নতুন ভাষা শিখবেন যেভাবে

দক্ষতা বাড়াতে নতুন ভাষা শেখার বিকল্প হয় না। অনেকেই বেশ আনন্দ নিয়েই নতুন ভাষা শিখে থাকেন, অনেকে পান কিছুটা ভয়। কিকরে ভয়কে জয় করে সহজেই নতুন স্কিল জীবনে যুক্ত করবেন জেনে নেওয়া যাক:

নিয়মিত অভ্যাস
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত অভ্যাস একটি নতুন ভাষা শেখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট নতুন ভাষা চর্চা করা উচিত। এটি শিখতে সহায়ক হবে এবং মস্তিষ্কে ভাষাটির ধারণা তৈরি করবে।

ভোকাবুলারি বাড়ানো
নতুন শব্দ শিখতে, প্রতিদিন কিছু নতুন শব্দ লিখুন এবং সেগুলি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেন একটি ডায়েরি রাখা, যেখানে আপনি নতুন শব্দ এবং তাদের অর্থ লিখবেন।

স্পিকিং প্র্যাকটিস
ভাষা শেখার সময় সবচেয়ে বড় বাধা হল কথা বলার অভ্যাস। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন বা ভাষা শেখার গ্রুপে যোগ দিন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কথোপকথন ও রোল প্লে খুব কার্যকরী।

বিভিন্ন রিসোর্স ব্যবহার করা
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শেখা খুবই কার্যকরী। বই, অনলাইন কোর্স, অ্যাপস, পডকাস্ট ও ইউটিউব ভিডিও ব্যবহার করুন। বিভিন্ন উৎস আপনাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও শিক্ষণ পদ্ধতি প্রদান করবে।

সংস্কৃতি বোঝা
নতুন ভাষার সঙ্গে তার সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমা দেখা, গান শোনা এবং বই পড়া আপনাকে ভাষার ব্যবহার ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা দেবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি ভাষা শেখার একটি মজাদার অংশ।

ভুল থেকে শেখা
ভুল করা শেখার একটি অপরিহার্য অংশ। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ভুলগুলিকে চাপ না নিয়ে শেখার অভিজ্ঞতা হিসেবে গ্রহণ করতে। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে এবং ভাষাটি আরও ভালোভাবে শিখবেন।

সময় দিন
নতুন ভাষা শিখতে সময় লাগে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধৈর্য্য এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। কিছুদিন পর ফলাফল দেখতে পাবেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




আলমডাঙ্গায় বোরো মৌমুমে উৎপাদন খরচ বেড়েছে ধানে, আবাদ বাড়ছে ভুট্টা-সরিষার

আলমডাঙ্গা উপজেলায় বোরো মৌসুমে ধানের পরিবর্তে ভুট্টা ও সরিষা আবাদে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। কম খরচে অধিক ফলন ও সরকারি প্রণোদনার বীজ ও কীটনাশক সার পাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবছর ভুট্টা ১’শত ১০ হেক্টর ও সরিষা ৩’শত ৩০ হেক্টর জমিতে আবাদ বেড়েছে। পাশাপাশি কিছুটা বেড়েছে আলু ও গম চাষ।

কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে ধানের দাম কম এবং সেচ, সার ও কীটনাশকে খরচ বেশি হওয়ায় বোরো ধানের আবাদে তেমন একটা লাভ হয় না। অন্যদিকে কম খরচে ভুট্টা চাষে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকেরা বোরোর আবাদ কমিয়ে দিচ্ছেন। এছাড়াও আলু ও গম চাষেও ঝুঁকছে কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৯ হাজার ২৭৫ হেক্টর। গত ২০২২-২৩ মৌসুমে ১৩ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ করা হয়। এছাড়া সরিষা ২ হাজার ১৫০ হেক্টর, আলু ১’শত ৪৮ হেক্টর, গম ৩’শত ৬০ হেক্টর। (রোপা আমন) এছাড়া ধান চাষ করা হয়েছিল ১৬ হাজার ৫২৪ হেক্টর জমিতে।

এক বছরের ব্যবধানে ভুট্রা ও সরিষা চাষ বেড়েছে ৪ শত ৪০ হেক্টর জমিতে। চলতি ২০২৪-২৫ মৌসুমে ভুট্রা চাষ হচ্ছে ১৩ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে। এছাড়া সরিষা ২ হাজার ৪৮০ হেক্টর, আলু ২ শত ৬৩ হেক্টর, গম ৩ শত ৯৯ হেক্টর। এদিকে গত মৌসুমের তুলনায় এবছর ১৬ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের সাহেবপুর গ্রামের কৃষক আবদুল জব্বার বলেন, গত বছর তিনি এক বিঘা জমিতে ভুট্টা এবং দুই বিঘায় বোরো আবাদ করেছিলেন। তবে এবার তিনি তিন বিঘায় ভুট্টার আবাদ করেছেন এবং তিনি আরও ১২ শতক জমি লিজ নিয়েছেন, ওই জমিতে বোরো ধান আবাদ করবেন।

প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বোরো আবাদে খরচ বেশি হলেও ধানের দাম কম। এক বিঘা জমিতে ১৬ থেকে ২০ মণ ধান হয়। প্রতি মণ ধানের দাম ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। আর এক বিঘা জমিতে ভুট্টা হয় ৩০ থেকে ৩৫ মণ। প্রতি মণ ভুট্টার দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। ভুট্টায় সেচ খরচও কম। এক মণ ধানে উৎপাদন ব্যয় প্রায় ৮০০ টাকা এবং ভুট্টায় প্রায় সাড়ে ৬০০ টাকা। উৎপাদন ব্যয় কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় তাঁরা ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন।

আলমডাঙ্গা উপজেলা জেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহানা পারভিন বলেন,‘ কীটনাশক সার ও বীজের পাশাপাশি বোরো চাষের খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তবে আমন আবাদ স্থিতি রয়েছে। এ কারণে ধান উৎপাদনে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। তিনি আরও বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সরকারি প্রণোদনা সার বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে সকল কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন।




বড় পর্দায় আবার ফিরছে গডজিলা

জাপানি মনস্টার গডজিলাকে রূপালি পর্দায় প্রথম দেখা যায় ১৯৫৪ সালে। ওই বছরের ৩ নভেম্বর হলে মুক্তি পায় ‘গজিরা’, যাতে প্রধান চরিত্র হয়ে দেখা দেয় গডজিলা। সে হিসাবে এ মনস্টারের পর্দায় অভিষেকের ৭০ বছর পূর্ণ হলো আজ। এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা ফ্র্যাঞ্চাইজি।

৭০ পূর্তি উপলক্ষে গডজিলাকে নিয়ে নতুন ঘোষণা দিল জাপানি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টোহো স্টুডিওজ। তারা জানিয়েছে, বড় পর্দায় আবার ফিরছে গডজিলা।

গত বছর জাপানি সিনেমা ‘গডজিলা মাইনাস ওয়ান’ বক্স অফিসে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে। ৯৬তম অস্কারে সেরা ভিজুয়াল ইফেক্টের পুরস্কারও পায়। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন তাকাশি ইয়ামাজাকি। ভিএফএক্সের দায়িত্বও তিনি সামলেছেন। তার হাতেই নির্মিত হবে গডজিলার পরবর্তী পর্ব।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক্সে টোহো একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছে এ খবর। ভিডিওতে তাকাশি ইয়ামাজাকিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কাছে একটা দারুণ খবর আছে। গডজিলা সিরিজের নতুন সিনেমাটি পরিচালনা করব। আমাদের সঙ্গেই থাকুন।’

নিউজউইক জানিয়েছে, নতুন সিনেমাটি গডজিলা মাইনাস ওয়ানের সিকুয়েল হবে, নাকি স্বতন্ত্র সিনেমা হিসেবেই নির্মিত হবে, তা এখনো জানা যায়নি। ওই সিনেমার বাজেট ছিল ১৫ মিলিয়ন ডলার, আয় করেছিল ১১৬ মিলিয়ন। নতুন সিনেমাটি নির্মিত হবে এর চেয়েও বড় আয়োজনে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপানিদের জন্য গডজিলা চরিত্রটি ছিল পারমাণবিক গণহত্যার প্রতিবাদের প্রতীক। এরপর অনেক দশক কেটেছে। এই দীর্ঘ সময়ে গডজিলার জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি, বরং দিনে দিনে বেড়েছে। এ পর্যন্ত ৩৭টি সিকুয়েল তৈরি হয়েছে এ সিনেমার। এ ছাড়া টিভি সিরিজ, ভিডিও গেমস ও কমিকসেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে গডজিলা।

শুরুর দিকে গডজিলাকে মানবজাতির ক্ষতি করা দানব হিসেবে দেখানো হলেও পরবর্তী সময়ে মানুষের বন্ধু হিসেবে বারবার হাজির হয়েছে এ মনস্টার। সাগরের তলদেশ থেকে উঠে আসা পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন এই দানব অনেক সিনেমায় পৃথিবীকে অন্যান্য দানবের হাত থেকেও রক্ষা করেছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি ঘোষণা

চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে দশটায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্যাডে কেন্দ্র থেকে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আসলাম অর্ক ও সদস্য সচিব হিসেবে সাফফাতুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আসিফ সোহেল স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

এতে মূখ্য সংগঠক সজীবুল ইসলাম, মূখপাত্র তামান্না খাতুন, যুগ্ম আহবায়ক তানভীর রহমান অনিক, যুগ্ম সদস্য সচিব রেজাউল বাসার প্লাবন, সংগঠক কামরুল হাসান কাজল সহ কমিটির বাকি সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয় ।




বিপিএলের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তামিম

গত বছরের সেপ্টেম্বরে সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর তাকে আর দেখা যায়নি লাল-সবুজের জার্সিতে। ব্যাট ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছেন মাইক্রোফোন। করেছেন কমেন্ট্রি। তবে সম্প্রতি ব্যাট হাতে আবারও অনুশীলনে ফিরেছেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক। এতেই অনেকে মনে করছেন দ্রুতই জাতীয় দলে ফিরবেন তিনি। তবে জাতীয় দলে নয়, আসন্ন বিপিএলের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তামিম।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তামিম। রোববার (৩ নভেম্বর) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি দলে ফিরছি এসব মিডিয়ার করা। আমি দলে ফিরছি না, এটাও আপনাদের (মিডিয়ার) করা। আমি একবারও কি বলেছি দলে ফিরছি, কিংবা দলে ফিরবো না?’

তামিম আরও বলেন, ‘মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, যারা ইউটিউবে কনটেন্ট করেন তারা এমনভাবে সাজিয়ে নাটক করছেন, যেন মনে হয় আমি বোর্ডের সঙ্গে মজা নিচ্ছি। বলেন, ওরা নিজেদের মতো করে গল্প সাজায়, রেপুটেশন (সুনাম) খারাপ করে আমার। যেখানে আমি কোনো কমেন্টই (মন্তব্য) করছি না।’

গুঞ্জন না ছড়াতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘সবাইকে অনুরোধ করবো, আমার ফেরা বা না ফেরা নিয়ে যতক্ষণ না আমার মুখ থেকে কোনো স্টেটমেন্ট শুনছেন ততক্ষণ কিছু বিশ্বাস করবেন না। আরেকটি বিষয়, আমি দলে ফিরতে চাইলেই যে, দল স্বাগত জানাবে তা-ও তো না। যদি বোর্ড-নির্বাচকরা মনে করেন আমার প্রয়োজন, তারপর তো আমি ফিরতে চাই কি না সেটাও তো আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’

দলে ফেরা কিংবা না ফেরার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা? এমন প্রশ্নে তামিম বলেন, ‘এ ব্যাপারে কারো সঙ্গে আলোচনা হয়নি। কারোর সঙ্গে কখনো কথাও বলিনি। আমি এখন ব্যাটিং শুরু করেছি বিপিএলের কথা মাথায় রেখে। বিপিএলের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি। এর বাইরে এই মুহূর্তে মাথায় আর কিছু নেই।’

ক্যারিবীয়ান সফরের জন্য ব্যক্তিগতভাবে তৈরি হতে চান কিনা, জবাবে তামিম বলেন, ‘এই মুহূর্তে এই ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই। একদম পরিষ্কার জবাব, আমি শুধু বিপিএলের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে কমছেই না সবজির দাম, অস্বস্তিতে ভোক্তারা

সবজি খ্যাত কৃষিনির্ভর জেলা মেহেরপুরে উৎপাদিত সবজির দামও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। করলা,ঝিঙা,চিচিংগা, কলা,পটল,বেগুন,পেঁপে, মিস্টি কুুমড়া, লাউ,ফুলকপি,বাঁধাকপি, ঢেঁড়সসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি মেহেরপুরে উৎপাদন হলেও দাম যেন কমছেই না।

ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য জেলায় বছর এসময় মেহেরপুরে সব সবজির দাম কমে যায়। আর কৃষকরা বলছেন, বন্যা কবলিত জেলায় সবজি না হওয়ায় চাহিদা ভাল, দামও বেশি নিত্যপণ্য নিয়ে অস্বস্তি কাটছেই না। মাঝেমধ্যে দু-একটি পণ্যের দাম কিছুটা কমলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বমূল্য নিম্নআয়ের মানুষকে বেকায়দায় ফেলেছে। চড়া বাজারে সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। এ নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগ আর ক্ষোভের শেষ নেই।

মেহেরপুরে শীতের আগমনী বার্তায় বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করলেও দাম কমেনি। আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। চড়া দামে আটকে আছে পেঁয়াজ। ডিম-মুরগির দাম কিছুটা স্থিতিশীল।

গতকাল রবিবার সকালে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়শ, পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ১০ টাকা বেশি। এছাড়া বেগুন, করলা ও কাঁকরোল ৮০-৯০ টাকা ও পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও সরবরাহ কম থাকলেও এসব সবজির দাম এমনই ছিল।

বাজারে ফুলকপি ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাচাকলা ৫০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৭০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, বাজারে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

দুই সপ্তাহ আগেও ডিমের বাজার ছিল অস্থির। প্রতি ডজন ডিম ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর এ ভোগ্যপণ্যটির দাম কমে ১৫০-১৫৫ টাকায় নেমেছে। তবে এ দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি।

সবজি ক্রেতা হামিদুল ইসলাম বলেন, আমি দিনমজুর। একদিন কাজ হয়,একদিন হয়না। এতো দামের সবজি কিনে খাওয়া মুশকিল,চাল ডাল তো থাকলো। দুই তিন ররকমের সবজি আার রসুন পেঁয়াজ কিনতে টাকা শেষ।

ক্রতা মিনহাজুল ইসলাম বলেন,মেহেরপুরে সবজি ওঠার সময় দাৃ খুবই কমে যায়।এবছর তার উল্টো। স্কুল শিক্ষক আতিয়ার রহমান বলেন, মাসিক যে বতন পাই তা দিয়ে বর্তমান সময়ে সংসার চালানো খুবই কঠিন। সবজির দামটা কমলে কিছুটা স্বস্তি পেতাম।

সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে।  মেহেরপুরে উৎপাদিত সবজি ঢাকা,চট্টগ্রাম, সিলেট,বরিশালসহ ভিন্ন জেলায় রপ্তানি হওয়ায় দাম কমছেনা। আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তবে কিছুদিনের মধ্যে সবজির দাম কমে আসবে।

সবজি বিক্রেতা গাংনী বাজারের একরামুল হক বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজি সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে আমরা খুবই কম লাভে বিক্রি করছি। জেলার বিভিন্ন সবজি ভিন্ন জেলায় চলে যাওয়ায় কৃষকরা বেশি দাম নিচ্ছে।

ভাটপাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা মিলন ও আনারুল বলেন,কেবল শীত শুরু হচ্ছে। অনেক কৃষক আগাম সবজি লাগিয়েছিল। এখও অনেক কৃষক সবজি আবাদ শুরু করেছেন। তেমন সরবরাহ নেই। চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশি। তবে একযোগে সবজি উঠতে শুরু করলে দাম কমে যাবে।

বেগুন চাষি সাহারবাটি গ্রামের মুন্তাজ আলী জানান, সার, বিষসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কম দামে বিক্রি করা হলে আমাদের লোকসান হবে,তাছাড়া গাছে বেগুন কম ধরছে।

শ্যামপুর গ্রামের মুলা চাষি রহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে মুলা ক্ষেতে পঁচন ধরেছে। অনেকের জমির মুলা পানিতে নস্ট হয়ে যাওয়ায় মুলার চাহিদা বেশি।তাই দাম একটু বেশি হলেও জেলায় সবজির ভরা মৌসুমে মুলা বিক্রি করতে হয় ৫ টাকা কেজি। তখন আমাদের লোকসান হয়। পেঁপে চাষি ঢেপা গ্রামে তাপস জানান, উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এবছর পেঁপে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। ব্যবসায়ীরা কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছে।

মেহেরপুর শহরের ডিম বিক্রেতা লোকমান হোসেন বলেন, সবজির দাম কিছুটা কমেছে, যে কারণে এখন ডিমের দামও কমে আসছে। ভোক্তারা তুলনামূলক কম দামে শীতের নতুন সবজি পাচ্ছে।

জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি বছরে জেলায় মরিজ আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৫৩০ হেক্টর, কলায় ১ হাজার ৫৪৯ হেক্টর বাঁধাকপি ৮৯৯ হেক্টর, শীতকালীন সবজি প্রায় ৩০০ হেক্টর, পেঁয়াজ ৩৪৫ হেক্টর। তবে সবজির আবাদ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মেহেরপুর ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ বলেন, আমরা সবজিসহ সকল পণ্য সাধারন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে বাজার মনিটরিং করছি। অসংগতি পেলে অনেককেই আইনের আওতায় জরিমানা করছি। তবে বাজারদর বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে আছে বলে দাবী করেন ভোক্তা অধিদফতরের এই কর্মকর্তার।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, মেহেরপুর একটি কৃষিনির্ভর সবজিখ্যাত জেলা। এখানে সব ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। এখনও ভরপুর সবজি উঠতে শুরু করনি। যা উঠছে, তা জেলার চাহিদা পুরুনের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছি। তবে ভরা মৌসুমে সবজির দাম কমে আসবে।




বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে মেহেরপুরে শিক্ষার্থীদের মত বিনিময় সভা

“শিক্ষার্থীদের চোখে আগামী ছাত্র রাজনীতি ও বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে।

আজ রবিবার বেলা বারোটার দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ ও ছহিউদ্দিন ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ড: তহিদুর রহমান আউয়াল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ, মোকসেদুল মমিন মিথুন, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নাজমুল হোসেন, সদস্য সচিব শেখ রাব্বি, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক তৌফিক এলাহি, সদস্য সচিব জারজিস ইউসুফ রমিক সহ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ডাঃ তহিদুর রহমান আউয়াল বলেন, আগামী ছাত্র রাজনীতি হবে শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদলের অবদান অনেক রয়েছে। তাদের একক কোন কর্তৃত্ব নেই। বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষা বিস্তারের জন্য নারী শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে উপবৃত্তি চালু করেছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে যারা অসচ্ছল পরিবার থেকে আসে তাদের জন্য খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষার ব্যবস্থা চালু করেছিলেন।




দর্শনা সরকারী কলেজে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন

শিক্ষার্থীরাই ঠিক করবে ছাত্র দলের রাজনীতি কেমন হবে। তাদের মতামত নিতে আমি চুয়াডাঙ্গা ও দর্শনা সরকারি কলেজ এসেছি। ছাত্র-ছাত্রীরা জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগের মত খুন গুম, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্র টেন্ডারবাজি ও মাদক ব্যবসায়ীদের রাজনীতি চাইনা। তারা চাচ্ছে সুন্দর সুষ্ঠু বৈষম্যহীন অংশীদারিত্ব ধারার রাজনীতি। যেখানে নারী ও পুরুষ সমান ভাবে অংশগ্রহণ করবে। দেশে রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি খুনি হাসিনার দোসর হিসেবে পক্ষ নিয়েছিল।

৫ই আগস্টের পর প্রেক্ষাপট ফিরেছে সুস্থ রাজনীতির ধারা। স্বাভাবিক রাজনীতিতে সুন্দর পরিবেশে ফিরে এসেছে। সময় তাদের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেয়া কে স্বাভাবিক শৃঙ্খলা বিনষ্ট করা হচ্ছে বলে মনে করছি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম বাংলাদেশের নিয়ে সম্প্রতি যেসব অনৈতিক মন্তব্য করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ করছি ।

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে ষড়যন্ত্র করছে। এই সময় জাতীয় পার্টির অফিস পুড়িয়ে দেয়া বিষয়টি অন্যদিকে প্রবাহিত করার পায়তারা চলাচ্ছে। জাতীয় পার্টির রাজনীতি করবে কিনা করবে না সেটা জনগণই ঠিক করবে। নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক বন্ধ করলে দেশে নতুন একটা সংকট দেখা দিতে পারে। বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ছিলেন। তারই প্রতিফলন হিসেবে জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে এটাকে আমরা সাধুবাদ জানায়। মেধার ভিত্তিতে ছাত্রদলের রাজনীতি গড়ে উঠেছে । মেধাবী রাজনীতিতে সবার অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে চাই বলে মন্তব্য করলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।

আজ রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা সরকারি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা লিফলেট বিতরণী শেষে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি দর্শনা সরকারি কলেজ চত্বরে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধকরণে বৃক্ষরোপন করে এবং দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শফিকুল ইসলাম সহ কলেজের শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার মান উন্নতি করার লক্ষ্যে আলোচনাসভা করেন।পরে দর্শনা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার আদর্শ মেনে চলতে হবে। আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে সৎ আদর্শময় রাজনীতি করার নির্দেশনা দেন।

উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাজাহান খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি তৌফিক এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমিন মালিতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন, দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক ফজলুর রহমান, সদস্য সচিব পলাশ আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মোফাজ্জল হোসেন মোফা, যুগ্ম আহবায়ক হোসাইন, পাপ্পু, আসিফ হোসেন, রাজু আহমেদ, আব্বাস হোসেন প্রমুখ।




দর্শনায় বিএনপির ৩১ দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ

সারা দেশের ন্যায় দর্শনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কতৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট কাঠমো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরন ও আলোচনাসভা অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে দর্শনা রেলবাজার শাহারিয়ার শুভ মুক্ত মঞ্চে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দর্শনা পৌর স্বেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক আব্দুল মান্নান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসাবে আলোচনা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান।

এসময় তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আগামী দিনের রাষ্ট নায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আপনারা দলকে সুসংগঠিত দল হিসাবে জনগনের কাছে তুলে ধরুন এবং দলকে আগামী দিনে দেশ চালাতে জনগনের সামনে তারেক জিয়ার ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করুন।

এ সময় তিনি আরও বলেন,স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ একযোগে সবাই পালিয়ে যাওয়া সারাবিশ্ব ব্যাপি নজির বিহীন।তাই এখন দেশের বাইরে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে সে দিকে খেয়াল রাখবেন। এদেশ আগামীতে রাষ্টনায়ক তারেক রহমানের দেশে এনে জনগনের সেবা করার সুযোগ দেন।পরে দর্শনা রেল বাজার ব্যাবসায়ীদের ও পথচারীদের মাঝে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরন করেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল সারেং, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক মামুন হাশেমী দিপু, কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য আমান উল্লা আমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, সাধারণ সম্পাদক এম, এ, তালহা, এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি সৈয়দ শরিফুল আলম বিলাস, সহ সভাপতি এহ্সানুল হক স্বরাজ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনজুরুল জাহিদ, হামিদ উদ্দিন বাবু, আরিফুর রহমান রিবন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হাসান টুটুল, নাট্য বিষয়ক সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও সঞ্চালনা করেন দর্শনা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুর আলম সিদ্দিকী মজনু।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, সমন্বয়ক নাহারুল ইসলাম মাষ্টার, শরীফ উদ্দিন, আল হাজ্ব মশিউর রহমান, নাসির উদ্দিন খেদু, শফিউল আজম তোতা, আরও উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানা যুবদলের সদস্য সচিব মিলন মোল্লা, দর্শনা পৌর যুবদলের আহবায়ক ফারুক হোসেন, সদস্য সচিব জালাল উদ্দিন দর্শনা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিন, মীর অনিক, জামাত আলী, আব্দুস সালাম, কাশেম, তাসলিম উদ্দিন মান্ডার, অনিক মোল্লা, চন্ঞল, আলামিন, জালাল, ডালিম শহিদুল, মামুন, সুজন, মিন্টু. হাকিম, আতিয়ার।

আরও উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক বাবু, সানোয়ার হোসেন, আবু সাঈদ রতন, মহিম কুমার রতন, মোমিন, আব্দুল আজিজ, মুহিন, সমীর শাহ্, এছাড়া আরও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।




বাওড় ফেরানোর দাবিতে কোটচাঁদপুরে মৎস্যজীবীদের মানববন্ধন

ইজারার সাড়ে চার বছর থাকতেই বাওড় ফেরানোর দাবিতে কোটচাঁদপুরে মানববন্ধন করেছেন ঝিনাইদহ-যশোর বাওড় মৎস্যজীবী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

আজ রবিবার বেলা ১২ টার সময় বলুহর বাওড়ের সিংঙ্গিয়া অংশে এ মানববন্ধন করেন তারা। এদিকে বাওড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী ইজারাদারেরা।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,বৃহত্তর যশোর অঞ্চলে ৬ টি বাওড় আছে । যার মধ্যে রয়েছে বলুহর, জয়দিয়া, কাঠগড়া, ফতেপুর, মর্জাদ ও বেড়গোবিন্দপুর। এ সব বাওড়ের মধ্যে কোটচাঁদপুর উপজেলায় বড় দুইটি বাওড়ের একটি বলুহর ও অন্যটি জয়দিয়া বাওড়। বাওড়গুলো দীর্ঘদিন সরকারি ভাবে চাষ করে আসছিল বাওড় পাড়ের মৎস্যজীবিরা। তবে প্রতি বছর এ সব বাওড়ে সরকারের লোকসান হত।

এ কারনে ২০২২ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় বাঁওড়গুলোকে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে নিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে ইজারার ব্যবস্থা করেন। সে সময় মৎস্যজীবীরা একের পর এক আন্দোলন করেন ইজারা বাতিল করে বাওড় ফেরানোর দাবিতে। ওই আন্দোলনে কোন লাভ হয় না তাদের। পরে ওই বাওড়গুলো স্থানীয় ভূমি অফিস ও সহকারী কমিশনার ( ভূমি) কর্মকর্তা ইজারা প্রাপ্তদের বাওড়গুলো বুঝিয়ে দেন। সে থেকে তারা বাওড়ে চাষ করে আসছেন।

গেল ৫ আগষ্ট সরকার বদলের পর থেকে তারা আবারও আন্দোলনের প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ – যশোর মৎস্যজীবি আন্দোলনের ব্যানারে আজ রবিবার কোটচাঁদপুরের বলুহর বাওড়ের সিংঙ্গিয়া অংশে মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জয়দিয়া বাওড়ের সভাপতি নিত্য হালদার,বলুহর বাওড়ের সাধারন সম্পাদক নির্মল হালদার।

তিনি বলেন,গেল এক বছর আমরা বাওড় হারিয়েছি। সে থেকে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে আদালতে মামলাও চলমান। তবে বিগত সরকারের আমলে তারা গায়ের জোরে বাওড় দখল নিয়ে মাছ ছাড়া ও আহরন করে আসছেন।

তিনি বলেন, গেল ৫ তারিখে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন বৈষম্য বিরোধী সরকার। এ কারনে এ সরকারের কাছে আমরা আমাদের দাবির কথা জানাব। এর অংশ হিসেবে আজ এ মানববন্ধন করা।

বিষয়টি নিয়ে বলুহর বাওড়ের ইজারাদার শীতল মন্ডল বলেন,অন্যের প্ররোচনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাওড় দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন তারা।

তিনি বলেন, গেল ২০২৩ সালের প্রথম দিকে স্থানীয় ভূমি অফিস ও সহকারী কমিশন (ভূমি) কর্মকর্তা বাওড় আমাদের বুঝিয়ে দেন। সে থেকে আমরা বাওড় মাছ ছাড়ছি ও আহরন করে আসছি।

শীতল মন্ডল বলেন,বাওড়ের ইজারার মেয়াদ এখনও সাড়ে চার বছর বাকি রয়েছে। এরমধ্যে তারা আবারও এ ধরনের কর্মকান্ড লিপ্ত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।

জয়দিয়া বাওড়ের ষষ্ঠী হালদার বলেন,তারা এর আগে অনেক কিছুই করেছেন। কোন লাভ হয়নি। এখন আবার নতুন করে পায়তারা চালাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন, মানববন্ধন করার বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে এখন সবাই স্বাধীন আন্দোলন করতেই পারেন।

তিনি বলেন,যেহুতু বাওড় ইজারাদারদের দখলে রয়েছে, সেহেতু ওনারা বিষয়টি নিয়ে জেলায় কথা বলতে পারেন।