এবার নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বাড়াবে এআই

মুঠোফোনের নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বাড়াতে এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস সল্যুশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ মার্কেটিং অফিসার এরিক ঝাও। সদ্য সমাপ্য মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সাংহাই আসরে এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

এ খাতের পেশাজীবী ও নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গত ২৬ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত চীনের সাংহাইতে এমডব্লিউসি সাংহাই ২০২৪-এর আয়োজন করেছিল হুয়াওয়ে। সেখানে এরিক ঝাও বলেন, ‘এআই প্রযুক্তিকে নেটওয়ার্কে নিয়ে আসাই প্রধান লক্ষ্য। যা অর্জনে উদ্যোক্তা হয়ে সল্যুশন প্রোভাইডার থেকে ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্কের সহনির্মাতাতে (কো-বিল্ডার) পরিণত হব। বিশ্বাস করি, আরএএন ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট ও নেটওয়ার্কের যৌথ প্রবৃদ্ধি বিস্তৃত পরিসরে ব্যবসায়িক মূল্য তৈরি করবে, যা দ্রুত নেটওয়ার্কে রূপান্তর করবে এবং শিল্পকে বুদ্ধিমত্তার নতুন যুগে নিয়ে যাবে।

তিনি জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে হাংঝো, গুয়াংঝো, ব্যাংকক, জিনান ও শেনজেনে হাজারের বেশি সাইট ইঞ্জিনিয়ার ও ১০ হাজার সাইটকে প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিন বছরের প্রচেষ্টার পর টেলিকম খাতে ফাইভজি (অ্যাডভান্স) পরিকল্পনার পর্যায় থেকে বাস্তবে রূপ পেয়েছে। ২০২৪ সালকে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজির প্রথম বছর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ব্যবসা, নেটওয়ার্ক ও ডিভাইস ডেভেলপমেন্টে এখন পর্যন্ত ফাইভজি উল্লেখযোগ্য সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।

বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কের জটিল কার্যক্রম ও রক্ষণাবেক্ষণ, নেটওয়ার্কের নানা বৈশিষ্ট্য ও অভিজ্ঞতা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বিষয়গুলো বিবেচনা করে হুয়াওয়ে নেটওয়ার্কে এআই ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। অর্থাত্ রেডিও অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক (আরএএন) ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট তৈরি করে নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবায় নতুন মাত্রা যোগ করা হবে।

মূলত আরএএন ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট জটিল প্রক্রিয়াকে সহজ করে দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। যার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো হুয়াওয়ের চালু করা ফিল্ড মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার কোপাইলট। প্রথম প্রযুক্তি হিসেবে চালু হওয়া কোপাইলটে আছে এআই প্রযুক্তির অ্যাসিস্ট্যান্ট, যা বিশেষায়িত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে স্বাধীনভাবে সল্যুশন পলিসি তৈরির মাধ্যমে দক্ষতা বাড়াতে পারে। বিশেষ করে ফিল্ড কেসে ১০ গুণ বেশি দক্ষতার সঙ্গে অপটিক্যাল পাথ ফল্ট পরিচালনায় সাহায্য করছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




ফাইনালের বিতর্কিত ক্যাচ নিয়ে মুখ খুললেন সূর্যকুমার যাদব

এক ক্যাচেই বিশ্বকাপ নিজেদের করে নিয়েছে ভারত। তবে সেই ক্যাচ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা দেয় বিতর্ক। অনেকের মতে ক্যাচ নেওয়ার সময় বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করেছে সূর্যের পা। তবে বাউন্ডারি লাইনে পা লাগেনি বলে জানিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব।

সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি ফাইনালে শেষ ওভারে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ৬ বলে ১৬ রান। স্ট্রাইকে মারকুটে ডেভিড মিলার। তিনি পান্ডিয়ার করা প্রথম ওয়াইড ফুলটস বলেকে লং অফে উড়িয়ে মারে ছয়ের লক্ষ্যে। তবে বাউন্ডারি লাইনে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ ধরেন সূর্যকুমার যাদব। আউট হন মিলার। এতেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।

ফাইনালের সেই ক্যাচ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সূর্য বলেন, ‘রোহিত ভাই সাধারণত লং-অনে ফিল্ডিং করেন না। কিন্তু সেই সময় তিনি সেখানে ছিলেন। তাই বলটি যখন আসছিল আমি এক সেকেন্ডের জন্য তার দিকে তাকাই, তিনিও আমার দিকে তাকিয়েছিলেন। আমি দৌড়াতে শুরু করি, লক্ষ্য ছিল ক্যাচটি নেওয়া। তিনি (রোহিত) কাছে থাকলে, বল তার দিকে ছুড়ে দিতাম। কিন্তু তিনি কাছাকাছি ছিলেন না। এরপর ৪ বা ৫ সেকেন্ডে যা ঘটেছে, আমি সেটা ব্যাখ্যা করতে পারব না।’

ক্যাচ ঠিকঠাক নিয়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্নে সূর্য আরও বলেন, ‘বলটা যখন আমি ওপরের দিকে ঠেলে দিই আর ক্যাচটা নিই, আমি জানতাম দড়িতে আমার পা লাগেনি। আমি সেই সময় কেবল ওটা নিয়েই ভাবছিলাম। আমি জানতাম, এটা পরিষ্কার একটা ক্যাচ।

সূত্র: ইত্তেফাক




সাংবাদিককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ঝিনাইদহে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর হাতে সময় সংবাদের সাংবাদিক লোটাস রহমান সোহাগ লাঞ্ছিত ও ক্যামেরার মেমোরী কার্ড ভাংচুরের ঘটনায় বিক্ষোভ ও নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের পায়রা চত্বরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব ও টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জেলায় কর্মকর্তা সাংবাদিক ছাড়াও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

ঘন্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচীতে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি একুশে টিভির প্রতিনিধি এম রায়হান, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার মিজানুর রহমান বাবলু, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএ টিভির প্রতিনিধি ফয়সাল আহমেদ, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক যমুনা টিভির প্রতিনিধি আহম্মেদ নাসিম আনসারী, সাবেক সভাপতি কালের কন্ঠের প্রতিনিধি এম সাইফুল মাবুদ, সাবেক সাধারণ এটি বাংলার প্রতিনিধি নিজাম জোয়ারদার বাবলু, কালবেলা’র ব্যুরো প্রধান মাহমুদ হাসান টিপু, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এম সালেহ, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমান, ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আর টিভির প্রতিনিধি শিপলু জামান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য আসিফ ইকবাল কাজল, চ্যানেলটোয়েন্টিফোর’র জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন, ঝিনাইদহ রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক শাহীদুর রহমান সন্টু, প্রেস ইউনিটির সভাপতি শহিদুল এনাম পল্লব, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি স্বপন মাহমুদ, বিহঙ্গ সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর আলম লিটন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ মিজান, উদিচীর জেলা সভাপতি কে এম শরিফ, সহ-সভাপতি শামীম আহম্মেদ, উপদেষ্টা স্বপন বাগচী, জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক আরিফুল ইসলামসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি রাজিব হাসান।

বক্তারা বলেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলামের প্রত্যাহার ও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রেসক্লাব চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

এদিকে একই সময় শৈলকুপায় সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী আলমগীর অরণ্য’কে কুপিয়ে যখম করার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে একই কর্মসূচী পালন করে উদিচী’র নেতৃবৃন্দ।




মেহেরপুরে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠান

মেহেরপুরে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির ৪০ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান।

এছাড়াও এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল করিম, জেলা মহিলা বিষয় অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নীলা হাফিয়া, জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শামীম আরা হীরা। সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাজী আবুল মনসুর, সদর সমাজসেবা অফিসার (রেজি) মোঃ আনিছুর রহমান, শহর সমাজসেবা অফিসার মোঃ সোহেল মাহমুদ, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল আল মামুন, ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সেলাই মেশিন, অনুদানের টাকা ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।




মেহেরপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ভারতীয় নারীর মৃত্যু

জীবনের শেষ সময়টুকু পরিবারের স্বজনদের সাথে কাটাতে চেয়েছিলেন ইস্তাফন খাতুন (৬৪)। তার আগেই বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারালেন তিনি। গতকাল রবিবার (৩০ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে সীমান্তবর্তি নবীনগর খালপাড়া সীমান্তের ১১৬ নাম্বার মেইন পিলারের কাছে তারকাটা পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টাকালে ভারতের নাটনা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে মরদেহ নিয়ে গেছে ভারতের অভ্যন্তরে।

নিহত ইস্তাফন খাতুনের বড় ভাই হাসেম আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে বুড়িপোতা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মন মোহন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি ভারতের অভ্যন্তরে ঘটেছে। তাই এবিষয়ে বিএসএফ আমাদের কিছুই যানাইনি।

নিহত ইস্তাফন খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার শালিকা গ্রামের মৃত কোমর আলীর মেয়ে।

নিহত ইস্তাফন খাতুনের বড় ভাই হাসেম আলী, ৩০ বছর আগে আমার বোন ভারতে পারি জমান। ভারতের বিহারের একটি শহরে বাসিন্দা রহমত আলীর সাথে বিয়ে করে বসবাস করে আসছিলেন। সে ওই দেশের নাগরিক হয়েছেন। কিছুদিন আগে তার স্বামী রহমত আলী মারা গেছেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর ইস্তাফন খাতুন একাকি জীবন ধারণ করছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগে সীমান্তের তারকাটা পার হয়ে আমাদের বাড়িতে কয়েক সপ্তাহ থেকে আবারও ফিরে গেছেন। সেখানে এখন তার দেখা শুনার কেউ নেই। বাকি জীবনটা আমাদের পরিবারে সাথে কাটানোর কথা তার।

তারকাটা পার হওয়ার জন্য গত তিন দিন সীমান্তের ওপারে ভারতের নদীয়া জেলার তেহট্র থানার নবীনগরে অবস্থান করছিলেন তিনি। রবিবার দিবাগত রাতে আমাদের সাথে তার শেষ কথা হয় মুঠোফোনে। বলেছিলেন সুযোগ পেলেই তারকাটা পার হবো। তোমরা জেগে থেকে। মধ্যরাতে খবর পাই তারকাটা পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ কালে বাংলাদেশী ভেবে তাকে নাটনা বিএসএফ ক্যাম্পে সদস্যরা ভারতের অভ্যন্তরে গুলি করে হত্যা করেছে। পরে তার মরদেহ নদীয়া জেলার তেহট্র থানার ৮৪ নং বিএসএফ ব্যাটেলিন নাটনা ক্যাম্পে নিয়ে গেছে। বোনের মৃত্যুর খবরে সীমান্তে ছুটে গিয়েও তার মৃত দেহের দেখা মেলেনি পরিবারের।

তিনি আরো বলেন, জীবনের শেষ সময় টুকু কাটাতে চেয়েছিলেন পরিবারে ভাই বোনদের সাথে। সে আশায় গত দেড় বছর যাবত চেষ্টা করেও আসতে পারেনি নিজ দেশে।

নিহতের ভায়ের ছেলে বিপ্লব হোসেন জানান, গত তিন দিন ধরে ওপারের নবীণনগর গ্রামের একটি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন ফুপু। ফোনে তার সাথে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে কথা হয়। পরে ভারত থেকে মোবাইল ফোনে জানতে পারি বিএসএফ এর গুলিতে মারা গেছেন ফুফু। লাশ ফিরে পেতে আমরা বুড়িপোতা বিজিবি ক্যাম্পে যোগাযোগ করি। কিন্তু ভারতীয় অভ্যন্তরে ঘটনাটি ঘটনায় বিজিবি কোন ভাবে লাশ পাওয়ার আশা দিতে পারেনি।

সীমান্তে নিহতের ঘটনায় বুড়িপোতা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মন মোহন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খালপাড়া সিমান্তে নিহতের ঘটনা ভারতের অভ্যন্তরে ঘটেছে। এ বিষয়ে বিএসএফ আমাদের কিছু জানাইনি। নিহত নারীর জন্ম বাংলাদেশে তার ভাই সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা সীমান্তবর্তি গ্রাম শালিকাতে বসবাস করেন। ধারনা করা হচ্ছে তাদের কাছে অবৈধ ভাবে আসতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে।




দর্শনা থানা পুলিশের পথসভা ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানা পুলিশ কুড়ালগাছি ও মদনায় জনসচেতনতা মৃলক পথসভা ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার বিকালে দর্শনা থানার কুড়ুলগাছি বাজার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের মদনা ও সাড়াবাড়িয়া বাজারে জনসচেতনতা মুলক পথ সভা ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার শাহা কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, মাদক, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ, চোর, ডাকাত, মাদক ও ছিনতাইকারীদের কোন ছাড় নেই। কোন প্রকার সুপারিশ চলবে না। বাল্য বিবাহ,সন্ত্রাস দমন ও মাদক প্রতিরোধে প্রশাসনকে সর্বাত্তোক সহযোগিতা করার আহব্বান জানান তিনি।তিনি আরও বলেন যারা মাদক ব্যাবসা করে সুন্দর সুন্দর বাড়ি বানিয়েছে তাদের খোজ খবর নিয়ে ওপর মহলে পাঠিয়ে তাদের ঘর বাড়ি নিলাম করে দেওয়া হবে।মাদকের সাথে কোন রকম আপোষ চলবে না।মাদক ব্যাবসায়ীরা যত শক্তিশালী হোক না কেন যে কোন দলের হোক কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।আমি যতদিন দর্শনা থানায় আছি মাদকের সাথে কোন রকম আপোষ করবো না।

এ পথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই টিপু সুলতান, এস আই সেকেন্দার আবু জাফর, এস আই ফাহিম হোসেন,এস আই সোহেল রানা, এস আই শামীম হোসেন, এ এস আই আবু বক্কর সিদ্দিক, এ এস আই মারুফুল ইসলাম,এ এস আই শেখ আবু হানিফ,এ এস আই ইব্রাহীম হোসেন,

এছাড়াও বিভিন্ন বাজরের স্থানীয় ইউপি সদস্য, গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ

মেহেরপুরে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ও বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০২৪ এর প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ সোমবার দুপুরের দিকে সদর উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে এ পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম নিজ হাতে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০২৪ এর প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এ সময় মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কাজী নাজিব হাসান , সরকারি কমিশনের (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মূয়ীনুর রহমান, সদর থানার ওসি শেখ কনিমিয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লতিফুন্নেছা লতা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম, একাডেমিক সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ভাষাও সাহিত্য,দৈনন্দিন বিজ্ঞান,গণিত ও কম্পিউটার এবং বাংলাদেশ স্টাডিজ মুক্তিযোদ্ধা এই চারটি বিষয়ে ১৩ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
পরে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে বাইসাইকেল প্রদান করা হয়।



চুয়াডাঙ্গায় ভূয়া পরিক্ষার্থীকে এক বছরের কারাদণ্ড

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্নাস পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে শামীম আহম্মেদ তুষার নামে এক ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ সোমবার চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজকেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত শামীম আহম্মেদ তুষার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মো. খোকনের পুত্র। ভ্রাম্যমাণ আলাদত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান নাঈমা।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই কেন্দ্রে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এ পরীক্ষায় অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও জীবননগর উপজেলার আবুুল কাশেমের ছেলে মো. শহীদুজ্জামান। তার রোল নম্বর ২০২৮১৭৭ ও নিবন্ধন ননম্বর ১৮২১৫০৩৯৪২৬। কিন্তু তার পরিবর্তে আগের টানা ৮টি পরীক্ষাসহ সোমবারে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাটিও দিচ্ছিলেন ভুয়া পরিক্ষার্থী শামীম আহম্মেদ তুষার।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। পরে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান নাঈমা। সেখানে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০-এর ৩ ধারা অনুযায়ী ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জেল প্রদান করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার সুমাইয়া জাহান নাঈমা বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ভুয়া পরীক্ষার্থীকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। আর যিনি প্রকৃত পরীক্ষার্থী তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কলেজ কৃতর্পক্ষ নেবে।’

চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক মামুন অর রশিদ বলেন, অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষায় ২১৫ নম্বর কক্ষে ইতিহাস বিভাগের শহীদুজ্জামান নামের এক পরীক্ষার্থীর পক্ষে শামীম আহম্মেদ তুষার নামে একজন প্রক্সি দিচ্ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরীক্ষা চলাকালে তাকে শনাক্ত করেন। এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে এক বছরের সাজা প্রদান করেন। ইতোমধ্যে আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষ মূল পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছি। এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রেরণ করেছি।




মুজিবনগরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ

তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি এই প্রতিপাদ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১০ টার সময় মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এর সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুস সাদাত রত্ন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন, মুজিবনগর অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মেহেদী হাসান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান রাজিব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তকলিমা খাতুন।

এছাড়াও বাগোয়ান ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মল্লিক, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এর প্রতিনিধি, বিজিবি প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা এবং মুজিবনগর উপজেলা সাংবাদিক বৃন্দ।




ধানের জাত না চেনায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে মিল মালিকদের চিঠি

ধানের জাত ঠিকমতো না চেনায় কুষ্টিয়ার খাজানগরের চালকল মালিকরা ধানের জাত ও জাতের নমুনা চেয়ে কুষ্টিয়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে কুষ্টিয়ার অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

গতকাল রোববার (৩০ জুন) কুষ্টিয়ার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তার দপ্তরে এ চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সভাপতি ওমর ফারুক উল্লেখ করেন, চালের বস্তার গায়ে ধানের জাত লিখতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাইস মিল (চালকল) মালিকদের। এজন্য সরকারের তালিকাভুক্ত ধানের জাতের নাম ও নমুনা সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ওমর ফারুক জানান, সরকার বলছে, মিনিকেট বলে কোনো ধান নেই। কিন্তু আমরা এ নামে ধান কিনছি কৃষকদের কাছ থেকে। তাহলে ওই ধানের ক্ষেত্রে বস্তায় কি লিখব, তা জানার জন্যই এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে চালের বস্তায় ধানের জাত, মিলের ঠিকানা ও দাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হলেও এখনও হাট-বাজার ও আড়তে কার্যকর হয়নি সরকারি সেই নির্দেশনা। বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিকদের কাছ থেকে নির্দেশনাযুক্ত চালের বস্তা হাতে পাননি তারা।

কুষ্টিয়ার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান জানান, অন্য জাতের ধান থেকে মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করে লাভবান হন মিল মালিকরা। তাই তারা এসব চিঠি দিচ্ছেন। চিঠিটি ঊর্ধ্বতন মহলে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা এলে, তা বাস্তবায়ন করা হবে।

জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা জানান, সরকার অনুমোদিত জাতের ধান ছাড়া অন্য নামে যেমন মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করার সুযোগ নেই। করতে দেওয়া হবে না।

কুষ্টিয়ার খাজানগরে ৫০টির মতো অটোমেটিক রাইস মিল থেকে সারাদেশের সরু চালের সিংহভাগ সরবরাহ করা হয়। ধানের জাত যেটাই হোক, এখান থেকে মিনিকেট নামের চালই বেশি সরবরাহ হয়ে থাকে। মিনিকেট চালের চাহিদা বেশি থাকায় বাজার চড়ে যায়। এ কারণেই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিপত্র জারি করেছে যে চালের বস্তার গায়ে ধানের জাতের নাম ও চালের দাম লিখে দিতে হবে। আড়াই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ মিল মালিক বস্তার গায়ে এসব তথ্য লিখছেন না।

অপরদিকে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কুষ্টিয়ার বেশিরভাগ কৃষকই তাদের ধানের জাতের নাম উল্লেখ করেই বিক্রি করেন। এছাড়া কৃষি বিভাগও ধানের জাত উল্লেখ করেই বীজ বিতরণ ও প্রণোদনা দিয়ে থাকে। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী উৎপাদিত ধানের জাত উল্লেখ থাকে। তবে মিলাররা এসব ধানকে সরু করে মিনিকেট বলে বিক্রি করেন। জাত উল্লেখ করে বিক্রি করলে মিলারদের মিনিকেটের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা এমনটা করছেন।

এছাড়া অদৃশ্য কারণেই কুষ্টিয়ার চালকল মালিকরা প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দিনের পর দিন মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করে আসছেন। এর মধ্যে জাত না চেনার এ চিঠি তথ্য গোপন করে মিনিকেট বাজারজাত ও সরকারি নির্দেশনা অমান্যের জন্য কালক্ষেপণ মাত্র- এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।