ঝিনাইদহে ধান ক্ষেতে পচন রোগ, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ফলন কম হওয়ার আশংকা

ঝিনাইদহে মাঠে কৃষকের ধান ক্ষেতে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ফলন কম হওয়ার আশংকা করছে এ জেলার কৃষকরা। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর বৃষ্টির পর ভ্যাপসা গরমের কারনে ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলার গ্রামগুলোর মাঠে কৃষকের ধান ক্ষেতে খোলা পচা রোগ দেখা দিয়েছে। মাঠের পর মাঠ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ধান গাছের পাতা মারা যাচ্ছে। অনেক কৃষকের গোটা জমিতে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিআর-৫১ জাতের ধান ক্ষেতে এই রোগ বেশি দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন এ জেলার কৃষকরা।

কৃষকরা বলছেন, এই রোগের কারনে তাদের ক্ষেতের ধানগাছ ক্রমেই শুকিয়ে আসছে। আগামীতে রোগাক্রান্ত ধান গাছে শীষ বের হবে না। ফলে ধানের উৎপাদন কমে যাবে। এখনই এই রোগ প্রতিরোধ করা না গেলে তারা মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।

আর কৃষি বিভাগ বলছেন, ছত্রাকনাশক স্প্রে করলে এই রোগ অনেকটা প্রতিরোধ করা যায়। তারা কৃষকদের সেভাবেই পরামর্শ দিচ্ছেন।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে, চলতি বছর ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় উপসী জাতের ধান চাষ হয়েছে ৯৬ হাজার ৩০৮ হেক্টর, আর হাইব্রিড ধান চাষ হয়েছে ৮ হাজার ১৮০ হেক্টর। মোট ১ লাখ ৪ হাজার ৪ শত ৮৮হেক্টরে জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এ থেকে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪০৯ মেঃ টন ধান উৎপাদন হবার কথা।

কৃষি বিভাগ এই লক্ষ্যমাত্র নিলেও টানা বৃষ্ঠিতে ১১০ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ৬ শত মেঃ টন ধান কম উৎপাদন হবে। এরপর দেখা দিয়েছে খোল পচা রোগ। এই রোগেও ফলন আরো অনেকটা কম হবে বলে কৃষকরা আশংকা করছেন।

সরেজমিনে ঝিনাইদহের ছয় উপজেলার একাধিক মাঠ ঘুরে ধান ক্ষেতে পাতা পচা রোগ দেখা গেছে। ধান গাছে থোড় (র্শীষ) হওয়ার পূর্ব মূহুর্তে গাছের পাতা মারা যাচ্ছে। কোনো কোনো জমিতে গোটা ফসলেই আক্রান্ত হয়েছে। এই পঁচন রোগ ধান গাছের নিচ থেকে শুরু হচ্ছে। যা ক্রমান্বয়ে উপরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই রোগে আক্রন্ত ধান গাছের নিচের অংশ খয়েরি রং ধারন করছে, যা আস্তে আস্তে গোটা গাছে ছড়িয়ে পড়ছে। এক পর্যায়ে ধান গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে।

সদর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কৃষক পারভেজ আহমেদ জানান, তার ৭ বিঘা জমিতে ৫১ জাতের ধান চাষ করেছেন। প্রায় সব জমিতেই এই রোগ দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির পর অল্প সময়ের মধ্যে গোটা জমিতে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমে গাছের নিচের অংশ থেকে পচন দেখা দেয়, যা ইতিমধ্যে উপরের দিকেও চলে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, সার-ঔষধ, জমি তৈরীতে চাষ, ধানের জমির আগাছা পরিষ্কার, কাটা-পরিষ্কার সহ লেবার খরচ সহ এক বিঘায় তার ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজার খরচ হয়েছে। এই এক বিঘায় তিনি ১৮ থেকে ২০ মণ ধান পাবেন যা বিক্রি করে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা পাবেন। এখন যে অবস্থা তাতে ফলন অনেক কমে যাবে। এতে তিনি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলে জানান। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ছত্রাকনাশক ঔষধ দিয়েছেন, কিন্তু এতে কোনো কাজেই আসছেনা।

সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের কৃষক ফজলুর মিয়া জানান, বিআর-৫১ জাতের ধান তিনি প্রায় ৩ বিঘা চাষ করেছেন। গোটা জমিই তার এই পচন রোগে আক্রান্ত। ক্ষেতের আইলে গেলে মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এবার জমিতে ধান গাছ ভালো হয়েছিল। এখন থোড় (র্শীষ) বের হওয়ার সময়। সেই সময় বৃষ্টির কারনে এই পঁচন রোগ দেখা দিয়েছে। যা মাঠের পর মাঠ ছড়িয়ে পড়ছে।

শৈলকুপা উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের কৃষক আজাদ হোসেন জানান, দ্রুত এই পচন রোগ ঠেকাতে না পারলে কৃষক মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। অনেক কৃষক ধারদেনা করে চাষ করেন, তারা কিভাবে তাদের ঋণ পরিশোধ করবেন। তিনি নিজেও দোকান থেকে সার-ঔষধ বাকিতে নিয়ে দুই বিঘায় চাষ করেছেন। তার জমির ধানও পচন রোগে আক্রান্ত। ভালো ফলন না পেলে কিভাবে দোকান বাকি পরিশোধ করবেন তা নিয়ে চিন্তিত এই কৃষক।

কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করে জানান, বৃষ্টির পর এই রোগ দেখা দিয়েছে। তবে সেটা ব্যপক নয়। তারা কৃষকদের আক্রান্ত জমিতে ছত্রাকনাশক ঔষধ স্প্রে করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে পচন অনেকটা ঠেকানো সম্ভব বলে জানান।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠি চন্দ্র রায় জানান, কৃষকের ধান ক্ষেতে খোলপচা রোগ এখনও তেমন একটা দেখা দিয়েছে বলে তাদের কাছে এমন কোন তথ্য নেই। তবে বৃষ্টির পর খরা হলে এই রোগ দেখা দিয়ে থাকে। তিনি কোন এলাকায় এই রোগ দেখা দিয়েছে তার বিষয়ে তথ্য নিয়ে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান। তিনি বলেন, এই রোগে আক্রান্ত ক্ষেতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।




ঝিনাইদহে মাশরুম চাষীদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে আশার উদ্যোগে জেলার ৩০ জন মাশরুম চাষীদের নিয়ে দিন ব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) শহরের এইড কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ঝিনাইদহ জেলার আশা’র সিনিয়র ডিষ্ট্রিক্ট ম্যানেজার হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায় ও পার্বত্য জেলার রাংগামাটি কৃষি অফিসার খায়রুল বাশার টিপু।

সেসময় উপস্থিত ছিলেন আশা’র সদর-১ ব্রাঞ্চ’র বিএম আবু সামা, (টিও) এগ্রি কিলোন চন্দ্র রায়সহ অন্যন্যারা। এছাড়াও আশা’র কারিগরি ও সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা নিয়ে ঝিনাইদহ জেলায় যে কেউ মাশরুম চাষ করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণ শেষে ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে ৩ পিচ করে মাশরুমের বাণিজিক সম্মননা প্রদাণ দেয়া হয়।




চাকরি দিবে রূপায়ণ গ্রুপ

রূপায়ণ গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান রূপায়ণ সিটি উত্তরা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সেলস বিভাগ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আবেদন প্রক্রিয়া ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে। আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : রূপায়ণ সিটি উত্তরা। পদের নাম : ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার। বিভাগ : সেলস। পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা : বিবিএ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে। অন্যান্য যোগ্যতা : সংশ্লিষ্ট কাজের দক্ষতা অভিজ্ঞতা : প্রয়োজন নেই।

চাকরির ধরন : ফুলটাইম। কর্মক্ষেত্র : অফিসে। প্রার্থীর ধরন : শুধু পুরুষ। বয়সসীমা : ২২ থেকে ২৪ বছর।

কর্মস্থল : ঢাকা (উত্তরা ১২ নং সেক্টর)। বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে। অন্যান্য সুবিধা : পারফরমেন্স বোনাস, মোবাইল বিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, টি/এ, দুপুরের খাবারের সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস।

আবেদন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময় : ২১ নভেম্বর ২০২৪।

সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুরের আমঝুপি ইউনিয়নের অভিভাবক সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের আমঝুপি ইউনিয়নে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা ও ঝরেপড়া রোধকল্পে শিশুদের বিদ্যালয়ে আনন্দ মুখর পরিবেশ তৈরিতে এবং অনিয়মিত দূর করতে ইসলামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ২য় এবং ৩য় শ্রেণীর শিশুদের অভিভাবকদের নিয়ে অভিভাবক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালের দিকে গণসাক্ষরতা অভিযানের সহযোগিতায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এই অভিভাবক সভার  আয়োজন করেন।

ইসলামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো: মিজারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, জন প্রতিনিধি, এস.এম.সি এবং ওয়াচ গ্রুপসহ অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অভিভাবকদের বিশেষ করে মায়েদের দায়-দায়িত্ব ও করণীয় ,বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আলোচনা রাখেন মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোছা: কাজল রেখা। এছাড়া বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে এস.এম.সি সদস্যবৃন্দ এবং অভিভাবকগণ তাদের বক্তব্য এবং মতামত প্রদান করেন।

 অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশার মানুষ, অভিভাবক সহ ৫০জন উপস্থিত ছিলেন।




প্রতিষ্ঠানগুলোতেই পৌনে দুই কোটি টাকা কর পাওনা মেহেরপুর পৌরসভার

মেহেরপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অধীনে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত পৌর কর পাওনা রয়েছে ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯৭টাকা। এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকেও পৌরসভার কর পাওনা রয়েছে কয়েক কোটি টাকা। পাওনা টাকার পরিমান বেড়ে যাওয়ায় পৌরসভায় কর্মরত স্টাফদের বেতন ও পৌরসভার খরচ মেটানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশে পৌরসভাকে কর দেননি অনেক প্রতিষ্ঠান।

মেহেরপুর পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে বর্তমান চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত অনেক প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কর দিচ্ছেন না। বিভিন্ন সময় কর চাইতে গেলে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার মত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও তোয়াক্কা করতেন না। সরকার পালাবদলের পর পৌর পরিষদ অপসারণ করা হলে স্থানীয় সরকার পরিচালককে (ডিডি এলজি) কে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পৌরসভার প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। প্রশাসক দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৪ হাজার ৯৫৬ টাকা আদায় করেছে গত ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত এখনো পাওনা রয়েছে ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯৭ টাকা।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ৯টি ওয়ার্ডের অধীনে সরকারি বেসরকারি মিলে ৯৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো থেকে পৌর কর পেয়ে থাকে। এর মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে রয়েছে ১৬টি প্রতিষ্ঠান। বকেয়াসহ চলতি অর্থবছর পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাওনা রয়েছে ২৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৯ টাকা। এর মধ্যে সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিকট পাওনা ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ৩৩ লাখ ৯ হাজার ৬৮৪ টাকা, চলতি অর্থ বছরে পাওনা ৭৯ হাজার ৪২১ টাকা। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিকট ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত বকেয়া ১ লাখ ২৫ হাজার ৭২৭ টাকা এবং চলতি অর্থ বছরে পাওনা ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৩০ টাকা। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কার্যক্রম ইরেসপো) কার্যালয়ের নিকট ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত ১ লাখ ২২ হাজার ১৮৭ টাকা এবং চলতি অর্থ বছরের পাওনা ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৯০ টাকা।

বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত বকেয়া ৭২ হাজার ৩৮৮ টাকা এবং চলতি অর্থ বছরে পাওনা ৭২ হাজার ৩৮৮ টাকা। ১ নম্বর ওয়ার্ডে পৌরসভার মোট পাওনা চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত ২৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৯ টাকা। ২ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩টি। বকেয়াসহ এ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিকট পাওনা রয়েছে ৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৪ টাকা। শুধুমাত্র সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নিকট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৫ টাকা।
৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩টি। কোন বকেয়া না থাকলেও চলতি অর্থ বছরে শুধু পুলিশ সুপার সার্কেল অফিস থেকে পাওনা রয়েছে ৩৯ হাজার ৫০৫ টাকা। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে দুটি প্রতিষ্ঠান থাকলেও কোন বকেয়া অথবা পাওনা নেই।
৫ নম্বও ওয়র্ডেও অধীনে প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৪টি। এ ওয়ার্ডেও প্রতিষ্ঠাগুলোর নিকট বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৭ টাকা। এর মধ্যে উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ৭ হাজার টাকা। ছাগল ফার্ম থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ১৩০ টাকা। সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কার্যালয় থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ১০ লাখ ৮ হাজার ৫৮০ টাকা। কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বকেয়া ছিল ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪০ টাকা যা ইতোমধ্যে পরিশোধ কেেরছে প্রতিষ্ঠানটি।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১০টি। বকেয়সাসহ পাওনা রয়েছে ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪১ টাকা। এর মধ্যে বড়বাজারে অবস্থিত মেহেরপুর সরকারি কলেজের দোকান ঘর থেকে বকেয়াসহ ১ লাখ ৮ হাজার ২৩৪টাকা।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১১টি। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বকেয়াসহ চলতি অর্থ বছরে পাওনা রয়েছে ২২ লাখ ৭৩ হাজার ৬৫৮ টাকা। এর মধ্যে পুলিশ লাইন থেকে বকেয়াসহ ৫ লাখ ৫০ হাজার ৮৪৭ টাকা পাওনা রয়েছে।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে অফিস রয়েছে ২১টি। এর মধ্যে গণপূর্ত বিভাগের তিনটি ভবন থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ৫লাখ ৭৩ হাজার ৮৬০ টাকা, মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ২৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩১০ টাকা, জেলা বীজ প্রত্যায়ন এজেন্সি থেকৈ বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮০৪ টাকা, এসি ল্যাণ্ড অফিস থেকে ২০১৫-১৬ অথ বছর থেকে এ পর্যন্ত বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৬৪০ টাকা, পৌর তহশিল অফিসের ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে এ পর্যন্ত বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯৭৭ টাকা, পাবলিক লাইব্রেরি থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ১০ লাখ ৫১ হাজার ৩৭০ টাকা, জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ১০ হাজার টাকা।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে অফিস রয়েছে ১৫টি। এর মধ্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫২ টাকা, জেলা পরিষদের দুটি ভবন থেকে বকেয়াসহ পাওনা রয়েছে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬০ টাকা।

এর মধ্যে সম্প্রতি কর পরিশোধ করেছেন কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান জানান, এর আগে যে পরিমাণ কর ছিলো তা হেড অফিসের অনুমোদন ছিলো। পরবর্তিতে পৌর কর বেড়ে যাওয়ায় হেড অফিসের অনুমোদন পেতে সময় লাগে। যে কারণে বকেয়া তৈরি হয়েছিলো। তবে বর্তমান প্রশাসক মহোদয়ের আহবানে আমরা ৩৫ লাখ টাকারও বেশি কর পরিশোধ করেছি।

তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারকে পৌর কর কেন দেওয়া হয়নি তার সদুত্তর না দিয়ে বলেন বুঝে নেন।

মেহেরপুর পৌরসভার প্রশাসক মো: শামিম হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানসহ সেবাগ্রহিতারা যদি নিয়মিত কর পরিশোধ না করেন তবে পৌরসভার ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে যাবে। যেখানে প্রতিমাসে স্টাফ বেতনসহ বিভিন্ন খরচ রয়েছে।




হোয়াটসঅ্যাপের এআই চ্যাটবটে আসছে নতুন ফিচার

হোয়াটসঅ্যাপের এআই চ্যাটবটে নতুন ফিচার আসছে। নতুন ফিচারে এর ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন প্রম্পট ও নির্দেশনা সংরক্ষণ করে রাখার সুবিধা পাবেন।

জানা গেছে, ‘মেমোরি সেকশন’ নামে নতুন এই ফিচারটি যুক্ত হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপের এআই চ্যাটবটে। হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএবেটাইনফো জানিয়েছে, বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড বেটা ২.২৪.২২.৯ সংস্করণে নতুন এ ফিচারটির কার্যকারিতা পরীক্ষা চলছে। আশা করা হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপের পরবর্তী সংস্করণে এটি যুক্ত হবে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যবহারকারীরা যখন মেটা এআই অপশন ট্যাপ করবেন, তখন নোটিফিকেশন ও মিডিয়া ভিজিবিলিটির পাশে মেমোরি সেকশনও দেখতে পাবেন। এ সেকশনে ব্যবহারকারীদের পূর্বের বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর সংরক্ষিত থাকবে।

ফলে এআই চ্যাটবট প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় পুরোনো তথ্য পর্যালোচনা করে বর্তমানের তুলনায় আরও প্রাসঙ্গিক তথ্য দিতে পারবে। অর্থাৎ, একই প্রশ্নের উত্তর ব্যবহারকারীর আগের প্রশ্ন ও আচরণের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলে মেটা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের সার্চ বারে নিজেদের তৈরি এআই চ্যাটবট যুক্ত করার ঘোষণা দেয়। বিনামূল্যে ব্যবহারের উপযোগী চ্যাটবটটি বার্তা লেখার পাশাপাশি গুগল ও বিং সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। এটি দ্রুত কৃত্রিম ছবি তৈরির পাশাপাশি যে কোনো ছবিকে অ্যানিমেশন ও জিআইএফ ফরম্যাটে রূপান্তর করার সক্ষমতাও রাখে। তবে মেটার তৈরি চ্যাটবটটি এখনো সব দেশে উন্মুক্ত হয়নি।

সূত্র : অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ




মেহেরপুরে জেলা পর্যায়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম অবহিতকরণ সভা 

মেহেরপুরে জেলা পর্যায়ে “এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম ২০২৪” সম্পর্কে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২২অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা তথ্য অফিসারের সম্মেলন কক্ষে এ অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত অবহিতকরণ সভায়  জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জে এম সিরাজুম মূনীর,  সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ইনজামামুল হক , সাংবাদিক দিলরুবা খাতুন,  মাঝিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুৎ ছবি বিশ্বাস, শিক্ষার্থী মৌসুফা ইসলাম প্রমুখ।

মেহেরপুরে জেলা পর্যায়ে “এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম ২০২৪” সম্পর্কে অবহিতকরণ সভায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল।




চার বছর পর ফের ‘ঢাকা ফোক ফেস্ট’

লোকসংগীত বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। সংগীতের এ ধারায় মিশে আছে জীবনের গভীর দর্শন, আধ্যাত্মিকতা, প্রেম আর মাটির ঘ্রাণ। বাংলার লোকসংগীতকে বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এশিয়ার সবচেয়ে বড় লোকসংগীতের অনুষ্ঠান ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট’ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

তবে ২০১৯ সালে উৎসবের পঞ্চম আসরের পর এটি আর অনুষ্ঠিত হয়নি। ধারাবাহিকভাবে পাঁচ বছরের পরিক্রমায় সংগীতপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট’। সেটি বন্ধ হওয়ায় হতাশ হয়েছেন সংগীতপ্রেমীরা।

আশার কথা হলো, চার বছরের বিরতি কাটিয়ে আবারো ফিরতে চলেছে লোক গানের উৎসবটি। এরই মধ্যে ফোকফেস্ট নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সান ফাউন্ডেশনের আলোচনা শুরু হয়েছে। শিল্পী বাছাই প্রক্রিয়াও চলছে। সাধারণত শীতকালেই বসে গানের উৎসবটি। সেই ভাবনা থেকে আসছে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে শুরু হতে পারে ফোকফেস্ট।

আগের মতো এবারও আর্মি স্টেডিয়ামেই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সবকিছু অনুকূলে থাকলে আগের বছরগুলোর চেয়েও আরো জাঁকজমক করে এটি আয়োজনের চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি। শিল্পী তালিকাতেও থাকবে চমক। ২০১৫ সাল থেকে হওয়া উৎসবটিতে এখন পর্যন্ত ১৭ দেশের ৫০০ লোকসংগীত শিল্পী এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে আবারও ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বোমা, কাফড়ের কাপড় ও সাবান উদ্ধার

আবারও ব্যবসায়ীর বাড়িতে হাতবোমা, কাফনের কাপড়, সাবান ও আগরবাতি রেখে গেছে দূর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে গাংনী উপজেলার কড়ইগাছি গ্রামের ব্যবসায়ী সুমন আলীর বাড়ির হেসেল ঘরের সামনে থেকে এগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

এনিয়ে গত এক মাসে গাংনী উপজেলার পৃথক তিনটি স্থানে হাতবোমা, কাফনের কাপড় ও চিরকুট রেখে গেছে।

গাংনী উপজেলার এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বাড়ির মালিকের ফোন কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এতে লাল কসটেপ মোড়ানো দুটি হাতবোমা, এক টুকরো কাফনের কাপড়, দুটি শাবান ও আগরবাতি উদ্ধার করা হয়। গৃহকর্তা সুমনের বাড়ির হেসেল ঘরের চুলার পাশে এগুলো রেখেছিল দূবৃর্ত্তরা। বোমা দুটি উদ্ধার করে পানি ভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে।

গৃহকর্তা সুমন আলী জানান, সকালের আমার স্ত্রী রান্না করতে গিয়ে এগুলো দেখে জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে। পরে এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পে খবর দিলে পুলিশ এসে এগুলো উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, আমাকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য বা কাউকে ফাঁসানোর জন্য হয়তো দূর্বৃত্তরা একাজ করেছে।

সুমন আলী আরও জানান, কয়েকদিন আগে গ্রামের মামা সম্পর্কের ইকবার আলী, মিয়াজান আলী আমাকে গ্রাম থেকে ৫/৬ মাসের মত চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তার আগে ৬ আগষ্ট কড়ইগাছি বাজারে আমার জুদ সেন্ডেল ও কাপড়ের দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।

গাংনী থানার তদন্ত অফিসার মেজবাহ উদ্দীন বলেন, লাল কসটেপ মোড়ানো দুটি হাত বোমা, এক টুকরো কাফনের কাপড়, দুইটি সাবান, আগরবাতি উদ্ধার করা হয়েছে। কাউকে ফাঁসানোর জন্য নাকি হুমকী দেওয়ার জন্য এগুলো রেখে গেছে পুলিশ তদন্ত করছে। এঘটনায় মামলা হবে।




৩৬৯ দিন পর নেইমারের মাঠে ফেরা

ক্যারিয়ারের একটা বড় অংশ মাঠের বাইরে অপেক্ষা করেই পার করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের পোস্টার বয় নেইমার জুনিয়র। তবে গেল এক বছরের বেশি সময় এরকম টানা অপেক্ষা হয়ত নেইমারকে আর কখনোই করতে হয়নি।

এসিএল আর হাঁটুর চোটে নেইমার মাঠের বাইরে ছিলেন ঠিক এক বছর চার দিন। নেইমারের মতো ভক্তরাও অপেক্ষায় ছিলেন দিনের পর দিন। চোট সারিয়ে কবে ফিরবেন নেইমার?

এই প্রশ্ন বহুবারই শুনতে হয়েছে জর্জ হেসুস কিংবা ব্রাজিলিয়ান কোচদের। সেই অপেক্ষার শেষ হলো সোমবার রাতেই। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিটে আল আইনের বিপক্ষে মাঠে নামলেন নেইমার। গোল কিংবা অ্যাসিস্ট না পেলেও এদিন দলের দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছেন মাঠে থেকেই।

নেইমারের মাঠে ফেরার দিনে গ্যালারিতে ছিলেন তার প্রেমিকা ব্রুনা বিয়ানকার্দি। পারিবারিক সঙ্গী ছিলেন আরও দুজন। তাকে মাঠে ফিরতে দেখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে প্রিয়জন ও ভক্তদের মুখে।

গত বছর ১৮ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন নেইমার। এসিএল চোটের পাশাপাশি হাঁটুর মিনিসকাসেও আঘাত পেয়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর শুরু হয় তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল ‘নেইমারের জন্য অপেক্ষা।’ ৩৬৯ দিন পর ঘুচল সেই অপেক্ষা। আল আইনের মাঠে আল হিলালের ৫-৪ গোলে জয় আর দুই হ্যাটট্রিক ছাপিয়ে এই ম্যাচে নেইমারের মাঠে ফেরাই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় খবর।

বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন নেইমার। আলেক্সান্দার মিত্রোভিচের সঙ্গে পাস আদান প্রদান করে বক্স থেকে শট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। শট নিলেও আল আইন গোলরক্ষকের কারণে সেটায় গোল পাওয়া হয়নি নেইমারের। ম্যাচে যোগ করা ১৬ মিনিট সময়েও একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। সেটিও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। সেটি কাজে লাগাতে না পারলেও তাঁর মাঠে ফেরাটাই বড় স্বস্তি হবে ভক্তদের জন্য।

নেইমার নিজেও এই ফেরার দিন গুনেছেন। সেটি বোঝা গেল ম্যাচের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার পোস্টেই, ‘এই অনুভূতিটা আবারও জেগে ওঠায় ভালো লাগছে। ম্যাচের আগে স্নায়ুচাপে ভোগাটা দারুণ…আশা করি স্বাস্থ্যকর প্রত্যাবর্তন হবে।’

৯ গোলের রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে আল হিলালের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন সালেম-আল দাসারি। আল আইনের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন সুফিয়ান রাহিমি। দুই হ্যাটট্রিকের ম্যাচে জয়টা পেয়েছে নেইমারের দলটা।

গত বছর আগস্টে সৌদি ক্লাবটিতে যোগ দেন নেইমার। হাঁটুর চোটে পড়ার আগে ক্লাবটির হয়ে মাত্র ৫টি ম্যাচ খেলেন। তাকে সৌদি প্রো লিগে এখনো নিবন্ধিত করতে পারেনি আল হিলাল। জানুয়ারির আগে নিবন্ধিত করার সুযোগ না থাকায় আপাতত সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে নেইমারকে দেখা যাবে না।

সূত্র: ইত্তেফাক