গাংনীর গাড়াবাড়ীয়াতে মেয়াদোত্তীর্ণ বিষে কৃষকের ফসল বিনষ্ট হওয়ার অভিযোগ
গাংনীর গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের মো সেলিম নামের এক কৃষকের মেয়াদোত্তীর্ণ বিষ প্রয়োগের কারনে লক্ষাধিক টাকার ফসল বিনষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে কাবরান হোসেনের দোকান থেকে বিষ কিনেছেন। জমিতে দেওয়ার পর দেখেন বিষের মেয়াদ নেই তৎক্ষনাৎ দোকানদার কাবরান কে ফোন করতে তিনি মুঠো ফোনেই জানান ভালো জিনিস মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে ক্ষতি হবে না আর বিষের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে আরো বেশি কাজ হয়।কোন সমস্যা হবে না দিয়ে দাও।
বিষ দেওয়ার কিছু দিনের মাথায় ভুক্তভোগী কৃষক সেলিম হোসেন দেখেন তার বিক্রয় উপযোগী বাধাকফি পচন লেগেছে এবং পোকায় খেয়ে ঝাঝরা করে দিয়েছে। দোকানদার কে এ বিষয়ে জানালে তিনি কোন প্রাকার গুরুত্ব না দিয়ে উল্টা হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন বলে জানাগেছে।
এ বিষয়ে কৃষক সেলিম জানান গত ধানের আবাদের সময় আমাকে খারাপ বিষ দিয়ে ৮২ শতক জমির ধান নষ্ট হয়েছে এক মন ধান ও আমি ঘরে তুলতে পারিনি। তখন আমাকে সবাই বল্লো যা হয়েছে হয়েছে কিছু করতে হবে না। সেবার আমি ক্ষমা করে দিলাম কিন্তু সেই একই কাজ আবার করেছে। এবার দুই জমি মিলিয়ে ২৭ কাঠা জমির বাধা কফি নষ্ট হয়ে গেছে। পোকায় খেয়েছে এবং পচে গিয়েছে।আমি যতগুলো বিষ দিয়েছে সব সিনজেনটা কম্পানির মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল বিষ।বতলের যে বিষ গুলো দিয়েছে একটারও কোন উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেওয়া নেই।আমি মুর্খ মানুষ এতকিছু তো বুঝি না।এখন আমি জমি লিজ নিয়ে আবাদ করি, প্রতি বছর ৩০ হাজার টাকা লিজের টাকা দেওয়া লাগে।লোন করে আবাদ করেছি ভ্যান চালায় ভাত খায় এত ক্ষতি আমি কি করে সহ্য করবো।তাই আমি প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করছি। বর্তমানে আমি এই দুই আবাদ নষ্ট হওয়া তে একটা টাকাও ঘরে তুলতে পারিনি।উল্টো আমার ঋণের বোঝা মাথার উপরে।তাই
এবার আমি সহ্য না করতে পেরে ধলা পুলিশ ক্যাম্পে একটি অভিযোগ করেছিলাম তার পরি প্রেক্ষিতে গাড়াবাড়ীয়া ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর জিনারুল ইসলামের কাছে সমাজ করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে আমি নাই।কারন আমার ধান আলু কফি দিয়ে ৩ লক্ষ টাকার উপরে ক্ষতি আমি আবাদ করতে যেয়ে ঋনের মধ্যে পড়ে গেছি আমি কি করবো আমি এখন হতাশ। আবার এই অভিযোগ দিয়েছি বলে সে হালখাতা পাঠিয়েছে ৬৭ হাজার ২৩০ টাকা আবার সমাজে বলছে ৮০ হাজার টাকা পাবো কিন্তু আমি নগদেই মালামাল ক্রয় করি কিছু হয় তো বাকি আছে আমি মানছি তাইবলে ৮০ হাজার টাকা তো বাকি নেই।এই নিয়ে আমাকে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছেন।বাড়ি থেকে গরু খুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। আমি এর সঠিক বিচার চাই। সঠিক বিচার না পেলে ওই বিষ খেয়ে মরা ছাড়া আমার উপায় থাকবে না।
এ বিষয়ে মেম্বর জিনারুল ইসলামের সাথে কথা বল্লে তিনি জানান এ বিষয়ে ধলা ক্যাম্পে অভিযোগ করেছিল সেলিম পরে আমাকে মিটমাটের প্রস্তাব দেয়। উভয় পক্ষের কথা শুনে আবাদে ক্ষতির কথা চিন্তা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।পরে সেলিম এটাকে মেনে নেয় নি। আবার দোকানদার ও এর বেশি টাকা দিবে না বলে জানিয়েছেন তাই এটা এই পর্যন্তই আছে।
এ বিষয়ে একই মাঠের কৃষক মাবুদ হোসেন জানান গরীব মানুষ কোন রকম দিন পাত চলে খেটে খেটে এত টাকার ফসল এই বিষের কারনে যে নষ্ট হলো এখন এই সেলিম কি করে জমির কন্টাক দিবে লোন দিবে। তার এর সুষ্ঠু বিচার হোক আমরাও চাই।
এ বিষয়ে কাওছার আলী জানান এই নষ্ট বিষের কারনেই এমন ক্ষতি হয়েছে। এমন নিকৃষ্ট তম কাজে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সমাজের বিভিন্ন সহল।
বিচার না পেয়েও হুমকির ধামকির মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে বলে জানান কৃষক সেলিম। তার দাবি আমার সুষ্ঠু বিচার হোক আমার কেউ নেই বলে আমাকে উঠিয়ে দেবার ও হুমকি দিচ্ছে। আমি গরীব বলে কি আমি বিচার পাবো না। যদি বিচার না পাই তাহলে এই বিষ খেয়েই জীবন শেষ করে দিব সকলকে স্বাক্ষী রেখে। তাই আমি আইনের সকলের কাছে বিচার দাবি করছি। আমাকে একটা সুষ্ঠু বিচার করে দেন সকলে।