পডকাস্ট অ্যাপ বন্ধের কারণ জানাল গুগল

সম্প্রতি গুগল পডকাস্ট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউটিউব মিউজিকে গুরুত্ব বেশি দিতে গিয়ে গুগল তাদের এই বিশেষায়িত অ্যাপটির বিলুপ্তি ঘটিয়েছে। এমনটি গুগল যে প্রথম করলো তা কিন্তু নয়।

গুগলের সমাধিসৌধে অতীতে আরও অনেক ভালো কিছু অ্যাপ হারিয়ে গেছে। এমন হয়েছে তারা একটি চমৎকার অ্যাপ উপস্থাপন করেছে। এই চমৎকার অ্যাপটিকে তারা কয়েকটি ভালো আপডেট দিয়েই আবার বন্ধ করে দিয়েছে। গুগল ইনবক্স, ওয়ালেট, আলো ও ডুওর মতো এমন অনেক অ্যাপই খুঁজে পাওয়া যাবে। কারণটিও স্পষ্ট। যখনই গুগলের কোনো বিশেষায়িত প্রতিদ্বন্দ্বী চলে আসে তখন তারা ওই প্রতিদ্বন্দ্বীর দিকেই মনোযোগ দিতে গিয়ে তাদের পূর্বতন কোনো অ্যাপকে নষ্ট করে ফেলে।

গুগল অবশ্য জানিয়েছে তারা মার্কেটের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গুগল পডকাস্টের তুলনায় ইউটিউবে যেহেতু পডকাস্ট খুঁজে পাওয়া সহজ তাই তারা এমন সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি এডিসন রিসার্চের একটি পরিসংখ্যানও তারা উপস্থাপন করেছে। গুগল জানিয়েছে, ইউটিউবকে অন্তত ২৩ শতাংশ মানুষ পডকাস্ট শোনার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। আক্ষেপের বিষয় হলো, পডকাস্ট নিয়ে গুগল ভালো কিছু কাজ করতে পারতো। অনেক টেক বিশেষজ্ঞরও একই মতামত। গুগল এক্ষেত্রে অনেক কিছুই করতে পারতো। তবে আপাতত তথ্য হলো, গুগল পডকাস্ট আর থাকছে না।

সূত্র: দ্য ভার্জ




দুর্নীতির আখড়া আমঝুপি ভূমি অফিস

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার (তহশিলদার) বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, নিজের ইচ্ছামত পরিচালনা, সেবাগ্রহিতাদের সাথে খারাপ আচরণ, হয়রানিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

জমি খারিজ, খাজনা, হোল্ডিং খোলা, অনলাইন আবেদন অনুমোদনসহ এমন কোন কাজ নেই যেখানে তিনি ঘুষ নেন না। আর এ কাজে তাকে সহযোগীতা করেন তার ভাগ্নে মাহফুজসহ দুই বহিরাগত ও প্রায় ডজনখানেক দালাল।

অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ দলিল খারিজ করতে দালালরা জমা দিলে স্বাক্ষর করতে কেস প্রতি নেন ২০০ টাকা, সরাসরি কেউ জমা দিলে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা নেন, হোল্ডিং খুলতে নেন ২০০ টাকা, ২০০৫ সালে পূর্বে খারিজবিহীন রেজিস্ট্রি দলিল (মিস কেস) খারিজ করতে কেস প্রতি নেন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, একই দলিল কোন দালালের মাধ্যমে জমা হলে স্বাক্ষর করতে নেন ৫ হাজার টাকা, খাজনা দিতে গিলে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন তহশিলদার ইউসুফ আলী।

অফিস পরিচালনা হচ্ছে দুই বহিরাগত ও এক ডজন দালালে। দালাল ও বহিরাগতদের দিয়ে ভূমি অফিসের মূল্যবান দলিল ও রেজিস্টারের কাজও করানো হচ্ছে। সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ইউসুফ আলী এদের মাস্টারলোলের নামে অলিখিত নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া ওই ভূমি অফিসে দালাল হিসেবে কাজ করেন বলে অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, তারা হলেন- আমঝুপির উল্লাস, মদনা গ্রামের সাহাদ আলী ও জালাল, শ্যামপুরের লোকমান ও শামিম, হিজুলির কালাম ও উজ্জল, চাঁদবিলের ইমন ও আলেক, গোপালপুরের খায়রুল, কোলার লুতফর।

অসিরে স্টাফ হিসেবে বহিরাগত দুজনকে নিয়োগ দিয়েছেন তহশিলদার ইউসুফ আলী। এরা হলেন তহশিলদারের ভাগ্নে মাহফুজ আহমেদ এবং অপরজন ফয়সাল হোসেন। এদের মধ্যে মাহফুজ তহশিলদার অফিসে না থাকলে তহশিলদারের চেয়ারেও বসেন এবং নিজেকে তহশিলদার হিসেবে পরিচয়ও দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে আমঝুপি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়। পাশাপাশি দুটি চেয়ারে বসে আছেন তহশিলদার ইউসূফ আলী ও তার নিয়োগকৃত ফয়সাল হোসেন। ফয়সাল কম্পিউটারে কাজ করছিলেন। তার ভাগ্নে অসুস্থজনিত কারণে সেদিন অফিসে আসেননি। অন্য একটি কক্ষে ভূমি অফিসের রেজিস্টার খুলে বসে ছিলেন দালাল উল্লাস, পাশে একটি টেবিলে পা তুলে বসে ছিলেন আরেক দালাল আসিফ। তরিঘরি করে রেজিস্টার বন্ধ করে উল্লাস এবং টেবিল থেকে নেমে চেয়ারে বসেন আসিফ। উল্লাস বলেন, আমাদের জমির খাজনা দিতে এসেছি। পরে কাগজ মিলিয়ে দেখা হয় জমির কাগজ তাদের নয়।

আমঝুপি ভূমি অফিসের সামনে জেলা প্রশাসন থেকে সেবাগ্রহিতাদের বিশ্রামের জন্য একটি গোল ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হলেও খরচ বাবদ দালালদের নিকট থেকে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, তহশিলদার এর আগে গাংনী উপজেলার করমদি ও সাহারবাটি ভূমি অফিসে কর্মরত থাকা সময়ে সাধারণ মানুষের সাথে খারাপ আচরণের কারণে জনগণের রোষানলে পড়ে সেখান থেকে বদলি হন। পরে সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়ন ভূ’মি অফিসে বদলি হয়ে আসলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথেও বিভিন্ন অনিয়ম করায় ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। সেখানেও তার ভাগ্নে মাহফুজকে তিনি সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

আমঝুপি ইউনিয়নের খোকসা গ্রামের হাছিম উদ্দিন ও রঘুনাথপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, তারা দুজনেই মিস কেস বাবদ তহশিলদার ইউসুফ আলীকে ৫ হাজার করে টাকা দিয়েছেন।

রঘনাথপুর গ্রামের ৬০ বছর বয়সী আজাদ আলী কয়েকদিন আগে খাজনা দিতে গিয়েছিলেন আমঝুপি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। তিনি তার খাজনা নিতে বলাতে তহশিলদার তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে বলেন, বাইরে বস, কাজ হবে না যা। সেবা নিতে যাওয়া হোল্ডিং দাতাদের সাথে তুমি করে, কখনো আবার তুই করে কথা বলেন তহশিলদার।

আমঝুপি গ্রামের আবুল কাশেম নামের আরেক বয়বৃদ্ধ বলেন, খাজনা দেওয়ার জন্য কয়েকদিন ধরে ভূমি অফিসে ঘুরতে হচ্ছে। আমি যে জমি কিনেছি তার খাজনা এককভাবে নিচ্ছে না। ওই দাগের অন্য শরিকানাদের সমস্ত জমির খাজনা দিতে বলছে। আমি যাদের সাথে জমি কিনেছি তাদের সকল শরিকদের কোথায় পাব। এ দায়িত্ব আমি কিভাবে নেব? টাকা দিলে আবার তারাই সব কাজ করে দেয়। আমি টাকা দিচ্ছি না বলে খাজনা দেওয়া হচ্ছে না।

তহশিলদার ইউসুফ আলী ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এখন সকল কাজ অনলাইনে করা হয়। অনলাইনে যারা আবেদন করেন সেখানে আমার কোন হাত নেই। আমি অনুমোদন দিতে দেরি করলেও এসি ল্যাণ্ড স্যার সেটা চেয়ে নেন। অফিসে তিনজন স্টাফের মধ্যে একজন অসুস্থ জনিত ছুটিতে রয়েছেন। অফিস চালানোর জন্য মাহফুজ ও ফয়সাল নামে দুজনকে মৌখিকভাবে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আমার বেতন থেকে যতটুকু সম্ভব টাকা দিয়ে থাকি। দালালের বিষয়ে তিনি বলেন এই অফিসে কোন দালাল নেই।

এ ব্যপারে সদর উপজেলা ভূ’মি কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে দুজনের কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুঃ তানভির হাসান রুমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমঝুপি তহশিলাদার বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আমঝুপি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতায় প্রায় ২৫ হাজার হোল্ডিং দাতা রয়েছেন। তহশিলদার, কমিউটার অপারেটর ও অফিস পিয়ন রয়েছে অফিসটিতে। এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে কয়েক মাস ধরে ছুটিতে আছেন কম্পিউটার অপারেটর।




ঈদে আসছে আমিনুল সিকদারের ‘বাড়ি ফেরা’

লম্বা সময়ের বিরতির পর এই ঈদেই নতুন নির্মাণ নিয়ে ফিরছেন আমিনুল সিকদার। এবারের নাটক ‘বাড়ি ফেরা’। কাজটি নিয়ে নির্মাতা তো বটেই, তার ঘনিষ্ঠজনেরাও ভীষণ উচ্ছ্বসিত।

‘বাড়ি ফেরা’ গল্পে দেখা যাবে- বাবা-মায়ের সঙ্গে জুড়ে থাকা সন্তানদের ইমোশন নিয়ে বিভিন্ন ঘটনা। বাবা-মা এবং দুই ছেলে নিয়ে মধ্যবিত্ত একটি গ্রামীণ পরিবার। বাবা -মা সবসময়ই সন্তানদের ভবিষৎ নিয়ে চিন্তিত থাকে যে তারা কিভাবে একটা সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন জীবন কাটাবে। প্রতিনিয়ত সন্তানদের ভালোর জন্যই যত লড়াই যত রাগ অভিমান। সন্তানদের দূরে থাকাও বাবা-মায়ের মন কাঁদায়। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন শামীমা নাজনীন, ফারুক আহমেদ, জামশেদ শামীম, দীশি, জারীফসহ আরো অনেকে। ঈদের আগের দিন রাত ৯টায় ইউটিউবে প্রচারিত হবে ‘বাড়ি ফেরা‘ নাটকটি।

বাড়ি ফেরা’র শুটিং অভিজ্ঞতা জানিয়ে আমিনুল সিকদার বলেন, হুমায়ূন আহমেদ স্যারের নাটকের দুই জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ফারুক আহমেদ এবং শামীমা নাজনীন দুজন একসঙ্গে অভিনয় করেছেন আমার এই নাটকটিতে। তারা দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। তবে বিশেষ করে অভিনেতা জামশেদ শামীম প্রচুর পরিশ্রম করেছেন, নাটকের দুই একটা স্পটের সিন একটু কষ্টকর ছিল, সেগুলো করতে তিনি একবারও দ্বীধাবোধ করেননি। আমি জানি জামশেদ ভাই অনেক পরিশ্রমী।তার মেধা আর শ্রমই তাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আরো একটা বিষয়, এই নাটকে বাকি যারা আরো অভিনয় করেছেন, তারা সবাই নতুন। সবাই ভালো করেছেন। নতুন কিছু মুখ দেখতে পাবে দর্শক।

নির্মাতা আমিনুল সিকদার আরও বলেন, দর্শকরা এখন গল্পভিত্তিক কাজ দেখতে পছন্দ করেন এবং একজন নির্মাতা হিসেবে আমারও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে হবে যে আমি কোন ধরনের গল্পে কাজ করবো। যদি আমিই সন্তুষ্ট না থাকি তাহলে দর্শকদের কিভাবে খুশি করবো। কিছুদিন আগেই কান পাতলে শোনা যেত যে বাংলা নাটক ইন্ডাস্ট্রিতে চলছে রুচির দূর্ভিক্ষ।দর্শকদের মধ্যে দেখা দিয়েছিল হতাশা। সিনিয়র আর্টিস্টদের আক্ষেপও ছিল না কম। তবে এখন দুর্ভিক্ষ কাটিয়ে উঠছে বাংলা নাটক ইন্ডাস্ট্রি। ইদানিং ভালোমানের কাজ রিলিজ হচ্ছে। দর্শকরাও বেশ আনন্দ পাচ্ছে। অবশ্যই আমি আমার কাজটি নিয়ে অনেক আশাবাদী। কেননা প্রায় ৩ বছর বিরতির পর আমি আবার ফিরেছি আমার নতুন নির্মাণ ‘বাড়ি ফেরা’ নিয়ে।

উল্লেখ্য, এর আগে আমিনুল সিকদার নির্মিত ‘সতর্ক সংকেত’ যা একটি ধারাবাহিক ক্রাইম ফিকশন চ্যানেল ২৪ এ প্রচারিত হয়েছে। এছাড়া তিনি দুটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন; যেগুলো দারুণ সাফল্য পেয়েছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




সুপার সিক্সে মোহামেডান ও আবাহনীর বড় জয়

প্রিমিয়ার হকি লিগের সুপার সিক্স পর্বে মোহামেডান এবং আবাহনী বড় জয় নিয়ে ফিরেছে। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম খেলায় আবাহনী ৭-০ গোলে হারিয়েছে পুলিশকে। দ্বিতীয় খেলায় মোহামেডান ৯-২ গোলে হারিয়েছে অ্যাজাক্সকে।

অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার রোমান সরকারের জোড়া গোলের ম্যাচে আশরাফুল ইসলাম, অধিনায়ক রেজাউল করিম বাবু এবং তিন ভারতীয় শিলানন্দ লারকা, ভেংকটেশ ডি কেচ ও আফফান ইউসুফ গোল করেন। আবাহনীর বিপক্ষে যথেষ্ট সুযোগ পেয়েও পুলিশ গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে। হার যেন তাদেরই প্রাপ্য ছিল।

অ্যাজাক্সের বিপক্ষে ৯ গোলের ম্যাচে মোহামেডান প্রথমেই ১-০ তে পিছিয়ে ছিল। সেখান থেকে মোহামেডান গর্জে উঠল। অ্যাজাক্সের গলায় গোলের মালা পরিয়ে দিল মোহামেডান। মালয়েশিয়ান ফায়জাল বিন সারির হ্যাটট্টিক করেন। দ্বীন ইসলাম ইমন, শহিদুল হক সৈকত, অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি, মেহেদী হাসান অভি এবং দুই মালয়েশিয়ান ফিতরি বিন সারি ও ফাইজ হেলমি বিন জালি একটি করে গোল করেন। অ্যাজাক্সের শিমুল খান এবং ভারতীয় সিলহেইবা লিশাম গোল করেন, হার ঠেকাতে পারেননি।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে “বুড়িপোতা তরুণ সংগঠন”এর উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

তরুণ ও প্রবাসী দ্বারা পরিচালিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “বুড়িপোতা তরুণ সংগঠন” এর উদ্যোগে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ঈদগাহ ময়দানে এর বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় অনুষ্ঠানে মোঃ রেজাউল ইসলাম, মোঃ নাহিদ হোসেন, মোঃ সাহিদ, মোঃ দেলোয়ার,মোঃ রাজু আহমেদ, মোঃ সজিব রানা, মোঃ সাকিব, মোঃ জাহিদ, মোঃ জাকারিয়া, মোঃ আরিফুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তারা বলেন, আমাদের নিজেদের পাশাপাশি ইউনিয়নের যারা দেশবিদেশে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত আছে, তাদের সহযোগিতায় ইউনিয়নের প্রায় ১শত পরিবারে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ সম্ভব হয়েছে।
আশাকরি ভবিষ্যতে সমাজের সবাই আমাদের সেচ্ছাসেবী সংগঠনের পাশে দাঁড়াবে, তাহলে আমরা সমাজের উন্নয়নের কাজ করতে সক্ষম হব।

এসময় ওই ইউনিয়নের ১শত দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে চাল,ডাল,আটা,তেল,চিনি,সেলাই,লবনসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী এবং শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।




আলমডাঙ্গায় ওয়েলফেয়ার সোসাইটি উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

আলমডাঙ্গা উপজেলা গ্রাম্য চিকিৎসক (আরএমপি) ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলমডাঙ্গা স্টেশনপাড়ায় আজ শুক্রবার এই ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় গ্রাম্য চিকিৎসক( আর এম পি) ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আলমডাঙ্গা শাখার সভাপতি জিনারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি আকবার আলি আকু।তিনি বলেন সারা বাংলাদেশে বিশ লক্ষ গ্রাম্য চিকিৎসকরা এক ছাতার তলে সংগঠিত হওয়ার লক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই আলোকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটি সহ আলমডাঙ্গা তে আহব্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গ্রাম্য চিকিৎসকদের আত্মসম্মানের সহিত তাদের সেবামূলক কর্ম নির্বিঘ্নে করতে দিতে হবে।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ডা: কে এন করিম,কাজী সজীব,রাকিবুল ইসলাম খানা,আবু জাফর,সহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মোসারেফ হোসেন, এ কে আজাদ পাপ্পু, ইমন হোসেন, সামাদ আলি, আরাফাত রুদ্র রেজাউল করিম, মোস্তাফিজুর রহমান, বাইজেন, সাইন আলি, ডালিম হোসেন, হালিম হোসেন, লিয়াকত আলি, শেফাতুল্লা প্রমুখ।




আলমডাঙ্গায় ফিরোজা ক্লিনিকের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

মাহে রমজান উপলক্ষ্যে আলমডাঙ্গার ফিরোজা ক্লিনিকের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা ডাউকি ইউনিয়নের হাউসপুর তিন রাস্তার মোড় এলাকায় ফিরোজা ক্লিনিক প্রাঙ্গণে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ ইফতার মাহফিল আয়োজন করেন ফিরোজা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ডা: নজরুল ইসলাম। ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহম্মেদ ডন, ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম, ডা: আব্দুল আল মামুন, ডা: এনামুল হক সহ প্রায় অর্ধশতাধিক রোজাদার উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে ছাত্রলীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে মেহেরপুরের গাংনীতে ছাত্রলীগের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজ চত্বরে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল অনিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক।

এসময় ধানখোলা ইউনিয়ন খ ইউনিট আওয়ামীলীগের সভাপতি আল হামদু মিয়া, গাংনী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাফিজুল ইসলাম, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব জীবন আকবর, পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব আশিকুজ্জামান পিন্টু, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তপু রায়হান রবিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান, তৌফিক আজিজ মুন্না, সাকিবুর রহমান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাকিল আহম্মেদ, মুন্না হক, সাংগঠনিক সম্পাদক রিমন হোসেন, মটমুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি লিখন আহম্মেদ, রাইপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ফারুক সহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে দালাল চক্রের হাতে বিআরটিএ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

ঝিনাইদহ বিআরটিএ অফিসের দালালের হাতে তারিক হাসান নামের এক কর্মকর্তা লাঞ্ছিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ বিআরটিএ অফিসে মোটরযান পরিদর্শক তারিক হাসান এ লাঞ্ছিতের ঘটনার শিকার হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের কর্মস্থল বিআরটি’এ অফিসে নিজ কক্ষে অবস্থান করছিলেন মোটরযান পরিদর্শক তারিক হাসান। সে সময়ে ওলিয়ার রহমান নামের এক দালাল মোটরযান পরিদর্শক তারিক হাসানের রুমের মধ্যে ঢুকে গালি-গালাজ শুরু করে। সেসময় তারিক হাসান তাদের অফিস থেকে বের হতে বললে ওলিয়ার তার উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দেয়। বিষয়টি দেখে অফিসের অন্যরা এগিয়ে এলে দালালরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ বিআরটি’র মোটরযান পরিদর্শক তারিক হাসান বলেন, দালাল ওলিয়ারকে অফিসের বাইরে যেতে বলায় তারা আমার ওপর চড়াও হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারতে তেড়ে আসে। এছাড়াও আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ও দেয়। তিনি আরও বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এজন্য যে তারা যে কোন সময় আমার ওপর হামলা করতে পারে যে কারণে জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ বিআরটি’র সহকারী পরিচালক আতিয়ার রহমান বলেন, কিছু দালাল চক্র অফিসের মধ্যে প্রবেশ করে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করেছি। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে অনতিবিলম্বে দালালচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।




ঝিনাইদহে ট্রলির চাপায় শিশু নিহত

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ট্রলি চাপায় পারভেজ নামের ৯ বছর বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কেষ্টপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের বিপুল মন্ডলের ছেলে।

জানা যায়, সকাল ৮টার দিকে চাচা জাহিদ মন্ডল গ্রামের মাঠে জমিতে গবরের সার ফেলার জন্য ট্রলি ভর্তি করে।

সেসময় শিশু পারভেজ ট্রলিতে করে চাচার সাথে মাঠে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে। ওই সময় ভাতিজাকে ট্রলির উপরে বসিয়ে মাঠে নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে গবরের সারের মধ্যে থাকা শিশু পারভেজের হাতে পিঁপড়ায় কামড় দেয়। ট্রলিতে বসে ধরে থাকাবস্থায় রড ছেড়ে দিয়ে শিশু তার হাত চুলকাতে থাকে।

এসময় উচু নিচু পথে ঝাকি লেগে ছিটকিয়ে ট্রলির চাকার নিচে মাথা পড়ে যায় শিশুটির। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান।