মেহেরপুরে তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে আম-লিচুর গুটি

তীব্র তাপপ্রবাহ ও অতিখরায় পুড়ছে মেহেরপুর। অসহনীয় গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মানুষসহ প্রাণীকুল। শুধুমাত্র মানুষ ও প্রাণিকুলই নয়, তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে ফসলের উপর।

তীব্র তাপের কারণে বোটার রস শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি। সু-স্বাদু লিচু ও আমের জন্য বিখ্যাত মেহেরপুর হলেও এবছর আম ও লিচুর মুকুল এসছে। সে মুকুল এখন পরিনত হয়েছে গুটি আকৃতিতে। মুকুল থেকে গুটি আসার সময় অনাবৃষ্টি আর তাপদাহের কারনে পুড়ে যাচ্ছে লিচু ও আমের মুকুল। সেই সঙ্গে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি।

আরো পড়ুন: গাংনীতে টিউবওয়েলে উঠছে না পানি!

প্রাকৃতিক এই বিরুপ আচরনে চরম দুশ্চিন্তায় জেলার লিচু ও আম চাষিরা। এঅবস্থায় লিচু আর আম বাগানে সেচসহ বিভিন্ন পরিচর্যা করে গাছের লিচু ও আমের গুটি রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বাগান মালিকরা। কৃষি বিভাগ বলছেন, আবহাওয়ার প্রতিকুলতার মোকাবিলা করে গাছের গুটি রক্ষায় চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলরা কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ি, জেলায় লিচুর বাগান রয়েছে ৮০০ হেক্টর জমিতে। এসকল বাগানে ,আটি লিচু,বোম্বাই,চিলি বোম্বাই,আতা বোম্বাই ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু উৎপাদন হয়ে থাকে। চলতি বছরে জেলায় সাড়ে ৮ হাজার টন লিচুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে অধিক মুনাফা আয় করার আশায় বুক বেঁধেছেন বাগান মালিকরা। কিন্তু গুটি ঝরতে শুরু করায় চাষিদের কপালে এখন চিন্তারভাজ।

এবং আমের বাগান রয়েছে ৩ হাজার ৩৩৬ হেক্টর আম বাগান রয়েছে। গেলো বছর উক্ত বাগানের উৎপাদিত ৪১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন আাম উৎপাদন হয়েছিল। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় ব্যপক চাহিদা পুরুন করা হযেছে। একই সাথে ইউরেরাপের বিভিন্ন দেশেও মেহেরপুরের আম রপপ্তানি করে অধিক মুনাফা আয় করেছেন আম বাগান মালিকরা। ল্যাংড়া, বোম্বাই, হিমসাগর, ফজলী, আম্রপালী, গোপালভোগ, হাড়িভাঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি জাতের আম বাগান রয়েছে। মেহেরপুরের আম ও লিচু জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও প্রতি বছর পাঠানো হয় আম ও লিচু। এ দুটি মৌসুমি ফল বিদেশে রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় হলেও এবছর উৎপাদনে পড়েছে ভাটা।

মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের চাষি আব্দুল মান্নান বলেন, নিজ মাঠে তার ২ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আমবাগান রয়েছে। এ বছর দীর্ঘমেয়াদী শীত ও ঠান্ডা হওয়ায় আম বাগানে এখনো মুকুল আসেনি। আবশেষে কয়েকটি গাছে মুকুল এসে গুটিতে পরিনত হয়েছে। কিন্তু অতিমাত্রায় রোদের কারনে প্রতিনিয়ত গুটি ঝরে পড়ছে। কিৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী বাগানে সেচ দিচ্ছি এবং ওষুধ স্প্রে করলেও তাতে উপকারর হচ্ছেনা।

মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া গ্রামের লিচু বাগান মালিক তোজাম্মেল হক জানান, সাড়ে তিন বিঘা জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। বাগানে আগাম জাতের আটি লিচু রয়েছে দেড় বিঘা। আটি লিচু গাছের ডগায় ডগায় মুকুলে ছেয়ে গেছে। বাকি জমিতে রয়েছে আতা বোম্বাই লিচুর গাছ। সেগুলিতেও মুকুল দেখা দিয়েছে। কিন্তু সব গাছেই এখন লিচুর গুটি। গুটি গুলোর ডগা শুকিয়ে যাচ্ছে এবং একটু বাতাস হলেই ঝরে পড়ছে। এবছর লিচুর ফলন বিপর্যয় ঘটবে।

আম ব্যবসায়ি হেমায়েতপুরের আনারুল বলেন, গাছে মুকুল আসার সাথে সাথে মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকার অন্ততঃ ২০ বিঘা জমির আমবাগান ও ১০ বিঘা জমির লিচুর বাগান কিনেছেন। দুই বছরের জন্য বাগান কিনতে হয়। গেল বছর মুকুল এসেছিল কিন্তু ঝড়ে আম পড়ে যাওয়ায় বেশ লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছিল। এবছর সেই লোকসান পুসিয়ে নেয়ার আশায় বিভিন্ন ধরনের বালাই নাশক স্প্রে করেছি। কিন্তু আমের তেম মুকুল না আসলেও লিচু গাছে ব্যাপক মুকুল এেিসছল। তাপদাহে সেই গুটি শুকিয়ে ঝরে যা্েচ্ছ। এর প্রতিকার না পেলে লোকসানে পড়তে হবে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জানান, মেহেরপুর জেলায় এবছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং দীর্ঘদিন থেকেইে অনাবৃষ্টি। এর প্রভাব ফসলের ওপরে পড়ছে। তবে এমন পরিস্থিতি কবে নাগাত সিথিল হবে তা বলা যাচ্ছেনা।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সামসুল আলম বলেন, ‘তীব্র তাপের কারণেই আমের গুটিঝরে যাচ্ছে। কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যেসব বাগানে আম ও লিচুর গুটি ঝরে যাচ্ছে, বিকেলের দিকে পরিমিত মাত্রায় বোরন স্প্রে করলে গুটি ঝরা রোধ করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু তাপমাত্রা বেশি তাই গাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে। তাহলে গুটিঝরা রোধ হয়ে যাবে। এতে কিছুটা হলেও উপকার পাওয়া যাবে । এছাড়াও নিয়মিত সেচ দেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।




গাংনীতে একটি পরিবারকে অবরোধ করে রাখার অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামে দুই ডাব চুরির অপরাধে লিমন হোসেন (১৬) ও বকুল হোসেন (১৬) নামের দুই কিশোরকে আটকের জের ধরে সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আলী (৭০) ও তার স্ত্রী মহাসিনা বেগমকে (৬৫) মারধর করেছে। শুধু মারধরই নয়, পুরো পরিবারকে অবরোধ করে রেখেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ৯৯৯ কল দিলে গাংনী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আলিমুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত লিমন ও বকুলকে নিয়ে আসেন। পরে অজ্ঞাত কারনে ওই রাতেই তাদের ছেড়ে দেন। ছাড়া পাবার পর গৃহকর্তা জাফর, তার স্ত্রী মহাসিনা বেগমকে মারধর ও বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে হামলা চালাই।

গৃহকর্তা জাফর জানান, জোড়পুকুরিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বাবুর ছেলে লিমন হোসেন ও আতাউল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেন গত রবিবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে ওই বাড়ির প্রাচীর টপকে ডাব চুরি করে।

এসময় প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক, জাকির হোসেন, মিজানসহ অন্যান্যরা তাদের দেখে ফেলেন। এসময় কিশোর লিমন হোসেন ও বকুল হোসেনকে আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে লিমনের বাবা জাহাঙ্গীর আলম ও বকুল হোসেনের পিতা আতাউল ইসলাম ওই বাড়িতে প্রবেশ করে নানাভাবে হুমকী ধামকী দেন। এছাড়া গৃহকর্তা জাফরকে হামলা চালিয়ে মারধর করেন। এছাড়া হ্যামার দিয়ে ঘরের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে গাংনী থানার এসআই আলিমুল সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত দুজনকে হেফাজতে নেন। এসআই আলিমুল অভিযুক্তদের থানায় না নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দীন আহম্মেদের হাতে জিম্মায় রাখেন। যখন চাইবে তখন উপস্থিত করবে এই শর্ত।

আজ সোমবার সকালে জাফরের স্ত্রী মহাসিনা বেগম পাড়ার একটি দোকানো কিছু বাজার করতে গেলে লিমনের মা লতা খাতুন ও তার শাশুড়ি আমপারা খাতুন তাকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ কেরেন তিনি। শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি, জাফরের পরিবারের কোনো সদস্যকে বাড়ির বাইরে যেতে দেবেনা বলেও হুমকী ধামকি দিচ্ছেন লিমনের পিতা জাহাঙ্গীর আলম।

এ ব্যাপারে গাংনী থানার এসআই আলিমুল জানান, ভুক্তভোগী পরিবারকে সকালে থানায় এসে লিখিত দেওয়ার করা বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তা দেইনি। আমরা এইজন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। আইনগত ব্যবস্থা নিতে হলে তো ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগ থাকতে হবে।




দামুড়হুদায় বাল্যবিবাহ দেওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা

দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামে বাল্যবিবাহ দেয়ায় কিশোরী কনের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ সোমবার বিকাল ৫টার দিকে জুড়ানপুর গ্রামের মাঝের পাড়ায় এঘটনা ঘটে। দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস জানান, জুড়ানপুর গ্রামের মাঝের পাড়ার আরুল এর ১৭ বছর বয়সী কন্যাকে বাস্তপুর গ্রামে বাল্যবিবাহ প্রদান করেন।

ঘটনা জানাজানি হলে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতার নির্দেশনায় দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন । এসময় ২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী কন্যার বাবা আরুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পাশাপাশি মেয়ের বাবার কাছ থেকে লিখিত আকারে মুচলেকা নেন। এতে বলা হয় মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ে তার বাবার বাড়িতেই থাকবেন,শশুর বাড়িতে থাকবেনা। এবং ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বর তাকে নিয়ে যেতে পারবেন। যদি এই আদেশ অমান্য করে তবে সংবিধানের আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে বলে এই মর্মে নির্দেশনা দেয়া হয়। এসময় দামুড়হুদা মডেল থানার উপপরিদর্শক নায়েব আলীর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা মোবাইল কোর্ট এ সহযোগীতা করেন।




আলমডাঙ্গায় দুর্গন্ধে মিলল নিখোঁজ নারীর অর্ধগলিত লাশ

নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিন পর নিথরি খাতুন (৫৩) নামে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা ৩ টার দিকে উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত পুকুর পাড় থেকে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানা-পুলিশ।

নিহত নিথরি খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের দুর্গাপুর এলাকার মো. আব্দুল জলিলের স্ত্রী। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে নিথরি খাতুনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ৬ দিন অতিক্রম হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) না করে তাঁরা আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে।আজ দুপুর আড়াইটার দিকে এলাকাবাসী বাতাসে দুর্গন্ধ পায়। পরে পুকুরের একটি গাছে এক নারীর গলায় ফাঁস লাগানো অর্ধগলিত লাশ দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এদিকে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে নিথরি খাতুনের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসে লাশটি নিখোঁজ নিথরি খাতুনের বলে শনাক্ত করেন।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ওই নারীর লাশটি অর্ধগলিত ছিল। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় ‘হিট স্ট্রোকে’ দুই নারীর মৃত্যু

আলমডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহে এক ঘণ্টার ব্যবধানে হিট স্ট্রোকে ২ নারীর মৃত্যু হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় স্বামীর জন্য মাঠে ভাত নিয়ে যাওয়ার সময় আশুরা খাতুন (২৫) ও সকাল সাড়ে ১০ টায় আয়েশা বেগম (৭০) মারা যান। তাঁরা দুজনই আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের বেগুয়ারখালী গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের বেগুয়ারখালী গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন সকালে কৃষি কাজে মাঠে যান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর স্ত্রী আশুরা খাতুন স্বামীর জন্য মাঠে ভাত নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় স্বামীর ক্ষেত পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই জমির আইলে আশুরা খাতুন মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যান। মাঠে উপস্থিত কৃষকেরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের নিকট নেবার আগেই তিনি মারা যান।

এদিকে আশুরা খাতুনের মৃত্যুর এক ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০ টায় একই গ্রামের আক্কাস আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগম মারা যান। ক’দিনের তীব্র গরমে তিনি হাঁসফাঁস করছিলেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্রাম্য চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, গত চার দিনের তীব্র গরমে আয়েশা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার সকালে তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে কষ্ট হলে পরিবারের সদস্যরা তাঁর নিকট চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। তিনি আসার আগেই আয়েশার মৃত্যু হয়। দুজনই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে দাবি তাঁর।

গত কয়েক দিন ধরে পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তাপপ্রবাহ। সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপদাহের কারণে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। তবে কাজের প্রয়োজনে অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন এই তীব্র গরমের ভেতর ঘরের বাইরে যেতে।




মুজিবনগরে ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

মুজিবনগর এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মুজিবনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের সামনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী পাঁচ দিনে দশ লক্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আওতায় মুজিবনগরে উপজেলা ছাত্রলীগ উপজেলায় ১ হাজার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে।

মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমাম হোসেন ইমন এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী স্বপন, সহ-সভাপতি ইশতিয়াক হোসেন লিমন, ওমর শরীফ উৎসর্গ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম খন্দকার সহ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।

এ সময় মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে কয়েকটি ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করার মাধ্যম দিয়ে বৃক্ষ করছে কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।




গাংনীর নিত্যনন্দপুর গ্রামকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা

বাল্য বিবাহ একটি অভিসাপ। বাল্য বিয়ের ফলে আমরা আগামীতে যেমন একটি পুস্টিহিন জাতী পাবো, তেমনী হারাবো আমাদের আদরের সন্তানকে। তাই পিতা মাতা তাদের সন্তানকে মৃত্যুর কোলে তুলে দিতে চাননা। সচেতন হয়েছেন অভিভাবকরা। সরকারি এবং বেসরকারী উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করছে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সহযাগীতায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও গ্রাম উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে এই গ্রামটিতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। এরফলেই সচেতন হয়ে উঠছেন এলাকার অভিভাবকরা। এজন্যই বিগত ৫/৬ বছরের ইতিহাসে গাংনী উপজেলার খ্রীষ্টান অধ্যুষত নিত্যনন্দপুর গ্রামে একটিও বাল্য বিয়ে হয়নি।

আজ সোমবার বিকালে (২২ এপ্রিল) বিকালে নিত্যনন্দপুর গ্রামটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাল্যবিয়ে মুক্ত গ্রাম ঘোষণা করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে নিত্যনন্দপুর গ্রামকে শিশুবিবাহ মুক্ত ভিডিটি এলাকা ঘোষণা উপলক্ষে র‌্যালি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

“শিশুবিবাহ বন্ধ করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গাংনী উপজেলার নিত্যনন্দপুর গ্রামের ইউনাইটেড চার্চের সামনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের স্থানীয় নেতা বেঞ্জামিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য গোলাম মোস্তফা।

বিশেষ অতিথিরি বক্তব্য রাখেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর গাংনী অঞ্চলের এরিয়া সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দিন, গাংনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম, সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন।

স্থানীয় নারী নেত্রী হোসনে আরা হাসি মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় চার্চের পুরোহিত মিলন মন্ডল, মিস্টার কাজল মন্ডল, হান্না মন্ডল, সুশি সরকার প্রমুখ। এসময় ধানখোল ইউনিয়নের ইউসি আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সহযোগীয় এই কর্মসূচির আয়োজন করে নিত্যনন্দপুর গ্রাম উন্নয়ন দল, ধানখোলা ইউনিয়ন ইয়ূথ ইউনিট ও ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদ।

এর আগে একটি র্যালী সভাস্থল থেকে শুরু হয়ে কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে।




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে প্রমি এগ্রো ফুডস

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রমি এগ্রো ফুডস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার (ডিএসএম) পদে এই নিয়োগ দেওয়া হবে।

পদের নাম

ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার (ডিএসএম)।

পদসংখ্যা

২০ জন।

যোগ্যতা

প্রার্থীকে স্নাতক পাস হতে হবে।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদনের প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের সময়সীমা

২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সূত্র : বিডিজবস ডটকম




গাংনীতে উত্তম ব্যবস্থাপনায় মাছ চাষে মাঠ দিবস

গাংনীর পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) কর্তৃক সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত মৎস্যখাত এর আওতায় জোড়পুকুরিয়া গ্রামে মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।

উত্তম ব্যবস্থাপনায় অফ- ফ্লেভার মুক্ত পাঙ্গাস এ তেলাপিয়া চাষ প্রযুক্তির ওপর আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে সদস্য পর্যায়ে সচেতনতা ও প্রতিরূপায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সফল খামারীর খামার পরিদর্শনসহ প্রত্যাশিত লাভের হিসাব সরেজমিনে দেখানো হয়।

এ সময় উপস্থিত চাষীদের পুকুরে প্রাথমিক খাদ্য পরীক্ষা, মাছের সাধারণ রোগ-প্রতিকার, মাছ চাষের সাধারণ সমস্যাবলী ও সমাধানসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

এছাড়াও খাদ্য ব্যবস্থাপনায় বিবেচ্য বিষয়সমূহ ও পানি পরীক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। উক্ত কার্যক্রমে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।




দাদাগিরি সারেগামাপা’র শুটিং সেটে আগুন

ওপার বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো দাদাগিরি,দিদি নাম্বার ওয়ান ও সারেগামাপা’র শুটিং সেটে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজারহাটের ডিআরআর স্টুডিওতে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।

জানা যায়, প্রথমে স্টুডিওর একটি মেকআপভ্যানে আগুন লাগে। সেই আগুন পাশের মেকআপভ্যানেও ছড়িয়ে যায়। পাশের একটি টিনশেডেও আগুনের আঁচ যায়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। স্টুডিওতে থাকা লোকজন ও স্থানীয়রা ছুটে যান। খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে।

প্রাথমিকভাবে কয়েকজন পাশের পুকুর থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে দুটি মেকআপভ্যান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ধারণা করা হচ্ছে, মেকআপভ্যানের এসি থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কিভাবে আগুন লেগেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।

এ স্টুডিওতে ‘দাদাগিরি’, ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর শোয়ের শুটিংও হয়। আজ ‘সারেগামাপা’ শোয়ের শুটিং হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু তা বাতিল করা হয়েছে।

সূত্র: যুগান্তর