কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকারের নামাজ আদায়
অসহনীয় তাপদাহে পুড়ছে দেশ। তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য আহাজারি করছে কুষ্টিয়াবাসী। বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইস্তিসকারের নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ খেলার মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়। বিশেষ দোয়াতে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদের পাপের জন্য অনুতপ্ত ও ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য আহাজারি করে মুসল্লিরা।
এতে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
নামাজ ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাদ্দিস শারাফাত হোসাইন।
সকালে সরকারী কলেজ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, নানা বয়সী মানুষ মাঠে হাজির হয়েছেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ পড়েন সবাই। নামাজের খুতবা পাঠ শেষে দুই হাত তুলে সবাই প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাপ ও খরা থেকে বাঁচতে এবং বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করেন। মোনাজাতে ইমাম ও মুসল্লিদের অঝোরে কাঁদতে দেখা গেছে।
আয়োজনকারী আলেক চাঁদ জানান, পানির জন্য মানুষ, পশু-পাখি সবারই হাহাকার। রহমতের বৃষ্টির আশায় নামাজের জন্য কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে তীব্র তাপদহ ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে প্রার্থনা স্বরূপ ছালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায়ের অনুমতি নিয়ে এখানে নামাজের ব্যবস্থা করেছি। শহেরর প্রায় পাঁচ শতাধিক মুসল্লী এতে অংশ নেয়।
মাওলানা মুহাদ্দিস শারাফাত হোসাইন বলেন, “মানুষের পাপের কারণে মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ইসতিসকার নামাজ তিন দিন আদায় করা সুন্নত।
আগামীকাল সকালে কুষ্টিয়ার মিলপাড়া জামে মসজিদ প্রঙ্গনে বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইস্তিসকার নামাজের আহবান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত,কালবৈশাখীর মৌসুমেও প্রায় এক মাস বৃষ্টির দেখা নেই। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না অগভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে উঠছে। রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ফসল ।
নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। তবে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই পূর্বাভাসে।