কোকের বিজ্ঞাপন করে ক্ষমা চাইলেন শিমুল

কোমল পানীয় কোকাকোলার বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সমালোচিত হচ্ছেন অভিনেতা শিমুল শর্মা। এই সমালোচনা ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লাগায় ক্ষমা চেয়েছেন ব্যাচেলর পয়েন্ট অভিনেতা।

সোমবার সকাল থেকেই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে তুমুল আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বিজ্ঞাপনের শেষ সংলাপটি হলো একটা চুমুক দেন- তারপর সার্চ দেন। অর্থাৎ গুজবে কান না দিয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখুন-এমনই বক্তব্য।

এরপরই নেটিজেনদের সমালোচনার কবলে পড়ে বিজ্ঞাপনটি। ফলে বিজ্ঞাপনের মডেল শিমুল শর্মা নেটিজেনদের অনুভূতিকে গুরুত্ব দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।

পোস্টে শিমুল বলেন, আমি শিমুল শর্মা। যদি ও পরিচয় দেবার মতো একজন অভিনেতা এখনো হয়ে উঠতে পারিনি কারণ একজন অভিনেতা হবার জন্য যে অধ্যাবসায় এবং দূরদর্শিতা দরকার সেটা এখনো আমার হয়ে উঠেনি, আমি চেষ্টা করছি মাত্র। তাই হয়তো না বুঝে করা আমার কাজ আজ আমার দর্শক, তথা আমার পরিবার ও দেশের মানুষকে কষ্ট দিয়েছে।

তিনি বলেন, আর আমি ভবিষ্যতে কোনও কাজে অভিনয় করতে গেলে অবশ্যই আমাদের দেশের মূল্যবোধ, মানবাধিকার, মানুষের মনোভাবকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে বিবেচনা করে তারপর কাজ করবো।

আমি মাত্র আমার জীবনের পথচলা শুরু করেছি, আমার এই পথচলায় ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমাকে ভবিষ্যতে একজন বিবেকবান শিল্পী হয়ে ওঠার জন্য শুভ কামনায় রাখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

কোকাকোলা ইসরায়েলের একটি কোম্পানি-এমন একটি প্রচলিত কথা দেশের সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে কোকাকোলা বাংলাদেশ নানাভাবেই বোঝাতে চেয়েছে এটা ইসরায়েলি কোম্পানি নয়। বাংলাদেশের কোকাকোলা বাংলাদেশেই তৈরি হয়।

তবে এতে কোকাকোলা উল্লেখযোগ্যভাবে সফল হয়নি, হতে পারেনি। এবার সরাসরি কোকাকোলা কোম্পানি বিজ্ঞাপন বানাল, যেখানে স্পষ্ট করে বলে দিলো কোকাকোলা ১৯৩ টি দেশে তৈরি হয় এবং ফিলিস্তিনেও কোকের ফ্যাক্টরি রয়েছে। ইসরায়েলি কোম্পানি নামে যে কথা প্রচলিত রয়েছে তা একেবারে গুজব।

সূত্র: ইত্তেফাক




লেবাননের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মাঠে নামছে বাংলাদেশ

বিশ্বকাপের বাছাইয়ে খেলার সুযোগ শেষ হয়ে গেছে আগেই। এখন এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে লড়াই করছে বাংলাদেশ। রাউন্ড-২ এর খেলা আজ শেষ হবে। বাংলাদেশের ম্যাচ আজ লেবাননের বিপক্ষে রাত ১০টায়, খেলা হবে কাতারের দোহায় বিশ্বকাপ ২০২২ ফুটবল অনুষ্ঠিত খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।

এই ম্যাচের পর তৃতীয় রাউন্ডের খেলার ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এগিয়ে রয়েছে লেবানন। তাদের বিপক্ষে একটা ১টা ড্র রয়েছে। আর ঘরের মাঠে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলা শেষ হওয়ার অন্তিম মুহূর্তে গোল হজম করে ম্যাচটা হেরে গিয়েছিল ১-০ গোলে। ড্র হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার একটা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে।

গোলরক্ষক মিতুল আহত হয়ে মাঠ ছাড়লে সেখানে অনভিজ্ঞ মেহেদী হাসান শ্রাবণকে নামান কোচ। শ্রাবণ কিছু বুঝে ম্যাচের স্নায়ুর চাপ নিতে পারেননি। অথচ বেঞ্চে বসেছিলেন সাফের সেরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। গ্রুপ পর্বে আজ চার দলেরই শেষ ম্যাচ। কাতারে বাংলাদেশের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ লেবানন। তাদের হাতে রয়েছে ৩ পয়েন্ট। বাংলাদেশ যদি জিততে পারে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তবে জয়ের সেই সম্ভাবনা খুব কম। যদি লেবাননের বিপক্ষে আগের ম্যাচটা দেখা হয় তাহলে ম্যাচের প্রথমার্ধ পর্যন্ত লেবাননকে থামিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ।

৬৭ মিনিটে গোল হজম করে বাংলাদেশ। ৯ মিনিটের মধ্যে গোল শোধ করেন শেখ মোরসালিন। সেই ড্র ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের ফুটবলাররা বাড়তি প্রেরণা পাবে। তারও আগে বলতে হয় গত ৬ জুন ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ ২-০ গোলে হেরেছে, যেটা ৭-০ গোলে হারের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে রাখে বাংলাদেশকে। এই ম্যাচটাও বাংলাদেশের ফুটবলারদের আজ বাড়তি শক্তি দেবে। বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা তার ফুটবলারদের চাঙ্গা রাখতে জানিয়ে দিয়েছেন তারা ৩ পয়েন্ট পাওয়ার জন্য লড়াই করবেন। বলেছেন,‘আমরা লড়াই করতে চাই। যেমনটা করেছি অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। পজিটিভ ফুটবল খেলব এবং পজিটিভ রেজাল্ট চাই, ৩ পয়েন্টের জন্য লড়াই করতে চাই, অন্তত ১ পয়েন্ট নিয়ে হলেও আমরা কিছু একটা করে দেশে ফিরতে চাই।’

কাতারের খলিফা স্টেডিয়ামের অনেক স্মৃতি

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের দেশে বাংলাদেশ গেছে লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে। লেবাননের রাজনৈতিক কারণে লেবানন ভেন্যু করেছে কাতারের দোহায়। এই ম্যাচটা প্রথমে আল-সাদ স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ছিল। পরে সেটি খলিফা স্টেডিয়ামে স্থানান্তর করা হয়। খলিফা স্টেডিয়ামে ২০২২ বিশ্বকাপের খেলা হয়েছে। সেই মাঠে খেলবেন জামাল ভুঁইয়ারা। খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২০২২ বিশ্বকাপের ৮টা ম্যাচ হয়েছে।

জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ক্রোয়েশিয়া, ইকুয়েডর, কানাডা, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, মরক্কো ম্যাচ খেলেছে। গ্রুপ পর্বের ৬টা, রাউন্ড সিক্সটিনের একটি এবং তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হয়েছিল সেখানে। ৪৫ হাজার ৩৪৪ জন দর্শক হয়েছিল ইংল্যান্ড-ইরানের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। বিশ্বকাপের ম্যাচ হওয়ার আগে একটা স্টেডিয়ামের কদর থাকে এক রকম, আর বিশ্বকাপ হওয়ার পর সেই মাঠের কদর আকাশছোঁয়া উচ্চতায় চলে যায়। ঐতিয্যবাহী মাঠ হয়ে যায়। বিশ্বকাপের ম্যাচ হওয়া সেই মাঠে খেলবেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। অথচ এই মাঠে এর আগে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা খেলেছেন সেই ১৯৯৪ সালে ইয়েমেনের বিপক্ষে, ঐ খেলায় জিতেছিল মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদ।




মুজিবনগরে ১৯৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারী গ্রেফতার

মেহেরপুরে ১৯৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ মোঃ বকুল মিয়া (৪২) নামের এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) গাংনী ক্যাম্প।

আটক মো: বকুল মিয়া মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত ইসরাফিল হোসেনের ছেলে।

আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ১১ টার দিকে র‌্যাব-১২ এর সিপিসি-৩, মেহেরপুর কোম্পানীর একটি দল মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের গোরস্থানপাড়া এলাকার জনৈক মুছাদ আলীর বাড়ির পাশে অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলসহ এই মাদক কারবারীকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-১২ এর সিপিসি-৩, মেহেরপুর কোম্পানীর কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মনিরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে ফেনসিডিলের একটি চালান যাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে কদমতলা-গোরস্থানপাড়া রাস্তার মুছাদ আলীর বাড়ির দক্ষিণ পাশে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৯৭ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ ও বকুল মিয়াকে আটক করা হয়।

জব্দকৃত ফেনসিডিলের আনুমানিক মূল্য চার লাখ টাকা।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মুজিবনগর থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১৪(গ) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। যার মামলা নং -১৩, তারিখ-১১/০৬/২৪ ইং।

আটক ফেনসিডিলসহ বকুল মিয়াকে মুজিবনগর থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।




চ্যাটজিপিটির ‘চ্যাট হিস্ট্রি’ মুছতে যা করণীয়

বর্তমান প্রযুক্তির সবচেয়ে আলোচিত বিষয় চ্যাটজিপিটি। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের (এআই) এই চ্যাটবট মানুষের যেকোনো প্রশ্নের প্রায় নির্ভুল উত্তর দেয়। এ ছাড়া গল্প, গান, কবিতা, স্ক্রিপ্ট লেখার মতো সৃজনশীল কাজ কিংবা প্রোগামিং ও গবেষণার মতো জটিল কাজ অতি সহজেই চোখের পলকে প্রস্তুত করে ফেলে এই প্রযুক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উত্থানের ফলে অনেকেই এখন এআই, চ্যাটবট, চ্যাটজিপিটির সঙ্গে চ্যাটিং করে থাকেন।

অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখতে যেমন ব্রাউজার হিস্ট্রি বা সোশ্যাল মিডিয়ার পুরোনো ও অদ্ভুত স্ট্যাটাসগুলো মুছে ফেলা উচিত, ঠিক একইভাবে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে চ্যাটিংয়ের হিস্ট্রিও মুছে ফেলা উচিত বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট অ্যান্ড্রয়েড পুলিস।

চ্যাটজিপিটির চ্যাটিংয়ের হিস্ট্রি মুছে ফেলতে পাঁচ মিনিটেরও কম সময় লাগে। আর পিসি অথবা ফোন থেকে এটি সহজেই করা যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে চ্যাটজিপিটির চ্যাট হিস্ট্রি মুছে ফেলবেন।

ডেস্কটপ থেকে

ডেস্কটপের ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে চ্যাটজিপিটি অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। স্ক্রিনের বাম দিকে, নিচের কোনায় ‘লগইন’ বোতাম দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করে, নিজের তথ্য দিয়ে লগইন করুন। এরপর স্ক্রিনের ওপরের ডান কোনায় ‘ইউজার’ আইকনে ক্লিক করুন। ড্রপ ডাউন মেনু থেকে ‘সেটিংস’ অপশনটি বেছে নিন। ‘ডিলিট অল চ্যাটস’ অপশনটি তালিকার একদম নিচে থাকবে, এবং এর ডান পাশে বড় লাল রঙের রেডিও বোতাম থাকবে।

‘ডিলিট অল চ্যাটস’ অপশনটি বেছে নেওয়ার পর, স্ক্রিনে নিশ্চিতকরণের সতর্ক বার্তা দেখা যাবে। সেখানে ‘কনফার্ম’ অপশনে ক্লিক করার আগে নিশ্চিত হন, আসলেই সব চ্যাটিং ডিলিট করতে চান কিনা। কারণ, একবার সব চ্যাট ডিলিট করলে, সেগুলো আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না বলে লিখেছে ডিজিটাল ট্রেন্ডস।

ফোন থেকে

চ্যাটজিপিটি মোবাইল অ্যাপে লগইন করার পর, হোম পেজের ওপরের বাম কোনায় দুটি দাগের ওপরে ক্লিক করে নেভিগেশন মেনু চালু করুন। এরপরে স্ক্রিনের নিচে, নিজের প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করে সেটিংস মেনু চালু করে নিন। সেটিংস মেনু থেকে ‘ডেটা কন্ট্রোলস’ অপশনটি বেছে নিন। অ্যাকাউন্টের নিচের তালিকায় চতুর্থ অপশন এটি। পরের পেজ থেকে ‘ক্লিয়ার চ্যাট হিস্ট্রি’ অপশনটি বেছে নিন। এটি লাল রঙে লেখা থাকবে। এই অপশনে চাপ দেওয়ার পরে একটি পপআপ অপশন থেকে নিজের চ্যাট হিস্ট্রি ডিলিট করার বিষয়টি নিশ্চিত করে নিতে হবে।

আর কোনো নির্দিষ্ট চ্যাট মুছে ফেলতে ডেস্কটপ থেকে চ্যাটজিপিটির হোম পেজ চালু করে স্ক্রিনের বাম দিকের নেভিগেশন বারে যান। নির্দিষ্ট যে চ্যাটটি ডিলিট করতে চান, চ্যাট হিস্ট্রি থেকে সেটি খুঁজে বের করুন। এরপর, চ্যাট সেশনের শিরোনামের ডান দিকে থ্রি-ডট মেনুতে ক্লিক করুন। ড্রপ ডাউন মেনু থেকে ‘ডিলিট’ অপশনটি বেছে নিন। চ্যাটজিপিটির মোবাইল সংস্করণে, স্ক্রিনের ওপরের বাম দিক থেকে নেভিগেশন বার চালু করুন। চ্যাট থ্রেডের তালিকায় স্ক্রল করে যেটি ডিলিট করতে চান খুঁজে বের করুন। খুঁজে পেলে চ্যাটিংয়ের থ্রেডটির ওপরে চাপ দিয়ে ধরে রাখুন। এরপর বিকল্প অপশনে পপআপ মেনু চালু হবে। সেখান থেকে ডিলিট অপশন বেছে নিলেই নির্দিষ্ট চ্যাটটি ডিলিট হয়ে যাবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট গুলো

চুয়াডাঙ্গায় জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট গুলো। আসন্ন ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হাটগুলোতে বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়। কোরবানির পশুর দামও ভালো বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ী ও খামারিরা। তাই পশু কিনতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্য চলছে দর কষাকষি।

আজ সোমবার দামুড়হুদার ডুগডুগীর পশুহাট, ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ডুগডুগী পশুহাটে গরু বিক্রি করতে আসা উপজেলার কুমারীদহ গ্রামের ব্যবসায়ী সুজন আলী বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় এখন গরু-ছাগলের দাম তুলনামূলক বেশি। আজকে হাটে তিনটি গরু এনেছিলাম বিক্রির জন্য। পাঁচ হাজার টাকা করে লাভে দুটি বিক্রি করেছি। আরেকটা গরুর আশানুরূপ দাম না হওয়ায় বিক্রি করিনি। আগামী হাটে বিক্রি করবো।

জীবননগর উপজেলার মৃগমারী গ্রামের গরু ব্যবসায়ী বেল্টু বলেন, অন্যদিনের তুলনায় আজকের হাটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যাপারীরা এসেছেন। একারণে গরুর দামও বেশি। আজকে হাটে চারটি গরু এনেছিলাম। সবগুলো গরু বিক্রি হয়ে গেছে। লাভও বেশি হয়েছে। গরুর দাম এরকম থাকলে গরু পালনকারীরা লাভবান হবেন।

ডুগডুগী হাটে গরু কিনতে আসা খাইরুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতিবছর খামার থেকে গরু কিনে থাকি। খামার থেকে গরু কিনলে সুবিধা রয়েছে। ঈদ পর্যন্ত গরু খামারে রাখা যায়। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয় না। তবে এবছর গরুর দামটা একটু বেশি।

হাটে গরু কিনতে আসা সাঈদ শাহ্ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, কোরবানি করার জন্য মাঝারি গরু খুঁজছি। এবছর গরু প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাম বেশি মনে হচ্ছে। যেহেতু কোরবানি করতে হবে তাই বেশি দাম দিয়েই গরু কিনতে হচ্ছে।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১০ হাজার ৯১৭ টি খামার রয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ২ হাজার ৬৭৬ টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩ হাজার ৫৯৯ টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ১ হাজার ৯২৮ টি এবং জীবননগর উপজেলায় ২ হাজার ৭১৪ টি। এসব খামারে কোরবানি উপলক্ষে ২ লাখ ১১ হাজার ৮৭৯ টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে গরু ৫৪ হাজার ৮৯১ টি, মহিষ ১৬০ টি, ছাগল ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৬ টি, ভেড়া ৩ হাজার ৯২৫ টি এবং অন্যান্য ৭টি।

জীবননগর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের খামারি আবুল কালাম বলেন, তিন বছর আগে খামার গড়েছিলাম। খামারে মোট ২০টি গরু রয়েছে। যার মধ্য ১৮টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যদি গরুর দাম বর্তমান বাজারমূল্যে থাকে তাহলে খামারিরা লাভবান হবেন।

একই উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের খামারি রহিম শেখ বলেন, পাঁচ বছর আগে শখের বশে একটি খামার তৈরি করি। আমার খামারে বর্তমানে ১০টি গরু রয়েছে। যার মধ্য তিনটি গরু বিক্রি করেছি। বাকি গরু ঈদের মধ্যে বিক্রির আশা করছি। যদি এমন দাম থাকে তাহলে লাভবান হতে পারবো।

জীবননগর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের খামারি আবুল বাশার বলেন, আমার খামারে ৫০টি কোরবানি উপযুক্ত গরু ছিল। ২০টি গরু এরই মধ্যে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। এখনো আমার খামারে ৩০টি গরু আছে। এই গরুগুলো আরও সাইজে বড়। বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত বলতে পারছি না লাভ হবে না লোকসান হবে। তিনি আরও বলেন, খাবারের দাম গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি। এলাকায় বিক্রির উপযুক্ত কোরবানির গরু গত বছরের তুলনায় কম। বেচাকেনা গত বছরের তুলনায় কম হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শামীমুজ্জামান শামীম জানান, জেলায় এবার কোরবানির জন্য ৫৪ হাজার ৯৭৯ টি গরু ও মহিষ মোজাতাজা করা হয়েছে। এছাড়া এবার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮২১ টি ছাগল ও ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। খামারগুলোতে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পশু উৎপাদনে খামারিদের প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে নিয়মিত পরামর্শসহ বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, জেলার বিভিন্ন পশুহাট ও খামারগুলোতে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। খামারিদের পালনকরা পশু ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাহিদা পূরণ করবে। খামারিরা এবার কোরবানির পশুর ন্যায্যমূল্য পাবেন।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান জানান, পশুহাটগুলোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করছে। গরুর হা‌টে জাল নোট অজ্ঞান পা‌র্টির সদস্যদের ঠেকানোর জন্য পুলিশের নজরধারী রয়েছে। ই‌তিম‌ধ্যে গত ৪ দিন জেলার বি‌ভিন্ন এলাকায় অ‌ভিযান চা‌লিয়ে পু‌লিশ অজ্ঞান পা‌র্টির ৬ সদস্য‌কে কে‌মি‌কেল সহ আটক কর‌তে সক্ষম হ‌য়ে‌ছে। এছাড়া ব্যাপারীদের পশু আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও পুলিশের বাড়তি নজরধারী রয়েছে।




চাকরি দিবে পপুলার ফার্মা

দেশের শীর্ষস্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি কনট্রোল বিভাগ ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি

পদ ও বিভাগের নাম : এক্সিকিউটিভ, কোয়ালিটি কনট্রোল

আবেদনের বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৩০ বছর

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

কর্মস্থল : গাজীপুর (টঙ্গী)

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ২ বছর

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ৯ জুন, ২০২৪

চাকরির ধরন : ফুল টাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিস

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ তারিখ : ১৫ জুন, ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : রসায়ন, ফলিত রসায়ন, ফার্মেসিতে মাস্টার অব সায়েন্স (এমএসসি) ডিগ্রি থাকতে হবে।

অন্যান্য যোগ্যতা : এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, সক্রিয়, স্মার্ট ও ইতিবাচক মনোভাব, আন্তরিক ও সততা, ভালো যোগাযোগ দক্ষতা এবং ফার্মাসিউটিক্যালস শিল্প সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকতে হবে।

অন্যান্য সুবিধা : তহবিল, গ্র্যাচুইটি, তিনটি উৎসব বোনাস, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি, ছুটি, ভাড়া সহায়তা, লাভ বোনাস, সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন, পিক অ্যান্ড ড্রপ সুবিধা, গ্রুপ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, দুপুরের খাবার ছাড়াও বিভিন্ন সুবিধা পাবেন।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

ঠিকানা : শেলটেক পান্থকুঞ্জ, ১৭ শুক্রাবাদ, পশ্চিম পান্থপথ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫




কিভাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো যাবে জানালেন তামিম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সোমবার (১০ জুন) নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রোটয়াদের মোকাবিলা করবে টাইগাররা। এই ভেন্যু বোলারদের স্বর্গ। তাই নতুন বলে বাংলাদেশের বোলাররা ভালো করলেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো সম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর পূর্ববর্তী আলোচনায় অংশ নিয়ে তামিম বলেন, ‘অবশ্যই, আমার মনে হয় নতুন বলে বোলিংটা গুরুত্বপূর্ণ হবে। বিশেষ করে তাসকিনের ৪ ওভার এবং মোস্তাফিজ খুবই ‍গুরুত্বপূর্ণ। তারা (দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার) হয়তো রান করেনি কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে তারা খুবই বিপদজনক ব্যাটার।’

সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আপনি তাদেরকে সুযোগ দিতে পারবেন না কারণ ডি কক যদি একটু সুযোগ পায় তাহলে সে আপনাকে ভোগাবে। তাসকিন ভালো বোলিং করছে। সব মিলিয়ে নতুন বলে বাংলাদেশ ভালো বোলিং করছে। অবশ্যই উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পাবে। আমরা যে খেলাগুলো দেখেছি তাতে অসম বাউন্স আছে। বাংলাদেশ যদি জিততে চায় তাহলে নতুন বল খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে সম্পত্তি লুটের অভিযোগে ছেলের বিরুদ্ধে বাবার সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুরের চকশ্যামনগর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ফজলুল হক (জসিম)। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া, শারীরিক নির্যাতন এবং সম্পত্তি লুটসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে নিজের ছেলে ও বউয়ের অপকর্মের সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।

আজ সোমবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।

এবিষয়ে সদর থানার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন ফজলুল হকের ছেলে এনামুল, স্ত্রী মোছাঃ জাহানারা বেগম, আজিল হকের ছেলে সিরাজুল ও রাশেদুল, সাত্তরের ছেলে শাহাবুদ্দিন ওরফে বাদাম এবং আউব মন্ডলের ছেলে মোঃ জিনা।

সংবাদ সম্মেলনে ফজলুল হক (জসিম) বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমার ছেলে এনামুল ও স্ত্রী জাহানারা আমার সাথে আমার বাড়িতে বসবাস করে। আমার স্ত্রীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমার বাড়ির জমির ১০ কাঠা জমি আমার স্ত্রীর নামে লিখে দিই এবং কিছু জমি আমার নামে রেখে দিই।
কিন্তু আমার ছেলে আর বউ আমার বাড়ির অবশিষ্ট জমিও জোরপূর্বক তাদের নামে লিখে নিতে বলে। আমি তাদের নামে জমি লিখে না দেওয়াই আমার ছেলে, বউ এবং শালারা আমাকে নানা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। প্রতিনিয়ত তারা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে আমার বাড়ি দখলে পাইতারা করে।

তিনি আরো বলেন, গত ৫ জুন মধ্যরাতে সিরাজুল, রাশেদুল, বাদাম এবং জিনার সহযোগিতায় আমার ছেলে এনামুল আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং হাতে থাকা লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মর্মান্তক গুরুতর জখম করে।

সুষ্ঠু বিচার পেতে ও নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী ফজলুল হক।




চুয়াডাঙ্গায় ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি গৃহ প্রদান উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স

‘আশ্রায়ণের অধিকার,শেখ হাসিনার উপহার’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং গৃহ প্রদান করার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে রবিবার (৯ জুন) দুপুর ২টায় প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ-জোহরা জানান, আগামী বৃহস্পতিবার (১১জুন) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ম পর্যায়ে নির্ধারিত গৃহ উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমিসহ হস্তান্তর কাজের উদ্বোধন করবেন। চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে ৬টি এবং আলুকদিয়া ইউনিয়নের ঝোড়াঘাটা গ্রামে ৪ জন উপকারভোগীদের জমি ও গৃহের কবুলিয়ত এবং নামজারীর কপি তুলে দেয়া হবে।

এরা হলো আলুকদিয়া ইউনিয়নের ঝোড়াঘাটা গ্রামের স্বামী মফিজুর মল্লিক ও তার স্ত্রী কবিতা খাতুন, একই গ্রামের স্বামী জাহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী লিপি খাতুন, ওই গ্রামের কাওছার আলী ও তার স্ত্রী তামান্না খাতুন মেঘনা, স্বামী কামরুজ্জামান কল্লোল ও তার স্ত্রী সুরভী খাতুন। তিতুদহ ইউনিয়নের হুলিয়ামারী গ্রামের মোফাজ্জেল মন্ডলের মেয়ে সালেহা বেগম, তিতুদহ গ্রামের স্বামী আলমগীর হোসেন ও তার স্ত্রী পারভীনা খাতুন, একই গ্রামের স্বামী ইদবার আলী ও তার স্ত্রী নারগিস বেগম, বাদল উদ্দীনের মেয়ে ছারু খাতুন, স্বামী আনোয়ার শেখ ও তার স্ত্রী রশিনা বেগম এবং স্বামী রুহজেল হোসেন ও তার স্ত্রী আরজিনা খাতুন।

উল্লেখ্য, ১ম থেকে ৪র্থ পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ২০১টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং গৃহ প্রদান করা হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গা চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ ও পুনঃতফসিলের দাবিতে ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন

চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে স্বচ্ছ ভোটারতালিকা হালনাগাদ পূর্বকআসন্ন দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের পুনঃ তফসিলের দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এই দাবিতে মানববন্ধন, জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি আজ রবিবার সকাল ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়। পরে দুপুর ১২ টায় শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ব্যবসায়ীরা।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী ও চেম্বার সদস্যরা অভিযোগ করেন, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আসন্ন দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৪-২০২৫ ও ২০২৫-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনী তফসিল গত ২৫ মে প্রকাশিত হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী গত ৩ জুন খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অনেক ভূয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত আছে।

এক ব্যবসায়ী নেতার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরও ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে খসড়া ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমান সভাপতি ও সচিবের যোগসাজশে মে’২০২৪ মাসের মধ্যেই পাঁচ শতাধিক সদস্য অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। বাণিজ্য সংগঠনের নীতিমালার তোয়াক্কা না করে বর্তমান সভাপতি ইয়াকুব হোসেন জালিয়াতির মাধ্যমে বহু সদস্যকে অন্তর্ভুক্তি করেন। প্রতি বছর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও গত ১০ বছরে কোন সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। তাদের দাবি, এই কমিটির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই ঘোষিত তফসিল ও বর্তমান কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে।

এদিকে, স্মারকলিপি গ্রহণকালে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, স্মারকলিপিটি গ্রহণ করা হয়েছে। স্মারকলিপিটি বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট্য পর্যায়ে জানাবো। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেম্বার অব কমার্সের সদস্য আলাউদ্দীন হেলা।

উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী নেতা চেম্বারের সদস্য সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার, হাবিবুর রহমান, আবুল কালাম, মফিজুর রহমান, হাবিল হোসেন জোয়ার্দার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নানসহ অন্যরা।