ঝিনাইদহের আদালতের রায় অমান্য করার অভিযোগ সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) এস এম সিরাজুল সালেহীনের বিরুদ্ধে আদালতের রায় অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কানাডা প্রবাসী মো. মহিউদ্দিন ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

গত ২২ অক্টোবর সকালে শৈলকুপার কবিরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

জানা যায়, কবিরপুর এলাকায় ২৯.৫ শতক জমি কেনেন মহিউদ্দীন নামের কানাডা প্রবাসী এক ব্যক্তি। জমি কেনার পর সীমানা নির্ধারণ করে ভোগ-দখল করতে থাকেন তিনি। মৌসুমি ফসল ও শাকসবজির আবাদ করেন সেখানে। পরে সেখানে ভূমি অফিস, ইউএনও অফিসসহ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মহিউদ্দিনের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। সেসময় ওই জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয় তারা। উপায় না পেয়ে আদালতের দারস্থ হন তিনি। আদালত তার পক্ষে রায় দিয়ে সরকারের উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ জারি করে। পরে সরকার পক্ষ আদালতে আপিল করলে আদালত আপিল খারিজ করে মহিউদ্দিনের পক্ষে আগের নির্দেশনা জারি রাখেন।

আদালতের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আদেশ থাকার পরে স্থানীয় নায়েব ও এসিল্যান্ড এস এম সিরাজুল সালেহীন ওই জমিতে এসে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়।

মহিউদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, কবিরপুর এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ যারা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের দালাল হিসেবে কাজ করে এবং তহশিল অফিস, ভূমি অফিস ও ইউএনও অফিসের কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমাকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। সবশেষ গত ২২ অক্টোবর এসিল্যান্ড সিরাজুল ইসলাম এসে জোরপূর্বক আমার জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে শৈলকুপার সহকারী কমিশনার(ভূমি) এসএম সিরাজুল সালেহীনের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। ভুক্তভোগী ওই প্রবাসী সুনির্দিষ্ট ভাবে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




ঝিনাইদহে স্কুলের বিদ্যুতের তার কেঁটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা !

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের চাঁন্দেরপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যুতের তার কেটে দিয়েছে কে বা কাহারা। এসময়ে বিদ্যালয় ভবনের ওয়্যারিং তছরুফ করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (২ নভেম্বর) রাতের যেকোন সময় এটি ঘটেছে। বিদ্যালয়ে নৈশ্য প্রহরী না থাকায় বিদ্যালয়টি অরক্ষিত ভাবেই চলছে।

প্রধান শিক্ষক নিখিল বিশ্বাস বলেন, শুক্র-শনি ছুটির পরে আজ স্কুলে এসে দেখি একটি ভবনের বিদ্যুতের তার কাটা রয়েছে। বৈদ্যুতিক মিটার থেকেই এই তার কাঁটা হয়েছে। গ্রামের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে জেনেছি শুক্রবার রাতেও আলো জ্বলেছে স্কুলে কিন্তু শনিবার রাতে জ্বলেনি। এই তার ধরে টানাটানির ফলে শ্রেণি কক্ষের ওয়্যারিং নষ্ট হয়ে গেছে। কারা এমন শত্রুতা করেছে কিছুই অনুমান করতে পারছি না। এতে যেকোন দুর্ঘটনাও ঘটতে পারতো। বর্তমানে বিদ্যালয়ে এডহক কমিটি রয়েছে। আমরা বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানিয়েছি। জিডি করার পরামর্শ দিয়েছে। বিদ্যালয়ে নৈশ্য প্রহরী থাকলে এমন ঘটনা ঘটাতে পারতো না।

সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে থানায় জিডি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। আগামী অর্থ বছরে হয়তো প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। আমরা বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।




কালীগঞ্জে শহীদ নূর আলী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শহীদ নূর আলী ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি শাখা শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির আশ্বাস দিয়ে ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শহীদ নূর আলী ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি শাখা শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির আশ্বাস দিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ রাশেদ সাত্তার তরু ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তি এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় এবং তাদের দেয় টাকা ফেরত না পাওয়া তারা অধ্যক্ষ রাশেদ সাত্তার তরুর বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এ অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের, যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান, দূর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন দফতরে। লিখিত অভিযোগে তারা জানান, ডিগ্রি শাখা এমপিও ভুক্তির প্রলোভন ও প্রতিশ্রুত দিয়ে অধ্যক্ষ তাদের নিকট থেকে ১০ লক্ষ টাকা আদায় করে। এমপিও না হলেও পরবর্তীতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শিক্ষকদের টাকা ফেরত দেননি। তাঁরা ২০১৫ সালে মোটা অংকের টাকা ডোনেশান দিয়ে ডিগ্রি পর্যায়ে নিয়োগ পান। এর পর থেকে তাঁরা কলেজের কোন অর্থনৈতিক সুবিধা পাননি। ফলে তাঁরা অর্থাভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এরই মধ্যে ২০১৯ সালে স্নাতক শাখার শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তি করে দিবেন এই মর্মে অধ্যক্ষ রাশেদ সাত্তার তরু শিক্ষকদের প্রতিশ্রুতি দেন ডিগ্রি শাখার সকল শিক্ষক্ষ কর্মচারী মিলে ২০ লক্ষ টাকা দিতে পারলে এমপিও ভূক্ত হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষক রবিউল ইসলাম, রফিকুজ্জামান, মনিরুজ্জামান, কামরুন্নাহার, জেসমিন আক্তার, হায়দার আলী সহ একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে জানান, এমপিও ভূক্তির জন্য ডিগ্রির সকল শিক্ষক কর্মচারী তাদের কেউ জমি বন্ধক রেখে, কেউবা গরু ছাগল বিক্রি করে ১০ লক্ষ টাকা অধ্যক্ষ স্যারের নির্দেশে কলেজের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ সাজ্জাদ ও প্রভাষক প্রবীর কুমার বিশ্বাস এর নিকট প্রদান করি এবং এমপিও হয়ে গেলে আরও ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করতে হবে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়। তবে এমপিও ভুক্তি না হলে আমাদের দেয় অগ্রিম ১০লক্ষ টাকা স্ব স্ব শিক্ষককে ফেরত দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ২০১৯ সালে ডিগ্রি শাখা যখন এমপিও হলো না, তখন আমরা কিছু শিক্ষক অধ্যক্ষের নিকট টাকা ফেরত চায়। কিন্তু তিনি আমাদের কথায় কোন প্রকার কর্নপাত করেননি এবং টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ধরণের তালবাহনা শুরু করেন। অধ্যক্ষ রাশেদ সাত্তার তরু স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের মদদ পুষ্ট হওয়ার কারণে তাঁর নিকট টাকা ফেরত চাওয়ার জন্য কেউ সাহস করেনি। এভাবে ৬টি বছর অতিবাহিত হলেও আমাদের টাকা আজও ফেরত পায়নি বা এমপিও ভুক্তি করাও হয়নি, ফলে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।

এদিকে সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের শাসনামলে অধ্যক্ষ কজলেজের প্রভাবশালী শিক্ষক সুব্রত নন্দী, কমিটির সদস্য গোলাম রসুলকে সাথে নিয়ে কলেজে নিয়োগ প্রদান সহ কোটি কোাটি টাকারও বেশি বানিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও অধ্যক্ষ তাঁর বন্ধু মহল নিয়ে কলেজে, আওয়ামী নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে। একাধিক জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের নির্বাচনী প্রিজাইডিং অফিসারসহ নানাবিধ অপকর্ম করেছেন। সেই সব নির্বাচনে নিদিষ্ট কিছু সংখ্যক শিক্ষক দায়িত্ব পালন করতেন। শহীদ নূর আলী কলেজ থেকে ভোট, পরীক্ষাসহ সকল ডিউটি ভাগ-বন্টন করতেন অধ্যক্ষের অনুসারীরা। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের টাকা ফেরতসহ এ সকল ঘটনার সুষ্ট তদন্তস্বাপেক্ষ বিচার দাবী করেছেন।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ রাশেদ সাত্তার তরু বলেন আমি এর সাথে জড়িত নয় তারা সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার সাহেবের সাথে যোগাযোগ করে ইসলামী ব্যাংকের একটি নিদিষ্ট একাউন্টে জমা দিয়েছেন। এর বাইরে আমি কিছু জানিনা।




ঝিনাইদহে দুর্নীতি বিরোধী সাইকেল র‌্যালি

ঝিনাইদহে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বাড়াতে দুর্নীতি বিরোধী সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আজ রোববার (০৩ নভেম্বর) সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে ইয়েস গ্রুপের আয়োজনে এক র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় নাগরিকেরা অংশগ্রহণ করেন। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে পলিটেকনিক ইন্সটিউটে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে শিক্ষার্থীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এর আগে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে আলোচনা সভা ও পায়রা অবমুক্ত করে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বকুল চন্দ্র কবিরাজ, সনাকের সভাপতি এম সাইফুল মাবুদ।

সেসময় উপস্থিত ছিলেন সনাকের সহ-সভাপতি আহম্মেদ হোসেন, সাবেক সভাপতি এন এম শাহজালাল, সদস্য নাসরিন ইসলাম, কাজল বিশ্বাস, ইয়েস উপ কমিটির আহ্বায়ক আব্বাস উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।

আয়োজকরা আশা করেন, এই সাইকেল র‌্যালির মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং সবাই মিলে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে একসঙ্গে কাজ করবে।




ঝিনাইদহে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই প্রেমিকার অনশন

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামে এক তরুনকে বিয়ে করতে অনশন করেছে দুই তরুনী। গতকাল শনিবার রাত ৮ টার দিকে ওই গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে শাহীনকে বিয়ের দাবীতে অনশন করে তারা।

জানা যায়, গতকাল শনিবার বিকেলে পার্শবর্তী হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে রুনা খাতুন বিয়ের দাবিতে শাহিনের বাড়িতে অবস্থান করে। রুনা খাতুনের আসার খবরে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া খাতুনও বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে আসে। এক যুবকের বাড়িতে দুই তরুনীর অবস্থানের খবর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

প্রতিবেশীরা জানায়, দীর্ঘ দুই বছর ধরে রুনার সাথে শাহীনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। তাদের দুই পরিবার তাদের বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় পরে তার পরিবার তাদের বিয়েতে অস্বীকৃতি জানাই। এরপর রুনাকে পরিবার থেকে তার অমতে বিবাহ দিতে গেলে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে উঠে। অন্যদিকে গত দুই মাস হলো সাদিয়া নামে আরেক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে শাহীনের। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর সাদিয়াও তার বাড়িতে আসে বিয়ের দাবিতে। এমন ঘটনায় শাহীন ও তার পরিবারের উপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

রুনা বলেন, শাহিনের সাথে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমাদের বিয়েতে দুই পরিবারই রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় আমার পরিবার আর মেনে নেয়নি। শুক্রবার আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়। আমি শাহিনকে ছাড়া অন্য কারো বিবাহ করবো না। একারণে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। একারণে আমি শাহিনের বাড়িতে আসছি। আমি ওকেই বিয়ে করবো। শহিন যদি ওই মেয়েকে বিবাহ করে আমার কোন সমস্যা নেই।

অন্য প্রেমিকা সাদিয়া খাতুন বলেন, শাহিনের সাথে দুই মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এর আগে শাহিন তাকে বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসতে বলে। আমি বাড়ি থেকে তার বাড়িতে আসি। তখন শাহিনের বাড়ির লোকজন ঝামেলা করাই সেদিন বিয়ে হয়নি। আজ আবার শাহিনের বাড়িতে আরেক মেয়ে আসছে বিয়ের দাবিতে। আমি তো ওকে ভালবাসি। আমকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রেমিক শাহিন বলেন, আমাকে বিয়ে করতে যে দুই মেয়ে আসছে। তাদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল এখন নেই। তবে তারা যেহেতু তাকে বিয়ে করতে বাড়িতে চলে আসছে, তাদের দুই জনকে বিয়ে করতে কোন আপত্তি নেই। সে দুইজনকেই বিবাহ করতে রাজি।

হলিধানী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার জানান, রাতে সাদিয়া নামের ওই মেয়েটি তার বাড়িতে ফিরে গেছে। আর রুনাকে শাহীন বিয়ে করেছে।




দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় টিসিবির পন্য বিতরণ

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে আজ রোববার সকাল ১০ টার দিকে ৪৭০ টাকা মূল্যর প্যাকেজে ৫ কেজি চাউল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মুসুরির ডাল বিক্রি করা হয় টিসিবির কার্ডধারীদের মাঝে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আ:করিম বিশ্বাস, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসুল হক, সহ-সভাপতি করম আলী, যুগ্ম সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম টুটুল, বিএনপি নেতা মিজানুর, বাশার, সাবেক মেম্বর নোয়াজ্জেস, উপজেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আ:মতিন খসরু, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আ:কাদের, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এমডিকে সুলতান, যুগ্ম আহবায়ক জুলফিক্কার আলী ভুট্টো কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মমিন বিশ্বাস, সদস্য সচিব খাইরুল,ইউনিয়ন যুবদল নেতা দেলোয়ার, কবির, রুস্তম, আহসান, এনামুল, আহসান-২, সুমন, রাজু, হামজা, রাজু, বাবু, শুকুর আলী, প্যানেল চেয়ারম্যান সাজিবার রহমান, আলমগীর হোসেন, সুমাইয়া খাতুন, মনিরুজ্জামান মন্টু মেম্বর, সিরাজুল ইসলাম, মাহাবুব, বিল্লাল হোসেন, সালাম, আ:রাজ্জাক,আনেহার, দেলোয়ারা, ইউপি সচিব হাসানুজ্জামান, হিসাবরক্ষক মতিয়ার রহমান, উদ্যোক্তা হারুন, হীরা, ওমেদুল প্রমুখ।




ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের বিএনসিসি ও রোভারের কার্যক্রম শুরু

কুষ্টিয়া শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এর ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আজ রবিবার (০৩ নভেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া শহরের কলেজ মোড় থেকে বিএনসিসি ও রোভার এর অংশগ্রহণে “ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম” শুরু হয়।

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোল্লা মো: রুহুল আমিন এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এসময় তিনি বলেন, আমাদের কলেজের সামনে উত্তর দিকে প্রধান সড়ক মীর মোশাররফ হোসেন সড়ক-এ রাস্তায় ফুটপাত দখল করে থাকে। এছাড়াও কয়েকটি প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার রাস্তায় যত্রতত্র যানবাহন পার্কিং করা হচ্ছে। তাদের যথেষ্ট পার্কিং নেই। এছাড়াও যত্রতত্র ইজিবাইক ও রিকশা যেখানে সেখানে থামানো হয়।
এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ট্রাফিক শৃঙ্খলাকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আনার জন্য আমাদের কলেজের বিএনসিসি ও রোভার সদস্যদের মাধ্যমে প্রতিদিন দেড় ঘন্টা করে দায়িত্ব পালনের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে শহরের কলেজ মোড় এলাকার ট্রাফিক বিভাগের কাজে যেমন গতিশীল হবে, তেমনি জেলার ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়ন ঘটার মাধ্যমে জনভোগান্তি অনেক কমে আসবে।

এভাবেই জনসাধারণকে সচেতন ও সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে শহরের ট্রাফিক শৃঙ্খলা উন্নয়ন সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।

এরআগে কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে বিএনসিসি ও রোভার এর অংশগ্রহণে “ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম” বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোল্লা মো: রুহুল আমিন।

এসময় বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আনসার হোসেন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো: আব্দুল কুদ্দুস খান, বিএনসিসি’র প্রধান প্রফেসর ড. নবীনূর রহমান খান, রোভার প্রধান শামসুল ইকবাল খান, বাংলাভিশন ও দেশ রুপান্তরের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি হাসান আলী, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মুকুল ও বার্তা ২৪.কমের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট এসএম জামাল প্রমুখ।

সভায় কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




জনবল নেবে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে ৩টি পদে ১৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ

কর্মস্থল: ঢাকা

বয়স: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ সর্বোচ্চ ৪০ বছর

আবেদনের ঠিকানা: মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন), করপোরেট অফিস, বিসিপিসিএল, ইউনিক ট্রেড সেন্টার (৫ম তলা), ৮ পান্থপথ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫। আবেদনপত্রের খামের ওপর স্পষ্ট অক্ষরে পদের নাম উল্লেখ করতে হবে।

আবেদন ফি: আবেদনকারীকে অফেরতযোগ্য হিসেবে ২০০ টাকা মূল্যের পে-অর্ডার করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই টাকা জমার রশিদ পাঠাতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত সরাসরি অথবা ডাকযোগে আবেদন করতে পারবেন। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের পর আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।

সূত্র: কারবেলা




গাংনীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে বন্দুকের সিসা কার্তুজ উদ্ধার

মেহেরপুরে পরিত্যক্ত অবস্থায় বন্দুকের ৪ রাউন্ড সিসা কার্তুজ উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব-১২) ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী (সিপিসি-৩) মেহেরপুর ক্যাম্প ও যৌথবাহিনী।

আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) ভোররাতের দিকে যৌথিাহিনীর উদ্যোগে এই অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাব-১২, সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্প, মেহেরপুর আর্মি ক্যাম্প ও গাংনী থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালান।

র‌্যাব-১২, মেহেরপুর সিপিসি-৩, কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফউল্লাহ পিপিএম আজ দুপুরে সাংবাদিকদের প্রেস রিলিজ দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাংনী উপজেলার চরগোয়ালগ্রামের মোঃ সোহাগ সর্দারের বাড়ির নির্মানাধীন বাথরুমের বালির নিচে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় এই সিসা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ওই বাড়িতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি যৌথ কমান্ডের আভিযানিক দল ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। সোহাগ সর্দারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর কোন সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় এবং তথ্য দাতার সংবাদ উদ্দেশ্য প্রনোদিত মনে হওয়ায় কার্তুজগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। উদ্ধারকৃত সিসা কার্তুজ জিডিমূলে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




যেসব উপকারিতা রয়েছে কান্নায়

কান্নার একচ্ছত্র অধিকার শুধু দুঃখেরই তা কিন্তু নয়। আনন্দে আবেগআপ্লুত হয়েও অনেকে কাঁদেন। দুঃখ বা আঘাতে ব্যথা পেলে কান্না করাটা স্বাভাবিক ভাবে নেয় সবাই। তবে বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের কান্নার প্রবণতা বেশি। তেমনি পুরুষের তুলনায় বেশি কাঁদেন নারীরা। প্রতিটি মানুষই জীবনে কখনো না কখনো কাঁদবে এটাই স্বাভাবিক।

তবে কান্নারও যে কিছু শারীরিক উপকারিতা রয়েছে তা নিশ্চই জানা ছিলনা? মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বীপেন চৌধুরী জানিয়েছেন কাঁদলে কী ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ব্যথা উপশম করে

কান্নাকাটি করার ফলে শরীরে এন্ডোরফিন উৎপন্ন হয়, যা কিছু কিছু ব্যথাও উপশম করে। কান্নাকা‌টি আপনার প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকেও সক্রিয় করে, যা শিথিলতা বাড়ায়, স্ট্রেস বা চাপ কমায় এবং ব্যথা উপশম করে।

চাপ প্রশমিত করে

কান্না কর্টিসলের মতো স্ট্রেস-সম্পর্কিত রাসায়নিকগুলো বের করে দেয়, যা আপনার শরীরকে ধু‌য়েমুছে ‌ডিট‌ক্সিফাই করে। ফলে মান‌সিক দু‌শ্চিন্তা দূর হয়ে যায়।

এনে দেয় প্রশান্তির ঘুম

অনেকক্ষণ ধ‌রে কান্নাকা‌টির ফ‌লে শরীরে বি‌ভিন্ন হরমোন নিঃসরণের পাশাপাশি প্রচুর শ‌ক্তি ক্ষয় হয়। মাঝেমধ্যে পা‌নির ঘাট‌তি দেখা দেয়। যার ফ‌লে ম‌াথা ঠান্ডা হয়ে একধর‌নের প্রশা‌ন্তি বোধ করবেন, এটা আপনাকে শান্তিপূর্ণ ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম দিতে পারে। তাই ঘুমানোর আগে মাঝেম‌ধ্যে একটু কান্নাকাটি করতেই পারেন!

ব্যাকটেরিয়ার বিরু‌দ্ধে লড়াই করে

চো‌খের পা‌নি‌তে লাইসোজাইম নামক একধর‌নের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এনজাইম রয়েছে। লাইসোজাইম ক্ষতিকারক জীবাণু ধ্বংস করে আপনার চোখকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা ক‌রে।

মুড ভা‌লো করে

মনো‌বিদেরা বলেন, কান্না আবেগ দমন করে আপনার মুড ভালো করে দিতে পারে। কান্নার মাধ্যমে আপনি প্রকারান্তরে ক্ষতিকর হরমোনগুলো শরীর থেকে বের করে দিয়ে ফুরফুরে হয়ে ওঠেন।

কান্নাকা‌টি করার সময় আমরা দ্রুত নিশ্বাস নিই, এতে মস্তিষ্ক ‘ঠান্ডা’ হয়ে অক্সিজেন নেওয়ার ক্ষমতা বেড়ে যায়।

চোখ‌ সুস্থ রাখে, উন্নত করে দৃষ্টিশক্তি

কান্নাকা‌টি চোখকে স্বাভাবিকভাবে পি‌চ্ছিল করে, শুষ্কতা প্রতিরোধ করে, কর্নিয়া থাকে আর্দ্র ও পরিষ্কার। ফলে সংক্রামক ব্যাধির ঝুঁকি কমে। চোখের জল ধুলাবালু ও অন্য বিরক্তিকর পদার্থগুলো ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করে। এ ছাড়া নেত্রনালি সতেজ করে চোখকে আরাম দেয় কান্না।

মানসিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে

অনেক সময় বন্ধু বিয়োগ হলে বা ব্রেকআপ হলে আমরা কান্নায় ভেঙে প‌ড়ি। এ ধর‌নের অপ্রতিরোধ্য অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে কান্না। তখন মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ও চাপ কাজ করে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে মানসিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে কান্না।

বাচ্চাদের শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে ও ঘুমাতে সাহায্য করে

শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে কি কা‌রো ভা‌লো লা‌গে? কিন্তু কান্নাকা‌টি শিশুদের জন্যও উপকারী। এটি শিশু‌দের শ্বাসনালি পরিষ্কার করে। বে‌শি বে‌শি অক্সিজেন নিতে সহায়তা করে। এতে তার কষ্ট লাঘব হয়।

‘ছন্দোবদ্ধ’ কান্না শিশুর শ্বাসপ্রশ্বাসকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ঠিক বড়দের মতোই কান্নাকা‌টির পর শিশু‌দের চাপ ও দুশ্চিন্তা কমে যায়, ফলে সে রিল্যাক্সড হয়। ঘুম ভালো হয়।

প্রশান্তি এনে দেয়

চিৎকার করে বা নীরবে-যেভাবেই কান্নাকা‌টি করুন না কেন, দেখবেন আপনার মন কিছুটা হালকা লাগছে। কারণ, কান্না আপনা‌কে প্রশান্তি দিতে পা‌রে। কান্না আমা‌দের প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করে।

যা স্নায়ু শিথিলীকরণের জন্য দায়ী বিভিন্ন হরমোনের নিঃসরণ, হজম ও সেরে ওঠার স‌ঙ্গে জ‌ড়িত। কান্নার ফলে এন্ডোরফিন বা ‘সুখী হরমোন’ নিঃসৃত হয়, যা প্রশান্তির অনুভূতি তৈরি ক‌রে।

সামাজিক বন্ধন

মুখে না বলেও কান্নার মাধ্যমে অন্যদের কাছে আমাদের সমর্থন, সহানুভূতি, সান্ত্বনা প্রকাশ করতে পা‌রি। এতে সামাজিক বন্ধন শক্তিশালী হয়।

তবে আপনি যদি প্রায়ই কান্নাকাটি করেন আর এটি যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করে বা উদ্বেগের কারণ হয়, তাহলে একজন মনো‌বি‌দের শরণাপন্ন হ‌তে পারেন।

সূত্র: ইত্তেফাক