আলমডাঙ্গায় দোকানীকে হাত-পা বেধে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
আলমডাঙ্গায় জমি কেন্দ্রিক পূর্বশত্রুতার জের ধরে গভীর রাতে দোকান ব্যবসায়ীর হাত-পা বেধে দোকান ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
আজ রোববার দিবাগত রাত ২ টার দিকে পৌর এলাকার রেল ফোকট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দোকান ঘর মালিক মানোয়ারুল ইসলাম টুটুল আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- গোবিন্দপুর নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকার মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে মুকুল হাজী (৫২), আবু বক্করের ছেলে ওসমান আলী (৩৮), মহি উদ্দীন (৫৫) , মকবুল হোসেন (৫০) বন্ডবিল এলাকার মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে কুদ্দুস আলী (৫০) সহ আরো তিন জনের নাম উল্লেখ করেছেন।
জানাগেছে, পৌর এলাকার স্টেশন পাড়ার মানোয়ারুল ইসলাম টুটুল গত ১০ বছর আগে বাস রেল ফোকট সংলগ্নে ২০১০ সালে ১২ শতক জমি ক্রয় করেন। এ জমি ক্রয় করেন মৃত সদর উদ্দীন গং, রাবেয়া খাতুন ও মকবুল হোসেনের নিকট। ওই জমিতে দুটি পাঁকা দোকানও নির্মাণ করেছেন। এছাড়া একটি বাঁশ টিনে নির্মিত মোটরসাইকেল গ্যারেজ রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মানোয়ারুল প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাত ১০ টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। আমার দোকানের মধ্যে পাশের দোকানদার লিটন রাতে অবস্থান করে। তার হাত-পা বেধে দোকান ভাঙচুর করে। এছাড়া দোকানে থাকা বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী লিটন জানান, রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে কয়েকজন এসে রামদা ও হাসুয়া ধরে আমার হাত-পা বেধে ফেলে। পরে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং চিৎকার করতে নিষেধ করে। এসময় দোকান ভাংচুর করে দোকানে থাকা বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
দোকান মালিক মানোয়ারুল ইসলাম টুটুল বলেন, ঘটনার রাতে মাছ চাষের পুকুরে পানি দেওয়া শেষে বাড়ি ফিরছিল গোবিন্দপুর গ্রামের সজিব। সে লিটনের হাত-পা বাধা দেখে ওই রাতে ফোন দিলে আমি দ্রুত ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করি। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গণি মিয়া জানান, দোকান ভাঙচুরের ঘটনা আমার পর্যন্ত আসেনি। অভিযোগ দিলে তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।