কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকারের নামাজ আদায়

অসহনীয় তাপদাহে পুড়ছে দেশ। তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য আহাজারি করছে কুষ্টিয়াবাসী। বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইস্তিসকারের নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ খেলার মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়। বিশেষ দোয়াতে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদের পাপের জন্য অনুতপ্ত ও ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য আহাজারি করে মুসল্লিরা।

এতে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

নামাজ ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাদ্দিস শারাফাত হোসাইন।

সকালে সরকারী কলেজ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, নানা বয়সী মানুষ মাঠে হাজির হয়েছেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ পড়েন সবাই। নামাজের খুতবা পাঠ শেষে দুই হাত তুলে সবাই প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাপ ও খরা থেকে বাঁচতে এবং বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করেন। মোনাজাতে ইমাম ও মুসল্লিদের অঝোরে কাঁদতে দেখা গেছে।

আয়োজনকারী আলেক চাঁদ জানান, পানির জন্য মানুষ, পশু-পাখি সবারই হাহাকার। রহমতের বৃষ্টির আশায় নামাজের জন্য কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে তীব্র তাপদহ ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে প্রার্থনা স্বরূপ ছালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায়ের অনুমতি নিয়ে এখানে নামাজের ব্যবস্থা করেছি। শহেরর প্রায় পাঁচ শতাধিক মুসল্লী এতে অংশ নেয়।

মাওলানা মুহাদ্দিস শারাফাত হোসাইন বলেন, “মানুষের পাপের কারণে মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ইসতিসকার নামাজ তিন দিন আদায় করা সুন্নত।

আগামীকাল সকালে কুষ্টিয়ার মিলপাড়া জামে মসজিদ প্রঙ্গনে বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইস্তিসকার নামাজের আহবান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত,কালবৈশাখীর মৌসুমেও প্রায় এক মাস বৃষ্টির দেখা নেই। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না অগভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে উঠছে। রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ফসল ।

নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। তবে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই পূর্বাভাসে।




কোটচাঁদপুরে দুইটি ডিপ টিউবওয়েলের সেকশন পাইপ কেটে দিয়েছেন দূর্বৃত্তরা

কোটচাঁদপুরে দুইটি ডিপ টিউবওয়েলের সেকশন পাইপ কেটে দিয়েছেন দূর্বৃত্তরা। ফসলের জমিতে সেচ দিতে না পারায় বে-কায়দায় পড়েছেন ৩ শতাধিক চাষি। এ ব্যাপারে থানায় জিডি হলেও কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশ ভুক্তভোগীরা।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গেল ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বৃহত্তর খুলনা- যশোর জেলা ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কোটচাঁদপুরের সিঙ্গিয়া কৃষি মোর্চা র অধিনে দুইটি ডিপ টিউবওয়েল নির্মান করা হয়। যার মধ্যে একটি মুঞ্জিতলার মাঠে, অন্যটি ভিয়াতলার মাঠে।

এ দুই ডিপ টিউবওয়েলের আওতায় ৩৮০ জন চাষি রয়েছে। চাষ হয় ৪৫০ বিঘা জমিতে। ওই দুই ডিপ টিউবওয়েলের সেকশন পাইপ গেল ২০ এপ্রিল প্রকাশ্যে দিবালোকে দূর্বৃত্তরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কৃষি মোর্চার ম্যানেজার শিমুল হোসেন।

তিনি বলেন,৬ বছর আগে এ দুই মাঠে কোন জমিতে ভাল ফসল হত না। ডিপ দুইটি নির্মানের পর থেকে ৪৫৯ বিঘা জমিতে ধান সহ বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ শুরু হয়েছে। গেল ২০ এপ্রিল সকালে ডিপ চলাকালে দূর্বৃত্তদের কে বা কাহারা পাইপ দুইটি কেটে দেন। এতে করে ইরি মৌসুমের ধান মানুষের ঘরে উঠা নিয়ে সংঙ্গা প্রকাশ করেছেন।

তিনি আরো বলেন,বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছি। ওনাদের কথা মত জিডি করা হয়েছে কোটচাঁদপুর থানায়। এদিকে ঘটনার ৫ দিন পার হয়ে গেলেও কোন প্রতিকার মেলেনি।

অন্যদিকে চাষিরা ফসলে সেচ দিতে না পেরে চিন্তার ভাজ পড়েছে তাদের কপালে। ঘটনার দ্রুত তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যত্তিদের নিকট।

ওই গ্রামের চাষি নাজমুল হোসেন,আরিফ হোসেন, দিপক হালদার বলেন, আর মাত্র দুইটি সেচ দিতে পারলেই ঘরে ফসল ঘরে উঠতো। এই শেষ সময় ধানে সেচ না দিতে পারলে সব জমির ধান চিটে হয়ে যাবে। এই ধান না পেলে আমাদের না খেয়ে মরা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। তারা ওই ঘটনার সুষ্টু তদন্তপূর্বক বিচারেরও দাবি জানিয়েছেন। সাথে দ্রুত ডিপ টিউবওয়েল মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান বলেন,বিষয়টি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের। আপনারা ওই বিভাগের কোটচাঁদপুর কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। যা করার ওনারা করবেন। আমি শোনার পর লোকালি যতটুকু করার করেছি।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন কোটচাঁদপুর ইউনিটের উপসহকারী প্রকৌশলী এস এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন,ঘটনাটি শোনার পর শিমুলকে দিয়ে থানায় অজ্ঞাত নামে জিডি করা হয়েছে।

এ ছাড়া চাষিদের সেচের দিক বিবেচনা করে ইতোমধ্যে একটি সেকশন পাইপ ব্যবস্থা করে একটা মটর চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন,বিষয়টি নিয়ে আমি ইউনিয়ন স্যারসহ আমার উপরি মহলকে অবহিত করা হয়েছে।

কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামুন বলেন,ওই ঘটনায় জিডি হয়েছে। বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে। তদন্তের পর বলা যাবে কি অবস্থা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন, এ ব্যাপারে মাসিক সমন্বয় সভায় কথা হয়েছে। এ ছাড়া থানায় এজাহার দিতে বলা হয়েছে। এজাহার হলে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।

তিনি বলেন, আপনারা বিষয়টি নিয়ে কৃষি কর্মকর্তা ও বিএডিসি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। কাজটা মূলত ওনাদের। ওনারা ভাল বলতে পারবেন।




ঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইস্তিসকারের নামাজ আদায়

ঝিনাইদহে রোদ আর তীব্র তাপদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। কমছেই না তাপমাত্রার পারদ উল্টো দিন দিন বাড়ছে গরম আর তাপদাহ। বৃষ্টির আশায় প্রহর গুনছে মানুষ।

এ অবস্থায় বৃষ্টির আশায় ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছেন ঝিনাইদহের মুসল্লীরা। সকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল মাঠে জেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কয়েক’শ মুসল্লী অংশ নেয়। নামাজের ইমামতি করেন শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব শায়েখ মুহাম্মদ সাঈদুর রহমান। নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এ সময় মুসল্লীরা কেঁদে কেঁদে আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে ঝিনাইদহ তথা পুরো বাংলাদেশে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন।
নামাজ শেষে শায়েখ মুহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। আর চাওয়াকে আরবিতে সালাতুল ইস্তিসকার বলা হয় অর্থাৎ পানির জন্য দোয়া করা।

তিনি আরও বলেন, রাসুল (সাঃ) এই নামাজের সময় তার দু-হাত উল্টে মোনাজাত করতেন । তার মানে তিনি পরিস্থিতির পরিবর্তন চাচ্ছেন। আমরাও উনার মতো করে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করেছি।




কুষ্টিয়ার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, আটক- ৫

কুষ্টিয়ার মিরপুরে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে নদী থেকে নৌকা ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনের সময় নৌ পুলিশের বিশেষ অভিযানে একটি নৌকা ও একটি ড্রেজার সহ আটক হয়েছেন ৫ বালি উত্তোলনকারীচক্রের সদস্য।

গতকাল মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া থেকে রূপপুর নৌ পুলিশের বিশেষ একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন। এ সময় নৌকার মাঝি-মাল্লাসহ একটি লোডিং ড্রেজার এবং একটি বালি টানার কারগো /নৌকা আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলার তালবারিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ ফারুক মাঝি (৫৫), মোঃ সজিব, মোহাম্মদ আলতাফ (৩৫), মোঃ সাবদুল(৩৫) এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামার উপজেলার মসলেমপুর গ্রামের মোঃ মামুন (২৫)।

অভিযান পরিচালনাকারী এসআই জামাল জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে বালি মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা করা হয়েছে।




মেহেরপুরে পৃথক অভিযানে ১৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই জন আটক

মেহেরপুর সদর ও গাংনীতে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

মঙ্গলবার রাত পোনে ৯টার দিকে মেহেরপুর ডিবি পুলিশের এস আই মহসিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সদর উপজেলা কামদেবপুর গ্রামের হঠাৎপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ১০০ বোতল ফেনসিডিলসহ লিয়াকত আলীর ছেলে গাফফার কে আটক করে।

অপরদিকে, বিকালে ডিবির এস আই আশরাফুল ইসলাম গাংনী উপজেলার তেরাইল পশ্চিমপাড়া কবরস্থানের নিকট অভিযান চালিয়ে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহজাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।

আটক জাহাঙ্গীর হোসেন সহরাডাঙ্গা গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে।

আটক আসামীদের বিরুদ্ধে সদর ও গাংনী থানায় পৃথক মামলা দায়ের করে থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।




দামুড়হুদায় পাওয়ারটিলার থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু

দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুর থেকে ঢালায় কাজ শেষ করে পাওয়ারটিলার যোগে বাড়ি ফেরার পথে মোক্তারপুর গোরস্তানের নামক স্থানে ঢালাই মেশিন থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত হয়েছে। নিহত মাহাবুর (৩৫) কোমরপুর গ্রামের বাবু খাবলির ছেলে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে মোক্তারপুর গোরস্তানের সামনে থেকে ঢালাই মেশিন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়।

জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের বাবু খাবলির ছেলে মাহাবুর প্রতিদিনের ন্যায় পীরপুর ঢালায়ের কাজ করতে যায়। ঢালায় কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে মোক্তারপুর গোরস্তানের সামনে থেকে ঘুমের ঘোরে ঢালাই মেশিন থেকে পড়ে যায়।

পরে স্থানীয় দের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।




গাংনীর তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নারী সদস্যের অভিযোগের প্রতিবাদে ১১ মেম্বরের প্রতিবাদ

গাংনী উপজেলায় তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সংরক্ষিত নারী সদস্যের লিখিত অভিযোগের প্রতিিাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন ওই ইউনিয়নের ১১ মেম্বর।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে মেম্বরদের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আঃ ওহাব।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গতকাল সোমবার গাংনীর তিনটি অনলাইন পেইজ (ফেসবুকে) তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪,৫,৬, নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য দিপালী খাতুন চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাসের বিভিন্ন কাজের অনিয়ম তুলে ধরে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেন। একটি লিখিত অভিযোগ গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিভিন্ন দফতরসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে দেন। তারই প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আমরা ১১ ইউপি সদস্য তার মিথ্যা অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। ২ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যসহ ১১ জন সদস্য যেখানে এক সাথে কাজ করছি। সেখানে একজন ব্যক্তি নিজের কাজের অনিয়ম ঢাকতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এই সংবাদ সম্মেলন ও মিথ্যা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তারা আরো বলেন, ইউপি সদস্য দিপালী খাতুন প্রায় সময় ইউনিয়ন পরিষদে কম আসেন। পরিষদে আসলেও ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সদস্য ও চেয়ারম্যানের সাথে বিভাজন সৃষ্টি করেন। মাঝে মাঝে অন্যান্য মেম্বরদের সাথে অসাদাচারণ করার পাশাপাশি অশ্রাব্য ভাষায় গালগালিজ দিয়ে থাকেন। তার উগ্র আচরণের কারণে কেউ তার সাথে কথা বলতে চাননা।

চেয়ারম্যান নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে আনিত এলজিএসপি’র প্রকল্পে দূর্ণীতি, স্বজন প্রীতি, ওয়ান পার্সেন্টের হিসাব না দেওয়াসহ পরিষদের অন্যান্য বরাদ্দ আত্মসাৎ প্রসঙ্গে তারা বলেন, সকল ধরণের বরাদ্দ মেম্বর ও অফিসের সহকারিদের সমন্বয়ে আলাপ আলোচনা করে গ্রহণ করা হয়।




মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

আসন্ন মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিস মিলনায়তনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার মো: ওয়ালি উল্লাহ প্রতীক বরাদ্দ দেন। এসময় মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার দোলন কান্তিসহ প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান (ঘোড়া) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন (কাপ পিরিচ), আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) এবং মোঃ হাসেম আলী (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম (চশমা) ও মোহাম্মদ শাহিন (টিউবওয়েল), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপচেলা চেয়ারম্যান লতিফন নেছা লতা (বৈদ্যুতিক পাখা ), সামিউন বাশিরা পলি (হাঁস) এবং রোমানা আহমেদ (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু (আনারস), উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য কামরুল হাসান চাদুঁ (ঘোড়া), রফিকুল ইসলাম (কাপ পিরিচ) এবং মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বিএম জাহিদ হাসান (টিউবওয়েল) ও মতিউর রহমান (চশমা), মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন (ফুটবল) ও যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী তকলিমা খাতুন (কলস) প্রতীক পান।

আগামী ৮ মে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।




গাংনীতে পিএসকেএসের কৃষি পরামর্শ সভা ও উপকরণ বিতরণ

গাংনীর পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)-এর সমন্বিত কৃষি ইউনিট এর কৃষি খাতের আওতায় কৃষি পরামর্শ কেন্দ্রের আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার(২৩ এপ্রিল) সকালে উক্ত পরামর্শ কেন্দ্র পরামর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনীর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃৃষিবিদ মোঃ ইমরান হোসেন। বর্তমান সময়ে ধানের অবস্থা আম ও লিচুর মুকুলের ব্যবস্থাপনা আলোচনা করা হয়।

এসময় উপকারভোগীদেরকে উক্ত উপকরণ প্রদানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসহ কিভাবে এর রক্ষণাবেক্ষন করতে হবে সে সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয় । উপকরণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন পিএসকেএস এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সকল কর্মকর্তাগণ ।




কুষ্টিয়ায় শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ছাতা, পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

তীব্র দাবদাহে কুষ্টিয়ার মানুষের জীবন বিপর্যস্ত প্রায়। গরমে মানুষ হাপিত্যেশ অবস্থায় আছেন। মৌসুমের বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় সর্বত্রে ভ্যাপসা গরম বিরাজ করছে। এতে করে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলেও খুব ঘামতে দেখা যাচ্ছে। রোদের তীব্রতা বেশি হওয়ায় খুব অল্পতেই মানুষ হয়রান হয়ে যাচ্ছে। ফলে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে।

কুষ্টিয়ায় শ্রমজীবী ও রিকশা-ভ্যান চালকদের মাঝে মাথার ছাতা ও হাতে বিনামূল্যে পানির বোতল এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের থানা ট্রাফিক মোড়ে দুই শতাধিক শ্রমজীবী ও রিকশা-ভ্যান চালকদের মাঝে এসব তুলে দেন ‘স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

‘স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা’ সংগঠনের সভাপতি সাদিক হাসান রহিদ এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের উপদেষ্টা, সাংবাদিক এসএম জামাল এর পরিচালনায় এ কার্যক্রমে অংশ নেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো: সোহেল রানা, খেয়া রেস্তোরাঁর জেনারেল ম্যানেজার সাইদুল বারী টুটুলসহ সংগঠনের সদস্য রুম্পা, চমক, সাব্বির, তানজিল, রাহুল ওবাইদুলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এমন মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো: সোহেল রানা বলেন, প্রচণ্ড গরমে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত তখন কুষ্টিয়ার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা শহরের মধ্যে রিকশা-ভ্যান চালকদের মাথার ছাতা, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য পানির বোতল ও খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এটা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এতে করে গরমে খেটে খাওয়া মানুষকে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করার ফলে অনেক সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এভাবেই আরও অনেক সংগঠন এবং বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

সংগঠনটির সভাপতি সাদিক হাসান রহিদ বলেন, এবারে তীব্র তাপদাহে শহরের পথচারী, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। চিকিৎসকরা এই গরমে বেশি বেশি পানি পান করতে উপদেশ দিচ্ছেন। পথে চলাচলের সময় পানির সংকট চোখে পড়ে। তাই সংগঠন থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের খাবার পানির বোতল, খাবার স্যালাইনসহ চালকদের মাঝে মাথার ছাতা বিতরণ করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যহত রাখবো বলেও জানান তিনি।

সংঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, তীব্র তাপদাহের কারণে নিজেদের অর্থায়নে আজকে এই আয়োজন করা হয়েছে। গরমে এ মৌসুমে তাপদাহ যতদিন প্রবাহমান থাকবে ততদিন তারা আরও নতুন নতুন উদ্যোগ হাতে নেবেন।

এদিকে মঙ্গলবারও দেশজুড়ে ব্যাপক তাপদাহ রয়েছে। কুষ্টিয়াসহ দেশজুড়ে বয়ে চলা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমের তীব্রতা বাড়ায় শনিবার (২০ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে জারি করা হয় তিনদিনের হিট অ্যালার্ট। তবে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা না থাকায় হিট অ্যালার্টের সময়সীমা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।