মেহেরপুর চলছে মাঝারি তাপপ্রবাহ, প্রচন্ড গরমে অস্বস্তিতে রোজাদার

চলতি মৌসুমে মেহেরপুর জেলায় মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে রোজাদার, দিন মজুর ও শ্রমিকরা পড়েছে বিপাকে। প্রচন্ড গরমে শুধু মানুষ নয়, প্রাণীকুলেও শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকাল তিনটায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৫৫%। এর আগে বেলা ১২ টার সময় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বাতাসের আদ্রতা ছিল ৫৯%।

আজ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে গরমের অস্বস্তি বেড়ে গেছে বলে জানান, চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। মুলত সোমবার (১ এপ্রিল) থেকে আবহাওয়া হরম হতে শুরু করে।

ঐদিন বিকেল ৩টায় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা চলতি মৌসুমে এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে আবহাওয়া প্রচণ্ড গরম হওয়ায়, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রোজাদাররা বাড়ির বাইরে বেরহচ্ছেন না। রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ।।

মেহেরপুর শহরের রিকসা চালক আয়ূব আলী জানান, তিন/ চারদিন বিভৎস হরম পড়ছে। দুপুর থেকে ভাড়া মারতে পারছিনা। রোদ আর গরমের কারনে যাত্রীও ঠিকমত পাওয়া যাচ্ছেনা ।

শোলমারি গ্রামের রিকসা চালক হারান মন্ডল বলেন, দুপুর হলেই শরীরে ক্লান্তি চলে আসছে। ইচ্ছে থাকলেও ভাড়া মারতে পারছিনা। বিকেলের আগেই বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। এমন গরম পড়লে রোজা রেখে ভ্যান চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।

গাংনীর মালশাদহ গ্রামের কৃষক আজিবার রহমান বলেন, মাঠে বেরো ধানের সেচ চলছে। রোদের কারণে গরমে বেশিক্ষণ মাঠে থাকা যাচ্ছে না। অনেক রোজাদার কৃষক মাঠে কাজ করছেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই বাড়ি চলে যাচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, আজ শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রির ঘরে উঠতে পারে বলেও জানান তিনি।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার পরামর্শ দিয়ে বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর থেকে বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু, কিশোর ও যারা রোজা থাকতে পরছেন না তাদেরকে ঘন ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।




মায়ের হাসি ক্লিনিক ম্যানেজার স্বাধীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

মেহেরপুর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দুর দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু, তার ছেলে মুত্তাকি বিল্লাহ শাফিনসহ ৬ জন।

পলাতক থাকায় সাবেক মেয়রের ক্লিনিকের ম্যানেজার সাইফুল বাহার স্বাধিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।মামলার বাকি আসামীরা হলেন- প্রকৌশলী তোহিদুল ইসলাম লিওন, সৌমিক ব্রো, শামিম হাসান সোহাগ ও মেহেরাব হোসেন অপি।

গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক কনিকা বিশ্বাস এ আদেশ আদেনর। এর আগে ২৯ আগষ্ট একই আদালতে মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক মাহবুব চান্দু। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে কুষ্টিয়া পিবিআইকে তদেন্তর নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্ত শেষে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই মামলার অন্যতম আসামি মুত্তাকি বিল্লাহ শাফিনকে বাদ দিয়ে প্রতিবেদন জমা দিলেও আদালত মামলার গুরত্ক বিবেচনায় ৭ আসামিকে অন্তর্ভুক্ত করে সমন জারি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ৭ আসামির মধ্যে ৬ জন হাজির হয়ে জামিন আবদেন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বাকি একজন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এবং আগামী ১৯ মে মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলায় বাদীপক্ষে খুলনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কে এম ইকবাল হোসেন ও সদস্য মিঠু চন্দ্র বসাক এবং আসামীদের পক্ষে আব্দুন নুর তুষার আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে গতবছরের ১ আগস্ট মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাংবাদিক মাহাবুব চান্দু। ঐদিনই কুষ্টিয়া পিবিআই কে তদন্ত দেয় আদালত। মামলার ১৫দিন পর জুডিশিয়াল কোর্ট থেকে বাদীর আইনজীবীকে বলা হয় মামলাটি এখানে নেয়া ঠিক হয়নি। মামলাটি খুলনা সাইবার ট্রাইব্যালে করার পরামর্শ দেন। একইসাথে মামলাটি নথিজাত করা হলো মর্মে আদেশ দেন মেহেরপুর জুডিশিয়াল আদালত। পরবর্তীতে ২৯ আগস্ট ২০২৩ খুলনা সাইবার ট্রাইব্যালে পূনরায় মামলাটি করেন সাংবাদিক মাহাবুব চান্দু। খুলনার মামলার এজাহারেও মেহেরপুরের মামলার কথা উল্লেখ করা আছে।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, বাদি মাহাবুব চান্দু ২০ বছর যাবৎ সাংবাদিক পেশায় নিযুক্ত। বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ইতিপূর্বে তিনি জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, প্রতিদিনের সংবাদসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে সুনামের সাথে মেহেরপুরে সাংবাদিকতা করেছেন।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় তার বেশ সুনাম আছে। তার প্রকাশিত সংবাদেও মধ্যে অনেকগুলো সংবাদ আদালত আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত মামলা করেছেন এবং ভুক্তভোগীরা সুফল পেয়েছেন। বাদী মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানী কাজে গত ২৪ জুলাই সকাল ১১টা ৫৩ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ১৬ পর্যন্ত মেহেরপুর সরকারী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অনুসন্ধান মুলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

আসামী মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর মেয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এর চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত থাকাতে তিনি খবরটা জেনে ক্ষিপ্ত হন। তারপর মায়ের হাসি ক্লিনিকের মালিক হিসেবে তিনি মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদককে আনুমানিক ২টা ২৫ মিনিটের দিকে মোবাইলে হুমকি দিয়ে বলেন তোমরা কি বারেখা হয়েছো, তোমাদের দাঁত ভেঙ্গে দিব, ৫০টা চাঁদাবাজির মামলা দিব বলে হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে ২৬ জুলাই মেহেরপুর সদর থানাতে একটি জিডি হয়, যার নং ১৩৯১।

পরবতির্তে আসামী মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু তার মালিকানাধীন মায়ের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার আসামী সাইফুল বাহার স্বাধীনকে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদর থানা মেহেরপুর বরাবর বাদীর নামে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ লিখে থানায় অভিযোগটি জমা না দিয়ে মায়ের হাসি ক্লিনিক আইডি থেকে পোষ্ট করে। পরে মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর ছেলে মুত্তাকী বিল্লাহ শাফিন তার ফেসবুকে নামধারী সাংবাদিক লিখে শেয়ার করে।

মুত্তাকী বিল্লাহ শাফিনের পোস্টে গিয়ে আসামী তৌহিদুল ইসলাম লিওন বাদী সম্বদ্ধে কৃষ্ণ নগরী, ভাত পেতনা, চাঁদাবাজী, ৫টা বউসহ ইত্যাদি মানহানি কর কথা লিখেছেন। সে আরো বলে জেল খেটে দেশে ফিরে এখন বড় সাংবাদিক হয়েছে”। আসামী সৌমিক ব্রো কমেন্টস করে বলেছেন, “আমি থাকলে শালাকে ওন স্পট হিট করে তোর ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে রাখতাম”।

আসামী শামিম হাসান সোহাগ ও মেহেরাব হোসেন অপি মিথ্যা বিষয়কে শেয়ার করে লাইক দিয়ে অপপ্রচারে সহায়তা করেছে। আসামীরা একই বিষয় একাধিকবার সোসাল মিডিয়ায় প্রচার করে বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে ভাইরাল করেছে।

আসামী মেহেরাব হোসেন অপি একটি অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল মেহেরপুর নিউজ ডটকম পোর্টালের ফেসবুক পেজ থেকে মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর মিথ্যা অভিযোগটি লাইভ প্রকাশ করে এবং নিজ আইডিতেও শেয়ার করে ভাইরাল করে। আসামীদের মিথ্যা অপপ্রচার করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্যে এবং অনুসন্ধানী ও সুস্থ ধারার সাংবাদিক গোষ্টীর পথ রুদ্ধ করেছে বলে বাদী অভিযোগ করেন।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক মাহাবুব চান্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবজীর অভিযোগ তোলায় গত ৩০ জুলাই মেহেরপুরের সাংবাদিক সমাজ জেলা প্রসাশকের কার্যালয়ের সামনে একটি মানববন্ধন করে।




দর্শনায় বন্ধুজন-৮৯ এর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত

দর্শনায় বন্ধুজন-৮৯ এর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্টিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দর্শনা সরকারী কলেজের একাডেমী ভবনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দর্শনা সরকারী কলেজের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক-সহপাটি বন্ধুদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়েছে। দর্শনা কাষ্টমস্ কলনী জামে মসজিদের পেশ ঈমাম দোয়া পরিচালনা করেন।

ইফতার মাহফিলে অতিথি হিসাবে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, দর্শনা গণ-উন্নয়ন গ্রন্থাগারের পরিচালক আবু সফিয়ান।

এছাড়া বন্ধুজনের পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আব্দুস সামাদ আজাদ বিপু বলেন, আমরা দর্শনা সরকারী কলেজের ব্যাচের অনেক বন্ধুকে হারিয়েছি, আমাদের প্রিয় শিক্ষকদের হারিয়েছি। তাদের মাগফেরাত কামনা এবং সকল বন্ধু সময়ের প্রয়োজনে একত্রিত হতে একে অপরের চলার পথে খোজ খবর রাখা। অসহায় বন্ধুদের পাশে দাড়িঁয়ে সহযোগিতা করা আমাদের এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন।

এছাড়া বন্ধুজনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, আব্দুল হাকিম, আজিজুল হক, সালাউদ্দিন কাজল, ইমতিয়াজ হোসেন, কচি, এটিএম খান রান, সরোজিৎ, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।




কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নি*হত-২

কুষ্টিয়ার মিরপুরে যাত্রীবাহী বাসচাপায় সুকুমাল (৫২) নামে এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মিরপুর বিজিবি ক্যাম্পের সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ভ্যানচালক তুফানমাল মিরপুর উপজেলার ধুবাইল স্কুলপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়ক উন্নয়নে কাজ চলমান রাখতে রাস্তা থেকে পার্শ্ববর্তীতে রাস্তা সমান্তরাল করা হচ্ছে। কিন্তু মুল সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টির কারণে চলন্ত একটি বাস মুল সড়ক থেকে সাইডের সড়ক দিয়ে চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাখি ভ্যানকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক মারা যান।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, বিকেলে দ্রুতগামী একটি বাসের ধাক্কায় পাখি ভ্যান চালক রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তার মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

অপরদিকে বিকেলের দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ীর নওদাপাড়া এলাকায় শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলির ধাক্কায় জলিল মন্ডল (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।




চুয়াডাঙ্গার দুটটি ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ও শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানগণের শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ শেষে তিনি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

শপথ গ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মহিউল আলম ও মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহা।

শপথ গ্রহণ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক শারমিন আক্তার, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি রাজিব হাসান কচি, সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার এবং মাখালডাঙ্গা ও শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার রাহুল রায়।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের নিজের বিবেচনাবোধ, বিচক্ষণতা ও নিজের সত্ত্বা, এটাই সবচেয়ে বড়। নিজের শিক্ষা ও নৈতিকতা দিয়েই আপনারা আপনাদের চালিত করবেন। এটার উপরেই আপনাদের সুনাম ও দুর্নাম নির্ভর করে। নিজের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, সততা ও স্বচ্ছতা দিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। এতে করে আপনাদের মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হবে।’

জেলা প্রশাসক বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। যথাযথ সেবা দিবেন। উদ্যোক্তা, সচিব ও সদস্যদের নিয়ে সকল ধরনের উন্নয়নমূলক কাজে নেতৃত্ব দেয়া এখন আপনাদের হাতে। মাদকমুক্ত ইউনিয়ন হতে হবে। কোনো ধরনের সামাজিক সংকট তথা বাল্য বিয়ে, জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় কাজ করবেন। সেবা প্রার্থীদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক সেবা দিবেন।

জেলা প্রশাসক নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের মঙ্গল কামনা করে বলেন, ‘সুন্দর, সৎ ও ভালোভাবে আপনাদের সময়টা পার করতে পারবেন, এ আশি রাখি।’

উল্লেখ্য, গেল ৯ মার্চ সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ও শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইউপি সদস্যদের আগামি ৮ এপ্রিল শপথবাক্য পাঠ করাবেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা।




ইসলামিক মিডিয়া চুয়াডাঙ্গা’র পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিল 

ইসলামিক মিডিয়া চুয়াডাঙ্গা’র পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিল ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা চিকেন গার্ডেনে।

অসংখ্য সাংবাদিক ও লেখকের উপস্থিতিতে হাফেজ মাওলানা আব্দুল খালেক এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির মোঃ রুহুল আমিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র নেতা আরিফুল উদীয়মান লেখক শেখ মাসুদ রানা সাগর, কামাল উদ্দীন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম হাওলাদার, ইকরামুল হক, নুরুজ্জামান, খন্দকার শরিফুল,মাহমুদুল হাসান সহ অসংখ্য লেখক সাংবাদিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের ছাত্র নেতৃ বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল আমিন বলেন আমরা তিনটি কাজ করতে চাই, এক নম্বর সমাজের অবহেলিত মানুষ গুলোর পাশে থেকে একটি সোনালি সমাজ গড়তে হবে , দুই নম্বর, ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্টার জন্য কুরআনের আইন বাস্তবা য়ন করতে হবে, তিন নম্বর, আমাদের সমস্ত কাজই হবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।




দামুড়হুদার বিষ্ণুপুরে ইজিবাইকের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশুর

দামুড়হুদার বিষ্ণুপুরে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ধাক্কায় ইব্রাহিম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১০টার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ইব্রাহিম বিষ্ণুপুর কাছারীপাড়ার বারেকের ছেলে। সে মজারপোতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্র। জানা গেছে নিহত ইব্রাহিম পটকাবাজি কেনার জন্য বিষ্ণুপুর বাজারে যায়। বাজার থেকে ফেরার পথে বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পার হয়ে পাওয়ার টিলার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় রাস্তার উপর পড়ে গেলে তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। এমন সময় পিছন থেকে আসা দ্রুত গতির একটি ইজিবাইক তাকে ধাক্কা দিলে ছিটকে পড়ে যায়। এরপর ঐ ইজিবাইক নিহত ইব্রাহিমের উপর দিয়ে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন ইজিবাইক আটক করে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইজিবাইক চালক দক্ষিণপাড়ার ছানোয়ার হোসেন কালুর ছেলে আসিব (১৭) এখানো পলাতক রয়েছে। ইজিবাইক বর্তমানে বিষ্ণুপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আটক আছে।

বিষ্ণুপুর পুলিশ ফাঁড়ির সেকেন্ড ইনচার্জ এএসআই রাশেদ জানান ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে ইজিবাইকটি সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। খোঁজাখুঁজির পর ইজিবাইকটি উদ্ধার করে ক্যাম্পে আটক রাখা হয়েছে।

নিহত ইব্রাহিমের পিতা বারেক বলেন আমার ছেলে মারা গেছে, আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে এতে আমার কারো উপর কোন অভিযোগ নেই।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আলমগীর কবীর জানান এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিহত ইব্রাহিম যেহেতু ছোট শিশু তাই ময়না তদন্ত বাদে দাফনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত ইব্রাহিমের লাশ ময়না তদন্ত বাদে তারাবিহ নামাজের পর দক্ষিণপাড়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।




দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নে ভিজিএফের চাউল বিতরণ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নে দরিদ্র অসহায় ও দূস্থ পরিবারের মাঝে সুন্দর ও সুষ্ঠ পরিবেশে ভিজিএফ এর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ২ হাজার ৬শত ১৬ জন অসহায় ও দূস্থ পরিবারের মাঝে মাথাপিছু ১০কেজি করে চাউল বিতরন করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে পরিষদ চত্বরে চাউল বিতরণ করা হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক ভিজিএফ এর কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি একটা মহতি উদ্যোগ।

হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন নিজে উপস্হিত থেকে চাউল বিতরনের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান-২ শহিদুল ইসলাম, , ট্যাগ অফিসার আতিকুর রহমান, ইউপি সচিব নাঈম হোসেন, শাহজামাল, আব্দুল হান্নান পটু, সেলিম উদ্দিনসহ সকল সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে দুই তরমুজ ও এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড

গাংনী উপজেলা শহরে দুই তরমুজ ও এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে ১৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট।

দামের ভাউচার দেখাতে না পারা ও মুল্য তালিকার সাথে চালানের মিল না থাকায় তরমুজ ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলামকে ৪ হাজার, মনিরুল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা ও মাত্রাতিরিক্ত দাম নেওয়ার অপরাধে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জাশেদুল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে গাংনী উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম এই অভিযান পরিচালনা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামীম জানান, ২০০৯ সালের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৩৯ ধারায় এই তিন ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড করা হয়েছে।
এছাড়া গোস্তের দোকানগুলিতে সতর্কতামুল অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম অভিযানকে সহায়তা করেন।




চুয়াডাঙ্গায় ৪টি প্রতিষ্ঠান মালিককে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা

চুয়াডাঙ্গায় আসন্ন ঈদুল ফিতরের ঈদ কে সামনে রেখে অনেক বিপনি বিতান গুলোতে বেচাকেনায় যেন অসাধু উপায় অবলম্বন করছে ব্যবসায়িরা। এ সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গায় চারটি দোকানে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা বারোটার দিকে চুয়াডাঙ্গার নিউমার্কেট, প্রিন্স প্লাজা ও কবরী রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার নিউ মার্কেটে অভিযানে মেসার্স হৃদয় ফ্যাশান নামক প্রতিষ্ঠান তদারকিকালে নির্ধারিত লাভের চেয়ে অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন কাপড় বিক্রয় ও পণ্যের ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার অপরাধে মালিক আকতার হোসেনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ও ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর মেসার্স আজিজ বস্ত্রালয় এর মালিক আজিজ মাকসুদকে নির্ধারিত লাভের অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন জামা-কাপড় বিক্রয়ের অপরাধে ৪০ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অপরদিকে প্রিন্স প্লাজা মার্কেটে মেসার্স স্টাইল ওয়ান প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে ৭৫০ টাকা মুল্যের একটি শার্টে ২ হাজার ৮৫০ টাকা প্রাইস ট্যাগ লাগানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৭৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করা শার্টে ২ হাজার ১০০ টাকা লাভ রাখা হয়েছে। এই অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার একেএম আলিমুজ্জামানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। কবরী রোডে মেসার্স ভাই ভাই ফুসকা হাউসকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ করে বিক্রয়ের অপরাধে ৫১ ধারায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানের শেষ পর্বে চুয়াডাঙ্গার খন্দকার, মিঠাইবাড়ি, সাম্পানসহ মিষ্টির প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঈদে কোন প্রকার শর্ত দিয়ে পণ্য বিক্রয় ও মুল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করা হয় । অভিযানটি সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম। এ অভিযান অব্যহত থাকতে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।