বন্যার্তদের সাহায্যার্থে ভৈরবের অনুদানের টাকা প্রদান

মেহেরপুর এর অন্যতম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন “ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বর” বন্যার্তদের সাহায্যার্থে অনুদানের টাকা প্রদান করেছে।

আজ সোমবার সকাল ১০ টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ এর নিকট অনুদানের নগদ ১৫ হাজার টাকা উপদেষ্টার ত্রান তহবিলে দেওয়ার জন্য প্রদান করা হয়।

এসময় “ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বর” এর সভাপতি এ্যাড: আনোয়ার হোসেন, সহ- সভাপতি নূরুল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মেহের আমজাদ, যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কানন জেলা প্রশাসকের নিকট অনুদানের টাকা তুলে দেন। এসময় “ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বর” এর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে গোপনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এডহক কমিটি গঠন, “অভিভাবক প্রধান শিক্ষক মুখোমুখি”

বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও এলাকার মতামতকে অগ্রাহ্য করে এডহক কমিটিতে গোপনে শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য মনোনীত করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।

এডহক কমিটি থেকে প্রধান শিক্ষিকার মনোনীত বিতর্কিত সদস্যকে বাদ দিয়ে এলাকাবাসির মনোনীত ব্যক্তিকে শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য করার দাবীতে আজ সোমবার সকাল থেকে কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আঙিনায় অভিভাবক ও এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ অবস্থান নেন।

জানা গেছে, গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের ২ নং কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠণ নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হাজী সামসুল হককে দাতা সদস্য ও কাথুলি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমান জিয়াকে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে প্রস্তাব দেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন গোপনে এডহক কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে বারবার নির্বাচিত ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানার চাচা মাঝহারুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর এলাকার মানুষ প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সকাল থেকে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে অবস্থান নেন।

অবস্থান কর্মসৃচির নেতৃত্ব দেন,গাঁড়াবাড়িয়া বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও অভিভাবক রহিদুল ইসলাম, কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক হাজী সুন্নত আলী, সদরথানীয় বিএনপি নেতা সাহেব আলী সেন্টু, বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও এডহক কমিটির মনোনীত দাতা সদস্য শামছুল হুদা বিশ্বাস, গণ্যমান্য ব্যক্তি তাজলু হোসেন, কামরুল ইসলামসহ গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের লোকজন।

শিক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠনের জন্য আমরা অভিভাবকরা গাঁড়াবাড়িয়া বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক জিয়াউর রহমানের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু আমাদের কথা না শুনে প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন গোপনে সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি মাহজারুল ইসলামের নাম গোপনে প্রস্তাব করায় এডহক কমিটি পাশ করিয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন এই স্কুলে যোগদান করার পর থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে। সরকারি বরাদ্দের স্লিপের টাকার কোন উন্নয়ন কাজ করা হয়নি। সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম ও সাবেক কমিটির সাথে মিলে স্লিপের টাকাসহ স্কুলের পুরাতন বিল্ডিংয়ের দরজা জানালা গোপনে বিক্রি করে আত্মসাত করেছেন। বিদ্যালয়ের কোন উন্নয়ন মুলক কাজ না করে বিল ভাউচার করে টাকা উত্তোলন করেন।

প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, এডহক কমিটি থেকে শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য বিতর্কিত মাজহারুল ইসলামকে বাদ দিয়ে জিয়াউর রহমান জিয়াকে প্রতিনিধি করতে হবে। নাহলে অভিভাবকদের অবস্থান কর্মসুচি চলবে।

অভিভাবকরা আরও জানান, প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন অবিলম্বে আগের কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মাঝারুলের নাম বাতিল করে আমাদের প্রস্তাবিত প্রার্থী জিয়াউর রহমানের নাম দিয়ে নতুন কমিটি করার দাবি জানান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, আমি বিধি মোতাবেক সবকিছু করেছি।

এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসিরউদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কুতুবপুর সরকারি বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির ব্যাপারে কোন কিছু জানিনা। আপনার কাছে থেকে আমি প্রথম জানতে পারলাম।




দর্শনায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে ৯ম শ্রেণীর ৪টি বিষয় বাতিলসহ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছে ছাত্র ছাত্রীরা। এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় তিনটি মাধ্যামিক বিদ্যালয় ও ১ টি মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা। এ সময় ছাত্র ছাত্রীরা দর্শনার প্রধান সড়ক ও দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে।

এ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে প্রায় ১০ মিনিট। এতে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ছাত্র ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল করতে করতে দর্শনা প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে।

এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মাসুদ রানা, ইয়ামিন আরাফাত, রাফিজা জান্নাতুল।

দর্শনা মাধ্যামিক বালিকা বিদ্যালয়ের বৈশাখী, সাইমুন নাহার মুন ও কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র রিফাত রহমান। এ সময় ছাত্র ছাত্রীরা বলেন, ঐচ্ছিক বিষয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ও জীবন জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তির আংশিক বাতিলের দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

এ সমাবেশে ছাত্র ছাত্রীরা আরও বলেন, আমাদের পরিক্ষার মাত্র দুই মাস আছে আমরা এত পড়াশুনা করে কভার করতে পারবো না। তাই আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রায়ব ৪ শতাধিক ছাত্র ছাত্রী অংশ নেয়।




মুজিবনগরে উপজেলা ভিত্তিক গণিতে উস্তাদ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মুজিবনগর এ গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর আয়োজনে, উপজেলা ভিত্তিক ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে গণিতে ওস্তাদ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস প্রাঙ্গনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপে স্কুল পর্যায়ে ২৭৭ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে বিজয়ী ৩০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। গণিতে ওস্তাদ প্রতিযোগিতায় বাগোয়ান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনন্দবাস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মুজিবনগর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থী তাসমিয়া খাতুন, আফরিন খাতুন, সহিক হোসেন, লতিফা খাতুন, আলী আল আবদুল্লাহ বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর ম্যানেজার সুব্রত টুডু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিডিপি এর সিনিয়র অফিসার (প্রোগ্রাম) রিফাত আল মাহমুদ সহ অংশগ্রহণ কৃত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ।




দামুড়হুদায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির মৃৎশিল্পীরা

শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সর্ব বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে এখনও ১৫ দিন বাকী থাকলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দরজায় কড়া নাড়ছে দেবী-দুর্গার আগমনী বার্তা। ইতোমধ্যেই দামুড়হুদা উপজেলায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দুর্গা প্রতিমা তৈরির কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছে। মণ্ডপের সাজসজ্জাসহ সার্বিক প্রস্তুতি দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছেন আয়োজক ও পূজা উদযাপন কমিটি।

আগামী ০৯ অক্টোবর থেকে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। দামুড়হুদা উপজেলায় এবছরে ২০টি মণ্ডপে দুর্গা প্রতিমা বসবে। তারই সাজসজ্জায় ব্যস্ত আয়োজকরা। শারদীয় উৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কারিগররা কাদা-মাটি, খড়-কাঠ সংগ্রহ থেকে শুরু করে, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এই কার্যক্রম।এখন শারদীয় দুর্গোৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।এ উৎসবকে ঘিরে উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে কর্ম ব্যস্ততা।দিন রাত কাজ করে শিল্পীদের হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। যেন দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। তবে রং, তুলির ও সাজসজ্জার দাম বেশি হওয়া ও প্রতিমা বানানোর মজুরি একটু কম পাওয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে তাদের মধ্যে।

মাগুরা জেলার লক্ষীপুর থেকে আসা প্রতিমা শিল্পী শ্রী সুজন দাস বলেন,আমি ১৩ বছর যাবত প্রতিমা বানায়। দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও সকল ধরনের প্রতিমা বানিয়ে থাকি এইবার আমি তিন টা প্রতিমার কাজ করতেছি।৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় কন্টাক্টে, আমার সাথে দুই জন হেলপার আছে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বাসুদেব হালদার বলেন, এবার অনেক বড় করে পূজা করা হচ্ছে। মহাভারতের কিছু দৃশ্য রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দামুড়হুদা উপজেলায় মোট ২০টি প্রতিমা গড়া হচ্ছে।

দামুড়হুদা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব পলাশ কুমার দে জানান, এ বছর অনেক সাড়ম্বরে পূজা উদযাপন করা হবে। মূর্তি গড়ার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কিছুদিন পর থেকেই রংয়ের কাজ শুরু হবে। দশভূজা দেবী দুর্গা এবার আসছেন দোলায় চড়ে। আর বিসর্জন যাবেন ঘোটকে। পূজাকে কেন্দ্র করে তাই সর্বত্রই চলছে সাজ সাজ রব।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে, পুজায় আগত দর্শনার্থীদের ভিড় এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, পুলিশের টহল জোরদার করা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অনুরোধ, সহ ইভটিজিং ও নারীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ মহল বলেন, প্রতিমা তৈরির স্থানসমুহ এবং পূজা মন্ডপ গুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্হা গ্রহণ করা হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে সুষ্ঠুভাবে যেন পূজা উদযাপিত হয় সে লক্ষে জনপ্রতিনিধি সহ সর্বসাধারণের সহযোগিতা কামনা করছি।




লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত ১০০

লেবাননের বড় মাত্রায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শত শত লক্ষ্যবস্তুতে চালানো এই হামলায় সবশেষ মৃতের সংখ্যা ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন তিন শতাধিক মানুষ।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ লেবানন লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে শিশু, নারী ও চিকিৎসাকর্মীসহ অন্তত ১০০ জন নিহত ও ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা লেবাননের অভ্যন্তরে হিজবুল্লাহর অন্তত ৩০০ ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট সোমবার এক ভিডিওতে বলেন, আমরা লেবাননে হামলা জোরদার করছি, উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদে তাদের বাড়িঘরে ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই দিনগুলিতে ইস্রায়েলি জনগণকে সংযম দেখাতে হবে।

অপরদিকে হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল ও বেকা এলাকা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলার জবাবে উত্তর ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালিয়েছে।

তথ্যসূত্র: আলজাজিরা




দামুড়হুদায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পরে সর্বস্ব খোয়ালেন কৃষক

দামুড়হুদা ডুগডুগি পশুহাটে গরু কিনতে এসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পরে সর্বস্ব খোয়ালেন কৃষক মহিদুল ইসলাম (৪০)। সে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার বলহরপুর গ্রামের কৃষক বারেকের ছেলে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কোটচাঁদপুর টু দর্শনা বাস যোগে আসার সময় প্রতিমধ্যে যেকোনো স্থানে এঘটনা ঘটে।

জানাগেছে, ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার বলহরপুর গ্রামের কৃষক বাকেরের ছেলে মহিদুল ইসলাম গরু কেনার জন্য ডুগডুগি পশু হাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে বলহরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ডুগডুগি পশু হাটের উদ্দেশ্যে বাসে ওঠে। প্রতিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে তার কাছে থাকা গরু কেনার ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পুরাটাই নিয়ে নেই অজ্ঞান পার্টি। পরে বাস থেকে তাকে দর্শনার রেলগেট সংলগ্ন স্থানে নামিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে রাস্তায় পরে থাকতে দেখে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিকট আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করে।

প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডুগডুগি শশুর বাড়িতে তাকে রাখা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার কোন হুশ ছিল না।




মেহেরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার( ২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মু. তানভির আহমেদ রুমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রনি আলম নুর, মেজর মোঃ তৌফিকুল আলম, মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম কুমার সাহা , ডাঃ ইনজামামুল হক,  পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. অশোক চন্দ্র বিশ্বাস, হালদার পাড়া পূজামণ্ডপের সভাপতি শ্রী অনন্ত কুমার হালদার, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের সেক্রেটারি তপন কুমার সাহা, মেহেরপুর পূজা উদযাপন পরিষদ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাধন কুমার দাস প্রমুখ ।

এ সভায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, জেনারেটরের ব্যবস্থা, কন্ট্রোল রুম, আইপি ক্যামেরা, পূজা বিসর্জনে রাস্তা ঘাট পরিস্কার এবং সড়কে আলোকসজ্জা, আযান এবং নামাযের সময় মেনে পূজা উদযাপন, সড়কে  নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ ছাড়াও পূজা মন্ডুপের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করবে ও মোবাইল টিম থাকবে।

এবার জেলায় ৩৮টি পূজামণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর ১৪, মুজিবনগর ৭, গাংনী ১৭ টি।




গাংনীতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের কমিটি গঠন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধগমের মতবিনিময় সভা ও কমিটি পূন:গঠন করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২৩শে সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার সময় গাংনী পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা ও কমিটি পূন:গঠন করা হয়।

গাংনী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা আনজুমান বানুর সভাপতিত্বে  স্বাগত বক্তব্য সহ প্রোগ্রামের লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেন মউকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফাইমা আক্তার।

এ সময়  উক্ত সভায় আলোচনা করেন সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, ব্যবসায়ী মোঃ সুলেরি আলভী, নাজমা খাতুন প্রমূখ।

সভায় উন্মুক্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন সাহারবাটি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান বাবলু, সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন লায়লা আনজুমান বানু ও সহসভাপতি সুলেরি আলভী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম অল্ডাম।

অনুষ্ঠাটি পরিচালনা করেন মউকের প্রোগ্রাম অফিসার মো: গোলাম আম্বিয়া ও মোঃ আবুল কালাম।




১৮ বছর ধরে ‘বঞ্চনার শিকার’ মহেশপুরের শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকরা

১৮ বছর ধরে ‘এমপিও বঞ্চিত’ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকরা। শুধু নামের কারণে দেড় যুগ ধরে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন তারা। যোগ্যতার সব শর্ত পূরণ করলেও শহীদ জিয়া নামের কারণে বিগত আওয়ামী সরকার কলেজটির ডিগ্রি সেকশন এমপিওভুক্তির বাইরে রাখে।

দীর্ঘ ১৮ বছর আগে কলেজের ডিগ্রি সেকশনে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা ছাড়া মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দ্রুত কলেজটির ডিগ্রি সেকশন এমপিওভুক্ত করে নিয়োগের তারিখ থেকে সমস্ত বকেয়া পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। একই সঙ্গে কলেজের হারানো গৌরব ফিরে পেতে জাতীয়করণের বিকল্প নেই বলেও জানান তারা।

জানা গেছে, বিএনপি সরকারের আমলে ২০০০ সালে কালিগঞ্জ-জীবননগর মহাসড়ক সংলগ্ন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুরে গড়ে ওঠে শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ। শিক্ষায় অনগ্রসর এই এলাকার মানুষের মনে শিক্ষার দ্যুতি ছড়াতে তৎকালীন বিএনপি সরকারের ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রতিষ্ঠার দুই বছর পর ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত এমপিওভুক্ত করা হয়। পরবর্তীসময়ে ডিগ্রি সেকশনের পাঠদানের অধিভুক্তি করা হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুলাই। তারপরের বছরই ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। এরপরই কলেজের নাম পরিবর্তনের জন্য ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। কিন্তু শিক্ষকদের অনড় অবস্থানের কারণে কলেজের নাম পরিবর্তন করতে না পেরে কলেজটিকে অকার্যকর করার পাঁয়তারা শুরু করেন তারা।

আওয়ামী লীগ নেতারা ওই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের জিয়া কলেজে ভর্তি না হতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেন। এরপরও যেসব শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতো তাদের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হেনন্তার শিকার হতে হয়। এমপিও আবেদনের জন্য বছরের পর বছর স্থানীয় আওয়ামী সংসদ সদস্যের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মেলেনি ডিও লেটার। দীর্ঘ ১৮ বছরে কলেজের জন্য কোনো প্রকার সরকারি অনুদান আসেনি।

চার একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত উপজেলার স্বনামধন্য এ প্রতিষ্ঠানটি ছিল বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। ১৮ বছর আগে যেসব শিক্ষক তাদের ভাগ্যবদলের আশায় শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সঙ্গে নিজেদের নাম যুক্ত করেছিলেন তাদের দুর্দশা পিছু ছাড়েনি। এসব শিক্ষক দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী হয়েও আজ তারা সমাজের কাছে অসম্মানিত, পরিবারের কাছে বোঝা। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা এসব শিক্ষকের দাবি, তাদের সঙ্গে যে অন্যায় করা হয়েছে তার যথাযথ ক্ষতিপূরণ।
এ বিষয়ে কলেজের ডিগ্রি সেকশনের একজন প্রভাষক মো. ছামাদুজ্জামান বলেন, ২০০৩ সালে আমাকে শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজের ডিগ্রি সেকশনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই থেকে ২১ বছর ধরে বেতন-ভাতা তো দূরের কথা, কলেজ থেকে কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, বিগত দেড় যুগ ধরে আমরা বৈষম্যের চরম সীমা অতিক্রম করে আসছি। গত আওয়ামী সরকারের কাছে আমাদের একটাই অযোগ্যতা আমরা শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। অনতিবিলম্বে ডিগ্রি পর্যায়ে এমপিওভুক্ত করে নিয়োগদানের তারিখ থেকে সমস্ত বকেয়া পরিশোধের অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. শওকত আলী বলেন, উপজেলার সবচেয়ে অবহেলিত ও বঞ্চনার শিকার শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ। সব যোগ্যতা থাকার পরও শুধু নামের কারণে ডিগ্রি সেকশনের এমপিও দেওয়া হয়নি। এমপিওর কাগজপত্র জমা দিতে শত চেষ্টার পরও ডিও লেটার দেননি আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য। বরং উপজেলার শ্রেষ্ঠ এ বিদ্যাপীঠকে দুর্বল করতে সকল ঘৃণ্য অপচেষ্টা অব্যাহত রাখে।

তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করতেও পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ভর্তি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হতে হয়েছে লাঞ্ছিত। কলেজটির ডিগ্রি সেকশনের শিক্ষদের প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে তা অকল্পনীয়। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে তারা বিনা বেতনে পাঠদান করছেন এটা অমানবিক। আমি তাদের সমস্ত বকেয়া পরিশোধের দাবি জানাই। একই সঙ্গে কলেজটি জাতীয়করণের মাধ্যমে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।