ঝিনাইদহে বিএম সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশার ব্রাঞ্চ ম্যানেজারদের নিয়ে এসএমএপি প্রকল্পের আওতায় টিএসএস পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দিন ব্যাপী বিএম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জেলা শহরের এইড কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে আশার ডিস্ট্রিক ম্যানেজার হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিএম সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আশার ডেপুটি ডিরেক্টর (কৃষি) মোঃ খুরশীদ আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডপুটি ডিরেক্টর (কৃষি উইং) আবু সাঈদ, সদরের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আবু সামা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক ছিলেন ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায় ও জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুব্রত কুমার।

প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির সম্ভাবনা ও ব্যাবহার গাভী পালনে বাসস্থান খাদ্য ব্যাবস্থাপনা, পোল্টি খামার ব্যাবস্থাপনা, মাশরুম চাষ, বায়োগ্যাশ, ভার্মি কম্পোষ্ট, কৃষি বিষয়ক ওয়েবসাইট সহ ৩১ জন ব্রাঞ্চ ম্যানেজরাবৃন্দ কৃষকদের কি ভাবে সমস্যার সমাধান দিবে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়।




নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায় করণীয়

মানুষের ৪টি মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম হলো খাদ্য। বিশেষ করে মানব দেহের বৃদ্ধি গঠন ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে খাদ্য অপরিহার্য।

তবে চলমান শতাব্দীতে সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তা ছাড়া সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা ও দেহকে কর্মক্ষম, চলনসই রাখার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই। তাই সকলের উচিত খাদ্য তালিকায় আমিষ, শর্করা, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি এই সবগুলো উপাদান নিশ্চিত করা।

যাকে বলা হয় সুষম খাবার। তাই শুধু পেট ভরার জন্য খাওয়া এই ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে নিরাপদ ও পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন,দেশে দেশে যুদ্ধ, সংঘাত, মরুময়তা,লবণাক্ততায় বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপদনে সংকটকাল অতিবাহিত করছে। তাছাড়া করোনা অতিমারির ভয়াবহতা, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতে মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকটে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব দুঃসহ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে বিশ্বের অনেক দেশ বিপর্যস্ত। উৎপাদন পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং চলমান সংকটের কারণে ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে খাদ্য সংকট বা দুর্ভিক্ষ অত্যাসন্ন বলেছেন সংস্থা। বাস্তবে সুদান, সোমালিয়াসহ বিশ্বের বেশ কয়েটি দেশে খাদ্যের জন্য মানুষের আহাজারি, নারী শিশুর মৃত্যু প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব।

অবশ্য খাদ্য সংকটের বৈশ্বিক অবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশে মিল নেই। জনগণের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে খাদ্য অন্যতম এবং এটা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু এ অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে নানা মুখীসংকট বিরাজ করছে। এরমধ্যেও গত কয়েক দশকে পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চাষযোগ্য জমি সংরক্ষণ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, কৃত্রিম বনায়ন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কর্মকা মাধ্যমে বিশ্বের সব দেশ ব্যস্ত খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। এমন এক প্রেক্ষাপটে সারা বিশ্বে পালিত হয় বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিগত সময়ে করোনাভাইরাস মহামারিতে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা ব্যাহত করেছে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি করেছে। ফলে জীবিকা ও আয় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা ও
বৈষম্যও বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে উন্নত উৎপাদন, উন্নত পুষ্টি, উন্নত পরিবেশ ও উন্নত জীবনযাত্রার জন্য আরো দক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমুলক, স্থিতিশীল ও টেকসই কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থায় রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো, যাতে কেউ পিছিয়ে না থাকে। আমাদের কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থাও এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন সবার জন্য পর্যাপ্ত সাশ্রয়ী, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

বর্তমান অবস্থার প্রতিপ্রেক্ষিতে ও আন্তর্জাতিক খাদ্যবাজারে অস্থিরতা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সংকটকালে খাদ্যনিরাপত্তা অর্জনের জন্য কৃষিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জনসচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের খাদ্য আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে। দেশের মাটি, পানি, প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং নিজস্ব প্রচেষ্টার মাধ্যমেই তা করতে হবে। পরিবর্তিত জলবায়ুতে খাপ খাইয়ে উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে।

একটি দেশের স্থিতিশীলতার জন্য খাদ্যমূল্য নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে। আবার সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন বিশুদ্ধ ও পুষ্টিকর খাদ্য। আর এ বিশুদ্ধ খাদ্যই যদি অখাদ্যে রূপান্তরিত হয়, তা গ্রহণের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। এ খাদ্য যদি আমাদের জীবন-জীবিকার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে আমরা যে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির শিকার হব তা কিন্তু যুদ্ধ ও মহামারীর ভয়াবহতার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। কাজেই এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে বের করা এখন সময়ের দাবি।

প্রসঙ্গত: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গত দেড় বছর ধরে বিশ্ব সর্বোচ্চ খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এমনি অবস্থায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত খাদ্য সংকটের ইঙ্গিত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থাসহ সবাই একযোগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন, ফিলিস্তিনে ইসরাইলে আগ্রাসনের কারণে হতে যাওয়া এ ভয়াবহ খাদ্য সংকটের ফলে শুধু ইউক্রেন,ফিলিস্তিনই নয়; হাজার হাজার মাইল দূরবর্তী দেশগুলোর মানুষেরও মৃত্যুর আশঙ্কা করছে এসব আন্তর্জাকিত সংস্থাসমূহ। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সংশোধিত বার্ষিক পূর্বাভাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি নানাবিধ কারণে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে সংস্থাটি ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য কমার ইঙ্গিত দিয়েছে,যা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। উপরন্তু জ্বালানি, খাদ্য ও সারের আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়া বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋণ
সংকট বাড়াচ্ছে।

অন্যদিকে, জানুয়ারিতে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত ১৫তম কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে বিদ্যমান খাদ্য সংকট পরিস্থিতিতে সংকটকালীন খাদ্যব্যবস্থা, জলবায়ু সহনশীল খাদ্য, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং টেকসই বৈশ্বিক খাদ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তাতে আরো বলা হয়, অদূর ভবিষ্যতে একটি অত্যন্ত দুর্যোগময় সময় এগিয়ে আসার এবং বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। ‘ঘূর্ণিঝড় রিমাল পরবর্তী খাদ্য নিরাপত্তা : আশু করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বাপা’র পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে খুলনা সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায় ৬১ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ওই বাঁধগুলি মেরামত করতে হবে।

জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনগণের মালিকানায় বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে নীতি ও কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। তারা বলেন, ‘সুন্দরবন বুক পেতে যদি আমাদের রক্ষা না করতো তাহলে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি আরো বেশি হতো। সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করছে; সুন্দরবনকে রক্ষা করবে কে? সুন্দরবনের উপর যদি মানুষ অত্যাচার না করে তাহলে সুন্দরবন নিজ থেকেই এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস করি।, ঘূর্ণিঝড় প্রভাবে উপকূলে সুপেয় পানির সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আগামীতে আমন ধান চাষ, পাট ও শাক সবজি চাষে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থার জন্য নতুন মাত্রায় সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে দেশের উপকূলীয় জেলা উপজেলা সমুহে পানিতে অধিক মাত্রায় লবণাক্ততা,আবার কোথাও কোথাও মরুময়তা। এমনি অবস্থায় বাংলাদেশে সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত চ্যালিঞ্জিং। অবশ্য সকলের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার ইতোমধ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এমনি অবস্থায় সরকারের পক্ষে সম্ভাব্য খাদ্যসংকট মোকাবিলা করে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমুদ্র উপকূলবর্তী মিঠাপানির জলাশয় থেকে দ্রুত লবণাক্ত পানি অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সদ্য ঘূর্ণিঝড় রিমালে দেশের সমুদ্র উপকূলে আঘাত হানার পর থেকে প্রায় ৫০ ঘণ্টা অবস্থান করেছে। এতে বাঁধ উপচে লোকালয়ে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করেছে। তাছাড়া সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে লবণ বয়ে এনে তা উপকূলের পুকুরে,জলাশয়ের পানিকে লবণাক্ত করে তোলে। যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং খাদ্য সংকটের বৈশ্বিক সমস্যার সঙ্গে বাংলাদেশে এই
পরিস্থিতিকে আরো সংকটে ফেলছে।

দেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলের পানিতে ,মাটিতে অধিক মাত্রায় লবণাক্ততা এবং দেশের উত্তরাঞ্চেলের ১৬ জেলায় বিরাজমান মরুময়তা। কারণ উপকূলের মাটি পানিতে লবণাক্ততায় খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হয় মারাত্মক ভাবে। একই ভাবে দেশের উত্তরাঞ্চেরের ১৬ জেলায় গ্রীষ্মে অতিমাত্রায় মরুময়তায় খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হয় সমভাবে। অবশ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একাধিক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ফোরামে বক্তব্য কালে সম্ভাব্য এ বৈশ্বিক মন্দা বা দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশবাসীকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছিলেন খাদ্য চাহিদা পূরণ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনাবাদি সব জমিকে আবাদের আওতায় আপনা,উৎপাদনস বৃদ্ধি,উৎপানে বৈচিত্র্য আনায়নের। এমনি অবস্থায় , দেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় ১৭টি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক হবে এমনি প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট মহলের।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষিমন্ত্রণালয় তার আওতাধীন সংস্থাসমূহের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন খরচ কমানো, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আবাদি জমি বাড়ানো, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তন উপযোগী প্রযুক্তি ও ফসল উদ্ভাবন, আন্তফসল, মিশ্র ফসল, রিলেফসল, রেটুন ফসল চাষ করা, সেচের জমি বৃদ্ধি করা, উফশী ও হাইব্রিড ফসল চাষ করা, শস্য বহুমুখীকরণ করা, জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত ও প্রচুর চারা উৎপাদন করা, রোগবালাই দমন করা। প্রতি ইঞ্চি জমি চাষ করা। ধানক্ষেতে মাছ চাষ, পুকুরে মাছ-মুরগি-হাঁসের সমন্বিত চাষ করা, রোগ ও পোকা দমনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা, সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া, পশুপাখির জন্য জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভর্তুকি বাড়ানো, সংরক্ষণাগার বাড়ানো, কৃষি উপকরণ সরবরাহ, শস্যবিমা চালু করা ও পতিত জলাশয়ে মাছ চাষের বহুমুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রত্যাশা সরকারি উদ্যোগে গৃহীত এসব কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন এবং খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, রিনাপদ খাদ্যেও নিশ্চয়তা করণীয় সম্পর্কে ব্যাপক হারে জনসচেতসতা সৃষ্টি,খাদ্যের অপচয় রোধে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাযথ ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। তাহলেই সম্ভব সকালের জন্য খাদ্যের নিশ্চয়তা এবং নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তার বিধান করা।

# পিআইডি ফিচার

লেখিকা : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত।




মাদক ও তামাক নির্মূল করতে প্রতিরোধে জোর দিতে হবে

মাদকের আগ্রাসনে তরুণ সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সুস্থ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে মাদক নির্মূলের বিকল্প নেই। কিশোর-তরুণদেরকে মাদক ও তামাকের নেশা থেকে দুরে রাখতে প্রতিরোধ কর্মসূচি জোরালো করতে হবে। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ০৯ জুলাই ২০২৪, সকালে বারডেম হাসপাতাল মিলনায়তনে মানস- মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, এমপি। তিনি বলেন, কোন বাবা-মা চান না তার সন্তান বিপথগামী হোক। পরিবারে একজন মাদকাসক্ত থাকলে পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। সমাজ তাদেরকে ভিন্ন চোখে দেখে। একটা সময় ছিলো যখন পথশিশু, ছিন্নমুল মানুষদের মধ্যে মাদকাসক্তি বেশি ছিলো। কিন্তু, বর্তমানে আমাদের শিক্ষিত শ্রেণীর মধ্যে মাদকাসক্তি সমস্যা বাড়ছে। মাদকের নেতিবাচক প্রভাব পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবখানেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এজন্য প্রত্যেক স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী প্রচারণা বাড়াতে হবে, প্রতিরোধে জোর দিতে হবে। দেশে মাদকের চিকিৎসায় উন্নতমানের রিহ্যাব সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটাও লক্ষণীয় যে, চিকিৎসা নিয়ে অনেকে পূণরায় মাদকে আসক্ত হচ্ছে। তাই নিজেদের পরিবার ও সমাজ থেকে তামাক, মাদক সরিয়ে নিতে পারলে সমস্যা নিরসন সহজতর হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ সকল কাজে সহায়তা করবে।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মেস্তাফিজুর রহমান, এনডিসি, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিট এর প্রিন্সিপাল অধ্যাপক নাজমা হক, এবং ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস এন্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর (ড্রাগস এন্ড এইচআইভি/এইডস) মো: আবু তাহের। মানস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান তালুকদার। ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মাহি খন্দকার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ‘মানস’ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী উম্মে জান্নাত এবং সভা আয়োজনে সহায়তা করে ইব্রাহীম মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিট।

প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, অনেক ধরনের নেশা আছে। মাদকের নেশা ভয়ঙ্কর। মাদকের ফলাফল কখনোই ভালো হয় না। তামাক ও ধূমপান দিয়ে মাদকাসক্তির শুরু হয়। মাদকাসক্তের মধ্যে ৯৮% ধূমপায়ী। মাদক তিলে তিলে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। হত্যা, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের পেছনে বড় কারণ মাদক। বাংলাদেশ মাদকে সয়লাভ হয়ে গেছে দেশ। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মাদক দেশে ঢুকছে যা আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি মাদকাসক্ত রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই কিশোর-তরুণ! এদের ৬০ শতাংশ অপরাধের সঙ্গে জড়িত, যা অত্যন্ত আতঙ্ক ও ভয়ের কারণ। মাদক নির্মূলে মাদকের সহজলভ্যতা রোধ, আইনের যথাযথ প্রয়োগ, সচেতনতা বৃদ্ধি করা, মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্বারোপ, মাদকাসক্তদের প্রতি বন্ধুত্বসূলভ আচরণ প্রদর্শন ও চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির নিশ্চিত করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দেশে মাদক নির্মূলে কঠোর আইন প্রণীত হয়েছে। মাদকাসক্তি একটি মানসিক রোগ তাই ঘৃণা নয়, ভালোবাসা দিয়ে মাদকাসক্তদের সারিয়ে তুলতে হবে এবং মাদক গ্রহণ প্রতিরোধ করতে হবে। মাদক নির্মূলে তামাক অর্থাৎ- ধূমপানে নিয়ন্ত্রণে কাজ জোরালো করতে হবে।

খোন্দকার মেস্তাফিজুর রহমান, এনডিসি বলেন, মাদক আসক্তিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারেও মাদক নিয়ন্ত্রণ যুক্ত রয়েছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি উল্লেখ করেছেন। বিজিবি, কোস্টগ্রার্ড, পুলিশসহ অনেকগুলো সংস্থার সমন্বয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কাজ করছে। মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান চলমান থাকবে। কারণ, আমাদের মোট জনসংখ্যার মধ্যে তরুণ-যুবক বেশি, যা ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট’ বলা হয়। এই জনগোষ্ঠির জন্য অর্থ ব্যয় করলে আগামী দিনে সুস্থ মানবসম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। জাতীয় পত্রিকার তথ্য তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, জেলখানায় মাদকের ৪০ ভাগ মাদকাসক্ত। দেশে দৈনিক ২০ কোটি টাকার মাদক সেবন হয়। মাদক ব্যবসায় ২০০ এর বেশি গডফাদার রয়েছে। এদের আইনের আওতায় আনা জরুরি। অনুষ্ঠানে মাদক চোরাকারবারীদের ধরতে সহায়তাকারীকে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দেন তিনি।

অধ্যাপক নাজমা হক বলেন, সেরা জীব হিসেবে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। ধূমপান, মাদক দিয়ে আমরা জীবনটা ধ্বংস করে দিচ্ছি। সব দায়িত্ব সমাজ ও রাষ্ট্রের উপর অর্পণ করে দিয়ে বসে থাকলে হবে না বরং নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে। চলচ্চিত্রে নায়কদের ধূমপান দেখে মানুষ উৎসাহিত হয়। এ ধরনের মাদক, তামাকের হাতছানি বন্ধ করতে হবে। তরুণরাই সমাজের সম্ভাবনাময় ও যোগ্য প্রতিনিধি। একজন মা হিসেবে তরুণদেরকে মাদকমুক্ত থাকার আহ্বান জানাতে চাই।

মো: আবু তাহের বলেন, মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। কারণ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলেই মানুষ মাদকে উৎসাহিত হয়। এখন নারীদের মধ্যেও মাদক ব্যবহার বাড়ছে। বর্তমানে ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় মাদকাসক্তদের মধ্যে এইচআইভি এইডস্ রোগ বাড়ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক! অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের একটা বড় মাধ্যম মাদক বেচাকেনা। অর্থের প্রলোভনে রাজনৈতিক ছত্রছায়া, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রভাবশালীদের দ্বারা মাদকের বিস্তার ঘটছে। মাদকদ্রব্যের আগ্রাসন প্রতিরোধে সচেতনতা ও চিকিসায় সেবা সহজলভ্য ও মান বাড়ানো এবং এসব খাতে অর্থ বরাদ্দের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সভায় সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ, ইব্রাহীম মেডিকেল কলেজ এর শিক্ষকবৃন্দ ও শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।




কুষ্টিয়ায় কবরস্থান থেকে মরদেহ চুরির অভিযোগ

কুষ্টিয়ার মিরপুরে একটি কবরস্থান থেকে তিন মাস আগে দাফন করা এক নারীর মরদেহ চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের কচুবাড়িয়া গ্রামের কবরস্থানের একটি কবর খোড়া দেখতে পান স্থানীয়রা। সেখানে পাওয়া যায়নি দাফন হওয়া নারীর মরদেহ।

কবরটি ছিল ওই এলাকার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রমজান আলীর মায়ের। তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে তিন মাস আগে মারা যান।

রমজান আলী জানান, সকালে মায়ের কবর খোড়া দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। গিয়ে দেখি কবর খোড়া এবং ভেতরে মায়ের মরদেহ নেই।’

কবর থেকে মরদেহ চুরিঘটনাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মুন্সি মো. মাসুদ রানা জানান, ‘এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।’

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।’




অনন্ত-রাধিকার গায়ে হলুদে তারকাদের বিশেষ লুক

আম্বানিবাড়িতে বিয়ের ঢাক বাজছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। আগামী শুক্রবার অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন। তাদের বিয়ের সপ্তাহ শুরু হয়েছে সোমবার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এদিন সালমান খান, রণবীর সিং, জাহ্নবী কাপুর, সারা আলি খান এবং অনন্যা পান্ডেরা হলদে বেশে সামিল হন হলুদ জশন-এ।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনন্ত-রাধিকার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে সালমান খান হাজির হয়েছিলেন কালো রঙের কুর্তায়। এমন আনন্দের উৎসবে সালমানের ওই পোশাক একটু ম্যাড়ম্যাড়ে দেখাচ্ছিল।

এমনিতে ফ্যাশন সচেতন নন সালমান। তবে আম্বানির বাড়ি পৌঁছে দ্রুত সেই পোশাক ছেড়ে মানানসই হলুদ কুর্তা পরেন ভাইজান।

এদিকে হলুদ কুর্তা ও ঢিলাঢালা পাজামা পরে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হাজির হন রণবীর সিং। এদিন অবশ্য পাশে ছিলেন না দীপিকা।

বলিউডের সুন্দরী নায়িকারাও এদিন কোনো অংশে কম ছিলেন না। অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুরের পাশাপাশি সারা আলি খান এবং অনন্যা পান্ডেও এদিন হাজির হয়েছিলেন।

সারাকে দেখা যায় একটি লাল রঙের লেহেঙ্গায়। পিচ রঙা স্লিভলেস আনারকলি সালোয়ার এবং সোনালি বর্ডারের সাথে ম্যাচিং দুপট্টায় ঝলমলে ছিলেন অনন্যা।

অন্যান্য বলিউড সেলিব্রিটিদের মধ্যে ছিলেন মানুশি চিল্লার, রাহুল বৈদ্য, দিশা পারমার, ওরহান আওয়াত্রামণি ওরফে ওরি, চলচ্চিত্র নির্মাতা অ্যাটলিও পৌঁছেছিলেন হলুদের অনুষ্ঠানে।

ঐতিহ্যবাহী হিন্দু বৈদিক রীতিনীতি মেনে ১২ জুলাই বিয়ের অনুষ্ঠান হবে অনন্ত-রাধিকার।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ঠিকাদারদের নিয়ে এলজিইডি’র কর্মশালা

মেহেরপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র ঠিকাদারদের নিয়ে জাতীয় দরদাতাদের ডাটাবেসের উপর দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আাজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) পৌর কমিউনিটি সেন্টারে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা দুই জেলার দরদাতাদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র আয়োজনে ও ডেভলপমেন্ট ডিজাইন এন্ড কনস্ট্রাকশন (ডিডিসি)’র সহযোগিতায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন প্রকিউভমেন্ট ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী সোনিয়া নওরীন।

এসময় তিনি বলেন, সরকারী ক্রয় ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি ইজিপি সিস্টেমে ন্যাশনাল টেন্ডারার্স ডেটাবেস (এনটিডিবি) মডিউল অন্তর্ভুক্ত করেছে। যা দরপত্রে অংশগ্রহণকারী দরদাতাদের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা এবং চুক্তি বাস্তবায়নের সাথে সম্পর্কিত সনদপত্রের পুনরাবৃত্তিমূলক যাচাই এড়ানো সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দরদাতাগণের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার সনদসমূহ ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা এবং যাচাই করা হলে, সেগুলি ই-জিপি সিস্টেমে অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে যাতে ঠিকাদারদের সারা দেশে বিভিন্ন সংস্থার কাছে বারবার অভিজ্ঞতার রেকর্ড জমা দিতে না হয়।

ডিডিসি সদস্য মাহাথির মহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় এ সময় মেহেরপুর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ডিডিসি এর আই সিটি ডিভিশনের প্রধান মোঃ জিয়াউর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমাম হোসেন মিলুসহ এলজিইডির দুই জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে ভৈরব নদীতে অবৈধ চায়না দুয়াড়ি জাল আটক ও বিনষ্ট

বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে জাটকা বিরোধী/চিংড়ি পুশ/অবৈধ জাল/অবৈধ বাঁধ অপসারণ বিষয়ক মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে মুজিবনগর উপজেলার ভৈরব নদীতে পেতে রাখা অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়াড়ি জালের অপসারণে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালত।

জেলা মৎস্য অফিসার (ভারপ্রাপ্ত মৎস্য অফিসার মুজিবনগর) মীর মোহাম্মদ জাকির হোসেন এর নেতৃত্বে অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, মুজিবনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুস সাদাত রত্ন।

এসময় নদীতে পেতে রাখা অবৈধ চায়না দুয়াড়ি জালগুলো অপসারণ করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।এ সময় অবৈধ জাল পাতার অপরাধে একজনকে আটক করে ২০০ টাকার জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

জেলা মৎস্য অফিসার (ভারপ্রাপ্ত মৎস্য অফিসার মুজিবনগর) মীর মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, অবৈধ চায়না দুয়ারী এবং কারেন্ট জলের কারণে ভৈরব নদীতে মাছের প্রজনন ও বংশবিস্তারে বিরূপ প্রভাব পড়ছে ওই জালে মাছ বা অন্য কোন প্রাণী প্রবেশ করলেই সে মারা যায় এভাবেই ভৈরব নদীর তে মাছের যে জীববৈচৈত্র বা দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার ব্যাপক হারে কমে আসছে। তাই মৎস্য অফিস এইসব অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়াড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে। সেই সাথে মাছের জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে জনগণকেও সচেতন করা হচ্ছে। এই অবৈধ জালের বিরুদ্ধে মৎস্য অফিসের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভৈরব নদীতে জেলা মৎস্য অফিসের অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন, মুজিবনগর থানার এসআই সজীব এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম। উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী আহসান হাবিব। অফিস সহকারী খালিদ হাসান পলাশ।




গাংনী উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্স, কাংখিত চিকিৎসা পাচ্ছেনা উপজেলাবাসী

জনবল ও চিকিৎসক সংকটে জোড়াতালি দিয়ে চলছে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা। প্রায় চার লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট থাকায় কাঙ্খিত চিকিৎসা পাচ্ছেননা এমন অভিযোগ উপজেলাবাসীর। জনবল সংকটের কারনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলছে জোড়াতালি দিয়ে। চিকিৎসা দিতে গিয়েও হাপিয়ে উঠছেন চিকিৎসকরা। অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার থাকলেও ডাক্তারের অভাবে তা বন্ধ। ফলে কোন কাজে আসছেনা প্রায় কোটি টাকা মুল্যেও অপারেশন থিয়েটার। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন এ সমস্যার সমাধান খুঁজে পাচ্ছিনা। অনেক কষ্ট করেই চালাতে হচ্ছে চিকিৎসা কার্যক্রম।

জানা গেছে, মেহেরপুরের তিনটি উপজেলার সবচেয়ে জনবহুল উপজেলা গাংনীবাসীকে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু সে মোতাবেক জনবল ও চিকিৎসক দেয়া হয়নি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১০ জন জুনিয়র কনসালটেন্ট সহ মোট ২১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও এ হাসপাতালে রয়েছেন মাত্র ১১ জন। যদিও খাতা-কলমে দায়িত্ব পালন করছেন ১২ জন। জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জিক্যাল) একজন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ডেপুটিশনে রয়েছেন।

এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দু’টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর থাকলেও তা বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। বিদ্যুৎ চলে গেলেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে ওঠে অন্ধকারচ্ছন্ন। মোবাইলের লাইট জ্বলিয়ে দিতে হয় চিকিৎসা সেবা।

অপরিচ্ছন্নতা, ওয়ার্ডে পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা, ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত বাথরুমসহ নানা সমস্যা রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো: মনিরুল ইসলাম জানান, ১৯৬৮ সালে নির্মিত হয় গাংনী উপজেলা ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভাসহ অন্তত সাড়ে চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল এটি। ২০০৮ সালে ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও সেবার মান আজও বাড়েনি। দেয়া হয়নি চাহিদা মতো জনবল ও চিকিৎসক।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালে মোট ১০টি জুনিয়র কনসালটেন্ট চিকিৎসকের পদ থাকলেও খাতা-কলমে রয়েছেন ৪ জন। আর হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন ৩ জন। বাকি ১ জন অন্যত্র ডিউটিতে থাকেন। একজন এনস্থেসিয়া থাকলেও হাসপাতালে তার দেখা পাওয়া ভার। সার্জিক্যাল কনসালটেন্ট না থাকায় বন্ধ অপারেশন।

গাইনী, চক্ষু, অর্থপেডিক্স, কার্ডিওলজি, ইএনটি (নাক কান গলা) এবং চর্ম যৌন রোগের জন্য অতিব গুরুত্বপূর্ণ কনসালটেন্ট চিকিৎসকের পদ থাকলেও পদগুলি দীর্ঘদিন শুন্য থাকায় গাংনীবাসী কাঙখিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

২০২৩ সালের জানুয়ারীতে ইলেক্টি্রশয়ানের(জুনয়র মেকানিক) পদটি মৃত্যু জনিত কারনে শূন্য হলেও আজও ইলেক্ট্রিশিয়ান দেয়া হয়নি ফলে হাসপাতালে বৈদ্যতিক ত্রুটি হলেই ফ্যান লাইটসহ সব যন্ত্রপাতি বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতাল হয়ে পড়ে ভুতুড়ে অবস্থা। ৩টি অফিস সহকারির পদ থাকলেও সবই শুন্য। ওয়ার্ড বয় পদ ৩টি এ পদই ২০২২ সাল থেকে রয়েছে শুন্য। ২০২১ সাল থেকে ২জন নৈশ্য প্রহরীর পদ থাকলেও দুটি পদই শুন্য। ৫জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ থাকলেও মাত্র ১জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। তিনিও ঠিকমতো হাসপাতালটিতে আসেননা বলে অভিযোগ রোগী সাধারনের। মশালচি(কুক) পদে দুটি পদ থাকলেও আছে ১জন। ফলে ভর্তি রোগীদের খাবার সরবরাহ একার জন্য খুবই মুশকিল হয়ে পড়ে। রোগীদের সময়মত খাবার সরবরাহ করতে পারেনা।

হাসপাতালে প্রতিদিন তিন থেকে চার শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। ভর্তি হন ৩৫-৪০ জন। চিকিৎসা দিতে না পারায় বেশিরভাগ রোগীকে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে জেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

গত বছর ২০২৩ সালের জানুয়ারী থেকে ৩০ ডিসেম্বও প্রর্যন্ত এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লক্ষ ৭ হাজার ২৪৩জন। চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫০ হাজার ২৯৪ জন রোগী।

হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি মাঝে মধ্যে ঠিক হলেও ফিল্ম থাকে না। দুটি অপারেশন থিয়েটার থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে অব্যবহৃত পড়ে থাকে বছরের পর বছর। প্যাথলজি বিভাগ থাকার পরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীদের বাইরের ক্লিনিকে পাঠানো হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার লক্ষী নারায়নপুর ধলা গ্রামের বিলকিস খাতুন জানান, জরুরী বিভাগ থেকে ডাক্তার রোগের কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাইরে থেকে করিয়ে আনতে বলেন। আমরা গরীব মানুষ। টাকা দিয়ে বাইরে থেকে টেস্ট করানোর অবস্থা নেই। হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ডাক্তার থাকলে আমাদের খুবই উপকার হতো। তিনি আরও জানান,১২টা বাজলে আর কোন পরিক্ষা করানো হয়না হাসপাতালে। তখন রোগীরা নিরুপাই হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরিক্ষা করাতে হচ্ছে।

অসুস্থ মাকে নিয়ে হাসপাতালে আসা কাথুলী গ্রামের আরজিয়া খাতুন বলেন, সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালে এসেছি। সাড়ে ১১টা বাজলো। রোগীদেও অনেক ভীড়, এখনও আমার রোগী দেখলো না। সেবা নিতে এসে আমরা সেবা পাচ্ছি না।

উপজেলার আমতৈল গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, পেটের সমস্যা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় মেডিকেল অফিসার ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। কিন্তু ওষুধ খেয়ে অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।

বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম জানান, তিনি পায়ের ক্ষত নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যান। সার্জারি বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তাকে ১২ কিলোমিটার দুরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে যেতে হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুপ্রভা রানী বলেন, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল বাড়ানো হয়নি। ১১জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোগীদের ভীড় থাকে। এসকল রোগীদেও চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসকরা হিমশিম খেয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসক, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে শূন্য পদে জনবল ও চিকিৎসক পূরণ হলে চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব।




গাংনীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিখোঁজ, থানায় জিডি

বাড়ি থেকে বই কেনার জন্য বের হয়ে আর ফিরে আসেনি এইচএসসি পরীক্ষার্থী আকাইদ ইসলাম আকাশ (১৮)।

আকাইদ ইসলাম (আকাশ) গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের পীরতলা গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। সে গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) তার আইসিটি পরীক্ষা।

আকাশের পিতা আমিনুল ইসলাম জানান, গতকাল সোমবার বিকেলে বই কেনার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বামন্দীর উদ্দেশ্যে বের হয়ে আসেন। তারপর থেকে সে বাড়ি ফিরে আসেনি। বতর্মানে সে নিখোঁজ। আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজা খুজির পরেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খোঁজ খবর নেয়ার জন্য গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম নিখোঁজ আকাশের গ্রামের বাড়িতে যান। তিনি বলেন, আজকে তার আইসিটি পরীক্ষা। আমার ধারণা, ছেলে আর ভালো অবস্থায় নেই। তাকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা।

এব্যাপারে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম বলেন, খবরটি শোনার পর ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজের পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডাইরি (জিডি) করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় পরকীয়া প্রেমিক গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গায় প্রবাসীর স্ত্রী রেশমা খাতুন (৩২) আত্মহত্যার ঘটনায় করা প্ররোচনার মামলায় সবুর হোসেন (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার তেতুলবাড়িয়া নামক এলাকায় অভিযান চালিয়ে সবুরকে গ্রেপ্তার করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।

সবুর হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদি ইউনিয়নের বামানগর গ্রামের আজিবার রহমানের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত (২৮মে) মঙ্গলবার দুপুরে পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তালাবন্ধ ঘর থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর গলায় ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। তার স্বামী শিমুল সর্দার গত তিন বছর সৌদিতে রয়েছেন। ঘটনার ওই দিন আত্মহত্যার আধাঘণ্টা আগে অভিযুক্ত সবুর হোসেনকে তাঁর ঘর থেকে বের হতে দেখেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

এ ঘটনায় গত (১জুলাই) সোমবার গৃহবধূর পিতা সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে সবুর হোসেনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় আত্নহত্যা প্ররোচনা আইনের ৩০৬ ধারায় একটি মামলা করেন।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই গৃহবধূর সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে সবুর। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে। আজ দুপুরে সংশ্লিষ্ট মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।