মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে চলছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি

আগামী ১৭ই এপ্রিল বুধবার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করেন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার তৎকালিন বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননে।

দিবসটির স্মরণে স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর সকাল ন’টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে নানা কর্মসূচি। পতাকা উত্তোলন শেষে শেখ হাসিনা মঞ্চে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভায় অংশ নেবেন আওয়মী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রী বর্গ ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চলছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন মুরাল ধুয়া মোছাসহ বিভিন্ন জায়গা পরিষ্কার পরিছন্ন ও রং করার কাজ চলছে।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খাইরুল ইসলাম বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মাননীয় মন্ত্রীবর্গসহ আগতদের বরণ করতে আমরা বড় ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, বিভিন্ন মুর‌্যাল ও স্থাপনায় রং করাসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নিরিবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি ও পর্যাপ্ত অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জেলার নিরাপত্তা ও শৃংখলা রক্ষায় জেলা পুলিশ সামগ্রিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মুজিবনগরের মূল মঞ্চের বিভিন্ন স্থলে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। আগতদের তৎক্ষনিক নিরাপত্তা দেবার জন্য পুলিশ কন্টলরুম স্থাপন করা হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যাতে সকলে আনন্দের সাথে পালন করতে পারে সেই লক্ষে আমরা কাজ করছি।

জেলা আওয়ামীলীগ থেকেও নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি জানান, যথাযত মর্যাদায় দিবসটি পালন করার জন্য আমরা প্রস্তুত। গত কয়েক বছর করোনা মহামারির ও রমজানের কারনে আমরা সংক্ষিপ্ত পরিসরে দিবস পালন করেছিলাম। কিন্তু এবার অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহন করেছি।

মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ ক ম বাহা উদ্দিন নাসিম, প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।

বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রথম সরকারের প্রধান মন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমেদের কণ্যা মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এমপি, অ্যাড. আফজাল হোসেন এমপি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে সন্ধায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।




গাংনীতে মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

গাংনীতে আলোচনা সভা ও কেক কেটে বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাই টিভির ১৫ তম প্রতিবার্ষিকী উৎযাপন করা হয়েছে।

মাই টিভির গাংনী উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক সিরাজুল ইসলাম, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম, গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন।

গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম অল্ডামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাই টিভির গাংনী উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংস্কৃতিক কর্মী মজিবুর রহমান, গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমএন পাভেল, সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন, সাহাজুল ইসলাম সাজু, হারুন অর রশিদ রবি, সাংবাদিক এ সিদ্দিকী শাহিন,  রকিবুল ইসলাম কবি, বদরুদ্দোজা লাল্টু, সাঈদ হোসেন, বিল্লাল হোসেন প্রমুখ। পরে কেক কাটা হয়।




মেহেরপুরে গলাই ফাঁশ দিয়ে বৃদ্ধের আত্ম*হ*ত্যা

পেটে আলসারের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মন্টু মিয়া (৭০) নামের এক বৃদ্ধ গলাই ফাঁশ লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মন্টু মিয়া গাংনী উপজেলার গোপালনগর গ্রামের চাতরপাড়া এলাকার মৃত হোসেন মিয়ার ছেলে।

গতকাল রবিবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলাই ফাঁশ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

গাংনী থানার এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক এসআই (নি:) রেজাউল করিম বলেন, পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মন্টু মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আলসার রোগে ভুগছিলেন। পেটের যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন।

মন্টু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় গাংনী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১৪।




আমঝুপি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর সদর উপজেলা আমঝুপি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যলয়ে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রস্তুতি সভায় আমঝুপি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম বোরহান উদ্দিনের জেষ্ঠ পুত্র মো: সেলিম রেজা।

প্রধান অতিথি সেলিম রেজা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভা সভাপতি জাকির হোসেন টলি, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকের সভাপতি মিনারুল ইসলাম, মৃত বোরহান উদ্দিন চেয়ারম্যান এর জন্য ১ মিনিট নিরবতা পালন করে অনুষ্ঠান শুরু করেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক,  স্বেচ্ছাসেবকের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক ও ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক প্রধান অতিথি মতবিনিময় করেন।

মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথি বলেন আমাদের বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ যে ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা শেখ হাসিনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই আমরা এগিয়ে যাবো। এবং আমার আমঝুপি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন সহ মুজিবনগর দিবসে এক সাথে যাবো।

মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বক্তব্য রাখেন ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আনারুল ইসলাম, ৩ ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো: আব্বাস উদ্দিন, ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল কাদের, ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মুশিউর রহমান ডাবলু, ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আলফাজ হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি আসাদুল হক মন্টু, ৬ নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক শাফায়ত হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক শহিদ।

মশিউর রহমান ডাবলু সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আবুল কাসেম, ৭ নং ওয়ার্ডের উহাই দুল রহমান বল্টু।




মেহেরপুরে অরণি থিয়েটারের আয়োজন পহেলা বৈশাখ পালন

মেহেরপুরে অরণি চিলড্রেনস থিয়েটারের আয়োজন পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে “অরণির বৈশাখ ১৪৩১” অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার সকালে শিল্পকলা একাডেমি চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার অরণি থিয়েটার কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এসময় হাফিজ শিশিরের সূত্রে অংশ নেয় মাহামুদা রুহি, ফারজানা করিম অর্পিতা, রাহিম সাবের, রাইসুল ইসলাম অনিক, মুস্তাহিদুর রিসাত, অর্ঘ, সাবা সাবের তরি, সাব্বির সোহাগ, আতিক স্বপন, রাজিয়া সুলতানা টনি, রুবেল, মফিজুর রহমান মিঠু, শেখ মমিন, নুসরাত তিথি, মৌপাল, ননী গোপাল সাহা, সাঈদ হোসেন, উজ্জল খান, শাহরিয়ার উজ্জল, নিশান সাবের সহ অরণির বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে সেখানে পান্তা খাওয়ানোর ও ছোট্ট সাংস্কৃতিক পর্ব স্মৃতি রোমন্থন করে অরণি চিলড্রেনস থিয়েটার পরিবারের সদস্যরা।




মেহেরপুরে পাখিভ্যানের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা নিহত ১

মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল ও পাখি ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী হেলাল উদ্দিন (২৬) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার স্ত্রী ও শ্যালক।

আহতরা হলেন, হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী জুই খাতুন ও শ্যালক জীবন আলী।

নিহত হেলাল উদ্দিন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মোড়ভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও গাংনী উপজেলার আকুবপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের জামাতা।

আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার সময় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলার শুকুরকান্দি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত হেলালের চাচা শ্বশুর জিয়াউদ্দিন বলেন, হেলাল উদ্দিন তার স্ত্রী জুই ও শ্যালক জীবন আলী শ্বশুরবাড়ি খেয়ে এক মোটরসাইকেলে তিনজন তার নিজ গ্রামে মোড়ভাঙ্গাতে যাচ্ছিলেন। শুকুরকান্দি নামক স্থানে গিয়ে বামের রাস্তার নামার সময় ইঞ্জিন চালিত পাখি ভ্যানের সাথে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার উপর লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় হেলাল উদ্দিন। এসময় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী জুই ও শ্যালক জিবন আলী। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছেন।

গাংনী থানার (তদন্ত) অফিসার মনোজিৎ কুমার নন্দী বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে। পরবরর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




গাংনীর সাহারবাটীতে নানা আয়োজনে বর্ষবরণ উৎসব পালিত

গাংনীর সাহারবাটীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আনন্দঘন পরিবেশে বর্ষবরণ উৎসব-১৪৩১ উদযাপিত করা হয়েছে। বর্ষবরণ উৎসব উপলক্ষে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লাঠি খেলার আয়োজন করা হয়েছে।

আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সাহারবাটী ইউথ ক্লাবের উদ্যোগে ১৪৩১ সন উদযাপন পরিষদ সাহারবাটী এর আয়োজনে সাহারবাটী ইউথ ক্লাব প্রাঙ্গণে এ সকল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন সাহারবাটী ইউথ ক্লাবের সভাপতি মোঃ লিয়াকত আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর ২ আসনে সংসদ সদস্য ডা. এ এস এম নাজমুল হক সাগর।

দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম।

আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত রফিকুল রশিদ ও মেহেরপুর সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন।

মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান তৌহিদুল মুর্শেদ অতুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মদ আলী, গাংনী উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অ্যাড. এ কে এম শফিকুল আলম, সাহারবাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান,কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান রানা, তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হুদা, ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম সাকলায়েন, বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওবায়দুর রহমান কমল, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান ও গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন।

এছাড়াও এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে সাহারবাটী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল গণি ও সাহারবাটী ইউথ ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম, উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আনারুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আব্বাস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা পরে সেখানে ঐতিহ্যবাহী চিরা,মুরকি, দই খাওয়ার ব্যবস্থা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লাঠি খেলের আয়োজন করা হয়।

এর আগে একটা শোভাযাত্রা বের করা করা।শোভাযাত্রাটি সাহারবাটী ইউথ ক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন,শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনগণ অংশ নেন।




নানা আয়োজনে মেহেরপুরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশে মেহেরপুরে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদযাপিত করা হয়েছে।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা,আলোচনা সভা,পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শহীদ শামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে অনুষ্ঠিত হওয়া আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এসময় তিনি বলেন,হাজার বছর ধরে এদেশে এ সংস্কৃতির ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে। এই ঐতিহ্যকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই বাঙালির সংস্কৃতি রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

এসময় জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান, পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম, পি পি পল্লব ভট্টাচার্য,জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এর আগে একটা শোভাযাত্রা বের করা করা।শোভাযাত্রাটি পাবলিক লাইব্রেরির সামনে থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে শহীদ শামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনগণ অংশ নেন।

এসময় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্ব-স্ব ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে।




দামুড়হুদায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন

দামুড়হুদায় পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা, গণজমায়েত, জাতীয় সংগীত এবং লোকজ সংগীত পরিবেশন, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লাঠি খেলা ও পুরুস্কার বিতরণী এবং লোকজ সংস্কৃতি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ৮ টা থেকে ২দিন ব্যাপি দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলী মুনছুর বাবু বলেন, ১৪১৭ বঙ্গাব্দ থেকে বাংলা নববর্ষ জাতীয়ভাবে উদ্যাপন করা হয়ে আসছে। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার উৎসবের নানা আয়োজনের মধ্যে বাংলাদেশে মঙ্গল শোভাযাত্রা মানব সভ্যতার প্রতিনিধিত্বশীল সংস্কৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাঙ্গালির ঐক্য, শান্তি ও অসাম্প্রদায়িতক চেতনাকে ধারণ করে মঙ্গল শোভাযাত্রা আজ সার্বজনীন স্বীকৃতি একটি উৎসব। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রা কে বিশ্বের গুরত্বপূর্ণ (Intangible Cultural Heritage) এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করায় বিশ্বব্যাপী এ উৎসবের প্রসারের মাধ্যমে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার পরিচিতি আরও দৃঢ় করবে। নববর্ষ আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মূল স্তম্ভ। হাজার বছর ধরে বাঙালি জাতি ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে আসছে। আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত এই দিবসটি প্রতিবছরের ন্যায় এবারও যথাযথ মর্যাদায় ও আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




আদালতে মামলা চলমান পুলিশ পাহারায় মাছ ছাড়ছে ইজারাপ্রাপ্ত সমিতি

আদালতে মামলা চলমান থাকলেও বাওড় দখলে নিয়ে পুলিশ পাহারায় মাছ ছেড়েছেন ইজারাপ্রাপ্ত সমিতির সভাপতি / সম্পাদক। রবিবার সকালে কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর বাওড়ে মাছ ছাড়েন তারা। এতে করে আরো একটি বাওড় হারালেন ওই বাওড় পাড়ের হালদার সম্প্রদায়ের মানুষেরা। জেলা থেকে ইজারা হয়েছে।

মামলায় নিষেধাজ্ঞা না থাকলে ইজারা নিয়ে সমস্যা নাই বললেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৪ টি বাওড় রয়েছে। যার মধ্যে বলুহর বাওড়,জয়দিয়া বাওড়,কুশনা বাওড় ও জগদীশপুর বাওড়। গেল বছর বলুহর ও জয়দিয়া বাওড় পাড়ের সহস্রাধিক হালদার সম্প্রদায়ের মানুষের হাত ছাড়া হয় বাওড় দুইটি। কর্মহীন হয়ে পড়েন তারা। অনেক আন্দোলন করে বাওড় ফিরে না পেয়ে তারা এখন মানবেতার জীবন যাবন করছেন। এ বছর হাতছাড়া হল কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর বাওড়টি। এতে করে এই বাওড় পাড়ের ৫০ টি পরিবার হারালেন বাপ দাদার রেখে যাওয়া পেশাটি।

গেল ২৫-০৩-২৪ তারিখে জগদীশপুর বাওড়ের সভাপতি গোপাল হালদার বাদী হয়ে জেলা প্রশাসকসহ ৬ জনকে বিবাদী করে বিজ্ঞ কোটচাঁদপুর সহকারী জজ আদালতে ঝিনাইদহে মামলা করেন। এরপরও রবিবার বাওড়টি দখলে নিয়ে পুলিশ পাহারায় বাওড়ে মাছ ছাড়েন,একতা মৎস্যজীবি যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি শ্রীমন্ত ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত হালদার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,জেলা পরিষদের সদস্য রাজিবুল কবির,এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান,বিশিষ্ট ব্যবসায়ি খন্দকার দবির হোসেন,কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গৌরাঙ্গ হরি, শামীম হোসেন ও সহ উপপরিদর্শক (এএসআই) আজম হোসেনও সলেমানপুর ওয়ার্কফো স্ট্রেটের মোতুয়ালী নজরুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি গোপাল হালদার বলেন,আশাননগর আর কুল্লাগাছা দুই মৌজায় এ বাওড়টি। বাপ দাদার আমল থেকে এ বাওড় পাড়ে আমরা বসবাস করে আসছি।বাওড়ের মৎস্য আহরন,আর বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন বাওড় পাড়ের ৫০ টি পরিবার।

এরমধ্যে ৪০ জনকে নিয়ে গঠিত জগদীশপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড। যার মাধ্যমে আমরা ১৯৯৭ সাল থেকে বাওড়টি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। ৩০ শে চৈত্র( ইংরেজি ১৩-০৪-২০২৪) সাল পর্যন্ত আমাদের সমিতির ইজারার মেয়াদ ছিল।

শনিবার সকালে বাওড় পাড়ে লাল পতাকা উড়িয়ে বাওড়টি দখল নেন,কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

তিনি অভিযোগ করে বলেন,শ্রীমন্ত কুমার মন্ডল একতা মৎস্যজীবি যুব কল্যান সমিতির সভাপতি। অথচ বলছেন,একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। আর তিনি যে নামে সমিতির ইরাজার নিয়েছেন,সেটা অবৈধ। ইজারা নিতে হলে অবশ্যই তাঁর সমবায় সমিতির লাইসেন্স থাকতে হবে।

গোপাল হালদার বলেন, আমি ইউএনও ম্যাডামের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন,তারা কোন কাগজ উনাকে দেননি। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাঙ্গীর নায়েব শরিফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো বলেন, আমরা বাওড় পাড়ের হালদার সম্প্রদায়ের মানুষ। আমাদের পেশা একটাই। এই বাওড় কেড়ে নিলে আমাদের মরন ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না।

তিনি নিরুপায় হয়ে গেল ২৫-০৩-২৪ তারিখে বাদী হয়ে জেলা প্রশাসক সহ ৬ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নিকট দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি শ্রীমন্ত কুমার মন্ডল বলেন,সমিতি দুইটি। এরমধ্যে একটি হচ্ছে কোটচাঁদপুর মংস্যজীবি সমবায় সমিতি আর অন্যটি একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। যার নামে জগদীশপুর বাওড়ের ইজারা নেয়া। আর অন্যটি দিয়ে বলুহর বাওড় নেয়া হয়েছে। তবে তিনি একতা মৎস্যজীবি যুব কল্যাণ সমিতির নামটি অস্বীকার করে বলেন, আমাদের লাইসেন্স দিয়েছেন সমবায় অফিস।

তিনি বলেন, আমার সমিতির আমি সভাপতি আর বিশ্বজিত হালদার সাধারণ সম্পাদক। ২১ জন নিয়ে এই সমিতি বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামুন বলেন,শীতল হালদারের লোকজন বাওড়টি পেয়েছেন শুনেছি। তবে এর বৈধ্য কোন কাগজপত্র তারা আমাকে দেননি। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,আইন শৃঙ্গলা অবনতি হতে পারে, এ আশংকায় গোপাল হালদার ও রাজিবুল কবির পুলিশ চেয়েছিল। এ ছাড়া পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে যেখানে আইন শৃংখলা অবনতি হবার আশংকা করা হচ্ছে, সেখানে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন, জেলা থেকে ইজারা হয়েছে। মামলায় নিষেধাজ্ঞা না থাকলে ইজারা নিয়ে সমস্যা নাই। তবে তিনি ইজারার বৈধ কাগজপত্র হাতে পেয়েছেন কিনা তা জানান গণমাধ্যম কর্মীদেরকে।