মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগরের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হলফনামা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করেছে মেহেরপুর প্রতিদিন
নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়ে হলফনামায় দেখা গেছে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৭ প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষায় এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

আব্দুল মান্নান

মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ—সভাপতি মোহা: আব্দুল মান্নান মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী। আব্দুল মান্নান এর আগে একাধিকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় বারবার ব্যার্থ হয়েছেন। তবে, এবার তিনি ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তার নির্বাচনী প্রতিক ঘোড়া মার্কা।
হিসাব বিবরণীতে দেখা গেছে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাৎসরিক আয় আসে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, নিজ নামে নগদ টাকা রয়েছে ২ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে নগদ টাকা রয়েছে ২০ লক্ষ টাকা, ব্যাংকে জমা রয়েছে ১ হাজার ৭৯৩ টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে লোন রয়েছে আড়াই লাখ টাকা, তবে খেলাপি নেই বলে দাবি করেন প্রাথী আব্দুল মান্নান। অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে ৮ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে স্বর্ণালংকার রয়েছে ৭ ভরি ও নির্ভরশীলদের নামে রয়েছে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার।

আনারুল ইসলাম

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম। সে একবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করে ১৩ বছর অধিষ্ট ছিলেন। এবার সে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তার নির্বাচনী প্রতিক মোটরসাইকেল।
নির্বাচনী হলফনামায় দেখা গেছে, ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ৮ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা. নজ নামে নগদ টাকা ১০ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে নগদ টাকা ৫ লাখ টাকা, নির্ভরশীলদের নামে নগদ টাকা ১০ লাখ টাকা, ব্যংকে জমাকৃত নগদ টাকা মাত্র ১ হাজার টাকা, নিজ নামে একটি ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল, ৩ ভরি স্বর্ণালংকার, স্ত্রীর নামে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার, অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে ১৭ লাখ টাকা, কৃষি জমি রয়েছে ৫ বিঘা পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া, অগ্রণী ব্যাংকে তার নামে লোন রয়েছে ২ লাখ টাকা।

অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীন

মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তার নির্বাচনী প্রতিক কাপ পিরিচ।
হলফনামায় দেখা গেছে, আইন পেশা থেকে বাৎসরিক আয় ৪ লাখ টাকা, নগদ টাকা রয়েছে ১ রাখ ৫০ হাজার স্ত্রীর নামে নগদ রয়েছে ৫ লাখ টাকা, নিজ নামে ব্যাংকে জমা রয়েছে ৯ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা রয়েছে ৭ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে পোস্টাল সেভিংস, সঞ্চয়পত্র ও আমানত ৩৯ লাখ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রীজ ও মোবাইল ও এ্যাসি ৩ লাখ টাকার, আসবাবপত্র খাট সোফা, চেয়ার টেবিল ইত্যদি ৩ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ৩২ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, গৃহস্থলি আসবাবপত্র রয়েছে ৬ লাখ টাকার, নিজ নামে অকৃষি জমি রয়েছে ২৫ কাঠা, বাড়ি রয়েছে এক কাঠা জমিতে। এছাড়া স্ত্রীর নামে অকৃষি জমি রয়েছে ৫ বিঘা।

মো: হাসেম আলী

নির্বাচনের আরেক প্রার্থী মো: হাসেম আলী। তার নির্বাচনী প্রতিক আনারস।
তার হলফনামায় ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ১৬ লাখ টাকা, নগদ অর্থ রয়েছে ৫ লাখ টাকা, ব্যাংক জমার পরিমাণ মাত্র ১০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে নগদ রয়েছে ৪ লাখ টাকা, নিজ নামে ৫ ভরি ও স্ত্রীর নামে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে ২০ লাখ টাকা, নিজ নামে ৮ শতক জমির উপর দুই তলা বাড়ি। রুপালী ব্যাংকের মেহেরপুর শাখায় তার নামে ৪০ লাখ টাকা লোন রয়েছে। তবে খেলাপি নেই।

আমাম হোসেন মিলু

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার প্রার্থী হয়েছেন মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাম হোসেন মিলুর এবারের প্রতিক আনারস।
চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলুর হলফনামায় সম্পদের বিবরণী রয়েছে কৃষিখাত থেকে আয় ১ লাখ টাকা, বাড়ি ও দোকান ভাড়া বাবদ আয় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংক জমা রয়েছে ১ হাজার ৯৪২ টাকা, বাস ট্রাক থেকে আয় ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণ ও অন্যান্য ধাতুর মুল্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর মুল্য ৪২ হাজার টাকা, আসবাবপত্রের মুল্য ৪৮ হাজার টাকা, কৃষি জমি রয়েছে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া) ১৫ বিঘা, অকৃষি জমির মুল্য (ক্রয় সূত্রে) ৩৩ লাখ ৭২ হাজার ৬০০ টাকা, দালান আবাসিক (ক্রয় সূত্রে) ১৭ লাখ ৫০০ টাকা, ব্যবসার পূঁজি বাবদ ৫৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭৪০ টাকা।

রফিকুল ইসলাম তোতা

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আরেক প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তোতা। নির্বাচনে তার প্রতিক কাপ পিরিচ।
নির্বাচনী হলফনামায় তার সম্পদ বিবরণীতে দেখা গেছে কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় ৭৫ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, নিজ নামে নগদ টাকার পরিমাণ ৫ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে নগদ টাকার পরিমাণ ৩ লাখ, ব্যাংকে জমা রয়েছে মাত্র ১ হাজার টাকা, একটি ট্রাক রয়েছে যার মূল্য ৫ লাখ টাকা, একটি মোটরসাইকেল যার মূল্য ৭০ হাজার টাকা, নিজ নামে স্বর্ণালংকার ৭ ভরি ও স্ত্রীর নামে স্বর্ণালংকার ৮ ভরি, অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে ৩২ লাখ ৭ হাজার ৭৯০ টাকা, নিজ নামে কৃষি জমি রয়েছে ১০ বিঘা, আবাসিক দালান রয়েছে ১৯ শতক জমির উপর দোতালা। নিজ নামে রুপালী ব্যাংকের মুজিবনগর শাখায় লোন রয়েছে ২৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭৯০ টাকা।

কামরুল হাসান চাদু

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান কামরুল হাসান চান্দু। এবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছেন। তিনি মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য। তার নির্বাচনী প্রতিক ঘোড়া। তার নির্বাচনী হলফনামার হিসাব বিবরণীতে দেখা গেছে কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় ২০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, নগদ টাকা ১০ লাখ, স্ত্রীর নামে ৩ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা রয়েছে ৫ হাজার টাকা, নিজ নামে ৮ আনা, স্ত্রীর নামে সাড়ে ৭ ভরি ও নির্ভরশীলদের নামে ২ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে। ফ্রীজ টিভি, ফ্যান ও মোবাইল ফোন যার মূল্য ৬০ হাজার টাকা, অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে ২০ লাখ ৯০ হাজার টাকা, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া নিজ নামে কৃষি জমি ৩ বিঘা ও স্ত্রীর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৫ বিঘা জমি রয়েছে। নিজ নামে সাড়ে ৩ কাঠা জমির উপর দোতালা ও স্ত্রীর নামে ১৫ শতক জমির উপর তিন তলা বাড়ি রয়েছে।




মেহেরপুরের সদর ও মুজিবনগর উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু

প্রথম ধাপে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় একযোগে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী,  দুটি উপজেলার ৩ লাখ ৩ হাজার ৬৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। মোট ১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন রয়েছেন।

মেহেরপুর সদর

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ৯৪ টি ভোট কেন্দ্রে ৫৭টি অস্থায়ী বুথসহ ৬০৫ টি বুথে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সদর উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০৪ জন ভোটার। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৪৬৩ জন পুরুষ ও ১ লক্ষ ৯ হাজার ৩৪০ জন নারী ভোটার।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান পদে আব্দুল মান্নান ঘোড়া, অ্যাড. ইব্রাহিম শাহিন কাপ পিরিচ, আনারুল ইসলাম মোটরসাইকেল ও হাসেম আলী  আনারস প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ আবুল হাসেম (চশমা), মোহাম্মদ শাহিন (টিউবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লতিফন নেছা লতা (বৈদ্যুতিক পাখা ), সামিউন বাশিরা পলি (হাঁস), রোমানা আহমেদ (কলস) প্রতীক।

তবে, বিএনপি প্রার্থী রোমানা আহমেদ ইতোমধ্যে নির্বাচন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন।

পড়ুন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হলফনামা

মুজিবনগর

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ টি ভোট কেন্দ্রে ৭টি অস্থায়ী বুথ সহ ২৩৬ টি বুথে একযোগে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচনে মোট ভোটার ৮৫ হাজার ২৫৯ জন। এর মধ্যে ৪২ হাজার ৫৩৮ জন পুরুষ এবং ৪২ হাজার ৭২১ জন নারী ভোটার।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান পদে আমাম হোসেন মিলু আনারস, কামরুল হাসান চাদুঁ ঘোড়া, রফিকুল ইসলাম কাপ পিরিস এবং মাহবুবুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের লড়ছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএম জাহিদ হাসান (টিউবওয়েল) ও মতিউর রহমান(চশমা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন ফুটবল ও  তকলিমা খাতুন কলস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ জানান, অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৪ থেকে ৫ জন করে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, ১৩ থেকে ১৮ জন করে আনসার ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে স্টাইকিং ফোর্স তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।




মেহেরপুরে নির্বাচনী উপকরণ বিতরণ

মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৪টি কেন্দ্রে ২ লাখ ১৮ হাজার ৮শ’ ৪ চারজন ভোটার রয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল), অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন (কাপ পিরিচ),আব্দুল মান্নান (ঘোড়া) ও মো. হাসেম আলী (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন।

এদিকে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রফিকুল ইসলাম তোতা (কাপ পিরিচ), আমাম হোসেন মিলু (আনারস), উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুল হাসান চাদুঁ (ঘোড়া) এবং মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার মো. ওয়ালি উল্লাহ জানান, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।




কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে যা করণীয়

বয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে এ ধারণাটি সঠিক নয়। অল্প বয়সের মানুষের মধ্যে রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী।

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে মানেই একই সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। অল্প বয়সেই কোনও গুরুতর রোগের আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন:

ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভালো। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে ও রাতে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী।

ছোট থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। না হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে পিএসকেএসের উদ্যোগে মাঠ দিবস

পলাশীপাড়া সমাজ কল্যণ সমিতি (এসকেএস) কর্তৃক সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত কৃষিখাত এর আওতায় উন্মত জাতের ধান চাষের ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের ব্রি ধান ১০০ ওপর আয়োজিত উক্ত মাঠদিবসের সদস্য পর্যায়ে নতুন জাতের জিংক সমৃদ্ধ ধান চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ তলা তৈরি, সার ব্যবস্থাপনা, সেচ ব্যবস্থাপনা, রোগ পোকামাকড় এবং ধান সংগ্রহ ও সংরক্ষন সম্পকে আলোচলা করেন, আব্দুর রউফ উপজেলা সম্প্রসারণ কৃষি কর্মকর্তা, গাংনী উপজেলা, মেহেরপুরে এছাড়াও মাঠ দিবসে আলোচনা করেন সংস্থার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জুয়েল বিশ্বাস, সমন্বিত কৃষি ইউনিট , গাংনী , মেহেরপুর।

সদস্যদের মাঝে প্রতিরূপায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সফল কৃষকের ক্ষেত পরিদর্শনসহ প্রত্যাশিত লাভের হিসাব সরেজমিনে দেখানো হয়। এ সময় সংস্থার কর্মকর্তা কৃষক কৃষাণী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।




দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ বাংলাদেশ

টানা দুই ম্যাচে দাপুটে জয়। তাই তৃতীয় ম্যাচেই বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল সিরিজ জয়ের। সেটাই করে দেখালো টাইগাররা। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতেই দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিজেদের করে নিলো নাজমুল হাসান শান্তর দল।

মঙ্গলবার (৭ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে টাইগাররা। তবে তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলির ব্যাটে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

হৃদয় ৩৮ বলে ৫৭ ও জাকের আলি ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ব্লেসিং মুজারবানি নেন ৩টি উইকেট।

১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জয়লর্ড গাম্বির উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৬ রানে ৮ বলে ৯ রান করে আউট হন তিনি। জিম্বাবুয়ের এই ওপেনারকে ফেরান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

এরপর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান ব্রায়ান বেনেট। ৮ বলে ৫ রান করে তানজিম সাকিবের বলে আউট হন এই ব্যাটার। তার বিদায়ের পর আউট হন ক্রেইগ এরভাইন।

দলীয় ৩৩ রানে ৭ বলে ৭ রান করে আউট হন এরভাইন। শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। টাইগার বোলারদের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। ৫৮ রান সংগ্রহ করতে আরও ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় জিম্বাবুয়ে।

শেষ দিকে ফারাজ আকরামের ১৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংস ম্যাচ জমিয়ে তোলে। তবে টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে সাইফুদ্দিন নেন ৩টি উইকেট।

সূত্র: ইত্তেফাক




‘তুফান’ এর টিজার প্রকাশ

নির্মাতা রায়হান রাফীর ‘তুফান’ ঝড়ে মেতে উঠেছে নেটদুনিয়া। সুপারস্টার শাকিব খানেকে নিয়ে নির্মিত ‘তুফান’ সিনেমার প্রথম টিজার প্রকাশ পেয়েছে। সন্ধ্যার আগে যেন রীতিমতো কালবৈশাখীর তাণ্ডব তুলেছেন শাকিব।

১ মিনিট ২১ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে বন্দুক হাতে এন্ট্রি নেন শাকিব। এসময় তাকে বলতে শোনা যায়, পূর্বের কথা মোতাবেক এখন থেকে পুরো দেশকে তুফানের হাতে তুলে দিব। সে যা চাইবে, পাইবে। যা করিতে চাইবে, করিবে।

তাহাকে কোনো কিছুতেই বাধা দেওয়ার এখতিয়ার কেউ রাখিবে না। আর এর ব্যত্যয় ঘটিলে…..এরপরই অস্ত্র হাতে একের পর এক বারুদে তছনছ করে ফেলতে দেখা যায় শাকিব খানকে।

এখানেই শেষ নয়। ভিডিওতে দেখা মেলে জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর। তার সেই বিখ্যাত সংলাপের অট্টহাসি দিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘তুফান, খুব ভয় পাইছি রে হেহেহেহে….’। এরপরই আরও একবার স্ক্রিনে বিধ্বংসী রূপে হাজির হন শাকিব।

মাত্র ৮১ সেকেন্ডের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঝড় তুলেছে। অনেকেই বলেছেন, যেন বলিউড কিংবা দক্ষিণী সিনেমার টিজার ‘তুফান’। রায়হান রাফী ও শাকিব খান জুটি ঢালিউডকে নতুন কিছু উপহার দিতে চলেছেন।

জানা গেছে, একজন গ্যাংস্টারের গল্পে তৈরি হয়েছে তুফান সিনেমা। যেখানে উঠে আসবে নব্বই দশকের চিত্র। সে সময়ের এক নামকরা গ্যাংস্টারের কাহিনী নিয়েই এগিয়ে যাবে তুফানের গল্প।

এক সাক্ষাৎকারে এই সিনেমা প্রসঙ্গে নির্মাতা রায়হান রাফী বলেছেন, এ ধরনের সিনেমা আমি, শাকিব ভাই কেউ কখনো করিনি। ‘তুফান’ এর মতো সিনেমা বাংলাদেশে আগে কখনো হয়নি। শুধু বলতে চাই, এটি একটি অ্যাকশন ফিল্ম।

একজন গডফাদারের গল্প। সুপারস্টারকে নিয়ে গ্যাংস্টার ছবি বানানোর ইচ্ছা ছিল আমার। যেমন- কেজিএফ, পুষ্পার মতো সিনেমা। বাংলাদেশে গ্যাংস্টার সিনেমা বানানোর মতো একজনই আছে, সে শাকিব খান। আর সে কারণেই তাকে নিয়ে এই সিনেমার কাজ করা।

যৌথ প্রযোজনার ‘তুফান’-এ যুক্ত আছে বাংলাদেশের নামি প্রযোজনা সংস্থা চরকি ও আলফা আই, ভারত থেকে যুক্ত এসভিএফ। শাকিব খান ছাড়াও এই সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেত্রী মিম চক্রবর্তী, নাবিলা প্রমুখ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

সূত্র: ইত্তেফাক




“সকল প্রস্তুতি শেষ, আগামীকাল নির্বাচন”

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামিকাল বুধবার (৮ মে) মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

এই দুটি উপজেলাই গতকাল সোমবার মধ্যরাতেই শেষ হয়েছে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভোটকেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ৯৪ টি ভোট কেন্দ্রে ৫৭টি অস্থায়ী বুথ সহ ৬০৫ টি বুথে একযোগে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

সদর উপজেলা নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০৪ জন ভোটার। মোট ভোটারের মধ্যে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৪৬৩ জন পুরুষ এবং ১ লক্ষ ৯ হাজার ৩৪০ জন নারী ভোটার ভোটার রয়েছেন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আব্দুল মান্নান (ঘোড়া), অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন (কাপ পিরিচ), আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) এবং মোঃ হাসেম আলী (আনারস) ।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ আবুল হাসেম (চশমা), মোহাম্মদ শাহিন (টিউবওয়েল) এছাড়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লতিফন নেছা লতা (বৈদ্যুতিক পাখা ), সামিউন বাশিরা পলি (হাঁস), রোমানা আহমেদ (কলস) প্রতীক। তবে, বিএনপি প্রার্থী রোমানা আহমেদ ইতোমধ্যে নির্বাচন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন।

এদিকে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ টি ভোট কেন্দ্রে ৭টি অস্থায়ী বুথ সহ ২৩৬ টি বুথে একযোগে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচনে মোট ভোটার ৮৫ হাজার ২৫৯ জন। এর মধ্যে ৪২ হাজার ৫৩৮ জন পুরুষ এবং ৪২ হাজার ৭২১ জন নারী ভোটার।

এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমাম হোসেন মিলু (আনারস), কামরুল হাসান চাদুঁ (ঘোড়া), রফিকুল ইসলাম (কাপ প্যারিচ) , এবং মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের লড়ছেন।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএম জাহিদ হাসান (টিউবওয়েল) ও মতিউর রহমান (চশমা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন (ফুটবল) ও যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী তকলিমা খাতুন(কলস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ জানান, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৪-৫ জন করে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, ১৩-১৮ জন করে আনসার ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে স্টাইকিং ফোর্স তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।




অষ্টম শ্রেণি পাসে চাকরি দেবে কমার্স ব্যাংক

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই ব্যাংকে অস্থায়ী ভিত্তিতে ড্রাইভার নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে ফরম পূরণ করে তা প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ডাকযোগে বা কুরিয়ারে পাঠাতে হবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড

পদের নাম : ড্রাইভার

আবেদনের বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৫০ বছর

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

কর্মস্থল : বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৫ বছর

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ৬ মে, ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম

আবেদনের শেষ তারিখ : ২০ মে, ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস অভিজ্ঞতা : বৈধ লাইসেন্সসহ দক্ষতার সাথে গাড়ি চালানোর ন্যূনতম ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

অন্যান্য শর্তাবলি : প্রার্থীকে অবশ্যই কার/জিপ/মাইক্রোবাস চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। দেশের যে কোনো স্থানে/অত্র ব্যাংকের যে কোনো শাখায়/অফিসে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। ফিল্ড/প্রাক্টিক্যাল/মৌখিক পরীক্ষার জন্য কোনো প্রকার টিএ/ডিএ প্রদান করা হবে না। স্বল্পসংখ্যক প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে। কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার কারণ দর্শানো ব্যতিরেকেই আবেদনপত্র বাতিল করার ক্ষমতা ও অধিকার সংরক্ষণ করেন।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, নাগরিকত্ব সনদপত্রসহ বিভাগীয় প্রধান, হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশন, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, প্রধান কার্যালয়, ইউনুস ট্রেড সেন্টার (লেভেল-২২), ৫২-৫৩, দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ বরাবর আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

অন্যান্য সুবিধা : বছরে ২টি উৎসব বোনাস, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা, ভবিষ্যৎ তহবিল, গ্র্যাচুইটি ছাড়াও ব্যাংকের বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী প্রদান করা হবে।

ঠিকানা : হেড অফিস, ইউনুস ট্রেড সেন্টার, লেভেল-২২, ৫২-৫৩ দিলকুশা সি/এ, ঢাকা-১০০০




আলমডাঙ্গায় বিদ্যুত স্পর্শে নয়, মা গলাটিপে হত্যা করেছে শিশু মাইশাকে–পুলিশ সুপার

মাইশা খাতুন নামের এক শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, মাইশার বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে ঘটনার দু’ মাস পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেয়ে পুলিশ জানতে পারে মাইশার মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয় নি। বরং তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত মাইশা খাতুন (৭) মিরপুর উপজেলার আসাননগর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। মা-বাবার বিচ্ছেদের পর তাঁর মায়ের সাথে আলমডাঙ্গা উপজেলা ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোগাইলবগাদী গ্রামে নানা শহিদুল ইসলামের বাড়িতে থাকতো। নিহত মাইশা ভোগাইল বগাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে সাত বছরের এক শিশু বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায় বলে সবাই জানলেও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই শিশুটির হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান নিজেই।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে খুব সকালে পুলিশ সুপার নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে (পিও ভিজিট) যান। এরপর কৌশলে খুনি মাকে এসপি নিজের গাড়িতে করেই পুলিশ হেফাজত নিয়ে আসেন। তারপর প্রমাণ হয় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইলবগাদি গ্রামের শিশু মাইশা খাতুন (৭ বছর) বিদ্যুত স্পর্শে মারা যায়নি। তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ । ময়না তদন্তের মাধ্যমে এ রহস্য উন্মোচন হয়েছে। মাইশাকে অন্য কেউ নয়, তার নিজের মা তাকে গলা টিপে হত্যা করে। ঘাতক মা পপি খাতুনকে (২৫) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
পপি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান।

তিনি জানান, শিশু মাইশা তার মায়ের সাথে আলমডাঙ্গার ভোগাইলবগাদী গ্রামে বসবাস করতো। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে মাইশার মা পপি খাতুনের চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। সেসময় মাইশার গলায় মোবাইলফোনের চার্জারের তার জড়ানো ছিল। পপির প্রতিবেশিদের জানায়, তার মেয়ে মাইশা বিদ্যুত স্পর্শে মারা গেছে। প্রতিবেশিরা মাইশাকে দ্রুত নিয়ে যায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মাইশা মারা গেছে বলে জানান। পাশাপাশি চিকিৎসকরা নিহত মাইশার গলায় দাগ থাকার কথাও পুলিশকে বলেন।

পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, নিহত মাইশা খাতুন বিদ্যুত স্পর্শে মারা যায়নি। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

বিষয়টি পুলিশ নিহতের পরিবারকে জানালে মাইশার নানা ভোগাইলবগাদী গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে গত ৩ মে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়।

পুলিশ সুপার জানান, মাইশাকে তার মা পপি খাতুন গলা টিপে হত্যা করেছে। গত ৫ মে পপি খাতুনকে আলমডাঙ্গার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহুরা বেগমের আদালতে হাজির হয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। পুলিশ পপি খাতুনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, পপি খাতুনের বিয়ে হয়েছিল কুষ্টিয়া জেলার মীরপুর থানার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাইফুল ইসলামের সাথে। স্বামীর সাথে দাম্পত্য কলহের কারণে আগেই তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল এবং পপি খাতুন তার মেয়ে মাইশাকে নিয়ে নিজের বাবার বাড়ি আলমডাঙ্গার ভোগাইলবগাদী গ্রামে বসবাস করছিল।

পপি খাতুন পুলিশের কাছে মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করে বলে, মেয়ে মাইশা নাবালিকা। তার বাবা হয়তো আরেকটি বিয়ে করবো। পপিরও অন্য জায়গায় বিয়ে হতে পারে। তখন মাইশাকে দেখার কেউ থাকবে না। মাইশার জীবন কাটবে কষ্টে। প্রতিবেশিদের একটি মেয়েকে এভাবে বড় হতে দেখেছে পপি। এসব চিন্তাভাবনা করে মা পপি খাতুন মেয়ে মাইশাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে পপি পুলিশকে জানিয়েছে।

এই সমাজে কখনো মা হত্যা করছে সন্তানকে আবার সন্তান হত্যা করছে মা কে। তাই এই রকম ঘটনা টা পরে যাতে না হয় সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

এ ঘটনায় সমাজের সচেতন মহল বলছেন-সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিকতা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, মা তার সন্তানকে হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করছে না।

সংবাদ সম্মেললে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, ডিআই-১ ইন্সপেক্টর জিহাদ খান, পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশ দাসসহ উর্ধতনরা উপস্থিত ছিলেন।