উগান্ডার অধিনায়কের রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে বাবর

বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খেয়েছিল পাকিস্তান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের তেঁতো স্বাদ পেয়েছিল বাবর আজমের দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই দাপুটে জয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতা এনেছে পাকিস্তান। এই জয়ে একটি রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন অধিনায়ক বাবর।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে বাবরের ৪৫তম। বিশ্ব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টিতে এত ম্যাচ কোনো অধিনায়ক জেতেননি। এতদিন উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবার সঙ্গে যুগ্মভাবে শীর্ষে ছিলেন বাবর। মাসাবা ৫৬টি ম্যাচের মধ্যে ৪৪টি জিতে। বাবর ৭৮টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে জিতেছেন ৪৫টি ম্যাচে। ম্যাচ শেষে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকবি বাবরের হাতে তোলে দেন ৪৫ লেখা বিশেষ জার্সি।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। ৭২টি ম্যাচের মধ্যে ৪২টি জিতেছেন তিনি। আফগানিস্তানের অধিনায়ক আসগর আফগান ৫২টি ম্যাচের মধ্যে ৪২টি জিতেছেন। ভারতের দুই অধিনায়ক রয়েছেন এর পরপরই। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ৭২টি ম্যাচের মধ্যে ৪১টিতে জিতেছেন। রোহিতও জিতেছেন ৪১টি ম্যাচে। তবে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫৪টি ম্যাচে।

সূত্র: ইত্তেফাক




যোগ্য সেবক-সেবিকা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে– সিভিল সার্জন

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা: আকুল উদ্দিন বলেছেন, সেবক সেবিকারা অসুস্থ রোগীদের সুস্থ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যোগ্য সেবক/সেবিকা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।

আজ সোমবার (১৩ মে) সকালে কুষ্টিয়ার ডা: লিজা নার্সিং ইনস্টিটিউট গ্যালারীতে ডা: লিজা নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের নবীন বরন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখান থেকে পড়াশোনা শেষে আপনাদের চাকরি হলে সেটা হবে সেবক/সেবিকা। আর সেবক হিসেবে আপনারা মানুষকে সেবা প্রদান করবেন।

ডা: লিজা নার্সিং ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ডা: এএফএম আমিনুল হক রতনের সভাপতিত্বে ও ডা: লিজা-ডা: রতন ম্যাটসের চেয়ারম্যান ডা: আসমা জাহান লিজার সার্বিক পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন , জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাফসিরুল হক মুন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরএমও ডা: তাপস কুমার সরকার, নার্সিং ইনস্টিটিউট কুষ্টিয়ার নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ স্মৃতি কনা রাণী, নাসিবের পরিচালক আব্দুস সাত্তার, প্রাইভেট ক্লিনিক ওনার্স এসোসিয়েশন কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক আরাফাত জামান তপন প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা: লিজা নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আসমা খাতুন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসকের আগে নার্সরাই এগিয়ে আসে। রোগীদের সেবাযত্মে নিজেকে নিয়োজিত রাখে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পাশাপাশি নার্সদেরও গুরুত্ব কম নয়। তাই নার্সিং এর পেশার প্রতি শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দিতে হবে এবং এ পেশার প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছে কুষ্টিয়ার এই ডা: লিজা নার্সিং ইনস্টিটিউট।

জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। এরপর অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পাশাপাশি নবীন শিক্ষার্থীরা মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে এবং তাদের ফুল ও মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা জানান অতিথিবৃন্দ।




সড়ক দুর্ঘটনায় দক্ষিণের অভিনেত্রী পবিত্রা মৃত্যু

ভারতের দক্ষিণের অভিনেত্রী পবিত্রা জয়রাম সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তেলেগু টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘ত্রিনয়নী’-তে তিলোত্তমার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মেহবুবা নগরের কাছে একটি ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিনেত্রী পবিত্রা জয়রামের।

পুলিশ জানায়, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অভিনেত্রী পবিত্রা জয়রামের গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। আর ঠিক তখনই হায়দরাবাদ থেকে বনপারথিগামী একটা বাস ডান দিক থেকে এসে অভিনেত্রীর গাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে পবিত্রা গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।

অভিনেত্রীর গাড়িটি কর্ণাটকের মান্ডা জেলার হানাকেরে-তে ফিরছিল। ওই একই গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রীর মামাতো বোন অপেক্ষা, গাড়িচালক শ্রীকান্ত ও অভিনেতা চন্দ্রকান্ত। তারাও এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ।

পবিত্রার মৃত্যু ইন্ডাস্ট্রিকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেত্রীর স্বামী ও সহ শিল্পীরা।

তার স্বামী, অভিনেতা চন্দ্রকান্তও এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তিনি স্ত্রীর মৃত্যুতে ইনস্টাগ্রামে শোক জানিয়ে লিখেছেন, ‘তুমি আমাকে একা ফেলে চলে গেলে আমি মানতে পারছি না। অনুগ্রহ করে ফিরে আসো’।

পবিত্রার সহ অভিনেতা সমীপ আচার্য সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘মাত্র খবরটা শুনলাম, যে আপনি আর নেই। এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমার প্রথম অন-স্ক্রিন মা আপনি, আপনি সবসময়ই আমার কাছে বিশেষ একজন হয়ে থাকবেন।’

পবিত্রা জয়রাম একাধিক কন্নড় সিরিয়ালে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। কন্নড় ছাড়াও তেলেগু ধারাবাহিকেও তিনি কাজ করেছেন।




গাংনী উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ

গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে ঘোষণা দিয়ে সরে দাঁড়ালেন মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন।

আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১১ টার সময় গাংনী উপজেলা যুবলীগের অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক কারনে এবং আগামীতে দলীয় ঐক্যের স্বার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন নির্বাচনে যে সব নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটার ভাই বোনেরা আমাকে এতদিন সমর্থন জানিয়েছেন তাদের প্রতিও কৃতগতা প্রকাশ করছি। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য আপনরা যে কষ্ট পেয়েছেন তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, যে কোনো গণতান্ত্রিক লড়াই সংগ্রামে আমি আপনাদের সাথে ছিলাম, আগামীতেও থাকবো। তিনি উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট প্রদান করার অনুরোধ জানান।

এসময় গাংনী উপজেলা যুবলীগের সাধাারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ, সহসভাপতি আল ফারুক, ষোলটাকা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পাশাসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের গাংনীতে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলেও মজিরুল ইসলাম ও ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন প্রত্যাহার কওে নেন। পরে গতকাল রবিবার (১২ এপ্রিল) পারিবারিক ও ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সাবেক এমপি পত্নি লাইলা আরজুমান বানু শিলা।

বর্তমানে মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান ও ৬ জন ভাইসচেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।




কুষ্টিয়ায় পানির সংকট আর তাপপ্রবাহে দিশেহারা কৃষক

একদিকে তাপপ্রবাহ অন্য দিকে পানির সংকট। চরম বিপাকে পড়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুরসহ বেশ কিছু উপজেলার কৃষকরা। তাপপ্রবাহে পুড়ে যাচ্ছে মাঠের ফসল। পানির অভাবে অনাবাদি পড়ে আছে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

গত একমাসে তীব্র ছিল সারাদেশের তাপমাত্রা। বিশেষ করে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের দাবদাহ ছিল বেশ প্রখর। কুষ্টিয়াও এর ব্যতিক্রম ছিল না। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি। যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন মাঠ সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ ধানখেত শুকিয়ে যাচ্ছে। কিছু ধান গাছে শীষ বের হলেও চিটা হয়ে যাচ্ছে। ভুট্টাখেত শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে শতাধিক বিঘা জমিতে শাকসবজিসহ সব অন্যান্য ফসল নেতিয়ে পড়েছে। এসব ফসলে পানি দিতে না পেরে কৃষকদের মাঝে হাহাকার শুরু হয়েছে। টাকা দিয়েও পানি মিলছে না বলে জানালেন কৃষকরা। টাকা খরচ করে ফসল ফলিয়ে তা ঘরে তুলতে পারছেন না। এমন সংকটের আগে কখনো পড়েননি বলেও জানান তাঁরা।

মিরপুর উপজেলার মশান এলাকার কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ধান আবাদ করেছি। আমাদের মাঠের পাশ দিয়ে গঙ্গা কপোতাক্ষ (জিকে) ক্যানেল থাকলেও সেখানে কোনো পানি নেই। জমি থেকে একটু দুরত্বে ইঞ্জিনচালিত শ্যালো মেশিন ছিল। সেখান থেকে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে পানি নিতাম। কিন্ত কিছুদিন হলো স্তর নেমে যাওয়ায় সেখান থেকেও পানি উঠছে না। পানির অভাবে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর কয়েক দিন গেলে সব শুকিয়ে যাবে।’

একই এলাকার কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘৪ বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছিলাম। জমি চাষাবাদ ও সেচে অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়েছে। শেষের দিকে এসে তাপপ্রবাহে ভুট্টার গাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছিলো তাই ওভাবেই ভুট্টা ক্ষেত থেকে তুলে এনেছি।’

মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সামাদ বলেন, ‘আগে মানুষ খাওয়ার চিন্তা করত। এখন এলাকার মানুষের বড় চিন্তা হয়ে উঠেছে খাওয়ার পানি। পানির অভাবে এলাকাবাসী গরু-ছাগল বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।’

এদিকে পদ্মার শাখা নদীয় কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের কোনো নলকূপে পানি উঠছে না বলে জানান মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া গ্রামের শান্ত বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘বাড়ির টিউবওয়েলে ১৭০ ফুট পাইপ বসিয়েছি। এরপরও পানি উঠছে না। বিদ্যুৎচালিত মোটর বসানো আছে, সেখানেও পানি উঠছে না। সংকট ভয়াবহ। তীব্র খরায় বোরো খেতে সেচ দেওয়া যাচ্ছে না।’

কুষ্টিয়া জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী ইব্রাহীম মো. তৈমুর বলেন, ‘জিকে সেচ প্রকল্পে বন্ধ এবং আবহাওয়া এখন চরম উত্তপ্ত। কয়েক সপ্তাহ ধরে খরা চলছে। শুধু পৌর এলাকায় নয়, গ্রামাঞ্চলেও পানির সংকট চলছে। প্রতি বছরই এ সময় পানির স্তর নিচে নেমে যায়। বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে। তবে প্রতি বছর দু-এক সপ্তারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গেলেও এবার সময়টা বেশি লাগছে।’

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) প্রকল্পের পাম্প ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে তিনটি পাম্পটি বন্ধ রয়েছে। পাম্পগুলো সচল করার চেষ্টা চলছে। কবে নাগাদ সেচ কার্যক্রম চালু করা যাবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পানি সংকটের কারণে বোরো আবাদ ব্যাহত হয়েছে। সমস্যার দ্রুত সমাধান করা না গেলে আউশ উৎপাদনেও প্রভাব পড়বে। তবে ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলও পানির অভাবে ভালো ফলন হয়নি ‘

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, ‘তীব্র তাপপ্রবাহ এবং পানি সংকটের কারণে উৎপাদনে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে এ সমস্যা থাকবে না। দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হলেই সংকট কেটে যাবে। জিকে সেচ প্রকল্প চালু করতেও কাজ চলছে।’




আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী কেএম মঞ্জিলুর রহমানের গণসংযোগ

আসন্ন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত মোটর সাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কে, এম মঞ্জিলুর রহমান ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন।

এছাড়া গতকাল রোববার রাতে পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এরশাদপুর গ্রামে অফিস উদ্বোধন ও পথসভা করেন। এর আগে তিনি বেলগাছি ও ডাউকি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ করেন।

পথসভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মোটরসাইকেল প্রতিকের কে, এম মঞ্জিলুর রহমান আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী। তার পক্ষে উপজেলায় গণ জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ২১ মে নির্বাচনে বিজয় অর্জন করবোই ইনশাল্লাহ। মোটর সাইকেলের গণ জোয়ার দেখে আজকে নানা ভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। আপনাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোটর সাইকেলে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, উন্নয়ন ও স্মর্ট উপজেলা গড়ার কাজে অংশ নিন। মোটর সাইকেলে প্রতিকে ভোট দিন।

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলম হেসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, উপপ্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক লাভলুর রহমান, ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ জহুরুল ইসলাম স্বপন, ২ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মজিবুল ইসলাম, ১ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি দেলোয়ার হেসেন আওয়ামীলীগ নেতা খন্দকার গোলাম আজম বিটু, নুরুন নবী, মিঠু, রঞ্জু সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মি।




আলমডাঙ্গা আনারস প্রতিকের প্রার্থী ডাবুর বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আ: মমিন চৌধুরী ডাবু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ব্যাপক গণ সংযোগ করেছেন। তিনি গতকাল রবিবার উপজেলার জামজামি, খাসকররা, আইলহাঁস, নাগদাহ, জেহালা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ করেন।

গণ সংযোগকালে আ: মমিন চৌধুরী ডাবু বলেন,আমি আনারস প্রতিক নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি। আমি কুমারী গ্রামের ছেলে। ঢাকায় ব্যবসা করি ও আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িয়ে আছি। আমার কাছে উপজেলার বহু মানুষ বিভিন্ন সময়ে যেয়ে থাকেন। আমি সাধ্য অনুযায়ী তাদের পাশে থেকে যতদূর পারি উপকার করে থাকি। সে কারণে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আপনারা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন, তাহলে আমি আগেও যেভাবে মানুষের সেবায় কাজ করেছি, একই ভাবে কাজ করে যাবো। আমার কাজ হবে এই উপজেলাকে একটি দুর্নীতি মুক্ত ও মডেল উপজেলা গড়ে তুলবো।

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোল্লা আবু জাফর, ইকলুসুর রহমান, মোহাম্মদ আলম, প্রান্ত, আমিরুল ইসলাম, আহসান হাবিব, মোজাম্মেল হক, আব্দুল খালেক, আদিল হাসান, আজিজুল ইসলাম, প্রমুখ।




ঝিনাইদহে এসএসসি পরীক্ষায় পাস না করাই ছাত্রী আত্মহনন

ঝিনাইদহে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে নুপুর খাতুন (১৫) নামের এক শিক্ষার্থী।

গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার সাবেক বিন্নি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নুপুর ওই গ্রামের আসাদুল ইসলাম মণ্ডলের মেয়ে। পার্শ্ববর্তী দুর্লভপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলো মেয়েটি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গতকাল রবিবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর নুপুর অনলাইনে তাঁর ফলাফল দেখে হতাশ হয় এবং ঘরে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

দুর্লভপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন পিন্টু জানান, মেয়েটি অনেক শান্ত স্বভাবের ছিল। এ ভাবে সে আত্মহত্যা করবে তা ভাবতেও পারিনি।

এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করে এক ছাত্রীর আত্মহননের খবর শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।




আলমডাঙ্গায় চার খণ্ডে বিভক্ত ভোটের মাঠে প্রার্থীরা ; মাঠ কাপাচ্ছে ডাবু

কে হবেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের অভিভাবক এ নিয়ে চলছে গ্রামে গ্রামে জল্পনা কল্পনা। এবার বিরোধীদলের কোন প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের ৫ জন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হবে এটা অনেকটা নিশ্চিত। তবে ৫ প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডির। এছাড়া ভাগ হয়ে গেছে নিজেদের কর্মী বাহিনী। এর পরেও চার খণ্ডে বিভক্ত হয়ে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা। তাদের কর্মী সমর্থকদের নিজের পক্ষে আনতে মরিয়া হয়ে উঠছেন। এদিকে মোমিন চৌধুরী ডাবু (আনারস) প্রতিকে তাঁর কর্মী সমর্থকদের নিয়ে একাই উপজেলার প্রত্যান্তঞ্চলে গিয়ে ভোট চেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে পঞ্চমুখী। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসলেও এখনও জমে ওঠেনি নির্বাচনী মাঠ।

আগামী ১৯ মে প্রচারণার শেষ দিন। তবে প্রতিদিন প্রার্থীরা উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ চালিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন।

এবারও নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে প্রচারণা করছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন (দোয়াতকলম)। এছাড়া নতুন মূখ হিসেবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সাবেক হারদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম (কাপ পিরিচ)। একই এলাকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মঞ্জিলুর রহমান (মোটরসাইকেল) , ঢাকার দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোমিন চৌধুরী ডাবু (আনারস)। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়ে এবারও বিজয়ের লক্ষ্য নিয়ে সাবেক জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক জিল্লুর রহমান (ঘোড়া) প্রতিক নিয়ে আবারো ভোটের মাঠে।

এদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগের পদ না থাকলেও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ১০ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঐক্যবদ্ধ ভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মঞ্জিলুর রহমানকে সমর্থন দিয়ে মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিত ইতিমধ্যে সাবেক জেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক জিল্লুর রহমানকে সমর্থন দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি গত সংসদ নির্বাচনে (ঈগল) প্রতিকে নির্বাচন করেন।

বর্তমান সংসদ সদস্যের নিকট পরাজিত হওয়ায় এ আসনে তাঁর আধিপত্যবিস্তারের জন্যই জিল্লুর রহমানকে সরাসরি সমর্থন করেছেন বলে প্রবিন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ মনে করেন। তবে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক অঙ্গনে সুপরিচিত মুখ বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী নুরুল ইসলাম। ইতিপূর্বে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্বপালন করেন। তাঁরপর তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য লাভের পর দু’বার হারদি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। তাঁর দায়িত্বপালনের ১০ বছরে ইউনিয়নকে একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর দায়িত্ববোধ থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাঁর সাথে সখ্যতা রেখে উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়া গত ৫ বছর উপজেলা নির্বাচনে দায়িত্বপালন শেষে আবারো নির্বাচনের মাঠে ভোটযুদ্ধে সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আয়ুব হোসেন। এবার পারিবারিক সঙ্গ না পেলেও জেলা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁর দায়িত্বপালনে কর্মীদের নানা মুখি প্রতিশ্রুতি পুরণ না করায় ভোটারদের নিকট থেকে ফিরছেন খালি হাতে।

তিনি ছাড়াও ঢাকা উত্তর দারুসসালাম থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন মোমিন চৌধুরী ডাবু। উপজেলা রাজনৈতিক অঙ্গনে অপরিচিত থাকলেও ঢাকাতে রয়েছে শক্তিশালী অবস্থান। এর পাশাপাশি উপজেলার অনেক নেতা-কর্মীরা মামলা হামলা থেকে রেহাই পেতে তার দারস্থ হন। বিভিন্ন সংগঠন পক্ষপাতিত্ব করলেও ডাবু তাঁর নিজের কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে পৌঁছে গেছেন প্রত্যান্তঞ্চলে। শহর কেন্দ্রিক রাজনৈতিক মাঠে তাঁর নাম জানা না থাকলেও গ্রামাঞ্চলে সাড়া জাগিয়ে ভোটে জয়লাভে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।




চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে রবিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটি, আদালত সহায়তা, মানব পাচার প্রতিরোধ, সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ, চোরাচালান নিরোধ, অনিস্পন্ন চোরাচালান মামলাসমূহ সম্পর্কে মনিটরিং সেলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভার প্রারম্ভে গত ০৮ মার্চ ২৪ তারিখ দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলায় অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন, মাদক উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ও জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলা প্রশাসক ধন্যবাদ জানান।

উক্ত সভায় আদালত সহায়তা, মানব পাচার প্রতিরোধ, সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ, চোরাচালান নিরোধ, অনিস্পন্ন চোরাচালান মামলাসমূহ সম্পর্কে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা, সড়কের শৃঙ্খলা, ফুটপাত দখলমুক্ত, দ্রব্যমূল্য সহনশীল, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়।

উক্ত সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম সেবা, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( শিক্ষা ও আইসিটি) কবীর হোসেন, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান সহ চুয়াডাঙ্গা সদর আলমডাঙ্গা দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার বৃন্দ ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ।