জিয়াউর রহমানকে হত্যার স্বীকার হতে হয়েছিল: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে হত্যার স্বীকার হতে হয়েছিল, এটা সাধারণ মৃত্যু ছিল না। জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার সময়ে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। দুইবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকেও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার করতে পারেননি তারা। এখন বিএনপির নেতারা বলছেন তাকে পরিকল্পতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘জেলা রিপোর্ট প্রকাশনা’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকেও কেন তার স্বামীর হত্যার বিচার করতে পারেননি এটা আমার প্রশ্ন। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন, সুস্থ হয়ে আবারও তাকে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসার আহবান জানান হানিফ।

হানিফ ভারত প্রসঙ্গে বলেন, ভারতকে কী বেশি দেওয়া হয়েছে, সেটা বিএনপি ক্যাটাগরি ঠিক করে স্পষ্টভাবে যদি বলত তাহলে তা বোঝা সহজ হতো। কিন্তু বিএনপি মিথ্যা রাজনীতি ও স্ট্যান্ডবাজি করে টিকে থাকতে চায়। বিএনপিকে এসব অযৌক্তিক কথাবার্তা না বলার আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা সহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে বিজিবির অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক ১

মুজিবনগরের সীমান্তবর্তি সোনাপুর গ্রাম থেকে একটি বিদেশী পিস্তুল ও ২ রাউন্ড গুলি ও এক বোতল বিদেশী মদসহ আশরাফুল ইসলাম (৪০) নামে একজনকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা ৬ বর্ডারগার্ড (বিজিবি) এর নাজিরাকোনা বিওপি ক্যাম্প।

আটক আশরাফুল ইসলাম মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকাল সাড়ে তিনটার সময় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১০৭ এর নিকট বাংলাদেশের ৫০০ গজ অভ্যন্তর থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক করেন তাকে বিজিবি সদস্যরা।

সোনাপুর ক্যাম্পের জুনিয়র কর্মকর্তা নায়েক সুবেদার জাকির হোসেন জানান, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১০৭ এর নিকট বাংলাদেশ অভ্যন্তরে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজন অবস্থান করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে আশরাফুল ইসলাম পালানোর চেষ্টা কালে তাকে আটক করেন বিজিবি সদস্যরা। এসময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, এক বোতল বিদেশী মদ, একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। পরে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশের হস্তান্তর করা হয়েছে।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল দত্ত জানান, আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আশরাফুল ইসলামকে বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় আগেন্য়াস্ত্র আইনে বিজিবির পক্ষ থেকে মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশরাফুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।




নিয়োগ দিবে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির এয়ার-কন্ডিশনার ডিভিশন ‘কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার’ পদে একাধিক পদে জনবল নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি

পদ ও বিভাগের নাম : কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, এয়ার-কন্ডিশনার

আবেদনের বয়সসীমা : নির্ধারিত নয়

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

কর্মস্থল : গাজীপুর (কালিয়াকৈর)

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ২ বছর

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ২৬ জুন, ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিস

প্রার্থীর ধরন : শুধু পুরুষ

আবেদনের শেষ তারিখ : ০৭ জুলাই, ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইপিইতে বি.এসসি. ডিগ্রি থাকতে হবে।

অন্যান্য যোগ্যতা : ইলেকট্রনিক শিল্পে অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ভালো আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে। শক্তিশালী নেতৃত্ব ও গভীর বিশ্লেষণী ক্ষমতা, সমস্যা সমাধানের মনোভাব ছাড়াও মাইক্রোসফ্ট অফিস, এক্সেল এবং পাওয়ার পয়েন্টে দক্ষতা থাকতে হবে।

অন্যান্য সুবিধা : মোবাইল বিল, চিকিৎসা ভাতা, পারফরমেন্স বোনাস, লাভ শেয়ার, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স, সম্পন্ন ভর্তুকিযুক্ত দুপুরের খাবার, বার্ষিক বেতন পর্যালোচনা, বছরে দুটি উৎসব বোনাস, হাসপাতালের জন্য পরিষেবার সুবিধা, স্ন্যাকস, পরিবহন সুবিধা, ঋণ সুবিধা, চিকিৎসা পরিষেবা ছাড়াও কোম্পানির নীতি অনুযায়ী বিভিন্ন করপোরেট ডিসকাউন্ট সুবিধা পাবেন।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে  এখানে  ক্লিক করুন।




মেহেরপুর পৌরসভার ৪০ কোটি ৩০ লক্ষ ৮৯ হাজার ১৮৬ টাকার বাজেট ঘোষণা

মেহেরপুর পৌরসভার ২০২৪-২৫ অর্থ-বছরে ৪০ কোটি ৩০ লক্ষ ৮৯ হাজার ১৮৬ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন।

বৃহস্পতিবার মেহেরপুর পৌরসভা মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেট ও ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে নতুন কোন কর আরোপ না করে এই বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

মেহেরপুর পৌর সভার ১ নং প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বাজেট অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ২ নং প্যানেল মেয়র সৈয়দ আবু আব্দুল্লাহ বাপ্পী, ৩ নং প্যানেল মেয়র মোছা:রোকসানা খাতুন, ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীর জাহাঙ্গীর হোসেন, ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আল মামুন ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রহিম, ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ, ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলার, ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল আশরাফ রাজীব, ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুঞ্জুরুল কবীর রিপন, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শারমিন আক্তার, ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর দিল আফরোজ জোছনা প্রমুখ।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌরসভার নির্বাহী কমকর্তা জিএম ওবায়দুল্লাহ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, হিসাব রক্ষক মো: মহাদ্দেস আলী। আরও উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ পৌরসভার সকল কর্মকর্তা কর্মচারী, বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে জনশুমারী ও গৃহগণনার রিপোর্ট প্রকাশ

দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারী ও গৃহগণনার জেলা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ২০২২ এর এ শুমারির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায়’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-সচিব আজাদ জাহান, পরিসংখ্যান ব্যুরোর এসডিজি সেলের উপপরিচালক ও ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক আব্দুল আলীম। মোড়ন উন্মোচন শেষে জনশুমারীর জেলার তথ্য তুলে ধরা হয়।

২০২২ সালের জনশুমারী অনুযায়ী ঝিনাইদহে বর্তমান জনসংখ্যা ২০ লাখ ৫ হাজার ৮’শ ৪৮ জন। জনসংখ্যায় পুরুষের তুলনায় নারী সংখ্যা বেশি। বর্তমানে ঝিনাইদহে বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন জেলার ৯৯ দশমিক ৬৯ ভাগ মানুষ। যেখানে ১৯৯১ সালে ছিলো ৫ দশমিক ৯৯ ভাগ। এছাড়াও জনশুমারীতে উঠে আসা জেলার নানা তথ্য তুলে ধরা হয় এই রিপোর্টে।




বর্ষায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

বর্ষার মৌসুম মানেই বৃষ্টি। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন কিছুটা বদল এসেছে এই মৌসুমে। তাই এই সময়ে খাদ্যাভ্যাসের কারণেও অনেক সময় অসুস্থতায় পড়তে পারেন অনেকে। আবহাওয়াও অনেক সময় ভ্যাপসা থাকে। তাছাড়া কিছু খাবার স্বাস্থ্যকর হলেও বর্ষায় ক্ষতিকর হতে পারে। সেগুলো কী?

শাকজাতীয় খাবার
শাকজাতীয় খাবারে পুষ্টি প্রচুর। পালংশাক, লেটুস বা শাকজাতীয় সবজি বর্ষার আবহাওয়ায় পুষ্টিমান হারায়। আর বর্ষায় আর্দ্রতার কারণে ব্যাকটেরিয়াও বাড়ে। দূষণের ঝুঁকি থাকে। ফলে এই সময় শাকজাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।

স্ট্রিট ফুড
বর্ষার সময় কাঁদা আর বাতাসে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত ছড়ায়। অসাবধানে আপনার হাত-পা নোংরা হয়। তাই স্ট্রিটফুডেও পেটে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক থাকে।

সি-ফুড
সামুদ্রিক খাবার বর্ষায় দ্রুত দূষিত হতে পারে। শুধু সি-ফুড নয়। স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে মাছ-মাংসও দূষিত হয়। পচন না ধরলেও ফুড পয়জনিং এর মতো উপাদান জমতে পারে। তাই এমন খাবারে সাবধান।

দুগ্ধজাত পণ্য
বর্ষায় দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক থাকা জরুরি। আবহাওয়ায় এগুলো দ্রুত নষ্ট হতে পারে। তাই খেলে তাজা খাবেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুফা কাটিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

অবশেষে আইসিসি ওয়ার্ল্ডে কাপের কুফা কাটলো দক্ষিণ আফ্রিকার। এর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে ৭ বারেও পেরতে পারেনি সেমিফাইনাল তবে ৮ম সেমিফাইনালে জয়ের দেখা পেয়ে ফাইনালে প্রোটিয়ারা।

সেমিফাইনালে এসে এমন একপেশে এক ম্যাচ দেখতে হবে কে ভেবেছিল। ক্রিকেট বিশ্বে প্রবাদের মতো করে প্রচলিত এক কথা, দক্ষিণ আফ্রিকার দৌড় সেমিফাইনাল পর্যন্ত। প্রতিটা বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ফেবারিট হিসেবেই নামে প্রোটিয়ারা। কিন্তু সেমিতে গিয়েই খেই হারানো স্বভাব তাদের। তার ওপর এবারে প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের বে সারপ্রাইজ প্যাকেজ আফগানিস্তান।

ত্রিনাদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল হলো ভীষণ একপেশে। ৯ উইকেটের বিশাল জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

আফগান রূপকথা আর প্রলম্বিত হতে দিল না দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া পেসারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপ দেখল সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম সেমিফাইনাল। মার্কো ইয়ানসেন, কাগিসো রাবাদা, আনরিক নরকিয়ার সঙ্গ ঝলক দেখান স্পিনার তাবরাইজ শামসিও। তাদের ঝাঁজে সেমিফাইনাল মঞ্চে স্রেফ ৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। যা অনেকটা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে এইডেন মার্করামের দল।

ত্রিনাদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল হলো ভীষণ একপেশে। ৯ উইকেটের বিশাল জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাটিং বেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে সবচেয়ে কম ৫৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার তিক্ত রেকর্ডে নাম লেখায় আফগানিস্তান। ৬৭ বল বাকি থাকতে ওই রান তুলে আনন্দে মাতে ক্রিকেটের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দল দক্ষিণ আফ্রিকা।

ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সাতবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেও প্রতিবারই যন্ত্রণায় পুড়তে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ফাইনালে উঠতে না পারায় চোকার্স তকমাও জুটেছে তাদের। এবার সব চাপা দিলেন মার্করামরা।

৫৭ রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে ফজলহক ফারুকির বলে কুইন্টেন ডি কক ফিরেছিলেন বটে তবে তাতে ম্যাচের প্রভাব ছিলো না। এবার বিশ্বকাপে রান না পাওয়া দুই ব্যাটার রেজা হেনড্রিকস ও অধিনায়ক মার্করাম মিলে কাজটা সারেন অনায়াসে।

টস জিতে ব্যাটিং বেছে যেন নিজেদের মহাবিপদ ডেকে আনে আফগানিস্তান। প্রোটিয়া পেসারদের আগুনে পুড়ে ছারখার হতে থাকে তারা।

ইয়ানসেনের প্রথম ওভারে লোভনীয় ড্রাইভ খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন কোন রান না করা রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। এই বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের ওপেনাররা ব্যর্থ হলে মিডল অর্ডার সেটা সামাল দিতে পারেনি, এবার তাদের কোন অর্ডারই তাল পায়নি।

ইয়ানসেন তার পরের ওভারে ভেতরে ঢোকা বলে উড়িয়ে দেন গুলবদিন নাইবের স্টাম্প। রাবাদা বল করতে এসে পর পর দুই বলে স্টাম্প উপড়ান ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবির।

নাঙ্গিয়াল খারোতিকে আগে নামানো হয়েছিলো। ইয়ানসেনের পেস বুঝতে পারেননি তিনিও। একমাত্র যে ব্যাটার দুই চারে দুই অঙ্কে গেছেন সেই আজমতুল্লাহ ওমরজাই শিকার আনরিক নরকিয়ার তাতে ২৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় আফগানরা।

পেসাররা ৬ উইকেট ফেলার পর আক্রমণে আসেন তাবরাইজ শামসি। এসেই তিনি এক ওভারে তুলে নেন করিম জানাত ও নূর আহমেদকে। শেষ দিকে নাবিন উল হককে এলবিডব্লিউ করে ইনিংস মুড়েও দেন তিনি। এর আগে আফগান অধিনায়ক রশিদ খানের স্টাম্প উড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস শক্তির ছবি দেখান নরকিয়া।

প্রথম ইনিংসেরই পরই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যাচের ফল। বাকি সময়ে চলেছে স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা সারার কাজ।

সূত্র: ইত্তেফাক




হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডের চাঁদাবাজি মামলার চার্জ গঠন

মেহেরপুরের বহুল আলোচিত হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডের চাঁদাবাজি মামলায় চার্জ গঠন করেছেন আদালত।
সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিন অরণ্য, আবু আক্তার করণসহ পুলিশের দেওয়া চার্জশিটের ১৭ আসামির বিরুদ্ধেই আদালত চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

বুধবার মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মনজুরুল ইমাম এই আদেশ দেন। আলোচিত ও সমালোচিত হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্ণগ্রাফি ও চাঁদাবাজির দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। চাঁদাবাজি মামলা (মামলা নম্বর ৪০৪/২৩) এর চার্জ গঠন করল আদালত। একই সাথে আদালত আগামী ২৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে সাক্ষগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছেন।

এদিন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সাংবাদিক ও আইনজীবি তুহিন অরণ্য, সাংবাদিক আবু আক্তার করনসহ আরো কয়েকজন তাদের আইনজীবির মাধ্যমে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। তবে বিচারক আসামিদের আবেদন আমলে না নিয়ে চার্জশিটভুক্ত সকল আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দেন।
চার্জ গঠনের শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবি হিসেবে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলামসহ তাদের জুনিয়ররা।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য। ইতোপূর্বে নাজনিন খান প্রিয়া ও ছন্দা খাতুনের ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে মোট ৩৫ জন আসামি সনাক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে ১৮ জনের বিপক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় তাদেরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাকি ১৭ জন আসামীর নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত সেটা গ্রহণ করে।

চাঁদাবাজি ও পর্ণগ্রাফি মামলার আসামি হিসেবে যাদের পুলিশ চার্জভুক্ত করেছিল তারা হলেন মোছাঃ নাজনিন খান প্রিয়া, মোছাঃ ছন্দা খাতুন, মোঃ মামুন জোয়ার্দ্দার, মোঃ মতিয়ার রহমান, মোঃ আব্দুস সালাম, মোঃ হাসিবুল হক জয়, মোঃ মিজানুর রহমান জনি (মামলা চলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন), নেহাল আল মুকিত, মোঃ শাহাজাহান আলী, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন অরন্য, আবু আক্তার করন, মোছাঃ রেক্সোনা আরা, নিলুফার ইয়াসমিন রুপা, নুসরাত, বর্ষা, সুমন রহমান বিমান ও বিপাসা।




মেহেরপুরে পেকিং জাতের হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন গ্রামীণ নারীরা

মেহেরপুরে ব্রইলার টাইপের পেকিং জাতের হাঁস পালন করে সাবলম্বি হচ্ছেন গ্রামীণ নারীরা । সল্প বিনিয়োগ ও অল্প সময়ে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টির অন্যতম মাধ্যম ব্রইলার টাইপ পেকিং প্রজাতির হাঁস পালন। সহজ ব্যাবস্থাপনা ও ভালো বাজার দরের কারণে ব্রইলার টাইপ পেকিং জাতের হাঁস পালন জেলার বিভিন্ন গ্রামের নারীদের সৌখিন ও পছন্দের পেশায় পরিনত হয়েছে। এতে একদিকে যেমন পরিবারের মাংসের চাহিদা পুরণ হছে অন্যদিকে বাড়তি আয়ের উৎস বলেও মনে করছেন গৃহিনীরা।

খামারী পর্যায়ে পেকিং জাতের হাঁস পালনে গ্রামের অস্বচ্ছল নারীদের সাবলম্বি করতে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পল্লী কর্ম- সহায়ক ফাউন্ডেশন। অনেকেই বাণিজ্যিক ভাবে পালন করেও লাভবান হচ্ছে। কারিগরি সহযোগিতায় কাজ করছে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি নামের বেসরকারি সংস্থা। নারীদের পাশাপাশি বেকার যুবকেরাও এগিয়ে আসছে এ জাতের হাঁস পালনে। ।

গাংনী উপজেলার রাইপুর গ্রামের আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী রিনা খাতুন বলেন, আমার অভঅবের সংসার। স্বামীর রোজাগরের টাকায় সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হতো। ছেলে মেয়েদের হাতে দুএক টাকা দিতে পারতাম না। পরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির লোকজন আমার দুরবস্থা দেখে পেকিং জাতের হাঁসের বাচ্চা দেয় এবং তা পালনের জন্য বিভিন্ন উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা করেন। আমার বাড়িতে এখন ৩৫টি পেকিং জাতের হাঁস রয়েছে। এ হাঁস পালনে পানির প্রয়োজন হয়না। এই জাতের হাঁস পালনের বিশেষ বৈশিষ্ঠ হচ্ছে, এই জাতের হাঁস দ্রত বর্ধনশীল। দুই মাসে প্রায় ৩ কেজি ওজন হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী ও মৃত্যুর হার তুলনামূলক কম এবং মাংস সুস্বাদু। প্রাকৃতিক জলাশয়ের প্রয়োজন পড়েনা পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভ। এখন আমার সংসারের টুকিটাকি খরচ আমি নিজেই হাসের ডিম ও মাংস বিক্রি করে করতে পারি।

বেতবাড়িয়া গ্রামের মিনুয়ারা খাতুন বলেন, বাড়িতেই পেকিং হাঁস পালন করি। কোন সসম্যা হলে সংস্থার পাণি সম্পদ কর্মকর্তাকে জানায়। তিনি আমাদের সার্বিক সহায়তা দেন। সংস্থার কাছ থেকে বিনামূল্যে পেকিং জাতের হাঁসের বাচ্চা দিয়েছিল। হাঁস ও ডিম বিক্রি করে আমার সংসারের অনেক স্বচ্ছলতা এসেছে।

তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর জাকিরের স্ত্রী সাথিয়ারা জানায়, স্বামীর রোজগারে ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগানো খুবই কষ্ট হতো। এখন আমার বাড়িতে ৩৫টি পেকিং জাতের হাঁস পালন করি। প্রতিদিনই প্রায় সব হাঁসেই ডিম দিচ্ছে। ডিম বিক্রি করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া খরচ ও পোশাক কিনে দিতে সমস্যা হচ্ছেনা। আমার হাত খরচের টাকাও আর স্বামীর কাছ থেকে নিতে হয়না। আমার সংসারে অনেকটাই আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে। তবে বানিজ্যিক ভাবে খামার করার চেষ্টা করছেন উপকারভোগী নারীরা।

জানা গেছে, সারা দেশে সমন্বিত কৃষি ইউনিট ভুক্ত প্রাণিসম্পদ খাতের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে পিকেএসএফ ২০১৭-২০১৮ অর্থবছর থেকে পেকিং প্রজাতির হাঁস পালন প্রকল্পটি চালু করে। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)।

কর্মসূচির আওতায় গাংনী উপজেলাতে খামারীদের স্বল্প সময়ে মাংস ও ডিম উৎপাদনে ব্রইলার টাইপ পেকিং হাঁস পালন বিষয়ক ৬৩ টি প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করে। এছাড়াও খামারিদের মাঝে পেকিং হাঁস পালনের প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণের পাশাপাশি খামারিদের পেকিং হাঁস পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ, খামার দিবস, পরামর্শ কেন্দ্র এবং ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)। এ প্রকল্পের আওতায় শতাধিক অস্বচ্ছল পরিবার এখন আর্থিক স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী পলাশীপাড়া পিএসকেএস এর নির্বাহী পরিচালক মুহা: মোশাররফ হোসেন বলেন, পরিবারের সদস্যদের পুষ্টি চাহিদা পুরুনে পেকিং জাতের হাঁসপালন প্রকল্পটি আমরা বাস্তবায়ন করছি। এতে অনেকের সংসারে স্বচ্ছলতা আসছে। খামারী পর্যায়ে পেকিং জাতের হাঁস পালনে গ্রামের অস্বচ্ছল নারীদের সাবলম্বি করতে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পল্লী কর্ম- সহায়ক ফাউন্ডেশন। অনেকেই বাণিজ্যিক ভাবে পালন করেও লাভবান হচ্ছে। পিছিয়ে পড়া মানুষকে আর্থিক স্বচ্ছলতায় সক্ষম করতে আমাদের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা: নাসিমা খাতুন বলেন, আমাদের সমাজে অনেক পরিবার আছে যারা অনেক অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে সংসার চালায়। তাদের আমরা সরকারি ভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মমুখি করে সাবলম্বী করে তুলছি। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি অনেক বেসরকারি সংস্থাও নারীদের কর্মমুখী করতে নানা কর্মসুচি হাতে নিয়েছে। তেমনি একটি সংস্থা পিএসকেএস। পেকিং জাতের হাঁস পালন করে অনেক নারীরা তাদের সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছে। অনেকেই এখন সংসারে আত্ননির্ভরশীল হচ্ছে।




আলমডাঙ্গায় সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে এসে গ্রাহকের টাকা চুরি

আলমডাঙ্গার সোনালী ব্যাংকের ভেতরে আবারও এক গ্রাহকের টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার ওই গ্রাহক ব্যাংকে টাকা জমা দেবার জন্য কাউন্টারের সামনে রাখলে চোরেরা কৌশলে ৬১ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোর সনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগী পৌরশহরের নিত্যরঞ্জন সাহার ছেলে গোবিন্দপুর গ্রামের মলয়।

স্থানীয়রা জানান, আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মলয় ও অগ্রণী ব্যাংকের এক পিয়ন আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পে-অর্ডারের টাকা জমা দিতে সোনালি ব্যাংকে যান। এ সময় তিনি দুজনের পে-অর্ডারের মোট ৬১ হাজার টাকা ব্যাংকের ৪ নম্বর কাউন্টারের সামনে রেখে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যান।

এসময় চোরচক্রের এক সদস্য কৌশলে কাউন্টার থেকে ওই ৬১ হাজার টাকা চুরি করে নেয়। পরে ভুক্তভোগী মলয় ফিরে দেখেন কাউন্টারে তাঁর টাকা নাই। পরে সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করলে চুরির ঘটনাটি সামনে আসলেও চোরকে কেউই সনাক্ত করতে পারেনি।

এদিকে গত ৯ জুন সোনালী ব্যাংক থেকে এক মহিলার উত্তোলন করা টাকা চোর চক্র একই কায়দায় চুরি করে নিয়ে যায়।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক এইচ এম আব্দুল আওয়াল বলেন,ক্যাশে টাকা জমা না দিয়ে কাউন্টারে বাইরের রাখলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দায়ভার গ্রহণ করবে না।

এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, ব্যাংক থেকে টাকা চুরির ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।