আলমডাঙ্গায় দোকানীকে হাত-পা বেধে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

আলমডাঙ্গায় জমি কেন্দ্রিক পূর্বশত্রুতার জের ধরে গভীর রাতে দোকান ব্যবসায়ীর হাত-পা বেধে দোকান ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

আজ রোববার দিবাগত রাত ২ টার দিকে পৌর এলাকার রেল ফোকট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দোকান ঘর মালিক মানোয়ারুল ইসলাম টুটুল আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন- গোবিন্দপুর নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকার মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে মুকুল হাজী (৫২), আবু বক্করের ছেলে ওসমান আলী (৩৮), মহি উদ্দীন (৫৫) , মকবুল হোসেন (৫০) বন্ডবিল এলাকার মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে কুদ্দুস আলী (৫০) সহ আরো তিন জনের নাম উল্লেখ করেছেন।

জানাগেছে, পৌর এলাকার স্টেশন পাড়ার মানোয়ারুল ইসলাম টুটুল গত ১০ বছর আগে বাস রেল ফোকট সংলগ্নে ২০১০ সালে ১২ শতক জমি ক্রয় করেন। এ জমি ক্রয় করেন মৃত সদর উদ্দীন গং, রাবেয়া খাতুন ও মকবুল হোসেনের নিকট। ওই জমিতে দুটি পাঁকা দোকানও নির্মাণ করেছেন। এছাড়া একটি বাঁশ টিনে নির্মিত মোটরসাইকেল গ্যারেজ রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মানোয়ারুল প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাত ১০ টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। আমার দোকানের মধ্যে পাশের দোকানদার লিটন রাতে অবস্থান করে। তার হাত-পা বেধে দোকান ভাঙচুর করে। এছাড়া দোকানে থাকা বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী লিটন জানান, রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে কয়েকজন এসে রামদা ও হাসুয়া ধরে আমার হাত-পা বেধে ফেলে। পরে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং চিৎকার করতে নিষেধ করে। এসময় দোকান ভাংচুর করে দোকানে থাকা বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।

দোকান মালিক মানোয়ারুল ইসলাম টুটুল বলেন, ঘটনার রাতে মাছ চাষের পুকুরে পানি দেওয়া শেষে বাড়ি ফিরছিল গোবিন্দপুর গ্রামের সজিব। সে লিটনের হাত-পা বাধা দেখে ওই রাতে ফোন দিলে আমি দ্রুত ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করি। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গণি মিয়া জানান, দোকান ভাঙচুরের ঘটনা আমার পর্যন্ত আসেনি। অভিযোগ দিলে তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




দামুড়হুদায় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে রকিব প্যানেল জয়ী

দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে রকিব প্যানেলের সদস্যরা নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে।

আজ রবিবার কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে শান্তি পূর্ণ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনে রকিব প্যানেলর পক্ষে আব্দুস সালাম ২০৮ ভোট পেয়ে ১ম, মোঃ রকিবুর ২০৪ ভোট পেয়ে ২য়, আব্দুর রহমান ২০৩ ভোট পেয়ে ৩য়, মোঃ পটল ১৯৯ ভোট পেয়ে ৪র্থ এবং মহিলা অবিভাবক সদস্য পদে কাজল রেখা ২২৮ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয়লাভ করে। অপরপক্ষে আক্তার প্যানেলের প্রাপ্ত ভোট হলো জাবেদ আলী ১৮৭, আশাদুল হক ১৮৫, ছাব্বির হোসেন ১৮১, সাদেকুল ইসলাম ১৭৫ এবং মহিলা অভিভাবক সদস্য পদে সাবানা খাতুন ১৭৪ ভোট পান।

আলোচিত-সমালোচিত এই ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার রাফিজুল ইসলাম বলেন, এই নির্বাচন নিয়ে আমরা অনেক চাপে ছিলাম সেজন্য নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ন করতে প্রায় ৩৬ জন পুলিশ সদস্যসহ গোয়েন্দা সদস্য মোতায়ন করতে হয়। আমি আশা রাখবো যারা এই নির্বাচনে জয়লাভ করছে আগামীতে শিক্ষার মান্নোনয়নে কাজ করবে।




গাংনী পৌর মেয়র আহাম্মেদ আলীর বিরুদ্ধে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার শিপু’র সংবাদ সম্মেলন

যথাযথ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গাংনী বাজারে পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে এবং মেয়র আহমেদ আলীর দেয়া ফেসবুক লাইভের বক্তব্যেও প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোঃ শাহিদুজ্জামান শিপু।

আজ রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে শিপু’র রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে গাংনী পৌরসভার মেয়র আহামেদ আলীর ফেসবুক লাইভে অসৌজন্যমুলক দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শাহিদুজ্জামান শিপু।

সংবাদ সম্মেলনে শিপু বলেন, গাংনী বাজারের ব্যবসায়ীদের জোর করে উচ্ছেদ করে গাংনী পৌরসভার মেয়র আহমেদ আলী মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এতে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও যে জমিতে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে সেই জমির কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম মার্কেট নির্মাণ করতে চাইলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় মার্কেট নির্মাণ করতে ব্যার্থ হন। কিন্তু বর্তমান মেয়র আহমেদ আলী ক্ষমতার দাপটে ওই জমিতে জোরপুর্বক মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।

সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবী জানিয়ে শিপু বলেন, মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধে আলফারুক বাবুল ইতোমধ্যে আদালতের সরনাপন্ন হয়েছেন। যেহেতু জমিটি সরকারি জমি হিসেবে আমরা জানি। ওই জমি রক্ষার সরকার পক্ষে মালিক জেলা প্রশাসক। মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়ার দাবী জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে ।

এসময় সাবেক ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপু বলেন, মেয়র আহমেদ আলী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে সর্বসাকুল্যে ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মালিক ছিলেন। কিন্তু তিনি দুবার মেয়র হয়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ওই সব টাকার উৎস কোথায় তা জনস্বার্থে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)কে অনুসন্ধান করার দাবী করেন।

তিনি আরও বলেন,মেয়র আহমেদ আলী কথায় কথায় আমাকে ‘কাসিনো সম্রাট’ বলে আমার সম্মানের হানি করেন। আমি কোথায় ক্যাসিনো খেলায় সম্পৃক্ত তা প্রমান করতে না পারলে মেয়র আহমেদ আলীর বিরুদ্ধে মান হানির মামলা করতে বাধ্য হবো। মেয়র আহমেদ আলী আমাকে গাংনী ছাড়া করার হুমকি দিয়েছে। তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমাকে ভয় দেখিয়ে অবৈধ ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন। মেয়র আহমেদ আলীর। মেয়র আহমেদ আলী নির্বাচিত হওয়ার পর গাংনীতে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। যা হয়েছে তা উন্নয়নের নামে টেন্ডারবাজিসহ লুটতরাজ হয়েছে। আগামী পৌর সভার নির্বাচনে পৌরবাসী তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবেন। আওয়ামীলীগ রাজনীতি করার কারনে শিশূকারে আমি পতিৃহারাা হয়েছি। আমার প্রয়াত মামা কামরুজ্জামান বুড়ো গাংনীর মাঠ কাপানো একজন আওয়ামীলীগের কর্মী ছিলেন। তার জীবনকালে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। কখনো অর্থের লোভ করেনি। আমওি তার আদর্শে লালিত হয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে গাংনীর উন্নয়ন চাই। তবে,কারও পেটে লাথি মেরে উন্নয়ন চাইনি। দেশরত্ন শেখ হাসিনা কারও আহার কেড়ে নেননি। বরং ক্ষুধার্থ মানুষের পেটের আহার জুগিয়েছেন। অথচ মেয়র আহমেদ আলী মানুষের পেটে লাথি মেরে উন্নয়নের গল্প ছাড়াচ্ছেন এবং জমির কাগজপত্র ঠিক না করে মার্কেট নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট,অনলাইন ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরের মেয়ের কুষ্টিয়ার মেস বাড়িতে আত্মহত্যা

কুষ্টিয়া শহরে মেস বাড়িতে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের ছাত্রী মুজিবনগরের জেরিন খাতুন (১৯)নামে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে।

জেরিন খাতুন মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের জাহিদুল ইসলাম কারিগর এর মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেরিন খাতুন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের H.S.C প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল শহরের একটি মেস বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে জেরিন খাতুন গত শনিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় শহরের একটি মেস বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ লাশ হেফাজতে নেই এবং লাশের পোস্টমর্টেম শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে কোন কিছু জানা যায়নি।

আত্মহত্যার বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী পিপিএম বলেন, পোস্টমর্টেম শেষে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তদন্তের সুবিধার্থে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেরিন এর লাশ তার নিজগ্রাম আনন্দবাস কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।




ঝিনাইদহে কোঠা বিরোধীদের পদযাত্রা ও সমাবেশ

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে সারাদেশর ন্যায় ঝিনাইদহেও কর্মসূচী পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রবিবার ১১ টায় শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে জড়ো হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে একটি পদযাত্রা শুরু হয়। এতে কোঠা বিরোধী নানা শ্লোগান দিতে থাকে তারা। পদযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। সমাবেশে শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা, রিহান হোসেন, নুসরাত জাহান সাথী, ইলমা রহমান, স্বাধীন হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কেসি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রদাণ করেন।

বক্তারা, কোটাবৈষম্য নিরসনে সংসদে আইন পাশের লক্ষ্যে জরুরি অধিবেশন আহ্বান এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।




বীজ সিন্ডিকেটের কবলে হারিয়ে যাচ্ছে ‘হরিধান’ চাষ

ঝিনাইদহ তথা সারা বাংলাদেশের মধ্যে আলোচিত ও চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী জাতের নাম “হরিধান” একটি ব্র্যান্ড ।

হরিধান নিঃসন্তান হরিপদ কাপালীর সন্তান। বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীর নামের পাশে জাত কৃষক হরিপদ কাপালীর নাম উঠেছে। পাঠ্যসুচিতে উঠে এসেছে হরিপদ কাপালীর “হরিধান” আবিস্কারের তথ্য। অথচ সেই হরি ধান আজ বীজ সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে। অধিক ফলনশীল ও খরা সহিষ্ণু এই ধান এখন আর কৃষকের উন্মাদনার কারণ হয় না। হরিধান নিয়ে তারা আর ভাবে না। তাদের মাথায় কেবলই বিদেশী বীজ কোম্পানীর উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষের ভাবনা। কৃষকের এই ভাবনা থেকে সময়ের ব্যবধানে হরি ধান মাঠ থেকে হারিয়ে গেছে। এখন আর মাঠে মাঠে দেখা মেলে না হরি ধানের সোনালী ক্ষোত।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, হরিধানের চাল মোটা হলেও ভাত সুস্বাদু। এই ধানের গাছ পুষ্ট ও লম্বা হওয়ায় বিচালির দাম অন্যান্য জাতের তুলনায় বেশি। এছাড়া কম সারে অধিক ফলন। এতো গুন বা বৈশিষ্ট্য থাকার পরও ঝিনাইদহ জেলাতে হরি ধান চাষ সম্প্রসারন করা যায়নি। হরি ধানের উদ্ভাবক প্রয়াত কৃষক হরিপদ কাপালি জেলা পর্যায়ের নানা পুরস্কার পেলেও এখনো জাত হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি পায়নি হরিধান। এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা রতনপুর, মধুহাটি, মামুনশিয়া ও ধোপাবিলা গ্রামে কিছু কৃষক হরি ধান চাষ করছেন। তবে এই ধানের আবাদ সম্প্রসারিত না হওয়ার কারণে হরি ধান ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে। কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, বিদেশী বীজ কোম্পানীর বাজার নিয়ন্ত্রনের কারনে সিন্ডিকেটের সাথে পাল্লা দিয়ে বাজারে টিকতে পারেনি হরি ধান। যার ফলে আমাদের এলাকার উদ্ভাবিত হরি ধানের বীজ হারানোর পথে।

হরিপদ কাপালীর পালিত পুত্র রূপকুমার জানান, হরি ধানের জাতটি বীজকেন্দ্রীক বাজারজাতের কৌশলের কাছে টিকতে পারেনি। উচ্চফলনশীল জাতটি সুকৌশলে একটি মহল বাজার থেকে উঠিয়ে দিয়েছে। প্রথম দিকে এ ধানে কোনো রোগবালাই ধরেনি। কিন্তু জমিতে একই ফসল বারবার চাষ করলে উৎপাদন কমে যায়। সে কারণেই হয়তো কৃষকরা হরি ধান তেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয়ে হরি হরিপদ কাপলীর উদ্ভাবনা নিয়ে প্রথম সংবাদ প্রচারকারী সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ কাজল জানান, যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকায় প্রথম এই খবরটি প্রকাশ হলে দেশে হৈচৈ পড়ে যায়। এরপর দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ^ মিডিয়া লুফে নেয় হরিপদ কাপালীর উদ্ভাবনার খবরটি। তিনি আরো জানান, কৃষকের মাঝে হরি ধান চাষ প্রায় হারিয়ে গেছে। তার কারন হলো বর্তমান কৃষকদের প্রলুব্ধ করা হচ্ছে বিদেশী হাইব্রিড জাতের ধান বীজের প্রতি। এ কারণে এখন আর কেউ হরি ধান চাষ করছেন না। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নূরে-নবী জানান, আমি এখানে এসে নিজে কখনো হরি ধান দেখি নাই। তবে পত্র-পত্রিকা মারফত জেনেছি। বর্তমানে যদি এই ধান চাষে কৃষক লাভবান হয় এবং সরকারী ভাবে এর সংরক্ষণ ও সম্প্রসারন করা হয় তাহলে অবশ্যই আমরা এগিয়ে নিবো। এ বিষয়ে কৃষকরা শতভাগ সহয়তা পাবেন।

উল্লেখ্য ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুধাহাটি ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের জাত কৃষক প্রয়াত হরিপদ কাপালি দুই দশক আগে উদ্ভাবন করেন হরি ধান। এই ধান উদ্ভাবনের পর দেশব্যাপী খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।




মেহেরপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন

মেহেরপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা জাতীয় পার্টির আয়োজন আজ রবিবার (১৪ জুলাই) বিকেল ৫ টার দিকে জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ আব্দুল হামিদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মোঃ কেতাব আলী, মোঃ আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোঃ কুতুব উদ্দিন, সদস্য সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, গাংনী জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ বাবলু হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জান মোহাম্মদ মিন্টু, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খিলাফত আলী, সদস্য মোঃ রাকেশ শেখ রাজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।




দামুড়হুদায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ

দামুড়হুদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিসি বলেন, যারা খেলাকে ভালোবাসে তারা অপরাধ থেকে দূরে থাকে, যারা খেলাকে ভালোবাসে তারা ফুলও ভালোবাসে। খেলায় জয় পরাজয় থাকবেই এটাই নিয়ম। ভালো খেলবো ভালো থাকবো, যারা ফুটবল কে ভালোবাসে তারা সবাইকে ভালোবাসে।

এখান থেকে আমরা ঘৃণা নিয়ে যাবো না, আমরা ভ্রাতৃত্ব মানষিকতা নিয়ে ফিরবো, আমরা সবাই সবার। খেলায় আমন্ত্রিত অতিথি সহ খেলার আয়োজক কমিটি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল কবির ইউসুফ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কে এইচ তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবীর, পরিদর্শক অপারেশন হিমেল, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক ফুটবলার শহীদ আজম সদু সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত আমন্ত্রিত দর্শক অতিথি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। খেলার মাঠে ছিলো দর্শকদের উপচে পরা ভীড়। ফুটবল প্রেমীরা সহ উপস্থিত সকল দর্শক টুর্নামেন্টের মনোমুগ্ধক সেমিফাইনাল খেলা উপভোগ করেন।

টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় যে দুটি দল অংশ গ্রহণ করে তারা হলো কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশ বনাম জুড়ানপুর ইউনিয়ন একাদশ। খেলার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুরানপুর একাদশ কোন গোল করতে না পারলেও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশ ১টি গোল করে চ্যাম্পিয়ন হয় ।

খেলায় রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন, সৈয়দ মাসুদুর রহমান, একরামুল হাসান নিপুন, সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, ইউসুফ আলী। টুর্নামেন্টের ম্যাচ কমিশনার সাবেক জেলা ফুটবলার জাকির হোসেন। খেলায় ধারাভাষ্য দেন মোস্তাফিজুর রহমান।টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি এম নুরুন্নবী’র সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।




মেহেরপুরে উজ্জ্বল সিঙ্গাপুর ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের উদ্বোধন

বিভিন্ন দেশের এয়ার টিকিট ম্যান পাওয়ার ও টুরিস্ট ভিসা করার জন্য মেহেরপুরে উজ্জ্বল সিঙ্গাপুর ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ রবিবার বিকেলে মেহেরপুর শহরের কোট মোড়ে ফিতা কেটে সিঙ্গাপুর ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। উজ্জ্বল সিঙ্গাপুর ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস এর স্বত্বাধিকারী মোঃ উজ্জ্বল হুসাইন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান।

এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোঃ রানা, আরিফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখানে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।




বৃষ্টির প্রেম

বর্ষা এসে গেছে –
তুমি আসোনি মণিরাজ
দু’চোখে বৃষ্টি নিয়ে কবিতায় তোমায় খুঁজি।
সম্মোহনে বুঁদ হয়ে থাকি সমস্ত সত্ত্বায়
জল রঙে এঁকেছি তোমায়,
মুদ্রন অক্ষরে সাজিয়েছি তোমায়,
নাহ্ মন ভরছেনা কিছুতেই
বারবার একঝাক মেঘ এসে ঢেকে দিচ্ছে
ওই মেঘ বৃষ্টি মণিরাজের প্রেমের খবর দিচ্ছে।