স্মার্টফোনে স্টোরেজ খালি করার নিয়ম

আমাদের দৈনন্দিন কাজের অনেকটা অংশজুড়ে রয়েছে স্মার্টফোন। বাজারঘাট থেকে শুরু করে যাতায়াত সব ক্ষেত্রেই আমাদের সঙ্গী স্মার্টফোন। এছাড়াও রোজকার ছবি, ভিডিও বা বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করতেও ব্যবহার হয়ে থাকে স্মার্টফোনের।

এভাবেই তথ্য জমতে জমতে অনেক সময় ফোনের স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যায়। ফলে ফোন ধীরগতিতে কাজ করার পাশাপাশি হঠাৎ হ্যাং হয়ে যায়। ফোনের স্টোরেজ খালি করে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। ফোনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ, তথ্য, ছবি, অডিও-ভিডিও ফাইল না মুছে কিভাবে ফোনের স্টোরেজ খালি করবেন জেনে নিন:

ফোনের ধারণক্ষমতা
স্টোরেজ খালি করতে শুরুতেই ফোনে থাকা অ্যাপ, তথ্য, ছবি, অডিও-ভিডিও ফাইলগুলো কত জায়গা দখল করে আছে জানুন। এজন্য ফোনের সেটিংস অপশনে ঢুকে ব্যাটারি অ্যান্ড ডিভাইস কেয়ার অপশনে প্রবেশ করুন। এরপর স্টোরেজ অপশন নির্বাচন করলেই ফোনের ধারণক্ষমতার কত অংশ ব্যবহার হচ্ছে তা জানা যাবে। এরপর অপ্রয়োজনীয় তথ্য বা ফাইল মুছে নিন।

গুগল ফটোজ ব্যবহার
জায়গা খালি করতে তথ্য, ছবি, অডিও-ভিডিওগুলো গুগল ফটোজ অ্যাপে সংরক্ষণ করে সেগুলো ফোন থেকে মুছে ফেলুন। এরপর গুগল ফটোজ অ্যাপের মেনুতে প্রবেশ করে ফ্রি আপ স্পেস অপশনে ট্যাপ করুন।

গুগল ফাইলস
গুগল ফাইলস অ্যাপের মাধ্যমেও ফোনের জায়গা খালি করা যায়। গুগল ফাইলস অ্যাপে প্রবেশ করে ‘ক্লিন’ অপশনে ট্যাপ করে জাংক ফাইল, বড় আকারের ফাইল ও পুরনো স্ক্রিনশটগুলো মুছে ফেলুন।

ক্যাশ মেমোরি মুছে ফেলা
ফোনে থাকা অ্যাপের ক্যাশ মেমোরি মুছে ফেলেও বেশ অনেকটা জায়গা খালি করা সম্ভব। এজন্য ফোনের সেটিংস অপশনে ট্যাপ করে অ্যাপস নির্বাচন করুন। এরপর অ্যাপ অপশনে ট্যাপের পর স্টোরেজ নির্বাচন করে ক্লিয়ার ক্যাশ করে নিন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে নির্মাণ কাজে ধীরগতি

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বাঁশবাড়িয়া থেকে জোড়পুকুরিয়া পর্যন্ত এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীর তদারকিতে চরম গাফিলতির কারনে রাস্তা নির্মাণ কাজ চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। ফলে জনদূর্ভোগ এখন চরম মাত্রায় পৌছেছে।

রাস্তা নির্মাণ কাজে প্রায় ছয় মাস পানি ব্যবহার না করার কারনে গাংনী উপজেলা শহর এখন ধুলোর শহরে পরিণত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম ও মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেননি। এদিকে সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে রাস্তাটিতে যাতায়াত বেড়েছে বহুগুণ।

জানা গেছে মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারি প্রকৌশলীর গাফলতিতে ঠিকাদার রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছেন।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্থকরণ ও সংস্কার কাজ চলছে নানা অনিয়ম, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও ধীরগতিতে।
দীর্ঘদিন রাস্তাটি ফেলে রাখার ফলে রাস্তার উভয় পাশের বালি এখন ধুলোতে পরিণত হয়েছে।

রাস্তাটির গাংনী অংশের গাঁড়াডোব থেকে তেরাইল পর্যন্ত রাস্তার মাঝে মাঝে উপড়ে ফেলায় জনদুর্ভোগ আরো বেড়েছে। অনেক আগে পাথর-বিটুমিনের আস্তরণ দেওয়া শুরু করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা শুরু করেনি ঠিকাদার। দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ সড়কটি অযাচিত খোড়াখুড়ি করে রেখে দেওয়ায় পথচারিদের পেতে হচ্ছে দিগুন দুর্ভোগ।

মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) তত্ত্ববধানে মেহেরপুরের মের্সাস জহিরুল লিমিটেড এ সড়কের তিনটি প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে। মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে গাংনী উপজেলার তেরাইল কলেজ পর্যন্ত এ তিনটি প্যাকেজের কাজ পেয়েছেন জহিরুল লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জরাজীর্ণ গাঁড়াডোব, বাশবাড়ীয়া গাংনী পৌর শহর, মালশাদহ, চেংগাড়া, চোখতোলা, জোড়পুকুরিয়া ও তেরাইল।
মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারি প্রকৌশলী শাহীন মিয়াকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।

সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সবচেয়ে বেশি জরাজীর্ণ অংশের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফলতি তা হচ্ছেনা।

মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে কুষ্টিয়া ত্রিমোহনী পর্যন্ত চলমান এ সংস্কার কাজের মেহেরপুর জেলার অংশ প্রায় ৩০ কিলোমিটার। যার মধ্যে তিনটি প্যাকেজের কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে গত বছরে। কাজের গুণগত মান অত্যন্ত নিম্নমানের বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, গাঁড়াডোব থেকে বাঁশবাড়ীয়া পর্যন্ত অংশের কিছু কিছু স্থানে কাজের প্রথমে বিদ্যমান কার্পেটিং তুলে ফেলা হয়। সেখানে বেজ টাইপ ওয়ান হিসেবে পাথর আর বালুর মিশ্রণ দিয়ে রুলার করার কথা থাকলেও পুরোদমে তা শুরু হয়নি। ফলে বেজ কোর্সের কাজ হিসেবে বিটুমিন ও পাথর দেওয়াও হচ্ছেনা।

এদিকে রাস্তা সংস্কার কাজ দ্রুতগতিতে না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে পথচারীদের ও জানবাহনের চালকদের মাঝে। ছোট বড় কয়েকটি যানবাহন চালক এ প্রসঙ্গে বলেন, সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যানবাহন চালাতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দে ভরা ছিলো তারউপর এখন রাস্তাটি উপড়ে ফেলা হয়েছে। যে কারনে সড়কটিতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ঝরছে প্রাণ আর পঙ্গি হচ্ছে অনেকেই।

মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে আলমপুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকা ফোরলেনে উত্তীর্ণ হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিদ্যমান প্রকল্পে কলেজ মোড় থেকে গাংনীর দিকে প্রায় এক কিলোমিটার ফোরলেন ছিল। এছাড়াও গাংনী শহরে প্রায় চার কিলোমিটার এবং বামন্দী বাজারে প্রায় এক কিলোমিটার ফোরলেন রয়েছে। পরবর্তীতে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার পুরো অংশ ফোরলেনের অনুমোদন হয়েছে বলে জানা গেছে।




ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু

ঝিনাইদহের পর এবার কালীগঞ্জের দারুস-শেফা প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় লাভলী বেগম (২৬) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়। লাভলী খাতুন জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার তৈলটুপী গ্রামের এনামুল কবিরের স্ত্রী। এই দম্পতির সাফি নামে ৭ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামীর চাকরির কারণে তারা কালীগঞ্জ শহরে থাকতেন।

স্বজনরা জানায়, গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের দারুস-শেফা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শেফালীকে। সেখানে তার শরীরে অস্ত্রপ্রচার করেন চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন ইলোরা। অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে লাভলী বেগম কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেও তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। ভুল অস্ত্রাপচারে চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন প্রসূতির জরায়ু নারী কেটে ফেলেন। এরপরে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বিকাল ৪ টার দিকে পুনরায় লাভলী বেগমকে নেওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে চলা দ্বিতীয় অস্ত্রাপচারের কথা বলে অপারেশন থিয়েটারেই রাখা হয় লাভলী খাতুনকে। স্বজনরা এ সময় রোগীর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে অপারেশন থিয়েটারের ভেতর থেকে বারবার জানানো হয় রোগী ভালো আছে। সেলাই শেষ করেই তাকে বেডে দেওয়া হবে। দীর্ঘ সময় পার হলেও রোগীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের না করাই স্বজনদের মনে সন্দেহ জাগে। এরপর একজন অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে দেখেন রোগী অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময় চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন ইলোরা রোগীকে যশোরে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার ভোর রাতে মৃত্যু হয়।

লাভলী খাতুনের স্বামী এনামুল কবির জানান, দারুস-শেফা প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন ইলোরার ভূল চিকিৎসায় তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসক তার স্ত্রীর জরায়ু কেটে ফেলেছেন।

বিষয়টি জানতে চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন ইলোরার মোবাইলে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন বলেন, দারুস- শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ ভুক্তভোগীরা ক্লিনিক মালিকের সঙ্গে রফা করে ফেলেন। তিনি বলেন রোগী মৃত্যুর ঘটনা শুনলাম, অবশ্যই এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।




মহেশপুর-চৌগাছা সড়কে নসিমনের চাপায় চালকের মৃত্যু

নসিমনের নিচে পড়ে বিশারত আলী (৫৫) নামের এক চালকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার মহেশপুর-চৌগাছা সড়কের ফাসতলা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে। বিশারত আলী চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের সিয়াম আলীর ছেলে।

জানা গেছে, বিশারত আলী বিছলি (ধানের খড়) কেনার জন্য চৌগাছায় যাচ্ছিলেন। ফাসতলা এলাকায় পৌছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার নসিমন রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে। এ সময় নসিমনের নিচে তিনি চাপা পড়েন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বর্তমানে লাশ চৌগাছা উপজেলা সরকারি মডেল হাসপাতাল থেকে এনে তার নিজগ্রাম হরিশ্চন্দ্রপুর কবরস্থানে দাফন কাজ শেষ করা হয়েছে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এই মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার লোকজনের মাঝে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। সচেতন মহল এই রূপ সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক বিভাগের উন্নয়ন মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।




দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে ইফতার মাহফিল

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু’র উদ্যগে সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবির ইউসুফ এর সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আলী মুনছুর বাবু।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম উদ্দিন বগা, ইসমাইল হোসেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি হাজী আব্দুল কাদির, ইউপি সদস্য হাসান আলী, মতিয়ার রহমান, নূরুল ইসলাম, সুমন আলী, লিয়াকত আলী, উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহাম্মেদ রিংকু সহ সদর ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক প্রমূখ।

দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন দামুড়হুদা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মামুনুর রশীদ।




চুয়াডাঙ্গায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্নহত্যা

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের আড়িয়া গ্রামে স্বামীর উপর অভিমান কওে ছাবিনা (৩৫) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।

জানাযায় আজ শনিবার দুপুর ১ টার দিকে দর্শনা থানার ৬৩ নং আড়িয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে আড়ার সাথে পারিবারিক কলহের জেরে গলাই ফাঁস দেয় গৃহবধূ সাবিনা। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষার নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় দর্শনা থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, এ বিষয়ে দর্শনা থানায় ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ অভিযোগ করেনী বলে জানায়। তবে লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আছে।




জীবননগরের সেনেরহুদায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবকের মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সম্রাট হোসেন (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ৩টার দিকে দিকে উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সম্রাট হোসেন একই গ্রামের জিরো পয়েন্ট এলাকার লিয়াকতের ছেলে।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য দিনের ন্যায় আজ শনিবার দুপুরে গোয়ালে ঢুকে নিজের দুটি গরুকে গোসল করান সম্রাট। রোজা রাখা অবস্থায় অত্যন্ত গরমের কারণে এ সময় তিনি মোটরের পানি দিয়ে নিজেকেও ভিজিয়ে নেন। পরে সেখান থেকে বের হওয়ার সময় গোয়ালের ভেতর ঝুলতে থাকা একটি তারে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স নিহতের বাড়িতে উপস্থিত হন জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) একরামুল হোসাইন। বিস্তারিত তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে লাশ দাফনের অনুমতি প্রদান করে পুলিশ। সেনেরহুদা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে গতকাল শনিবার রাতেই নিহতের লাশ ওই গ্রামের জান্নাতুল খাদরা কবরস্থানে দাফন করা হবে।




ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত আরাবির পাশে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রসাশক ড. কিসিঞ্জার চাকমা

ফুট ফুটে মেয়ে আরাবিকে বাচাঁতে সমাজের বৃত্তবান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত ভাবে এগিয়ে আসার আহব্বান জানালেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রসাশক ড. কিসিঞ্জান চাকমা।

আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছুটে আসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জান চাকমা ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা দর্শনা মোবারকপাড়া আরাবির বাসভবনে। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু গিফট প্রদান করেন।এবং আর্থিক সহযোগীতা করেন।

দর্শনা মোবারক পাড়ার মনির হোসেনের মেয়ে আরাবি (১০) গত ৩ বছর ধরে ইমিউন ডিসরেগুলেশন হাইপারইনফ্লামেশন সিনড্রোম নামের জটিল ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত তাকে দেখতে এসে এমনি আহবান জানান জেলা প্রসাশক। এ রোগটি বিরল লাখে ১ জনের এ রোগটি হয় কি সন্দেহ। জেলা প্রসাশক ড. কিসিঞ্জান চাকমা ও দামুড়হুদা উপজেলা নিবার্হী অফিসার রোকসানা মিতা এসময় আরাবির জন্য পোষাক নিয়ে আসেন এবং তার চিকিৎসার সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন সাংবাদিকদের কাছে। তিনি আরো বলেন দেশের ১৭ কোটি মানুষ যদি এগিয়ে তাহলে আবাবির এ ব্যয় বহুল (৬০ লাখ) টাকা দিয়ে চিকিৎসা করা অসম্ভব নয়। তিনি আশ্বাস দেন দামুড়হুদা উপজেলা প্রসাশন ও জেলা প্রসাশন থেকে আমাদের সাধ্যমত সহযোগিতা করবো। এরা পাশপাশি সমাজের বৃত্তবান ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান তিনি।

আগামী বৃহস্পতিবার আরাবিকে ভারতের বেঙ্গালুররে নারায়ানা হেল্থ সিটির শিশু হেমাটোলজিষ্ট ও অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ হাসপাতালের ডাঃ সুনীল ভাট এর নিকট তার চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে বলে আরাবির পিতা মনির হোসেন জানান। যেখানে আরাবির চিকিৎসার খরচ পড়বে ৬০ লাখ টাকা। তবে তার পক্ষে এ ব্যয় ভার বহন করা সম্ভব নয়। প্রশাসন ও মানুষের ভরসা ও কিছু সহযোগিতা পেয়ে আরাবিকে বেঙ্গালুওে নেওয়া হচ্ছে। গত ৩ বছর ধরে ভারত ও বাংলাদেশে আরাবির বাবা মা আবারিকে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করে আসলেও কি রোগ হয়েছে এ সম্র্পকে জানতে পারিনি। ভারতের ঠাকুরপুর হাসপাতালে ১৩ দিন ভর্তি থাকার পর গত ২রা ফের্রুয়ারী-২০২৪ তারিখ সেখানে ডিএনএ টেস্ট করা পর ধরা পড়ে ইমিউন ডিসরেগুলেশন হাইপারইনফ্লামেশন সিনড্রোম নামের জটিল ব্লাড ক্যানসার রোগটি ধরা পাড়ে।

গত ২০২২ সালের জুলাই আরাবি অসুস্থ্য হলে আরাবির বাবা-মা তাকে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে পাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। কোন চিকিৎসক রোগটি ধরতে পারে না। আবশেষে ভারতের ঠাকুরপুর একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর তার ডিএনএ পরীক্ষা করে তার এ জটিল ক্যান্সার ধরা পড়ে। তারপর বেঙ্গালুরে নেওযার পরামর্শ দেন ঠাকুরপুর হাসপাতালের ডাক্তার। এরপর তাকে বেঙ্গলুরের নেওয়া হলে সেখানকার ডাক্তার সুনীল ভাট তাকে চিকিৎসক জানিয়েছে যত দ্রুত আরাবির বোন ম্যারো ট্রন্সপ্লাটেশন (অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন) করার পরামর্শ দেন। এত বেশি পরিমান অর্থ না থাকায় আরবিকে দেশে নিয়ে আসে।

প্রসাশন ও এলাকার মানুষের সহযোগিতায় আবার তাকে বেঙ্গালুরে নেওয়া হচ্ছে। তার চিকিৎসার ব্যয়ভার নিবার্হ করার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রির কাছে সহযোগিতার দাবী করেন এলাকাবাসী ও তার পরিবার। আরাবি দর্শনা লিটিল এনজেল স্কুলে ২য় শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। সে ভাল ছবি আঁকতে পারে এবং বাই-স্ইাকেল চালাতে পারে। বর্তমানে সে সারক্ষণ কেঁেদ বলে মা আমাকে বাচাঁও, আমি বাঁচতে চাই, আমি আবার ছবি আকবো, সাইকেল চালাবো। উল্লেখ্য ১৯৮৯ সালে আরাবির ছোট চাচা মেধাবী ছাত্র জাহিদুল ইসলাম বন ক্যন্সারে মারা গেছে।




আলমডাঙ্গায় এমএ মান্নান রতন জমিদারের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গায় আমেরিকা প্রবাসী এমএ মান্নান রতন জমিদারের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের ভোদুয়া নতুন ঈদগা ময়দানে ১৪ তম দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইফতার মাহফিলে সার্বিক সহযোগীতা করেন ভোদুয়া গ্রামের সর্বস্তরের যুব সমাজ।

ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে ভোদুয়া গ্রামের সর্বস্তরের প্রায় তিন হাজার রোজাদার অংশগ্রহণ করেন। এর আগে প্রবাসী এমএ মান্নান রতন জমিদার ও তার পরিবারের প্রতি দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

জানাগেছে, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আমেরিকা প্রবাসী এমএ মান্নান রতন জমিদারের উদ্যোগে প্রায় তিন হাজারের উর্ধে রোজাদারগণের ইফতারি বিতরণ করা হয়েছে। গশনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার পর থেকে ভোদুয়া গ্রামের সাধারণ রোজাদার একে একে নতুন ঈদগাহ মাঠে আসতে থাকেন। এমএ মান্নান রতন জমিদারের অনুপস্থিতিতে সার্বিক দায়িত্বপালন করেন ভোদুয়া গ্রামের কয়েকশো যুবক। মাহে এই রমজানে এমন আয়োজনে গ্রামের সাধারণ মানুষ অনেক খুশি হয়েছে। ভোদুয়া গ্রামের যুব সমাজ ও আমেরিকা প্রবাসী এম এ মান্নান রতন জমিদার প্রতিবছর রমজান মাসে এ আয়োজন করে থাকেন।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামজামি বাজার জামে মসজিদের খতিব মোঃ সাইফুল ইসলাম, ছত্রপাড়া জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মোঃ আব্দুল মান্নান ও হাফেজ সাব্বির রহমান।




চর্যাপদ কুষ্টিয়ার আয়োজনে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা

চর্যাপদ কুষ্টিয়ার আয়োজনে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম।

এসময় তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক চর্চা বেগবান করতে কাজ করতে হবে। এই কুষ্টিয়া যখন নদীয়া জেলা ছিলো তারও আগ থেকে এই কুষ্টিয়ায় সাংস্কৃতিক চর্চা হতো, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, কুষ্টিয়ায় একসময় অনেক সংগঠন ছিল। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ঝিমিয়ে পড়েছে এসব সংগঠন। কুষ্টিয়ায় অনেক শিল্পপতি রয়েছে তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

চর্যাপদ কুষ্টিয়ার সংগঠন তাদের চর্চা অব্যহত রাখায় ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি আবৃত্তি চর্চাও নিয়মিত করতে পারি তাহলে সাংস্কৃতিক কর্মীরাও তাদের মননশীলতাকে জাগ্রত করে তুলবে।

অন্যান্য জেলা আমাদের এই কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে গেলে তারা মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে শোনেন। কারন কুষ্টিয়ার ভাষা নাকি অনেক সুন্দর। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এ জেলা থেকে উঠে এসেছে অনেক প্রতিভাবান সাংস্কৃতিক কর্মী।

চর্যাপদ কুষ্টিয়ার সভাপতি আনোয়ার কবির বকুলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও জেলা কালচারাল অফিসার সুজন রহমান, খলিলুর রহমান মজু, শেখ আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মীর আতিক আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক প্লাবন দে রুদ্র, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল হোক, জাহিদুল ইসলাম রনি সহ অন্যান্যরা।

পরে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।