প্রতিষ্ঠানগুলোতেই পৌনে দুই কোটি টাকা কর পাওনা মেহেরপুর পৌরসভার

মেহেরপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অধীনে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত পৌর কর পাওনা রয়েছে ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯৭টাকা। এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকেও পৌরসভার কর পাওনা রয়েছে কয়েক কোটি টাকা। পাওনা টাকার পরিমান বেড়ে যাওয়ায় পৌরসভায় কর্মরত স্টাফদের বেতন ও পৌরসভার খরচ মেটানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশে পৌরসভাকে কর দেননি অনেক প্রতিষ্ঠান।

মেহেরপুর পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে বর্তমান চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত অনেক প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কর দিচ্ছেন না। বিভিন্ন সময় কর চাইতে গেলে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার মত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও তোয়াক্কা করতেন না। সরকার পালাবদলের পর পৌর পরিষদ অপসারণ করা হলে স্থানীয় সরকার পরিচালককে (ডিডি এলজি) কে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পৌরসভার প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। প্রশাসক দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৪ হাজার ৯৫৬ টাকা আদায় করেছে গত ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত এখনো পাওনা রয়েছে ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯৭ টাকা।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ৯টি ওয়ার্ডের অধীনে সরকারি বেসরকারি মিলে ৯৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো থেকে পৌর কর পেয়ে থাকে। এর মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে রয়েছে ১৬টি প্রতিষ্ঠান। বকেয়াসহ চলতি অর্থবছর পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাওনা রয়েছে ২৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৯ টাকা। এর মধ্যে সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিকট পাওনা ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ৩৩ লাখ ৯ হাজার ৬৮৪ টাকা, চলতি অর্থ বছরে পাওনা ৭৯ হাজার ৪২১ টাকা। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিকট ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত বকেয়া ১ লাখ ২৫ হাজার ৭২৭ টাকা এবং চলতি অর্থ বছরে পাওনা ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৩০ টাকা। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কার্যক্রম ইরেসপো) কার্যালয়ের নিকট ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত ১ লাখ ২২ হাজার ১৮৭ টাকা এবং চলতি অর্থ বছরের পাওনা ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৯০ টাকা।

বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত বকেয়া ৭২ হাজার ৩৮৮ টাকা এবং চলতি অর্থ বছরে পাওনা ৭২ হাজার ৩৮৮ টাকা। ১ নম্বর ওয়ার্ডে পৌরসভার মোট পাওনা চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত ২৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৯ টাকা। ২ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩টি। বকেয়াসহ এ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিকট পাওনা রয়েছে ৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৪ টাকা। শুধুমাত্র সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নিকট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৫ টাকা।
৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩টি। কোন বকেয়া না থাকলেও চলতি অর্থ বছরে শুধু পুলিশ সুপার সার্কেল অফিস থেকে পাওনা রয়েছে ৩৯ হাজার ৫০৫ টাকা। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে দুটি প্রতিষ্ঠান থাকলেও কোন বকেয়া অথবা পাওনা নেই।
৫ নম্বও ওয়র্ডেও অধীনে প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৪টি। এ ওয়ার্ডেও প্রতিষ্ঠাগুলোর নিকট বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৭ টাকা। এর মধ্যে উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ৭ হাজার টাকা। ছাগল ফার্ম থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ১৩০ টাকা। সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কার্যালয় থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ১০ লাখ ৮ হাজার ৫৮০ টাকা। কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বকেয়া ছিল ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪০ টাকা যা ইতোমধ্যে পরিশোধ কেেরছে প্রতিষ্ঠানটি।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১০টি। বকেয়সাসহ পাওনা রয়েছে ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪১ টাকা। এর মধ্যে বড়বাজারে অবস্থিত মেহেরপুর সরকারি কলেজের দোকান ঘর থেকে বকেয়াসহ ১ লাখ ৮ হাজার ২৩৪টাকা।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১১টি। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বকেয়াসহ চলতি অর্থ বছরে পাওনা রয়েছে ২২ লাখ ৭৩ হাজার ৬৫৮ টাকা। এর মধ্যে পুলিশ লাইন থেকে বকেয়াসহ ৫ লাখ ৫০ হাজার ৮৪৭ টাকা পাওনা রয়েছে।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে অফিস রয়েছে ২১টি। এর মধ্যে গণপূর্ত বিভাগের তিনটি ভবন থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ৫লাখ ৭৩ হাজার ৮৬০ টাকা, মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ২৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩১০ টাকা, জেলা বীজ প্রত্যায়ন এজেন্সি থেকৈ বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮০৪ টাকা, এসি ল্যাণ্ড অফিস থেকে ২০১৫-১৬ অথ বছর থেকে এ পর্যন্ত বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৬৪০ টাকা, পৌর তহশিল অফিসের ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে এ পর্যন্ত বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯৭৭ টাকা, পাবলিক লাইব্রেরি থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ১০ লাখ ৫১ হাজার ৩৭০ টাকা, জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ১০ হাজার টাকা।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে অফিস রয়েছে ১৫টি। এর মধ্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫২ টাকা, জেলা পরিষদের দুটি ভবন থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬০ টাকা।

এর মধ্যে সম্প্রতি কর পরিশোধ করেছেন কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান জানান, এর আগে যে পরিমাণ কর ছিলো তা হেড অফিসের অনুমোদন ছিলো। পরবর্তিতে পৌর কর বেড়ে যাওয়ায় হেড অফিসের অনুমোদন পেতে সময় লাগে। যে কারণে বকেয়া তৈরি হয়েছিলো। তবে বর্তমান প্রশাসক মহোদয়ের আহবানে আমরা ৩৫ লাখ টাকারও বেশি কর পরিশোধ করেছি।

তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারকে পৌর কর কেন দেওয়া হয়নি তার সদুত্তর না দিয়ে বলেন বুঝে নেন।

মেহেরপুর পৌরসভার প্রশাসক মো: শামিম হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানসহ সেবাগ্রহিতারা যদি নিয়মিত কর পরিশোধ না করেন তবে পৌরসভার ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে যাবে। যেখানে প্রতিমাসে স্টাফ বেতনসহ বিভিন্ন খরচ রয়েছে।




হোয়াটসঅ্যাপের এআই চ্যাটবটে আসছে নতুন ফিচার

হোয়াটসঅ্যাপের এআই চ্যাটবটে নতুন ফিচার আসছে। নতুন ফিচারে এর ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন প্রম্পট ও নির্দেশনা সংরক্ষণ করে রাখার সুবিধা পাবেন।

জানা গেছে, ‘মেমোরি সেকশন’ নামে নতুন এই ফিচারটি যুক্ত হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপের এআই চ্যাটবটে। হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএবেটাইনফো জানিয়েছে, বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড বেটা ২.২৪.২২.৯ সংস্করণে নতুন এ ফিচারটির কার্যকারিতা পরীক্ষা চলছে। আশা করা হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপের পরবর্তী সংস্করণে এটি যুক্ত হবে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যবহারকারীরা যখন মেটা এআই অপশন ট্যাপ করবেন, তখন নোটিফিকেশন ও মিডিয়া ভিজিবিলিটির পাশে মেমোরি সেকশনও দেখতে পাবেন। এ সেকশনে ব্যবহারকারীদের পূর্বের বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর সংরক্ষিত থাকবে।

ফলে এআই চ্যাটবট প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় পুরোনো তথ্য পর্যালোচনা করে বর্তমানের তুলনায় আরও প্রাসঙ্গিক তথ্য দিতে পারবে। অর্থাৎ, একই প্রশ্নের উত্তর ব্যবহারকারীর আগের প্রশ্ন ও আচরণের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলে মেটা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের সার্চ বারে নিজেদের তৈরি এআই চ্যাটবট যুক্ত করার ঘোষণা দেয়। বিনামূল্যে ব্যবহারের উপযোগী চ্যাটবটটি বার্তা লেখার পাশাপাশি গুগল ও বিং সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। এটি দ্রুত কৃত্রিম ছবি তৈরির পাশাপাশি যে কোনো ছবিকে অ্যানিমেশন ও জিআইএফ ফরম্যাটে রূপান্তর করার সক্ষমতাও রাখে। তবে মেটার তৈরি চ্যাটবটটি এখনো সব দেশে উন্মুক্ত হয়নি।

সূত্র : অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ




মেহেরপুরে জেলা পর্যায়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম অবহিতকরণ সভা 

মেহেরপুরে জেলা পর্যায়ে “এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম ২০২৪” সম্পর্কে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২২অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা তথ্য অফিসারের সম্মেলন কক্ষে এ অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত অবহিতকরণ সভায়  জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জে এম সিরাজুম মূনীর,  সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ইনজামামুল হক , সাংবাদিক দিলরুবা খাতুন,  মাঝিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুৎ ছবি বিশ্বাস, শিক্ষার্থী মৌসুফা ইসলাম প্রমুখ।

মেহেরপুরে জেলা পর্যায়ে “এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম ২০২৪” সম্পর্কে অবহিতকরণ সভায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল।




চার বছর পর ফের ‘ঢাকা ফোক ফেস্ট’

লোকসংগীত বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। সংগীতের এ ধারায় মিশে আছে জীবনের গভীর দর্শন, আধ্যাত্মিকতা, প্রেম আর মাটির ঘ্রাণ। বাংলার লোকসংগীতকে বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এশিয়ার সবচেয়ে বড় লোকসংগীতের অনুষ্ঠান ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট’ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

তবে ২০১৯ সালে উৎসবের পঞ্চম আসরের পর এটি আর অনুষ্ঠিত হয়নি। ধারাবাহিকভাবে পাঁচ বছরের পরিক্রমায় সংগীতপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট’। সেটি বন্ধ হওয়ায় হতাশ হয়েছেন সংগীতপ্রেমীরা।

আশার কথা হলো, চার বছরের বিরতি কাটিয়ে আবারো ফিরতে চলেছে লোক গানের উৎসবটি। এরই মধ্যে ফোকফেস্ট নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সান ফাউন্ডেশনের আলোচনা শুরু হয়েছে। শিল্পী বাছাই প্রক্রিয়াও চলছে। সাধারণত শীতকালেই বসে গানের উৎসবটি। সেই ভাবনা থেকে আসছে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে শুরু হতে পারে ফোকফেস্ট।

আগের মতো এবারও আর্মি স্টেডিয়ামেই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সবকিছু অনুকূলে থাকলে আগের বছরগুলোর চেয়েও আরো জাঁকজমক করে এটি আয়োজনের চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি। শিল্পী তালিকাতেও থাকবে চমক। ২০১৫ সাল থেকে হওয়া উৎসবটিতে এখন পর্যন্ত ১৭ দেশের ৫০০ লোকসংগীত শিল্পী এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে আবারও ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বোমা, কাফড়ের কাপড় ও সাবান উদ্ধার

আবারও ব্যবসায়ীর বাড়িতে হাতবোমা, কাফনের কাপড়, সাবান ও আগরবাতি রেখে গেছে দূর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে গাংনী উপজেলার কড়ইগাছি গ্রামের ব্যবসায়ী সুমন আলীর বাড়ির হেসেল ঘরের সামনে থেকে এগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

এনিয়ে গত এক মাসে গাংনী উপজেলার পৃথক তিনটি স্থানে হাতবোমা, কাফনের কাপড় ও চিরকুট রেখে গেছে।

গাংনী উপজেলার এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বাড়ির মালিকের ফোন কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এতে লাল কসটেপ মোড়ানো দুটি হাতবোমা, এক টুকরো কাফনের কাপড়, দুটি শাবান ও আগরবাতি উদ্ধার করা হয়। গৃহকর্তা সুমনের বাড়ির হেসেল ঘরের চুলার পাশে এগুলো রেখেছিল দূবৃর্ত্তরা। বোমা দুটি উদ্ধার করে পানি ভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে।

গৃহকর্তা সুমন আলী জানান, সকালের আমার স্ত্রী রান্না করতে গিয়ে এগুলো দেখে জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে। পরে এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পে খবর দিলে পুলিশ এসে এগুলো উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, আমাকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য বা কাউকে ফাঁসানোর জন্য হয়তো দূর্বৃত্তরা একাজ করেছে।

সুমন আলী আরও জানান, কয়েকদিন আগে গ্রামের মামা সম্পর্কের ইকবার আলী, মিয়াজান আলী আমাকে গ্রাম থেকে ৫/৬ মাসের মত চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তার আগে ৬ আগষ্ট কড়ইগাছি বাজারে আমার জুদ সেন্ডেল ও কাপড়ের দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।

গাংনী থানার তদন্ত অফিসার মেজবাহ উদ্দীন বলেন, লাল কসটেপ মোড়ানো দুটি হাত বোমা, এক টুকরো কাফনের কাপড়, দুইটি সাবান, আগরবাতি উদ্ধার করা হয়েছে। কাউকে ফাঁসানোর জন্য নাকি হুমকী দেওয়ার জন্য এগুলো রেখে গেছে পুলিশ তদন্ত করছে। এঘটনায় মামলা হবে।




৩৬৯ দিন পর নেইমারের মাঠে ফেরা

ক্যারিয়ারের একটা বড় অংশ মাঠের বাইরে অপেক্ষা করেই পার করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের পোস্টার বয় নেইমার জুনিয়র। তবে গেল এক বছরের বেশি সময় এরকম টানা অপেক্ষা হয়ত নেইমারকে আর কখনোই করতে হয়নি।

এসিএল আর হাঁটুর চোটে নেইমার মাঠের বাইরে ছিলেন ঠিক এক বছর চার দিন। নেইমারের মতো ভক্তরাও অপেক্ষায় ছিলেন দিনের পর দিন। চোট সারিয়ে কবে ফিরবেন নেইমার?

এই প্রশ্ন বহুবারই শুনতে হয়েছে জর্জ হেসুস কিংবা ব্রাজিলিয়ান কোচদের। সেই অপেক্ষার শেষ হলো সোমবার রাতেই। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিটে আল আইনের বিপক্ষে মাঠে নামলেন নেইমার। গোল কিংবা অ্যাসিস্ট না পেলেও এদিন দলের দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছেন মাঠে থেকেই।

নেইমারের মাঠে ফেরার দিনে গ্যালারিতে ছিলেন তার প্রেমিকা ব্রুনা বিয়ানকার্দি। পারিবারিক সঙ্গী ছিলেন আরও দুজন। তাকে মাঠে ফিরতে দেখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে প্রিয়জন ও ভক্তদের মুখে।

গত বছর ১৮ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন নেইমার। এসিএল চোটের পাশাপাশি হাঁটুর মিনিসকাসেও আঘাত পেয়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর শুরু হয় তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল ‘নেইমারের জন্য অপেক্ষা।’ ৩৬৯ দিন পর ঘুচল সেই অপেক্ষা। আল আইনের মাঠে আল হিলালের ৫-৪ গোলে জয় আর দুই হ্যাটট্রিক ছাপিয়ে এই ম্যাচে নেইমারের মাঠে ফেরাই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় খবর।

বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন নেইমার। আলেক্সান্দার মিত্রোভিচের সঙ্গে পাস আদান প্রদান করে বক্স থেকে শট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। শট নিলেও আল আইন গোলরক্ষকের কারণে সেটায় গোল পাওয়া হয়নি নেইমারের। ম্যাচে যোগ করা ১৬ মিনিট সময়েও একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। সেটিও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। সেটি কাজে লাগাতে না পারলেও তাঁর মাঠে ফেরাটাই বড় স্বস্তি হবে ভক্তদের জন্য।

নেইমার নিজেও এই ফেরার দিন গুনেছেন। সেটি বোঝা গেল ম্যাচের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার পোস্টেই, ‘এই অনুভূতিটা আবারও জেগে ওঠায় ভালো লাগছে। ম্যাচের আগে স্নায়ুচাপে ভোগাটা দারুণ…আশা করি স্বাস্থ্যকর প্রত্যাবর্তন হবে।’

৯ গোলের রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে আল হিলালের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন সালেম-আল দাসারি। আল আইনের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন সুফিয়ান রাহিমি। দুই হ্যাটট্রিকের ম্যাচে জয়টা পেয়েছে নেইমারের দলটা।

গত বছর আগস্টে সৌদি ক্লাবটিতে যোগ দেন নেইমার। হাঁটুর চোটে পড়ার আগে ক্লাবটির হয়ে মাত্র ৫টি ম্যাচ খেলেন। তাকে সৌদি প্রো লিগে এখনো নিবন্ধিত করতে পারেনি আল হিলাল। জানুয়ারির আগে নিবন্ধিত করার সুযোগ না থাকায় আপাতত সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে নেইমারকে দেখা যাবে না।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন 

ছাত্র-জনতা অঙ্গীকার নিরাপদ সড়ক হোক সবার এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২২অক্টোবর ) সকালে ১০টার সময় জেলা প্রশাসক ও বিআরটিএ আয়োজন মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মেহনাজ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক বজলুর রহমান, মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, সহকারী প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী, সিনিয়র শিক্ষক হাসান ফেরদৌস, মেহেরপুর জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধ আশিক রাব্বি, বিআরটিএ অফিস সহায়ক আবুল কালাম আজাদ।

এ সময় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন মেহেরপুর বিআরটিএ ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমান।




রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মেহেরপুরে মশাল মিছিল

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মেহেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার রাত ৮ টায় মেহেরপুর শহীদ ডক্টর শামসুজ্জোহা নগর উদ্যান থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মিছিলটি শেষ করা হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

এই সময় বক্তারা বলেন দ্রুত সম্ভব রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ করতে হবে এবং তাকে জাতির উদ্দেশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে আমাদের উপর যারা হামলা করেছে আমরা তাদের দ্রুত বিচার চাই অনেক কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করেছি আমরা আমার ভাইদের তাজা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইমতিয়াজ আহমেদ, আশিক রাব্বি, তামিম ইসলাম, নাসিম রানা বাঁধন ও সাইদ আহমেদ প্রমুখ।




আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে রেললাইন থেকে গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে রেললাইনের পাশ থেকে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, সিলাকে তাঁর স্বামী হত্যা করেছে।

আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সন্নিকট এলাকা থেকে গৃহবধূ সিলা খাতুনের মরহেদ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সিলা খাতুন (২৪) সে জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের হার্ডওয়ার্ক ব্যবসায়ী রাসেল হোসেনের স্ত্রী ও একই উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে।

ঘটনার পর থেকে স্বামী রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। তবে নিহত সিলার পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করেছেন রাসেল ও তার পরিবারের লোকজন ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয় বছর আগে রাসেল ও সিলার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই রাসেল মাদক সেবন করতো। এনিয়ে সিলা প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করতেন। বিভিন্ন সময় পরিবারের কাছে টাকা দাবি করতেন। টাকা না দিলে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন রাসেল।  গতকাল রোববার দুপুরে ১৫০ টাকা চুরির অভিযোগ তুলে সিলাকে মারধর করে রাসেল। ওই দিন রাত ১২ টার সিলা নিখোঁজ বলে রাসেল তার শ্বশুর পরিবারকে ফোনে জানান। রাতভর সিলার পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে। পরে  আজ সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জ এলাকার রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের ভাই সাহেব আলী জানান, গতকাল রোববার দুপুরে সিলাকে মারপিট করে রাসেল। রাতে মোবাইলে জানান বোন বাড়ি থেকে চলে গেছে, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সকালে মুন্সিগঞ্জ রেললাইনের পাশ থেকে বোনের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, তার বোনকে রাসেল পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে গেছে।

পোড়াদহ রেলওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) জহির হোসেন বলেন, লাশের মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের কাটার চিহ্ন রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে এটি হত্যা। তদন্তের প্রয়োজনে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।




গাংনীতে যাত্রী ছাউনি ও তৎসংলগ্ন দোকান অপসারণে সরেজমিনে তদন্ত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যাত্রী ছাউনি ও তৎসংলগ্ন (মেসার্স আব্দুল মালেক ফল ভান্ডার) দোকান ঘর অপসারণের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেছে জেলা প্রশাসক গঠিত ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা।

আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে গাংনী বাসস্ট্যান্ডে এসবি কাউন্টারের সামনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন তদন্তকারী দলের সদস্যরা। এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় জড়ে হয় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। তদন্ত কমিটির কাছে জনগনের চাওয়া ও দাবীকে গুরুত্বের সাথে দেখে অপসারণ কাজ দ্রত বাস্তবায়ন চান উপস্থিতিরা।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন গাংনী পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা।

গাংনী বাজার দারুচ্ছালাম মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ মহসিনের সভাপতিত্বে তদন্ত কমিটির আহবায়ক মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক এবং মেহেরপুর পৌরসভার প্রশাসক মোঃ শামীম হোসেন।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন , আমি আসার সময় দেখেছি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গাংনী বাজারের প্রত্যেকটা দোকানদার তাদের দোকান বন্ধ করে এখানে অবস্থান নিয়েছেন। এটাকে আমি শ্রদ্ধা করি এবং আমার ভালো লেগেছে। সত্যিই আমি অভিভূত হয়েছি। এই যে একতা এটাকে সকলে মিলে ধরে রাখবেন। একটা ভালো কাজের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জনগণ সকলে মিলে এক হওয়া এটা অনেক ভালো। জনতার যে দাবি সকলে একত্রিত থাকলে সেই দাবি বাস্তবায়িত হয়। দুশ্চিন্তার কোন কিছু নেই। জনগনের দাবীর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্য তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।

পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গাংনী পৌর প্রশাসক প্রীতম সাহা, গাংনী বাজারের এস এম প্লাজার স্বত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম, সাংবাদিক তোফায়েল হোসেন, গাংনী বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম স্বপন।

পরে তদন্ত কমিটির সদসরা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

তদন্ত কমিটির সামনে গাংনী বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বাসস্ট্যান্ডে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যাত্রী ছাউনি ও সংলগ্ন মেসার্স আব্দুল মালেক ফল ভাণ্ডার অপসারণের জোর দাবী জানান।

তদন্ত কমিটিতে মেহেরপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা পরিষদের সহকারি প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, মেহেরপুর- কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ডে হাটবোয়ালীয়া সড়কের সংযোগ স্থলে যাত্রী ছাউনি ও তৎসংলগ্ন আব্দুল মালেক ফল ভান্ডার অপসারণে দাবীতে গত ২৪/০৯/২০২৪ ইং তারিখে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক,সড়ক ও জানপদ বিভাগ, জেলা পরিষদ, মেহেরপুর জেলায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন স্থানীয়রা। উক্ত স্মারকলিপি অনুযায়ী জনগুরুক্তপুর্ণ বিষয়টি বিবেচনা করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিকে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।