গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের সংবাদ সম্মেলন

গাংনীর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, হয়রানী ও মানহানিমুলক কথা বলার প্রতিবাদ এবং জন্ম সাল নিয়ে যে বিভ্রান্তিমুলক অপপ্রচার চলছে তারই প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ মো: খোরশেদ আলী।

আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় গাংনী মহিলা কলেেেজর সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন অধ্যক্ষ মো: খোরশেদ আলী। তিনি বলেন,আমি গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধক্ষ্য। ১৯৯৫ সাল থেকে এযাবত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। সমপ্রতি দেশে একটি বৈপ্লবিক ঘটনা ঘটেছে।এই সুযোগে হঠাৎ করে অত্র কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজেদুল ইসলাম বুলু কলেজে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃস্টি করার জন্য আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যাচার বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেছে। সাজেদুল ইসলাম বুলু যে বিষয়ে পড়ান দীর্ঘ ২২ বছর সেই বিষয়ে কোন ছাত্রী ভর্তি না করায় তাকে ক্লাশে উপস্থিত থাকতে হয়না। তিনি কলেজে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়ান এবং মাস শেষে কলেজের বেতন ভোগ করেন। এর প্রতিবাদ করায়, সে একাধিকবার আমাকে অপদস্থ করেছে। সে শিক্ষার্থীদের সামনে দুইজন শিক্ষক কে মেরে আহত করে।

এছাড়া অর্থনীতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক বেদারুল আলম এমন পরিস্থিতিতে কলেজে এসে নিজেকে কলেজের অধ্যক্ষ ঘোষনা দিয়েছেন এবং শিক্ষকদের হাজিরা খাতা বগলে করে নিয়ে বেড়াচ্ছে। বলে বেড়াচ্ছেন কলেজ আমার কথায় চলবে এবং অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে কলেজ অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী আরও বলেন,তাদের অভিযোগ আমার জন্ম তারিখ সংক্রান্ত। আমি মহা: খোরশেদ আলী ও আমার ছোটভাই মুরাদ হোসেন ক্লাশ ওয়ান থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত এক সাথে লেখাপড়া করি। এলাকার সকলে মনে করতো আমরা দুজন জমজভাই। আমার যিনি বড়ভাই মো : মুজাহিদ হাসান সে আমার চেয়ে দুই বছরের বড়।তার এসএসসি ১৯৭৮ সালে।আমার আর মুরাদের এসএসসি ১৯৮০ সালে। মুজাহিদের জন্ম তারিখ সার্টিফিকেট অনুযায়ী করা হয়েছে ১/১/১৯৬৪ সাল। আর আমার জন্ম তারিক এসএসসি সার্টিফিকেট এ করা হয়েছে ৩১/১২/১৯৬৩ সাল। অর্থাৎ বড় ভাইয়ের চেয়ে আমাকে এক বছরের বড় বানিয়ে দেয়া হয়েছে। বাবা মায়ের দায়িত্বহীনতার কারনে বয়সের বিড়ম্বনা ছাড়া আর কিছুই না। পরে কলেজ প্রতিষ্ঠার অনেক আগে আমরা বয়স সংশোধন করা হয়েছে। পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে বিধি মোতাবেক বড় ভাইয়ের এক বছরের ছোট করে আমার জন্ম তারিখ করা হয় ৩১/১২/১৯৬৫ সাল। সাজেদুল ইসলাম বুলু ও বেদারুল ইসলাম গত ২৪ সেপ্টেম্বর গাংনী উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে। আমি এসবের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দে জানাই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো টাকার লেনদেন হয়নি। এবং বিগত দিনেও কলেজে নিয়োগ বাণিজ্য করা হয়নি। আমি অর্থ ও পাচুর্য্য বিলাশী নই। আমি আজও একটি ভাল বাড়ি বানাতে পারিনি। আজও ভাড়া বাড়িতে বসবাস করি।

সংবাদ সম্মলনে কলেজের সহকারি অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ রবি,মো: রমজান আলী,ও গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে সিরাতুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে নাতে রাসুল সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে সিরাতুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে নাতে রাসুল সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উদযাপন উপলক্ষে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শহীদ শামসুলজোহা পার্কে ইসলামিক গান, কবিতা, গজল পরিবেশন করা হয়।

কানন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ মেহেরপুর ও উপদেষ্টা এবং সাহিত্য সাংস্কৃতিক বিভাগের পরিচালক মোঃ আব্দুল জাব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কবিতা, সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর, কবি ও গবেষক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ।

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক, সমাজসেবক ও কানন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ মেহেরপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা তাজউদ্দীন খান।

এসময় শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায়, কাজী নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল, মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোহাঃ মোসলেম আলীকে ক্ষীকৃতি স্মারক দেওয়া হয়। একইভাবে একে এম সাইফুল্লাহকে দ্বীন ইসলাম প্রচারে বিশেষ অবদান রাখায় মরনোত্তর পদক এবং সোহেল রানা ডলারকে সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় স্মারক প্রদান করা হয়।

এসময় দর্শকদের মন জয় করে গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী সুরসম্রাট মশিউর রহমান,জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সাড়া জাগানো শিশু শিল্পীজাহিন ইকবাল, মুজাহিদুল ইসলাম,গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী মাহফুজ মামুন ইসলামিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।




জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা

আমাদের তরুণরা যে প্রজ্ঞা, সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়েছে তা আমাদের অভিভূত করেছে বলে মন্তব্য করেন অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র ও যুব সমাজের আন্দোলন প্রথমদিকে মূলত ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। পর্যায়ক্রমে তা গণআন্দোলনে রূপ নেয়। এরপর সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখেছে কীভাবে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ একনায়কতন্ত্র, নিপীড়ন, বৈষম্য, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথ এবং সামাজিক-যোগাযোগ মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল।

ছাত্রজনতা তাদের অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, তাদের এই সম্মিলিত সংকল্পের মধ্যেই আমাদের দেশের ভবিষ্যত নিহিত, যা এ দেশটিকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মাঝে একটি দায়িত্বশীল জাতির মর্যাদায় উন্নীত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

এই গণআন্দোলন রাজনৈতিক অধিকার ও উন্নয়নের সুবিধা বঞ্চিত বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশীদারিত্ব চেয়েছিল। আমাদের জনগণ একটি ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, যার জন্য আমাদের নতুন প্রজন্ম জীবন উৎসর্গ করেছিল।

সূত্র: ইত্তেফাক




জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়নে রাস্তা সংস্কার করলেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা

চুয়াডাঙ্গায় জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন জামায়েত ইসলামের উদ্যোগে এক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে।ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ১ কিলোমিটার রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে তিন গ্রামের প্রায় ৬ হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হতো।

আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় সীমান্ত ইউনিয়ন জামায়েত ইসলামের উদ্যোগে জামায়াতের নেতাকর্মীরা গ্রামবাসীর সহযোগিতায় রাস্তাটির সংস্কার করেন। জামায়াত ইসলামের নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা যায়,সীমান্ত ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের গোয়ালাপাড়া প্রাইমারি স্কুলের পাশ হতে এক কিলোমিটার রাস্তা বছরের পর বছর সংস্কারের অভাবে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

যার কারণে তিন গ্রামের মানুষসহ দুইটা প্রাইমারি স্কুল, তিনটা মাদ্রাসা, একটি বিনোদন কেন্দ্রে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হাওয়াই প্রায় ৬ হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।বিষয়টি জামায়াত ইসলামের নেতাকর্মীদের নজরে এলে তাঁরা বারবার কর্তৃপক্ষকে বলার পরেও রাস্তাটি সংস্কার হয় না। ফলে সবাই মিলে ইট-বালু দিয়ে রাস্তা সংস্কার করে, মানুষের জন্য চলাচলের উপযোগী করে তোলেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, সীমান্ত ইউনিয়ন আমির মাওলানা মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, সেক্রেটারী আলা উদ্দীন, সহসেক্রেটারী মোঃ জালাল উদ্দীন, সহসেক্রেটারী মোঃ জহুর আলম, আরো উপস্তিত ছিলেন সীমান্ত ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।




জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশ

জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের ২নং ওয়াড বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকাল ৩টার সময় সীমান্ত ইউনিয়নের ২নং ওয়াড বিএনপির আয়োজনে গোয়ালপাড়া সিরাজ মিয়ার বাড়ির সামনে এ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশ সংস্থানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ৪ নাম্বার সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক বদর উদ্দিন বাদল, সহ-সভাপতি বিপ্লব রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান টিটু, ২নং ওয়াড বিএনপির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শহীদ মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মোল্লা, সীমান্ত ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শামীম রেজা প্রমুখ।




ঝিনাইদহে ৪৬ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুপুর চারমাইল এলাকা থেকে ৪৬ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৬।

আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঝিনাইদহ শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর সামনে দর্শনা টু ঢাকা মহাসড়কে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনা কালে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৪৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ মোঃ মিরাজ (২২) নামে এক মাদক ব্যবসায় কে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার সুলতান পুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। আসামীর নিকট থেকে ৪৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর নাঈম আহমেদ।

এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেপ্তারকৃত আসামীর হেফাজত হতে অবৈধ ৪৬ বোতল ফেন্সিডিল ছাড়াও ২টি মোবাইল ফোন ও নগদ- ৫২২/-টাকা উদ্ধার করে আসামীকে ঝিনাইদহ সদর থানায় হস্তান্তর করে আসামীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।




আল্লাহকে কটাক্ষের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

আল্লাহকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে মেহেরপুরের জিয়া নামের এক কথিত সাংবাদিকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বাদ জুম্মা গাংনী উপজেলার করমদী পাগলার ব্রীজ এলাকায় এই মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন ‘উলামায়ে কেরাম ও সর্বস্তরের তৌহিদি জনতা’ ব্যানারে।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন-মাওলানা হারুন অর রশিদ. মাওলানা আমানুল্লাহ, মাওলানা সিয়াম মনোয়ার, মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাদশা, মাওলানা কবির হুসাইন, মাওলানা কায় খসরু, স্থানায় গণ্যমান্য ব্যক্তি জুলফিকার আলী, আব্দুর রহিম, ফরহাদ হুসাইনসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিববৃন্দ, হাফেজবৃন্দ ও তৌহিদি জনতা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পাগলার ব্রীজ এলাকা থেকে শুরু হয়ে জিয়ার গ্রামের বাড়ি পলাশীপাড়া পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। এসময় নাস্তিক জিয়াকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানান।

এ সময় বক্তারা বলেন, আল্লাহ ও নবীকে নিয়ে যারা কটুক্তি করে সেই সব নাস্তিকদের ফাঁসি দিতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ যেন আসমান জমিনের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ. তার প্রেরিত রাসুল হজরত মোহাম্মদ (স:)কে নিয়ে এমন মন্তব্য করার সাহষ না পায়।

বক্তারা আরও বলেন, কথিত সাংবাদিক জিয়া এলাকার মানুষকে সাংবাদিকতার ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানিসহ ব্লাকমেইল করে বহু মানুষকে হয়রানি নির্যাতন করেছে। সে নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে এলাকার মানুষের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে বাল্য বিয়ে আখ্যা দিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতো। এছাড়া এলাকার মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতো বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

অভিযুক্ত জিয়া গাংনী উপজেলার পলাশীপাড়া গ্রামের দবের উদ্দীনের ছেলে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর তারিখে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক সজীব উদ্দীন স্বাধীন তার নিজ নামে ডা. স্বাধীন ফেসবুকে একটি পোষ্ট দিয়েছিলেন। সেখানে লেখা ছিল “পূর্ণাঙ্গ আত্মসমর্পণ মহান সৃষ্টি কর্তার কাছে, আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন”। এখানে নামধারী সাংবাদিক জিয়া কমেন্ট করেন “আজ পর্যন্ত আল্লাহ কাকে রক্ষা করেছে ? কাউকেই রক্ষা করতে পারেনি”। কমেন্টটি এলাকার অনেকেই স্কীন সর্ট দিয়ে ছড়িয়ে দেন। এরপরপরই ফুঁসে ওঠে তৌহিদি জনতা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

গত ১৩ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনায় মহান আল্লাহকে নিয়ে কটাক্ষ করার অপরাধে গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক সাংবাদিক আসাদুল্লাহ বাদি হয়ে জিয়ার নামে গাংনী থানায় একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন। যার নং ৬২৬ তারিখ ১৬/০৯/২৪ ইং।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম জানান, এঘটনায় সাংবাদিক আসাদুল্লাহ একটি সাধারণ ডাইরি করেছেন। সাধারণ ডাইরিটি আদালতে প্রসিকিউশন দেওয়া হয়েছে। আদালত জিডিটি গ্রহণ করে জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

মামলার বাদি সাংবাদিক আসাদুল্লাহ বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে ওই নাস্তিক জিয়া। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আদালত যে বিচার করবে আমি সেটা মেনে নেবো। তবে, আমি আদালতের কাছে তার সব্বোর্চ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।




আমরা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চাইনা, আমরা যৌক্তিক সংস্কার চাই: শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চাইনা, আমরা যৌক্তিক সংস্কার চাই। তিনি বলেন, আমরা চাই ছাত্ররাজনীতির সংস্কার গবেষণা, এবং তা বাস্তবায়িত হোক। এ লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

আজ শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগর শিক্ষা পল্লী পার্কের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইবি অঞ্চলের সাথী সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্নমতের প্রতি থাকবে সম্মান কিন্তু কেউ যেন স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে, সে ব্যাপারে রাখতে হবে সজাগ ও পূর্ণ দৃষ্টি। এই রাজনৈতিক সংস্কারে অবশ্যই চব্বিশের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে, তা না হলে ভেস্তে যাবে আমাদের এই স্বাধীনতা।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রশিবিরের প্রতিটি কর্মীকে পড়াশোনার পাশাপাশি সুন্দর রাষ্ট গঠনে নিজ নিজ স্থান থেকে কাজ করার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী ভাইদেরকে দিনে সাংগঠনিক কাজ করার পাশাপাশি গভীর রাতে জায়নামাজে বসে চোখের পানি ফেলে আল্লাহর সাহায্য চাইতেও আহবান জানান।

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আরও বলেন,”বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে আমাদের জোড়ালো আবেদন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রণিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে খুব দ্রুত নতুন আলোকে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে।

কুষ্টিয়ার শহর শিবিরের সভাপতি হাফেজ সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় জামায়াতের সূরা সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবুল হাশেম এবং ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক মোঃ সুহাইল।

সেসময় কুষ্টিয়া জেলা শিবিরের সভাপতি ইমরান হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা, মেহেপুর জেলা, ঝিনাইদহ জেলা ও শহর শাখার সভাপতিসহ শিবিরের প্রায় দেড় হাজার সাথী উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে র‌্যাবের অভিযানে ৩৬ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

মেহেরপুর সীমান্তে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ৩৬ কেজি গাঁজাসহ রাহিব ওরফে রাকিব (৩৫) কে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্প।

র‌্যাব-১২ এর গাংনী ক্যাম্পের কমান্ডার সহকারি পুলিশ সুপার মো: এনামুল হকের নেতৃত্বে একটি টিম গতকাল  ২৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার সময় গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তি লক্ষি নারায়নপুর ধলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ রাকিবকে আটক করেন।

আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার সময় গাংনীস্থ র‌্যাব ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ ব্রীফ করে এই তথ্য জানান র‌্যাব কমান্ডার মো: এনামুল হক।

আটক রাকিব গাংনী উপজেলার লক্ষিনারায়নপুর ধলা গ্রামের মো: আক্তারুল ইসলামের ছেলে।

র‌্যাব ১২ এর মেহেরপুর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-৩ এর গাংনী ক্যাম্পের কমান্ডার সহকারি পুলিশ সুপার মো: এনামুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি টিম রাকিবের বাড়িটি ঘীরে ফেলে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তার বাড়ির বিভিন্ন রুমে, উঠানে ও অন্যান্য স্থান থেকে ২৬ টি প্যাকেটে মোড়ানো গাঁজার পুটলা উদ্ধার করা হয়। এসময় তার ঘর থেকে দেশীয় তৈরী দুটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজার মূল্য ধরা হয়েছে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

র‌্যাব কমান্ডার জানান, আমাদের কাছে খবর এসেছিল ভারতীয় সীমান্তের তারকাটা পার হয়ে গাঁজার একটি বিরাট চালান বাংলাদেশ সীমান্তের লক্ষিনারায়পুর ধলা গ্রামের রাকিবের বাড়িতে মজুত করা হয়েছে। সেখান থেকে এই চালানটি তাদের বহনকারীদের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হবে।

তিনি বলেন, গাঁজার এই বড় চালানটির সাথে অনেক রাঘব বোয়াল জড়িত আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নাম পাওয়া গেছে। যা এখনি বলা যাবেনা। এই চালানের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাবের টিম কাজ শুরু করেছেন।

গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আসামি রাকিবকে গাংনী থানা পুলিশে হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে।

উল্লেখ্য গাংনীতে র‌্যাব ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ছোট খাটো গাঁজা উদ্ধারের ঘটনা থাকলেও এটা গাঁজা উদ্ধারের সর্বোচ্চ ঘটনা।




দূর্ণীতির উর্দ্ধে থেকে সরকারি দফতরের কার্যক্রম সততা ও নিষ্ঠার সাথে করা হবে–ডিসি

মেহেরপুর নবাগত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মেহনাজ বলেছেন, দূর্ণীতির উর্দ্ধে থেকে সরকারি দফতর সমূহে সকল কার্যক্রম সততা ও নিষ্ঠার সাথে করা হবে। স্বচ্ছভাবে নেওয়া হবে সকল উন্নয়ন প্রকল্প। এলাকার দুস্কৃতিকারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা। গাংনীতে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকতার্ ও সুধীবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গাংনী উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টার সময় নবাগত জেলা প্রশাসকের আগমন উপলক্ষ্যে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে গাংনী উপজেলা প্রশাসন।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা নিবার্হী অফিসার প্রীতম সাহা। এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুপ্রভা রানী, উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম সোনাসহ শিক্ষানবিশ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ প্রমুখ।

গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মু. আলম হুসাইন, সিএফএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল হেলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাউদ্দীন শাওন, খৃষ্টান সম্প্রদায়ের নেতা রেভারেন্ট বেনজামিন মন্ডল, গাংনী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, মেহেরপুর প্রতিদিনের বার্তা সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন, গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমএন পাভেল, গাংনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিসি সিফাত মেহনাজ আরও বলেন. এলাকায় মাদক ও ইভটিজিং এর ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগে সব সময় সোচ্ছার। এলাকায় ইভটিজিং ও মাদকের কোনো ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ জানান তিনি।

সেবা প্রার্থীদের সরাসরি তার কাছে যাওয়ার জন্য আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, জেলার উন্নয়নসহ অন্যান্য বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও সাধারণ মানুষের মাঝে তৃতীয় কোনো পক্ষের কাজ করার সুযোগ থাকবেনা। সেবা প্রত্যাশীদের কোনো কোনো ধরনের সেবা আমি আইনগত ভাবে দিতে না পারলে তাদের বুঝিয়ে বলছি।

কাজলা ও সেউটি নদী খনন ও দখলমুক্ত করা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মতামত সমন্ধে জেলা প্রশাসক বলেন, নদী দুটি খননের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

এককভাবে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সম্ভব নয় বলে মত তুলে ধরে তিনি বলেন, শিক্ষা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে শিক্ষার সাথে জড়িত। আমরা কেউ শিক্ষক, অভিভাবক নইতো ছাত্র। শিক্ষার মান উন্নয়নে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে। ছাত্রকে বুঝতে হবে শিক্ষার গুরুত্ব-শিক্ষককে বুঝতে হবে তার পেশার দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং অভিভাবকদের বুঝতে হবে সন্তানের সুশিক্ষার দরকার আছে। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের সমন্বয়ে শিক্ষার মান গড়ে তুলতে হবে।

ডিসি বলেন, জেলার সাধারণ মানুষের চিকিৎসার মান বৃদ্ধিতে ইতোমধ্যে সিভিল সার্জন ও মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়কের সাথে কথা হয়েছে। মেহেরপুরের এই হাসপাতালটি ১০০ শয্যা থেকে আড়াই’শ শয্যায় উন্নতি করা হয়েছে। এখানে জনবলসহ বিভিন্ন সংকটের কারণে স্বাস্থ্য সেবা পূর্ণাঙ্গভাবে দিতে না পারলেও যে সামর্থ্য রয়েছে সেটা দিয়েই সেবার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাকিগুলো সমাধানের জন্য স্বাস্থ্যে কর্মকর্তারা উপর মহলের সাথে যোগাযোগ করছেন। অচিরেই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে কিছু সমাধান হয়ে যাবে।

বিগত দিনগুলোতে জেলার উন্নয়নে সুসম বন্টন হয়নি এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ডিসি বলেন, জেলায় বরাদ্দকৃত অর্থ এখন থেকে জনসংখ্যা এবং আয়তনের ভিত্তিতে দেওয়া হবে।

মাদক নিয়ন্ত্রণে ছাত্রদের ভূমিকা নেওয়ার আহবান জানিয়ে ডিসি সিফাত মেহনাজ বলেন, সীমান্তবর্তি এই জেলায় মাদক নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে। এছাড়া মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মেহেরপুর একটি কৃষি সমৃদ্ধ জেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজেলার মাটিকে রক্ষা করতে হবে। ইটভাটার জন্য টপসয়েল কেটে নিলে মাটির বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই মাটির টপসয়েল রক্ষা করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এতে সবার সহযোগীতা চান তিনি।

জেলায় দিন দিন জমি সংক্রান্ত বিরোধ বাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ মেটাতে গ্রাম আদালত জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে। তাই গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষকে নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ওয়াইফাই কর্ণার সামাজিক ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তুলতে হবে। এলাকার লাইব্রেরীগুলোর বর্তমান অবস্থান জানার জন্য স্থানীয় ছাত্র সমন্বয়কদের ভূমিকা নিতে হবে। লাইব্রেরীগুলোকে সচল করে এই প্রজন্মের মানুষকে নতুন করে জ্ঞানমুখী ও বইমুখী করে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আবহানকাল থেকে এদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৈদ্ধ খ্রষ্টান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছেন। বিভিন্ন কঠিন সময়ে সেই উদাহরণ বাংলাদেশে আছে। আমরা পারস্পারিক সম্প্রীতির সাথে বসবাস করি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই ধারা যেভাবে অব্যাহত আছে সেটা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের স্বারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের এই উৎসব জেলার প্রতিটিস্থানে সুন্দর ও সুশৃংখলভাবে উৎযাপিত হওয়ার জন্য সকল ধর্মের লোকজনকে সহযোগীতা করার অনুরোধ জানান।

ডিসি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীরা অনেক দুর থেকে এসে কাজ করেন। তারা এলাকাকে সর্ব্বোচ্চটা দিয়েই সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাই স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগীতা করার জন্য স্থানীয়দের আহবান জানান। প্রশাসন ও স্থানীয়রা এক সাথে কাজ করলে জেলার সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্তি হবে।

এর আগে নবাগত জেলা প্রশাসক মতবিনিময় সভায় আগমন করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, সাংবাদিক, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, এনজিও কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।