আলমডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায়

আলমডাঙ্গা পৌর শহরে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে উত্তরা ট্রেডার্সকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ রোববার বিকেলে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারে আড়ত, সার ডিলার, চাল, মুদি দোকানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানে তদারকি করা হয়।

এ সময় মেসার্স উত্তরা ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। গ্যাসের মুল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও দাম বেশি নেয়া। বিভিন্ন কোম্পানির গো-খাদ্য ভূষি প্যাকেট খুলে ভেজাল করা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ড্যামেজ ভূষি রোদে শুকিয়ে পুনরায় প্যাকেট করে বিক্রি করা। এছাড়া মেয়াদ ও মূল্য বিহীন পণ্য বিক্রি করাসহ নানা অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার শ্রী সুশীল কুমার বিশ্বাসকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭, ৪০ ও ৪৫ ধারায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় সবজি বাজার, মুদি দোকান, আলু পেঁয়াজের আড়তসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। এসময় সব ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি, ভাউচার সংরক্ষণ ও মূল্যতালিকা প্রদর্শন করতে বলা হয়। এছাড়া সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. মাহফুজুর রহমান ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।




চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালন

‘জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন, আনব দেশে সুশাসন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় জাতীয়জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের কোর্ট মোড়ে ঘুরে একই স্থানে র‌্যালি শেষ হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা করা হয় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে।

চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘নাগরিককে জন্ম সনদ দিতে হবে। এই জন্য সবাইকে জন্ম ও মৃত্যু সনদ গ্রহণ করতে হবে। জন্ম সনদে সব সময় ছোট নাম দিতে হবে। গ্রামের ইউনিয়নপর্যায়ে জন্ম ও মৃত্যু সনদ নিতে যেন কোন বিলম্ব সৃষ্টি না হয়। এই জন্য গ্রামের পুলিশের সচেতন থাকতে হবে। গ্রাম পুলিশের সঠিক তথ্যের কারণে জন্ম ও মৃত্যুর সঠিক তথ্য পাওয়াযায়। ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যুর সনদ গ্রহন করতে হয়। জন্ম সনদ ও মৃত্যু সনদের আইন মানতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু সনদে ভুল দ্রুতসংশোধন করে সকল নাগরিককে দিতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সময় মতো রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু সনদের তথ্য সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে। শিশুজন্ম গ্রহণ করার পর মৌলিক অধিকার জন্ম সনদ গ্রহণকরা’।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভুমি অফিসের সহকারী কমিশনার এস.এম. আশিশ মোমতাজ, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টর স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র সাকিব হাসান তুষার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী কারার তাফসীন, ঝিনুক বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত আরেফিন, বৈষম্য বিরোধীছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি সজিবুল ইসলাম, গ্রাম পুলিশ বিপুল দফাদার, বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসন কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান, প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি প্রমুখ।




দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে পূজা কমিটি গঠন

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামে ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাবেক মেম্বর নোয়াজ্জেস এর সভাপতিত্বে আজ রোববার বিকাল ৪ টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে পূজা উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত বিএনপি নেতৃবৃন্দরা জানান হিন্দুরা আমাদের ভাই। তারা নির্বিঘ্নে পূজা করবে। তাদের যত রকম সাহায্য সহযোগীতা করার সব রকম সহযোগীতা করা হবে বিএনপির পক্ষ থেকে ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসুল হক ,সহ-সভাপতি করম আলী, সাধারন সম্পাদক সাইদ বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম টুটুল, বিএনপি নেতা মিজানুর, রফিকুল বিশ্বাস, মজিদ, আজিজুল হক, আনোয়ারার, গোলাম, তারিক, সাইদুর, আব্দুল আলিম, সাহা জুল, তারিক, আ:মালেক, সহিদুল, উপজেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আ:মতিন খসরু, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আ:কাদের, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মমিন বিশ্বাস, সদস্য সচিব খাইরুল, ইউনিয়ন যুবদল নেতা দেলোয়ার কবির,রুস্তম, আহসান, এনামুল,আহসান-২, সুমন, রাজু, উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব এমডিকে সুলতান, আমির হামজা,  খাইরুল, আকরাম আলী, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক জুলফিক্কার আলী ভুট্টো, জামাল, মারুফ প্রমুখ।




কোটচাঁদপুরে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ শেষ অফির্সাস ক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জান্নাতুন মাওয়া সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার, মডেল থানা (তদন্ত) ওসি স্বপন কুমার, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম, সাফদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, দৌড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিশ্বাস, কুশনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহরুজ্জামান সবুজ, বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসাহাক আলী, মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান, কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মইন উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বাশার প্রমুখ।

সে সময় বক্তারা বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এখন জাতীয় জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অনষঙ্গ, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এবং নানারকম সেবা পেতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন যেমন জরুরী তেমনি জাতীয় পরিচয় পত্র থাকা সব নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক। এ ছাড়াও জন্ম মৃত্যু নিবন্ধনে বিশেষ ভুমিকা রাখায় ইউনিয়ন পরিষদ, সচিব ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক,উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, ইউপি সদস্য, পরিষদের সচিব, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।




কোটচাঁদপুরে পিকাপভ্যানের ধাক্কায় মটরসাইকেল আরোহী নিহত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে  পিকাপভ্যানের ধাক্কায় ইমন হোসেন (১৯) নামের এক মটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে হাসপাতালের শয্যায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন উচ্ছাস বিশ্বাস নামের আরেক আরোহী। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কোটচাঁদপুর – কালিগঞ্জ সড়কের বিস্কুট ফ্যাক্টরির সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

ইমনের চাচাত ভাই আব্দুল্লা বলেন, ইমন আর উচ্ছাস মামাত ফুফাত ভাই। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মটরসাইকেল নিয়ে ওই দুই জন বেড়াতে বের হয়। বাড়ি ফেরার পথে কোটচাঁদপুর-কালীগঞ্জ সড়কের বিস্কুট ফ্যাক্টরীর সামনে, তারা পৌছালে পিছন থেকে পিকাপ ভ্যান সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে করে গুরুতর আহত হয় ওই দুই জন।

তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে যশোর নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোর হাসপাতালে মারা যায় ইমন হোসেন (১৯)। সে কোটচাঁদপুর পৌরসভার কাশিপুর এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে। ইমন কাশিপুর কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন। এ ছাড়া সে ওয়ার্ড ছাত্র দলের সভাপতি ছিলেন বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে উচ্ছাসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে তাঁর স্বজনরা। তাঁর অবস্থায় আশংকাজনক। বর্তমানে সে হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। উচ্ছাস যশোরের চৌগাছা থানার স্বরুপ দহ গ্রামের শওকত আলী ছেলে। সে বিদেশ প্রবাসী ছিলেন। এদিকে ইমনের মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে ওই পরিবারে। শোক বইছে কলেজের সহপাঠীদের মধ্যে ও।

কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ মোহাম্মদ আজিজ বলেন, আমি ডিউটিতে আসার পর থেকে এখনো পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ বা জিডি করে নাই।




টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। রোববার (৬ অক্টোবর) গোয়ালিয়রের শ্রীমান্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।

টি-টোয়েন্টিতে আগের ১৪ বারের দেখায় ভারত ১৩ ম্যাচে জিতেছে। বিপরীতে বাংলাদেশের জয় কেবল একটি। সান্ত্বনার সেই জয় এসেছিল দিল্লিতে। এবার গোয়ালিয়রে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেতে চায় টাইগাররা।

তিন পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আছেন শরিফুল ইসলাম। এছাড়া একাদশে আছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

অন্যদিকে ভারতের হয়ে অভিষেক হচ্ছে পেসার মায়াঙ্ক যাদব ও মিডল অর্ডার ব্যাটার নীতিশ কুমারের। এছাড়া ৩ বছর পর টি–টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী।

বাংলাদেশ একাদশ: পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।

ভারত একাদশ: সাঞ্জু স্যামসন, অভিষেক শর্মা, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), নিতিশ কুমার, হার্দিক পান্ডিয়া, রিয়ান পরাগ, রিংকু সিং, ওয়শিংটন সুন্দর, বরুণ চক্রবর্তী, আর্শদীপ সিং, মায়াঙ্ক যাদব।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে চুয়াডাঙ্গা সদর সহকারী জজকোর্টের সেরেস্তাদার নূরুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ২২ জনের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য পাঠ করেন খাজা আহাম্মেদ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো। আমি খাজা আহম্মেদ (৫২), পিতা-মৃত-নূরবক্স মন্ডল ও ২২ জন নিম্ন স্বাক্ষরকারী গন চুয়াডাঙ্গা জেলাধীন দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের গোবিন্দহুদা গ্রামের বাসিন্দা। আমাদের গ্রামের মৃত বরকত মন্ডল এর পুত্র নূরুল হক বর্তমানে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর সহকারী জর্জ কোর্টের সেরেস্তাদার পদে কর্মরত। সে একজন ভূমিদস্যু, লোভী, হীনমানষিকতাপূর্ণ, মামলাবাজ ও চক্রান্তকারী ব্যাক্তি। আদালতে চাকুরীর দাপটে সে নিজ স্বার্থ সিদ্ধির পক্ষে মামলা ও জেলের ভয় দেখিয়ে গ্রামের নিরীহ ও অশিক্ষিত মানুষকে নানা ভাবে ঠকায় ও ভুল পথে পরিচালিত করে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে আশপাশ এলাকার চাষের জমির বালু ও মাটি কেটে শেষ করেছে এবং আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে গত ১৫ বছর যাবৎ ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে স্থানীয় জনগনকে কুক্ষিগত করে রাখতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে সবাইকে হয়রানি করেছে। এলাকায় তার নাম হয়ে গেছে ভূমিদস্যু ও মামলাবাজ নূরুল হক পেশকার। কেউ তার বিরুদ্ধচারণ করলে তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। গ্রাম ও আশেপাশ এলাকার অনেকেই তাহার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে প্রভাব খাটিয়ে অন্যার সম্পত্তি আত্মসাৎ করা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এরকম কিছু ঘটনা নিম্নে উপস্থাপন করা হল।

১৯৯৩ সালে নূরুল হক তার ভগ্নি সুরাতন নেছাকে বাদী করে ৫৮/৯৩ বিভাগ বণ্টনের মামলা করে। উক্ত মামালায় মওলা বক্স ও তার শরীকগণ প্রতিদন্দিতা করা কালে মামলাটি নিজের অনুকূলে নেওয়ার জন্য প্রতিদন্দি কারীদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-৩৭/২০০০, মামলাটি আদালত খারিজ করে দিলে তার নিজস্ব ক্যাডার বাহীনি দিয়ে প্রতিদন্দি ব্যক্তিদের উপর বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে জোর পূর্বক বিভাগ বন্টনের জমিজামা দখল করতে যায়। বাধা দিলে পুনরায় আবার প্রতিদ্বন্ধিদের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক চাঁদাবাজী মামালা করে। যাহার মামলা নং- সিআর ৪৯/২০০৯, ১/২০০৯, ৫৪/২০০৯, ৩৫/২০০৯, তদন্ত সাপেক্ষে আদালত এই মামলা খারিজ করে দিলে পরবর্তীতে আবারো মিথ্যা মামলা দেয়। মামলী নং-সি আর- ২০১/২০০৯, ২০৮/২০০৯, ৬৭২/২০০৯, ২৮৩/২০০৯, ফলে এক সময় মামলায় জজ্জারিত হয়ে প্রতিদ্বন্ধি কারীরা পারিবারিকভাবে নানা রকম হেনস্থা ও বঞ্চনার শিকার হয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। অপর দিকে মাহতাব হোসেন সাং-পাটাচোরা, বাদী হয়ে নুরুল হক এর বিরুদ্ধে ২২/১১/২০১২ তারিখে ১৮২/১২ একটি দেওয়ানী মামলা চুয়াডাঙ্গা জজ আদালতে রুজু করে। এই মামলাটিও যাতে চলিতে না পারে তারই প্রেক্ষিতে বাদী সহ আমাদের আত্মীয় স্বজন ভাই বোনদের নামে ও গ্রামের কয়েকজন এর বিরুদ্ধে ১৮/১২/২০১২ তারিখে একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করে। যাহার নং- সি আর-৩৯০/১২, উক্ত মামলাটি দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিথ্যা বলে আদালতে রিপোর্ট দেয়। পূনরায় ১৩/০২/২০১৩ তারিখে মওলা বক্সের পুত্র ও আত্মীয় ও গ্রামের দুই জন নিরীহ লোকসহ একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করে। যার জি আর নং-৪১/১৩, উক্ত মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে তৎকালীন এসপি, এডিশনাল এসপি, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দুঃখের বিষয় এইযে, আদালত উক্ত রিপোর্ট টি না মঞ্জুর করে পুনরায় গ্রেপ্তারী পরওয়ানা জারী করে। এই মামলায় আমরা জেল হাজতে থাকাকালীন সময়ে আমাদের ১০ বিঘা আম, মেহগনি ও শিশু বাগান কেটে নেয়।

যাহার আনুমানিক মূল্য ১৫-২০ লক্ষাধিক টাকা এবং জমি দখল করে ০৬ বিঘার উপরে মাল্টা বাগান করে। আমরা জেল থেকে জামিন নিয়ে বের হইয়া প্রতিবাদ করিলে নুরুল হক তাহার ক্যাডার বাহীনি দিয়ে আমাদের পক্ষের গোবিন্দহুদা গ্রামের মৃত-মওলা বক্সের ছেলে, মাসুদ বিল্লাহ মন্টু (৫৬), কে লোহার রড, রাম দা দিয়ে নিমর্মভাবে কুপিয়ে দুই হাত, পা রক্তাক্ত জখম করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত-০৫/০৮/২০২৪ ইং- তারিখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরচারী সরকারের পতন হলে আমরা নুরুল হকের দখল কৃত মাল্টা বাগানের ০৬ বিঘা জমি ছেড়ে দিতে বলি। সে আমাদের কথায় কোন কর্ণপাত করেনা এক পর্যায় গত-১৩/০৯/২০২৪ তারিখে রোজ- শুক্রবার নুরুল হক গ্রামের বড় মসজিদ কমিটির সভাপতি হওয়ায় গ্রামের লোকজন তার কাছে গচ্ছিত মসজিদ তহবিলের ০৬ লক্ষ টাকার হিসাব চাহিলে সে তার কাছে উক্ত টাকা গচ্ছিত আছে বলে জানায়। এই সময় মহল্লাবাসীর পক্ষে আমার ভাই জয়নুর মসজিদ তহবিলের গচ্ছিত টাকা মসজিদের একাউন্টে জমা দিতে বললে নুরুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাথে বাকবিতন্ডাতে জড়ায়। পরবর্তীতে এরই জের ধরে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মিথ্যা হয়রানীমূলক চাঁদাবাজী মামলার এজাহার দায়ের করে যা তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা প্রমানিত হয়। নুরুল হকের দখলে থাকা মাল্টা বাগানের ০৬ বিঘা জমি উদ্ধার এর জন্য আমরা দামুড়হুদা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবির নুরুল হককে ডেকে মিমাংসা করার চেষ্টা করিবে বলে জানায়। কিন্তু মিমাংসার আগেই নুরুল হক বিজ্ঞ আমলী আদালত দামুড়হুদা চুয়াডাঙ্গায় আমি সহ আরো আমাদের ২২ জনের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করে। মামলা নং-সিআর ৫৬৬/২৪, যাহার ধারা- ৪২৭/৩৮৫/৩৬৬/৩৬৭/ও ৫০৬, যাহা বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নেওয়ার জন্য দামুড়হুদা মডেল থানাকে নির্দেশনা প্রদান করে। আমরা এই হয়রানী ও মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রান চায় ও নুরুল হক এর উপযুক্ত বিচার চায়।




ঝিনাইদহে চিকিৎসকের ভুল অপারেশনে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ

চিকিৎসকের ভুল অপারেশনে ঝিনাইদহে প্রাইভেট ক্লিনিকে রিফাত (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আবার সেই রোগীকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠোনো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তার স্বজনরা।

গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার ঢাকা ল্যাব নামে একটি ক্লিনিকে অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশনের পর তার মৃত্যু ঘটে। রিফাত হরিণাকুণ্ডু উপজেলার দরিবিন্নি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র এবং একই উপজেলার সড়াবাড়িয়া গ্রামের বাদশা মুন্সির ছেলে। অভিযোগ উঠেছে, মৃত্যুর পরে রিফাতের নিথর দেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ নিয়ে রিফাতের স্বজনরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যাথা নিয়ে গত (৪ অক্টোবর) শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে রিফাত ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার ঢাকা ল্যাব নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ভর্তির পর তার পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক ডাঃ রেজা সেকেন্দার রিফাতের অপারেশন করেন। অপারেশনের কিছুক্ষন পর রোগীর খিঁচুনি শুরু হয় এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এদিকে পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে স্বজনদের সান্তনা দিতে মৃত রোগীকে ডাঃ রেজা সেকেন্দার প্রথমে কুষ্টিয়া ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। রাজশাহী নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান তিনঘন্টা আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

ক্লিনিকের একটি সূত্র জানায়, অজ্ঞানের চিকিৎসক ডাঃ অপূর্ব রিফাতকে অজ্ঞানের পর তার কার্ডিয়াক ফেল করে এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। রিফাতের পিতা বাদশা মুন্সি শনিবার রাতে জানান, তার ছেলে অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন। তিনি এর বিচার চান।

এলাকার ইউপি মেম্বর আল আমিন জানান, রিফাত এবার এসএসসি পরীক্ষা দিত। কিন্তু অত্যন্ত ভদ্র নম্র এই ছিলেটি ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার বলি হয়েছেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের কসাই খ্যাত চিকিৎসক রেজা সেকেন্দারের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ঢাকা ল্যাবের ম্যানেজার আসিফ মিয়া ও মালিক আশরাফুজ্জামান লিপনসহ সবাই এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, স্কুল ছাত্র রিফাতের মৃত্যুর সংবাদ শুনার পর ওই ক্লিনিকটি বন্ধ করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরও বলেন, বেশির ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সমঝোতার ভিত্তিতে ঘটনা মীমাংসা করে ফেলান। তাই শক্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা যায় না। এর আগে একাধিক রোগীর মৃত্যুর পর ডাঃ রেজা সেকেন্দার নিজেই আর অপারেশন করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও তিনি একের পর এক অপারেশন করে যাচ্ছেন। এর আগে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কাছেও ডাঃ রেজা সেকেন্দার আর অপারেশন করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছিলেন বলে সিভিল সার্জন জানান।




কুষ্টিয়ায় বেশি দামে ডিম বিক্রির অপরাধে জরিমানা

কুষ্টিয়ার মিরপুরে বেশি দামে ডিম বিক্রির অপরাধে দুই পোল্ট্রি ফার্মকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডল।

এ সময় তিনি জানান, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রির দায়ে মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকার অমি পোল্ট্রি ফার্মকে ৭ হাজার ও সাইফুল পোল্ট্রি ফার্মকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অন্যান্য পোল্ট্রি ফার্ম মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় মিরপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সেলিনা আক্তার, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস সবুর বিশ্বাসসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




প্রযুক্তি বিশ্বে এআই কী বিপদে ফেলবে?

ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তিময় সেই জীবনকে আরও সহজ করে দিয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এই প্রযুক্তি নিয়ে বিশ্বে এখন রীতিমতো মাতামাতি চলছে। প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত অ্যাপ্লিকেশন, সফ্টওয়্যার বা প্লাগইন্স, সার্চইঞ্জিন বা অ্যালগরিদম সবখানেই নিজের জায়গা দখল করে নিয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স।

শিল্প, বাণিজ্য এবং গ্রাহকসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে অটোমেশন করে বিভিন্ন কাজকে সয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করছে। ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিংএ, এ আই ব্যবহারকারীদের ও গ্রাহকদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে তার কাছে প্রচারণা চালাচ্ছে।

বর্তমান বিশ্বে ২৫০ মিলিয়ন বা ২৫ কোটির বেশি মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করছে। উদ্ভাবনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক চালিকাশক্তিতেও এআই ভূমিকা রাখছে। পিডব্লিউসি ডট কমে প্রকাশতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স স্টাডির পাবলিকেশন, গ্লোবাল আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স: এক্সপ্লইটিং দ্য এআই রেভ্যুলিউশন এর তথ্যানুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে এ আই বিশ্বের জিডিপিতে ১৫ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে।

গেটসনোট ডট কমে লেখা প্রযুক্তিবিদ বিলগেটসের মতে, এআই শুধু প্রযুক্তিগত খাতেই নয়, যে কোনো নতুন উদ্ভাবনে গতি আনবে। বিজ্ঞান, মহাকাশ গবেষণা, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, জলবায়ু, মানবজীবন ও বিশ্বের সাথে সম্পৃক্ত কোন কিছুই এআইয়ের বাইরে থাকবে না।

গোলাপের কাঁটার মতোই, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও রয়েছ বিড়ম্বনার জায়গা। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন চাকরিখাত থেকে বাদ যেতে পারে অসংখ্য মানুষ। তবে এআইয়ের সঠিক ব্যবহার আবার সে জায়গাকে উন্নীত করতে পারে। অথরিটি হ্যাকার পোর্টালের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এআই-এর কারণে চাকরি হারাতে পারে ৮৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৮ কোটি মানুষ। তবে আবার নতুনভাবে প্রায় ১০ কোটি মানুষের জন্য নতুন চাকরিখাত তৈরি করবে।

সেই সাথে, এআই ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণহীনতাও বাড়বে অনেক। যেমন, কিছুদিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ আই দিয়ে তৈরি ভিডিওচিত্র, যেখানে তিনি শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিরূপ মন্তব্য করেছেন, যা অনেক নেটিজেনকেই বিভ্রান্ত করেছে। তাই এ আই এর এই বিড়ম্বনা থেকে বাঁচতে সাধারণ জনগণকেও ফ্যাক্টচেকিং এর মতো বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

গোপনীয়তার ঝুঁকি বাড়বে অনেক। হাজার হাজার সফ্ট্ওয়্যার ও এপ্লিকেশনে এ আই অটোমেশন করে নানান সুবিধা গ্রাহকদের দিয়ে আসছে। আর গ্রাহকরাও সে সুযোগ কাজে লাগাতে নিজেদের প্রাইভেসি রক্ষার কথা না ভেবেই এ আই এর যাচ্ছে তাই ব্যবহার করছেন। ফলে সুরক্ষা ঝুঁকি বাড়ছে বহুগুনে। তাই এর বিকাশে নৈতিকতা এবং নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন প্রযুক্তিবিদরা।

সূত্র: কারবেলা