রাত পোহালেই গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আগামীকাল মঙ্গলবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট যুদ্ধ।

উপজেলা নির্বাচনকে ঘীরে স্থানীয় রাজনীতি ও ভোটারদের মাঝে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ ও চুলচেরা বিশ্লেষণ। যার বড় অংশজুড়ে রয়েছে প্রার্থী নিয়ে পর্যালোচনা। বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক ও গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান মুকুল নিয়েই চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা।

প্রথম ধাপে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুটি উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় গাংনীর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে নানা হিসেব নিকেশ।

গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেলেও সদ্য সাবেক এমপি পত্নি লাইলা আরজুমান বানু শিলা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম ও গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন সাংবাদিক সম্মেলন করে সরে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমানে ভোটের মাঠে রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ খালেক (আনারস), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান মুকুল(হেলিকপ্টার), সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক জুয়েল (ঘোড়া), বিএনপির বহিস্কৃত নেতা জুলফিকার আলী ভূট্টো (কৈ মাছ) ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মুকুল জোয়াদ্দার (শালিক পাখি)।

এছাড়া ভাইসচেয়ারম্যান পদে ফারুক হাসান (টিউবওয়েল), দেলোয়ার হোসেন মিঠু (তালা), রেজাউল হক (চশমা)। তবে ইতোমধ্যে রেজাউল হক প্রতিদ্বদ্বীতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে ফারহানা ইয়াসমীন (হাঁস) আলপনা আক্তার (কলস) ও নাছিমা খাতুন (ফুটবল) প্রতীকে ভোট করছেন।

সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলাতে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৬ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩০ হাজার ২৪৭ ও পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ৮৪৯ জন।

১০৭ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ৩০ টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এদিকে নির্বাচনকে উৎসবমুখর নিরপেক্ষ ও অবাধ করার জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও নির্বাচন কমিশন থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার সরাঞ্জাম ও দায়ীত্বে নিয়োজিত, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নিরাপত্তার সাথে জড়িত সবাইকে ভোট কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ফোর্স হিসেবে ২ প্লাটুন বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান টিম টহল দিচ্ছেন।

এদিকে নির্বাচনকে ঘীরে বর্তমানে গাংনী উপজেলার আওয়ামীলীগের রাজনীতিক ও জন প্রতিনিধিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। মেহেরপুর-২ আসনের বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য (এমপি) এএসএম নাজমুল হক সাগর ও সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করলেও সাবেক এমপি মকবুল হোসেন ও গাংনী পৌর মেয়র আহমেদ আলীসহ অন্যান্য নেতারা মখলেছুর রহমান মুকুলের পক্ষে নিয়ে মাঠে ময়দানে কাজ করছেন।

অপরপক্ষে গাংনী পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম, এই উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপু নিয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকের পক্ষে ভোটের মাঠে কাজ করছেন।




অফিসে ডায়েটে থাকতে করনীয়

কর্মজীবী মানুষদের দিনের বেশি সময়টাতে থাকতে হয় অফিসে। সেইসঙ্গে অফিসে ব্যস্ত সময়ও পার করেন অনেকেই। শত ব্যস্ততার মাঝে ভুলে যান নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখতে। বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা।

বিভিন্ন ব্যস্ততার মাঝে সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হয় না। অনেকেই তাই বেছে নেন অস্বাস্থ্যকর খাবারকে। সেইখানে যুক্ত হয় বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত তেলে রান্না করা খাবার ইত্যাদি। যার ফলে আপনি চাইলেও পুষ্টিকর খাবার খেতে পারছেন না। এতে করে শরীরে ফ্যাট জমে যায় এবং বসে বসে কাজ করার ফলে ভুঁড়ি ও বেড়ে যায় পেটের। তাই অফিসের কাজের ফাঁকে নিজের শরীরের ও খেয়াল নিতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

অফিসে বাসার খাবার খান
বাইরের খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে এবং ঘরে বানানো খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে যেমন ভালো এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হবে তেমন খরচ ও কম হবে। ফলে ভুঁড়ি বাড়ার ভয় থাকবে না, শরীর ও ভালো থাকবে।

অফিসের শেষে হাঁটুন
অফিসের ফাঁকে ফাঁকে একটু হাঁটাহাঁটি করে নিতে পারেন। এতে করে ক্লান্তি ভাব যেমন থাকবে না তেমন শরীর ও ভালো থাকবে। অফিসে আসার ক্ষেত্রে চাইলে পায়ে হেঁটে ও অফিসে আসতে পারেন যদি কাছের পথ হয়। এতে করে বাড়তি ক্যালরি ঝরে যাবে। সম্ভব না হলে অফিসের পর সময় নিয়ে ঘণ্টা খানিক হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।

সঙ্গে বাদাম রাখুন
কাজের ফাঁকে খেতে পারেন এক মুঠ বাদাম। এটি বাড়তি ক্ষুধা দূর করতে সহায়তা করে এবং হেলথ এর জন্য ভালো কাজ করে। কেননা এতে আছে প্রচুর পরিমাণের প্রোটিন। যা কিনা আপনাকে সব সময় ফিট রাখতে সাহায্য করবে।

নিয়মিত পানি পান করুন
সুস্থ থাকার একমাত্র পথ হলো নিয়মিত পানি পান করা। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার। তাই নিয়মিত অফিসের ডেস্কেই রাখুন পানির বোতল। এতে করে পানি পান করা হবে এবং মেদ হওয়ার প্রবণতা ও কমে যাবে।

নিয়মিত ফল খান
স্বাস্থ্য যদি ভালো রাখতে চান তাহলে খেতে হবে বিভিন্ন রকমের ফল। তাই প্রতিদিন অফিসে নিয়ে রাখুন ফল।কাজের ফাঁকে ফাঁকে খেয়ে নিতে পারবেন। তাই সুস্বাস্থ্য পেতে চাইলে জাঙ্ক ফুড ও কোল্ড ড্রিংক বাদ দিতে হবে খাবারের তালিকা থেকে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়ায় কৃষি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ

কুষ্টিয়ায় কৃষি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে চার দিনের উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (২০ মে) সকালে কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকের কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ হলরুমে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।

কৃষি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়ায় এ উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি মো: রফিকুজ্জামান।

যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে প্রকল্পের মনিটরিং ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা মাসুম আব্দুল্লাহ এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির রাখেন অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মহসীন আলী, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল করীম, কৃষি প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কৃষি সবসময়ই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। এই খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে ও কৃষি উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতায় আরও বেশি মানুষকে সক্ষম করে তুলতে এই প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। তাই এ ধরণের প্রশিক্ষণ টেকসই সমাধান প্রদান ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে উদ্ভাবনীর চর্চা উৎসাহিত করবে, যা কৃষিখাতের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধিও নিশ্চিত করবে বলেও জানান তারা।

চার দিনের এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলার ৬০ জন কৃষি উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।

এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কৃষি উদ্যোক্তারা ব্যবহারিক দক্ষতা উন্নয়ন, বাজার ও বিপণন সক্ষমতা তৈরি এবং কৃষি-বিষয়ক ঋণ নীতি ও সুদহারের মতো কৃষিসংক্রান্ত কার্যক্রমের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ধারণা লাভ করেন।




নিপুণের পেছনের হাত লম্বা: ডিপজল

ঢালিউড অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে হারিয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর বিজয়ী সভপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গলায় মালা পড়িয়ে বরণও করে নিয়েছিলেন ভোটে পরাজিত নিপুণ।

তবে মাস গড়াতেই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে আদালতে রিট করেন এই নায়িকা। নিপুণের রিটের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে আপাতত ডিপজল এ পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনা তদন্তের জন্য সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের আদেশের পর বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তিনি বলেন, ‘আমি বরাবরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হাইকোর্ট যেহেতু রায় দিয়েছেন এখানে কিছু বলার নাই। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে দুই এক দিনের মধ্যে আমারা চেম্বার জজ আদালতে যাব।’

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ফুলের মালা দিয়ে নতুন কমিটিকে বরণ করে নেওয়ার একমাস পর আবার কমিটি বাতিল চাওয়ার পেছনে বড় শক্তি আছে বলে মনে করেন ডিপজল।

তার কথায়, ‘এটার পেছনে অবশ্যই বড় শক্তি আছে। যেহেতু দেশের বাইরে থেকে সে (নিপুণ) এসব করছে সেহেতু বুঝতে হবে তার পেছনের হাত লম্বা।’

নিপুণের এমন আচরণ নিয়ে সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডিপজল। তারও এ বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত বলে জানা তিনি। ডিপজলের ভাষ্য, ‘সোহেল রানা ভাইসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র শিল্পীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারও বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত।

এই দুই বছরে যে নোংরামি হয়েছে এর আগে এমন নজির নেই। বাংলাদেশের ফিল্মের মানুষ এমনটা করতে পারেন না।’

১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। যেখানে জয় লাভ করে মিশা-ডিপজল পরিষদ। ডিপজলের কাছে ১৬ ভোটে হেরে ফলাফলও মেনে নিয়েছিলেন নিপুণ! এমনকি ফলাফল ঘোষণার সময় নব নির্বাচিতদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছিলেন!

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৪ উদ্বোধন

মেহেরপুরে জেলা পর্যায়ে সাংস্কৃৃতিক উৎসব ২০২৪ উদ্বোধন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মেহেরপুর আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান।

জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আয়ুুব হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা তথ্য অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, নিরাপদ খাদ্য অফিসার রিয়াজ মাহমুদ, মেহেরপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি নুরুল আহমেদ, গাংনী উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক মন্টু প্রমুখ।

উদ্বোধনী দিনে মুজিবনগর উপজেলা দল, গাংনী উপজেলা দল, মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজ দল ও মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় দল অংশগ্রহণ করে।

জেলা প্রশাসক মো: শামীম হাসান বলেন- আমরা যে সাংস্কৃতিক উৎসব করছি, এটা আমাদের স্বাধীনতারই অংশ। আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের গর্ব আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতি। প্রান্তিক পর্যায়ে লুকিয়ে থাকা সংস্কৃতিকে তুলে আনতে হবে আমাদেরই।




সাবেক মেয়র মতুসহ ৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

মেহেরপুর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দুর দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রবিবার (১৯ মে) খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কনিকা বিশ্বাস এ আদেশ দেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর ছেলে ডা. মুত্তাকি বিল্লাহ শাফিন, প্রকৌশলী তোহিদুল ইসলাম লিওন, সৌমিক ব্রো, শামিম হাসান সোহাগ ও মেহেরাব হোসেন অপি।

গত মাসের ৪ এপ্রিল আসামিরা ট্রাইব্যুনাল থেকে জামিন প্রাপ্ত হন। রবিবার আদালতের দিন ধার্য ছিলো। আদালতে আসামিরা হাজির হননি এমনকি তাদের পক্ষে কোন আইনজীবীও ছিলেন না। ফলে জামিন পাওয়ার পর তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে মামলার অপর আসামি সাইফুল বাহার স্বাধীন পলাতক থাকায় গত ৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

জানা গেছে, গত বছরের ২৯ আগষ্ট একই আদালতে মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক মাহবুব চান্দু। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে কুষ্টিয়া পিবিআইকে তদেন্তর নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্ত শেষে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই মামলার অন্যতম আসামি মুত্তাকি বিল্লাহ শাফিনকে বাদ দিয়ে প্রতিবেদন জমা দিলেও আদালত মামলার গুরত্ব বিবেচনায় ৭ আসামিকে অন্তর্ভুক্ত করে সমন জারি করেন। গত ৪ এপ্রিল ৭ আসামির মধ্যে ৬ জন হাজির হয়ে জামিন আবদেন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বাকি একজন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় বাদীপক্ষে মিঠু চন্দ্র বসাক আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে গতবছরের ১ আগস্ট মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাংবাদিক মাহাবুব চান্দু। ঐদিনই কুষ্টিয়া পিবিআই কে তদন্ত দেয় আদালত। মামলার ১৫দিন পর জুডিশিয়াল কোর্ট থেকে বাদীর আইনজীবীকে বলা হয় মামলাটি এখানে নেয়া ঠিক হয়নি।

মামলাটি খুলনা সাইবার ট্রাইব্যালে করার পরামর্শ দেন। একইসাথে মামলাটি নথিজাত করা হলো মর্মে আদেশ দেন মেহেরপুর জুডিশিয়াল আদালত। পরবর্তীতে ২৯ আগস্ট ২০২৩ খুলনা সাইবার ট্রাইব্যালে পূনরায় মামলাটি করেন সাংবাদিক মাহাবুব চান্দু। খুলনার মামলার এজাহারেও মেহেরপুরের মামলার কথা উল্লেখ করা আছে।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, বাদি মাহাবুব চান্দু ২০ বছর যাবৎ সাংবাদিক পেশায় নিযুক্ত। বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ইতিপূর্বে তিনি জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, প্রতিদিনের সংবাদসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে সুনামের সাথে মেহেরপুরে সাংবাদিকতা করেছেন।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় তার বেশ সুনাম আছে। তার প্রকাশিত সংবাদের মধ্যে অনেকগুলো সংবাদ আদালত আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত মামলা করেছেন এবং ভুক্তভোগীরা সুফল পেয়েছেন। বাদী মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানী কাজে গত বছরের ২৪ জুলাই সকাল ১১টা ৫৩ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ১৬ পর্যন্ত মেহেরপুর সরকারী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অনুসন্ধান মুলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

আসামী মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর মেয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এর চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত থাকাতে তিনি খবরটা জেনে ক্ষিপ্ত হন। তারপর মায়ের হাসি ক্লিনিকের মালিক হিসেবে তিনি মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ইয়াদুল মোমিনকে আনুমানিক ২টা ২৫ মিনিটের দিকে মোবাইলে ফোন দেন। এসময় তিনি ফোনে হুমকি দিয়ে  বলেন তোমরা কি বারেখা হয়েছো, আমার মেয়ের বিরুদ্ধে তোমাদের দাঁত ভেঙ্গে দিব, ৫০টা চাঁদাবাজির মামলা দিব বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে ২৬ জুলাই মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন নিজের, তাঁর পরিবার ও অফিসের স্টাফদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য মেহেরপুর সদর থানাতে একটি জিডি করেন, যার নং ১৩৯১।

পরবতির্তে আসামী মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু তার মালিকানাধীন মায়ের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার আসামী সাইফুল বাহার স্বাধীনকে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদর থানা মেহেরপুর বরাবর বাদীর নামে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ লিখে থানায় অভিযোগটি জমা না দিয়ে মায়ের হাসি ক্লিনিক ফেসবুক আইডি থেকে পোষ্ট করে। পরে মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর ছেলে মুত্তাকী বিল্লাহ শাফিন তার ফেসবুকে নামধারী সাংবাদিক লিখে শেয়ার করে।

মুত্তাকী বিল্লাহ শাফিনের পোস্টে গিয়ে আসামী তৌহিদুল ইসলাম লিওন বাদী সম্বদ্ধে কৃষ্ণ নগরী, ভাত পেতনা, চাঁদাবাজী, ৫টা বউসহ ইত্যাদি মানহানি কর কথা লিখেছেন। সে আরো বলে জেল খেটে দেশে ফিরে এখন বড় সাংবাদিক হয়েছে”। আসামী সৌমিক ব্রো কমেন্টস করে বলেছেন, “আমি থাকলে শালাকে ওন স্পট হিট করে তোর ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে রাখতাম”।

আসামী শামিম হাসান সোহাগ ও মেহেরাব হোসেন অপি মিথ্যা বিষয়কে শেয়ার করে লাইক দিয়ে অপপ্রচারে সহায়তা করেছে। আসামীরা একই বিষয় একাধিকবার সোসাল মিডিয়ায় প্রচার করে বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে ভাইরাল করেছে।

আসামী মেহেরাব হোসেন অপি একটি অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল মেহেরপুর নিউজ ডটকম পোর্টালের ফেসবুক পেজ থেকে মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর মিথ্যা অভিযোগটি লাইভ প্রকাশ করে এবং নিজ আইডিতেও শেয়ার করে ভাইরাল করে।

আসামিদের মিথ্যা অপপ্রচার করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্যে এবং অনুসন্ধানী ও সুস্থ ধারার সাংবাদিক গোষ্টীর পথ রুদ্ধ করেছে বলে বাদী অভিযোগ করেন।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক মাহাবুব চান্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবজীর অভিযোগ তোলায় গতবছরের ৩০ জুলাই মেহেরপুরের সাংবাদিক সমাজ জেলা প্রসাশকের কার্যালয়ের সামনে একটি মানববন্ধন করে।




ইতিহাস গড়ে টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা ম্যানসিটির

শেষ ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল দুই দলের সুযোগ ছিল শিরোপা জেতার। তবে ছিল কিছু সমীকরণ। সব সমীকরণকে পাশ কাঁটিয়ে ওয়েস্ট হ্যামকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। এই নিয়ে টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়েছে ম্যানসিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এর আগে কোনো দলই টানা চারবার শিরোপা জিততে পারেনি।

রোববার (১৯ মে) শিরোপা প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে মাঠে নামে ম্যানসিটি। তাই শিরোপা জিততে আর্সেনালের জয়ের বিপরীতে হারতে হতো ম্যানসিটিকে। তবে আর্সেনালকে সেই সুযোগ না দিয়ে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় ম্যানসিটি।

৩৮ ম্যাচে ২৮ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৯১ পয়েন্ট নিয়ে টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা নিজেদের করে নেয় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। একই ম্যাচে ২৮ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো আর্সেনালকে।

ম্যাচের দুই মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ম্যানসিটি। বের্নার্দো সিলভার অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন ফিল ফোডেন। এরপর ম্যাচের ১৮ মিনিটে আবারও গোল করে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফোডেন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে মোহাম্মদ কুদুসের গোলে ব্যবধান কমায় ওয়েস্ট হাম।

তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় ম্যানসিটি। রদ্রি গোলে করে ব্যবধান বাড়ান। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে ম্যানসিটি।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে বীরমুক্তিযোদ্ধা তাজুলকে রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন

গাংনী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলামকে (৮০) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২০ মে) সকাল ৮ টার সময় গাংনী উপজেলা ঝোরপাড়া ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে গতকাল রবিবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলা প্রশানের পক্ষ থেকে সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীমের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। গাংনী থানা পুলিশের একটি চৌকস দল জাতির এই সূর্য সন্তানকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এসময় বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসাব উদ্দীন, গোলাম মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জানাযাতে অংশ নেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বীরমুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলামের বাড়ি গাংনী উপজেলার ঝোরপাড়া গ্রামে। মৃত্যুকালে তার স্ত্রী, ৪ ছেলে, ১ মেয়ে, আত্বীয়-স্বজন, বন্ধু, সহকমীর্সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রয়েছেন।

তার ছেলে মো: আলাউদ্দিন জানান, আমার বাবা দীর্ঘদিন যাবৎ কিডনি ও পোস্টেড রোগে আক্রান্ত ছিলেন। বাড়িতে রেখেই তার চিকিৎসা চলছিল। রবিবার বিকাল ৩ টার সময় নিজ বাড়িতে শেষ নি:স্বাস ত্যাগ করেন।

মহান এই মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও সমবেদনা জানিয়েছেন তার এক সময়ের রণাঙ্গনের সাথীরা ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।




আলমডাঙ্গায় নকল স্যালাইন বিক্রির অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নকল ওরস্যালাইন বিক্রির অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ রবিবার বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ও হাটবোয়ালিয়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সহল আহমেদ।

অভিযানে সার-কীটনাশক, মুদি দোকান, স্যালাইনসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করেন তিনি।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, ভাংবাড়ীয়া এলাকায় মেসার্স মারিফুল স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিকালে এসএমসির ওরস্যালাইন এন-এর নকল স্যালাইন বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এসময় প্রায় ১ কার্টুন (৫০০ প্যাকেট) নকল স্যালাইন জব্দ করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রয় ও সারের ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. মারুফুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১ ও ৪৫ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরবর্তীতে মারুফুলকে নিয়ে তার দেওয়া তথ্যমতে নকল ওরস্যালাইন-এর সাপ্লায়ার মেসার্স লিটন স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিটনুজ্জামান প্রথমে নকল স্যালাইন বিক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তার বাড়ি ও গোডাউন তল্লাশি করতে চাইলে এক পর্যায়ে তিনি নকল স্যালাইন বিক্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন।

পরে তার দেওয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে ৬ কার্টুন (৩ হাজার প্যাকেট) নকল এসএমসির ওরস্যালাইন এন জব্দ করা হয়। নকল ভেজাল স্যালাইন বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিটনুজ্জামানকে ৪১ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দ করা নকল স্যালাইন আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, সবাইকে যথাযথভাবে আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। প্রতিনিয়ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এসময় কোনো পণ্য ক্রয়ের আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে কেনার জন্য ভোক্তাদের অনুরোধ করেন। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।




মেহেরপুরে ব্র্যাক কার্যালয় পরিদর্শন করলেন ইউএনও

মেহেরপুরে ব্র্যাক অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান।

আজ রবিবার (১৯ মে) দুপুরে ব্র্যাক মেহেরপুর সদর কার্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি।

অফিস পরিদর্শনকালে ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচির কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হন এবং দফরপুর, আমঝুপি ব্র্যাক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কমিউনিটির পর্যায়ে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক পরিদর্শন করেন এবং ওখানে উপস্থিত সকলকে সচেতনতামূলক বার্তা দেন।

এসময় মেহেরপুর বিডিসি শেখ মনিরুল হুদা, টিবি কনট্রোল প্রোগ্রাম ডিএম অচিন্ত কুমার বোস, ফাইনান্স এন্ড একাউন্টস ইউএএম সমীর কুমার বিশ্বাস, মাইক্রোফাইনান্স দাবি এলাকা ব্যবস্থাপক মো: এমরান হোসেন, মাইক্রোফাইনান্স দাবি শাখা ব্যবস্থাপক মো: মাহামুদুল হাসান, মাইক্রোফাইনান্স প্রগতি এলাকা ব্যবস্থাপক জোছনা বেগমসহ অন্যান্য ব্র্যাক কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।