ঝিনাইদহে ১০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঝিনাইদহে ১০ কেজি গাঁজাসহ সোহেল রানা নামের ১ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে শহরের বাইপাস এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। মাদক ব্যবসায়ী সোহেল রানা ঝিনাইদহ জেলার মাধবপুর গ্রামের আব্দুর রব মোল্লার ছেলে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে মাদকের একটি চালান রাঙ্গামাটি থেকে ঝিনাইদহ শহরে প্রবেশ করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বাইপাস সড়কের ঘোষপাড়ায় চেকপোস্ট বসিয়ে সোহেল রানা নামের একজনকে আটক করে। তার কাছে থাকা একটি প্লাস্টিকের বস্তা তল্লাশী করে ২০ টি গাঁজার রোল উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত গাঁজার ওজন ১০ কেজি। এ ঘটনায় সদর থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।




মেহেরপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিস্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা প্রদান সহজীকরণের লক্ষে মেহেরপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জেলা ই সেবা কেন্দ্রে সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিস্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১ টার সময় মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো: শামীম হাসান এই রেজিস্ট্রেশন বুথের উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর জনসাধারণকে পেনশন সুবিধার আওতায় আনার জন্য বর্তমান সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এই স্কিম চালু করতে গিয়ে সাধারণ মানুষ যাতে কোন সমস্যায় না পড়ে। সহজে ও দ্রুত যাতে স্কিম চালু করতে পারেন, সে লক্ষ্য এ বুধ স্থাপন করা হলো। বুথের মাধ্যমে জনগণকে স্কিম চালুর জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সরাসরি প্রদান করবে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।

উদ্বোধনী অনুষ্টানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও সহকারী কমিশনারগণ এবং কালেক্টরেটের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

বুথ উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, ‘সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু সরকারের এক অনন্য ও জনকল্যাণমুখী উদ্যোগ। সরকারের এই মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য এবং মেহেরপুর জেলার সকল জনসাধারণকে সহজে স্কিম চালু করার প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের জন্য এই বুথ চালু করা হলো। এই সেবার মাধ্যমে এখন দেশের সর্বস্তরের জনগণ পরনির্ভরশীলতা থেকে বের হয়ে আসতে পারবে।’

এসময় তিনি সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তাদের পরিবারকে এই সেবার আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন।

রেজিস্ট্রেশন বুথ উদ্বোধনের পর জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন,’ সর্বজনীন পেনশন স্কিমে দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় মেহেরপুরে জনগনের মধ্যে তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কম সাড়া পাওয়া গেছে। এজন্য জেলার আপামর জনগনকে উদ্বুদ্ধ করতে এবং সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতামূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ এই রেজিস্ট্রেশন বুথের উদ্বোধন করা হলো।’




মেহেরপুরে পপুলার লাইফের ইনস্যুরেন্সের বার্ষিক সম্মেলন ও চেক হস্তান্তর

মেহেরপুরে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকারী মাঠ পর্যায়ের কর্মী ও কর্মকর্তাদের বার্ষিক সম্মেলন ও বীমা দাবির ৭৯ লাখ টাকার চেক বীমা গ্রাহকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এই বার্ষিক সম্মেলন ও চেক হস্তান্তর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

আল-আমিন বীমা প্রকল্প, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড মেহেরপুরের জোনাল ম্যানেজার মো: রাফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানিটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শওকত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেন মহাসিন ও খুলনা অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম রুবেল।

বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাঠ পর্যায়ের ৩০০ বীমা কর্মী ও কর্মকর্তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএম শওকত আলী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার বিমা দাবী পূরণ করেছে। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ড। পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে বর্তমানে ৭০ হাজার লোক কর্মরত আছেন। কর্মীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে সকলকে গ্রুপ ও হেলথ ইনস্যুরেন্স সহ নানা সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম ইউসুফ আলী ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানা দিক নির্দেশনা দেন। অতঃপর মধ্যাহ্নভোজ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ১১০ জন গ্রাহকের বীমা দাবীর বিপরীতে মোট ৭৯ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।




আইফোনের জনপ্রিয় গেম ইমুলেটর ডেলটা

সম্প্রতি ডেলটা নামে আইফোনের একটি ইমুলেটর অ্যাপ তৈরি হয়েছে। অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের এই অ্যাপটি এত জনপ্রিয় কেন? কারণ এই অ্যাপের মাধ্যমে ক্লাসিক ওল্ড স্কুল রেট্রো গেম খেলা যাবে। কয়েকদিন আগে অ্যাপটি অ্যাপল স্টোরে লঞ্চ হয়েছে। আর স্বল্প সময়েই তা জনপ্রিয়তার শীর্ষে। আইফোনে এই অ্যাপের মাধ্যমে নিনটেনডোর সেই নস্টালজিক গেমগুলো আবার খেলা যাচ্ছে।

অনেক বছর ধরেই অ্যাপল স্টোরে যেকোনো ইমুলেটর অ্যাপ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি এই কড়াকড়িতে বদল এসেছে। ইউরোপিয়ান রেগুলেশন আর থার্ড পার্টি অ্যাপকে অ্যাপল স্টোরে অনুমোদন দেওয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে অ্যাপলের কিছু সিদ্ধান্ত রয়েছে। থার্ড পার্টি অ্যাপকে আইফোনে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পরই এই পরিবর্তন এসেছে।

ইমুলেটর আসলে কি?
ইমুলেটর একটি সফটওয়ার। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা হার্ডওয়ারও। এগুলো ভিডিও গেম কনসোলকে অনুকরণ করে বানানো। ভিডিও গেম ইমুলেটর থাকলে রেট্রো নিনটেনডো, সেগা, সনি আর প্লেস্টেশনের গেম খেলা যায় কম্পিউটারে বা স্মার্টফোনে। সঠিক রোম আর আইএসও ফাইল থাকলেই হলো। ব্যবহারকারীরা ভিনটেজ কনসোলের অভিজ্ঞতা পাবেন কোনো ডিভাইস ছাড়াই।

একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী এমুলেটর ব্যবহার করে সুপার মারিও ল্যান্ড খেলতেই পারেন। তিনি শুধু ফোনের রোম ব্যবহার করছেন। ১৯৯০ আর ২০০০ এর শুরুর দিকে ইমুলেটর অনেক জনপ্রিয়তা পায়। মানুষ বুঝতে পারে দামি কনসোল না পেলেও তারা ক্লাসিক গেম কম্পিউটারেই খেলতে পারবেন।

তাহলে রোম কী?
গেম খেলতে হলে গেমের আসল ফাইল তো লাগবে। এই ফাইল রিড অনলি মেমরিতে সংরক্ষিত থাকে যাকে আমরা রোম বলি। মানে ভিডিও গেমটার একটা ডিজিটাল কপি আপনি পাচ্ছেন। গেম কার্ট্রিজ রোমের চিপে গেমের ডাটা সংরক্ষণ করে। রোম ফাইল বিশেষ হার্ডওয়ার হিসেবে বিবেচিত হয় তখন। ইমুলেটর একদমই ফ্রি এখন অবৈধ কিছু নয়। রোমকে অবশ্য তা বলা যায় না।

তাহলে ডেলটা কী?
আইফোনে ডেলটা একটা ভিডিও গেম ইমুলেটর। আইফোন সম্প্রতি এটিকে অনুমোদন দেয়। এই ইমুলেটরে নিন্টেনডো কনসোলের অনেক গেমই খেলা যায়। নিনটেনডো এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেম, নিনটেনডো গেম বয়, নিনটেনডো এন সিক্সটি ফোর বাদেও আরও অনেক আছে। এই ইমুলেটর অ্যাপটি তৈরি করেছেন ডেভেলপার রিলে টেসটুত।

অ্যাপল স্টোর থেকে অ্যাপটি সরাসরি ডাউনলোড করা যাবে। সাইডলোডিং নিয়ে আপনায় আর ভাবতে হবে না। আইফোনের সঙ্গে সমন্বয় করে এমন অনেক ভালো ফিচার এটিতে যুক্ত হয়েছে। এই অ্যাপে থার্ড পার্টি কন্ট্রোলারের সাপোর্ট আছে। কুইক সেভ, চিট কোড ও গুগল ড্রাইভ কিংবা ড্রপবক্সের সঙ্গে সিংকিং সুবিধা আছে। চারজন খেলোয়াড়ের জন্য লোকাল মাল্টিপ্লেয়ারের সুবিধা আছে।

ডেলটা কাজ করতে কিভাবে
অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করার পর কোনো গেম পাবেন না। এমনটি সব ইমুলেটরেই হয়। আপনাকে রোম ফাইল নামাতে হবে। সেজন্য আইটুনস ফাইলসের শরণাপন্ন হতে হবে। গুগল ড্রাইভ বা ড্রপবক্স তখন সাহায্য করবে।

রেট্রো গেম টাইটেলের অনেক রোম পাওয়া যাবে। তবে কপিরাইট ল এর কথা বিবেচনা করে নামাতে হবে। রোম ফাইল ডেল্টা অ্যাপ দিয়ে নামিয়ে আপনি গেম খেলতে পারবে। রোম লোড হলেই গেমের আর্টওয়ার্ক ডেল্টালাইব্রেরিতে দেখাবে। এভাবে ব্যবহারকারী বুঝতে পারবেন তিনি আসলে কোন গেমটি খেলতে চান। ডেল্টার নিজস্ব স্কিন আর কন্ট্রোলার থাকায় অভিজ্ঞতাও আরও ভালো হবে। আপনি চাইলে কিছু ফ্যান মেইড কন্ট্রোলার স্কিনও নামাতে পারবেন। খেলার সময় রিয়েল কনসোলের অভিজ্ঞতাই পাবেন। আর আইওএস নিজেও অনেক ধরনের কনসোলার সাপোর্ট করে।

সমস্যা হলো গেম কনসোলগুলো নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে অ্যাপটি কতদিন থাকবে তা জানা সম্ভব না। নিনটেনডো সম্প্রতি এ বিষয়ে কড়াকড়িও করেছে। নিনটেনডোর এই গেমের রমের কপিরাইট আছে। আবার অনেকে এর সমালোচনা করে বলছেন, রেট্রো গেমগুলো অন্তত এভাবে কিছুটা হলেও টিকে আছে। গেমিং ইতিহাসে এটি একটি নতুন ফাইলফলক হতেই পারে।

সূত্র: ইনডিয়ান এক্সপ্রেস




চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মিলানকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো ইন্টার

শিরোপা উৎসবের জন্য সবরকম প্রস্তুতি নিয়েই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ইন্টার মিলান। মর্যাদার মিলান ডার্বিতে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে ইন্টার। এতেই পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখে ইতালিয়ান সিরি আ শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে ইন্টার মিলান। এটি ইন্টারের ২০তম সিরি আ শিরোপা।

ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে ইন্টার মিলান। আর তাই গোলের দেখা পেতেও খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ১৮ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে হেড করে বল জালে জড়ান এসি মিলানেরই সাবেক তারকা ফ্রান্সিসকো এসেরবি।

তার গোলেই ম্যাচে লিড নেয় ইন্টার মিলান। এরপরও বেশ কিছু আক্রমণ করে ইন্টার। তবে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইন্টার মিলান।

বিরতি থেকে ফিরেই আবারও গোলের দেখা পায় ইন্টার। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে দর্শনীয় এক গোল করেন মার্কাস থুরাম। তার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইন্টার। এরপর ম্যাচের ৮০ মিনিট গোলের দেখা পায় এসি মিলান। ফুকায়ো তোমোরি গোল করে ব্যবধান কমান।

তবে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে ইন্টার মিলান। ৩৩ ম্যাচে ইন্টারের পয়েন্ট ৮৬। সমান ম্যাচে দুইয়ে থাকা এসি মিলানের পয়েন্ট ৬৯। পরের পাঁচ ম্যাচ জিতলেও এসি মিলানের পয়েন্ট হবে ৮৪। ইন্টারকে টপকে যাওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই এসি মিলানের।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৬ আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুর জেলা পুলিশের নিয়মিত অভিযানে মাদকসহ বিভিন্ন মামলার ৬ আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মাদক মামলাযর ৩ জন, চুরির মামলায় ১ জন ও আদালতের পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ২ জন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোররাত পর্যন্ত জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।

মেহেরপুর পুলিশ সুপারের কন্ট্রোল রুম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সার্কেল) আব্দুল করিম জানান, আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে অভিযান চালিয়ে চাইনা দুয়ারি জাল উদ্ধার

মেহেরপুর ভৈরব নদে অভিযান চালিয়ে ৫০ টি চায়না দুয়ারী জাল উদ্ধার করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এই অভিযান চালানো হয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঝহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ভৈরব নদে অভিযান চালিয়ে ৫০ টি চায়না দুয়ারী জাল উদ্ধার করেন। পরে জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: মেহেরপুরে তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে আম-লিচুর গুটি

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম বলেন, ভৈরব নদে জাল ফেলে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে এমন অভিযোগ পেয়ে ভৈরব নদ অভিযান চালিয়ে ৫০ টি চায়না দুয়ারী জাল উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।

অভিযানে মেহেরপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকতা মীর মোঃ জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে আম-লিচুর গুটি

তীব্র তাপপ্রবাহ ও অতিখরায় পুড়ছে মেহেরপুর। অসহনীয় গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মানুষসহ প্রাণীকুল। শুধুমাত্র মানুষ ও প্রাণিকুলই নয়, তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে ফসলের উপর।

তীব্র তাপের কারণে বোটার রস শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি। সু-স্বাদু লিচু ও আমের জন্য বিখ্যাত মেহেরপুর হলেও এবছর আম ও লিচুর মুকুল এসছে। সে মুকুল এখন পরিনত হয়েছে গুটি আকৃতিতে। মুকুল থেকে গুটি আসার সময় অনাবৃষ্টি আর তাপদাহের কারনে পুড়ে যাচ্ছে লিচু ও আমের মুকুল। সেই সঙ্গে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি।

আরো পড়ুন: গাংনীতে টিউবওয়েলে উঠছে না পানি!

প্রাকৃতিক এই বিরুপ আচরনে চরম দুশ্চিন্তায় জেলার লিচু ও আম চাষিরা। এঅবস্থায় লিচু আর আম বাগানে সেচসহ বিভিন্ন পরিচর্যা করে গাছের লিচু ও আমের গুটি রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বাগান মালিকরা। কৃষি বিভাগ বলছেন, আবহাওয়ার প্রতিকুলতার মোকাবিলা করে গাছের গুটি রক্ষায় চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলরা কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ি, জেলায় লিচুর বাগান রয়েছে ৮০০ হেক্টর জমিতে। এসকল বাগানে ,আটি লিচু,বোম্বাই,চিলি বোম্বাই,আতা বোম্বাই ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু উৎপাদন হয়ে থাকে। চলতি বছরে জেলায় সাড়ে ৮ হাজার টন লিচুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে অধিক মুনাফা আয় করার আশায় বুক বেঁধেছেন বাগান মালিকরা। কিন্তু গুটি ঝরতে শুরু করায় চাষিদের কপালে এখন চিন্তারভাজ।

এবং আমের বাগান রয়েছে ৩ হাজার ৩৩৬ হেক্টর আম বাগান রয়েছে। গেলো বছর উক্ত বাগানের উৎপাদিত ৪১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন আাম উৎপাদন হয়েছিল। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় ব্যপক চাহিদা পুরুন করা হযেছে। একই সাথে ইউরেরাপের বিভিন্ন দেশেও মেহেরপুরের আম রপপ্তানি করে অধিক মুনাফা আয় করেছেন আম বাগান মালিকরা। ল্যাংড়া, বোম্বাই, হিমসাগর, ফজলী, আম্রপালী, গোপালভোগ, হাড়িভাঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি জাতের আম বাগান রয়েছে। মেহেরপুরের আম ও লিচু জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও প্রতি বছর পাঠানো হয় আম ও লিচু। এ দুটি মৌসুমি ফল বিদেশে রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় হলেও এবছর উৎপাদনে পড়েছে ভাটা।

মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের চাষি আব্দুল মান্নান বলেন, নিজ মাঠে তার ২ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আমবাগান রয়েছে। এ বছর দীর্ঘমেয়াদী শীত ও ঠান্ডা হওয়ায় আম বাগানে এখনো মুকুল আসেনি। আবশেষে কয়েকটি গাছে মুকুল এসে গুটিতে পরিনত হয়েছে। কিন্তু অতিমাত্রায় রোদের কারনে প্রতিনিয়ত গুটি ঝরে পড়ছে। কিৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী বাগানে সেচ দিচ্ছি এবং ওষুধ স্প্রে করলেও তাতে উপকারর হচ্ছেনা।

মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া গ্রামের লিচু বাগান মালিক তোজাম্মেল হক জানান, সাড়ে তিন বিঘা জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। বাগানে আগাম জাতের আটি লিচু রয়েছে দেড় বিঘা। আটি লিচু গাছের ডগায় ডগায় মুকুলে ছেয়ে গেছে। বাকি জমিতে রয়েছে আতা বোম্বাই লিচুর গাছ। সেগুলিতেও মুকুল দেখা দিয়েছে। কিন্তু সব গাছেই এখন লিচুর গুটি। গুটি গুলোর ডগা শুকিয়ে যাচ্ছে এবং একটু বাতাস হলেই ঝরে পড়ছে। এবছর লিচুর ফলন বিপর্যয় ঘটবে।

আম ব্যবসায়ি হেমায়েতপুরের আনারুল বলেন, গাছে মুকুল আসার সাথে সাথে মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকার অন্ততঃ ২০ বিঘা জমির আমবাগান ও ১০ বিঘা জমির লিচুর বাগান কিনেছেন। দুই বছরের জন্য বাগান কিনতে হয়। গেল বছর মুকুল এসেছিল কিন্তু ঝড়ে আম পড়ে যাওয়ায় বেশ লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছিল। এবছর সেই লোকসান পুসিয়ে নেয়ার আশায় বিভিন্ন ধরনের বালাই নাশক স্প্রে করেছি। কিন্তু আমের তেম মুকুল না আসলেও লিচু গাছে ব্যাপক মুকুল এেিসছল। তাপদাহে সেই গুটি শুকিয়ে ঝরে যা্েচ্ছ। এর প্রতিকার না পেলে লোকসানে পড়তে হবে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জানান, মেহেরপুর জেলায় এবছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং দীর্ঘদিন থেকেইে অনাবৃষ্টি। এর প্রভাব ফসলের ওপরে পড়ছে। তবে এমন পরিস্থিতি কবে নাগাত সিথিল হবে তা বলা যাচ্ছেনা।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সামসুল আলম বলেন, ‘তীব্র তাপের কারণেই আমের গুটিঝরে যাচ্ছে। কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যেসব বাগানে আম ও লিচুর গুটি ঝরে যাচ্ছে, বিকেলের দিকে পরিমিত মাত্রায় বোরন স্প্রে করলে গুটি ঝরা রোধ করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু তাপমাত্রা বেশি তাই গাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে। তাহলে গুটিঝরা রোধ হয়ে যাবে। এতে কিছুটা হলেও উপকার পাওয়া যাবে । এছাড়াও নিয়মিত সেচ দেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।




গাংনীতে একটি পরিবারকে অবরোধ করে রাখার অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামে দুই ডাব চুরির অপরাধে লিমন হোসেন (১৬) ও বকুল হোসেন (১৬) নামের দুই কিশোরকে আটকের জের ধরে সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আলী (৭০) ও তার স্ত্রী মহাসিনা বেগমকে (৬৫) মারধর করেছে। শুধু মারধরই নয়, পুরো পরিবারকে অবরোধ করে রেখেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ৯৯৯ কল দিলে গাংনী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আলিমুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত লিমন ও বকুলকে নিয়ে আসেন। পরে অজ্ঞাত কারনে ওই রাতেই তাদের ছেড়ে দেন। ছাড়া পাবার পর গৃহকর্তা জাফর, তার স্ত্রী মহাসিনা বেগমকে মারধর ও বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে হামলা চালাই।

গৃহকর্তা জাফর জানান, জোড়পুকুরিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বাবুর ছেলে লিমন হোসেন ও আতাউল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেন গত রবিবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে ওই বাড়ির প্রাচীর টপকে ডাব চুরি করে।

এসময় প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক, জাকির হোসেন, মিজানসহ অন্যান্যরা তাদের দেখে ফেলেন। এসময় কিশোর লিমন হোসেন ও বকুল হোসেনকে আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে লিমনের বাবা জাহাঙ্গীর আলম ও বকুল হোসেনের পিতা আতাউল ইসলাম ওই বাড়িতে প্রবেশ করে নানাভাবে হুমকী ধামকী দেন। এছাড়া গৃহকর্তা জাফরকে হামলা চালিয়ে মারধর করেন। এছাড়া হ্যামার দিয়ে ঘরের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে গাংনী থানার এসআই আলিমুল সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত দুজনকে হেফাজতে নেন। এসআই আলিমুল অভিযুক্তদের থানায় না নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দীন আহম্মেদের হাতে জিম্মায় রাখেন। যখন চাইবে তখন উপস্থিত করবে এই শর্ত।

আজ সোমবার সকালে জাফরের স্ত্রী মহাসিনা বেগম পাড়ার একটি দোকানো কিছু বাজার করতে গেলে লিমনের মা লতা খাতুন ও তার শাশুড়ি আমপারা খাতুন তাকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ কেরেন তিনি। শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি, জাফরের পরিবারের কোনো সদস্যকে বাড়ির বাইরে যেতে দেবেনা বলেও হুমকী ধামকি দিচ্ছেন লিমনের পিতা জাহাঙ্গীর আলম।

এ ব্যাপারে গাংনী থানার এসআই আলিমুল জানান, ভুক্তভোগী পরিবারকে সকালে থানায় এসে লিখিত দেওয়ার করা বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তা দেইনি। আমরা এইজন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। আইনগত ব্যবস্থা নিতে হলে তো ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগ থাকতে হবে।




দামুড়হুদায় বাল্যবিবাহ দেওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা

দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামে বাল্যবিবাহ দেয়ায় কিশোরী কনের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ সোমবার বিকাল ৫টার দিকে জুড়ানপুর গ্রামের মাঝের পাড়ায় এঘটনা ঘটে। দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস জানান, জুড়ানপুর গ্রামের মাঝের পাড়ার আরুল এর ১৭ বছর বয়সী কন্যাকে বাস্তপুর গ্রামে বাল্যবিবাহ প্রদান করেন।

ঘটনা জানাজানি হলে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতার নির্দেশনায় দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন । এসময় ২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী কন্যার বাবা আরুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পাশাপাশি মেয়ের বাবার কাছ থেকে লিখিত আকারে মুচলেকা নেন। এতে বলা হয় মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ে তার বাবার বাড়িতেই থাকবেন,শশুর বাড়িতে থাকবেনা। এবং ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বর তাকে নিয়ে যেতে পারবেন। যদি এই আদেশ অমান্য করে তবে সংবিধানের আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে বলে এই মর্মে নির্দেশনা দেয়া হয়। এসময় দামুড়হুদা মডেল থানার উপপরিদর্শক নায়েব আলীর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা মোবাইল কোর্ট এ সহযোগীতা করেন।