রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মেহেরপুরে মশাল মিছিল

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মেহেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার রাত ৮ টায় মেহেরপুর শহীদ ডক্টর শামসুজ্জোহা নগর উদ্যান থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মিছিলটি শেষ করা হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

এই সময় বক্তারা বলেন দ্রুত সম্ভব রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ করতে হবে এবং তাকে জাতির উদ্দেশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে আমাদের উপর যারা হামলা করেছে আমরা তাদের দ্রুত বিচার চাই অনেক কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করেছি আমরা আমার ভাইদের তাজা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইমতিয়াজ আহমেদ, আশিক রাব্বি, তামিম ইসলাম, নাসিম রানা বাঁধন ও সাইদ আহমেদ প্রমুখ।




আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে রেললাইন থেকে গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে রেললাইনের পাশ থেকে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, সিলাকে তাঁর স্বামী হত্যা করেছে।

আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সন্নিকট এলাকা থেকে গৃহবধূ সিলা খাতুনের মরহেদ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সিলা খাতুন (২৪) সে জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের হার্ডওয়ার্ক ব্যবসায়ী রাসেল হোসেনের স্ত্রী ও একই উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে।

ঘটনার পর থেকে স্বামী রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। তবে নিহত সিলার পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করেছেন রাসেল ও তার পরিবারের লোকজন ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয় বছর আগে রাসেল ও সিলার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই রাসেল মাদক সেবন করতো। এনিয়ে সিলা প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করতেন। বিভিন্ন সময় পরিবারের কাছে টাকা দাবি করতেন। টাকা না দিলে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন রাসেল।  গতকাল রোববার দুপুরে ১৫০ টাকা চুরির অভিযোগ তুলে সিলাকে মারধর করে রাসেল। ওই দিন রাত ১২ টার সিলা নিখোঁজ বলে রাসেল তার শ্বশুর পরিবারকে ফোনে জানান। রাতভর সিলার পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে। পরে  আজ সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জ এলাকার রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের ভাই সাহেব আলী জানান, গতকাল রোববার দুপুরে সিলাকে মারপিট করে রাসেল। রাতে মোবাইলে জানান বোন বাড়ি থেকে চলে গেছে, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সকালে মুন্সিগঞ্জ রেললাইনের পাশ থেকে বোনের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, তার বোনকে রাসেল পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে গেছে।

পোড়াদহ রেলওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) জহির হোসেন বলেন, লাশের মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের কাটার চিহ্ন রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে এটি হত্যা। তদন্তের প্রয়োজনে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।




গাংনীতে যাত্রী ছাউনি ও তৎসংলগ্ন দোকান অপসারণে সরেজমিনে তদন্ত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যাত্রী ছাউনি ও তৎসংলগ্ন (মেসার্স আব্দুল মালেক ফল ভান্ডার) দোকান ঘর অপসারণের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেছে জেলা প্রশাসক গঠিত ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা।

আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে গাংনী বাসস্ট্যান্ডে এসবি কাউন্টারের সামনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন তদন্তকারী দলের সদস্যরা। এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় জড়ে হয় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। তদন্ত কমিটির কাছে জনগনের চাওয়া ও দাবীকে গুরুত্বের সাথে দেখে অপসারণ কাজ দ্রত বাস্তবায়ন চান উপস্থিতিরা।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন গাংনী পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা।

গাংনী বাজার দারুচ্ছালাম মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ মহসিনের সভাপতিত্বে তদন্ত কমিটির আহবায়ক মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক এবং মেহেরপুর পৌরসভার প্রশাসক মোঃ শামীম হোসেন।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন , আমি আসার সময় দেখেছি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গাংনী বাজারের প্রত্যেকটা দোকানদার তাদের দোকান বন্ধ করে এখানে অবস্থান নিয়েছেন। এটাকে আমি শ্রদ্ধা করি এবং আমার ভালো লেগেছে। সত্যিই আমি অভিভূত হয়েছি। এই যে একতা এটাকে সকলে মিলে ধরে রাখবেন। একটা ভালো কাজের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জনগণ সকলে মিলে এক হওয়া এটা অনেক ভালো। জনতার যে দাবি সকলে একত্রিত থাকলে সেই দাবি বাস্তবায়িত হয়। দুশ্চিন্তার কোন কিছু নেই। জনগনের দাবীর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্য তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।

পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গাংনী পৌর প্রশাসক প্রীতম সাহা, গাংনী বাজারের এস এম প্লাজার স্বত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম, সাংবাদিক তোফায়েল হোসেন, গাংনী বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম স্বপন।

পরে তদন্ত কমিটির সদসরা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

তদন্ত কমিটির সামনে গাংনী বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বাসস্ট্যান্ডে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যাত্রী ছাউনি ও সংলগ্ন মেসার্স আব্দুল মালেক ফল ভাণ্ডার অপসারণের জোর দাবী জানান।

তদন্ত কমিটিতে মেহেরপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা পরিষদের সহকারি প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, মেহেরপুর- কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ডে হাটবোয়ালীয়া সড়কের সংযোগ স্থলে যাত্রী ছাউনি ও তৎসংলগ্ন আব্দুল মালেক ফল ভান্ডার অপসারণে দাবীতে গত ২৪/০৯/২০২৪ ইং তারিখে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক,সড়ক ও জানপদ বিভাগ, জেলা পরিষদ, মেহেরপুর জেলায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন স্থানীয়রা। উক্ত স্মারকলিপি অনুযায়ী জনগুরুক্তপুর্ণ বিষয়টি বিবেচনা করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিকে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।




শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুজিবনগর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির যাত্রা শুরু

মুজিবনগরে মাটিতে এই প্রথম সদস্যদের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগরের একমাত্র সাংবাদিকদের সংগঠন মুজিবনগর প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মুজিবনগর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের গণপূর্ত রেস্ট হাউসে আজ সোমবার দিনব্যাপী এক উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সকল সদস্য সম্মতিক্রমে মুন্সি ওমর ফারুক প্রিন্সকে পুনরায় সভাপতি ও ভোরের কাগজের ও মেহেরপুর প্রতিদিন এর মুজিবনগর উপজেলা প্রতিনিধি হাসান মোস্তাফিজুর রহমান (শের খান) কে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কমিটি ঘোষনা করেন।

মেহেরপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি জৈষ্ঠ সাংবাদিক রুহুল কুদ্দুস টিটো উপস্থিত থেকে সকল সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান ।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি দৈনিক সংগ্রাম প্রতিনিধি খাইরুল বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক নিউজ টোয়েন্টিফোর প্রতিনিধি সানোয়ার হোসেন ডালিম, কোষাধক্ষ্য মাথাভাঙ্গা ও যায়যায় দিন প্রতিনিধি শেখ শফিউদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক জবাবদিহি প্রতিনিধি শাকিল রেজা।

নির্বাহী সদস্যরা হলেন, সময়ের সমীকরনের প্রতিনিধি সোহাগ মন্ডল, আকাশ খবরের প্রতিনিধি রেজাউল করিম, দৈনিক চুয়াডাঙ্গা পত্রিকার প্রতিনিধি জাহিদ হাসান, দৈনিক সত্য খবরের প্রতিনিধি তুহিন আলী।

এর আগে প্রথম সেশনে কমিটির বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং সবার মতামত গ্রহন সাপেক্ষে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। দুপুরের বিরতির পরে দ্বিতীয় সেশনে নতুন কমিটি ঘোষনা এবং শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।




চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাসপাড়া গ্রামের সেলিম হোসেন ( ২৮) নামের যুবকের মৃত্যু হয়। আজ সোমবার ভোর সাড়ে ছয়টাই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত সেলিম হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাসপাড়া গ্রামের মৃত. মনির উদ্দিনের ছেলে। নিহত সেলিম হোসেন দুই সন্তানের জনক ছিলেন।

নিহতের স্বজনেরা বলেন, রাতে সাপে কামড়ানোর পরই একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয় সেলিমকে। হাসপাতালে সরকারিভাবে সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) সাপ্লাই ছিল না। বাইরে থেকে অ্যান্টিভেনম কেনার পরামর্শ দেয়া হয়। অত্যান্ত দারিদ্র পরিবার তারা। সঙ্গে করে মাত্র সাত হাজার টাকা নিয়ে এসেছিল। আর এক ডোজ অ্যান্টিভেনমের (১০ পিচ) মূল্য ১৪ হাজার টাকা। ফার্মেসি দোকানদার বাকি দিতে না চাওয়ায় ভাড়া করা মাইক্রোবাসের চাবি বন্ধক রাখা হয়। এরপরই এক ডোজ অ্যান্টিভেনম আমাদের দেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে আসার প্রায় এক ঘন্টা পর অ্যান্টিভেনম তার শরীরে পুশ করা হয়। এরপরও সেলিমকে বাচানো গেল না। যদি হাসপাতালে কিংবা ফার্মেসি থেকে তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যেত তাহলে হয়তো সেলিমকে বাচানো সম্ভব হতো।

তিনি আরও বলেন, গতকাল রোববার রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। রাতে যে কোন সময় একটি বিষধর সাপ সেলিমের গলায় পেচিয়ে ধরে গলাতেই কামড় দেয়। এরপরই রাত ২টার দিকে সেলিমকে উদ্ধার করে মাইক্রোবাস ভাড়া করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেলিমের দুটি ছোট ছোট সন্তান রয়েছে। তার মা অন্যের বাড়িতে কর্ম করেন। সেলিমও দিনমজুর ছিলেন। তার মৃত্যুতে একটি পরিবারের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন হবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোরশেদ আলম বলেন, সাপের কামড়ে রাতে একজন যুবক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। অ্যান্টিভেনম পুশ করা হয়েছিল। পরে ভোর ৬টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের স্টোর কিপার হাদিউজ্জামান বলেন, প্রায় মাস খানেকের বেশি দিন যাবত হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম সাপ্লাই নেই। বেশ কয়েকবার ঢাকাতে যোগাযোগ করেছি। এখনো অ্যান্টিভেনম দেয়নি।




ঝিনাইদহে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সংখ্যালঘুর জমি দখল

ঝিনাইদহের মহেশপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে এক সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।  এ ঘটনায় আদালতে মামলা হলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না ওই প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা।

জানা যায়, মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের সংখ্যালঘু ভরত দাস ও তার ভাই সম্ভু দাস পৈতৃক সুত্রে পাওয়া গ্রামের হামিদপুর মৌজার ২৮৬১ খতিয়ানের ৪০৩৯ ও ৪০৪০ দাগের মোট ২০৭ শতক জমির আরএস রেকর্ডীয় মালিক। তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতে চাষাবাদ করে সংসার চালিয়ে আসছিলো। কিন্তু গত ৫ সেপ্টেস্বর ওই গ্রামের বিএনপি নেতা শামসুল গাজী ও তার ছেলে ইলিয়াস গাজী এবং যুবদল নেতা তবিবর রহমান লোকজন দিয়ে ওই জমি দখল করে নেয়। জমিতে থাকা ফসল, গাছপালা কেটে তছরূপ করে। এতে বাঁধা দিলে উল্টো পিটিয়ে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় তারা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ভরত দাস আদালতে মামলা দায়ের করলে ওই জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে আদালত। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ১৫ অক্টোববর গোপালপুর গ্রামের শাকিল, আলমগীর, ইকরামুল, রঞ্জু, বিপুল, খালিদ এবং তুহিনের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন প্রকাশ্যেই জমির মোটর ঘর ভেঙ্গে দেয়। এসময় জমির চারদিক ঘেরা বাঁশের বেড়া লুট করে নিয়ে যায় তারা। পরে জমিতে বপন করা সরিষাও চষে দেয় প্রভাবশালীরা।

আজ সোমবার ভুক্তভোগী ভরত দাস সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গেল দুই মাস ধরে একটি চক্র তার জমি দখল করে খেলার মাঠ বানানোর পায়তারা করছে। আমি মামলা করলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর মহেশপুর থেকে বাড়ি ফেরার পথে বালিরগর্ত বাজারে চক্রটি দা, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। বাজারের লোকজন ছুটে এসে আমাদের রক্ষা করে। এ ঘটনায় আমার প্রতিবেশী রিপন বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তিনি বলেন, আমি আমার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বিতাড়িত হচ্ছি। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এদিকে এর আগে জমি দখল ও ফসল নষ্টের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে অভিযোগ গঠন করেছে। ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন কমিশনের চেয়ারম্যান। একই সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আদেশ দেয়া হয়। এরপরও জমি দখল, অত্যাচার, নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছে না ওই সংখ্যালঘু পরিবারটি।

এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার এস আই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও যদি কেউ জমিতে যায় স্বেক্ষেত্রে আইনগত যা ব্যবস্থা হয় সেটা নেওয়া হবে।




ঝিনাইদহে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

‘ভিক্ষা নয় অধিকার চাই, কৃষক পরিবারের দাবির পুর্ণতা চাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে কৃষক সমাবেশ- ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে শহরের শিশু একাডেমী মিলনায়তনে ‘কৃষক পরিবার’র ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-এ-নবীর’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইমরান জাকারিয়া, জেলা ড্রাগণ চাষী সকল্যাণ সমিতির সভাপতি টিপু সুলতান ও সাধারণ সম্পাদক আহসুনুল হাবিব ডন, মুক্তা চাষ বিশেষজ্ঞ ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, এ্যাভোকাডো চাষী হারুনর রশিদ প্রশূখ ।

অনুষ্ঠানে কৃষক পরিবারের পক্ষ থেকে ১২দফা সুর্নিদিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরে আলোচনা করেন কৃষি উদ্যোক্তা কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান টুটুল।

অনুষ্ঠানে বক্তারা, সার সিন্ডিকেট বন্ধ, ফসল বীমা, সরকারি অফিসে কৃষকদের কাজের অগ্রাধিকার, উপজেলা পর্যায়ে হিমাগার স্থাপনা, ডিজেলের দাম কমানোসহ কৃষি ক্ষেত্রে কর্মরত অবস্থায় কৃষক মারা গেলে রাষ্ট্রীয় সম্মানা প্রদাণসহ কয়েকটি দাবী পেশ করেন।

দিনব্যাপী সমাবেশে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাড়ে ৩’শ কৃষক এ সমাবেশে অংশ নেয়।




চাকরি দিবে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটি চিফ রিস্ক অফিসার পদে জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি পদের নাম : চিফ রিস্ক অফিসার পদসংখ্যা : ০১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা : অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে বিবিএ/এমবিএ/বিকম অন্যান্য যোগ্যতা : আর্থিক পরিষেবা শিল্পের মধ্যে ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বা রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন, কমপ্লায়েন্সে কাজের দক্ষতা

অভিজ্ঞতা : ২০ বছর চাকরির ধরন : ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র : অফিসে প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়সসীমা : উল্লেখ নেই

কর্মস্থল : ঢাকা বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা : ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদন করবেন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে  ক্লিক করুন

সূত্র: কালবেলা




দর্শনা ইক্ষু রোপন ভরা মৌসুমে সার ও কীটনাশক সংকটে কৃষকরা

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনার ঐতিহ্যবাহী কেরু চিনিকল এলাকায় ইক্ষু রোপন ভরা মৌসুমে টিএসপি সার ও বীজ, মাটিশোধন, কীটনাশক চরম সংকট, সার না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে এলাকার কৃষকরা।

আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে কেরু সার গোডাউন এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় আখ রোপনের জন্য অর্ধশতাধিক কৃষক সার না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। এরপরেও ২০/২৫ জন কৃষক সার আসবে ভেবে আলমসাধু ইজিবাইক ও পাখিভ্যান নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এ আখ রোপন ভরা মৌমুমে হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টির কারনে আখ রোপন ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে কেরু চিনকলের গোডাউন থেকে সার না পাওয়াই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে কৃষকরা।

এ বিষয়ে আখচাষী জিরাট গ্রামের মহাসিন আলী ২ একরসহ ও অন্যান্য গ্রামের কৃষক উজলপুরের রেজাউল ও বাদশা মিয়া ১ একর,আকন্দবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল ২ একর ও একই গ্রামের গোলাম আলী ১ একর ,দক্ষিনচাদপুর গ্রামের বকুল হোসেন ৩ একর ,দর্শনা পারকৃষ্ণপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ১ একর আখ লাগাবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

এছাড়া এ সব কৃষকরা জানান একটু সুষ্ক মৌসুম পেলেই আমরা জমি প্রস্তুত করে রেখেছি। কিন্তু কেরু এ্যান্ড কোম্পানীতে সার নিতে এসে সার পাচ্ছি না। আমরা সার না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। এর ফলে আমরা আখচাষীরা ইক্ষু রোপন উপযুক্ত সময় হারিয়ে ফেলছি। ফলে একদিকে ব্যায় বেড়ে যাচ্ছে অন্যদিকে মাঠের কাজ আমাদের ব্যাহত হচ্ছে। এই কারনে একদিকে আমাদের ব্যায়ভার বাড়ছে। অন্যদিকে ইক্ষু রোপনের আগ্রহ পাচ্ছিনা এবং আখ লাগাতে মন চাচ্ছে না।

আখচাষীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, প্রতিটা সারের বস্তায় ১কেজি ২ কেজি সার কম দিচ্ছে। ২০২১-২২ সালের পর থেকে আখ চাষ প্রায় ৫ গুন কমে গেছে। পাঁচটি কারণে আখ চাষ কমে যাচ্ছে। সময় মতো মিল থেকে চাষিদের মধ্যে সার বীজ সরবরাহ না করা, মিলে সিডিএ সংকট, বর্তমান বাজার দরের চেয়ে আখের মূল্য কম, উন্নত জাতের আখ না দিয়ে পুরাতন একই জাতের আখ সরবরাহ করা,  অন্যদিকে ধান, পাট, ভুট্টার ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরা আখ চাষ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে আগামী মাড়াই মৌসুমে মিলটি মারাত্মক আখ সংকটে পড়তে পারে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছেন।

মিল সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ এ পর্যন্ত আখ রোপণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০২১ থেকে রোপন মৌসুমে মোট ৪ হাজার ৬২৭ একর জমিতে আখ রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চিনিকলের ১০টি কৃষি ও পরীক্ষামূলক খামারে মাত্র ৯৮৯ একর জমিতে আখ রোপণ করা হয়েছে। বাকি মিলজোন এলাকার চাষিরা রোপণ করেছে ৩ হাজার ৬৩৮ একর। যেখানে গত রোপণ মৌসুমে চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও মিলজোন এলাকার আখচাষিরা মিলে ৮ হাজার ৫৩২ একর জমিতে আখ রোপণ করেছিল। যা এ রোপণ মৌসুমের চাইতে ৩ হাজার ৯০৪ দশমিক ৫০ একর জমিতে কম আখ চাষ হয়েছে।

আখ চাষ কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে কেরু চিনিকল আখচাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান, সহ-সভাপতি ওমর আলী জানান, প্রতিমণ আখের মূল্য ৩০০ টাকা না করলে আখ চাষ সম্ভব না। তাছাড়া গত রোপণ মৌসুমে চাষিরা সময় মতো সার না পাওয়ায় আখ রোপণ অর্ধেকে নেমেছে। এরপর কেরুর কৃষি খামারের জমি কর্তৃপক্ষ আখ রোপণ না করে সাধারণ কৃষকের কাছে লিজ দিয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর কেরুতে এবারই প্রথম আখচাষ কম হলো বলে তারা জানালেন।

২০২৪-২৫ মাড়াই মৌসুমে আখ রোপনের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে ৬ হাজার মেট্রিক টন। তার বীপরীতে দণ্ডায়মান আখ আছে কেরুর নিজস্ব জমিতে ২৭ হাজর মেট্রিক টন,পাবলিক আখচাষীদের দণ্ডায়মান আখ আছে ৪৩ হাজার মেট্রিক টন। মোট ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই হবে জানায় জি এম কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়া।

এবার কেরু এ্যান্ড কোম্পানী আখের মৃল্য নিধারন করেছে করেছে মন প্রতি ২শ ৪০ টাকা। বর্তমানে সবচেয়ে আখের মৃল্য কম বলে আখ চাষিরা জানায়। চাষীরা আরও বলেন আখের মন যদি ৩শ টাকা করে তাহলে চাষিরা আবার আখ লাগাবে।যদি আখের মৃল্য বৃদ্ধি না করে তাহলে চাষীরা আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।

এ বিষয়ে কেরু সার গোডাউন ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান বলেন, টি এস পি সার ও বীজ, মাটিশোধন কীটনাশক সংকট রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার অন্যান্য সারের সাথে ১শ বস্তা টি এসপি বিতরণ করেছি। সার ও কীটনাশক সংকট থাকায় আজ কৃষকদের সার দিতে পারছিনা। তবে সার আশার অপেক্ষায় আছি।

এদিকে জিম কৃষি আশরাফুল হক ভৃইয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষটি আমরা দেখছি। সার চাহিদার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যে কোন মুর্হতে সার লে আসবে।

এ বিষয়ে কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, টি এসপিসারের চাহিদা ডিডি করেছি। খুলনা থেকে জানালে আমরা গাড়ি পাঠিয়ে দিবো। তিনি আরও বলেন, বীজ ও মাটিশোধন কীটনাশক চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন সরবারহ করে। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পৌছে যাবে।




মেহেরপুরে বিনামূল্যে হুইল চেয়ার ও ট্রাই সাইকেল বিতরণ

মেহেরপুরে বিনামূল্যে হুইল চেয়ার ও ট্রাই সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। আজ সোমবার ( ২১ অক্টোবর) সকাল দশটার সময় মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও প্রতিবন্ধী সেবা সাহায্য কেন্দ্রের আয়োজনে বিনামূল্যে এ হুইল চেয়ার ও ট্রাই সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠান করা হয়।

প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা তুলসী কুমার পালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা শারমিন দৃষ্টি, জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ পরিচালক আশাদুল ইসলাম।

জেলা তথ্য অফিসার মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কনসালট্যান্ট ফিজিওথেরাপি ডাঃ মোঃ আব্দুল হাই।

পরে সেখানে উপস্থিত প্রতিবন্ধীদের ১৩ টি হুইল চেয়ার ও ১০ টি ট্রাই সাইকেল বিতরণ করা হয়।