গাংনীর গাড়াবাড়ীয়াতে মেয়াদোত্তীর্ণ বিষে কৃষকের ফসল বিনষ্ট হওয়ার অভিযোগ

গাংনীর গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের মো সেলিম নামের এক কৃষকের মেয়াদোত্তীর্ণ বিষ প্রয়োগের কারনে লক্ষাধিক টাকার ফসল বিনষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে কাবরান হোসেনের দোকান থেকে বিষ কিনেছেন। জমিতে দেওয়ার পর দেখেন বিষের মেয়াদ নেই তৎক্ষনাৎ দোকানদার কাবরান কে ফোন করতে তিনি মুঠো ফোনেই জানান ভালো জিনিস মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে ক্ষতি হবে না আর বিষের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে আরো বেশি কাজ হয়।কোন সমস্যা হবে না দিয়ে দাও।

বিষ দেওয়ার কিছু দিনের মাথায় ভুক্তভোগী কৃষক সেলিম হোসেন দেখেন তার বিক্রয় উপযোগী বাধাকফি পচন লেগেছে এবং পোকায় খেয়ে ঝাঝরা করে দিয়েছে। দোকানদার কে এ বিষয়ে জানালে তিনি কোন প্রাকার গুরুত্ব না দিয়ে উল্টা হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন বলে জানাগেছে।

এ বিষয়ে কৃষক সেলিম জানান গত ধানের আবাদের সময় আমাকে খারাপ বিষ দিয়ে ৮২ শতক জমির ধান নষ্ট হয়েছে এক মন ধান ও আমি ঘরে তুলতে পারিনি। তখন আমাকে সবাই বল্লো যা হয়েছে হয়েছে কিছু করতে হবে না। সেবার আমি ক্ষমা করে দিলাম কিন্তু সেই একই কাজ আবার করেছে। এবার দুই জমি মিলিয়ে ২৭ কাঠা জমির বাধা কফি নষ্ট হয়ে গেছে।  পোকায় খেয়েছে এবং পচে গিয়েছে।আমি যতগুলো বিষ দিয়েছে সব সিনজেনটা কম্পানির মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল বিষ।বতলের যে বিষ গুলো দিয়েছে একটারও কোন উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেওয়া নেই।আমি মুর্খ মানুষ এতকিছু তো বুঝি না।এখন আমি জমি লিজ নিয়ে আবাদ করি, প্রতি বছর ৩০ হাজার টাকা লিজের টাকা দেওয়া লাগে।লোন করে আবাদ করেছি ভ্যান চালায় ভাত খায় এত ক্ষতি আমি কি করে সহ্য করবো।তাই আমি প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করছি। বর্তমানে আমি এই দুই আবাদ নষ্ট হওয়া তে একটা টাকাও ঘরে তুলতে পারিনি।উল্টো আমার ঋণের বোঝা মাথার উপরে।তাই

এবার আমি সহ্য না করতে পেরে ধলা পুলিশ ক্যাম্পে একটি অভিযোগ করেছিলাম তার পরি প্রেক্ষিতে গাড়াবাড়ীয়া ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর জিনারুল ইসলামের কাছে সমাজ করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে আমি নাই।কারন আমার ধান আলু কফি দিয়ে ৩ লক্ষ টাকার উপরে ক্ষতি আমি আবাদ করতে যেয়ে ঋনের মধ্যে পড়ে গেছি আমি কি করবো আমি এখন হতাশ। আবার এই অভিযোগ দিয়েছি বলে সে হালখাতা পাঠিয়েছে ৬৭ হাজার ২৩০ টাকা আবার সমাজে বলছে ৮০ হাজার টাকা পাবো কিন্তু আমি নগদেই মালামাল ক্রয় করি কিছু হয় তো বাকি আছে আমি মানছি তাইবলে ৮০ হাজার টাকা তো বাকি নেই।এই নিয়ে আমাকে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছেন।বাড়ি থেকে গরু খুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। আমি এর সঠিক বিচার চাই। সঠিক বিচার না পেলে ওই বিষ খেয়ে মরা ছাড়া আমার উপায় থাকবে না।

এ বিষয়ে মেম্বর জিনারুল ইসলামের সাথে কথা বল্লে তিনি জানান এ বিষয়ে ধলা ক্যাম্পে অভিযোগ করেছিল সেলিম পরে আমাকে মিটমাটের প্রস্তাব দেয়। উভয় পক্ষের কথা শুনে আবাদে ক্ষতির কথা চিন্তা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।পরে সেলিম এটাকে মেনে নেয় নি। আবার দোকানদার ও এর বেশি টাকা দিবে না বলে জানিয়েছেন তাই এটা এই পর্যন্তই আছে।

এ বিষয়ে একই মাঠের কৃষক মাবুদ হোসেন জানান গরীব মানুষ কোন রকম দিন পাত চলে খেটে খেটে এত টাকার ফসল এই বিষের কারনে যে নষ্ট হলো এখন এই সেলিম কি করে জমির কন্টাক দিবে লোন দিবে। তার এর সুষ্ঠু বিচার হোক আমরাও চাই।

এ বিষয়ে কাওছার আলী জানান এই নষ্ট বিষের কারনেই এমন ক্ষতি হয়েছে। এমন নিকৃষ্ট তম কাজে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সমাজের বিভিন্ন সহল।

বিচার না পেয়েও হুমকির ধামকির মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে বলে জানান কৃষক সেলিম। তার দাবি আমার সুষ্ঠু বিচার হোক আমার কেউ নেই বলে আমাকে উঠিয়ে দেবার ও হুমকি দিচ্ছে। আমি গরীব বলে কি আমি বিচার পাবো না। যদি বিচার না পাই তাহলে এই বিষ খেয়েই জীবন শেষ করে দিব সকলকে স্বাক্ষী রেখে। তাই আমি আইনের সকলের কাছে বিচার দাবি করছি। আমাকে একটা সুষ্ঠু বিচার করে দেন সকলে।




দাবদাহে স্কুলগামী শিশুর সুরক্ষায়

প্রচণ্ড গরমে এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশনার পর আবারও স্কুল-কলেজ চালু হওয়ার ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে। এই প্রচণ্ড গরমে বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াতের সময়ে নানা ধরনের সমস্যাই হতে পারে। আবার অনেক স্কুল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকলেও সব স্কুলে তো আর সে সুযোগ নেই। তাই বাড়তি একটু দুশ্চিন্তা থাকেই। এই বাড়তি দুশ্চিন্তার জায়গা থেকেই শিশুর যত্নের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। শিশুর পোশাক থেকে শুরু করে তার আরামের সবকিছুর দিকেই খেয়াল রাখা জরুরি। সামান্য ভুলে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তো থাকেই সঙ্গে আরো যুক্ত হয় নানা অনুষঙ্গ। এসব বিষয় সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি।

পোশাকের ভাবনা
স্কুলের ড্রেসকোড তো আর আলাদা করা যায় না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সুতির পোশাক দেবেন ওদের সঙ্গে। স্কুলে যাওয়ার আগে শিশুদের মাথায় ক্যাপ দিন। চোখ রক্ষার জন্য সানগ্লাস আর ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে দেবেন। এভাবে রোদের তাপ সরাসরি গায়ে লাগবে না। ওদের সঙ্গে সবসময় ছাতা দেবেন। স্কুলে প্রয়োজনের বেশি বই বহন করতে দেবেন না। গরমে শিশুদের চুল বড় না রাখাই ভালো। মেয়েদের ছোট চুল আটকে রাখতে সুবিধা হয়। জুতার ব্যাপারটিও মাথায় রাখবেন। জুতা যেন আরামদায়ক হয়।

বিশুদ্ধ পানি
এই গরমে বিশুদ্ধ পানি পান করাবেন আপনার শিশুকে। স্কুলগামী শিশুদের ব্যাগে ছোট বোতলে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে দেওয়া জরুরি। পানির বোতলটি পরিষ্কার রাখুন। স্কুলে যাওয়ার পথে শিশুকে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম, কোমল পানীয় খাওয়া থেকে বিরত রাখুন। রাস্তায় বিভিন্ন কুলফি, মালাই বা লেবুর শরবতও তাদের খেতে দেবেন না। স্কুল থেকে ফেরার পর চিনি, লেবুর শরবত অথবা দইয়ের ল্যাসি বানিয়ে দিতে পারেন। স্যালাইনও দিতে পারেন। বাইরের কোনো স্ন্যাকস বা ভাজাপোড়া খেতে দেবেন না।

টিফিনে দিন বাড়তি যত্ন
এই গরমে শিশুর টিফিন নিয়েও বাড়তি দুশ্চিন্তা রাখা দরকার। পানি তো দেবেনই সঙ্গে মৌসুমি ফল দিলে ভালো হয়। কমলা, পেঁপে বা অন্য মৌসুমি ফল স্লাইস করে দিন। সঙ্গে দই বা অন্য কিছু দিতে পারেন। সকালের নাস্তাতে সবজির প্রাধান্য রাখুন।

তোয়ালে আর টিস্যু সঙ্গে দিন
সন্তানকে যতটা সম্ভব ঘাম থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। ঘাম থেকে দূরে রাখার কাজটি সহজ না। স্কুলে থাকলে গরম ভয়াবহভাবে কাবু করতেই পারে। তাই তোয়ালে বা টিস্যু দিন। আপনার সন্তান স্কুলে গেলে মুখ, হাত ধোবেই। তাই তাদের যেন হাত-মুখ মোছার সুযোগ থাকে তা নিশ্চিত করুন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর সদরে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারুল ইসলামকে শোকজ

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারুল ইসলামকে শোকজ করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: ওয়ালিউল্লাহ। গত শুক্রবার এক জরুরী চিঠিতে এ শোকজ করা হয়েছে।

শোকজে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১৮ এর (ঘ) এবং বিধি ৩১ অনুযায়ী “প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে উস্কানিমুলক বক্তব্য বা বিবৃতি, অর্থ, অস্ত্র ও পেশী শক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাইবে না”। তারপরও আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামে নির্বাচনি মতবিনিময় সভায় কর্মী-সমর্থকরা আপনার পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণাকালে উস্কানিমুলক বক্তব্য বা বিবৃতি, পেশী শক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন যা গত ৩ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়েছে। যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ এর ১৮ (ঘ) ও ৩১ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ এর ১৮(ঘ) ও ৩১ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আজ শনিবার বিকাল ৪টার মধ্যে জেলা নির্বাচন অফিসার, মেহেরপুর ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

উল্লেখ্য, গত ২ মে আশরাফপুর গ্রামে এক নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারুল ইসলামের প্রতিক মোটরসাইকেল ছাড়া কোন প্রতিকে সিল মারা যাবে না এবং কোন প্রতিকের এজেন্ট থাকতে পারবে না বলে হুমকিস্বরুপ বক্তব্য দেন মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রীর মেজ ভাই ইকবাল হোসেন বুলবুল।




স্ন্যাপচ্যাটে এডিটিং ফিচারে নতুন সুবিধা

বর্তমান সময়ে বার্তা আদান-প্রদানে জনপ্রিয় মাধ্যেম নস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম স্ন্যাপচ্যাট। যেখানে দ্রুত চ্যাট করতে গিয়ে ভুল বার্তা যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যা অনেক সময় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন বিড়ম্বনা এড়াতে স্ন্যাপচ্যাটে এডিটিং ফিচার সুবিধা আসছে। ফলে সহজে এর ব্যবহারকারীরা মেসেজের বানান ও ভুল সংশোধন করতে পারবেন।

স্ন্যাপচ্যাট সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, এ ফিচারের ব্যবহারকারীরা মেসেজ পাঠানোর পাঁচ মিনিটের মধ্যে এটি এডিট করতে পারবেন, যা চ্যাটবক্সে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে ভূমিকা রাখছে।

যদিও আপাতত ফিচারটি স্ন্যাপচ্যাট প্লাস গ্রাহকরা ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ যারা অ্যাপটির প্রিমিয়াম সংস্করণ ব্যবহার করছেন তারাই এডিটিং ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে কবে নাগাদ ফিচারটি সকলের জন্য চালু হবে তা জানা যায়নি।

জেনে রাখা ভালো- স্ন্যাপচ্যাট ২৪ ঘণ্টা মেয়াদোত্তীর্ণ স্টোরি ও পার্সোনাল মেসেজের মতো ফিচারের জন্য সুপরিচিত। সক্রিয় মাসিক ব্যবহারকারীর দিক থেকে নতুন রেকর্ড করছে স্ন্যাপচ্যাট। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটির ৭৫ কোটির বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে।

স্ন্যাপচ্যাট সামাজিক গণমাধ্যমের জন্য একটি নতুন মোবাইল-একক দিকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য উল্লেখযোগ্য হয়ে ওঠেছে। ভার্চুয়াল স্টিকার এবং উদ্দীপ্ত বাস্তবিক বস্তুর সঙ্গে মিথস্ক্রিয় ব্যবহারকারীদের উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব প্রদান করছে। ২০১৭ সালের মে মাসের হিসাব অনুযায়ী, স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিদিনের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৬৬ মিলিয়ন।

সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা জেনারেটিভ এআইনির্ভর নতুন ফিচার যুক্ত করেছে স্ন্যাপচ্যাট। এর মধ্যে রয়েছে ড্রিমস নামের একটি এআই সেলফি এডিটিং টুল এবং চ্যাটজিপিটিনির্ভর একটি এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট। স্ন্যাপচ্যাটের এআই টুল ব্যবহার করে সহজেই বিভিন্ন ছবি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা যায়। এর মাধ্যমে ভুয়া ছবিও তৈরি করছেন অনেকে। এ সমস্যা সমাধানে নিজেদের এআই টুল দিয়ে তৈরি ছবিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জলছাপ যুক্ত করতে এআইনির্ভর ফিচার যুক্ত করে প্ল্যাটফর্মটি।

সূত্র: কালবেলা




জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভাইয়ের বক্তব্যে তোলপাড়!

মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর বড় ভাই ও মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেনের হুমকিতে রাজনীতির অঙ্গনে তোলপাড় অবস্থা। এক প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে দলেরই আরেক প্রার্থীর এজেন্ট থাকবে না বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। ভোট কেন্দ্রে ওই প্রার্থীর কোন এজেন্ট থাকবে না বলে হুশিয়ারী করে দিয়েছেন তিনি। জনপ্রশাসনমন্ত্রী কোন প্রার্থীর পক্ষ অবস্থান না নিলেও তাঁর ভাইয়ের এ বক্তব্য মন্ত্রীকে বিব্রত করেছে বলে মনে করছে জনসাধারণ।

নেটিজেনদের মাধ্যমে পাওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে সদর উপজেলার আমদহ গ্রামের একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখছেন ইকবাল হোসেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা এবং আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল ইসলাম সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার পক্ষে অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ৮ তারিকের নির্বাচনে শুধুমাত্র আনারুল ইসলামের ( মোটরসাইকেল প্রতীক) ছাড়া অন্য কোন এজেন্ট থাকতে পারবে না। এই আশরাফপুর গ্রামে কোন এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভায়ের মার্কায় সিল মারা হবে। আর কোন মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না।

গত বৃহস্পতিবার (০২ মে) সন্ধ্যায় ৬টায় সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ড স্কুল পাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এক সভার আয়োজন করেন। এ ইকবাল হোসেন তাঁর ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

নির্বাচনী সভায় ইকবাল হোসেন বলেন, আনারুল ভাই সহ আরো চারটি প্রার্থী আছে। আনারুল ভাই যদি নির্বাচনে না দাড়াতো তা হলে আমি ভোট করতে আসতাম না। আনারুর ভাই একজন যোগ্য প্রার্থী। উপজেলা চেয়ারম্যান এমন একজনকে করতে হবে যে টোটাল উপজেলা আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে পারে। যে ব্যাক্তি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ জনগনের সুখে দুখে পাশে থাকতে পারবে। যে নিজের জমি বেচেঁ আওয়ামী লীগকে টিকাতে পারবে সেই ধরণের লোক আমরা উপজেলাতে চাই। আনারুর ভাই ছাড়া এই ধরণের কোন লোক নেই। আর কোন প্রার্থী নেই। তাই আজকে সেই ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মত ওই রকম ভোট চাই আনারুল ভায়য়ের জন্য। এক চেটিয়া ভোট হবে শুধু মোটরসাইকেলে। প্রত্যেকটি সেন্টারে মোটরসাইকেল জিতবে। আমরা শহরের লোকজন বুঝেছি যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। আনারুল ভাইকে আমরা প্রতিটি সেন্টারে ব্যাপক ভোটে বিজয়ী করবো। এই আশরাফপুর গ্রামে কোন এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভায়য়ের মার্কা মোটরসাইকেল মার্কা সিল মারতে হবে। অন্য কোন মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না।

এদিকে ইকবাল হোসেনের এ বক্তব্য নেটিজেনদের কাছে ছড়িয়ে পড়ার পর শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। তিনি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের মেজ ভাই। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চার জন প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের গ্রুপ রাজনীতির হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর পক্ষের প্রার্থী হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন ও আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল ইসলাম। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান এবং জেলা কৃষক লীগের সহ সভাপতি হাসেম আলী চেয়ারম্যান প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।

নেতাকর্মীরা জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রীর পক্ষের প্রার্থী অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন ও আনারূল ইসলামের মধ্য থেকে একজনকে সমর্থন দেওয়ার দাবি ছিল নেতাকর্মীদের কাছ থেকে। কোন প্রার্থীর পক্ষে মন্ত্রী, এমপি ও তাদের স্বজনরা অবস্থান না নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কঠোরতা থাকায় জনপ্রশাসনমন্ত্রী নিরবতা পালন করেছেন। এর মধ্যে তার আপন ভাইয়ের এমন বক্তব্য মন্ত্রীকে বিব্রত করেছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।

ইকবাল হোসেনের বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধরাণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীন বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভাই ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি যদি এমন বক্তব্য দেই তাতে উপজেলা নির্বাচন জনগণের কাছে কতটুকু গ্রহনযোগ্য হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এগুলো নির্বাচনী আচরণবীধি লঙ্ঘন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ জানানো হবে।

জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বলেন, আমদহ এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম ওই এলাকায় খুব জন্রপিয় নেতা। আমি এই কারণে অন্যকোন প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া যাবে না বলে কথা বলতে গিয়ে এমন কথা বেরিয়ে গেছে। বিষয়টি ওইভাবে মনে করার কিছু নেই।

তবে লিখিত অভিযোগ কিংবা ভিডিও ক্লিপ হাতে না আসা পর্যন্ত কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি এ নির্বাচনের রির্টার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা নির্বাচন অফিসার ওয়ালিউল্লাহ।




আলমডাঙ্গার হাপাঁনিয়ায় বসতবাড়িতে অগ্নিকান্ড, ৮টি বাড়ি পুড়ে ছাই

আলমডাঙ্গার হাঁপানিয়া গ্রামে আগুন লেগে ৮টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে দরিদ্র পরিবার গুলো।

আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় দিকে হাঁপানিয়া গ্রামের হুদাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আগুনে আসবাবপত্রসহ রান্না করার সরঞ্জামও পুড়ে গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান।

প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানাগেছে,আলমডাঙ্গা উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামের হুদাপাড়ার হযরতের বাড়িতে সর্ট শার্কিট থেকে আগুন ধরে যায়। আগুনের ললিহান শিক্ষা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে পাশের বাড়িগুলোতে। এ সময় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৮টি পরিবারের সর্বস্ব। ক্ষতিগ্রস্ত পরিরাব সাইফুল ইসলাম, প্রবাসে অবস্থানরত শাহীন, হযরত, মিজানুর রহমান, নাজমুল হুদা, সাইফুল ইসলাম , মেহের আলী, হাসানুজ্জামান।
গরীব এই আটটি পরিবারের বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নেই রান্নার সরঞ্জামাদিও।

চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরোয়ার জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে ওই ৮টি বাড়ি পুড়ে যায়। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এতে আটটি বাড়ি পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা অত্যন্ত গরিব। পরনের পোশাক ছাড়া আর নেই তাদের। এমনকি তারা দুপুরে রান্নাবান্না করে খাবে সেই পরিস্থিতিও নেই। আজকের মধ্যেই তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ৮টি বাড়ি পুড়ে গেছে। আমাদের কিছুই আর নেই। কেউ চাল-ডাল দিলেও রান্না করার সরঞ্জাম টুকুও নেই।

প্রবাসী শাহীনের স্ত্রী বলেন, আমার নগদ টাকাসহ সব কিছুই পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। চোখের সামনে মুহূর্তেই আমাদের সব শেষ হয়ে গেল। এখন আমরা কোথায় থাকবো।
সাবেক ইউপি সদস্য ইনতাজুল হক বলেন, ৮টি বাড়ির কোনো অস্তিত্ব নেই। নগদ টাকাসহ আসবাবপত্র সব পুড়ে গেছে। এক বেলার খাবারও নেই তাদের।




মেহেরপুরে পৃথক অভিযানে হেরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

মেহেরপুরের পৃথক দুটি স্থানেঅভিযান চালিয়ে ১০ গ্রাম হেরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মাদ্রক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

আজ শুক্রবার বিকাল ৩ টার দিকে সদর উপজেলার হরিরামপুর ও বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের ভূমি অফিস পাড়ায় অভিযানপরিচালনা করেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক হাশেম আলী।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হরিরামপুর দক্ষিণপাড়ায় অভিয়ান চালিয়ে ৪ গ্রাম হেরোইনসহ রেজাউল হকেবর ছেলে ইকবাল হোসেনকে এবং শহরের ভূমি অফিস পাড়া থেকে শমসেরে শেখের ছেলে মিয়ারুল ইসলামকে ৬ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।




বলিউডে পা রাখছেন টম ফেল্টন

হ্যারি পটার সিরিজে ড্রাকো ম্যালফয় চরিত্রের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছেন ব্রিটিশ অভিনেতা টম ফেল্টন। এবার এই আন্তর্জাতিক তারকা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও পা রাখতে যাচ্ছেন। ৩৬ বছর বয়সী এই তারকাকে এবার দেখা যাবে ভারতীয় নির্মাতা হংসল মেহতার নতুন সিরিজ ‘গান্ধী’তে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) চলচ্চিত্র নির্মাতা নিজেই এই খবর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

টম ফেলটন ছাড়াও ‘গান্ধী’ সিরিজে যোগ দিয়েছেন- লিবি মাই, মলি রাইট, রাল্ফ অ্যাডেনিয়েই, জেমস মারে, লিন্ডন আলেকজান্ডার, জননো ডেভিস, সাইমন লেননের মতো বিদেশি অভিনেতারা।

বিবৃতিতে পরিচালক জানান, আমাদের দলে কিছু ব্যতিক্রমী আন্তর্জাতিক অভিনেতাদের উপস্থিতি খুবই আনন্দদায়ক। কারণ, আমরা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে আমাদের ভালোবাসা পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর গল্প, বিশেষত লন্ডন এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় কাটানো তার আরও বছরগুলো… এই গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। এই গল্প এমন এক তরুণের যে নিজেকে খুঁজতে বেরিয়েছিল…. এই মহাকাব্যিক কাহিনীকে পর্দায় জীবন্ত করে তোলার সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি।

এ সিরিজে অভিনয় প্রসঙ্গে টম বলেন, গান্ধীর জীবনে লন্ডনে কাটানো সময়ের গল্পে আমি থাকছি। হংসল ও প্রতীকের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত।

এই সিরিজে টম ফেল্টনকে লন্ডনে গান্ধীর বন্ধু জোসিয়া ওল্ডফিল্ডের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় টানা এক সপ্তাহ বৃ‌ষ্টির পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস

চুয়াডাঙ্গায় টানা ২২ দি‌ন ধ‌রে অব্যাহত র‌য়ে‌ছে দে‌শের স‌র্বোচ্চ তীব্র থে‌কে অতি তীব্র তাপমাত্রা। আজ শুক্রবার সহ গত তিন দিন ধরে তাপমাত্রার পারদ একটু একটু ক‌রে নাম‌তে শুরু ক‌রে‌ছে চুয়াডাঙ্গায়। এরই মধ্যে আবহাওয়া অফিস জানাল আগামী ৬ মে থে‌কে ১২ মে পর্যন্ত টানা বৃ‌ষ্টি হতে পারে চুয়াডাঙ্গাতে।

এখা‌নে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কম‌লেও বাতাসে বইছে আগুনের হল্কা। বাইরে বের হ‌লে রো‌দের তীব্রতায় ম‌নে হ‌চ্ছে শরীর ঝল‌সে যা‌চ্ছে। বেলা বাড়ার সা‌থে রো‌দ্রের তীব্রতা ও ভ্যাপসা গরম তরতর ক‌রে বাড়‌ছে। দাবদাহের এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই জেলার প্রতিটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে রিকশা-ভ্যান চালক ও পথচারীদেরকে ক্ষণিকের স্বস্তি দিতে ও পিপাসা নিবারণেন জন্য সুপেয় পানি, শরবত, স্যালাইন, আখের রস, ডাব খাওয়ানো হচ্ছে এবং ছাতা উপহার দেওয়া হচ্ছে।

আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গার স‌র্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস ‌রেকর্ড করা হ‌য়ে‌ছে। এ সময় বাতা‌সের আদ্রতা ছিল ১১ শতাংশ। বাতা‌সে জলীয় বা‌ষ্পের প‌রিমাণ অ‌নেক বেশি থাকায় ঘ‌রে ভ্যাপসা গরম আর বাইরে রো‌দের তা‌পে শরীর জ্বালা পোড়া অনুভূত হ‌চ্ছে ব‌লে জানান চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্য‌বেক্ষণাগা‌রের ইনচার্জ জা‌মিনুর রহমান।

আর এই দাবদা‌হে সবচাইতে বে‌শি বিপা‌কে প‌ড়ে‌ছেন দিন মজুর খে‌টে খাওয়া রিকশা ভ্যান চালকরা। হিটস্ট্রো‌কের ঝুঁকি মাথায় নি‌য়ে রিকশা ভ্যান চালক ও দিন মজুর শ্র‌মিকরা কাছ কর‌ছে বাধ্য হ‌য়ে। চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়ে আসছে এই জেলায়। একটানা প্রায় ২২ দিন দে‌শের স‌র্বোচ্চ তীব্র থেকে অতিতীব্র দাবদাহে হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতা‌লে সামান্য জনবল নি‌য়ে চিকিৎসা দিতে হিম‌শিম খা‌চ্ছেন ডাক্তাররা। গরমজ‌নিত রো‌গে আক্রান্ত হ‌য়ে প্র‌তি‌দিনই ভর্তি হচ্ছেন শতা‌ধিক রোগী। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া আউট‌ডো‌রে শত শত গরমজ‌নিত রো‌গে আক্রান্ত মানুষ চি‌কিৎসা নি‌য়ে বা‌ড়ি ফির‌ছেন। আর এ রো‌গে আক্রা‌ন্তের বেশির ভাগ রোগীই শিশু ও বৃদ্ধ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বেলা বাড়ার সা‌থে রো‌দ্রের তীব্রতা ও ভ্যাপসা গরম তরতর ক‌রে বাড়‌ছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩ দশ‌মিক ৫ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস। এ সময় বাতা‌সের আদ্রতা ছিল ৪৪ শতাংশ। দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশ‌মিক ৫ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস। এ সময় বাতাসে আদ্রতা ছিলো ১২ শতাংশ। বেলা ৩টায় জেলার স‌র্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশ‌মিক ৮ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস। এ সময় বাতা‌সের আদ্রতা ছিল ১০ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্য‌বেক্ষণাগা‌রের ইনচার্জ জা‌মিনুর রহমান জানান, গত প্রায় ২২ ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি আছে। আজ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৪০ থে‌কে ৪৩ দশ‌মিক ৭ ডিগ্রি‌তে উঠা নামা কর‌ছে।

তি‌নি আ‌রো ব‌লেন, আগামী ৬ মে থে‌কে ১২ মে পর্যন্ত টানা বৃ‌ষ্টির দেখা মিল‌তে পা‌রে। সে কার‌ণে বৃ‌ষ্টি শুরুর আ‌গে কৃষক‌দের‌কে মা‌ঠের ফসল ঘরে তোলার জন্য বি‌শেষ ভা‌বে অনু‌রোধ ক‌রে‌ছেন তি‌নি।




১২৪ রানের শেষ জিম্বাবুয়ে

শুরুতেই বাংলাদেশের বোলারদের তোপে বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে। ৪১ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে সিকান্দার রাজার দল। সেখানে থাকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সম্মানজনক পুঁজি পেয়েছে সফরকারীরা। ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ক্লাইভ মানদান্দের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশকে ১২৫ রানের টার্গেট দিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন সান্ত। টস হেরে ব্যাট করতে প্রথম ওভারে দুই চারের সাহায্যে ৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। এরপর দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই বাংলাদেশকে উইকেট উপহার দেন স্পিনার শেখ মেহেদি। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান ক্রেগ আরভিন।

এরপর জয়লর্ড গাম্বি ও ব্রায়ান বেনেটে মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন বেনেট। তবে দলীয় ৩৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে।

গাম্বি ১৪ বলে ১৭, বেনেট ১৫ বলে ১৭ ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান অধিনায়ক রাজা। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। রানের খাতা খোলার আগেই সেন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্ল। ৩৮ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে।

এরপর দলীয় ৪১ রানে আবারও উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ৬ বলে মাত্র ২ রান করে ফিরে যান লুক জঙ্গি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ক্লাইভ মানদান্দে। ৭৫ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

তবে দলীয় ১১৬ রানে ৩৯ বলে ৪৩ রান করা মানদান্দেকে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন তাসকিন। মানদান্দের বিদায়ের পর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন ও সাইফুদ্দিন নেন ৩টি করে উইকেট।

সূত্র: ইত্তেফাক