন দল-মতের অনুসারী হওয়ায় রোকনকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয় সাবেক এমপি টগর। এরই এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট দুপুর ২ টার দিকে রোকনকে মোবাইল ফোনে কৌশলে ডেকে নেয় তারই ঘনিষ্ট বন্ধু সজল। ঘনিষ্ট বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে রোকন দক্ষিন চাঁদপুরস্থ ছটাঙ্গার মাঠে পৌছানো মাত্র বন্ধু সজলসহ এমপি টগরের ক্যাডার মাসুম, আলীহিম, সুমন ও রাজিব তাকে তাড়িয়ে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। রোকনকে আটকের পর সাবেক এমপি টগরের নির্দেশে দামুড়হুদা মডেল থানার সাবেক ওসি সুকুমার বিশ্বাস বন্দুক যুদ্ধের নাটক সাজিয়ে ওই রাতেই রোকনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

পরবর্তীতে নিহত ছাত্র রোকনের পিতা জামায়াত নেতা আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করতে আসেন। কিন্তু পুলিশ ওই মামলা গ্রহন না করে তাকে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়।

পরবর্তীতে তিনি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলা করার পর বাড়তে থাকে হুমকির মাত্রা। এমপি আলী আজগার টগরের নির্দেশে ওসি সুকুমার বিশ্বাস তাকে অব্যহতভাবে ক্রসফায়ারের হুমকি দিতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে পুলিশ গভীর রাতে তাকে তার বাড়ি থেকে তুলে নেয়।

পরবর্তীতে তার চোখে কালো কাপড় বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়া হয়। অব্যহত হুমকির মুখে জীবন বাঁচাতে তিনি বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। ৫ আগস্ট জনরোষের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই আত্মগোপনে চলে যায় এমপি আলী আজগারসহ তার পুরো ক্যাডার বাহিনী। পরবর্তীতে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাড়ি ফিরে আসেন জামায়াত নেতা আবু বকর সিদ্দিক। হত্যা ঘটনার পাঁচ বছর পর গত ৩ অক্টোবর দামুড়হুদা আমলী আদালতে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক এমপি আলী আজগার টগরকে।

এ মামলার অপর আসামীরা হলেন দামুড়হুদা মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস, সাবেক ওসি (তদন্ত) কেএম জাহাঙ্গীর, সাবেক এসআই তপন কুমার নন্দী, সাবেক এসআই শেখ রফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল দিপু গাঙ্গুলী, খালিদ মাসুদ, নজরুল ইসলাম, শফিউর রহমান, ফিরোজ ইকবাল, দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামের হুজুর আলীর ছেলে মাসুম, একই গ্রামের মৃত আইজাল মল্লিকের ছেলে আলীহিম, আলী মিয়ার ছেলে সুমন, আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাজিব ও সজল।

দামুড়হুদা আমলী আদালত-২ এর বিচারক মোঃ. মোস্তফা কামাল মামলাটি আমলে নিয়ে ঝিনাইদহ পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলা নং-৫৬৮/২০২৪, তারিখ-০৩/১০-২০২৪।




ঝিনাইদহে ফলবোঝাই পিকাপের চাকায় পিষ্ট হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু

ঝিনাইদহে ফলবোঝাই পিকাপের চাকায় পিষ্ট হয়ে অঞ্জনা আক্তার (৩৩) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঝিনাইদহের তাসলিম ক্লিনিকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অঞ্জনা আক্তার যশোর চুড়ামনকাটির বাসিন্দা। তবে তিনি ঝিনাইদহের হামদহ এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রিক্সায় করে শহরের চাকলাপাড়া যাওয়ার সময় ঝিনাইদহের তাসলিম ক্লিনিকের সামনে রিক্সা সাইড দেওয়ার সময় সে রিক্সা থেকে পড়ে যায় এমন সময় একটি ফলবোঝাই পিকাপ অঞ্জনা আক্তারকে চাপা দেয়। এ সময় পিকাপের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত অঞ্জনা আক্তারের মা বলেন, আমার মেয়ের ২টি ছেলে সন্তান আছে, কয়েক মাস আগে আমার মেয়ের ডিভোর্স হয়েছে এখন মা ও মারা গেল ছেলে দুটি এতিম হয়ে গেল!। পরে ঝিনাইদহে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লোকজন এসে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঝিনাইদহে থানা-পুলিশ পিকাপ এবং চালকে আটক করেছে। নিহত অঞ্জনা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে,পরিবারের লোকজন বাদী হলে নিয়মিত মামলা করা হবে।