মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাধঁন ও সাধারণ সম্পাদক মুনতাসির জামান মৃদুল সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইমাম হোসেন ইমনকে সভাপতি ও স্বপন গাজিকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী এক বছর জন্য মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের ৬ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হলো। কমিটির অন্য সদস্যরা হলো, সহসভাপতি ইশতিয়াক হোসেন লিমন, ওমর শরিফ উৎসর্গ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম খন্দকার।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাধঁন জানান, আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেই সাথে পূর্নাঙ্গ কমিটির তালিকা অতি দ্রুত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।




অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই বাজার অস্থির করে ফেলেন: হানিফ

অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই বাজার অস্থির করে ফেলেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল হওয়ায় বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ঢেউ এখানেও রয়েছে। একইসাথে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই বাজার অস্থির করে ফেলেন। তবে সরকার এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এ নেতা।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী আড্ডা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ব্যবসায়ীরা রাজনীতি করতে পারেন, এতে কোনো বাধা নেই। ব্যবসায়ী হলেই যে সিন্ডিকেটে যুক্ত থাকবেন এ অভিযোগ সঠিক না।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, দুর্নীতি সব দেশেই আছে। এখানে যে নেই তা বলব না। তবে বিএনপির মুখে অন্য কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মানায় না। কারণ, তাদের আমলে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে ১ নাম্বার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ।

পরে বৈশাখী আড্ডায় অংশ নিয়ে হানিফ এমপি বলেন, বাঙালির জীবনে বৈশাখ মাসের এই প্রথম দিনটি কেবল বর্ষ শুরুর সূচনা দিনেই সীমিত নয়। নতুন বছরের নতুন দিনটি উদ্‌যাপিত হয় সবচেয়ে বড় উৎসবের উপলক্ষ হিসেবে। ঋতুভিত্তিক এই অসাম্প্রদায়িক উৎসবে অংশ নেন দেশের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ধনী, নির্ধন–নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাভাষী মানুষও সেসব দেশে তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী পয়লা বৈশাখে নববর্ষ উদ্‌যাপনের উৎসব আয়োজন করছেন। ফলে পয়লা বৈশাখের এই উৎসব হয়ে উঠেছে বাঙালির জাতিসত্তা ও সংস্কৃতি উদ্‌যাপনের এক বিপুল বর্ণাঢ্য মহোৎসব।

বৈশাখী আড্ডায় বক্তারা নতুন বছরে, নতুন দিনের এই উদ্‌যাপনে পুরোনো বছরের ব্যর্থতার গ্লানি, অক্ষমতার আক্ষেপ কাটিয়ে নতুন উদ্যমে দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শিশির কুমার রায়ের সভাপতিত্বে এসম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।




কুষ্টিয়ায় পহেলা বৈশাখে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা বলেছেন,পহেলা বৈশাখই হচ্ছে বাঙালির জীবনে সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক আবহমান উৎসব।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ পুরনো জীর্ণকে ঝেড়ে ফেলে আমাদের যাপিত জীবনে নতুন সম্ভাবনা ও নতুন প্রত্যাশা জাগিয়ে তুলতেই শুধু নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে একাকার হওয়ার প্রেরণাও জোগায়। তাই পহেলা বৈশাখই হচ্ছে বাঙালির জীবনে সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক আবহমান উৎসব।

আজ রবিবার সকালে পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কালেক্টরেট চত্বরের বনবীথিতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাঙালির জীবনে প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বৈশাখের প্রথম দিনটি আবহমান কাল থেকেই আমাদের সত্তায়, চেতনায় ও অনুভবের জগতে এক গভীরতর মধুর সম্পর্ক নিয়ে বিরাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলা নববর্ষ আগে শুধুমাত্র গ্রাম কেন্দ্রীক ছিল। এখন তা সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। আগে নববর্ষ শুধুমাত্রে হালখাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখন সারা দেশের মানুষ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এই উৎসবটি পালন করছে। এখন তা শহর কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এএইচ এম আবদুর রকিব , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আক্তার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আলহাজ্ব রফিকুল আলম টুকু, কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা: আকুল উদ্দিন, চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের পরিচালক এস এম কাদেরী শাকিল, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, প্রবীণ সাংবাদিক আবদুর রশীদ চৌধুরী সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য এক মঙ্গল শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে।

পরে জেলা শিশু একাডেমি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

এছাড়াও সুর্যদয়ের সাথে সাথে মোমবাতি প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভায় বর্ষবরণ উদযাপন করা হয়। এরপর পৌরসভার বটতলায় সকালের গান, আলোচনা সভা ও গ্রামীণ মেলার উদ্বোধন করেন পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী।

সকাল থেকেই বৈশাখী সাজে হাজারো মানুষের ভিড়, আনন্দোচ্ছ্বাস আর কোলাহলে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। বেলা বাড়তেই গান, নাচ, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজনে জমে ওঠে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কুষ্টিয়া জিয়া শিশু পার্ক, কামরুল ইসলাম সিদ্দিক শিশু পার্ক, রেনউইক বাঁধ, গড়াই নদীর বাঁধ এলাকায় যেন তরুণ-তরুনীসহ হাজারো মানুষের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে।




মুজিবনগরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নবর্ষবরণ অনুষ্ঠিত

“মুছে যাক গ্লানি ঘুছে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা” এই আহ্বানে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে,মঙ্গলশোভা যাত্রা, পান্তা, উৎসব,সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান সহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ (বর্ষবরণ) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিগত দিনের স্মৃতিকে বিদায় দিয়ে আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হলো ১৪৩১ বঙ্গাব্দের বর্ষপুঞ্জির গণনা।

বর্ষবরণ উপলক্ষে সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভা যাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় হরেকরকম সাজে নানা শ্রেনিপেশার মানুষ অংশ নেয়।

গরুর গাড়ীসহ নানা ধরণের প্লাকার্ড ও কাঁসা-বাঁশি, ঢোল বাজিয়ে শোভাযাত্রাটি মুজিবনগর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদঙ্গিণ করে উপজেলা পরিষদে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বৈশাখী মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলশোভা যাত্রা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম,সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুস সাদাত রত্ন, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্য (ওসি) উজ্বল কুমার দত্ত, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, উপজেলা পিআইও মাশরুবা আলম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রকিবউদ্দীন, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারী বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।




গাংনীতে চৈত্র সংক্রান্তীতে আয় বাঙ্গালী, খাই বাঙ্গালী অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের গাংনীতে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা লেখক পাঠক ফোরামের আয়োজনে চৈত্র সংক্রান্তীতে আয় বাঙ্গালী, খাই বাঙ্গালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকালে গাংনী ফুলকুড়ি স্কুলে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা লেখক পাঠক ফোরামের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক রফিকুল আলম বকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক।

 বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, ও থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) তাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মারুফ,উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মহিূুর রহমান মিন্টু, গাংনী প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা, সাংস্কৃতিক কর্মী হামিদুল হক হিল্লোল, জাগো মেহেরপুরের অন্যতম কর্ণধার শোয়েব রহমান, সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নবীরুদ্দীন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম শাহ, উপজেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শফি কামাল পলাশ, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, সুর্যোদয় পত্রিকার সম্পাদক আবুল কাশেম অনুরাগী, গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজা, ফুলকুড়ি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদরুদ্দোজা লাল্টু, সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আজিজুল ইসলাম রানু, জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাবা মা ও স্ত্রী উপস্থিত হওয়ার অনুষ্ঠান আরও প্রাণবন্ত হয়।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণ বিভিন্ন রকম খাবার বিশেষ করে চিড়া দই, রসগোল্লা সহ বিভিন্ন রকম পিঠা উপস্থিত সবাইকে খাওয়ানো হয়। করোনার পৃর্বে এ অনুষ্ঠানটি চালু ছিল আনখা নামে। করোনা মহামারির কারণে বেশ কয়েক বছর অনুষ্ঠানটি বন্ধ থাকলেও এবার আবার নুতন করে বাংলা বছরের শেষ দিনে চৈত্র সংক্রান্তিতে গাংনীতে আয় বাঙ্গালী, খাই বাঙ্গালি শিরোনামে একটা চমৎকার ও প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ পরিবারসহ এবং সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে এমন অনেক শিক্ষার্থী ও ফুলকুড়ির সাবেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সবাই এ জাতীয় একটি অনুষ্ঠান করায় অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে সবাই উপস্থিত হয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন। বাঙালির হারিয়ে যাওয়া পদ্ম পাতাতে চিড়া সহ সহ বিভিন্ন আয়োজনে সবাই উচ্ছাস প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে এ জাতীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত করার জন্য আহবান জানান অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কে।




দামুড়হুদার কাঁঠালতলায় দোকানের টিন কেটে চুরি

দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঁঠালতলা নামকস্থানে ভাংড়ির দোকানের টিন কেটে বিভিন্ন মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই চুরির ঘটনায় বাজারের দোকান মালিকদের মধ্যে চাপা আতংক বিরাজ করছে। চুরির ঘটনায় দোকানের মালিক হাসান বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কাহারা এ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে হাসান আলি দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ কাঁঠালতলা মসজিদের পাশ্বে ভাংড়ির ব্যবসা করে আসছে। ঈদুল ফিতরের জন্য দুদিন দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কাহারা দোকান ঘরের পিছনের টিন কেটে তামা, লোহা, কাসা, সিলভার, এ্যালমোনিয়াম, মাথার চুল ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। চোরের দল চুরি করা মালামাল দোকানের অদূরে একটি বাগানে সেট করে। এমন আলামত পাওয়া যায় বাগানে। হাসান আলির ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এই চুরির ঘটনায় কাঁঠালতলা দোকানের মালিকদের মধ্যে চাপা আতংক বিরাজ করছেন।

দোকানের মালিক হাসান আলি বলেন, আমি দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ ব্যবসা করে আসছি এমন ঘটনা এতদিন ঘটেনি। এই বাজারে সব থেকে বেশি টাকা দিই নাইটগার্ডের। তারপরও এমন ঘটনা ঘটলো। গতরাতে আমার দোকান কেটে দামি সব জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দামুড়হুদা মডেল থানার এস আই ইউসুফ বলেন,এই চুরির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




দামুড়হুদা লোকনাথপুর প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

“খেলবে তরুণ জিতবে দেশ, মাদক মুক্ত আগামীর বাংলাদেশ ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর জাগরণী সংসদ ক্লাবের আয়োজনে লোকনাথপুর প্রিমিয়ার লীগ (এলপিএল) ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৪টার দিকে লোকনাথপুর হেলিপোর্ট মাঠে এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রধান সমন্বয় জিল্লুর রহমান খোকন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী মুনছুর বাবু। এ সময় প্রধান অতিথি’ আলী মুনছুর বাবু বলেন, খেলাধুলা শরীর স্বাস্থ্য মন সবকিছুই ভালো রাখে, সবচেয়ে বড় কথা খেলাধুলা করলে মাদক থেকে দূরে থাকা যায়। এ সময় তিনি সকল অভিভাবককে তাদের সন্তানদেরকে খেলাধুলা করার জন্য মাঠে পাঠানোর আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন, দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই মহিবুল, হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খোকন, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, দামুড়হুদা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাও মামুনুর রশীদ, ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিদুল হক সেন্টু, ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল রহমান, হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রিকাত আলি, সম্পান শাহ, হাসান শাহ, রাসেল শাহ,হাউলী ইউনিয়ন ছাত্র লীগের আহবায়ক রাসেল আহাম্মেদ, লোকনাথপুর জাগরণী সংসদ এর সভাপতি নাহিদুল ইসলাম অনিক বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন হোসেন, প্রমূখ।

ফাইনাল ক্রিকেট খেলায় যে দুটি দল অংশ গ্রহণ করেন তারা হলেন রাজ একাদশ ভেমরুল্লা বনাম উজ্জ্বল লাইব্রেরি দর্শনা। টসে জিতে প্রথমে রাজ একাদশ ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬ ওভারে রাজ একাদশ ৪ উইকেটে ২৩৪ রান করে পরে ২৩৫ রানের টার্গেট নিয়ে উজ্জ্বল লাইব্রেরি ব্যাট করতে নেমে ১৬ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করতে সক্ষম হয়। ৫৪ রানে রাজ একাদশ চাম্পিয়ন হয়। খেলায় চাম্পিয়ান দলকে ১৫ হাজার টাকার প্রাইজ মানি ও চাম্পিয়ান ট্রফি প্রদান করা হয়। আর রানারআপ দলকে ১০ হাজার টাকা প্রাইজ মানি ও রানার্সআপ ট্রফি প্রদান করা হয়। খেলাটি পরিচালনা করেন মো: হাসান ও জামাল উদ্দিন।




মেহেরপুর পৌর মেয়র রিটনের প্রেস ব্রিফিং

মেহেরপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনের পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ শুভেচ্ছার ফেস্টুন ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।

ফেস্টুন ও ব্যানার নষ্ট করার প্রতিবাদে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৪ টার দিকে তার নিজস্ব কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন লিখিত বক্তব্য বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমি প্রতিবছরের মতো এবারও পৌরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিনন্দন ব্যানার করেছি গত ১২ তারিখ রাতে কে বা কার আমার প্রায় প্রতিটিম ফেস্টুনে ব্লেট মেরে কেটে দিয়েছে। এটা আমার কাছে পরিকল্পিত প্রতিহিংসমুলক আচরণ বলে মনে হয়। যে বা যারা এ কাজ করছে তারা নিশ্চয়ই কারো আদেশ করেছে।

তিনি আরো বলেন, আমি প্রশ্ন রাখতে চাই এটা কোন ধরনের রাজনৈতিক শিষ্টাচার এটা কোন রাজনীতি? মতভেদ রয়েছে থাকতে পারে, এটাতো রাজনৈতিক চর্চা। এ অপরাধ যারা করেছে এবং যার বা যার নির্দেশে হয়েছে তা তদন্তপূর্বক বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য একান্ত ভাবে অনুরোধ করছি।




রেল যাত্রায় স্বস্তির ঈদ, নেই কালোবাজারি

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, এবারই প্রথম ঈদ যাত্রায় মানুষ স্বস্তিতে রেল ভ্রমণ করেছে। রেলের টিকিটে কোনো কালোবাজারি হয়নি। কালো বাজারী সিন্ডিকেটের অনেকেই ধরা পড়েছে। এটা যখন শুরু হয়েছে, শেষও হবে ইনশাআল্লাহ।

আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকালে মুক্তিযুদ্ধকালীন মন্ত্রীর রণাঙ্গনের স্মৃতি বিজড়িত গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রাম পরিদর্শন কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম, গাংনীর মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, কাথুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস, ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুরের রেল সংযোগ নির্মানে ধীরগতি প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর রেললাইন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি প্রকল্প। এটির কাজ চলমান রয়েছে। এটি ইনশাআল্লাহ। যতদ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেকগুলো প্রসেস আছে। কোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় ফিজিবিলিটি পরীক্ষা করা হয়। ফিজিবিলিটি রিপোর্ট পজেটিভ হলে সেটি প্রকল্প স্টেটমেন্ট ও ডিজাইন করা হয়।এসব প্রসেস শেষ হলে সেটি প্রকল্প আকারে একনেকে তোলা হয়। একনেকে পাশ হলে ইআরডিতে যাবে। তারাই প্রকল্পের অর্থের যোগানের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে। মুজিবনগর রেললাইন প্রকল্প এখনো ওই পর্যায়ে যায়নি। এসব প্রসেসের জন্য যতটুকু সময় লাগবে এবং যতটুকু দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করা হবে।
রেল সংযোগ মেহেরপুর শহর হয়ে গাংনী উপজেলা থেকে ভেড়ামারা বা মিরপুর পর্যন্ত বর্ধিত করা যায় কিনা এমন দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর পর্যন্ত রেল পথের ফিজিবিলিটির রিপোর্ট করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে মুজিবনগর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে। এটিকে বর্ধিত করতে হলে আবারো একই নিয়ম অনুস্বরণ করতে হবে। তারপরেও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করবো। রেলপথের সচিব, ডিজিসহ বিশেষজ্ঞদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।  এসময় তিনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধকালিন তার স্মৃতি বিজড়িত এলাকা নিয়ে কথা বলেন।

এর আগে মন্ত্রী বেলা ১২ টার দিকে মেহেরপুর সার্কিট হাউজে পৌছালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান জেলাবাসির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এসময় মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

সেখানে জেলা প্রশাসন পুলিশ সুপার নাজমুল আহসানসহ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এসময় জেলা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। পরে মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এমপি মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।




মেহেরপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রীসহ বিশিষ্ঠজনরা যেখানে নামাজ আদায় করবেন

এবারের ঈদুল ফিতরে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ও তাদের জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করবেন।

তারা তারা নিজ এলাকায় ঈদের নামাজে অংশ নেবেন এবং সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজর রহমান রিটন, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান, পুলিশ সুপার মেহেরপুর শহরের পৌর ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন।

মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর তার নিজ গ্রামে মহম্মদপুর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক গাংনী পৌর ঈদগাহ, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন নিজ গ্রাম তেরাইল ঈদগাহ, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী চৌগাছা ঈদগাহ, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন নিজ গ্রাম হিন্দা ঈদগাহ, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন গাংনী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেন নিজ গ্রাম করমদি ঈদগাহ, গাংনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, মাঠে নামাজ আদায় করবেন।

নামাজ শেষে এসব জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঈদ উপলক্ষে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

এছাড়া মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান, পুলিশ সুপার সুপার নাজমুল হক মেহেরপুর ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করবেন।