কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নঈম উদ্দিন ওরফে সেন্টু নামের এক ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজ পরিষদে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ওই এলাকায়।

আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ইউপি চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন ওরফে সেন্টু দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কর্যালয়ের নিজ কক্ষে বসে কাজ করছিলেন চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে চেয়ারের পেছনে থাকা জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। গুলির শব্দে স্থানীয়রা ছুটে গেলে তাদেরকেও লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। এরপর স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা মেরে রাখে। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে আসলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং তা নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে এখনো মরদেহটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পড়ে আছে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়েই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বিএনপির রাজনীতি করলেও রাজনীতিতে তিনি নিস্ক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে তার স্বাক্ষাৎ ছিল।

দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু এক সময় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি নিরপেক্ষ ছিলেন। রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, চেয়ারম্যান নিজ কক্ষের চেয়ারেই বসে ছিলেন। তাকে পেছন থেকে জানালা দিয়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।




ফ্রিজ দ্রুত নষ্ট হয় যেসব ভুলের কারণে

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে যে যন্ত্রগুলো, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো ফ্রিজ। বাসায় ফ্রিজ থাকা মানে অনেক ধরনের উপকার পাওয়া। বিশেষ করে সবজি, ফলমূল ও খাবার অপচয় রোধ করতে ফ্রিজের কোনো বিকল্প নেই। তাই এখন প্রায় প্রতিটা বাসাতেই ফ্রিজ রয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনারই কিছু ভুলে শখের ফ্রিজটির আয়ু কমতে থাকে? আপাতদৃষ্টিতে সেগুলো সাধারণ মনে হলেও আসলে তা ক্ষতিকর। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

যেসব ভুলের কারণে ফ্রিজ দ্রুত নষ্ট হয় :

১. অতিরিক্ত খাবার রাখা:

আমরা সচরাচর ফ্রিজে অবশিষ্ট খাবার ও ফলমূল তুলে রাখা আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাস। আবার অনেক সময় দেনিক বাজার করার ভয়ে কিন্তু খেয়াল রাখা দরকার তা যেন ফ্রিজটির জন্য অতিরিক্ত না হয়। যখনই আপনি অতিরিক্ত খাবার রাখেন, তখন ফ্রিজের ভিতরে বাতাস সঠিকভাবে সঞ্চালন করতে পারে না এবং ফ্রিজ সবকিছু ঠান্ডা রাখার জন্য অতিরিক্ত কাজ করে। এটি কেবল ফ্রিজের তাপমাত্রাকেই বিশৃঙ্খলা করে না বরং কম্প্রেসারকে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করে। সুতরাং, আপনি ভাবতে পারেন যে আপনি খাবার সঞ্চয় করছেন কিন্তু এতে ফ্রিজের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. কয়েলের যত্ন না নেওয়া:

ফ্রিজ ভাল রাখতে হলে মাঝেমধ্যে যন্ত্রটির পিছন দিকে একেবারে নীচের দিকে থাকা কন্ডেনসর কয়েলটি পরিষ্কার করা প্রয়োজন। ঘর, হেঁশেল কিংবা খাবার ঘরের মধ্যে বা বাড়ির অন্যত্র থাকা এই যন্ত্রটির কয়েলে ধুলো-ময়লা-তেল জমতে থাকে। আর এই কারণেই ফ্রিজ ঠান্ডা হতে সময় লাগে। অন্তত ছ’মাসে এক বার কয়েল ব্রাশ বা ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে কয়েল পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

৩. ভুল তাপমাত্রা সেট করা:

আপনি যদি পানীয় ঠান্ডা রাখার জন্য তাপমাত্রা হ্রাস করেন তবে বিরতি দিতে চাইতে পারেন।ফ্রিজকে খুব ঠান্ডা করে রাখলে শুধু শক্তি নষ্ট হয় না বরং কম্প্রেসারকে ওভারটাইম কাজ করতে বাধ্য করে। ফ্রিজের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হলো ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপনি যদি এটি কমিয়ে আনেন তবে ফ্রিজের জন্য অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি হবে।

৪. ফ্রিজের সিলের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না

আপনি কি কখনও লক্ষ্য করেছেন যে আপনার ফ্রিজের দরজার ছোট ফাঁকগুলি সঠিকভাবে বন্ধ হয় কি না? দরজার চারপাশে রাবার সিল রয়েছে যাতে যন্ত্রটিতে শীতল বাতাস অটুট থাকে। যখন সেগুলো নোংরা বা জীর্ণ হয়ে যায়, তখন ফ্রিজ শীতল বাতাস হারিয়ে ফেলে এবং তাপমাত্রা বজায় রাখতে তাকে দ্বিগুণ কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন বা যদি অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পান তবে সেগুলো প্রতিস্থাপন করুন।

৫. দরজা খোলা রাখা:

অনেকেই গরমের মধ্যে রান্নাঘর থেকে এসে প্রয়োজনীয় জিনিস বের করে ফ্রিজের সামনে শীতল পরিবেশে দাড়ায়। ফ্রিজ শীতল কিন্তু অতিরিক্ত কয়েক সেকেন্ডের জন্য দরজা খোলা রাখলে পুনরায় ঠান্ডা করতে ফ্রিজকে কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। যখনই আপনি দরজা খোলা রেখে যান তখনই উষ্ণ বাতাস ছুটে আসে এবং আপনার ফ্রিজের ভেতরে খাবার ঠান্ডা রাখার জন্য কঠোর লড়াই করতে হয়। তাই ফ্রিজ যতটা সম্ভব কম সময় খোলা রাখবেন।

সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন

দুই দফা দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এ কর্মসূচী পালিত হয়।

সকাল সাড়ে ১১ থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত চলা এই কর্মসূচীতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জেলা ও উপজেলা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেয়।

পল্লী বিদ্যুৎ এজিএম সদস্য মোঃ ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,পল্লী বিদ্যুৎ ডিজিএম (কারিগরী) শ্যামল মল্লিক,পল্লী বিদ্যুৎ বামুদী জেনারেল অফিস জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিকুর রহমান, পল্লী বিদ্যুৎ লাইন টেকনিশিয়াল মোঃ রাহাজুল ইসলাম, লাইনম্যান (গ্রেট ২) মোঃ রাজিব আহমেদ, মিটার রিডার ম্যাসেঞ্জার মোঃ সাজন মোল্লা প্রমুখ।

এই সময় বক্তারা, গ্রাহক সেবার মানোন্নয়ন, উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তুষ্টি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং টেকসই বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা বিনির্মাণে সকল বৈষম্য অবসান করার দাবী জানান। সেই সাথে সকল চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিত করার দাবীও জানান।




সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল মহারণ আজ

শুধু সিনিয়রদের মধ্যেই নয়, বয়সভিত্তিক ফুটবলেও বাংলাদেশ-ভারত সব সময় বাড়তি আকর্ষণ থাকে। আজ আবার সেই আকর্ষণ দেখা যাবে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল ফাইনাল বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। ভুটানের থিম্পুতে সন্ধ্যা ৬টায় ফাইনাল শুরু হবে। এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে ১-০ গোলে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে খেলার শেষ বাঁশির আগে ভুলে গোল হজম করে হেরে যায় বাংলাদেশ। দুই দেশই আজ ফাইনাল খেলছে।

বয়সভিত্তিক ফুটবলে ট্রফি জয়ের পুরো দখলদারিত্ব ভারতের। এ পর্যন্ত পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ দুইবার। সাফের দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান এখনো ট্রফির দেখা পায়নি। সাত দেশের মধ্যে পাকিস্তানও একবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে, ২০১১ সালে। সেই পাকিস্তান এবার ভুটানে গিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টাইব্রেকিংয়ে হেরে যায়। শনিবার রাতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুর্দান্ত লড়াই হয়েছিল। ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ ২ গোল শোধ করে টাইব্রেকিংয়ের পর সাডেন ডেথে জিতে আজকে ফাইনাল খেলছে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টা তাদের টেন্টে রোমাঞ্চ এনে দিয়েছে। বাড়তি উত্তেজনা এনে দিয়েছে। ভারতের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের প্রেরণা দিচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, দুই দলের লড়াইয়ে ভারতের পাল্লা ভারী। ২০১৫ সালে প্রথম বার সাফ আয়োজন করে বয়সভিত্তিক ফুটবল। সিলেটে অনুষ্ঠিত খেলায় গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ভারতকে। ফাইনালে গিয়ে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে টাইব্রেকিংয়ে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে নেপালে অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলে ট্রফি পায়নি বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে প্রতিশোধ নেয় ভারত। ৪-২ গোলে হারায় বাংলাদেশকে।

পরের বছর আবার নেপালে একই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকিংয়ে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তানকেও টাইব্রেকিংয়ে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে ভারতে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে প্রতিশোধ নেয় ভারত। সেমিফাইনালে ভারত ৪-০ গোলে হারায় বাংলাদেশকে। ২০২২ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ সাফে সেমিফাইনালে ভারত ২-১ গোলে হারায় বাংলাদেশকে। গত বছর ভুটানের এই মাঠেই অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের গ্রুপ পর্বে ভারত ১-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে। ফাইনালেও মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত। ফাইনালে ২-০ গোলে বাংলাদেশকে হারিয়ে বয়সভিত্তিক ফুটবল পঞ্চম বার ট্রফি জয় করে ভারত।

আজকে বাংলাদেশের সামনে অনেক হিসাব-নিকাষ কাজ করছে। ‘আমরা জানি, এখন আমাদেরকে কী করতে হবে। আমরা ফাইনালের জন্য প্রস্তুত। কারণ জানি ভারত অনেক শক্তিশালী দল। আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি-বললেন অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু। তিনি বলেন, ‘এক বার ভারতের বিপক্ষে খেলে হেরেছি, (১-০)। এটা আমাদের জন্য বড় অভিজ্ঞতা। সেবার হারলেও আগের চেয়েও এখন ভালো পারফরম্যান্স করা উচিত। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এখন আমাদের ছেলেরা আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়টা আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে।’ কোচের দুশ্চিন্তা হচ্ছে, ফিনিশারদের ব্যর্থতা। অন্যান্য খেলায় অনেক সুযোগ নষ্ট করেছে। কোচ টিটু বলেন, ‘আজকে ফাইনালে সুযোগ আসবে হাতে গোনা, সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে ফল আসতে পারে।’

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রশিদিয়া দরবার শরিফে আগুন ও ভাঙচুর

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রশিদিয়া দরবার শরিফে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে করে ভাঙচুরের পর ওই দরবার শরিফে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

গতকাল রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমারখালী উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চরসাদিপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এশার নামাজের পর ১৫-২০ জন নানা বয়সী মানুষ একত্রিত হন। দরবার শরিফে মাদক সেবন ও গান বাজনা হয় এমন দাবি করেন তারা। লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই দরবার শরিফ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সাবেক এক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে।

দরবার শরিফের পরিচালক জিল্লুর রহমানের ছেলে রাসেল বলেন, ‘প্রায় ১৫ বছর আগে এই খানকার শরিফ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দেখাশোনার দায়িত্বে আমার বাবা রয়েছেন। গ্রামের অনেকেই একত্র হয়ে এই খানকার শরিফে দোয়া মাহফিল ও গান বাজনার আয়োজন করে। তাছাড়া প্রতিবছর ওরস মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছরের মতো আজও ওরস মাহফিল ছিল। রাতে দোয়া মাহফিলের মোনাজাত চলছিল। এ সময় হঠাৎ ১৫ থেকে ২০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে দরবার শরিফে হামলা চালিয়ে দরবারের চারচালা ঘরটি ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভয়ে আমি, বাবাসহ উপস্থিত ভক্তরা পালিয়ে যায়। তবে কাউকে আঘাত করা হয়নি।’

রাসেল আরও বলেন, ‘এর আগে স্থানীয় মসজিদে এশার নামাজ শেষ করে হামলাকারীরা একত্র হন। এই হামলায় সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ইন্ধন রয়েছে। তাকে ঘটনাস্থলে দেখেছি। খানকার শরিফে কোনো মাদকসেবন হয় না। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর ওরসে গান বাজনার আয়োজনও ছিল না।’

নিরাপত্তার স্বার্থে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি দরবার শরিফের পরিচালক জিল্লুর রহমান।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে চর সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দরবার শরিফের নামে সেখানে মাদকের আড্ডা চলে। সে জন্য স্থানীয় ছেলেপেলে তা ভেঙে দিয়েছে।

চর সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী খাঁ বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, ‘হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাটি আমি জেনেছি। তবে অগ্নিসংযোগের বিষয়টি জানা নেই। চর সাদিপুর দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখন ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব নয়। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’




চুয়াডাঙ্গার দোস্ত গ্রামে আখচাষীদের সাথে মতবিনিময় সভা

চুয়াডাঙ্গার সদরের দোস্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আখ চাষী সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। আজ রবিবার বিকাল ৫ টার দিকে মিলগেট পৃর্ব সাবজোন ১৫ নং ইউনিটে এ আখচাষীদের নিয়ে সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।

উক্ত সমাবেশে আখচাষী কল্যান সমিতি ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক আঃ বারির সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যাবস্হাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।

এ সময় তিনি বলেন আপনারা আখ চাষ করুন আগামীতে আখের মৃল্য আরও বৃদ্ধি করা হবে। আপনারা আখ লাগাবেন এবং সার্বিক সহিযোগিতা করবে কেরু এ্যান্ড কোম্পানি। এ মিল আপনাদের এ মিল টিকে থাকলে আপনাদের অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছলতা আসবে। আগামী অর্থ বছরে আখের মৃল্য টন প্রতি ৬ হাজার ৫ শ টাকা নির্ধারন করা হবে। তিনি আরও বলেন ভাল বীজের আখ লাগাবেন আপনার লাভবান হবেন। এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন আখ সরবাহ করবেন। অধিক চিনি আহরনের জন‍্য পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও টপট্রাসমুক্ত আখ মিলে সরবরাহ করার আহব্বান জানান তিনি।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা), সুমন কুমার সাহা, মহাব‍্যবস্থাপক (কৃষি), মোহাম্মদ আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, ডিজিএম কৃষি (সম্প্রসারন) মাহাবুবুর রহমান, আরও উপস্থিত ছিলেন, ১৫ নং ইউনিটের প্রায় ১শ আখ চাষী উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় দেউলী সবুজ সংঘের কমিটি গঠন সভাপতি জাকির সম্পাদক কাসেম

দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দেউলী সবুজ সংঘ ক্লাবের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভাপতি হলেন জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হলেন আবুল কাসেম। আজ রবিবার বিকাল চারটার দিকে দেউলী সবুজ সংঘ এর অস্থায়ী কার্যালয় এই কমিটি গঠন করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা থানা বিএনপি’র সংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর আবুল হাসেম বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা থানা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম দামুড়হুদা থানা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আরিফুল ইসলাম।

পরে সকলের উপস্থিতিতে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ বছির আহম্মেদ-সহসভাপতি-১মোঃ মজিবর রহমান, সহ-সভাপতি-২ মোঃ ওলি হোসেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম সিনিয়র যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামিরুল ইসলাম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-১ মোঃ লিখন মিয়া যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-২ মোঃ মুকুল মিয়া সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আশরাফ আলী মামুন, ক্রীড়া সম্পাদক, মোঃ মিরাজুল ইসলাম দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল আলিম, প্রচার সম্পাদক মোঃ মানিক মোল্লা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ নিলুফা খাতুন,সমাজ সেবা সম্পাদক মোঃ মিঠু মালিতা, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শফিউল আলম সন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ, কাৰ্য্য নির্বাহী সদস্য আবু সাইদ, মিকাইল হোসেন, সাজু, সবুজ প্রমূখ।




গাংনীর যাত্রী ছাউনি অপসারণে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস

গাংনীর স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে এবং দুর্ঘটনা মুক্ত নিরাপদ সড়ক প্রশস্তকরনে গাংনী বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনি অপসারণ এবং আ: মালেক স্টোরের চুক্তি বাতিলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বলে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেছেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গাংনী থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাওয়া একটি প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সাথে বৈঠকে এমন আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা শেষে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, গাংনীর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ গতকাল শনিবার সকাল ১১ টার সময় গাংনী বাস স্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি অপসারণ, জেলা পরিষদের কাছ থেকে চুক্তি নেয়া আ: মালেক স্টোরের চুক্তি বাতিল ও অপসারণ এবং একনেকের মুল নকশা অনুযায়ী রাস্তা প্রশস্ত করনের দাবীতে স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

স্থানীয়দের বিক্ষোভে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলতে চান জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসকের আহবানে আন্দোলনকারীরা তাদের বিক্ষোভ সমাবেশ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করে।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, অংশ গ্রহণকারীদের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা জেলা প্রশাসক মহদ্বয়ের সাথে আলোচনায় বসি। এলাকাবাসীর সমন্বয়ে গঠিত ২০-২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ এঁর কার্যালয়ে উপস্থিত হলে একটি প্রাণবন্ত আলোচনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এসময় জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাপ্তরিক জটিলতার অবসান ঘটানো হবে। গাংনী বাস স্ট্যান্ড যাত্রী ছাউনী, আঃ মালেক স্টোর ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের দোকান অপসারণ হবে। অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক উন্নয়নের কাজ বন্ধ থাকবে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে নথিপত্র প্রস্তুতের জন্য সময়ের প্রয়োজন।

এলাকায় যাতে শান্তি শৃংখলা বজায় থাকে সে বিষয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতা চান জেলা প্রশাসক।

আলোচনায় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, গাংনী পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, গাংনী মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ আসাদুল আলম খোকন, সদস্য রেজাউল হক, বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মানিক, এস এম প্লাজার একাংশের স্বত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম, ওয়ালটন শোরুমের স্বত্বাধিকারী সাজু আহমেদ,গাংনী বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি মাহবুবুল হক স্বপনসহ ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গেল গতকাল শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গাংনী বাস স্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি অপসারণ, একনেকের অনুমোদনকৃত মুল নকশায় সড়ক প্রশস্তকরণ, জেলা পরিষদের চুক্তিতে নেয়া আ: মালেক স্টোরের চুক্তি বাতিলসহ কয়েকটি দাবী নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয়রা।

বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে সড়কের উপর কাঠের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে। এসময় প্রায় দুই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে । পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করেন। এবং সুষ্ঠু সমাধানে বিষয়টি জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনায় বসার আহবান জানান ইউএনও প্রীতম সাহা।




কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে আব্দুল আজিজ (৫২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ভারল এলাকার রেল ব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল আজিজ মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের বেলগাছি এলাকার মৃত আতর মণ্ডলের ছেলে।

নিহতের ভাতিজা মুস্তাকিম জানান, আমার চাচার মাথায় সমস্যা ছিল।গতকাল শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। রোববার সকালে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আমরা পোড়াদহ জিআরপি থানায় এসে আমার চাচার মরদেহ দেখতে পাই।

পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ভারোল এলাকার রেল ব্রিজে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান।

কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।




মেহেরপুরে অসুস্থ গরু জবাই,মালিকের জরিমানা

মেহেরপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে বিক্রির অপরাধে মালিকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদবপুর মোড়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে গরুর মালিক আব্দুল আওয়ালের নিকট থেকে এই জরিমানা আদায় করা হয়।

যাদবপুর গ্রামের সমীর উদ্দিনের ছেলে আব্দুল আওয়াল তার একটি অসুস্থ গরু নিজ বাড়িতে জবাই করেন। জবাই করা গরুটি মেহেরপুর শহরের বোসপাড়া এলাকার আশরাফুল ছেলে মাংস বিক্রেতা টিটনের কাছে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

মাংস বিক্রেতা টিটন সেই মাংস যাদবপুর মোড়ে বিক্রি করেন। খবর পেয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মূয়ীদুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত বসানো হয়। এসময় অসুস্থ গরু জবাই করে বিক্রি করার অপরাধে গরুর মালিকের নিকট থেকে পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ এর ৩ এর ২৩ ও ২৪ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযানে মেহেরপুর জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ, সদর উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।