মেহেরপুরে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালন

মহান মে দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বুধবার (১ মে) সকালে এ বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালীটি মেহেরপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আহসান হাবিব সোনা। র‌্যালীশেষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সবুজ প্রমূখ।

র‌্যালী ও আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি
মোঃ নজরুল ইসলাম (নজু), সহ-সভাপতি মোঃ মাহাবুব হোসেন,মোঃ এরশাদ আলী,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রমেজ উদ্দীন,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বকুল হোসেন,শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল হক,কোষাধ্যক্ষ মোঃ মিন্টু,প্রচার সম্পাদক মোঃ সেন্টু শেখ,লাইন সম্পাদক মোঃ মুন্না,কার্যকরী সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম,মোঃ বাচ্চু মিয়া,মোঃ আনারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




ডিপিএলে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

আবাহনীর সামনে সমীকরণটা ছিল সহজ। জয় পেলেই ডিপিএলের ২৩তম আর লিস্ট ‘এ’ স্বীকৃতির পরে পঞ্চম শিরোপা উঠবে হাতে, প্রতিপক্ষ শেখ জামাল। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য আবাহনী হারায় সেরা ১০ ক্রিকেটারকে। আর শেখ জামাল দলকে শক্তিশালী করতে বিদেশের মাটি থেকে উড়িয়ে আনে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে।

গতকাল সাভারের বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে একাদশ সাজাতেই যেন যুদ্ধ করতে হয় খালেদ মাহমুদ সুজনের আবাহনীকে। শেষ মুহূর্তে জাতীয় দল থেকে ফেরত পাওয়া তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম ও আফিফ হোসেন ধ্রুবকে পেয়ে যেন কিছুটা স্বস্তিই পান কোচ সুজন। আর তাতেই করেন বাজিমাত। বলা চলে আবাহনীর ‘দ্বিতীয় দল’ মাঠে নামিয়েও সফল হলেন তিনি। সাকিবদের শেখ জামালকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ২ ম্যাচ হাতে রেখেই এবারের ডিপিএল শিরোপা নিশ্চিত করেছে আবাহনী।

এই জয়ের পরে অনেকে বলছেন, আবাহনীর জার্সিতে যদি কোনো নতুন খেলোয়াড়কেও মাঠে নামানো হয়, তাহলে তারাও জয় তুলে নিতে পারবে। ক্লাবটির জার্সির ক্ষমতাই নাকি এমন! তবে সেটি যাই হোক, গতকাল দলটি যেভাবে জয় তুলে নিয়েছে সেটি কেবল জার্সির ক্ষমতায় নয়, শক্তি দেখিয়ে নিজেদের প্রমাণ করেই আদায় করতে হয়েছে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নেতৃত্বে তীব্র গরম ভেদ করে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিতে আবাহনী শেষ ওভারের শেষ বলে যে জয় তুলে নিল, সেটি যেন ফাইনাল ম্যাচেরই রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে।

সকাল ৯টায় প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। এই ম্যাচে এত রান তোলার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন সাকিব-জিয়াউর রহমানরা। ১৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোর পরে শেখ জামালের হাল ধরেছিলেন সৈকত আলি ও সাকিব। দুজনের ৭২ রানের জুটিটে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে দলটি। ৪৪ রান করে সৈকত ও ৪৯ করে সাকিব ফিরলে আবারও থমকে যায় শেখ জামাল।

সে সময়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নেন নুরুল হাসান সোহান। দলীয় অধিনায়ক সোহান ৪১ রান করে আউট হলে শেষদিকে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন জিয়াউর। ৫৮ বলে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৩৭ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার করেন ৮৫ রান। তাতে রান গিয়ে দাঁড়ায় ২৬৭-তে। অথচ জিয়াউর ঝড়ের আগে মনে হয়েছিল, এই রান ২০০ পার করবে না।

২৬৮ রানের জবাবে আবাহনীর দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সাব্বির হোসেন ফেরেন ৬০ রানের মধ্যে। যেখানে সাব্বির মাত্র ৬ রান করেই বিদায় নেন। তবে এরপরে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বিজয় ও আফিফ। তাদের ১০৩ রানের জুটিটে আবাহনী হেঁটে চলে জয়ের দিকে। তবে বলে বলে রান দরকার পড়ায় কিছুটা চাপেও থাকে দলটি। চাপ থাকলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে রেখে এগিয়ে চলেন সুজনের শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক সৈকত। এই জয়ের পেছনে বিজয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৭ রান, আফিফের ৮৩, নাহিদুল ইসলামের ২৪। শেষ দিকে তানজিম সাকিব ও রাকিবুল হাসান দুটি বাউন্ডারি মেরে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান। বাকি কাজটুকু সারেন অধিনায়ক সৈকত।

ম্যাচশেষে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেছেন, ‘দারুণ, আসলে গর্বের মতো একটা বিষয়। আমি জানতাম ২৬০-২৭০ রান মোকাবিলা করা সহজ হবে। কিন্তু শেষের দিকে বল ঠিকমতো ব্যাটে আসছিল না, তাতে রান তোলা একটু কঠিন হয়ে যায়। তবে ব্যাটারদের যেভাবে ব্যাট করা দরকার ছিল, তারা সেভাবে এগিয়ে গেছে একদম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। শেষে রাকিবুল ও সাকিবের একটি করে বাউন্ডারি আমাদের দলের জন্য খুবই জরুরি ছিল। এগুলোর জন্যই আমরা ম্যাচ জিতি। আমরা মাত্র পাঁচ জন ব্যাটার নিয়ে খেলছিলাম। সুতরাং সকলেই জানতেন আমাদের দায়িত্ব কতটুকু। আমি এই জয়ের কৃতিত্ব তাদেরকে দিব। বিজয় ও আফিফকে ধন্যবাদ দেই। আমরা শেষ দুই ম্যাচ জয় দিয়েই শেষ করতে চাই।’ এ দিকে গাজী গ্রুপকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমদের প্রাইম ব্যাংক ও অপর ম্যাচে শাইনপুকুরের বিপক্ষে ৮ রানের জয় পেয়েছে মোহামেডান। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আবাহনীর ম্যাচই ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে মহান মে দিবস পালিত

“শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১ মে) সকাল ১০ টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমী থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালী বের করা হয়। র‍্যালীটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

র‍্যালীটির নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান। এসময় পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তানভীর হাসান রুমন, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মহান মে দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।




গাংনীতে ৮৫ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

মেহেরপুেরর গাংনী উপজেলার আলীনগর এমএমবি ইটভাটার পাশে অভিযান চালিয়ে ৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সাহেদ আলী (২৮) নামের এক মাদক ব্যবসায়েিক আটক করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে মেহেরপুর র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মো: মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল অভিযান পরিচালনা করেন।

আটক সাহেদ আলী আলিনগর গ্রামের সুলতান হকের ছেলে।

র‌্যাব কোম্পানী কমাণ্ডার এএসপি মনিরুজ্জামান জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সাহেদ আলী দির্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা করে আসছে বলে তাদের কাছে তথ্য আছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে গাংনী থানা সোপর্দ করা হয়েছে।




দর্শনা পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

পারকৃরষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে উন্মুক্ত বাজেট পেশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ইউনিয়ন হল রুমে বাজেট পেশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আঃ রহমান।

১ কোটি ২৫ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৩০ টকার বাজেট পেশ করেন হিসাব সহকারী সাজিবুল ইসলাম।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য আশিক ইকবাল চন্ঝল, খায়রুল বাশার, আবু সাঈদ, হযরত আলী, সাইফুল ইসলাম, রিজিয়া খাতুন, নিলুফা ইয়ামিন, নাসরিন সুলতানা পারুল প্রমুখ।




দর্শনার রামনগর প্রতিবন্ধী স্কুলে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্টিত

দর্শনা রামনগর প্রতিবন্ধী স্কুলে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তি ও প্রতিবন্ধীকতার ঝুকিতে থাকা ব্যাক্তিদের মোবাইল রিহ্যাবিলিটেশন এর মাধ্যেমে ভ্রাম্যমান চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পেইন ও ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে দর্শনা রামনগর প্রতিবন্ধী স্কুলে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ধোধন করা হয়।বিদ্যালয়ের সভাপতি আঃ কাদেরর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌর প্যানেল মেয়র রেজাউল ইসলাম,জমিদাতা মমিনুল ইসলাম, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডল, এম এ ফয়সাল, প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিরিনা আক্তার, সহকারী শিক্ষক শাহিনুর খাতুন,নাসরিন আক্তার, রনি খাতুন, ফ্রী চিকিৎসাদেন সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয় চুয়াডাঙ্গার ফিজিও ককনসালটেন্ট নৃর আলম আকাশ, থেরাপি সহকারী সৌমা সরকার, রাজিবুল ইসলাম।




তীব্র তাপ প্রবাহে অস্বস্তিতে গোটা কুষ্টিয়া

তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। পেটের দায়ে যারা কাজ করতে বের হচ্ছেন তারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। শিশুরাসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এ ছাড়া তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির প্রত্যাশায় প্রায় প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

বৈশাখ মাসের শুরুতেই সূর্যের উত্তাপ বেড়েছে। গরম সহ্য করতে না পেরে অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা পুকুর ও ক্যানাল পানিতে গোসল করার পরেও গরমে অস্থির হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে বিভিন্ন ধরনের শরবত পান করছেন। এই গরমে খেটে খাওয়া মানুষের সাথে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা।

গতকাল  মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় কুষ্টিয়ায় ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি এই মৌসুমে এই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড বলছে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস।

কুমারখালী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মামুন অর রশিদ বলেন, কুষ্টিয়ায় এ মৌসুমে আজকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, আগামি তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

এদিকে দিকে কুষ্টিয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৩৪ ফুট নিচে নেমে গেছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। স্থানীয়রা বলছেন, আরও কয়েকদিন এই তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন পুরোপুরিভাবে বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। কালবৈশাখীর মৌসুমেও প্রায় এক মাস বৃষ্টির দেখা নেই।

সদর উপজেলার জগতি এলাকার কৃষক নুর ইসলাম বলেন, ১২বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান ও ভুট্টা লাগিয়েছি। জমি চাষাবাদ ও সেচে কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন আর টাকা দিলেও পানি যাওয়া যাচ্ছে না। তীব্র তাপদাহে ভুট্টার গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। ধানের শীষ আসা অবস্থায় গাছ নুয়ে পড়ছে। কিছু গাছে শীষ বের হলে সব চিটা হয়ে যাচ্ছে। ফসল ঘরে তুলতে না পারলে নিঃস্ব হয়ে যাব বলেও তিনি জানান।

একদিকে জিকে ক্যানালে পানি নেই, অন্যদিকে পানির স্তর ক্রমশ নিচে নামছে। স্যালোতে উঠছেনা প্রয়োজনীয় পানি। মাঠের মধ্যে অকেজো হয়ে পড়ে আছে অধিকাংশ পাম্প। দীর্ঘদিন নষ্ট হয়ে বন্ধ রয়েছে জিকে প্রকল্পের তিনটি পাম্পই। একারণে শুকিয়ে খাঁ খাঁ করছে জিকে ক্যানেল।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী এলাকার কৃষক ইজাবুল হক বলেন, জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করছি। দুই বিঘা জমিতে সবজি ও কলা গাছ রয়েছে। জমির পাশে জিকে ক্যানাল থাকলেও পানি নেই। জমির সঙ্গে বোরিং বসিয়েও কাজ হচ্ছেনা। পানির অভাবে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর কয়েক দিন গেলে সব শুকিয়ে যাবে।

জেলা বিভিন্ন উপজেলায় সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় বেশিরভাগ গভীর ও অগভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পে পানি উঠছে না। অতি তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। পানির অভাবে মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। তাপ প্রবাহের মধ্যে পেটের দায়ে যারা কাজ করতে বের হচ্ছেন, তারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। শিশুরাসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা থেকে প্রায় চার থেকে পাঁচ গুণ রুগীর চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। সেখানে বর্তমানে হাসপাতলে রোগীর চাপে তিল পরিমান জাগা অবশিষ্ট নেই।

এদিকে অতিরিক্ত গরমের কারণে ডাবের চাহিদাও বেশ অনেক বেশি। ওরস্যালেন বিক্রির চাপ বেড়েছে অনেক বেশি। চলমান তাপপ্রবাহে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালক ও কৃষকরা। তীব্র রোদে মাঠে টিকতে পারছে না কৃষক ও দিনমজুর। রাস্তায় ভাড়া মারতে পারছে না রিকশা-ভ্যানচালকরা। প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে বোরো ধান ও সবজি ক্ষেতে। এতে হাঁপিয়ে উঠছে কৃষকরা। এছাড়াও ঠিক মতন কাজ করতে পারছে না বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি রফিকুজ্জামান বলেন, পানি সংকটের কারণে বোরো আবাদ ব্যাহত হয়েছে। আউশ উৎপাদনেও প্রভাব পড়বে। পানি সংকটের কারণে উৎপাদনে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। বৃষ্টি হলেই সংকট কেটে যাবে।




দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩ টার সময় হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে পরিষদের সভাকক্ষে এই উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করেন হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে উন্মুক্ত বাজেটে সম্ভাব্য আই ও ব্যয় এর খসড়া অনুযায়ী ২৪-২৫ইং অর্থ বছরে ১কোটি ৮৬ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯শত ৩১ টাকার চুড়ান্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়।

হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম, আ: হান্নান পটু, শাহজামাল, রিকাত আলী, জাহাঙ্গীর আলম টিক্কা, আব্দুল্লাহ সেলিম, সাবিনা ইয়াসমিন, রওশনারা খাতুনসহ ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নাঈম উদ্দিন।




মেহেরপুরের আমঝুপিতে সরকারি রাস্তা দখলের অভিযোগ

মেহেরপুরের আমঝুপিতে অবৈধভাবে সরকারি রাস্তা দখল করে খুঁটি পুঁতে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের মোস্তাক মেম্বারের বাড়ির কাছ থেকে গন্ধরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তাটির শেষ মাথায় জুল্লুর রহমান, হাফিজুর রহমান কটা, মজিবুর রহমান কান্দু তিন ভাই মিলে রাস্তায় অবৈধভাবে খুঁটি গেরে অর্ধেক রাস্তা দখল করে রেখেছে। এলাকাবাসী বারবার খুঁটে তুলে নেওয়ার কথা বললেও জোরপূর্বক খুঁটিটি না তুলে জনসাধারণের চলার পথটি বাঁধাগ্রস্ত করে রেখেছে। এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে ফয়সালা করার ব্যবস্থা করলেও তারা মানতে নারাজ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, স্কুলের ছাত্র ছাত্রী, মাদ্রাসা ছাত্র ছাত্রী, মসজিদের মুসল্লী এবং এলাকাবাসীকে প্রতিনিয়ত চলাচলে বাধাগ্রস্ত হতে হচ্ছে পথটি খুঁটি দিয়ে দখলে নেওয়ার জন্য। রাস্তাটি দ্রুত খুঁটি মুক্ত করতে পারলে সকলেই স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারবে।

এবিষয়ে অভিযুক্তদের ফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তারা ফোনটি রিসিভ করেননি।

এদিকে দ্রুত সমস্যাটি সমাধান করে রাস্তাটিকে খুঁটি মুক্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকট দাবি জানিয়েছেন এলাকার জনসাধারন।




গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার

মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
এরা হলেন, মেহেরপুর জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন ও গাংনী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
জানা গেছে, গাংনী উপজলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলেন।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ৩ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, গাংনী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক লায়লা আরজুমান বানু শিলা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড: রাশিদুল হক জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এ কে এম শফিকুল আলম, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও মহিবুল ইসলাম মুকুল।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে দেলোয়ার হোসন মিঠু, ফারুক হাসান ও রেজাউল করিম। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, জাকিয়া আক্তার ও নাছিমা খাতুন প্রতিদ্বন্দ্বীতা।

দ্বিতীয় দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের অংশ হিসেবে আগামি ২১ মে গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।